Taw Haa Zinnurain Islamic school, Rangpur
একটি আলোকিত প্রজন্ম, আমাদের অঙ্গিকার।
কিন্ডারগার্টেন সোসাইটি থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী শাকিরিন আব্দুল্লাহ ও এস এম আমির হামজা।
যারা কিন্ডারগার্টেন সোসাইটির সিলেবাসে না পরেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ।
ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুল এমন একটি
সিলেবাস তৈরি করেছে যা গতানুগতিক ধারার স্কুল মাদ্রাসার বাহিরে। শিক্ষার্থীরা একই সাথে হিফয এবং জেনারেলের সাথে ইসলামের মৌলিক বিষয় জানতে ও শিখতে পারবে ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে যেকোনো বৃত্তি পরিক্ষা এবং প্রতিযোগিতা মূলক প্রোগ্রামে সাফল্য বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
অভিভাবকদের ভালো রেসপন্সে আমরা আশাবাদী পরবর্তী বছরে স্টুডেন্ট সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হবে ইনশাআল্লাহ। যদিও আমাদের আসন সংখ্যা সীমিত।
একটি আলোকিত প্রজন্ম, আমাদের অঙ্গিকার।
আগামীকাল ফজর থেকে শুরু হবে ইন শা আল্লাহ।
পরিবারের সন্তানদেরকেও স্মরণ করিয়ে দিবেন।
আসুন সন্তানদের নিয়ে একসাথে আরাফার সিয়াম পালন করি। তাদেরকেও এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে অবগত করি।
#অভিভাবক_সমাবেশ
আজ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি-অনুপস্থিতির হার, অগ্রগতি যাচাই, পরীক্ষার ফলাফল পর্যবেক্ষণ, তাদের আচার-আচরণ, ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা, বাড়িতে তাদের লেখাপড়া পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে সচেতনতা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অভিভাবক সমাবেশে প্রথম সাময়িক পরিক্ষার প্রথম থেকে তৃতীয় তম স্থান অর্জনকারীদের ক্রেস্ট এবং বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উক্ত প্রোগ্রামে অত্র প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব মুজাহিদুল ইসলাম ( মুজাহিদ ) শিক্ষার এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন।
একটি বিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের পরামর্শ, অভিযোগ ইত্যাদি জানা অত্যাবশ্যক। এটি একটি প্রশাসনিক দায়িত্বও বটে। আমরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অভিভাবকদের সুপারিশ, পরামর্শ অথবা অভিযোগও গ্রহণ করে থাকি। পরবর্তী সময়ে ওইসব বিষয় পর্যালোচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এভাবে নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি শুধরানোসহ বিদ্যালয় পরিচালনার নতুন কৌশলও জানা যায়, যা শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োগ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিখতে এবং সফল হতে উত্তম সুযোগ দেওয়া। এজন্য পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যাতে শিক্ষার্থীর শিক্ষার ক্ষেত্রে তা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের জীবনে এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রভাব অপরিসীম।
প্রোগ্রাম শেষে পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে আগামী ২৩ জুন ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
#বয়কট!
বয়কট কোন আবেগের প্রদর্শনী বা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে তোলা সাময়িক হাইপের নাম নয়, বয়কট একটি ভাষা!
একটি প্রতিবাদ! সম্মুখ সমর না হলেও যুদ্ধের একটি
ছায়া শ্লোগান!
"ওরা" বা "ওদের" কোন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সূচক বিজ্ঞাপন এলেই যে কেবল "বয়কট" শব্দে আমরা নড়েচড়ে বসব বিষয়টি কস্মিনকালেও এভাবে কাম্য নয়! প্রকৃতপক্ষে সমাজ, অর্থনীতি,বাণিজ্য কিংবা রাজনীতি তথা পুরো বিশ্বনীতির শেকড়ে যে বিষাক্ত
তাগুত্বি দাজ্জালীয় যায়নবাদি ইবলিসি আগ্রাসন, আমাদের যুদ্ধটা সরাসরি তাদের সাথেই!
শুধু নির্দিষ্ট কোন পণ্য কিংবা পানীয় নয়, আমরা সেই প্রত্যেক ব্যক্তি, সংস্থা, অর্থব্যবস্থা, সরকার, বাণিজ্য কিংবা রাষ্ট্রকেই ঈমানের দাবিতে বয়কট করব যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে পুরো বিশ্বের দাজ্জালীয় মোড়ল রক্তপিপাসু ইসরাইল ও যায়নবাদি পশ্চিমাদের স্বার্থে কাজ করে!
সে যেই হউক, যখনই হউক আর যেভাবেই হউক আর যেখানেই হউক! জেনে রাখুন! পুরো বিশ্বজুড়েই ঈমান আর কুফর স্পষ্টভাবে আলাদা হয়ে গেছে! রুখসাতের দোহাই দিয়েও আপনি আমি তৃতীয় কোন কাতারে দাড়াতে পারব না! সিদ্ধান্ত নিন! সত্য জানুন! সাহসী হউন! স্পষ্ট করুন। একদিন মরতে হবেই! হানজালার মতোই মরি!
আসুন যুদ্ধের ছায়া স্লোগান বয়কটের সাথে সাথে আমরা নিজেরাও আমাদের জাতিগত ইস্যু পাগল খাসলতটিকে চিরতরে বয়কট করি! কারণ বিগত অক্টোবর থেকে আমরা গাজ্জা, ব্র্যাক,LGBT ইত্যাদি মেজর মেজর ইস্যুতেও নিজেদের যেমন ৮/২০ এর তথাকথিত বাহাসিদের খপ্পরে লক্ষ্য হারিয়ে ব্যস্ত রেখেছিলাম, ঠিক তেমনি রাফার দিনেও জাতীয় ভাবে নিজেদের "শাইখ ভার্সেস ঢেলে দেই" ইস্যুতে নির্লজ্জ ভাবে ব্যস্ত রেখেছিলাম! বলার উদ্দেশ্য এটাই যে প্রতি মূহুর্তের ইস্যু বদলের এই যায়নবাদি প্ল্যাটফর্মে আমরা যেন ভুলেও আমাদের মৌলিক ও চুড়ান্ত লক্ষ্য ভুলে গন্তব্যচ্যুত না হই!
কলিজার ভেতর সুরাহ ফাতিহার মত গেঁথে নিন !
