Click Sports
খেলার জগতের সকল খবরা-খবর সবার আগে পেতে Click Sports এর সাথেই থাকুন ।
সাতচল্লিশ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সময় এক ভূখণ্ড থেকে আরেক ভূখণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
📸 Margaret Bourke-White/LIFE
২০ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনে কি লাভ!
যদি ২ টাকার জন্যে গাড়ির জানালা বন্ধ থাকে।....😪😪
বর্ষার সময় গাড়ি আস্তে চালান ।
আপনার দুটি গাড়ি থাকতে পারে, কিন্তু অনেকের দুটি জামা নাই ।
এক গলি রাস্তার মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে তাকিয়ে দেখি ইলেকট্রিক পোষ্টের সাথে একটি কাগজ ঝুলছে। উৎসাহ নিয়ে সামনে এগিয়ে দেখি কাগজের গায়ে লেখা, 'আমার ৫০ টাকার একটা নোট এখানে হারিয়ে গেছে। আপনারা যদি কেউ খুঁজে পান তবে আমাকে সেটি পৌঁছে দিলে বাধিত হব, আমি বয়স্ক মহিলা চোখে খুব কম দেখি।' তারপরে নিচে একটি ঠিকানা।
আমি এরপর খুঁজে খুঁজে ঐ ঠিকানায় গেলাম। হাঁটা পথে মিনিট পাঁচেক। গিয়ে দেখি একটি জরাজীর্ণ বাড়ির উঠোনে এক বয়স্ক বিধবা মহিলা বসে আছেন। আমার পায়ের আওয়াজ পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন "কে এসেছ?"
আমি বললাম, "মা, আমি রাস্তায় আপনার ৫০ টাকা খুঁজে পেয়েছি আর তাই সেটা ফেরত দিতে এসেছি।"
এটা শুনে মহিলা ঝরঝর করে কেঁদে দিয়ে বললেন, ' বাবা, এই পর্যন্ত অন্তত ৩০-৪০ জন আমার কাছে এসেছে এবং ৫০ টাকা করে দিয়ে বলেছে যে তারা এটি রাস্তায় খুঁজে পেয়েছে। বাবা, আমি কোন টাকা হারাই নাই, ঐ লেখাগুলোও লিখিনি। আমি খুব একটা পড়ালেখা জানিও না।
আমি বললাম, সে যাইহোক সন্তান মনে করে আপনি টাকাটা রেখে দিন। আমার কথা শোনার পর টাকাটা নিয়ে বললেন 'বাবা আমি খুব গরীব কি যে তোমায় খেতে দিব! একটু বসো।একটু জল অন্তত খাও। 'বলে ঘরে গিয়ে এক গ্লাস জল নিয়ে এলেন। ফেরার সময় তিনি বললেন, 'বাবা, একটা অনুরোধ তুমি যাওয়ার সময় ঐ কাগজটা ছিঁড়ে ফেলো সত্যি আমি লিখিনি।"
আমি ওনার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলাম, সবাইকে উনি বলার পরেও কেউ ঐ কাগজটি ছেড়েনি!
আর ভাবছিলাম ঐ মানুষটির কথা যিনি ঐ নোটটি লিখেছেন। ঐ সহায়সম্বলহীন বয়স্ক মানুষটাকে সাহায্য করার জন্য এত সুন্দর উপায় বের করার জন্য তাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম। হঠাৎ ভাবনায় ছেদ পড়লো একজনের কথায়। তিনি এসে বললেন, 'ভাই, এই ঠিকানাটা কোথায় বলতে পারেন, আমি একটি ৫০ টাকার নোট পেয়েছি, এটা ওনাকে ফেরত দিতে চাই।'
ঠিকানাটা দেখিয়ে দিয়ে হঠাৎ করে দেখি চোখে জল চলে আসল, আর আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললাম, দুনিয়া থেকে মানবতা শেষ হয়ে যায়নি! এই ভাবেই বেঁচে থাকুক আমাদের মধ্যে মানবতা।
সত্য কাহিনী অবলম্বনে
#সংগৃহীত
খুব উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার গল্প। তাঁর অতি সাধারণ জীবন যাপন আমাকে বিস্মিত করতো। একদিন জিজ্ঞেস করলাম:
-স্যার, আপনি এতো সাধারণ জীবন বেছে নিলেন কেন? আপনার তো অনেক ক্ষমতা!
