Puspho2.0

Puspho2.0

আস-সালামুয়ালাইকুম!

24/06/2022

24/06/2022

23/06/2022

জাহান্নামি!

23/06/2022

Islamic Whatsapp status video_Mizanur Rhaman Azhari

24/05/2022

Abu Toha Muhammad Adnan!

08/04/2022
04/04/2022

কপালে টিপের ইতিহাস: পতিতার পরিচয় এবং ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি;
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অনেক মুসলিম নারীরা কপালে টিপ পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, টিপ যে একটি বিশেষ ধর্মের পরিচয় ও সংস্কৃতির অংশ, শুধু তা কিন্তু নয়। ইসলামে টিপের একটি ইতিহাসও আছে।

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না।অবশেষে একটি চরক বানানো হল যার মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না।

তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু পতিতা (নগ্ন) মেয়ে এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, হযরত ইব্রাহীম (আ.) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন।পরবর্তীতে ওই মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল। যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।

যেসব মুসলিম নারীরা টিপ পরে, তারা এই ঘটনা জানেনা। জেনেও যদি কেউ পরে তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য। হিন্দুরা টিপ পরে, এটা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ।

পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন!

ওহে মুসলিম মা-বোনেরা! এই সত্য কথাটা জানার পর ও কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পরবেন ? সুতরাং এই অবমাননাকর চিহ্নটি মুসলিম মা বোনরা এড়িয়ে চলুন।


সূত্র : তাফসীরে মা-রেফুল কোরআন, হযরত ইব্রাহিম (আ.) মূলগ্রন্থ। তাবারী, তারীখ, ১খ, ১২৩-১২৪; ছালাবী আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসীর, (ডেইলি বাংলাদেশ)
Source, internet :

01/04/2022

বাংলাদেশে দেখা যায় অনেকে এপ্রিল ফুল পালন করে !

কিন্তু একবারও কি আমরা চিন্তা করেছি এপ্রিল ফুলের ইতিহাস কি ? কোথা থেকে আসল এই এপ্রিল ফুল?

এপ্রিল ফুল দিবসটি সৃষ্টির সাথে রয়েছে মুসলমানদের করুন ও হৃদয়র্স্পশী এক ইতিহাস। ১ এপ্রিলের এই ইতিহাস অন্যান্য জাতি জানলেও অনেক মুসলিম জাতি না জানার কারনে এই বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে। তৎকালীন ইউরোপীয় দেশে স্পেনে মুসলিম সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদ এর নেতৃত্বে ইসলামি পতাকা উড্ডীন। সুদীর্ঘ প্রায় আটশ বছর পর্যন্ত সেখানে মুসলমানদের গৌরবময় শাসন বহাল থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে মুসলিম শাসকরা ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়ে দিয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। ফলে মুসলিম দেশগুলোও ধীরে ধীরে মুসলমানদরে হাত ছাড়া হয়ে খ্রীস্টানদের দখলে যেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসে স্পেনের পালা। মুসলিম শাসনে নেমে আসে পরাজয়ের কাল ছায়া। খ্রীস্টান জগত গ্রাস করে নেয় স্পেনের বিজয় পতাকা।

এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের লক্ষ্যে খ্রীস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে। যার ফলে মুসলিম বিরোধী দুই বৃহৎ খ্রীস্টান শক্তি সম্মিলিত শক্তি রুপে আত্নপ্রকাশ করে। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড খুঁজতে থাকে স্পেন দখলের মোক্ষম সুযোগ। পরবর্তীতে মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। একপর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার সুযোগে খ্রীস্টান বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক । এক মাত্র মহাসমুদ্রই বাকী থাকে মুসলমানদের বাচার পথ। অবরুদ্ধ মুসলমানগন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকে। মুসলমানদের এই অসহায় অবস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড প্রতারনার আশ্রয় নেন। তিনি দেশব্যাপী ঘোষনা করে দেন – “যারা অস্ত্র ত্যাগ করে মসজিদগুলোতে আশ্রয় নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রক্ষিত নৌযানগুলোতে আরোহন করবে তাদেরকে সব রকমের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” – এমন এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মুসলমানগণ যেন আশার আলো খুঁজে পায়। সরল মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগন মসজিদ ও নৌযানগুলোতে আশ্রয় গ্রহন করে। কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য নরপিশাচ প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড তালা লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায় ভাসিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। এরপর বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত করে ঐ মানুষ নামের পশু ফার্ডিন্যান্ড আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর চার পাশে এবং মধ্য সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। ফলে অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারি পুরুষ আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের আকাশ বাতাস। মুহূর্তের মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় সাত লক্ষ মুসলমানের তাজা প্রাণ। আর এভাবেই ঘটে স্পেনের আটশ বছরের মুসলমান শাসনের, আর পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয় মনবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায়। যেদিন এই মর্মন্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন ছিল ১৪৯২ খ্রীস্টাব্দের ১লা এপ্রিল। তখন থেকে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেওয়ার সেই নিষ্ঠুর ইতিহাস স্মরনার্থে খ্রীস্টানরা প্রতি বছর দিনটিকে এপ্রিল ফুল পালন করে আসছে।

কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদের ধোঁকা দেওয়ার দিবসটিকে হাসি-তামাশা করে কাটিয়ে দেয় কিন্তু মুসলমানরা তাদের ঈমানী মক্তি হারিয়ে কাফিরদের অনুগত হয়ে গেছে। যার ফলে আজকের বিশ্বে মুসলমানরা এত অবহেলিত-নির্যাতিত।

22/03/2022

~ গল্পটা পড়ে,,,,চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না💔পড়ো অনেক ভালো লাগবে।
সত্যি অসাধারণ ।🥺

কোনো এক বোনের ডায়েরিতে লিখে যাওয়া কিছু স্মৃতি📖🖋️
▪️১১.০৩.২০০৫
ডায়েরি লিখতাম না কখনোই।আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে কোনো এক রেজাল্ট এর উপহারস্বরুপ এই সুন্দর ডায়েরিটি উপহার দিয়েছিলেন বড় আপু।তখন খেকে এটি পড়ে ছিল টেবিলের এক কোণে।হটাৎ কি মনে হলো জানিনা।ডায়েরি লিখা শুরু করলাম...

আসলে ডায়েরি লিখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি মূলত সুরাইয়ার কাছ থেকে।মাধ্যমিকের মাঝামাঝি এসে ওর সাখে সাখ্যত গড়ে ওঠে আমার যা এক সময় বন্ধুত্বে রুপ নেয়। কি শান্তশিষ্ট মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে ছিল সুরাইয়া! ওর মধ্যে হ্মমতা ছিল মানুষ কে আর্কষণ করার! হবেই বা না কেনো! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়া'লা যে ওর মধ্যে হেদায়েতের নূর দিয়েছিলেন!

প্রথম যেদিন ওদের বাসায় যাই,আন্টি আমাকে দেখে অনেক খুশি হয়েছিলেন।কথায় কথায় আমার অনেক প্রশংসাও করেছিলেন।আমি বোরকা পরিনা। অথচ সুরাইয়া পরে। আন্টি সেদিন বলেন," এতটিকু ছোট মানুষ। ক্লাস নাইনে পড়ে! কি দরকার এখনি আপাদমস্তক কালো বোরকায় ঢাকার!" সেদিন অনেক বেশি অবাক হয়েছিলাম....যদিও ধর্মের সর্ম্পকে জ্ঞান ছিল শূন্যের কোঠায়।তবুও মনে হতো সুরাইয়া ঠিক পথে চলছে।আন্টি সুরাইয়ার উপর কিছু বিরক্ত ও ছিলেন।চাচাতো মামাতো ভাইদের সামনে না যাওয়ায় সুরাইয়ার আম্মুর ভাষ্যমতে সুরাইয়া নাকি অসামাজিক! আত্মীয় স্বজন কারো বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়না।তার মায়ের হ্মোভ একমাএ ভাগ্নের অনুষ্ঠানেও যায়নি সুরাইয়া...
সুরাইয়াকে অবষ্যইএটা পরে জিগ্যেস করেছিলাম, তখন ও বলে,"দোস্ত, অনুষ্ঠান ইসলামিক পন্থায় না হওয়ায় মাহরাম মানায় একটু কষ্টকর ছিল আর হারাম গান বাজনা হচ্ছিল। যার কারনে পাপের ভয়ে আমি যেতে চাইনি।"