পুরো বিশ্বজুড়ে ইবলিসি ও দাজ্জালীয় তাগুতি শক্তির চুড়ান্ত অপনোদন ও খিলাফার সুরতে ইসলামিক ফাইনাল ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠা ব্যতিত কস্মিনকালেও আমাদের সভ্যতার চলমান কোন একটি সংকটও শেকড় থেকে সমাধান করা সম্ভব নয়! ইস্যু আসবে ইস্যু যাবে! পাতা জন্মাবে, পাতা ঝড়বে! এমন যেন না হয় ইস্যু বদলের এই গোলকধাঁধায় আমরা আমাদের মহামূল্যবান হায়াত ও রিজিক বরবাদ করে ফেলি!
বয়কট চলবেই! শব্দযুদ্ধ চলবেই ! কলম লিখবেই!
জামায়াহ গড়তে হবেই! শুরাভিত্তিক একক বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গড়তে হবেই! ইমারাহ লাগবেই! সামি'না ওয়া আত্ব'না থাকতেই হবে! দাওয়ার সাথে সাথে সার্বিক
জি হা দ করতে হবেই! খিলাফাহ' ই সমাধান! হে আল্লাহ! আমায় ও আমার সন্তানদের কবুল কর!
ওয়াল্লাহি যত ইচ্ছে সত্য এড়িয়ে যান, যত ইচ্ছে বিতর্কিত করার জন্য সমালোচনার ঝড় তুলুন,
যত ইচ্ছে নিজেকে কাপুরুষ বানিয়ে কবরে যান!
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের "সিরাত" মুবারাক ছাড়া আমাদের চলমান সভ্যতার সংকট সমাধানের দ্বিতীয় কোন পথ আমাদের সামনে খোলা নেই! সিরাত সিরাত! সিরাতেই সমাধান!
অন্যথায় অপেক্ষা করুন, নতুন একটি গাজ্জার অথবা নতুন একটি রাফার! শুধু এতটুকু জেনে রাখুন সেদিন আমাদের সন্তানেরা হয় আমাদের নিয়ে বুক ফুলিয়ে গর্ব করবে অথবা ঘৃণাভরে আমাদের মুখে থু থু নিক্ষেপ করবে!
বয়কট কোক!
বয়কট ইস্রাইল!
বয়কট যাইওনিসম!
Abu Taw Haa Muhammad Adnan
#সিরাতুন্নাবি_কোর্স_করে_বাইতুল্লাহ_যিয়ারাত_করুন!
#সিরাতুন্নাবি_সা_কোর্স_সিজন_০৩
#প্রি_রেজিষ্ট্রেশন
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা,
আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে "Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa"র ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনী তথা সীরাতুর রাসূল ﷺ শিক্ষা কোর্স "সিরাতুন্নাবি ﷺ" এর সিজন ০৩
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা...
কতটুকু জানি আমরা আমাদের প্রিয় নবিজিকে? ﷺ
কতটুকু মানি তার সুন্নাহ?
৬০-৭০ বছরের এই ক্ষণজন্মায় কতবারই বা পড়ে দেখেছি মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মহামানবের জীবনী?
কখনো কি ভেবে দেখেছি কতটুকু আর কি-ই বা করেছি আমরা তার রেখে যাওয়া দ্বীনের জন্য?
কখনো কি ভেবেছি চলমান বিশ্বের সমস্যাগুলোর সিরাত কেন্দ্রিক সমাধান নিয়ে?
ভেবেছি কি কখনো কিভাবে মুখ দেখাব আমরা তার ﷺ সামনে কাল ক্বিয়ামাতের মাঠে কাওসারের তীরে?
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা!
আসুন নিজেদের শত দুনিয়াবি ব্যস্ততাকে ছুড়ে ফেলে অন্তত একবার চর্চা করে দেখি আমাদের প্রিয় নবি, মহান আল্লাহর প্রিয় হাবিব মুহাম্মাদ ﷺ এর পবিত্র সিরাত। ত্ব-হা যিন নুরাইন ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসার এবারের আয়োজন সেই সুবর্ণ সুযোগকে কেন্দ্র করেই!
তাই দেরি না করে আজই এক্ষুনি রেজিষ্ট্রেশন করুন।
আর হ্যা! আপনি জানেন কি, কোর্স শেষে বিজয়ী সেরা ৩ জনের জন্য কি থাকছে? "সরাসরি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর রাওজায় গিয়ে প্রিয়নবী-কে সালাম দেয়ার সৌভাগ্য! জি ইনশাআল্লাহ মক্কা ও মদিনা যিয়ারাতসহ একটি উমরাহ প্যাকেজ!
তাহলে আর দেরি কেন?
রেজিষ্ট্রেশন লিংকঃ
https://tawhaazinnurain.com/course/siratunnabi-pbuh-course/
প্রি-রেজিষ্টেশনের শেষ তারিখ :
১৫ মুহাররম, ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক
২০ জুলাই, ২০২৪ ইং
ওরিয়েন্টেশন ক্লাস :
১ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
মূল ক্লাস শুরুর তারিখঃ
৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
ইনশাআল্লাহ...
কোর্সের মেয়াদ : মাত্র ২ মাস।
(এই মেয়াদে মূল ক্লাস, প্রস্তুতি এবং ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে)
সাপ্তাহিক ৩/৪ টি লাইভ ক্লাস।
মোট ক্লাস সংখ্যা: ২০টি (এক্সাম ও সলভ ক্লাস ব্যাতিত)
কোর্সটিতে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
রেজিষ্ট্রেশন ফিস প্রযোজ্য।
প্রি-রেজিষ্ট্রেশন উপলক্ষ্যে ২৫% ছাড়ে মাত্র ৭৫০ টাকা (এককালীন ফি)
সিজন ০৩ এর জন্য নির্ধারিত বই “মাকতাবাতুল হেরা” থেকে প্রকাশীত “সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.)” রচিত “নবীয়ে রহমত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”।
উস্তায আবু ত্ব-হা মুহাম্মাদ আদনানের ছত্রছায়ায় পরিচালিত আপনাদের প্রিয় Taw Haa Zin Nurain Book Shop এ সর্বোচ্চ ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপঃ https://wa.me/+8801878257351
অথবাঃ https://m.me/tawhaazinnurain.book
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
১। রেজিষ্ট্রেশন, ফিস প্রদান, বই সংগ্রহ ও ক্লাস সমাপ্ত করার পর প্রাথমিকভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীদের পরবর্তীতে লিখিত ও চুড়ান্ত ১০ জনের মাঝে ভাইভার মাধ্যমে সেরা ৩ জন উমরাহ বিজয়ী প্রতিযোগী চুড়ান্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ!