তিনি হাসলেন। তারপর কয়েকটি কথা বললেন:
১. চাকরির শুরুতে বেশ কয়েক বছর ক্ষমতার উত্তাপ বেশ উপভোগ করতাম। বাড়তি খাতির বেশ আনন্দ দিতো- পরিবার আত্মীয়স্বজনদের সামনে ভাব নিতে সুবিধা হতো।
২. কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের সদস্য ছিলাম। তাও চাকরির কারণে- নরমালি এসব ক্লাবের সদস্য হতে হলে ত্রিশ/চল্লিশ লাখ টাকা লাগে।
৩. বিমানবন্দরে ভিআইপি সুযোগ নিতাম-গর্বে মাথা উঁচু করে গটগট করে র্যাম্প কারে প্লেনের গোড়ায় নামতাম। প্লেনে ভিআইপি সিটে বসতাম।
৪. ডাক্তারের কাছে গেলে সিরিয়াল ভেঙ্গে চেম্বারে ঢুকে যেতাম। আগেই খবর দেয়া থাকতো- সবাই অপেক্ষা করতো কখন আমি পৌঁছাব!
৫. বিশাল গাড়ির ঠান্ডা হাওয়ায় বসে ভাবতাম, এই না হলে চাকরি!
তারপর একদিন অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম আমার এক অতি ক্ষমতাবান রিটায়ার্ড বস হোটেল শেরাটনের সামনে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হাতে আধময়লা একটি ফাইল। কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। দুম করে মাথায় কয়েকটি প্রশ্ন এলো:
১. চাকরির বাড়তি খাতির ক'দিনের জন্য?
২. অভিজাত ক্লাবের মেম্বারশিপ ক'দিনের জন্য?
৩. ভিআইপি সুবিধা ক'দিনের জন্য?
৪. ডাক্তার কতদিন সিরিয়াল ভেঙ্গে আমাকে দেখবেন?
৫. বিশাল গাড়ির ঠান্ডা বাতাস ক'দিনের জন্য?
উত্তর একটাই- যতদিন চাকরি আছে ততদিন। তারপর আমি নো বডি। তাহলে এই যে এত আরামে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি- রিটায়ার করার পর তো এসব হারানোর কারণেই হার্ট অ্যাটাক করবে। পরদিন থেকে বাড়তি খাতির নেয়া বাদ দিলাম। সব ক্লাবের মেম্বারশিপ বাদ দিলাম। ভিআইপি সুবিধা বাদ দিলাম। সিরিয়াল ভেঙ্গে ডাক্তার দেখানো বাদ দিলাম। অফিসে আসাযাওয়া ছাড়া সরকারি গাড়ি ব্যবহার বাদ দিলাম।
না; আমি কোনো মহামানবের কাজ করিনি। নিজের ভুল বুঝে অস্বাভাবিক আচরণ থেকে স্বাভাবিক আচরণে ফিরে আসলাম মাত্র।
ফলাফল-
আগে রিটায়ারমেন্টকে ভয় পেতাম- এখন মনে হয় সময়ের কিছু আগে অবসর নিয়ে নিলে খারাপ হয়না। কেমন যেন নিজেকে মুক্ত মুক্ত মনে হয়।
তাঁর কথাগুলো আমার মগজে ছোটোখাঁটো একটি বিস্ফোরণ ঘটালো। পরিবর্তনের বিস্ফোরণ।
সংগৃহীত
কাসুন্দি দিয়ে পাট শাক আর সাদা ভাত।জীবনে খুব অল্পতে সুখী থাকা যায়।
আলহামদুলিল্লাহ্।
ওঠার সময় রিকশাওয়ালা কে খেয়াল করিনি, সে রাস্তা চিনছিল না একটু পরপরই জিজ্ঞেস করছিল আপু কোন দিকে যাব আমি বলে দিচ্ছিলাম ডানে বামে এদিকে ওদিকে । কথা শুরু করার পরে তাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কতক্ষণ দেখলাম কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল ছেলেটা পড়াশোনা জানে খুব সুন্দর উচ্চারণ এবং সাবলীল কথাবার্তা ।
সারা রাস্তা চুপচাপ দেখছিলাম , বাসার কাছে এসে নেমে জিজ্ঞেস করলাম কিসে পড়ো? উত্তর এলো এবার ক্লাস টেনে।
জিজ্ঞেস করলাম ক্লাস কখন করো রিকশা চালাচ্ছো যে ? উত্তর দিল চালাই না তো আমার বাবা সব সময় চালান আজ বাবা অসুস্থ তাই আমি বের হয়েছি যখন বাবা অসুস্থ থাকেন তখন আমি রিক্সা নিয়ে বের হই।
