Quranic Ruqyah
জ্বিন, যাদু, বদনজর সহ যেকোনো কুরআনী ও হারবাল চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
রুকইয়া কি?
আভিধানিক অর্থ :
রুকইয়া মানে ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র, সম্মোহন, যাদু, তাবিজ, কবচ ইত্যাদি। শরীয়তের পরিভাষায় রুকইয়া হচ্ছে কোনো ব্যক্তি যখন কুরআনের আয়াত, দুয়া, কিংবা আল্লাহ তায়ালার কোনো নাম বা সিফাত বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে - যেমন: নিজের জন্য বা অন্য কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য একমাত্র আল্লাহর সাহায্য চেয়ে পাঠ করা। ইহাকেই শরীয়তের পরিভাষায় রুকইয়া বলা হয়।
কেনো রুকইয়া করবেন?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে এর চিকিৎসা থাকুক বা না থাকুক, শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক রোগের জন্য রুকইয়া করা হয়। রুকইয়া কোনো যাদুমন্ত্র নয়, দ্রুত বিয়ে হওয়ার তদবির নয়, পরীক্ষায় বা ব্যবসায় উন্নতির অজিফা নয়। বরং এটা একটা চিকিৎসা পদ্ধতি মাত্র যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করা হয় যা শরীয়ত সম্মত।
যাদু টোনার লক্ষণসমূহ :
বিমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বিভিন্ন ধরনের যাদু টোনা বা কুফুরিকালাম এ আক্রান্তদের বিভিন্ন রকম উপসর্গ কিছু লক্ষন দিলাম মিলিয়ে দেখুন......
1। একাকী সময় কাটানো। নীরব থাকা, কেউ কথা বলতে চাইলে বিরক্ত মনে করা। বুক ধরফড় করা। খাবারে অরুচি হওয়া।
শরীর ব্যাথা বেদনা করা। অবসাদগ্রস্থ থাকা। মাঝে মধ্যে বমি বমি ভাব হওয়া।, বদহজম হওয়া। যদি আপনি স্বপ্নে মল মুত্র দেখেন, অথবা নিজেকে বা অন্যকে মলমুত্রে মাখানো দেখে থাকেন অথবা নিজেকে নোংরা পুকুর বা পানিতে গোসল করতে দেখেন,স্বপ্নে জিনা করতে দেখেন,মহিলা বা পুরুষ কে নগ্ন দেখেন ।
2। যৌন ক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাওয়া, মেয়ে বাজি করা, মাদক আসক্ত হওয়া,ধর্ম কর্ম এর অনুশাসন না মানা, নামাজ কালাম পড়তে ইচ্ছা না করা , ভুল পথে চালিত হওয়া।
3। প্রায় ই মাথা ধরা বা ব্যাথাহয়ে থাকে, চেহারায় ও মাথায় গোটা হওয়া,
চেহারা কালো হওয়া, চেহারার উজ্জ্বলতা কমে ভয়ানক হয়ে যাওয়া ।
4। গলা বা কণ্ঠ খারাপ থাকা, চোখ লাল থাকা, জ্বালা করা
সর্ব শরীরে সূচ এর খোঁচার মতো করা, শরীর জ্বালাপোড়া করা ।
5। হাঁটু তে কব্জি তে কোমরে, ঘাড়ে এবং শরীরের হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা করা, শরীর কাপুনি দেয়া, অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া ।
6। শরীর সব সময় গরম থাকা, নাক, মুখ, হাতের তালু, পায়ের পাতা দিয়ে গরম ভাপ বের হওয়া বা জ্বালাপোড়া করা।
7। হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মনে যে কোন ব্যাপারে ভয় লাগা, মন ঘাবড়ানো, মনে আজব আজব চিন্তা আসা, দিনে বা রাতে আজেবাজে ভয়ানক স্বপ্ন দেখা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, শ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়া।
8। খাবার খাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আবার ক্ষিদা লাগা,
শরীর লিকলিকে হওয়া যাওয়া, পেটে ব্যাথা থাকা, পেট ফুলে থাকা,
পায়খানা, প্রস্রাবে, গ্যাস এ প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হওয়া।
9। দিনে দিনে শরীরের শক্তি কমে যাওয়া, মাথা ভারী হওয়া, শরীর ভারী হওয়া, ঔষধ কাজ না করা , ঔষধ প্রথমে কাজ করলেও পড়ে রিএকশন করা, যেকোনো কাজ হওয়ার কথা থাকলেও হয়না, কোনোকিছু ই এগোয় না, কাজ করার ইচ্ছা কমে যাওয়া, সোজাকথায় দিনে দিনে অলস হয়ে যাওয়া ।
এছাড়াও আরো অনেক আলামত আছে যা পরবর্তীতে পোষ্ট করব ইন শা আল্লাহ।
যাদুর প্র্রতিকার:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যাদুটোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:
এক: যাদুকর কিভাবে যাদু করেছে সেটা আগে জানতে হবে। উদাহরণতঃ যদি জানা যায় যে, যাদুকর কিছু চুল নির্দিষ্ট কোন স্থানে অথবা চিরুনির মধ্যে অথবা অন্য কোন স্থানে রেখে দিয়েছে। যদি স্থানটি জানা যায় তাহলে সে জিনিসটি পুড়িয়ে ফেলে ধ্বংস করে ফেলতে হবে যাতে যাদুর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, যাদুকর যা করতে চেয়েছে সেটা বাতিল হয়ে যায়।
দুই: যাদু নষ্ট করার ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে:
এর পদ্ধতি হচ্ছে-
যাদুতে আক্রান্ত রোগীর উপর অথবা কোন একটি পাত্রে আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, সূরা ত্বহা এর যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়বে। এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে এবং রোগীর জন্য দোয়া করবে।
দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
তিন : সাতটি কাঁচা বড়ই পাতা সংগ্রহ করে পাতাগুলো গুঁঁড়া করবে। এরপর গুঁড়াগুলো পানিতে মিশিয়ে সে পানিতে উল্লেখিত আয়াত ও দোয়াগুলো পড়ে ফুঁ দিবে। তারপর সে পানি পানি করবে; আর কিছু পানি দিয়ে গোসল করবে। যদি কোন পুরুষকে স্ত্রী-সহবাস থেকে অক্ষম করে রাখা হয় সেক্ষেত্রেও এ আমলটি উপকারী। সাতটি বড়ই পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখবে। তারপর সে পানিতে উল্লেখিত আয়াত ও দোয়াগুলো পড়ে ফুঁ দিবে। এরপর সে পানি পান করবে ও কিছু পানি দিয়ে গোসল করবে।
যাদুগ্রস্ত রোগী ও স্ত্রী সহবাসে অক্ষম করে দেয়া ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য বরই পাতার পানিতে যে আয়াত ও দোয়াগুলো পড়তে হবে সেগুলো নিম্নরূপ:
১- সূরা ফাতিহা পড়া।
২- আয়াতুল কুরসি তথা সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত পড়া।
اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَاۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ
৩- সূরা আরাফের যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়া। সে আয়াতগুলো হচ্ছে-
قَالَ إِنْ كُنْتَ جِئْتَ بِآيَةٍ فَأْتِ بِهَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ (106) فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ (107) وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ (108) قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ (109) يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ (110) قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَأَرْسِلْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ (111) يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَاحِرٍ عَلِيمٍ (112) وَجَاءَ السَّحَرَةُ فِرْعَوْنَ قَالُوا إِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِنْ كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ (113) قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ لَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ (114) قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَحْنُ الْمُلْقِينَ (115) قَالَ أَلْقُوا فَلَمَّا أَلْقَوْا سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءُوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ (116) وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ (117) فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (118) فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ (119) وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ (120)قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ (121) رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ (122)
