Dr.Md.Abdul Hamid Mollah
For the greatest good....
শীতে ব্যাথ্যা বেশি কেন?
শীতকালে পেশীগুলি নিজেরাই তাপ তৈরি করে, যার কারণে পেশীগুলি সঙ্কুচিত হতে শুরু করে এবং শক্ত হয়ে যায়।
পেশী শক্ত হওয়ার কারণে স্নায়ুর ওপরও চাপ পড়ে এবং জয়েন্টে ব্যথার সমস্যা বাড়তে থাকে।
বিবিসি এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫০ কোটি মানুষের প্রেসার বেশি।
বাংলাদেশে এক চতুর্থাংশ মানুষ হাইপারটেনশনে ভুগছে। 😳😑
Brazilian pitviper এর বিষ দিয়ে ACE-blockers বানানো হয় যা রক্তচাপ কমানো সহ কিডনি রোগ, ষ্ট্রোক ও ডায়াবেটিস এর ঝুকি কমানোয় সহায়তা করে।
The accuracy of the NS1 antigen rapid test for Dx of Dengue is considered high with sensitivity 55%-82% and specificity 97%-100%.
Since the NS1 rapid test aims to detect dengue NS1 antigen, it should be performed within 5 days of onset of fever.
সহমত
Yes
In 1903 Robert Koch outlined logical methods of typhoid control.
One of the most famous instances of carrier-born disease in medical history was Many Mellon, “the typhoid marry”.
She was a cooker in New York. She developed typhoid fever in 1901 and became chronic carrier, and was apparently responsible for 7 epidemic typhoid fever involving several individuals.
The investigator Dr. Soper, uncovered typhoid marry”. She was most non co-operative and at times even violent Once she chased Dr. Soper by brandishing a carving fork😁
বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ১ কোটি ৩১ লক্ষ লোক।
প্রি ডায়াবেটিসে ভুগছেন ১ কোটি ৭০ লক্ষ লোক রয়েছে।
সবমিলিয়ে ৩ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
Few.....
CKD diet
বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস নিয়মিত চেক করুন।
১) ব্লাড প্রেসার
২) ব্লাড সুগার।
চারটে জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷
১) বয়স বাড়ছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা
২) অতীত নিয়ে সর্বদা অনুশোচনা করা
৩) সবসময় দুঃখে কাতর হয়ে থাকা
৪) মানসিক উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ।
পাঁচটি খাবার থেকে যত পারুন এরিয়ে চলুন।
১) লবন
২) চিনি
৩) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার
৪) অতিরিক্ত ভাজা ভূজি খাবার
৫) বাইরের কেনা খাবার বা প্রসেসেড ফুড।
পাঁচটি জিনিস খাবারে যত পারুন বাড়িয়ে নিন।
১) সব রকমের সবুজ শাক
২) সব রকম সবুজ সব্জি, সীম বা মটরশুটি ইত্যাদি
৩) ফলমূল
৪) বাদাম
৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার।
মানসিক শান্তি বা সুখী হতে সাতটি জিনিস সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন।
১) একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু
২) নিজের সমগ্ৰ পরিবার
৩) সবসময় সুচিন্তা
৪) একটি নিরাপদ ঘর কিংবা আশ্রয়
৫) অল্পতে খুশি হওয়ার চেষ্টা
৬) অতিরিক্ত অর্থ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা
৭) কিছু সময় আধ্যাত্মিক চর্চায় বা সৎসঙ্গ দেওয়া।
ছয়টি জিনিসের চর্চা রাখুন।
১) অহংকার, Ego বর্জন করার কৌশল
২) সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা
৩) মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা
৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করা যোগ ব্যায়াম অন্ততঃ ২৪মিনিট। কিছুক্ষণ হাঁটা নিয়মিত।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৬) সরল ও সৎ জীবন যাপন
সাতটি জিনিস এড়িয়ে চলুন।
১) কর্য
২) লোভ
৩) আলস্য
৪) ঘৃণা
৫) সময়ের অপচয়
৬) পরচর্চা,পরনিন্দা
৭) কোনো রূপ নেশা বা আসক্তি
পাঁচটি জিনিস কখনোই করবেন না।
১) অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাওয়া
২) অতিরিক্ত পিপাসায় কাতর হয়ে জল পান করা
৩) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে ঘুমোতে যাওয়া
৪) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে বিশ্রাম নেয়া
৫) বেশি অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।
(collected)
সতর্কতা
কিছু রোগ আছে যা ঔষধ খেয়ে ভাল হয়.....রেগুলার ফলোআপ না হওয়ার জন্য সমস্যা বেড়েও যায়।
(with permission)
প্রশ্ন: " বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ কী?"