৩। এছাড়াও সেরা ৩ সহ চতুর্থ থেকে দশমের প্রত্যেকেই পাবেন প্রাইজমানি, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।
কোর্সটি ১৫ থেকে ৬০ বছরের সকল শ্রেণী পেশার নারী ও পুরুষ জন্য উন্মুক্ত। প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa এবং উস্তায Abu Taw Haa Muhammad Adnan এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।
উক্ত সীরাত কোর্সটির ইন্সট্রাকটার আপনাদের প্রিয় উস্তাদ আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান (হাফি) জানান, আপামর জনসাধারণকে সীরাত সম্পর্কে সচেতন করতে এবং সিরাত পাঠে আগ্রহী করে তুলতেই নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। একাকী সিরাত পাঠ করলে অনেক সময় সাধারণ মানুষ শেকড়ে পৌছাতে ব্যর্থ হন।
তাই যদি সিরাতের উপর কোন উস্তাদের তত্ত্বাবধানে কোর্স করা যায় তাহলে একদিকে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানাও যাবে এবং কোর্স শেষে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মহান আল্লাহর ঘর যিয়ারাতের সৌভাগ্যও নাসিব হবে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে দেশ ও বিদেশের বিত্তবান ও দানশীল দ্বীনি ভাই ও বোনদের প্রতি উস্তাদ আবু ত্ব হা মুহাম্মাদ আদনান (হাফি:)'র উদাত্ত আহবান:
প্রিয় দানশীল ও বিত্তবান দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, প্রিয় নবি মুহাম্মাদ ﷺ এর পবিত্র জীবনীর প্রচার প্রসার ও শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার এই মহৎ প্রজেক্টে আপনিও আপনার হালাল অর্থ সাদাকা করে শরীক হউন।
আপনার প্রেরিত অর্থ সিরাতের কিতাবরুপে প্রবেশ করুক সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে, অথবা মাধ্যম হউক আল্লাহর বান্দাদের বাইতুল্লাহ যিয়ারাতের। এছাড়াও ত্ব হা যিন নুরাইন ইসলাম অনলাইন মাদ্রাসার বিভিন্ন শিক্ষা প্রজেক্ট সহ ত্ব-হা যিন নুরাইন ইসলামিক সোসাইটির বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে আপনিও এগিয়ে আসুন ক্বলবুন সালিম নিয়ে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের লক্ষ্যে!
নিন্মোক্ত মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আপনাদের সাদাকা প্রেরণ করতে পারেন।
01763002627
01765922612
বিকাশ পারসোনাল (রেফারেন্সঃ Baitul Maal)
01883646419
বিকাশ মার্চেন্ট
01765922612
01763002627
নগদ পারসোনাল (রেফারেন্সঃ Baitul Maal)
01765922612-2
রকেট পারসোনাল
Bank Details:
Al-Arafah Islami Bank
Branch: Rangpur
Acc Name: K M Afsanul Adnan Anto
Acc No: 0971120018405
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করুন।
আমিন। আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মাদ ওয়া সাল্লিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
✅ হটলাইন নম্বর
+88025 8880 9270 (10 AM - 10 PM)
01740-433580 (Whatsapp Only)
সাদাকা সংক্রান্ত যোগাযোগঃ +8801315188248 (WhatsApp Text Only)
বিঃদ্রঃ অফিশিয়াল পোস্টে উল্লেখিত বা অফিশিয়াল ভিডিওতে মেনশানকৃত একাউন্ট নাম্বার বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যাতিত অন্য কোন ঠিকানায় আপনার অর্থ প্রেরণ করা থেকে বিরত থাকুন, এবং অনুগ্রহ করে আপনার সাদাকা প্রেরণের পর আমাদের অফিশিয়াল পেইজ বা এডমিন প্যানেলে যোগাযোগ করে কনফার্ম করুন। বারাকাল্লাহু ফিকুম৷
ফুল, ঘুড়ি কিংবা গণনা করার পদ্ধতি দিয়ে খেলার ছলে বাচ্চারা লেখতে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
হাতের লেখা সুন্দর হলে পরীক্ষার খাতায় যেমন ভালো প্রভাব পড়ে, তেমনি সুন্দর ও দ্রুত হাতের লেখা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
হাতের লেখা সহজভাবে ও খেলার ছলে সুন্দর করার জন্য ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুল প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরে এরপর বইয়ের উপর এবং শেষে খাতায় লেখা শিখিয়ে থাকে।
এভাবেই ছোট্ট সোনামণিদের হাতের লেখা সুন্দর হয়।
Taw Haa Zinnurain Islamic school, Rangpur
আপনার সন্তান কি কিন্ডারগার্টেন কিংবা স্কুলে পড়ে?
কুরআন শেখাতে চাচ্ছেন কিন্তু কোন প্লাটফর্ম খুজে পাচ্ছেন না?
আপনি কি একজন শুভাকাঙ্ক্ষী মা কিংবা বাবা?
সন্তানের ভবিষ্যৎ খুব করে ভাবায় আপনাকে?
বাচ্চার দুনিয়াবি সকল বিষয়ে চিন্তিত আপনি কিন্তু আখিরাত? তা কি আপনার সামনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে অথচ আপনি এ ব্যাপারে চিন্তিত নন?