কৌতূহল বসত মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল রিক্সা চালাতে খারাপ লাগে না ? খুব সাবলীলভাবে বড় একটা হাসি দিয়ে উত্তর দিল আমার বাবাও তো চালান ।
ছেলেটারে এক কথাতেই সবকিছুর উত্তর পেয়ে গেলাম , বড় হয়েও যেন ছেলের এই মনোভাব থাকে দোয়া করি।
#আমরা_হাসি_কুড়ায়
#মুগ্ধতার_হাসি
যেদিন নারকেল গাছটি লাগিয়ে ছিলাম, সেদিনই আমার ছেলেটির জন্ম হয়। জন্মের সময় তার মা মারা যায়। ছেলেটিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে যাই। সারাক্ষণ তার পেছনে লেগে থাকতে হত।
একদিন দেখি গাছটি পানির অভাবে মারা যাচ্ছে। আমার পরিস্কার মনে আছে যখন একটু পানি নিয়ে গাছটির কাছে গেলাম তখনি ছেলেটির কান্নার আওয়াজ কানে আসে। আমি তড়িঘড়ি করে পানি ফেলে দৌড়ে এসে বাচ্চার মুখে দুধের বোতল তুলে দেই।❤️
আসলে গাছটির উপর সেদিন বড় অবিচার করেছিলাম। সে ওসব মনে রাখেনি, আজও আমাকে নারকেল দেয়। এক জোড়া নারকেল চল্লিশ টাকা বিক্রি করে অনেকটা উপকার পাই। কিন্তু আদরের দুলালের কাছে চল্লিশটি পয়সাও চাওয়ার সুযোগ পাই না।
কথাগুলো মনে পড়লে গাছটির গোড়ায় বসে মন ভরে কেঁদে নিই। গাছটিকে জড়িয়ে ধরে চোখটাকে ঘষে মুছে নেই, বলি "নে আজ তোকে বড় মুল্যবান জল দিলাম, তুই দোয়া করিস তবুও যেন খোকা সুখে থাকে। কারণ আমিতো বাবা।"🙂
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা ।
-সংগৃহীত
উপকার করবার ইচ্ছা থাকলে পেছনে বাঁশ দিয়েও কিন্তু উপকার করা যায় । 😉😉🤩😆😋
শারীরিক প্রতিবন্ধী জুয়েল ।
সারাদিন ঘুরে বেড়ায় রাস্তায় ।
রাতে থাকে মহাখালী স্টেশনে ।
প্রতিদিন সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেই চলে আসে খাবার খেতে ভালো কাজের হোটেলে ।
প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে প্রতিদিন কত টাকাই তো খরচ হয়। অনেকেই দিনে ২০০-৩০০ টাকা সিগারেটের পিছনেই নষ্ট করেন। আপনি কি জানেন, এই ২০০-৩০০ টাকা অনেকেরই সংসার খরচ। 🙂
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাস্তবতা অনেক কঠিন। 💔
ছন্নছাড়া জীবনে এলোপাথাড়ি ক্ষুধার যন্ত্রনা প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়ায় । 😔
#ভালো_কাজের_হোটেল
জীবন থেকে নেয়া ।
আমি ডাক্তার দেখাইতে যাচ্ছিলাম তখন সে বললো মামা আপনার রিপোর্টটা একটু দেখি ।
সে দেখলো এবং ডাক্তারের লেখা সঠিকভাবে পড়তেও পারছে ।
তারপর উনি আমাকে এইটাও বললেন যে আমাকে কি কি পরীক্ষা দিয়েছে ডাক্তার ।
তারপর আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম মামা আপনি কোন ক্লাস পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন? সে বললো মামা আমার ডিপার্টমেন্ট তো ছিলো ফার্মেসী ।
তারপর আমি বললাম কোন ভার্সিটি মামা সে বলে এখন কি আর ভার্সিটি দিয়া লাভ আসে মামা 🙂
এই কথা বলে একটা সুন্দর হাসি দিয়ে লোকটা রিক্সা নিয়ে চলে গেলেন🙂 💔
- Ratish Saha
গরীবের জীবন...