[সূরা আরাফ, আয়াত: ১০৬-১২২]
৪- সূরা ইউনুসের যাদুবিষয়ক আয়াতগুলো পড়া। সেগুলো হচ্ছে-
وَقَالَ فِرْعَوْنُ ائْتُونِي بِكُلِّ سَاحِرٍ عَلِيمٍ (79) فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالَ لَهُمْ مُوسَى أَلْقُوا مَا أَنْتُمْ مُلْقُونَ (80) فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81) وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ
[সূরা ইউনুস, আয়াত: ৭৯-৮২]
৫- সূরা ত্বহা এর আয়াতগুলো পড়া। সেগুলো হচ্ছে-
قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى (65) قَالَ بَلْ أَلْقُوا فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِنْ سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَى (66) فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُوسَى (67) قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعْلَى (68) وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى (69)
[সূরা ত্বহা, আয়াত: ৬৫-৬৯]
৬- সূরা কাফিরুন পড়া।
৭- সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস ৩ বার করে পড়া।
৮- কিছু দোয়া দরুদ পড়া।
জ্বীনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ :
ক) নিদ্রাহীনতা, উদ্বিগ্নতা: রাত্রে ঘুম না হওয়া, হলেও খুব কম হয়। রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
খ) ঘন ঘন বোবায় ধরা। ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরেছে এমন অনুভূত হওয়া, নড়াচড়া করতে না পারা।
গ) ঘুমের মধ্যে প্রায়ই চিৎকার করা, গোঙ্গানী বা হাসি কান্না করা।
ঘ) ঘুমের মধ্যে হাঁটা বা কোনো দিকে দৌড় দেয়া।
ঙ) স্বপ্নে কোনো প্রাণী আক্রমন বা ধাওয়া করতে দেখা। যেমন: কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, গরু মহিষ, বাঘ, সিংহ, শিয়াল, সাপ, বা এই ধরণের হিংস্র প্রাণী। যদি স্বপ্নে দুই তিনটা প্রানী বা তার অধিক প্রাণী আক্রমন করতে আসতেছে দেখে তাহলে বুঝতে হবে তার সাথে কয়েকটি জ্বীন আছে।
চ) স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
ছ) স্বপ্নে কোনো গোরোস্থান, পরিত্যাক্ত যায়গা, নদী অথবা মরুভূমি সড়ক দেখা। শূন্যে উড়তে দেখা বা সাগরে ডুবে যেতে দেখা। এটি জ্বীনের পাশাপাশি যাদু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণও বহন করে।বারবার একই যায়গা দেখলে সেখানে যাদুর জিনিসগুলি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জ) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমনঃ অনেক লম্বা বা খাটো, খুব কালো বা ধবধবে সাদা। যদি মানুষটাকে বিশেষ কোনো চিহ্ন বিশিষ্ট দেখা যায় যেমনঃ হিন্দুদের মতো ধুতি পরা বা পূজার মুর্তির মতো কাউকে দেখলে বুঝতে হবে জ্বীনটা হিন্দু। যদি সবসময় পুরুষ কাউকে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে জ্বীনটা পুরুষ।
ঝ) স্বপ্নে জ্বীন ভুত দেখা বা ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখা।
ঞ) ঘন ঘন মরা লাশ দেখা বা স্বপ্নে কাউকে মেরে ফেলতে দেখা বা নিজেকে মেরে ফেলতে দেখা।
ট) কোনো কারণ ছাড়া মাথা বা মাথার কোনো অংশ ব্যথা করা। যেমনঃ চোখ, দাঁত, কান, ঘাড়ের সমস্যা না থাকলে, প্রেশার নাই, এমনিতেই মাথা ব্যাথা। ডাক্তারি চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফল না পাওয়া বা ঔষধ খাওয়ার পরও কেনো পরিবতন না হওয়া।
ঠ)শরীয়তের হুকুম আহকাম মানার মধ্যে গাফিলতিঃ যেমন- নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির আজকার থেকে আগ্রহ কমে যাওয়া বা উঠে যাওয়া। দিন দিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওযা। দিল থেকে আল্লাহর ভয় উঠে যাওয়া।
ড) মেজাজ খিটখিটে হওয়া, কিছুতেই মন না বসা। কোনো কারণ ছাড়াই যেকোন কারো সাথে হঠাৎ রেগে যাওয়া। হঠাৎ কান্নাকটি করা।
ঢ) বিশেষ কারণ ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। বুক ধড়ফড় করা। সাধারণ কাউকে দেখলে মনের মধ্যে ভয় যাগা।
ণ) হঠাৎ অজ্ঞান বা বেহুঁস হয়ে যাওয়া, দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া। ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত কাটা। এটা একটা গুরুত্বপূণ লক্ষণ।
ত)মৃগিরোগ আরেকটি গুরুত্বপূণ লক্ষণ।
থ) অস্বাভাবিক আচরণ করা। কারো সাথে কথা বলতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। উল্টাপাল্টা কথা বলে ঝগড়া ফ্যাসাদের সৃষ্টি করা।
দ)শরীরের কোনো অংগে প্রায় সময় ব্যাথা থাকা কিংবা একদম বিকল হয়ে যাওয়া। প্যারালাইসিস এর মতো হয়ে যাওয়। ডাক্তাররা কোনো সমস্যা খুঁজে না পাওয়া। অনেকদিনের পুরোনো ব্যাথা বা বিকলাঙ্গ জ্বীন, যাদু, বদ নজরের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।
ধ)ব্যাপক অলসতা, অবসন্নতা ঘিরে রাখা, শরীরে কাঁপুনি বা ভারি হয়ে যাওয়া অনুভব করা।
ন) কুরআন কারীমের তিলাওয়াত, আজান, দোয়া দরুদ সহ্য না করা।
প) নিজের সন্তানকে বুকের দুধ খেতে না দেয়া। খেতে দিলে সন্তানের পাতলা পায়খানা মতো হওয়া। অথবা সন্তান দুধ খেতে না চাওয়া।
ফ) জাগ্রত অবস্থায় বিভিন্ন জিনিস দেখতে পাওয়া যা সাধারণ মানুষের চোখে দৃষ্টিগোচর হয় না।রাত্রে চলাচলের সময় ভয় পাওয়া। এমন মনে হওয়া কেউ যেন পেছনে আছে বা কেউ ডাকছে বলে মনে হওয়া। পেছনে তাকালে কাউকে না দেখা।
ব) জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হলে রোগীর মাঝে মাঝে জ্বীনের স্বভাব প্রকাশ পায়। যেমনঃ কেউ মুশরিক জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হলে হিন্দুদের মতো সাজগোজ, মন্দিরের আওয়াজ, গান বাজনা ইত্যাদিরর প্রতি আকষণ তৈরি হওয়া।
ভ) এছাড়া জ্বীনের রোগীর সাথে বিভিন্ন অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। যেমনঃ রাতে কারো ব্যাপারে দুঘটনার স্বপ্ন দেখা এবং দিনে তা বাস্তবে সত্যি হয়ে যাওয়া। কারো উপরে রেগে গিয়ে অভিশাপ দিলে তার ক্ষতি হওয়া। সড়ক দুঘটনা থেকে আকষ্মিকভাবে বেঁচে যাওয়া ইত্যাদি।
মনে রাখবেনঃ এর মধ্যে শারিরিক এবং মানষিক রোগের লক্ষণ মিলে যেতে পারে। যদি শারিরীক এবং মানষিক রোগী দীর্স্থাবংয়ী হয়, বা কোনো সুরাহা না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে কোনো না কোনো সমস্যা আছে। আর একটা বিশয় লক্ষণীয়, জ্বীন যখন কোনো মানবদেহে আছর করে, তখন মানুষের উপর অবশ্যই যাদু করে তারপর তার উপরে আছর করে। এজন্য জ্বীনের চিকিৎসার সাথে সাথে অবশ্যই যাদু এবং বদনজরের চিকিৎসা করবেন। নিজে যদি না পারেন তাহলে অভিজ্ঞ কোনো শরঈ রাকীর মাধ্যমে রুকাইয়া করালে মূল বিষয়টা ইন শা আল্লাহ বুঝা যাবে।
কেন মানুষের উপর জ্বীন আসর করে?