উত্তর :
অনেকে মনে করে যে স্বামীর সাথে নিয়মিত সহবাস করার কারণে বিয়ের পরে মেয়েরা মোটা হয়ে যায়। নিয়মিত সহবাস নারী পুরুষের স্বাস্থ্য উপকার করে থাকে ঠিক, কিন্তু তাদের এ বাজে ধারণা সঠিক নয়। মূলত বিয়ের পর নারীরা মোটা হয়ে যায় নারীদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন হওয়ার কারণে। আসুন জানি বিয়ের পর মেয়েদের মোটা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
বিয়ের পর মেয়েরা মোটা ও ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারন:
বিয়ের পর যে ৮ টি কারণে নারীদের দ্রুত ওজন বেড়ে যায় এবং মোটা হতে শুরু করে…👇👇
🚫০১. হরমোন নিঃসরণের পরিবর্তনঃ অধিকাংশ মেয়েরই বিয়ের পরে তাদের জীবনযাত্রা বদলে যায়। যার ফলে শরীরের হরমোনের নিঃসরণের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। ফলাফল শরীরে বাড়তি মেদ জমতে শুরু করে। ওজন বাড়তে থাকে হু হু করে। সমীক্ষা বলছে, ৮২ শতাংশের নারীর বিয়ের ৫ বছরের মধ্যে দৈহিক ওজন বৃদ্ধি ঘটে।
🚫০২. গাফলতিঃ বেশির ভাগ নারী বিয়ের আগে টাইট-ফিট শরীর ধরে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের দিকে খেয়াল রাখেন। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের পরেই সেই সমস্ত যত্নে কমতি দেখা দেয়। তার সাথে জাঙ্ক খাবার গ্রহণ, ব্যায়াম না করার প্রবণতা তো দেখা দেয়, এর সাথে শুরু হয় নতুন জীবনের সাথে নিজেকে মিলিয়ে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা। যার ফলে বৃদ্ধি পায় ওজন।
🚫০৩. ঘুমের স্বল্পতাঃ বিয়ের পরে নারীদের শুয়ে থাকার ভঙ্গি ও সময়ের অদলবদল হয়। রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে থাকার কারণে হজমের গোন্ডগোল দেখা দেয়। তাই শরীরে জমতে থাকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি।
🚫০৪. মুখের রুচির পরিবর্তনঃ বিয়ের পর কখনো স্বামী আবার কখনো স্বামীর পরিবারের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে নারীর রুচি বদলে যায়। লাগাতার ভাবে আপস করতে গিয়ে নিজের প্রতি যত্নের ফাঁক থেকে যায়। নতুন পরিবেশের সাথে নতুন জীবনসঙ্গীর পছন্দের সাথে মিল রাখতে গিয়েও নিজের পছন্দের-অপছন্দের গুরুত্ব হারায়। যার ফলে শুরু হয় মেদবৃদ্ধি।
🚫০৫. জাঙ্ক খাবারঃ বাড়ির তুলনায় রেস্তোরাঁ ও স্ন্যাক্সবারে খেতে বেশি পছন্দ করেন নববিবাহিত দম্পতিরা। অতিরিক্ত বাহিরের খাবার গ্রহণের ফলে দেহে দ্রুত চর্বি জমায়।
🚫০৬. বয়সঃ বর্তমানে শহরের নারীদের গড়ে বিয়ের বয়স ২৮-৩০ বছর। ৩০ বছরের পরে নারী শরীরের বিপাক ক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়। যার ফলে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে।
🚫০৭. টিভি দেখার নেশাঃ বিবাহের আগে যে নারী পড়াশোনা কিংবা অফিসের কাজের পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মশগুল থাকতো, দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের পর কর্মক্ষেত্রের কাজ সেরে দ্রুত বাড়ি ফিরতে সে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। স্বামীও কর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ পরিবারে সন্ধ্যায় বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে টিভি’র জোরালো ভূমিকা রাখে। টিভি’র সামনে ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে চর্বি না বাড়াই অস্বাভাবিক।
🚫০৮. সন্তান গর্ভধারণঃ প্রায়ই দম্পতি বিয়ের ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সন্তান প্রসবের পরে বেশির ভাগ নারী ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হন না। তাদের শরীরে গর্ভাবস্থার মেদ স্থায়ী আসন পেতে বসে।
© প্রথম আলো
'ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আমাদের পরিবেশে সবসময়েই থাকে। মানুষের শরীরেও সবসময়ে থাকে। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তখন এটা রোগ হিসাবে দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাক, তাদের ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার স্টেরয়েড গ্রহণ করা ব্যক্তিরাও এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।''
তবে এই রোগটি ছোঁয়াচে নয়।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস নিয়ে মিডিয়া যেভাবে নেগেটিভ হাইপ তুলছে! তারা কি আসলেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে পর্যাপ্ত স্টাডি করে করছে নাকি অমুক দেশের মিডিয়া ফলো করে হাইপ তুলছে?
সহজ কথায়, আমার স্বল্প জ্ঞানে টুকটাক স্টাডি করে যা মনে হয়েছে সেখান থেকে দুটো কথা বলি।
১. আমরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সাথে নিয়েই থাকি, ঘুরি-ফিরি বা প্রতিনিয়ত বসবাস করছি। মানে এটা ঊড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো ছত্রাক বা ফাঙ্গাস না। এটা মাটিতে এবং বাতাসেই থাকে এবং যেহেতু আমরা বাঙালি মাস্ক পরতে শরম পাই কিংবা মাস্ক পরলেও একই মাস্ক বারবার বা নোংরা ও অপরিষ্কার মাস্ক পরি কাজেই আমাদের মাঝেমধ্যেই তার মনে চাইলে এট্যাক করে। কিন্তু আমরা বারবার বেঁচে যাই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে।
২. যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, এইডস বা ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে কিংবা অতিমাত্রায় স্টেরয়েড নিচ্ছে তাদের শরীরে কোনোভাবে এই ছত্রাক একবার প্রবেশ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তা প্রতিরোধ করতে পারে না। ফলে এই ছত্রাক নাক-মুখ পার হয়ে ব্রেইনে চলে যায় এবং ৫০% এর বেশিরভাগ রোগীই এতে মারা যায়।
এখন, আপনি যদি সুস্থ-স্বাভাবিক থাকেন তবে এতে আপনার ভয় বা প্যানিকড হওয়ার কিছু নেই। যদি আপনি অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন তবে আপনার ভয় পাওয়ার একটা ব্যাপার আছে।
আর হ্যা!
ওই যে সামান্য ঠান্ডা কাশি জ্বর হলেই পাড়ার মোড়ের দোকানে কিংবা ফার্মেসীতে গিয়ে ৪-৫টা করে এন্টিবায়োটিক কিনে এনে খেয়ে এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স বা অকার্যকর যেভাবে বানাচ্ছেন। ঠিক সেভাবেই, সর্দি হলেই ফার্মেসী থেকে সর্বরোগের মহৌষধ 'স্টেরয়েড' কিনে যখন খুশি যেভাবে খেয়ে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজেই কমাচ্ছেন! এতে ভয় পাওয়ার একটা ব্যাপার আছে।
কাজেই, কোন বিষয়টা নিয়ে মিডিয়ার হাইপ তোলা জরুরী বেশি!
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আসছে এই ব্যাপারে! নাকি পাড়ায়-মোড়ে-ফার্মসীতে প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া অযাচিতভাবে এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড বিক্রি নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে!