সেদিন সুরাইয়ার ঘরে ঢুকতে ওর ছোট্ট ডায়েরিটা আমার নজর কাড়ে... কৌতুহলবশত পড়া শুরু করি। ডায়েরির শুরুর প্রথম পৃষ্ঠা গুলোতে ছিল চোখের পানির অস্পষ্ট দাগ আর অসম্ভব আবেগে আল্লাহর কাছে সাহায্যের আকুতি।ওর ডায়েরির একটা কথা ভিষণভাবে আমাকে নাড়া দেয়- "হে দয়াময়। তোমার সাহ্মাত আর কতদূর.... আর যে সইতে পারিনা।কবে তুমি বলবে আমায়-
"হে প্রশান্ত আত্মা!
তুমি ফিরে এসো তোমার রবের প্রতি সন্তুষ্টচিওে,সন্তোষভাজন হয়ে,অতঃপর আমার প্রিয় বান্দাদের দলভুক্ত হও।আর প্রবেশ করো আমার জান্নাতে।"[১]

এতটুকু বুঝতে পেরেছিলাম, দ্বীনের বুজ আসার পর থেকে সুরাইয়ার উপর নেমে এসেছিল পারিবারিক বর্বরতা।এত কষ্ট করে মানুষ জান্নাতের প্রত্যাশা করে আর সেখানে আমি! আমি এ কি করছি!নিজেকে পরিবর্তন কারার সিদ্ধান্ত নিলাম সেদিন থেকেই। সুরাইয়ার ওস্তাজা ছিলেন আশফিকা আপু। একদিন সুরাইয়া কে বলে বসলাম আমিও যাবো তোমার সাথে আশফিকা আপুর কাছে,ইলমের জ্ঞান আহরণ করতে।আমার এ কথা শুনে সুরাইয়া অনেক খুশি হয়ে বলেছিল-বোন আমার দির্ঘদিনের চাওয়া ছিল আল্লাহ যেন তোমাকে দ্বীনের পথে কবুল করে নেন।আজ আমার দোয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা কবুল করেছেন।আমি সফল হয়েছি নুহা।তোমাকে ছাড়া কিভাবে আমি একা একা জান্নাতে যাবো? বলো?আমি যে তোমায় জান্নাতেও সঙ্গি হিসেবে চাইতাম।প্রতিদিন তাহাজ্জুদে আল্লাহর কাছে তোমার জন্য দুয়া চাইতাম।
সেদিনের পর থেকে আমার জীবন বদলাতে থাকে।যতই জান্নাত সর্ম্পকে জানতে পারি ততই যেন লোভ জন্মাতে থাকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য আর দুনিয়ার প্রতি জন্মাতে থাকে বিতৃষ্ণা।
ইশ! একবার যদি জান্নাতে যেতে পারি! অনন্তকাল কতো শান্তিতে থাকবো....