ক্ষুধার যন্ত্রনা যখন ঝড়-বৃষ্টিকেও হার মানায়... 😞
এই দৃশ্য দেখার পর জীবনের প্রতি আমার আর কোনো অভিযোগ নেই । 🙂
জনগন ব্রীজটিকে জিজ্ঞেস করল তুমি কেমন আছ ? উত্তরে ব্রীজটি বলল ভাল নাইরে ভাই,তোমাদের মতো আমাকেও বাঁশ দেওয়া হয়েছে ।🤣🤣🤣
গেটে এসে টাকা শেষ । 😑😐😐
মোবাইলের যুগ হওয়ায় এখন আর চিঠি আসে না । ☹️
বাহিরে ৪০ ডিগ্রি° তাপমাত্রা, সন্তানদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দেয়ার প্রয়োজনে একজন বিরতিহীন যোদ্ধা ।🥺😢
এরই নাম ‘বাবা’....🙂💔
তীব্র গরমে যখন পাগল হইয়ে যাচ্ছি, গেলাম একটু ঠান্ডা হইতে দোকানে আর ঐ দোকানে একজন আসছে একটা আইসক্রিম নিতে, দোকানদার ভাই বলে “ভাই কিছু মনে না করলে পাশের দোকান থেকে নিবেন আমার বিড়ালটা ঘুমাচ্ছে,,,
আমি প্রথমে ভাবছিলাম বিড়াল মনে হয় ফ্রিজের মধ্যে😅 কিন্তু তাকিয়ে দেখি “ মহারাণী “ ফ্রিজের উপরে শুয়ে আছে ।
দোকানদার ভাইকে সেলুট, তার এই মানবতা দেখে । ❤️❤️
আপনার সামান্য মানবিকতা হতে পারে অনেক কিছু 🥰
❤️ রেসপেক্ট ❤️
ডেলিভারি ম্যানকে ৭০ টাকা চার্জ আসলে ১০০ টাকা দিন । ওরা কাজ করে খায়, ভিক্ষা নয় । রেস্টুরেন্টে তো টিপস দেন । তাহলে ওদের কেন নয়? 😒
কয়লার খনিতে কাজ করা একজন শ্রমিক । আপনি আমি যখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হাসফাস করছি, তখনও সে কাজ করে যাচ্ছে । সে জানে বিকেল না হলে তার মজুরি মিলবে না, পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবারও উঠবেনা ।
গরিব হইলে বুঝা যায় দুনিয়াটা কত কঠিন । 💔😭
মায়া লাগে রে......
হারিকেন নিজেও ভাবেনি এই ডিজিটাল যুগে সে আবার তার ভরা যৌবন ফিরে পাবে ।
এত গরমের মধ্যে জ্যাকেট পড়ে খাবার খাচ্ছে, লোকটি পাগল নাকি?
জি পাগল, এই ভাইয়ের মতন অসংখ্য মানষিক ভারসাম্যহীন মানুষ প্রতিদিন আহার করেন ভালো কাজের হোটেলে ।
ছেলে শোধরাতে চায় - বাবা'র ঋণ !!!
ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।
ইতালী প্রবাসী ছেলে তার জীবনের প্রথম মাসের বেতন পেয়ে তার বাবাকে ফোন করলো -
হ্যালো আব্বু?
- হ্যা,
বাবু কেমন আছিস?
বাবা আমি ভাল আছি। তুমি ভাল আছো তো?
- শরীর ভাল, তবে তোকে খুব মনে পড়ে।
বাদ দে তোর কি খবর বল?