মিডিয়ার উচিৎ এখন, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসা।
সুষম খাবার,ব্যায়াম আর পর্যাপ্ত ঘুম + নিয়ম মানা।
🛑সমস্ত ইনসুলিন নেয়া রোগী, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাসপাতালে ভর্তি রোগী, গত তিন মাসের ভিতর খুব সুগার বেড়ে যাওয়া অথবা বেশী কমে যাওয়া, প্রেগনেন্সি, হার্ট , কিডনির জটিলতা থাকলে সবাই high risk . কিছু নিয়ম মানলে, বুঝেশুনে চললে রোজা রাখতে কোনো অসুবিধা হবে না, ইনশাআল্লাহ। যদি ও high risk রোগীদের রোজা না রাখতে আমরা বেশির ভাগ সময় বলে থাকি। আমরা চাই রোজা রাখতে গিয়ে যাতে শরীর বেশি খারাপ না হয়, আবার রাখতে চাইলে কোনো সমস্যা ছাড়াই আপনি যাতে সব রোজা রাখতে পারেন l
🛑মাগরেবের আজানের সাথে সাথে পানি খেয়ে ওষুধ / ইনসুলিন নিয়ে খাবার খেয়ে নিবেন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। রোজার আগে সকাল বেলায় যে ওষুধ গুলো আপনি খেতেন রোজায় তা (ওষুধ, অথবা ইনসুলিন) ইফতারে নিবেন। অনেকে সকালে দুই রকম ইনসুলিন দেখতে ঘোলা অথবা স্বচ্ছ, (, actrapid , insulated / Humulin R , Humulin N ) নিয়ে থাকেন, ইফতারে সময় পুরো ডোজ নিয়ে নিবেন । তার মানে, সকালে নাস্তার আগে ২০ ইউনিট ইনসুলিন নিলে ইফতারে তাই থাকবে।
👥এক টার বেশি খেজুর খাওয়া একেবারেই উচিৎ না। কম মিষ্টির শরবত খাওয়া যাবে। ভাজা পোড়া না খাওয়াই ভালো।
সারা রাত পানি যত বেশি খাওয়া যায়, তা ভালো
👥ব্যায়াম করার দরকার নাই, তারাবির লম্বা নামাজই যথেষ্ট
👥সেহরির খাবার কখনই বাদ দিবেন না, শেষ সময়ের দিকে খাবেন। বেশি আগে খাবেন না। অনেকে রাত ১ টায় খেয়ে ঘুমিয়ে যায়, ডায়াবেটিস রোগীদের এরকম করা নিষেধ। .
🛑রোজার আগে রাতের বেলা আমরা যে ওষুধ অথবা ইনসুলিন নিতাম, সেহরিতে তার অর্ধেক মাত্রা নিবেন।
অর্থাৎ রোজার আগে রাতে একটা টেবলেট খেলে সেহরিতে তার অর্ধেক খাবেন ইনসুলিনের মাত্রা ২০ ইউনিট ছিলো, এখন সেহরিতে নিবেন ১০ ইউনিট।
🛑অনেকে আছেন খাওয়ার আগে একটা ইনসুলিন তিন বেলা এবং শোয়ার আগে আরেকটা ইনসুলিন মোট ৪ বার ইনসুলিন নিয়ে থাকেন। রোজায় উনি সকালের পুরো ডোজ ইফতারে, দুপুরের ডোজ রাত ১০ টায় যদি খেয়ে থাকেন, না খেলে বাদ, কম খেলে ডোজ কম নিবেন। আর রোজার আগের রাতের খাওয়ার আগে যে পরিমান ইনসুলিন ডোজ নিতেন তার অর্ধেক হয়ে চলে যাবে সেহরির সময়। আর যে ইনসুলিনটা ঘুমানের আগে একটা fixed সময়ে নিতেন সে ইনসুলিন ( Lantus , detemir, tresiba , ) একই সময়ে নিবেন। গ্লুকোজ কমার ভয় থাকলে আগের চেয়ে ৪ অথবা ৬ ইউনিট কমিয়ে দিবেন।
👥রোজায় গ্লুকোজ পরীক্ষা করলে রোজা নষ্ট হয় না বলে দেশে বিদেশে অনেক আলেম বলেছেন।
দিনের বেলা গ্লুকোজ ৪ এর কম হলে অবশ্যই রোজা ভেংগে ফেলবেন। এরপর দিন থেকে, ওষুধ অথবা ইনসুলিনের পরিমান কমিয়ে দিবেন। রক্তে গ্লুকোজ ১৬ এর বেশি হলে, শরীরে পানি কমে গেলে, শরীরের চর্বি ভেঙে রক্তে কিটোন চলে আসে, যা খুবই খারাপ। হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তাই শরীর খারাপ লাগলেই গ্লুকোমিটারে রক্ত পরীক্ষা করবেন। সেহরি, ইফতারের আগে ও ২ ঘন্টা পর, দিনের ১০টা থেকে ৩ / ৪ টার ভিতরে গ্লুকোজ পরীক্ষা করে ওষুধের মাত্রা ঠিক কমবেশি করতে হবে।
👥জিলিপী, মিষ্টি, চর্বি জাতীয় খাবার খাবেন না।
👥রক্তচাপ কমে গেলে ব্লাডপ্রেসারের ওষুধের মাত্রা কমাতে হবে।
👥দিনের বেলা শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম করা যাবে না।
👥গ্লুকোজ কমে গেলে হাত পা কাপবে, বুক ধড় ফড় করবে, মাথা ঘুড়াবে, ঘাম হবে, চিন্তা করতে অসুবিধা হবে, এমন কি অজ্ঞান হয়ে যাবেন, সাথে সাথে চিনি, মিষ্টি খাবেন। পরদিন যাতে এর কম অবস্থা না হয়, ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দিবেন।
👥ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে গলা শুকিয়ে যাবে, মাথা ঘুরাবে, বার বার পস্রাব হবে।
🛑অনেকেই থাইরয়েডের ওষুধ খেয়ে থাকেন, সেহরির ঘুম ভাংগার সাথে সাথে খালিপেটে ওষুধ খেয়ে নিবেন।
Source- Birdem, Davidson's medicine 23
রোজার আগে আসুন জেনে নিই আধুনিক কিছু মাসয়ালা-মাসায়েল:
১. ইনজেকশন (Injection): ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙবে না। (জাওয়াহিরুল ফতওয়া)

২. ইনহেলার (Inhaler): শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ঔষধ স্প্রে করে মুখের ভেতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করানো হয়, এভাবে মুখের ভেতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। (ইমদাদুল ফতওয়া)
৩. এনজিওগ্রাম (Angio Gram): হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়া দিয়ে কেটে বিশেষ রগের ভেতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিও গ্রাম। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরনের ঔষধ লাগানো থাকে তারপরেও রোজা ভাঙবে না। (ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা)
৪. এন্ডোস কপি (Endos Copy): চিকন একটি পাইপ যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলিতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্নয় করা হয়। এ নলে যদি কোনো ঔষধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের ভেতর দিয়ে পানি/ঔষধ ছিটানো হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে, আর যদি কোনো ঔষধ লাগানো না থাকে তাহলে রোযা ভাঙবে না। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
৫. নাইট্রোগ্লিসারিন (Nitro Glycerin): এরোসল জাতীয় ঔষধ, যা হার্টের জন্য দুই-তিন ফোটা জিহ্বার নিচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে। ঔষধটি শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ঔষধের কিছু অংশ গলায় প্রবেশ করার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। অতএব- এতে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
৬. লেপারোস কপি (Laparoscopy): শিক্ জাতীয় একটি যন্ত্র দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভেতরের কোনো অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এতে যদি ঔষধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে, অন্যস্থায় রোযা ভাঙবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহিয়া)
৭. অক্সিজেন (Oxygen): রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
৮. মস্তিষ্ক অপারেশন (Brain Operation): রোজা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহিয়া)
৯. রক্ত নেয়া বা দেয়া: রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে বা শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না। (আহসানুল ফতওয়া)
১০. সিস্টোসকপি (cystoscopy): প্রসাবের রাস্তা দিয়ে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না। (হেদায়া)