সাধারণত কয়েকটি কারনে জ্বীন মানুষের উপর আসর করে।
ক) নোংরা, নাপাক বা খারাপ যায়গায় অবস্থান করলে অথবা দীর্ঘক্ষণ নাপাক থাকলে জ্বীন ক্ষতি করতে পারে। এ কারণেই এ ধরনের সময়গুলোতে পড়ার জন্য হাদীসে নির্দেশিত দুআ সমূহে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। (যেমনঃ টয়লেটে ঢুকার আগে দুআ, স্ত্রী সহবাসের দুআ, নতুন যায়গায় যাওয়ার দুআ)
খ) মাঝরাতে, সন্ধ্যাবেলা বা ভরদুপুরে কাউকে কোনো জনমানবহীন প্রান্তরে, ফাঁকা রাস্তায়, অথবা বাড়ীর ছাদে হাঁটা চলা করতে দেখলে, নীরব জায়গা দিয়ে কাউকে যেতে দেখলে কোনো কারণ ছাড়াই জ্বীন শয়তান আসর করতে পারে। যেমনঃ অনেক খারাপ মানুষ অহেতুক অন্যদেরকে কষ্ট দেয় তেমনি দুষ্ট জ্বীনরাও একই কাজ করে।
গ)কোনো যাদুকর বা কবিরাজ কারো ক্ষতি করার জন্য যাদু বা তাবীজের মাধ্যমে জ্বীন পাঠাতে পারে। আমাদের দেশে ইহাকে “জ্বীন চালান দেয়া বলে।”
ঘ) কোনো ছেলে বা মেয়ে জ্বীন বিপরীত লিঙ্গের কোনো মানুষকে দেখে তার উপর আকৃষ্ট হয়ে তাকে পাওয়ার জন্য আসর করতে পারে।
ঙ) মানুষ যদি জ্বীনের ক্ষতি করে তাহলে জ্বীনেরা প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসর করতে পারে। যেমনঃ ভুলবসতঃ সাপরূপি কোন জ্বীনকে মেরে ফেলা। তাদের চলাচলের যায়গায় পেশাব করা, তাদের উপর গরম পানি ফেলা, এমন কোন গাছ কেটে ফেলা যেখানে জ্বীনদের বসবাস ছিল ইত্যাদি।
চ) পূরোনো কোনো শত্রুতার কারণে জ্বীন আসর করতে পারে। অথবা অন্য কোনো ক্ষতি করতে পারে। যেমনঃ বাবা, দাদা অথবা তার আগের কেউ কোনো জ্বীনকে ইচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে হত্যা করছিল। জ্বীনেরা এর বদলা নিতে সন্তানদের উপর ক্ষতি করে।
ছ) কোনো কোনো জ্বীন ভুলে মানুষের ক্ষতি করে। যেমনঃ কোনো যাদুকর কোনো বোকা জ্বীনকে কারো ক্ষতি করার জন্য পাঠিয়েছে; কিন্তু সে ভুলে অন্য কাউকে লক্ষ্য বানিয়েছে।
উপরোক্ত কারনে বেশির ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়। জ্বীনের রুকাইয়া করার সময় কেন ধরেছে জিজ্ঞাসা করলে অধিকাংশ সময় মিথা বলে থাকে। তাই জ্বীনেরা কোনো একটা কারণ বললেই তা বিশ্বাস করার দরকার নেই।
বাড়িতে জ্বীনের সমস্যা বুঝার উপায়ঃ
অনেক বাড়িতে অস্বাভাবিক কিছু সমস্যাঃ
ক)বিভিন্ন ছায়া বা আকৃতি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা,
খ) রাতে বা কেউ যখন বাড়িতে থাকে না, তখন রান্নাঘর, ছাদ বা অন্যান্য কামরা থেকে আওয়াজ আসা,
গ)ফাঁকা ঘর, ছাদ, দরজার পেছন থেকে বা উঠান থেকে অথবা ঘরের পেছন থেকে বাড়ির লোকদের নাম ধরে ডাকছে এমন শোনা,
ঘ)বাহিরে বা অন্য যায়গায় অবস্থান করছে এমন কাউকে বাড়িতে দেখতে পাওয়া,
ঙ)টয়লেটের ট্যাপ, ঝরনা এমনিতেই চালু হয়ে যাওয়া, লাইট ফ্যান অন অফ হওয়া, দরজা জানালা বারবার খোলা বন্ধ হওয়া,
চ) নিজেরা না করলেও ঘরের জিনিসপত্র বারবার লন্ডভন্ড হওয়া, এক যায়গার জিনিস অন্য জায়গায় পাওয়া,
ছ) অকারণে গ্লাস বা আয়না ভেঙ্গে যাওয়া,
জ) অদ্ভুতভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া,
ঝ) ঘুমের সময় কাঁথা কম্বল টান দিয়ে বিরক্ত করা,
ঞ) রাত্রে বাড়ির আশেপাশে কুকুরের অতিরিক্ত ঘেউ ঘেউ করা,
ট) বাড়িতে সাপের আনাগোনা,
ঠ) একাকী ঘরে ঢুকলে ভয় ভয় লাগা,
ড) বাড়ীর আশে পাশে অন্ধকার যায়গায়, বাথরুমে, বা গাছের ডালে কান্নার আওয়াজ, গোঁঙ্গানীর শব্দ, অট্টহাসির আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
জ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আল্লামা জালাল উদ্দিন সূয়ুতি (রহঃ) এর জ্বীন জাতীর বিস্ময়কর ইতিহাস বইটি পড়তে পারেন।
বদনজরে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহঃ
ক) শরীরে জ্বরর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না ওঠা। এধরনের কোনো অসুখ থাকা কিন্তু মেডিকেল টেষ্টে ধরা না পড়া।
খ) একের পর এক রকমারি সব অসুখ লেগে থাকা। একটা অসুফ ভালো হতে না হতেই আরেকটা শুরু হওয়া।
গ) সাধারণ রোগব্যাধি (সর্দি, কাশি, , জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি) দেখা দিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও তা ভালো না হওয়া, ঔষধে কাজ না করা।
ঘ) পড়াশোনা বা কোনো কাজে মন না বসা। নামাজ, জিকির আজকারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। কিছুতেই মনোযোগ দিতে না পারা।
ঙ) প্রায়ই শরীর দুর্ব্ল থাকা। বমি বমি ভাব হওয়া।
চ) সব সময় ঘুম ঘুম ভাব, সারাদিন হাই ওঠা।
ছ) ক্ষুধামন্দা, খাবারে অরুচি থাকা।
জ) অহেতুক মেজাজ বিগড়ে যাওয়া।
ঝ) বুক ধড়ফড় করা, দম বন্ধ বা অস্বস্থি লাগা।
ঞ) কাঁধ ভারি হয়ে থাকা। বিনা কারণেই মাথা ঝিম ধরে থাকা।
ট) পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া। এজন্য ওষুধ সেবনে কোন ফায়দা না হওয়া।
ঠ) অতিরিক্ত চুল পড়া। এজন্য ওষুধ বা শ্যাম্পু ব্যাবহারে ফায়দা না হওয়া।
ড) হাত পায়ে মাঝে মধ্যেই ব্যথা অনুভব করা। কিংবা পুরা শরীরে ব্যাথা অনুভব করা।
ঢ) শরীরের কোনো যায়গায় গোসতে গুটলির মতো অনুভব করা।
ণ) কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা। এটা জ্বীনে ধরা রোগীরও লক্ষণ।
ত) আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাত করতে ভালো না লাগা।
থ) চাকুরী, ব্যবসায়, আয়-রোজগারে ঝামেলা লেগেই থাকা। কোনোভাবেই উন্নতি না হওয়া।
দ) যে কাজে ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা করতে গেলেই ঝামেলা হওয়া কিংবা অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
ধ) স্বপ্নের মাঝে বোরখা পড়া কাউকে দেখা যার শুধু চোখ খোলা থাকে কিংবা লাল চোখ ওয়ালা মানুষ দেখা।
ন) স্বপ্নে মরা মানুষ দেখা অথবা নিজেকে মৃত অবস্থায় দেখা।
প) চোখ, হাত মুখ ফ্যাকাশে থাকা, চোখ লাল থাকা। ঘুমালে বা ওষুধ ব্যাবহারের পরেও একই অবস্থা থাকা।