আমিও ভাল আছি। একটা নাম্বার দিচ্ছি লেখ। (মানিগ্রাম)
- কিসের নাম্বার খোকা?
আমি সেলারী পেয়েছি বাবা। পুরা এক লাখ
- আলহামদুলিল্লাহ্।
বাবা একটা কথা বলি? ( কিছুটা দুষ্টামির ছলে )
- এতদিন পর ফোন করেছিস মাত্র একটা কথাই বলবি?
বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোন দিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছ তুমি কি জানো আমি আগামী পাঁচ বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো। আমার এখানে এক টাকা তোমার ওখানে একশ টাকা বাবা'।
- বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) বাবা একটা গল্প শুনবি?
ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-
বলো বাবা শুনবো......
- বাবা : তোর বয়স যখন চার আমার বেতন তখন তিন হাজার টাকা। ১,২০০ টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে ১,৮০০ টাকায় চলে সংসার। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর 'মা কে 'সুখী করতে। তোকে যেই বার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা আমাদের ম্যারিজডে টা পালন করিনি। সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি।
তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে গেছিল যখন আমার ট্রান্সফার নারায়ণগঞ্জ হয়। রোজ রোজ উত্তরা থেকে নারায়ণগঞ্জ বাসে করে, পায়ে হেটে, ঘামে ভিজে খুব দুর্বিষহ লাগছিল। একদিন শোরুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে অফিস যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি উত্তরা থেকে বনানী ভার্সিটি করতে তোর কষ্ট হয়। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে বাইক টা কিনে দিয়েছিলাম।
আমার এক টাকা তোর ওখানে এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্রান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতন।
আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন হার্টের বাইপাস করাই ডায়াবেটিক মাপাই । জানিস বাবা আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে চাঁদনী পসরে সেন্ট মার্টিনের বালুচরে হেঁটে বেড়াই।
- ছেলে : বাবা চুপ করো প্লীজ! আমি তোমার কাছে চলে আসব। টাকা না তোমার ভালবাসা তোমায় ফিরিয়ে দিব।
- বাবা : হাহাহা বোঁকা ছেলে! বাবাদের ভালবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না। ছোট্ট শিশুর মল মুত্রও মোছা যায় আর বুড়োদের ঘরেও ঢোকা যায় না।
তোকে একটা প্রশ্ন করি বাবা। ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো ..... যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই। কাকে বাঁচাবি বল?
ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা!
- বাবা : উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না। পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস?
পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ!
আমি শুধু জায়নামাজে বসে একটা জিনিস চাই। আমার কবরের ঘরটায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি, তোকে কোলে নেয়ার ঋণ।
#বাবা
সংগ্রহীত:
অতীত এবং বর্তমান 🙂
সিদা স্কুল থেকে বাড়ি আসিস
অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে
কিন্তু মা সেই আগের মতই রয়ে গেছে🥰🥰
সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেলেও মায়ের যত্ন ভালোবাসা পরিবর্তন হয় নাই🥺❤️🌹
বডি শুধু জিমে তৈরি হয়না,
বাঁচার সংগ্রামেও তৈরি হয় ।
গরুর ট্রাকেই বিলাসিতা খুজা আমি একজন❣️😎
রাজশাহী নগরীতে ৭ বছর ধরে অক্সিজেন নিয়ে রিক্সা চালান তিনি। ভিক্ষার চেয়ে কর্ম উত্তম। আর আমাদের জীবন নিয়ে কত হাজারো অভিযোগ। পাওয়া না পাওয়ার হিসাবই মিলাতে পারি না আরো কত কি 🙂
(ছবি সংগৃহীত)
সৎ চিন্তাধারা এবং ভালো কাজ করার মনমানসিকতা থাকলে,সীমিত পরিসরে ও ভালো কাজ করা সম্ভব!
নিচের ছবিটি তার প্রমান!