১১. প্রক্টোসকপি (proctoscopy): পাইলস, পিসার, অর্শ, হারিশ, বুটি ও ফিস্টুলা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোসকপ বলে। মলদ্বার দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে ব্যথা না পায় সে জন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন জাতীয় কোনো পিচ্ছিল বস্তু ব্যবহার করা হয়। নলটি পুরোপুরি ভেতরে প্রবেশ করে না। চিকিৎসকদের মতানুসারে ওই পিচ্ছিল বস্তুটি নলের সাথে মিশে থাকে এবং নলের সাথেই বেরিয়ে আসে, ভেতরে থাকে না। আর থাকলেও তা পরবর্তী সময়ে বেরিয়ে আসে। যদিও শরীর তা চোষে না কিন্তু ওই বস্তুটি ভেজা হওয়ার কারণে রোজা ভেঙে যাবে। (ফতওয়া শামী)
১২. কপার-টি (Coper-T): কপার-টি বলা হয় যোনিদ্বারে প্লাস্টিক লাগানোকে, যেন সহবাসের সময় বীর্যপাত হলে বীর্য জরায়ুতে পৌঁছাতে না পারে। এ কপার-টি লাগিয়েও সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে। কাযা কাফফারা উভয়টাই ওয়াজিব হবে।
১৩. সিরোদকার অপারেশন (Shirodkar Operation): সিরোদকার অপারেশন হল অকাল গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জরায়ুর মুখের চতুষ্পার্শ্বে সেলাই করে মুখকে খিচিয়ে রাখা। এতে অকাল গর্ভপাত রোধ হয়। যেহেতু এতে কোনো ঔষধ বা বস্তু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি স্থানে পৌঁছে না তাই এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না।
১৪. ডিএন্ডসি (Dilatation and Curettage): ডিএন্ডসি হলো আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্য Dilator এর মাধ্যমে জীবত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসা। এতে রোজা ভেঙে যাবে। অযথা এমন করলে কাজা কাফফারা উভয়টি দিতে হবে এবং তওবা করতে হবে। (হেদায়া)
১৫. এমআর (M.R): এমআর হলো গর্ভ ধারণের পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এমআর সিরঞ্জ প্রবেশ করিয়ে জীবিত কিংবা মৃত ভ্রণ নিয়ে আসা। যারপর ঋতুস্রাব পুনরায় হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা করতে হবে। কিন্তু যদি রাতের বেলা করা হয় তাহলে দিনের রোজা কাজা করতে হবে না। (ফতহুল কাদীর)
১৬. আলট্রাসনোগ্রাম (Ultrasongram): আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় যে ঔষধ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সবই চামড়ার উপরে থাকে, তাই আলট্রাসনোগ্রাম করলে রোজা ভাঙবে না। (হেদায়া)
১৭. স্যালাইন (Saline): স্যালাইন নেয়া হয় রগে, আর রগ যেহেতু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়, তাই স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙবে না, তবে রোজার কষ্ট লাঘবের জন্য স্যালাইন নেয়া মাকরূহ। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম)
১৮. টিকা নেয়া (Vaccine) : টিকা নিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ, টিকা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তায় ব্যবহার করা হয় না। (আপকে মাসায়াল)
১৯. ঢুস লাগানো (Do**he): ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভেতরে প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য স্থান । (ফতওয়া শামী)
২০. ইনসুলিন গ্রহণ করা: (Insulin): ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ, ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না।(জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
২১. দাঁত তোলা: রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েজ আছে। তবে অতি প্রয়োজন না হলে এমনটা করা মাকরূহ। ঔষধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুথু থেকে বেশি অথবা সমপরিমাণ রক্ত যদি গলায় যায় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফতওয়া)
২২. পেস্ট, টুথ পাউডার ব্যবহার করা : রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ। কিন্তু গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদিদ ফিকহি মাসায়েল)
২৩. মেসওয়াক করা : শুকনা বা কাঁচা মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। চাই যখনই করা হোক না কেন। (ফতওয়া শামী)
২৪. মুখে ঔষধ ব্যবহার করা : মুখে ঔষধ ব্যবহার করে তা গিলে ফেললে বা ঔষধ অংশ বিশেষ গলায় প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যাবে। গলায় প্রবেশ না করলে রোজা ভাঙবে না। (ফতওয়া শামী)
২৫. রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে খুব বেশি পরিমাণে রক্ত দেয়া যার দ্বারা শরীরে দুর্বলতা আসে, তা মাকরূহ।
২৬. ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোটা রক্ত নেয়া হয়, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
২৭. নাকে ঔষধ দেয়া : নাকে পানি বা ঔষধ দিলে যদি তা খাদ্য নালীতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাযা করতে হবে। (ফতওয়া রাহমানিয়া)
২৮. চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করা : চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করার দ্বারা রোজা ভাঙবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় অনুভব হয়। (হেদায়া)
২৯. কানে ঔষধ প্রদান করা : কানে ঔষধ, তেল ইত্যাদি ঢুকালে রোজা ভেঙে যাবে। তবে গোসল করার সময় অনিচ্ছায় যে পানি কানে ঢুকে তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন পানি গলায় না চলে যায়। (মাকালাতুল ফিকহিয়া)
৩০. নকল দাঁত মুখে রাখা: রোজা রেখে নকল দাঁত মুখে স্থাপন করে রাখলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। (ইমদাদুল ফতওয়া)
সংগৃহীত
রোজায় দেখা উচিত।
😪😪😪😪😪😪😪😪😪😪😪😪বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ।
এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ।
#ভ্যাকসিন বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তি পরিষ্কার হই ।
বাংলাদেশে আসা ভারতের ২০ লক্ষ উপহার আর পরে ৫০ লক্ষ কেনা ভ্যাকসিনের নাম কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের আবিষ্কারক ইংল্যান্ডের
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রতিষ্ঠান আর প্রস্তুতকারক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ।..সুতরাং এইটা ভারতের ভ্যাকসিন না। বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিন এসেছে কিংবা আসবে বলে চুক্তি হয়েছে সেটা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। সেরাম ইনস্টিটিউট প্রস্তুতকারক মাত্র ।.আরও সহজে বলতে আইফোনের কথা ভাবতে পারেন। আইফোন এপলের আবিষ্কার। বানানো হয় চায়নায়। কিন্তু কেউ দাবী করে না আইফোন চায়না মাল। এখন আইফোনের স্থলে কোভিশিল্ড বসিয়ে নিলেই বিষয়টা সহজ হয়ে যাবে।
কেন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট?