ফ) জন্ডিজের আলামত থাকা। ওষুধ সেবনে কোনো প্রতিকার না হওয়া।
উল্লিখিত বিষয়গুলি এমন নয় যে, শুধু বদনজরের কারনেই এসব হয়। অন্য কারণেও হতে পারে।এর কিছু কারণ্ জ্বীনের সমস্যা, বা যাদুর সমস্যার কারণেও হতে পারে। জ্বীনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ যদি মিলে যায় সম্ভবত জ্বীনের নজর লেগেছে বুঝতে হবে। এটাকে আমাদের দেশে “বাতাস লাগা” বলে। এই জ্বীনের নজরের ক্ষেত্রে আরো কিছু সমস্যা হয়। যেমনঃ বাচ্চাদের অহেতুক ভয় পাওয়া। বাচ্চারা রাত্রে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করা বা অস্বাভাবিক কান্না করা। বড়দের ক্ষেত্রে এমন হওয়া যে, আশেপাশে কেউ আছে বলে মনে হওয়া। বাস্তবে কেউ নাই। ঘরে কেউ না থাকা সত্ত্বেও ছায়ার মতো কিছু চলাচল করতে দেখা। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হওয়া। ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া। যাই হোক নিয়মিত বদনজরের রুকাইয়া করালেই সুস্থ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। বদনজরের সমস্যা লক্ষণ শুনেই বুঝা যায়। নিশ্চিৎ হওয়ার জন্য রুকাইয়া করিয়ে দেখা যেতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ
# রুকইয়া
# কুরআনী চিকিৎসা
বিস্তারিত জানার জন্য :
কল করুন অথবা ইনবক্স করুন।
01861533085,
01740114087 (WhatsApp)
আমাদের সেবা সমূহ :
# কুরআনী চিকিৎসা ( শরীয়াহ পদ্ধতিতে )
# বদনজর, জ্বিন, যাদুটোনা চিকিৎসা
# বিবাহ-শাদি সংক্রান্ত
# ব্যবসা-বাণিজ্য ও আয়-ব্যয় সংক্রান্ত
# সংসারে উন্নতি
# যৌন ও বন্ধ্যাত্ব
# হারবাল ও ভেষজ
# লিকুরিয়া ও জন্ডিস
পাইকারী পণ্য :
# মধু, ঘি, সরিষার তৈল, কালজিরা তৈল,
# নারিকেল তৈল, সিয়াসিড
# হারবাল প্রোডাক্ট
Quranic Ruqyah জ্বিন, যাদু, বদনজর সহ যেকোনো কুরআনী ও হারবাল চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
আসসালামু আলাইকুম।
মহান আল্লাহ তা,য়ালার কোটি কোটি নিয়ামতের মধ্যে সন্তানাদি একটি বড় নিয়ামত। আল্লাহ তায়ালার খুশি অনুযায়ী আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে এই নিয়ামত দান করেন। আবার অনেককে সন্তানাদির নিয়ামত থেকে বঞ্চিত রাখেন। আল্লাহ তা’য়ালার অসীম কুদরতের উপর কারো শক্তি নাই। শক্তি নাই বিধায় আল্লাহ তায়ালার বিরোধী শক্তি ”জন্মনিয়ন্ত্রণ” নামক পদ্ধতির আবিষ্কার করে। জন্মনিয়ন্ত্রণের হাজারো পদ্ধতিকে ব্যর্থ করে আল্লাহর কুদরতে জনসংখ্যা কমছে না বরং দিন দিন বেড়েই চলছে। আলহামদুলিল্লাহ।
তথাপিও একদল জ্ঞানহীন মূর্খ মানব আল্লাহ তায়ালার এ মহান কুদরতকে অস্বীকার করে বিভিন্ন ভন্ড প্রতারক ওঝা, বৈদ্য, কবিরাজ তথা মাজারে দৌড়ায় সন্তান লাভের আশায়।
আল্লাহ তা’য়ালা মানব জাতিকে শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে দুনিয়ায় চার ধরনের মানুষ তৈরি করেছেন।
1) হযরত আদম (আ:) - যাকে সৃষ্টি করতে পৃথিবীর উৎকৃষ্ট মাটি ব্যবহার করেছেন। কিয়ামত পর্যন্ত এভাবে আর কাউকে সৃষ্টি করবেন না।
2) হযরত মা হাওয়া (আ:) যাকে একজন পুরুষ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। বাবা আদম (আ:) এর বাম পাশের হাডি্ডর মগজ থেকে সৃষ্টি করেছেন। এ ধরনের সৃষ্টিও কিয়ামত পর্যন্ত হবে না।
3) হযরত ঈসা (আ:) - শুধু মাত্র একজন মহিলা ( বিবি মরিয়ম আ:) থেকে পুরুষের সংস্পর্শ ব্যাতীত আল্লাহ তায়ালা নিজ কুদরতে হযরত ঈসা আ: কে সৃষ্টি করেছেন। এ পদ্ধতিও কিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ।
4) উপরোক্ত তিন পদ্ধতি ব্যতীত যত মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ জন্মগ্রহণ করবে অবশ্যই অবশ্যই পুরুষ এবং মহিলার সংস্পর্ষে জন্মগ্রহণ করেছে বা করবে। যদি বিবাহের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় তাহলে তাকে বলা হয় বৈধ সন্তান। আর বিবাহ বহির্ভূত জন্ম নেয়া সন্তানকে অবৈধ বা জারজ সন্তান বলা হয়। কেউ মানুক বা না মানুক। এটাই বাস্তবতা।
আজকাল অনেকেই সন্তান হওয়ার তদবীরের জন্য বিভিন্ন ওঝা বৈদ্য কবিরাজের কাছে দৌড়ায় পানি পড়া আর তাবীজের জন্য। অনেকে মহাখুশি স্বামীর কিছু না থাকলেও পানি খেয়েই বাচ্চা হয়ে গেছে। ( লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
অথচ যে আল্লাহ তায়ালার মহান কুদতের একটি অংশ সন্তান জন্ম হওয়া, সেই আল্লাহ তায়াকে ভুলে গিয়ে সন্তানের জন্য পীর ফকির ওঝা বৈদ্যের কাছে দৌড়াই। কী আজীব ব্যাপার রে বাবা।
হযরত ইব্রাহিম আ: সন্তানের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেছেন - رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ - হযরত ইব্রাহিম আ: এর আদর্শ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালার কাছেই সন্তান চাইতে হবে। কোনো মাজারে বা পীর ফকির، ওঝা কবিরাজ বৈদ্যের কাছে নয়।
সর্বশেষ বিনীত অনুরোধ - যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা সন্তান দিয়েছেন তারা বলুন আলহামদুলিল্লাহ । তাদেরকে নেক সন্তান হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন যাতে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। আর যাদের সন্তান নেই তারা সবর করুন এবং উপরোক্ত দোয়াটি পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করুন। নিয়মিত নামাজ আদায় করুন সুন্নতের পাবন্দি করুন। সন্তান দেয়ার মালিক আল্লাহ তা’য়ালা। মাজারে، খানকায়، পীর ফকিরের দরবারে কোনো ওঝা বৈদ্য কবিরাজের কাছে গিয়া নিজের ঈমান আকিদা সম্ভ্রম হারিয়ে সন্তান পাওয়ার কোনো পদ্ধতি নেই।
চতুর্থ প্রকার পদ্ধতিই হলো কিয়ামত পর্যন্ত সন্তান পাওয়ার মাধ্যম । তা আবার দুই প্রকার । স্বামী স্ত্রী সম্পর্কের মাধ্যমে জন্মানো বৈধ সন্তান। স্বামী ব্যতীত অন্য সকল মাধ্যমে জন্মানো অবৈধ সন্তান। এবার বিবেচনায় নিন কোন পদ্ধতি গ্রহণ করবেন ?