▪️১২.০৭.২০০৫
প্রায় চার মাস পর আবার লিখতে বসলাম।আজ নিজেকে আনন্দিত লাগছে।আমি পরিপূর্ণ মাহরাম মেনে চলতে শিখে গেছি।আলহামদুলিল্লাহ।
নাভিদ ভাইয়ার ফ্রেন্ডসহ এসেছিলেন আমাদের বাসায়।অনেকদিন আমার সাথে দেখা হয়নি নাভিদ ভাইয়ার।ভাইয়া খুব করে চেয়েছিলেন যেন দেখা করি।কিন্তু আমি কোনোভাবেই তার সামনে যাইনি।নাভিদ ভাইয়া সর্ম্পকে আমার চাচাতো ভাই। বড় চাচার ছেলে।
মনে পড়ে একবার রিফা আপুর বিয়েতে আমি শাড়ি পড়ে সুন্দর মতো সাজগোজ করেছিলাম। হঠাৎ নাভিদ ভাইয়া রুমে ঢুকে পড়ে।আমাকে দেখে অপলক তাকিয়ে থেকে হঠাৎ বলে ওঠে তোকে খুব সুন্দর লাগছে।।সেদিন মনে মনে অনেক খুশি হয়েছিলাম।ভাবছিলাম রামিশাকে টপকাতে পেরেছি অবশেষে!ছোট থেকেই ফুফাতো বোন রামিশার সাথে আমার সবকিছুতেই প্রতিযোগিতা চলতো।আর মাধ্যমিক পা দেওয়ার পর থেকেই দুই বোনের পছন্দ ছিল নাভিদ ভাইয়া।তাই দুজনে অনেক সাজতাম নাভিদ ভাইয়ার সামনে।
হায়! কতই না অবুঝ ছিলাম আমরা....!
প্রায় চার বছর পর নাভিদ ভাইয়া স্কলারশিপ শেষে দেশে পিরেছেন।আমাদের বাসায় এসেছিলেন আমাদের সাথে দেখা করতে।আমি যাইনি ভাইয়ার সামনে।আম্মু আমাকে রুমে এসে সজরে থাপ্পড় মারে।তবুও আমার কেনো জানি কান্না পায়নি একটুও।শুধু মনে হয়েছে আমার কষ্ট সুরাইয়ার তুলনায় অনেক কম।সুরাইয়া যে আমার চেয়ে রব কে আগে খুজে পেয়েছ....

▪️১৪.০৭.২০০৫
আজ বড় চাচ্চু বাসায় এসেছিলেন। আব্বুকে যাচ্ছেতাই বকে গেলেন।খুব তো মেয়েকে হুজুরনি বানাচ্ছো তোমরা! দেইখো! আবার জঙ্গি হয়ে বের না হয়।আব্বু র্নিবাক।কিন্তু আম্মু আমার রুমে এসে আজও মেরে গেলেন আমায়।সুরাইয়ার দেওয়া বোরকাটা রুম থেকে নিয়ে গেলেন।ভাগ্যিস! গত ঈদে আব্বুর দেওয়া টাকাটা দিয়ে চুরি করে আর একটা বোরকা কিনে আলমারিতে লুকিয়ে রেখেছিলাম।নইলে আশফিকা আপুর দারসে আজ বিকেলে যেতে পারতাম না!ভাবতেই গা শিউরে ওঠে!....

▪️২০.০১.২০০৬
জানুয়ারি মাসের কোনো এক কনকনে শীতের দিনে জানতে পারলাম আমার প্রাণপ্রিয় বান্ধবী সুরাইয়া আর পৃথিবীতে নেই।মৃত্যুর পরও ওর মুখে এক অপরুপ হাসি লেগে ছিলো।ভাতেই প্রশান্তির শিহরণ খেলে যায় মনে।নিজেকে সেদিনের পর থেকে বড় একা লাগতো।কিন্তু পাশে এসে দাড়াল আশফিকা আপু....

▪️১২.০৩.২০০৬
বড় আপু আসলেন আমাদের বাসায়।আপুর বাবু হবে আর ছয় মাস পর।এই কয়মাস আমাদের বাসায় থাকবে আপু।কিন্তু বিপত্তি বাঁদলো দুলাভাই আসলো যখন আমাদের বাসায়। আমি কিছুতেই বোরকা ছাড়া দুলাভাইর সামনে যেতে চাইনি।প্রিয় আপু, যে কিনা আমি একটু অসুস্থ হলেই সারারাত নিয়ে বসে থাকতো।কখনো আমার গায়ে হাত তুলেনি।সে আপু আমাকে থাপ্পড় মারলেন আজ...
আজ আমার অনে কষ্ট হচ্ছে...আপু মারার জন্য যতটা না কষ্ট পেয়েছি তার ছেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি আপু দ্বীনের ব্যাপারে কতটাইনা অবুঝ!
ইশ!আপুকে যদি বুঝাতে পারতাম....তোমাকে ছাড়া আমি একা একা কিভাবে জান্নাতে থাকবো??বলো আপু? আমি যে তোমায় ভীষণ ভালোবাসি...