আর কোনো দেশ ছিল না?
নাহ্ ছিলো না।
সত্যি বলতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের এতো বিশাল প্রডাকশন এই মুহুর্তে সেরাম ছাড়া অন্য কেউ এতো অল্প মূল্যে দিতে পারবে না। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় ধরে ভ্যাকসিন উৎপাদন করে আসছে। সেরাম ইনস্টিটিউট দুনিয়ার সবচাইতে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সেরাম প্রতিদিন তেইশ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিন উৎপন্ন করতে সক্ষম। মাসে পঞ্চাশ মিলিয়ন।তাদের টার্গেট এক বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন যা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সাপ্লাই করা হবে। এবং এই মুহুর্তে তারাই একমাত্র এতো বৃহৎ স্কেলে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম। যা তারা ভুটান শ্রীলঙ্কা মালদ্বীপ সহ আনুমানিক আরও ত্রিশটা দেশে রপ্তানি করবে।
( হেপাটাইটিস বি, বিসিজি, সোয়াইন ফ্লু ভ্যাকসিন , ইনফ্লুয়েঞ্জা , সাপের কাপড়ের এমন বহু বহু ভ্যাকসিন সেরামের তৈরি )।
ভারতের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়াল হচ্ছে কি ??
'ভারত বায়োটেক' নামে ভারতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে বলে দাবী করছে। তাদের ভ্যাকসিনের নাম কোভ্যাক্সিন। যা এখনও বিপণন বা বাজারজাতকরণের অনুমোদন পায়নি। কেবল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। প্রথম ধাপের ট্রায়াল শেষ হয়েছে, ভারত চাইছে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল বাংলাদেশে করতে। 'ভারত বায়োটেকের' সেই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসেনি। এখনো আসেনি। ট্রায়ালের কোন অনুমোদন এখন পর্যন্ত হয়নি।
কার্যকারিতা বা এফেক্টিভনেসের কথা ভাবলে মর্ডানা কিংবা ফাইজারের ভ্যাকসিন এগিয়ে।
সাকসেস রেট প্রায় ৯০ শতাংশ। অপরদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ৬২-৯০ %।
তবুও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কেন ? কেন মর্ডানা কিংবা ফাইজারের ভ্যাকসিন নয় ?
কারণ মর্ডানা কিংবা ফাইজারের ভ্যাকসিন কেনা, সংরক্ষণ এবং দেওয়ার মত সামর্থ্য বাংলাদেশের নাই।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দাম
৩-৪ ডলার ( প্রতি ডোজ)। দিতে হবে দুই ডোজ।
খরচ পড়বে ৮ ডলার।
মর্ডানার ভ্যাকসিনের দাম ৩৩ ডলার ( প্রতি ডোজ(। দিতে হবে দুই ডোজ। খরচ পড়বে ৬৬ ডলার।
ফাইজারের ভ্যাকসিন দাম ২০ ডলার ( প্রতি ডোজ)। দিতে হবে দুই ডোজ। খরচ পড়বে ৪০ ডলার।
ধরলাম, দাম ইস্যু না। আমাদের পি কে হালদার একাই যদি দশ হাজার কোটি টাকা মেরে দিতে পারে, তবে টেকা-পয়সা আমাদের হাতের ময়লা। যদি টাকার হিসাব বাদও দেই, তবু মর্ডানা কিংবা ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা আমাদের নেই । মর্ডানা ভ্যাকসিন মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হবে আর ফাইজারেরটা মাইনাস ৭০ ডিগ্রীতে। কোটি কোটি ডোজের এতো ভ্যাকসিন সংরক্ষণের কোল্ড স্টোরেজ আমাদের নেই, আমাদের কেনো অনেক দেশের নেই। অপরদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। বাসার ফ্রিজেও সেরামের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যায়।
👉 না জেনে সমালোচনা নয়। যদি সমালোচনা করতে হয় আওয়াজ তুলুন চার ডলারের বদলে বন্ধু রাষ্ট্র ( ! ) হিসেবে আমরা আরও কমে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন কিভাবে পেতে পারি। ডিলিংসে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি কতটা মজবুত।
👉ভারত বানাচ্ছে বলেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন "ভালো না, অনিরাপদ, ভ্যাকসিন দিমু না!" এইসব অপরিপক্ক,বোকার মতো কথাবার্তা বাদ দিতে হবে।
বরং আত্ম সমালোচনা করতে হবে ভারত একটা সেরাম ইনস্টিটিউট গড়তে পারলে আমরা আজ কেন পারলাম না।
আমাদের এমনভাবে এগিয়ে যেতে হবে একদিন অক্সফোর্ড যেন বাংলাদেশের কোন ভ্যাকসিন উৎপাদন সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলে ----
বস্ আপনারা আমাদের ভ্যাকসিনটা বানিয়ে দিন, বাংলাদেশ ছাড়া আমাদের যাওয়ার আর জায়গা নেই।
পৃথিবীর সেরা সেরা কিছু মাথা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, গ্রহণ করছে দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ। গ্রহণ করছে কারণ এইটা বিজ্ঞানের যুগ অযথা ঘৃণা কিংবা মিথ্যা তথ্যের না।
ফেসবুকের গুজবে নয়,পূর্ণ তথ্যে ভরসা রাখুন। বিজ্ঞানে বিশ্বাস করুন।
সুত্র....BBc & ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন
The h/h blood group, also known as Oh or the Bombay blood group, is a rare blood type...