যখন বিদ্যুৎ ছিলোনা এভাবে চুলায় লোহার ইস্ত্রি গরম করে কাপড় ইস্ত্রি করা হতো ।
যেদিন নারকেল গাছটি লাগিয়ে ছিলাম, সেদিনই আমার ছেলেটির জন্ম হয়। জন্মের সময় তার মা মারা যায়। ছেলেটিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে যাই। সারাক্ষণ তার পেছনে লেগে থাকতে হত।
একদিন দেখি গাছটি পানির অভাবে মারা যাচ্ছে। আমার পরিস্কার মনে আছে যখন একটু পানি নিয়ে গাছটির কাছে গেলাম তখনি ছেলেটির কান্নার আওয়াজ কানে আসে। আমি তড়িঘড়ি করে পানি ফেলে দৌড়ে এসে বাচ্চার মুখে দুধের বোতল তুলে দেই।❤️
আসলে গাছটির উপর সেদিন বড় অবিচার করেছিলাম। সে ওসব মনে রাখেনি, আজও আমাকে নারকেল দেয়। এক জোড়া নারকেল চল্লিশ টাকা বিক্রি করে অনেকটা উপকার পাই। কিন্তু আদরের দুলালের কাছে চল্লিশটি পয়সাও চাওয়ার সুযোগ পাই না।
কথাগুলো মনে পড়লে গাছটির গোড়ায় বসে মন ভরে কেঁদে নিই। গাছটিকে জড়িয়ে ধরে চোখটাকে ঘষে মুছে নেই, বলি "নে আজ তোকে বড় মুল্যবান জল দিলাম, তুই দোয়া করিস তবুও যেন খোকা সুখে থাকে। কারণ আমিতো বাবা।"🙂
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা ।
-সংগৃহীত
একটি ট্রেন,
দুটি কামরা ।
পার্থক্য শুধু ছবি দুটো তে,
কেউ সফল - কেউ বিফল ।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে- একজন লোক
একটি হাতিকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে তুলছে।
এমন নয় যে, লোকটির ধাক্কায় হাতিটি উপরে উঠে যাবে। বিষয়টি হলো- লোকটি হাতির পেছনে হাত রাখাতে হাতিটি বুঝতে পারছে তাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য কেউ আছে। এই ভরসায় হাতিটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে সমর্থ হবে। এটাই প্রেরণা। জীবনে প্রত্যেক টা সফল মানুষের পিছনে একটা গল্প থাকে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছেন যারা ব্যর্থ হয়েছেন, কারণ তাদের সমর্থন বা উৎসাহ দেওয়ার মতো কেউ ছিলো না; উঠে দাঁড়ানোর জন্যেও কারো হাত লাগে।
আমরা অন্যকে সহযোগিতা করতে সক্ষম নাও থাকতে পারি; তবে কারো কঠিন সময়ে তার পাশে থেকে উৎসাহ নিশ্চয়ই দিতে পারি। ভালোবাসা, ইতিবাচক সহযোগিতা এবং ভরসার মাধ্যমে যদি কেউ উঠে দাঁড়াতে পারে, কারো জীবন পরিবর্তন হয়, এর চেয়ে উত্তম কাজ আর কিছু নেই।
শিক্ষনীয় গল্পঃ
এক গ্রামে একজন কৃষক ছিলেন।
তিনি দুধ থেকে দই ও মাখন তৈরি করে বিক্রি করতেন।
একদিন কৃষকের স্ত্রী মাখন তৈরি করে কৃষককে দিলেন বিক্রি করতে।
কৃষক তা বিক্রি করার জন্য গ্রাম থেকে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।
মাখনগুলো গোল-গোল রোল আকৃতিতে রাখা ছিল।
যার প্রত্যেকটির ওজন ছিল ১ কেজি করে।
শহরে পৌঁছে কৃষক প্রতিবারের ন্যায় পূর্ব নির্ধারিত দোকানে মাখনগুলো দিয়ে,পরিবর্তে চা চিনি তেল ও তার সংসারের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আসতেন।
আজ কৃষক চলে যাওয়ার পরে দোকানদার মাখনের রোলগুলো একটা একটা করে ফ্রিজে রাখার সময়
ভাবলেন মাখনের ওজন সঠিক আছে কিনা আজ একবার পরীক্ষা করে দেখা যাক।
মাখনের রোলগুলো ওজন করতেই উনি দেখলেন মাখনের ওজন আসলে ১ কেজি নয় তা প্রতিটা আছে ৯০০ গ্রাম করে।
পরের সপ্তাহে আবার কৃষক উক্ত দোকানে মাখন বিক্রি করতে গেলেন।
দোকানের সামনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার কৃষকের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন,বেরিয়ে যাও আমার দোকান থেকে।
এবার থেকে কোন বেঈমান চিটিংবাজের সাথে ব্যবসা কর। আমার দোকানে আর কোনদিন পা রাখবে না।
৯০০ গ্রাম মাখন ১ কেজি বলে বিক্রি করা লোকটার মুখ আমি দেখতে চাইনা।”
কৃষক বিনম্রভাবে কম্পিত স্বরে দোকানদারকে বললেন ”দাদা!