স্কুল-কিন্ডারগার্টেন কিংবা কোচিংয়ে পড়ার দরুন বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী ধারা মক্তবে যেতে পারে না। নিতে পারে না ধর্মীয় শিক্ষার প্রথম পাঠ। পড়তে পারে না সঠিকভাবে কুরআন কিংবা জানে না হারাম হালালের সিমানা। এভাবেই দিনের পর দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার ঐতিহ্যবাহী মক্তব। এই ধারাকে নতুনভাবে ফিরিয়ে আনতে ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুলে চলছে আফটার স্কুল মক্তব হিফয প্রোগ্রাম।
আপনার বাচ্চাও স্কুল ছুটির পর বিকালে বা সন্ধ্যায় এই মক্তবে পড়তে পারবে ইন শা আল্লাহ।
ইসলামিক তারবিয়্যাত দিতেই মূলত ত্বহা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুলের পক্ষ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আফটার স্কুল হিফয প্রোগ্রাম ( স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য হিফজুল কুরআন কোর্স )।
উক্ত মক্তব কোর্স এ যা যা শিখানো হবে-
♦️পূর্ণ কোরআনের সহীহ নাযিরা তিলাওয়াত
♦️ হিফজে কুরআন
♦️ হিফজে হাদিস
♦️ আকাঈদ , মাসায়েল
♦️সালাত ও সালাতের বাইরে পঠিত দোয়া সমূহ
♦️ আরবি ভাষা
🔹কোর্সের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে পবিত্র কোরআনের জায়গা করে দেয়া এই কোর্সের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, যেন তারা দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারে। এই উদ্দেশ্যে আন্তরিকতার সাথে লেগে থেকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। দুনিয়াতে আপনার বাচ্চাও যেন যুগশ্রেষ্ঠ মানুষদের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এই উদ্দেশ্যেই আমাদের প্রচেষ্টা। (দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্য যেন আমাদেরকে প্রভাবিত না করে সেজন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করছি। আমীন)
🔹কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা: স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারে।
🔹ক্লাসের সময়: রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার
সময় : বিকাল ৩:৩০ - ৫:৩০ টা পর্যন্ত (স্কুল ছুটির পর সময় পরিবর্তনযোগ্য)
🔹ক্লাসের শিক্ষার্থী সংখ্যা: নুরানি নাজেরা ও হিফয প্রতিটি বিভাগে ২০ জন করে।
🔹ক্লাসের মাধ্যম: ক্লাস গুলো ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুল ক্যাম্পাসে হবে ইনশাআল্লাহ তায়া’লা।
🔹কোর্স ফি: এককালীন ভর্তি ফি- ১০০০ টাকা
মাসিক ফি- ৫০০ টাকা।
🔹কোর্স কবে থেকে শুরু হবে?
কোর্সটি আগামী ০৪/ ০৬/২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ তায়া’লা।
ভর্তি ফর্ম : https://forms.gle/6BzdEA4TyBNq3KFw6
ক্লাস পরিচালনা করবেন :
হাফেজ মো: রাকিবুল ইসলাম ফাহিম
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষ এবং অনার্স প্রথম বর্ষ ( ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি )
হিফজ সমাপনী, জামিয়া নুরিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা , আশুলিয়া সাভার , ঢাকা।
আরবি মুয়াল্লিম , নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড।
বাংলা মুয়াল্লিম, নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে : হাফেজ মাওলানা শুয়াইব হাবিব।
পরিচালনায় : দেশ বরেন্য তরুণ ইসলামি আলোচক,
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান।
ঠিকানাঃ নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া (ব্রিজ সংলগ্ন), রংপুর
ইমেইলঃ [email protected]
মোবাইলঃ 01779802912
দ্বীনে ফেরার পর কত বোনরা অসহায়ত্ব বোধ করেছেন দ্বীনি সঙ্গ না থাকায়।
আফসোস - অসহায়ত্ব মিলিয়ে তীব্র বেদনার জন্ম দিয়েছিলো।
যে বোনেদের পরিবার দ্বীন-বিমুখ সেসব বোনেরা দ্বীনে ফেরার পর যেসব কষ্ট পান সেসব কষ্ট কমাতে তারা অন্য বোনেদের সাহারা হন। সহায়তাকারী হয়।
এমন এক দ্বীনি কমিউনিটি গড়ার আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণ করতেই ত্বহা যিন নূরাঈন স্কুলের পক্ষ থেকে "মাসিক মুলাকাত" এর আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু-
আলোচনা ১: উত্তম প্রজন্ম গঠন
আলোচনা ২: সমসাময়িক ফিতনাসমূহ ও উত্তরণ
অনুষ্ঠানে বিনোদনের জন্য কুরআন তিলওয়াত ও নাসীদ আয়োজিত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাথে অল্প কিছু খানার ব্যবস্থা থাকবে।
ভ্যেনু- ত্বহা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুল,নিউ ইঞ্জিনিয়ারিং পাড়া,রংপুর।
সময় বিকাল ৩ ঘটিকা।
রংপুর ও রংপুরের আশেপাশের সকল দ্বীনি বোনদের উপস্থিতি কামনা করা হচ্ছে।
আল্লাহ নেক নিয়তগুলো কবুল করুন আমীন।
শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ ও মনোদৈহিক উন্নয়নে ইলমে ওহীর জ্ঞানের বিকল্প নেই।ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা আলোকিত মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং প্রকৃতভাবে ইসলামকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবে ইনশাআল্লাহ।
ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুলের বৈশিষ্ট্য সমূহ
♦ দেশের বিভিন্ন নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসকৃত মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিজ্ঞ আলেমে দ্বীন এর পরামর্শে পরিচালিত।
♦একই সাথে আপনার সন্তান হাফেজ, আলেম, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আদর্শ সন্তান ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেইনশাআল্লাহ ।
♦ভর্তি হওয়ার ৫ বছরের মধ্যে অনর্গল ইংলিশে কথা বলতে পারবে এবং ভর্তির ৬ বছরের মধ্যে ইংরেজী, আরবী ও বাংলায় ইসলামিক বিভিন্ন মৌলিক বিষয় নিয়ে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দিতে পারবে- ইনশাহ্ আল্লাহ ।
♦দ্বীনি আমলের বিষয়ে তরগীব দেওয়া, যেন আমল করতে করতে ইলম শিখতে পারে। উত্তম চরিত্রের তরবীয়তের জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান ।
♦ সুন্দর হাতের লেখা চর্চার ব্যবস্থা ।
♦ক্লাসের পড়া ক্লাসে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা ।
♦শিক্ষার সুষ্ঠু ও মনোরম পরিবেশ ।
♦কো - কারিকুলাম এক্টিভিটিজ এর মাধ্যমে বাচ্চাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করা ।
বর্তমান( অস্থায়ী )ঠিকানা :
ত্ব-হা যিন নূরাঈন ইসলামিক স্কুল
নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়া , সদর রংপুর।
মোবা: 01779-802912
মেধা মূল্যায়ন এর প্রথম সাময়িক পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ছোট্ট সোনামণিদের কি আনন্দ !