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বৈধ নেক সন্তানের অধিকারী করুন। আমিন।
বন্ধ্যাত্ব বিষয় নিয়ে কিছু কথা :
বন্ধ্যাত্ব এটি রোগ নয়।
বন্ধ্যাত্ব হচ্ছে স্বামী বা স্ত্রী সন্তান জন্মদানে বা গ্রহণে অক্ষম হওয়া। এই অক্ষমতা আল্লাহ প্রদত্ত্বও হতে পারে যাকে আমরা চির বন্ধ্যা বলে থাকি। এর কোনো প্রতিকার নেই। একমাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া ব্যাতীত।
এছাড়া বন্ধ্যাত্বের অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক কারণও থাকতে পারে।
যার কারণে সন্তান না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
একজন ডাক্তার - ”মিয়া বিবির মিলন বিধান” বইটিতে এর অনেকগুলো কারণ উল্লেখ করেছেন।
1) অনিয়মিত মাসিক হওয়া।
2) মাসিকের সময় অথবা মাসিকের আগে পরে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।
3) অপ্রাপ্ত বয়স্কা মেয়েরা কোনো ভাবে জরায়ুতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া।
4) অবিবাহিত অবস্থায় সচরাচর মিলামিশা করা এবং জন্মনিরোধক বড়ি খাওয়া।
5) জ্বিন ও যাদুর প্রভাবে বাচ্চাদানি নষ্ট হয়ে যাওয়া অথবা ভ্রুন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
6) অতিরিক্ত সাদাস্রাব বা লিকুরিয়া ।
7) পুরুষের হস্তমৈথুনের মতো বদঅভ্যাসের কারণে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ থাকতে পারে ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে তা জানা যেতে পারে।
উপরোক্ত সমস্যা সমাধান ডাক্তারী পদ্ধতি বা রুকইয়া দ্বারা সম্ভব হলেও সন্তান দেয়ার মালিক কিন্তু একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কারো সাধ্য নাই কিয়ামত পর্যন্ত একটি সন্তান দিতে পারে। সুতরাং যাদের সন্তান নেই বা সন্তান হয়েও মরে যায় বাঁচে না তারা প্রথমে আল্লাহ তায়ালার উপর নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সোপর্দ করুন। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালা নিকট সাহায্য চান। পাশাপাশি ডাক্তারী সমস্যা থাকলে ডাক্তারী চিকিৎসা সেবা নিন। আর যদি জ্বিন যাদু বদনজর সমস্যা থাকে তাহলে ভালো কোনো রাকীর পরামর্শ নিন।
মাজারে، খানকায়، পীর সাহেব، বাবা দয়াল، ভন্ড কবিরাজ، ওঝা বৈদ্য، কিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও একজন সন্তান দেয়ার ক্ষমতা রাখে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল সহজ সরল মা বোনদের এ জাতীয় ফিতনা থেকে হেফাজত করুন । আমিন ।
বিস্তারিত জানার জন্য :
কল করুন অথবা ইনবক্স করুন।
01861533085,
01828117155,
01740114087 (WhatsUp)
আমাদের সেবা সমূহ :
# কুরআনী চিকিৎসা ( শরীয়াহ পদ্ধতিতে )
# বদনজর, জ্বিন, যাদুটোনা চিকিৎসা
# বিবাহ-শাদি সংক্রান্ত
# ব্যবসা-বাণিজ্য ও আয়-ব্যয় সংক্রান্ত
# সংসারে উন্নতি
# যৌন ও বন্ধ্যাত্ব
# হারবাল ও ভেষজ
# লিকুরিয়া ও জন্ডিস
বি: দ্র: হারবাল ও ভেষজ ঔষধ কেবল মাত্র 18 বয়সের উর্ধ্বে বিবাহিতরাই নিতে পারবেন।
পাইকারী পণ্য :
# মধু, ঘি, সরিষার তৈল
# হারবাল প্রোডাক্ট
সামান্য একটু মাথা ব্যাথা হলেও দৌড়াইয়া ডাক্তারের কাছে যাই, ওষধে কাজ না হলে অন্য ওষধ পরিবর্তন করে নেই। অথচ কুরআনী চিকিৎসা একটা চিকিৎসা পদ্ধতি তা কেউ কেউ মানতে চাইলেও অনেকের ঈমান আকিদা বিশ্বাস থাকে কম। আবার কেউ কেউ মোবাইলেই কুরআনী চিকিৎসা করার কথা বলে। কেন রে ভাই? সমস্যা আপনার, অথচ একজন কুরআনী চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না। বছরের পর বছর ভুক্তভোগী হয়ে থাকতে পারেন। অথচ, ফোনে ফোনে সব চিকিৎসা করাতে চান। এটা কি সম্ভব? এজন্য ধোকায় পড়ে অনেকে ঈমান আকিদা সব হারায়। পরে শুধু আফসোস করে।
রুকইয়া কি?
আভিধানিক অর্থ :
রুকইয়া মানে ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র, সম্মোহন, যাদু, তাবিজ, কবচ ইত্যাদি। শরীয়তের পরিভাষায় রুকইয়া হচ্ছে কোনো ব্যক্তি যখন কুরআনের আয়াত, দুয়া, কিংবা আল্লাহ তায়ালার কোনো নাম বা সিফাত বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে - যেমন: নিজের জন্য বা অন্য কোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য একমাত্র আল্লাহর সাহায্য চেয়ে পাঠ করা। ইহাকেই শরীয়তের পরিভাষায় রুকইয়া বলা হয়।
কেনো রুকইয়া করবেন?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে এর চিকিৎসা থাকুক বা না থাকুক, শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক রোগের জন্য রুকইয়া করা হয়। রুকইয়া কোনো যাদুমন্ত্র নয়, দ্রুত বিয়ে হওয়ার তদবির নয়, পরীক্ষায় বা ব্যবসায় উন্নতির অজিফা নয়। বরং এটা একটা চিকিৎসা পদ্ধতি মাত্র যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করা হয় যা শরীয়ত সম্মত।
যাদু টোনার লক্ষণসমূহ :
বিমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বিভিন্ন ধরনের যাদু টোনা বা কুফুরিকালাম এ আক্রান্তদের বিভিন্ন রকম উপসর্গ কিছু লক্ষন দিলাম মিলিয়ে দেখুন......
1। একাকী সময় কাটানো। নীরব থাকা, কেউ কথা বলতে চাইলে বিরক্ত মনে করা। বুক ধরফড় করা। খাবারে অরুচি হওয়া। শরীর ব্যাথা বেদনা করা। অবসাদগ্রস্থ থাকা। মাঝে মধ্যে বমি বমি ভাব হওয়া।, বদহজম হওয়া।
যদি আপনি স্বপ্নে মল মুত্র দেখেন, অথবা নিজেকে বা অন্যকে মলমুত্রে মাখানো দেখে থাকেন অথবা নিজেকে নোংরা পুকুর বা পানিতে গোসল করতে দেখেন,স্বপ্নে জিনা করতে দেখেন,মহিলা বা পুরুষ কে নগ্ন দেখেন ।
2। যৌন ক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাওয়া, মেয়ে বাজি করা, মাদক আসক্ত হওয়া,ধর্ম কর্ম এর অনুশাসন না মানা, নামাজ কালাম পড়তে ইচ্ছা না করা , ভুল পথে চালিত হওয়া।
3। প্রায় ই মাথা ধরা বা ব্যাথাহয়ে থাকে, চেহারায় ও মাথায় গোটা হওয়া,
চেহারা কালো হওয়া, চেহারার উজ্জ্বলতা কমে ভয়ানক হয়ে যাওয়া ।
4। গলা বা কণ্ঠ খারাপ থাকা, চোখ লাল থাকা, জ্বালা করা
সর্ব শরীরে সূচ এর খোঁচার মতো করা, শরীর জ্বালাপোড়া করা ।
5। হাঁটু তে কব্জি তে কোমরে, ঘাড়ে এবং শরীরের হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা করা, শরীর কাপুনি দেয়া, অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া ।
6। শরীর সব সময় গরম থাকা, নাক, মুখ, হাতের তালু, পায়ের পাতা দিয়ে গরম ভাপ বের হওয়া বা জ্বালাপোড়া করা।
7। হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মনে যে কোন ব্যাপারে ভয় লাগা, মন ঘাবড়ানো, মনে আজব আজব চিন্তা আসা, দিনে বা রাতে আজেবাজে ভয়ানক স্বপ্ন দেখা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, শ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়া।
8। খাবার খাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আবার ক্ষিদা লাগা,