▪️১৭.০৫.২০০৬
আজ আমার শরীর টা কেন জানিনা অনেক খারাপ লাগছে।আম্মু আপুকে নিয়ে চেকাপ করাতে নিয়ে গেছে ডাক্তারের কাছে।আব্বু বারান্দায় বসে পেপার পড়ছে।আব্বুর কাছে অনেক যেতে ইচ্ছা করছে।বলতে ইচ্ছা করছে খুব...আব্বু তুমিও কি আম্মুর মতো ভুল বোঝো?
জানি আমার আব্বু আমাকে অনেক ভালোবাসে।তাই আম্মু যখন শাসন করে আব্বু তখন চুপ থাকে।আম্মুকে বাঁদা দেওয়ার চেষ্টা করে....
ইশ! হঠাৎ এমন রক্তপিন্ড কেন পড়লো মুখ থেকে!ইদানীং দেখি আমার দাঁতের গোড়া দিয়ে অনেক রক্ত বের হয়....

▪️২০.০৬.২০০৬
আজও আম্মু আমাকে মারলেন খুব।পরিহ্মার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় মামাতো ভাই রাজুকে খবর দিয়ে নিয়ে আসছিলেন আমাকে পড়ানোর জন্য। আমি রাজি হই নাই।আজ কেনো জানি আমার সুরাইয়ার মতো বলতে ইচ্ছা করে..."হে দয়াময়! তোমার সাহ্মাত আর কতদূর...আর যে পারিনা সইতে.....
"ইয়া মুক্বল্লীবাল ক্বুলুব,ছাব্বিত ক্বলবী আলা দ্বীনিকা।"[২]

▪️৫.০৭.২০০৬
আম্মু আর আপু আজ ফারিব ভাইয়ার বিয়েতে গেল।আমাকেও জোর করেছিলো।কিন্তু ফুফু বাড়ি ফারিব ভাইয়ার বিয়েতে অনেক মানুষ আসবে।মাহরাম মানাটা কষ্টকর হয়ে যাবে।এ কারনে যেতে চাইনি।আমার জন্য আব্বুও থেকে গেলেন বাড়িতে।
আব্বু আম্মু দুজনেই অনেক ভালোবাসেন আমাকে।আজ রাতে তাহাজ্জুদে খুব করে চাইবো আমার ভালোবাসার মানুষ গুলোকে আখিরাতে আমার সাথেই জান্নাতে প্রবেশ করিয়ো হে করুণাময়!আমার পিতা মাতা বোনকেও তুমি সঠিক পথ দেখাও,কবুল করে নাও তোমার দ্বীনের খদেম হিসেবে...

▪️১৫.০৭.২০০৬
আজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেলাম।আব্বু আম্মু ধরে ধরে আমাকে রুমে এনে শুয়ে দিলো।কত মায়া দুজনের চোখে।

"হে আমার রব,তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমায় লালন-পালন করেছেন।"[৩]

সেদিন হঠাৎ তাহাজ্জুদ পড়ার সময় কি হলো জানিনা।জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। যখন জ্ঞান ফিরে,নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করি।পাশে দেখি আম্মু আর বড় আপু কাঁদছে....

▪️২৫.০৭.২০০৬
শরীর ক্রমশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে....
বুঝতে পারছি আমার হয়তো আল্লাহর সাথে সাহ্মাতের সময় হয়ে এসেছে।হঠাৎ যেন সবাই পরিবর্তন হয়ে গেলো!....
আব্বু আম্মু ও কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।আগের মতো আর কেউ চা নিয়ে আড্ডা দেয় না।আম্মু আব্বু দেখি রোজ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে।ওয়াক্তের নামাজ ও দেখি বেশি সময় নিয়ে পড়ে।কেঁদে কেঁদে কি যেন চায়।বুঝতে পারি আমার সুস্থতার জন্যই হয়তো আল্লাহর কাছে দোয়া চায়।অনেক ভালোবাসি তোমাদেরকে....
আপুও এখন সারাহ্মন আমার কাছে থাকে।আমার কখন কোন ঔষুধ খেতে হবে সব বিষয়ে খেয়াল রাখে সেই ছোট বেলার মতো যখন আমি অসুস্থ হতাম আপুর চোখে ঘুম থাকতো না....