মাশা-আল্লাহ! রাব্বি ইয়াসসির, ওয়ালাতুআসসির ওয়া তামমিম আলাইনা বিল খাইর
সন্তানকে নিয়ে হযরত ইবরাহীম আ.-এর স্বপ্ন
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহমান
সন্তান অমূল্য সম্পদ। সন্তানকে নিয়ে পিতা-মাতা নানা স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু আফসোস, সন্তানকে ঘিরে অনেক মা-বাবার স্বপ্ন হয় স্থূল। অনেকেই জানেন না, সন্তানের জন্য কী স্বপ্ন দেখা উচিত। এজন্য শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণের সীরাত ও জীবনচরিত অধ্যয়ন করা কর্তব্য। আজ আমরা আলোকপাত করব হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সন্তানকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখতেন এবং স্বপ্নের পথে তাকে কীভাবে অগ্রসর করতেন।
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ছিলেন উচ্চমর্যাদাবান একজন নবী। বহুদিন হয়ে গেছে তাঁর কোনো সন্তান হচ্ছে না। ধীরে ধীরে এই দম্পতির সন্তান জন্মের স্বাভাবিক বয়স পার হয়ে যায়। ইবরাহীম আ.-এর বয়স নব্বই ছুঁইছুঁই আর তাঁর স্ত্রী হা-জার রা.-এর বয়স আশি ছুঁইছুঁই।
এই জীবনসন্ধ্যায় দাঁড়িয়েও হযরত ইবরাহীম আ. সন্তানশূন্যতার হাহাকার উপেক্ষা করতে পারেননি। দয়াময় আল্লাহর দয়ার দুয়ারে কাতর হয়ে সন্তান প্রার্থনা করেন-
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ.
হে আমার রব! আমাকে নেক সন্তান দান করুন। -সূরা সাফফাত (৫৫) : ১০০
এ দুআটি অনেক শিক্ষণীয়। এ দুআ শিক্ষা দেয়, সন্তানদাতা একমাত্র আল্লাহ তাআলা। সুতরাং শুধু তাঁর কাছেই সন্তান প্রার্থনা করা চাই, অন্য কারো কাছে নয়। অন্য কারো পক্ষে সন্তান দান করা অসম্ভব। তিনি নবী হোক, ওলী হোক কিংবা পীর-বুযুর্গ। তাঁরা নিজেরাই তো আল্লাহর সৃষ্টি ও মুখাপেক্ষী।
এ দুআ আরো শিক্ষা দেয়, আল্লাহর কাছে সর্বদা নেক ও সৎ সন্তান প্রার্থনা করা চাই। তিনি যখনই সন্তান দান করেন, যেন নেক সন্তান দান করেন, যে নিজে উভয় জগতে আলোকিত মানুষ হবে এবং অন্যের মাঝে আলো ছড়াবে, কল্যাণ বয়ে আনবে।
যত দিন যাচ্ছিল ইবরাহীম আ.-এর অন্তরে নেক সন্তানের আকাক্সক্ষা ততই তীব্র হচ্ছিল এবং আল্লাহর দয়ার দুয়ারে ততই দুআ-কাতর হচ্ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ তাঁর আকাক্সক্ষা পূরণ করেন এবং তাঁকে একজন সহনশীল পুত্র সন্তান দান করেন। এই সন্তানের নাম রাখেন ইসমাঈল। এর অনেক বছর পরে আরেক পুত্র সন্তানের বাবা হন তিনি। তাঁর নাম রাখেন ইসহাক।
একজন অশীতিপর বৃদ্ধ সন্তানের মুখ দেখলে কত খুশি ও আনন্দিত হবে- সহজেই অনুমেয়। হযরত ইবরাহীম আ. শুধু আনন্দিতই হননি; সন্তানদাতা দয়াময় আল্লাহর শোকরে তাঁর হৃদয়জগৎ ভরে যায়। তিনি শোকর আদায় করে বলেন-
الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ وَهَبَ لِيْ عَلَي الْكِبَرِ اِسْمٰعِيْلَ وَاِسْحٰقَ اِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآء.
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে বৃদ্ধ বয়সে ইসমাঈল ও ইসহাক দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দুআ শ্রবণকারী। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৯
এ দুআর বার্তা হল, সন্তানের নিআমত পেলে অহংকার ও উদাসীনতা সমীচীন নয়; বরং সন্তানদাতার শোকর আদায় করা চাই।
এ দুআর আরো বার্তা হল, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও ভরসা রাখা চাই, তিনি দুআ কবুল করতে পরিপূর্ণ সক্ষম এবং আমার দুআ কবুল করবেন। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া উচিত নয়।
হযরত ইবরাহীম আ. শামে বসবাস করতেন। ইসমাঈল আ.-এর জন্মের পর তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে মক্কায় রেখে যান। মক্কায় তখন না জনবসতি ছিল, না জীবন যাপনের উপায়-উপকরণ ছিল। তারপরও তিনি সন্তানকে কেন এখানে রেখে গেলেন- শুনুন কুরআনের ভাষায়-
رَبَّنَاۤ اِنِّيْۤ اَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِيْ بِوَادٍ غَيْرِ ذِيْ زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ فَاجْعَلْ اَفْىِٕدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِيْۤ اِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِّنَ الثَّمَرٰتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُوْنَ.
হে আমাদের রব! আমি আমার কতক সন্তানকে আপনার সম্মানিত ঘরের কাছে শস্যহীন উপত্যকায় (এনে) বসবাস করিয়েছি। হে আমাদের রব! যাতে তারা নামায কায়েম করে। সুতরাং আপনি মানুষের অন্তর তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং তাদেরকে ফলমূল থেকে রিযিক দান করুন, হয়তো তারা শোকর করবে। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৭
জনবসতি ও জীবন-উপকরণহীন মরুদ্যান মক্কায় কলিজার টুকরোকে রেখে যাওয়ার কারণ হল, এখানে পবিত্র বাইতুল্লাহ অবস্থিত। এর বরকতে সন্তান-সন্ততি নামাযী হবে। দ্বীনী পরিবেশে থাকবে। এ দুআর শিক্ষা হল, সন্তান-সন্ততির জন্য যতটা সম্ভব সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করা চাই, যেখানে তারা নামায কায়েম করতে পারবে, দ্বীনের উপর সুন্দরভাবে চলতে পারবে।
আরেকটি শিক্ষা হল, সন্তান-সন্ততির প্রয়োজনীয় রিযিকের জন্যও দুআ করা চাই, যাতে তারা সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারে।
হযরত ইবরাহীম আ. সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে আরো অনেক দুআ করেছেন।
সে সবের একটি হল-
رَبِّ اجْعَلْ هٰذَا الْبَلَدَ اٰمِنًا وَّاجْنُبْنِيْ وَبَنِيَّ اَنْ نَّعْبُدَ الْاَصْنَامَ رَبِّ اِنَّهُنَّ اَضْلَلْنَ كَثِيْرًا مِّنَ النَّاسِ .