শরীর লিকলিকে হওয়া যাওয়া, পেটে ব্যাথা থাকা, পেট ফুলে থাকা,
পায়খানা, প্রস্রাবে, গ্যাস এ প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হওয়া।
9। দিনে দিনে শরীরের শক্তি কমে যাওয়া, মাথা ভারী হওয়া, শরীর ভারী হওয়া, ঔষধ কাজ না করা , ঔষধ প্রথমে কাজ করলেও পড়ে রিএকশন করা, যেকোনো কাজ হওয়ার কথা থাকলেও হয়না, কোনোকিছু ই এগোয় না, কাজ করার ইচ্ছা কমে যাওয়া, সোজাকথায় দিনে দিনে অলস হয়ে যাওয়া ।
এছাড়াও আরো অনেক আলামত আছে যা পরবর্তীতে পোষ্ট করব ইন শা আল্লাহ।
যাদুর প্র্রতিকার:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যাদুটোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:
এক: যাদুকর কিভাবে যাদু করেছে সেটা আগে জানতে হবে। উদাহরণতঃ যদি জানা যায় যে, যাদুকর কিছু চুল নির্দিষ্ট কোন স্থানে অথবা চিরুনির মধ্যে অথবা অন্য কোন স্থানে রেখে দিয়েছে। যদি স্থানটি জানা যায় তাহলে সে জিনিসটি পুড়িয়ে ফেলে ধ্বংস করে ফেলতে হবে যাতে যাদুর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, যাদুকর যা করতে চেয়েছে সেটা বাতিল হয়ে যায়।
দুই: যাদু নষ্ট করার ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে: এর পদ্ধতি হচ্ছে-
যাদুতে আক্রান্ত রোগীর উপর অথবা কোন একটি পাত্রে আয়াতুল কুরসি অথবা সূরা আরাফ, সূরা ইউনুস, সূরা ত্বহা এর যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়বে। এগুলোর সাথে সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে এবং রোগীর জন্য দোয়া করবে।
দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর যাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে পানি পান করবে। আর অবশিষ্ট পানি দিয়ে প্রয়োজনমত একবার বা একাধিক বার গোসল করবে। তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী আরোগ্য লাভ করবে।
তিন : সাতটি কাঁচা বড়ই পাতা সংগ্রহ করে পাতাগুলো গুঁঁড়া করবে। এরপর গুঁড়াগুলো পানিতে মিশিয়ে সে পানিতে উল্লেখিত আয়াত ও দোয়াগুলো পড়ে ফুঁ দিবে। তারপর সে পানি পানি করবে; আর কিছু পানি দিয়ে গোসল করবে। যদি কোন পুরুষকে স্ত্রী-সহবাস থেকে অক্ষম করে রাখা হয় সেক্ষেত্রেও এ আমলটি উপকারী। সাতটি বড়ই পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখবে। তারপর সে পানিতে উল্লেখিত আয়াত ও দোয়াগুলো পড়ে ফুঁ দিবে। এরপর সে পানি পান করবে ও কিছু পানি দিয়ে গোসল করবে।
যাদুগ্রস্ত রোগী ও স্ত্রী সহবাসে অক্ষম করে দেয়া ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য বরই পাতার পানিতে যে আয়াত ও দোয়াগুলো পড়তে হবে সেগুলো নিম্নরূপ:
১- সূরা ফাতিহা পড়া।
২- আয়াতুল কুরসি তথা সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত পড়া।
اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَاۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ
৩- সূরা আরাফের যাদু বিষয়ক আয়াতগুলো পড়া। সে আয়াতগুলো হচ্ছে-
قَالَ إِنْ كُنْتَ جِئْتَ بِآيَةٍ فَأْتِ بِهَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ (106) فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُبِينٌ (107) وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ (108) قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ إِنَّ هَذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ (109) يُرِيدُ أَنْ يُخْرِجَكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ (110) قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَأَرْسِلْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ (111) يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَاحِرٍ عَلِيمٍ (112) وَجَاءَ السَّحَرَةُ فِرْعَوْنَ قَالُوا إِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِنْ كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ (113) قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ لَمِنَ الْمُقَرَّبِينَ (114) قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَحْنُ الْمُلْقِينَ (115) قَالَ أَلْقُوا فَلَمَّا أَلْقَوْا سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءُوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ (116) وَأَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ (117) فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (118) فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ (119) وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ (120)قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ (121) رَبِّ مُوسَى وَهَارُونَ (122)
[সূরা আরাফ, আয়াত: ১০৬-১২২]
৪- সূরা ইউনুসের যাদুবিষয়ক আয়াতগুলো পড়া। সেগুলো হচ্ছে-
وَقَالَ فِرْعَوْنُ ائْتُونِي بِكُلِّ سَاحِرٍ عَلِيمٍ (79) فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالَ لَهُمْ مُوسَى أَلْقُوا مَا أَنْتُمْ مُلْقُونَ (80) فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَى مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81) وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ
[সূরা ইউনুস, আয়াত: ৭৯-৮২]
৫- সূরা ত্বহা এর আয়াতগুলো পড়া। সেগুলো হচ্ছে-
قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى (65) قَالَ بَلْ أَلْقُوا فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِنْ سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَى (66) فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُوسَى (67) قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعْلَى (68) وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى (69)
[সূরা ত্বহা, আয়াত: ৬৫-৬৯]
৬- সূরা কাফিরুন পড়া।
৭- সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস ৩ বার করে পড়া।
৮- কিছু দোয়া দরুদ পড়া।
জ্বীনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ :
ক) নিদ্রাহীনতা, উদ্বিগ্নতা: রাত্রে ঘুম না হওয়া, হলেও খুব কম হয়। রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া।
খ) ঘন ঘন বোবায় ধরা। ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরেছে এমন অনুভূত হওয়া, নড়াচড়া করতে না পারা।
গ) ঘুমের মধ্যে প্রায়ই চিৎকার করা, গোঙ্গানী বা হাসি কান্না করা।
ঘ) ঘুমের মধ্যে হাঁটা বা কোনো দিকে দৌড় দেয়া।
ঙ) স্বপ্নে কোনো প্রাণী আক্রমন বা ধাওয়া করতে দেখা। যেমন: কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, গরু মহিষ, বাঘ, সিংহ, শিয়াল, সাপ, বা এই ধরণের হিংস্র প্রাণী। যদি স্বপ্নে দুই তিনটা প্রানী বা তার অধিক প্রাণী আক্রমন করতে আসতেছে দেখে তাহলে বুঝতে হবে তার সাথে কয়েকটি জ্বীন আছে।