....while the O blood type is usually the most common blood group in the ABO system.
Human genetics.....Mystery
মানব দেহে যে DNA আছে তার মোট দৈর্ঘ্য ২০০০০০০০০০০ কি.মি।
পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত ৫০ বারেরও বেশি আসা যাওয়া করলে যে দূরত্ব অতিক্রান্ত হবে, তার সমান।
আর DNA তে যে ইনফরমেশন আছে তা যদি লিপিবদ্ধ করা হয়, তবে তা হবে ৯০০ খণ্ডের বিশালাকার এনসাইক্লোপিডিয়ার সমান। যেখানে প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্টা সংখ্যা হবে ৫০০।
আমাদের দেহে মোট কোষের সংখ্যা হলো
৩৭.২ ট্রিলিয়ন।
সেন্সরি রিসেপ্টর আছে ১১০ মিলিয়ন।
লৌহিত রক্ত কণিকা (RBC) আছে ৩০ ট্রিলিয়ন।
শুধুমাত্র মস্তিষ্কেই নিউরন সংখ্যা ১০০ বিলিয়ন। দেহে মোট ব্লাড ভেসেল আছে ৪২ বিলিয়ন, যা ৯৭০০০ কি.মি লম্বা।
একটু চিন্তা করুন তো! এক হাত লম্বা একটা হেডফোন অতি যত্ন করে রেখে দিলেও জট পাকিয়ে যায়। কিন্তু আপনার দেহের ৯৭০০০ কি.মি ব্লাড ভেসেল কখনোই জট পাকিয়ে যায় নি।
"এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ঐ সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা চিন্তাভাবনা করে।"
(সূরা ইউনুস, আয়াত : ২৪)
-From Wikipedia & Journal.
👇👇করোনাভাইরাসের কোন ভ্যাকসিন কেমন কার্যকরী? 👇👇
গবেষকগণ মানুষের উপরে ৬৪ রকমের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছেন।
এদের মধ্যে নয়টি ভ্যাকসিন ভাল কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এপর্যন্ত ভ্যাকসিনের গাঠনিক উপাদানের ভিত্তিতে চার ধরণের ভ্যাকসিন ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছেঃ
(১) মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিন (mRNA vaccine),
(২) অ্যাডেনো ভাইরাস ভ্যাকসিন (Adeno virus based vaccine),
(৩) প্রোটিন ভ্যাকসিন (Protein based vaccine), এবং
(৪) নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন (Inactivated Coronavirus vaccine)।
১) মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনঃ
এখন পর্যন্ত মূলত দুটি মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছেঃ ফাইজার/ বায়োন্টেক ভ্যাকসিন এবং মর্ডানা ভ্যাকসিন।
• ফাইজার/ বায়োটেক ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম কমিরনাটি (Comirnaty)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহার করার জন্য এটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিন শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
• মর্ডানা ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিন এর আরেক নাম এমআরএনএ-১২৭৩ (mRNA-1273)। মার্কিন ক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং অন্য কয়েকটি দেশে এটা জরুরী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষণে এটাও প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।
২) অ্যাডেনো ভাইরাস ভ্যাকসিন
• অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম এজেডডি-১২২২ বা কোভিশিল্ড (AZD1222 or Covishield)। ব্রিটেন, ভারত, মেক্সিকো এবং আরো কয়েকটি দেশে জরুরী ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষণে এটা শতকরা ৬২ থেকে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
• জনসন এবং জনসন ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম Ad26.COV2.S। এটা এখনো ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং কোন দেশে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে শিগগিরই এর ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
• গ্যামেলিয়া ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম স্পুটনিক-৫ বা গ্যাম-কোভিড-ভ্যাক। Ad26 এবং Ad5 নামের দু'রকম অ্যাডেনো ভাইরাসের সমন্বয়ে এটা তৈরী করা হয়েছে। এটা রাশিয়া, বেলারুশ এবং আরো কয়েকটি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে এটা ৯১% কার্যকরী পাওয়া গিয়েছে।
৩) প্রোটিন ভ্যাকসিন
• নোভাভ্যাক্সঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম NVX-CoV2373। এটা নিয়ে এখনো তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এখনো কোন দেশে এর ব্যবহার শুরু হয়নি।
৪) নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন
• সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম BBIBP-CorV। চীন, বাহরাইন এবং আরব আমিরাতে জরুরী ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাইনোফার্ম এটার কার্যকারিতা ৭৯ শতাংশ বলে দাবী করেছে।
• সাইনোভ্যাক ভ্যাকসিনঃ এর আরেক নাম করোনা ভ্যাক। চীনে এটা সীমিত আকারে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ব্রাজিলের পর্যবেক্ষণে এটার কার্যকারিতা ৫০% পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার জন্য যে কোন ভ্যাকসিন কমপক্ষে ৫০% কার্যকরী হতে হবে।
• ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিনের আরেক নাম কো-ভ্যাকসিন। এখনও এটার তৃতীয় পর্যায়ের পর্যবেক্ষণের কোন ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
কিন্তু ভারত সরকার জরুরী ভিত্তিতে এটা ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছে। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
(তথ্যসূত্রঃ নিউইয়র্ক টাইমস)
Scientific Seminar on "GERD"
এলকোহল খাওয়ার পর Test করে সনাক্ত করা যায়.....Timetable👇👇👇
1.Blood: up to 6 hours
2.Breathalyzer: 12-24 hours
3.Saliva: 12-24 hours
4.Urine: ....12-24 hours for older methods
of testing; ....72 hours or longer for newer
methods
5.Hair: up to 90 days.