হে আমার রব! এই শহরকে নিরাপদ করুন এবং আমাকে ও আমার সন্তান-সন্ততিকে মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখুন। হে আমার রব! ওরা বহু লোককে পথভ্রষ্ট করেছে। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৫-৩৬
এ দুআর শিক্ষা হল, সন্তানাদির জন্য নিরাপদ স্থানের দুআ করা চাই, যেখানে তারা নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
এ দুআ আরো শিক্ষা দেয়, এ ব্যাপারে পূর্ণ সতর্ক থাকতে হবে, যেন সন্তান-সন্ততি কিছুতেই কুফর ও শিরকে লিপ্ত না হয়; বরং তাওহীদের দৃঢ় ও পরিপূর্ণ বিশ্বাসী হয়।
তিনি আরো দুআ করেন-
رَبِّ اجْعَلْنِيْ مُقِيْمَ الصَّلٰوةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِيْ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَآءِ.
হে আমার রব! আমাকে নামায কায়েমকারী বানান এবং আমার সন্তান-সন্ততির মধ্য থেকেও। হে আমাদের রব! আর আমার দুআ কবুল করুন। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৪০
এ দুআর শিক্ষা হল, নিজেও নামাযী হতে হবে, সন্তান-সন্ততি ও বংশধরের নামাযের ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে।
হযরত ইবরাহীম আ.-এর একমাত্র পুত্র ইসমাঈল আ. বেড়ে ওঠা শুরু করেন। যখন পিতার সঙ্গে ছোটাছুটি করার বয়সে উপনীত হয় তখন পিতা স্বপ্নে দেখেন, তিনি কলিজার টুকরোকে যবেহ করছেন। যদিও এটা স্বপ্ন ছিল; কিন্তু নবীগণের স্বপ্ন ওহী হয়ে থাকে; তাই ইবরাহীম আলাইহিস সালাম একে আল্লাহ তাআলার আদেশ সাব্যস্ত করেন।
স্বপ্নের কথা তিনি একমাত্র পুত্রকে জানিয়ে বলেন-
يٰبُنَيَّ اِنِّيْۤ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَا ذَا تَرٰي قَالَ يٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَتَلَّهٗ لِلْجَبِيْنِ.
হে আমরা বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি, তোমাকে যবেহ করছি। তাই তুমি চিন্তা করে দেখ, তোমার অভিমত কী? সে বলল, হে আমার পিতা! আপনাকে যে আদেশ করা হয়েছে তা করে ফেলুন। আপনি আমাকে আল্লাহ চাহেন তো অবশ্যই ধৈর্যশীল পাবেন। অতঃপর যখন তারা উভয়ে আদেশ মান্য করল এবং পিতা পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিল। -সূরা সাফফাত (৫৫) : ১০২-১০৩
ইবরাহীম আ. মনে মনে এমন সন্তানের কথাই ভাবতেন এবং আল্লাহর কাছেও এমন সন্তানই প্রার্থনা করতেন, যে আল্লাহর পূর্ণ অনুগত হবে, আল্লাহর জন্য জীবন দিতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। আল্লাহ তাআলা ঘুমের মধ্যে তাঁর পুত্রকে যবেহ করতে দেখিয়ে তাঁকে পরীক্ষা করেন, তিনি আসলে এমন সন্তান চান কিনা। ইবরাহীম আ. প্রমাণিত করেছেন, তিনি হৃদয়ের গভীর থেকেই এমন সন্তান চান এবং এর জন্য যা দরকার তা করতে তিনি প্রস্তুত। এমন সন্তান তৈরি করতে প্রয়োজন প্রজ্ঞা, কোমলতা, সচেতনতা, সহনশীলতা ও দুআ-কাতরতা। এখানে আমরা দেখেছি, ইবরাহীম আ. বৃদ্ধ বয়সে লব্ধ সম্পদকে আল্লাহর পথে কুরবান করার জন্য কীভাবে প্রস্তুত করেছেন।
আল্লাহ হযরত ইবরাহীম আ.-কে কা‘বাঘর নির্মাণের নির্দেশ দেন। তখন তিনি পুত্র ইসমাঈলকে বলেন, আল্লাহ আমাকে একটি কাজের আদেশ করেছেন।
ইসমাঈল বলেন, আপনার রব আপনাকে যে আদেশ করেছেন তা পালন করুন।
তিনি বললেন, তুমি কি আমাকে সহযোগিতা করবে?
ইসমাঈল বললেন, জী, আপনাকে সহযোগিতা করব।
এরপর পিতা-পুত্র মিলে বাইতুল্লাহ নির্মাণ করেন। ইসমাঈল আ. পাথর যোগান দেন আর ইবরাহীম আ. নির্মাণ কাজ করেন। দেয়াল যখন উঁচু হয়ে গেল তখন ইসমাঈল আ. একটি পাথর আনলেন। ইবরাহীম আ. তার উপর দাঁড়িয়ে নির্মাণ কাজ করেন আর ইসমাঈল আ. পাথর যোগান দেন। এ সময় তাঁরা বলছিলেন-
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَاۤ اُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَاَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ.