▪️৩০.০৭.২০০৬
আজ আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে।আমার প্রিয় মানুষ গুলো সবাই ইলম এর জ্ঞান অর্জনে অগ্রসর হয়েছে অনেক। আজ আশফিকা আপু এসেছিল আমাকে দেখতে।আপু, আম্মু, আশফিকা আপু আমার রুমে এসে একটা তালিম করলো। বড় ভালো লাগলো আজ।মনে হয় অনেক গুলো বছর যেনো এই দিনের অপেহ্মায় ছিলাম....

▪️০৩.০৮.২০০৬
শরীরের শক্তি যেনো ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে।আপু তো আমাকে লিখতে দিতে চায় না এখন আর।আজ আপুর চেকাপের দিন থাকায় আম্মু আপুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেছেন।আব্বু আর বড় ফুফু আছেন বাসায়।ফুফু হয়তো ক্লান্ত তাই ঘুমাচ্ছে।এই সুযোগে আমি ডায়েরিটা নিয়ে বসলাম।কেন জানিনা মনে হচ্ছে আর লেখার শক্তি পাবো না।আপু,আম্মু,আব্বু তোমাদেরকে অনেক ভালোবাসি....
আপু তোমার বাবুকে দেখতে পাবো কিনা জানিনা।তোমাক এই কথা বলতেও পারবো না সামনাসামনি তুমি অনেক কাঁদবা জানি।আব্বু বাইরে বড় চাচ্চুর সাথে যখন আলোচনা করছিল আমি শুনে ফেলেছি।আমার জানি কি এক অসুখ হয়েছে যা আর সারবে না।আমি হয়তো আর বেশিদিন তোমাদের সাথে থাকবো না।।আপু, আল্লাহর ফয়সালার উপরে ধৈর্য্য রাখো।পৃথিবীতে কেও কখনো চিরদিন বেঁচে থাকবে না।
আপু আমার খুব ইচ্ছা জান্নাতে যেন এক সাথে প্রবেশ করতে পারি আমরা।একসাথে অনেক মঝা করবো আপু।তুমি প্লিজ আব্বু আম্মুকে বুঝিয়ো,দ্বীনের সঠিক জ্ঞান আহরণ করিয়ো।আপু আশফিকা আপু খুবই ভালো হাফিজা।দ্বীনের বিষয়ে অনেক ভালো জানেন মাশাল্লা। তোমরা আপুর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবা। আর তোমার যদি মেয়ে হয় নাম রাখিয়ো আয়েশা আর ছেলে হলে ওমর।দুটাই আমার পছন্দের নাম ছিল আপু।....

▪️২০.০৯.২০০৭
তোর ডায়েরিটা অনেক পড়েছি ছোটু।তোর ডায়েরিতে আমি কখনো কিছু লিখিনি। কিন্তু আজ মনে হলো কিছু লিখি। আমরা অনেক ভালোবাসি তোকে।খুব বেশি যখন তোকে মনে পরে তোর এই ডায়েরিটা পড়ি।আজ তোর মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হলো।তুই বেছে থাকতে আমরা তোকে বুঝিনি রে।তোর ছোট্ট শরীরে যে ভয়ানক লিউকেমিয়া বাসা বেঁদেছিল আমরা ঘূর্ণাহ্মরেও বুঝতে পারি নি।তোর দেওয়া নামটাই রেখেছি তোর ভাগনীর।সামনের মাসে এক বছর পূর্ণ হবে আয়েশার। জানিস ছোটু,আয়েশা এখণ এটা সেটা ধরে দাড়ায়। দু'তিন কদম হাঁটার চেষ্টাও করে।মনে মনে ভাবি তুই থাকলে কতো খুশি হতি!এমনিতেই বাইরের কারোর বাচ্চা দেখলেই কও আদর করতি, সেই তুই নিজের বোনের মেয়েটাকেই দেখে যেতে পারলি না।ছোটু, আমরা আর আগের মতো মডারেট মুসলিম নেই রে। এখন তুই থাকলে আর একা হতি না। কেউ তোকে আর অসামাজিক বলে গালি দিত না। জানিস ছোটু, আব্বু আম্মু আর তোর দুলাভাই সবাই হেদায়াতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ😊
তোর চাওয়া পূর্ণ হয়েছেরে।
আল্লাহ আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন।দ্বীন বিষয়ে কত অবুঝ ছিলাম আমরা.....