দয়া করে রাগ করবেন না।
আসলে আমি খুবই গরিব মানুষ,দাড়িপাল্লার বাটখারা কেনার মতো পয়সা আমার নেই।
তাই আপনার থেকে প্রতিবার যে এক কেজি করে চিনি নিয়ে যেতাম,সেটা দাড়িপাল্লার একপাশে রেখে অন্য পাশে মাখনের রোল মেপে নিয়ে আসতাম!!
শিক্ষণীয় বিষয়:
আপনি অপরকে যেটা দেবেন,সেটা কোন না,কোন ভাবে আপনার কাছে ফিরে আসবেই,?
সেটা সম্মান হোক কিংবা ঘৃণা ।
মানিয়ে নিতে পারলে ১ হাজার টাকার সাইকেল ও মানিয়ে নেওয়া যায় । আর না পারলে ১ কোটি টাকার গাড়িতে ও মানানো যায় না !❤️
কারো বাসায় গেলে পাঁচ পদ নিয়ে যাওয়া এবং কেউ বাসায় এলে দশ পদ রান্না করার কালচার থেকে বের হতে না পারলে আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের মধ্যকার স্বাভাবিক সম্পর্ক রক্ষা করা কঠিন।
মধ্যবিত্ত পরিবারে এক কেজি আঙ্গুরের চেয়ে এক ডজন ডিমের প্রয়োজনীয়তা বেশি। জাপানীরা কারো সাথে দেখা করতে গেলে এক কেজি চাল নিয়ে যায় উপহার হিসেবে। ওদের প্রধান খাদ্য ভাত, আমাদেরও ভাত। তাহলে আমরা চাল নিয়ে গেলে সমস্যা কোথায়?
যিনি বা যারা বেড়াতে যাচ্ছেন তারা যদি ঐ বেলার বাজারটাই করে নিয়ে যান সবচেয়ে ভালো হয়। সেগুলোই রান্না হবে। মেহবান এবং মেজবান কারোই সমস্যা হবে না, কষ্ট হবে না। বাসায় দুটো বাচ্চা থাকলে সাথে পাঁচ টাকা দামের দুটো চকলেট নিয়ে যান, কোনো সমস্যা নেই।
যারা দশ পদ রান্না করেন এবং যারা দশ পদের রান্না না দেখলে মনে করেন সমাদর করা হয়নি—সবারই মনে রাখা উচিত তৃপ্তি ভরে খাওয়া যায় দুই পদ। আরেকটা পদ যোগ হতে পারে আগে বা পরে সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে।
এই কালচার প্রোমোট করার ক্ষেত্রে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। যারা একটা কালচারে তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছেন প্রায়, তাদের পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Telephone
Website
Address
Ramna
1212
Ramna, 1214
I am Ariful islam, I am a professional journalist. I will provide latest and updated news for you. So
House #61 Road 6/A Satmasjid Road 5th Floor
Ramna, 1209
Stay up to date with the latest news in Bangladesh with quick summaries of the top headlines of the
Dilkusha Road
Ramna, 1000
ITJobsBD provides the best job service, for Companies, Job seekers and Recruiters.
Ramna, 1000
Rupali Desh is the online news portal in Bangladesh. . The Rupalidesh Website is rupalidesh.com
Room No/602, Level/5, National Theatre, Bangladesh Shilpakala Academy
Ramna, 1000
OTT based Tribal Tv Channel
L Mollik Complex Purana Palton
Ramna, 1000
The online version of the media-listed magazine Kaler Diganta.