হে আমাদের রব! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন। নিশ্চয় আপনিই সর্বশ্রোতা, পরিজ্ঞাতা। হে আমাদের রব! আর আমাদের আপনার পূর্ণ অনুগত বানান এবং আমাদের সন্তান-সন্ততির মধ্যেও আপনার অনুগত একটি জামাত বানান এবং আমাদের হজ্বের নিয়মাবলি শিক্ষা দিন এবং আমাদের তওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনিই তওবা কবুলকারী, অতি মেহেরবান। -সূরা বাকারা (২) : ১২৭-২৮
এ দুআর একটি শিক্ষা হল, সন্তানকে কল্যাণের কাজে অংশ গ্রহণ করতে উৎসাহিত করা চাই, এতে অভ্যাস গড়ে উঠবে।
এ দুআর আরেকটি শিক্ষা হল, কেবল সন্তান নয়; বংশধরের জন্যও দুআ করা উচিত, আল্লাহ যেন কিয়ামত পর্যন্ত তাদের মধ্যে সৎ ও যোগ্য লোক তৈরি করেন, যারা আল্লাহর পূর্ণ অনুগত হবে এবং তাওহীদ ও একত্ববাদে দৃঢ় বিশ্বাসী হবে।
সারকথা হল, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম নেক সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন। আল্লাহর পূর্ণ অনুগত সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন। তাওহীদের প্রতি দৃঢ় ও পরিপূর্ণ বিশ্বাসী সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন। নামাযী সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন। পিতা-মাতার অনুগত সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্ন-দেখা সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে কাতর হয়ে দুআ করতেন এবং স্বপ্নপথের যাত্রায় সন্তানকে সহযোগিতা করতেন।
[ মাসিক আলকাউসার || যিলকদ ১৪৪৫ || মে ২০২৪ ]
✅✅কুরআনুল কারিমে সে দোয়াটি পুনরায় উল্লেখ করে দুনিয়ার মানুষকে তাদের সন্তানদের জন্য এভাবে দোয়া করতে উদ্বুদ্ধ করেন। যাতে মানুষ সন্তানদের জন্য এভাবে দোয়া করেন। দোয়াটি তুলে ধরা হলো-
رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
✴️উচ্চারণ : রাব্বানা লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআল আফ্ইদাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআল্লাহুম ইয়াশকুরুন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)
🛑অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! তারা (সন্তান-সন্তুতি) যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় করতে পারে।’
শপথ!
এখনো ভর্তি হন নি আমাদের সিরাতুন্নবী (সাঃ) শিক্ষা কোর্সে?
সময় আর বেশি নেই। এখনি ভর্তি হয়ে যান "Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa"র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত "সিরাতুন্নবী (সাঃ) শিক্ষা কোর্স ১৪৪৫ হিজরী" এর সিজন ০২ তে।
সেসকল দ্বীনি ভাই বোনেরা এখনো এই অনলাইন কোর্সটিতে ভর্তি হন নি, তারা দ্রুত ভর্তি হয়ে যান ইনশাআল্লাহ।
ভর্তি লিংক কমেন্টে।
#সিরাতুন্নাবি_কোর্স_করে_বাইতুল্লাহ_যিয়ারাত_করুন
#সিরাতুন্নাবি_সা_কোর্স_সিজন_০২
রেজিষ্ট্রেশনের আর মাত্র ১২ ঘন্টা বাকী।
ইনশাআল্লাহ আগামী ৩ মে "Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa"র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনী তথা সীরাতুর রাসূল ﷺ শিক্ষা কোর্স "সিরাতুন্নাবি ﷺ হি: ১৪৪৫" এর সিজন ০২ এর ভর্তি শেষ হতে যাচ্ছে।
সেসকল দ্বীনি ভাই বোনেরা এখনো এই অনলাইন কোর্সটিতে ভর্তি হন নি, তারা দ্রুত ভর্তি হয়ে যান ইনশাআল্লাহ।
ভর্তি লিংক কমেন্টে।
#সিরাতুন্নাবি_কোর্স_করে_বাইতুল্লাহ_যিয়ারাত_করুন
#সিরাতুন্নাবি_সা_কোর্স_সিজন_০২
ভর্তির আর ২ দিনের কম সময় বাকী।
ইনশাআল্লাহ আগামী ৩ মে "Taw Haa Zin Nurain Online Madrasa"র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনী তথা সীরাতুর রাসূল ﷺ শিক্ষা কোর্স "সিরাতুন্নাবি ﷺ হি: ১৪৪৫" এর সিজন ০২ এর ভর্তি শেষ হতে যাচ্ছে।
সেসকল দ্বীনি ভাই বোনেরা এখনো এই অনলাইন কোর্সটিতে ভর্তি হন নি, তারা দ্রুত ভর্তি হয়ে যান ইনশাআল্লাহ।
ভর্তি লিংক কমেন্টে।
#সিরাতুন্নাবি_কোর্স_করে_বাইতুল্লাহ_যিয়ারাত_করুন
#সিরাতুন্নাবি_সা_কোর্স_সিজন_০২
নবি صلى الله عليه وسلم প্রেমের প্রমাণ স্বরূপ সুন্নাহ পালন জরুরি।
ধরুন ঘরে প্রবেশ করছেন কিংবা বের হচ্ছেন,
স্বাভাবিক ভাবেই করছেন। কিন্তু ঘরে ঢোকার কিংবা বের হবার সুন্নাহগুলো পালন করলেই কিন্তু আপনার খাতায় রিওয়ার্ডস উঠানো হচ্ছে।
ঘরে প্রবেশ বা বাহিরের সুন্নাহ গুলো কি খুব ই কঠিন? আসুন একনজরে দেখে নেই-
🔸ঘরে প্রবেশের সুন্নাহসমূহ-
১) সালাম দেয়া৷
(২) অন্যের ঘরে প্রবেশের সময় অনুমতি নেয়া, নিজের ঘরেও প্রবেশের পূর্বে আওয়াজ দিয়ে বা যে কোন উপায়ে অবগত করে প্রবেশ করা।
(৩) অন্যের ঘরে প্রবেশের অনুমতির জন্য তিনবার সালাম দিবে, কোন উত্তর না পেলে ফিরে যাবে; প্রয়োজনে পরে আবার আসবে।
(৪) ঘরের ভিতর পরিচয় জিজ্ঞেস করলে শুধু “আমি” না বলা বরং পূর্ণ নাম এবং পিতার নামসহ পরিচয় দেয়া।
(৫) বিসমিল্লাহ ও দোয়া পড়ে ডান পায়ে দিয়ে প্রবেশ করা।
(৬) রাসূল সা: রাত্রি বেলায় (সকলে ঘুমিয়ে গেলে) আস্তে সালাম দিতেন ও আস্তে প্রবেশ করতেন যাতে কারো কষ্ট না
(৭) ঘরের দরজা বন্ধ করার সময় বিসমিল্লাহ বলা।
🔸ঘর থেকে বের হওয়ার সুন্নাহসমূহ-
(১) ঘর বাসীকে সালাম দিয়ে বের হওয়া।
(২) ঘরের দরজা খোলার সময় বিসমিল্লাহ বলা।
(৩) বাম পা দিয়ে বের হওয়া।
(৪) এই দোয়া পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
অর্থঃ আল্লাহ তাআলার নামে
বের হলাম, আমি আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর তাওফিক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা বা কোনো নেক কাজ করা সম্ভব নয়।
===========