চ) স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
ছ) স্বপ্নে কোনো গোরোস্থান, পরিত্যাক্ত যায়গা, নদী অথবা মরুভূমি সড়ক দেখা। শূন্যে উড়তে দেখা বা সাগরে ডুবে যেতে দেখা। এটি জ্বীনের পাশাপাশি যাদু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণও বহন করে।বারবার একই যায়গা দেখলে সেখানে যাদুর জিনিসগুলি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জ) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমনঃ অনেক লম্বা বা খাটো, খুব কালো বা ধবধবে সাদা। যদি মানুষটাকে বিশেষ কোনো চিহ্ন বিশিষ্ট দেখা যায় যেমনঃ হিন্দুদের মতো ধুতি পরা বা পূজার মুর্তির মতো কাউকে দেখলে বুঝতে হবে জ্বীনটা হিন্দু। যদি সবসময় পুরুষ কাউকে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে জ্বীনটা পুরুষ।
ঝ) স্বপ্নে জ্বীন ভুত দেখা বা ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখা।
ঞ) ঘন ঘন মরা লাশ দেখা বা স্বপ্নে কাউকে মেরে ফেলতে দেখা বা নিজেকে মেরে ফেলতে দেখা।
ট) কোনো কারণ ছাড়া মাথা বা মাথার কোনো অংশ ব্যথা করা। যেমনঃ চোখ, দাঁত, কান, ঘাড়ের সমস্যা না থাকলে, প্রেশার নাই, এমনিতেই মাথা ব্যাথা। ডাক্তারি চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফল না পাওয়া বা ঔষধ খাওয়ার পরও কেনো পরিবতন না হওয়া।
ঠ)শরীয়তের হুকুম আহকাম মানার মধ্যে গাফিলতিঃ যেমন- নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির আজকার থেকে আগ্রহ কমে যাওয়া বা উঠে যাওয়া। দিন দিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওযা। দিল থেকে আল্লাহর ভয় উঠে যাওয়া।
ড) মেজাজ খিটখিটে হওয়া, কিছুতেই মন না বসা। কোনো কারণ ছাড়াই যেকোন কারো সাথে হঠাৎ রেগে যাওয়া। হঠাৎ কান্নাকটি করা।
ঢ) বিশেষ কারণ ছাড়াই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। বুক ধড়ফড় করা। সাধারণ কাউকে দেখলে মনের মধ্যে ভয় যাগা।
ণ) হঠাৎ অজ্ঞান বা বেহুঁস হয়ে যাওয়া, দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়া। ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত কাটা। এটা একটা গুরুত্বপূণ লক্ষণ।
ত)মৃগিরোগ আরেকটি গুরুত্বপূণ লক্ষণ।
থ) অস্বাভাবিক আচরণ করা। কারো সাথে কথা বলতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। উল্টাপাল্টা কথা বলে ঝগড়া ফ্যাসাদের সৃষ্টি করা।
দ)শরীরের কোনো অংগে প্রায় সময় ব্যাথা থাকা কিংবা একদম বিকল হয়ে যাওয়া। প্যারালাইসিস এর মতো হয়ে যাওয়। ডাক্তাররা কোনো সমস্যা খুঁজে না পাওয়া। অনেকদিনের পুরোনো ব্যাথা বা বিকলাঙ্গ জ্বীন, যাদু, বদ নজরের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।
ধ)ব্যাপক অলসতা, অবসন্নতা ঘিরে রাখা, শরীরে কাঁপুনি বা ভারি হয়ে যাওয়া অনুভব করা।
ন) কুরআন কারীমের তিলাওয়াত, আজান, দোয়া দরুদ সহ্য না করা।
প) নিজের সন্তানকে বুকের দুধ খেতে না দেয়া। খেতে দিলে সন্তানের পাতলা পায়খানা মতো হওয়া। অথবা সন্তান দুধ খেতে না চাওয়া।
ফ) জাগ্রত অবস্থায় বিভিন্ন জিনিস দেখতে পাওয়া যা সাধারণ মানুষের চোখে দৃষ্টিগোচর হয় না।রাত্রে চলাচলের সময় ভয় পাওয়া। এমন মনে হওয়া কেউ যেন পেছনে আছে বা কেউ ডাকছে বলে মনে হওয়া। পেছনে তাকালে কাউকে না দেখা।
ব) জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হলে রোগীর মাঝে মাঝে জ্বীনের স্বভাব প্রকাশ পায়। যেমনঃ কেউ মুশরিক জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হলে হিন্দুদের মতো সাজগোজ, মন্দিরের আওয়াজ, গান বাজনা ইত্যাদিরর প্রতি আকষণ তৈরি হওয়া।
ভ) এছাড়া জ্বীনের রোগীর সাথে বিভিন্ন অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। যেমনঃ রাতে কারো ব্যাপারে দুঘটনার স্বপ্ন দেখা এবং দিনে তা বাস্তবে সত্যি হয়ে যাওয়া। কারো উপরে রেগে গিয়ে অভিশাপ দিলে তার ক্ষতি হওয়া। সড়ক দুঘটনা থেকে আকষ্মিকভাবে বেঁচে যাওয়া ইত্যাদি।
মনে রাখবেনঃ এর মধ্যে শারিরিক এবং মানষিক রোগের লক্ষণ মিলে যেতে পারে। যদি শারিরীক এবং মানষিক রোগী দীর্স্থাবংয়ী হয়, বা কোনো সুরাহা না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে কোনো না কোনো সমস্যা আছে। আর একটা বিশয় লক্ষণীয়, জ্বীন যখন কোনো মানবদেহে আছর করে, তখন মানুষের উপর অবশ্যই যাদু করে তারপর তার উপরে আছর করে। এজন্য জ্বীনের চিকিৎসার সাথে সাথে অবশ্যই যাদু এবং বদনজরের চিকিৎসা করবেন। নিজে যদি না পারেন তাহলে অভিজ্ঞ কোনো শরঈ রাকীর মাধ্যমে রুকাইয়া করালে মূল বিষয়টা ইন শা আল্লাহ বুঝা যাবে।
কেন মানুষের উপর জ্বীন আসর করে?
সাধারণত কয়েকটি কারনে জ্বীন মানুষের উপর আসর করে।
ক) নোংরা, নাপাক বা খারাপ যায়গায় অবস্থান করলে অথবা দীর্ঘক্ষণ নাপাক থাকলে জ্বীন ক্ষতি করতে পারে। এ কারণেই এ ধরনের সময়গুলোতে পড়ার জন্য হাদীসে নির্দেশিত দুআ সমূহে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। (যেমনঃ টয়লেটে ঢুকার আগে দুআ, স্ত্রী সহবাসের দুআ, নতুন যায়গায় যাওয়ার দুআ)
খ) মাঝরাতে, সন্ধ্যাবেলা বা ভরদুপুরে কাউকে কোনো জনমানবহীন প্রান্তরে, ফাঁকা রাস্তায়, অথবা বাড়ীর ছাদে হাঁটা চলা করতে দেখলে, নীরব জায়গা দিয়ে কাউকে যেতে দেখলে কোনো কারণ ছাড়াই জ্বীন শয়তান আসর করতে পারে। যেমনঃ অনেক খারাপ মানুষ অহেতুক অন্যদেরকে কষ্ট দেয় তেমনি দুষ্ট জ্বীনরাও একই কাজ করে।
গ)কোনো যাদুকর বা কবিরাজ কারো ক্ষতি করার জন্য যাদু বা তাবীজের মাধ্যমে জ্বীন পাঠাতে পারে। আমাদের দেশে ইহাকে “জ্বীন চালান দেয়া বলে।”
ঘ) কোনো ছেলে বা মেয়ে জ্বীন বিপরীত লিঙ্গের কোনো মানুষকে দেখে তার উপর আকৃষ্ট হয়ে তাকে পাওয়ার জন্য আসর করতে পারে।
ঙ) মানুষ যদি জ্বীনের ক্ষতি করে তাহলে জ্বীনেরা প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আসর করতে পারে। যেমনঃ ভুলবসতঃ সাপরূপি কোন জ্বীনকে মেরে ফেলা। তাদের চলাচলের যায়গায় পেশাব করা, তাদের উপর গরম পানি ফেলা, এমন কোন গাছ কেটে ফেলা যেখানে জ্বীনদের বসবাস ছিল ইত্যাদি।
চ) পূরোনো কোনো শত্রুতার কারণে জ্বীন আসর করতে পারে। অথবা অন্য কোনো ক্ষতি করতে পারে। যেমনঃ বাবা, দাদা অথবা তার আগের কেউ কোনো জ্বীনকে ইচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে হত্যা করছিল। জ্বীনেরা এর বদলা নিতে সন্তানদের উপর ক্ষতি করে।
ছ) কোনো কোনো জ্বীন ভুলে মানুষের ক্ষতি করে। যেমনঃ কোনো যাদুকর কোনো বোকা জ্বীনকে কারো ক্ষতি করার জন্য পাঠিয়েছে; কিন্তু সে ভুলে অন্য কাউকে লক্ষ্য বানিয়েছে।
উপরোক্ত কারনে বেশির ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়। জ্বীনের রুকাইয়া করার সময় কেন ধরেছে জিজ্ঞাসা করলে অধিকাংশ সময় মিথা বলে থাকে। তাই জ্বীনেরা কোনো একটা কারণ বললেই তা বিশ্বাস করার দরকার নেই।