এই পর্যন্ত পড়ে আয়েশা ডায়েরিটা বন্ধ করলো।আগের মতো ডায়েরিটা ড্রয়ারে রেখে আয়েশা ঘর থেকে বের হলো।

"আয়েশা"
"জ্বী মামনি।"
"তোমার ওস্তাযা এসেছেন।যাও পড়তে যাও।তুমি নাকি তাহাজ্জুদ এ ভুল করছো অনেক।এভাবে পড়লে তো হবে না,মা।তিলাওয়াতে তোমার আরো বেশি অনুশীলন করা উচিত"।

"আচ্ছা মা আর ফাঁকি দিব না।" বলেই আয়শা নিজের ঘরের দিকে যেতে যেতে ভাবতে লাগলো,ইশ!খলামনি কত্তো কষ্ট করেছেন। আর সে কিনা এত সুন্দর দ্বীনি পরিবেশ পেয়েও ইলম এর জ্ঞান আহরণ এ এত পিছিয়ে।আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করলো আর কখনো সময় অপচয় করবে না।খালামনির সাথে দেখা করতে হবে যে জান্নাতে।....🖤🌸
©️সবাই কষ্ট করে পড়বেন😊

04/03/2022

প্রশ্ন: ওযূ করার পরে কাপড় বা লুঙ্গি হাঁটুর উপরে উঠে গেলে ওযুর কোন ক্ষতি হবে কি..?

উত্তর: হাঁটুর উপরে কাপড় উঠা ওযু ভঙ্গের কারণ সমুহের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং প্রয়োজনে হাঁটুর উপরে উঠানো যায (বুখারী হাদিস:৩৭১, মুসলিম হাদিস:২৪০১)। তবে সতরের অংশ হিসাবে সর্বাবস্থায় তা ঢেকে রাখা কর্তব্য। ( তিরমিযী হাদিস:২৭৯৬, আহমাদ হাদিস:২২৫৪৮, ইরওয়াউল গালীল ১/২৯৭)

কার্টেসি: প্রশ্ন ও উত্তর シ

07/02/2022

We are proud!

06/02/2022

মাশা’ল্লাহ।

14/01/2022

হুম!!

14/01/2022

🙂💔🙂💔!

14/01/2022

সত্য বলবেন!🤭🤭

07/01/2022

Follow!

Want your business to be the top-listed Media Company in Rajshahi?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

420
Rajshahi

Other Video Creators in Rajshahi (show all)
It's Hafij It's Hafij
Rajshahi

লাইক কমেন্ট শেয়ার করে পাশে থাকুন ধন্যবাদ

Gramin Jibon Vlog Gramin Jibon Vlog
Rajshahi, 6510

Welcome To Our Gramin Jibon Vlog page.

Farhana Bithi Farhana Bithi
Rajshahi

Plz follow my page

Random Items Random Items
Rajshahi

An Honest and real video creator❤️❤️

MD Hafizur Rahman MD Hafizur Rahman
Chapainawabganj
Rajshahi, 6300

আসসালামু আলাইকুম, আপনাকে স্বাগতম..🥰

Free Science Lessons with RH Free Science Lessons with RH
Puran Bogra
Rājshāhi

Munna"official Munna"official
Taherpur
Rajshahi

Islamic Video

Fozol's World Fozol's World
Rajshahi, 6290

Hi, I am Fozol Ali. I am living in Iraq.

Md.Redoy Ahmed Md.Redoy Ahmed
Rajshahi

সবার আগে ভিডিও পেতে,আমাদের পেজ এ ফলো ক?