সিরাতুন্নবী (সাঃ) শিক্ষা কোর্স ১৪৪৫ হিজরী সিজন ০২ তে ভর্তি চলছে।
সেসকল দ্বীনি ভাই বোনেরা এখনো এই অনলাইন কোর্সটিতে ভর্তি হন নি, তারা দ্রুত ভর্তি হয়ে যান ইনশাআল্লাহ।
ভর্তি লিংক কমেন্টে।
#সিরাতুন্নাবি_কোর্স_করে_বাইতুল্লাহ_যিয়ারাত_করুন
#সিরাতুন্নাবি_সা_কোর্স_সিজন_০২
এসো স্বপ্ন দেখি
যখন আমরা বাচ্চাদের তাদের প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করি এবং তাদের শেখার এবং উন্নতি করার সুযোগ হিসাবে কম পড়া দেখতে সাহায্য করি (কেবলমাত্র ফলাফলের উপর ফোকাস না করে), তারা কঠোর পরিশ্রম করতে আরও অনুপ্রাণিত হবে এবং তারা বিশ্বাস করবে যে তারা যা করেছে তা অর্জন করতে পারে।
অনুপ্রেরণা হল সেই শক্তি যা বাচ্চাদের এগিয়ে রাখে, এমনকি যখন তারা বাধা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এটি তাদের সম্ভাব্যতা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়ে চার্জ করে । অনুপ্রাণিত একটি শিশু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, উদ্যমী এবং উদ্ভাবনী: তারা যা শিখছে তার মূল্য দেখতে পায় এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
অনুপ্রেরণা শিক্ষার্থীদের আচরণ এবং কর্মক্ষমতা চালিত করে । যখন শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয় তখন তারা শ্রেণীকক্ষে এবং তাদের শেখার দিকে আরও ইতিবাচক এবং উদ্যমী হবে।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের মন খুব নরম ও কোমল হয়ে থাকে। তাদেরকে যেভাবে মোটিভেট করা হবে তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আজ প্লে নার্সারির বাচ্চাদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পরিক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে । তারা খুব মজা করে এক ঘন্টার পরিক্ষা মাত্র ২০/৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ করেছে ।
আমরা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে বাচ্চাদের শেখাতে পছন্দ করি।
❤️
প্রথম সাময়িক পরিক্ষার একাংশ!
পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলি মূল্যায়ন করার জন্য সম্পাদিত হয়। এটি শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান করার একটি উপায় হিসাবে পরিচিত এবং সঠিক উত্তর প্রদানের দক্ষতা নির্মাণ করে।
পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভরশীলতা ও সম্পর্কপরিবর্তন বৃদ্ধি করা হয়।
ভালো একাডেমিক ফল অবশ্যই শিশু-কিশোরদের চেষ্টা, শিক্ষকদের ভালো পাঠদান এবং অভিভাবকদের যথার্থ তদারকের নির্দেশ করে। কিন্তু একাডেমিক ফলাফলের চেয়ে আরও অনেক বড় ব্যাপার হলো, শিশু-কিশোরদের মানুষ হিসেবে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা। একাডেমিক পরিক্ষার থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের সুস্থ ভাবে প্রকৃত মুসলিম হিসাবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
অভিভাবকদের বর্তমান করনীয় হতে পারে,
তার কাজের দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দিন।
ওর ভালোটা খুঁজে বের করুন এবং পরিচর্যা করুন।
অমুক তমুকের সাথে তুলনা করা ছাড়ুন।
ওর নিজের আত্ববিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করুন।
নিজেদের জীবনে নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখুন সন্তানকে সেই জীবনে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করুন।
তীব্র তাপদাহে শিশুদের সুস্থ রাখতে যা করণীয়-
প্রতিদিনই এক-দুই ডিগ্রি বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। দিন-দিন তাপমাত্রার এতটাই বাড়ছে যে বাড়ির বাইরে পা রাখাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোনোর কারণে তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের শরীরেও। গরমের তীব্রতা থেকে শিশুদের বাঁচাতে কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি:-
[১]
শিশুরা খেলাধূলা করতে ভালোবাসে। তাই গরমের দিনগুলোতে পানিশূন্যতার শিকার হতে পারে শিশুরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। শিশুদের পানি পিপাসা না পেলেও তারা যাতে সারা দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। পারলে ডাবের পানি, লেবুর শরবত, বেলের শরবতও খাওয়াতে পারেন শিশুকে।
[২]
এই গরমে শিশুদের হালকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান । ফ্যাটযুক্ত কিংবা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার না খাওয়ানোই উচিত। এই সময় পেটের অসুখ বেড়ে যায়। তাই সাবধান থাকুন। মৌসুমি টাটকা এবং সবুজ ফল ও সবজি শিশুদের খাদ্যতালিকায় রাখুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌসুমি খাবার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে।
[৩]
গরমে সব সময় শিশুদের হালকা রঙের সুতির পোশাক পরানোই ভালো। এই ধরনের পোশাক কম তাপ শোষণ করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সুতির জামা পরলে গরমের কারণে ত্বকের সংক্রমণ হয় না।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের বাহিরে বের না করাই উত্তম । বাসায় রাখুন। তবে বাসায় মোবাইল , ট্যাব কিংবা টেলিভিশন থেকে শিশুদের যথাসম্ভব দূরে রাখুন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Rangpur, 5700
This institutute setuated since 2017. It's located at Ramchandrapur Union,Gaibandha. Class activity
Rangpur
Rangpur, 5400
Lions School & College Rangpur. We are 2010th Batch.
JALDHAKA
Rangpur, 5330
শিক্ষার জন্য এসো সেবার জন্য যাও