বাড়িতে জ্বীনের সমস্যা বুঝার উপায়ঃ
অনেক বাড়িতে অস্বাভাবিক কিছু সমস্যাঃ
ক)বিভিন্ন ছায়া বা আকৃতি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা,
খ) রাতে বা কেউ যখন বাড়িতে থাকে না, তখন রান্নাঘর, ছাদ বা অন্যান্য কামরা থেকে আওয়াজ আসা,
গ)ফাঁকা ঘর, ছাদ, দরজার পেছন থেকে বা উঠান থেকে অথবা ঘরের পেছন থেকে বাড়ির লোকদের নাম ধরে ডাকছে এমন শোনা,
ঘ)বাহিরে বা অন্য যায়গায় অবস্থান করছে এমন কাউকে বাড়িতে দেখতে পাওয়া,
ঙ)টয়লেটের ট্যাপ, ঝরনা এমনিতেই চালু হয়ে যাওয়া, লাইট ফ্যান অন অফ হওয়া, দরজা জানালা বারবার খোলা বন্ধ হওয়া,
চ) নিজেরা না করলেও ঘরের জিনিসপত্র বারবার লন্ডভন্ড হওয়া, এক যায়গার জিনিস অন্য জায়গায় পাওয়া,
ছ) অকারণে গ্লাস বা আয়না ভেঙ্গে যাওয়া,
জ) অদ্ভুতভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া,
ঝ) ঘুমের সময় কাঁথা কম্বল টান দিয়ে বিরক্ত করা,
ঞ) রাত্রে বাড়ির আশেপাশে কুকুরের অতিরিক্ত ঘেউ ঘেউ করা,
ট) বাড়িতে সাপের আনাগোনা,
ঠ) একাকী ঘরে ঢুকলে ভয় ভয় লাগা,
ড) বাড়ীর আশে পাশে অন্ধকার যায়গায়, বাথরুমে, বা গাছের ডালে কান্নার আওয়াজ, গোঁঙ্গানীর শব্দ, অট্টহাসির আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
জ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আল্লামা জালাল উদ্দিন সূয়ুতি (রহঃ) এর জ্বীন জাতীর বিস্ময়কর ইতিহাস বইটি পড়তে পারেন।
বদনজরে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহঃ
ক) শরীরে জ্বরর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না ওঠা। এধরনের কোনো অসুখ থাকা কিন্তু মেডিকেল টেষ্টে ধরা না পড়া।
খ) একের পর এক রকমারি সব অসুখ লেগে থাকা। একটা অসুফ ভালো হতে না হতেই আরেকটা শুরু হওয়া।
গ) সাধারণ রোগব্যাধি (সর্দি, কাশি, , জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি) দেখা দিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও তা ভালো না হওয়া, ঔষধে কাজ না করা।
ঘ) পড়াশোনা বা কোনো কাজে মন না বসা। নামাজ, জিকির আজকারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। কিছুতেই মনোযোগ দিতে না পারা।
ঙ) প্রায়ই শরীর দুর্ব্ল থাকা। বমি বমি ভাব হওয়া।
চ) সব সময় ঘুম ঘুম ভাব, সারাদিন হাই ওঠা।
ছ) ক্ষুধামন্দা, খাবারে অরুচি থাকা।
জ) অহেতুক মেজাজ বিগড়ে যাওয়া।
ঝ) বুক ধড়ফড় করা, দম বন্ধ বা অস্বস্থি লাগা।
ঞ) কাঁধ ভারি হয়ে থাকা। বিনা কারণেই মাথা ঝিম ধরে থাকা।
ট) পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া। এজন্য ওষুধ সেবনে কোন ফায়দা না হওয়া।
ঠ) অতিরিক্ত চুল পড়া। এজন্য ওষুধ বা শ্যাম্পু ব্যাবহারে ফায়দা না হওয়া।
ড) হাত পায়ে মাঝে মধ্যেই ব্যথা অনুভব করা। কিংবা পুরা শরীরে ব্যাথা অনুভব করা।
ঢ) শরীরের কোনো যায়গায় গোসতে গুটলির মতো অনুভব করা।
ণ) কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা। এটা জ্বীনে ধরা রোগীরও লক্ষণ।
ত) আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা সাক্ষাত করতে ভালো না লাগা।
থ) চাকুরী, ব্যবসায়, আয়-রোজগারে ঝামেলা লেগেই থাকা। কোনোভাবেই উন্নতি না হওয়া।
দ) যে কাজে ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা করতে গেলেই ঝামেলা হওয়া কিংবা অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
ধ) স্বপ্নের মাঝে বোরখা পড়া কাউকে দেখা যার শুধু চোখ খোলা থাকে কিংবা লাল চোখ ওয়ালা মানুষ দেখা।
ন) স্বপ্নে মরা মানুষ দেখা অথবা নিজেকে মৃত অবস্থায় দেখা।
প) চোখ, হাত মুখ ফ্যাকাশে থাকা, চোখ লাল থাকা। ঘুমালে বা ওষুধ ব্যাবহারের পরেও একই অবস্থা থাকা।
ফ) জন্ডিজের আলামত থাকা। ওষুধ সেবনে কোনো প্রতিকার না হওয়া।
উল্লিখিত বিষয়গুলি এমন নয় যে, শুধু বদনজরের কারনেই এসব হয়। অন্য কারণেও হতে পারে।এর কিছু কারণ্ জ্বীনের সমস্যা, বা যাদুর সমস্যার কারণেও হতে পারে। জ্বীনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ যদি মিলে যায় সম্ভবত জ্বীনের নজর লেগেছে বুঝতে হবে। এটাকে আমাদের দেশে “বাতাস লাগা” বলে। এই জ্বীনের নজরের ক্ষেত্রে আরো কিছু সমস্যা হয়। যেমনঃ বাচ্চাদের অহেতুক ভয় পাওয়া। বাচ্চারা রাত্রে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করা বা অস্বাভাবিক কান্না করা। বড়দের ক্ষেত্রে এমন হওয়া যে, আশেপাশে কেউ আছে বলে মনে হওয়া। বাস্তবে কেউ নাই। ঘরে কেউ না থাকা সত্ত্বেও ছায়ার মতো কিছু চলাচল করতে দেখা। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হওয়া। ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া। যাই হোক নিয়মিত বদনজরের রুকাইয়া করালেই সুস্থ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। বদনজরের সমস্যা লক্ষণ শুনেই বুঝা যায়। নিশ্চিৎ হওয়ার জন্য রুকাইয়া করিয়ে দেখা যেতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ
রুকাইয়া-
# কুরআনী চিকিৎসা
বিস্তারিত জানার জন্য :
কল করুন অথবা ইনবক্স করুন।
01861533085,
01828117155,
01740114087 (WhatsUp)
আমাদের সেবা সমূহ :
# কুরআনী চিকিৎসা ( শরীয়াহ পদ্ধতিতে )
# বদনজর, জ্বিন, যাদুটোনা চিকিৎসা
# বিবাহ-শাদি সংক্রান্ত
# ব্যবসা-বাণিজ্য ও আয়-ব্যয় সংক্রান্ত
# সংসারে উন্নতি
# যৌন ও বন্ধ্যাত্ব
# হারবাল ও ভেষজ
# লিকুরিয়া ও জন্ডিস
বি: দ্র: হারবাল ও ভেষজ ঔষধ কেবল মাত্র 18 বয়সের উর্ধ্বে বিবাহিতরাই নিতে পারবেন।
পাইকারী পণ্য :
# মধু, ঘি, সরিষার তৈল
# হারবাল প্রোডাক্ট
Click here to claim your Sponsored Listing.
Contact the business
Telephone
Website
Address
Savar
1310
Opening Hours
Monday | 09:00 - 22:00 |
Tuesday | 09:00 - 22:00 |
Wednesday | 09:00 - 22:00 |
Thursday | 09:00 - 22:00 |
Friday | 14:00 - 22:00 |
Saturday | 09:00 - 22:00 |
Sunday | 09:00 - 22:00 |
55-1
Savar, 1343
প্রতিটি ঘরে ঘরে থাকবে বাদাম এবং মিল্ক নিট্রেশন। সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন এর লক্ষে বদ্ধপরিকর।💞
Savar
Savar, 1433
All Kinds of Medicine and Surgical equipment Wholesale and Retail hare... Successful Distributor some medicine company.
Savar, 1340
Bangladesh army is great Defence for our country I think bd army improve oneday popular in world
Savar, 1340
Labtech Medical Services provides all of the facilities which a patient needs for his/her proper treatment.It has the latest lab services and medical equipments.
B-41/1, Arapara, Dhaka
Savar, 1340
AMIL is giving you a grade premium quality organic raw, dry & powder mushroom.