সেক্সুয়াল ডাইমরফিজমের (Sexual Dimorphism) বলে একটা জিনিস আছে।
ব্যাপারটা হল- স্ত্রী ও পুরুষ প্রজাতির শারিরীক গঠনে স্পষ্ট কিছু পার্থক্য থাকবে। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। আজমল স্যারের প্রাণিবিজ্ঞান পড়ার সময় আমার মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগত-
১। স্ত্রীদের হৃদপিন্ড কেন পুরুষের চেয়ে ছোট?
২। স্ত্রীদের পেশি কেন পুরুষের চেয়ে কম? কেন স্ত্রীরা জিম করলে পুরুষের মত পেশি ফুলে উঠে না?
৩। কেন স্ত্রীদের বৃক্ক, পুরুষের বৃক্ক অপেক্ষা ওজনে ও আঁকারে ছোট?
৪। কেন স্ত্রীদের স্তন থাকে, পুরুষের স্তন কেন নিষ্ক্রিয়?
৫। কেন স্ত্রীদের কোমরের (শ্রোণিদেশ) অস্থিগুলোর ব্যাস বেশি, কেন পুরুষের ক্ষেত্রে সংকুচিত?
৬। কেন স্ত্রীদের চেয়ে পুরুষরা বেশিই হিংস্র?
৭। স্ত্রীদের চামড়া কেন মোলায়েম, উজ্জ্বল এবং নরম। কেন পুরুষের চামড়া আলাদা?
৮। কেন পুরুষের শক্তি বেশি স্ত্রীদের তুলনায় বেশি?
৯। কেন স্ত্রীরা পাখির মত খুটিয়ে খুটিয়ে খায়, অল্প খায়? কেন পুরুষরা ভোজনপ্রিয়?
১০। কেন আমাদের মায়েরা পয়ত্রিশের পর স্থুলতায় ভোগে।
১১। কেন স্ত্রীদের মুখ গোলগাল, কেন পুরুষের মুখ লম্বাটে?
১২। কেন স্ত্রীদের চোখ সুন্দর? ভ্রু অনেক উপরে থাকে? কেন পুরুষের ভ্রু চোখের সাথে মিশে যায়?
আরো এক কোটি প্রশ্ন!
সংক্ষিপ্ত আলোচনার আগে দুই লাইনে বলি- সেক্সুয়াল ডাইমরফিজম কী!
পৃথিবীতে তখন এককোষী প্রাণিদের রাজত্ব। সবেমাত্র এককোষী থেকে বহুকোষী প্রাণির আবির্ভাব হল। শুরু হল পর্ব নামের জটিল টপিক। পর্বের নাম পরিফেরা।
যেহেতু প্রথম পর্ব, স্বাভাবিকভাবে এই পর্বের প্রাণিদের কিছুই ঠিকঠাক নাই।
মানুষ যেমন সবাই একই রকম। হাত পা মাথা নাক কান থাকবে। পরিফেরার হাত পা মাথা নাই। কেউ একই রকম দেখতে নয়। একই প্রজাতির পরিফেরার কেউ দেখতে গাছের মত, কেউ দেখতে ফুলদানির মত কেউবা দেখতে ঘন্টার মত।
আবার পরিফেরার প্রাণিদের গায়ের রঙ খেয়াল করো। কেউ দেখতে লাল, কেউ নীল, কেউবা সবুজ। নানা রঙ্গের।
এদের নারী পুরুষ বলে আলাদা কিছু নাই। সবাই একই গঠনের।
এরপর আরেকটু উন্নত প্রাণি চলে আসল। শুরু হল- নিডারিয়া নামক প্রাণি। এদের আকৃতি সবারই কাছাকাছি। একই ধরণের। একই প্রজাতির সবার রঙ একই রকম। কিন্তু কেউ পুরুষ কিংবা স্ত্রী নয়। সবাই একই। বা উভলিঙ্গিক। কিন্তু একই দেহে প্রজনন হয় না। একজনের শরীরের শুক্রাণু আরেকজনের ভেতর যাবে। ফলে নতুন প্রাণি জন্ম নিবে। অথচ কেউ নারী বা কেউ পুরুষ নয়।
এদের চেয়েও উন্নত পর্ব চলে আসল।
নাম হল- প্লাটিহেলমিনথিস। প্রজনন ব্যবস্থার খানিকটা উন্নয়ন হল। এরা উভলিঙ্গিক। নিজেরা একাএকা, নিজের শরীরের ভেতরেই শুক্রাণু ডিম্বানুর মিলন ঘটিয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। ফলে আরেকজন প্রাণি লাগে না। যেমন ফিতা কৃমি। প্রজনন বা বংশবিস্তারের জন্য দুটো প্রাণী লাগে না বলেই, একটা কৃমি একাএকাই কোন বড় প্রাণির শরীরের ভেতরে বংশবিস্তার করতে পারে।
এরপর আসল নতুন পর্ব। নেমাটোডা নামক কৃমি। প্রথমবার পৃথিবীতে আসল নারী ও পুরুষ প্রাণি। এরা একা সন্তান জন্ম দিতে পারে না। সবসময় দুট প্রাণি লাগে। একজন হবে নারী আরেকজন হবে পুরুষ। যাদের দেখলেই বোঝা যায়, কোনটা নারী আর কোনটা পুরুষ। দুই ধরণের শরীরের দুই ধরণের গঠন।
নেমাটোডার পরের সব পর্বেই এই সুবিধা আছে।
ঘাসফড়িং আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণি। তাদেরও নারী ও পুরুষ আছে। আমরা এই অধ্যায় পড়ার সময় স্ত্রী ও পুরুষের পার্থক্য দেখতে পাই বইতে।
মানুষ নিজেও নারী ও পুরুষভেদে আলাদা। দুইটি (Di) আলাদা লিঙ্গের (s*x) শারিরীক গঠনগত (Morphology) পার্থক্যের নাম- Sexual Di-Morphism.
উপরের সুবিশাল আলোচনা টানার কারণ আছে।
আমি আসলে ব্যাখ্যা করতে চাচ্ছিলাম, নারী ও পুরুষের শারিরীক গঠনে কেন পার্থক্য থাকে?
এবার আসি, তুলনামূলক ব্যাখ্যায়।
স্ত্রীদের হরমোনের নাম- ইস্ট্রোজেন।
পুরুষের হরমোনের নাম- টেস্টোস্টেরন (টেস্টোস্টেরন স্ত্রীদেরও আছে কিন্তু পরিমানে খুবই কম)।
টেস্টোস্টেরন পরিমাণ যার যতবেশি, তার পেশি ততবেশি থাকবে। যার যত বেশি পেশি, তার ততবেশিই হিংস্রতা থাকবে।
পেশি বেশি হলে সেই পেশিগুলোকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন দেবার জন্য মোট রক্তের পরিমাণও বেশি হতে হবে। বেশি রক্ত হলে রক্তকণিকাও (পূর্ণবয়স্ক স্ত্রীদেহে লোহিত কনিকাঃ ৪৮ লাখ/ঘনমিলি কিন্তু পুরুষে ৫৪ লাখ/ঘন মিলি রক্ত) বেশি হবে।
বেশি রক্তের জন্য রক্তনালীর ভেতরের ব্যাসও বেশি পুরুষে।
হৃদপিন্ড যেহেতু সারাদেহে বেশি বেশি কোষে রক্ত দিবে, তাই পাম্প করবে খুব শক্তি নিয়ে। ফলে সেই চাপকে ধারণ করার জন্য রক্তনালীর দেয়ালও পুরু হবে।
বেশি কোষে রক্ত দেবার জন্য, বেশি চাপ দিতে হবে। চাপ দিবে হৃদপিন্ড। তাই হৃদপিন্ডের দেয়ালও পুরু হবে। পুরু দেয়াল হলে বেশি চাপ সহ্য করতে পারে।
হৃদপিন্ডের দেয়াল পুরু হলে, রক্ত পরিমানে বেশি থাকলে পুরুষের হৃদপিন্ডের আকারও বেশি হবে।
খেয়াল করুন, হৃদপিন্ডের দেয়াল পুরুষে বেশি পুরু। পুরু হবার একটা সুবিধা আছে। হার্ট এটাকের পরিমাণ সমান হলেও পুরুষ সহজে মারা যাবে না। কারণ তার দেয়াল পুরু, কোষ বেশি। কিছু কোষে এটাক হলেও বাকীকোষগুলো হৃদপিন্ডকে চালিয়ে নিবে।
বেশি রক্ত হওয়ায়, বেশি রক্তকে ফিল্টারের জন্য কিডনির আঁকারও বেশি হতে হয়। ফলে পুরুষ দেহে কিডনির আঁকার ও ওজন স্ত্রী অপেক্ষা বেশি।
স্ত্রীদেহের সব উল্টো।
পেশি কম।
পেশি কম হবার জন্য কম পেশিকোষে পুষ্টি দেবার জন্য রক্তও কম।
রক্ত কম হবার কারণে রক্তকনিকাও কম।
কম পেশি ও কম রক্তের জন্য হৃদপিন্ডের আঁকারও কম। রক্তনালীর ব্যাস কম। পুরুত্ব কম। একইভাবে হৃদপিন্ডের আঁকার কম। তেমনই দেয়ালের পুরুত্বও কম। পুরুত্ব কম হবার কারণে একই পরিমাণ হার্ট এটাকে স্ত্রীরা বেশি ক্ষতিগ্রন্থ হয়। কারণ পেশি অল্প। সেগুলোতে এটাক হলে সাপ্লিমেন্টারি দেবার মত যথেষ্ট পেশিকোষ থাকে না। তাই মৃত্যুহারও বেশি।
রক্ত কম হবার কারণে কিডনির আঁকারও কম।
এবার আসি, স্তনগ্রন্থি।
যেহেতু স্ত্রীদের পেটে সন্তান ধারণ করতে হয়, তাই তার কোমরের আঁকারও বড়। অতিরিক্ত অঙ্গ (জরায়ু) ধারণ করার কারণে কোমরের (শ্রোণিদেশ) অস্থিচক্রের ব্যাস বেশি (পেলভিসের আঁকার বড়)।
সন্তান ধারণ করে না বলেই পুরুষের পেলভিসের ব্যাস কম।
স্ত্রীরা সন্তান জন্মের পর একটানা ছয়মাস সন্তানকে খাবার দিয়ে সুস্থ রাখবে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল- এই খাবারের উৎস সেই শরির, যে শরীর থেকে কজন সন্তান জন্ম নেয়। পুরুষ যেহেতু সন্তান জন্ম দেয় না, তাই তার স্তনগ্রন্থি থাকলেও সেটা সক্রিয় নয়।
সক্রিয় স্তনগ্রন্থির প্রচ্ছছেদের ছবি যদি তোমরা কখনো দেখো, দেখতে পাবে স্তনের ভেতরে তেঁতুল পাতার মত অসংখ্য দুগ্ধ নিঃস্মরণকারী গ্রন্থি বা থলি আছে। থলিগুলো নালীর মাধ্যমে নিপলের কাছে এসে একসাথে হয়ে বের হয়। এতগুলো তেঁতুল পাতার মত একটার পর একটা সাজানো স্তনগ্রন্থির থলিকে চাপ কিংবা আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য চারপাশে চর্বি জমা হতে থাকে। চর্বি স্তনগ্রন্থিকে আঘাত ও দুগ্ধ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
কেন পুরুষের শক্তি বেশি?
গবেষণা নানা কথা বলে। দেহের উপরের অংশে পুরুষের যা শক্তি, নারীদের তার অর্ধেক শক্তি। আবার শরীরের নিচের অংশের শক্তি পুরুষের থেকে এক তৃতীয়াংশ কম। কেন?
পুরুষ খাবার খেলে সেগুলো দ্রুত হজম হয়। দ্রুত হজম হলে দ্রুত শক্তিও উৎপন্ন হয়। পেশিকে দ্রুত শক্তি দিতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের পেশিশক্তি হবে স্ত্রীদের চেয়ে বেশি।
আবার নারীদের ক্ষেত্রে হজমকৃত খাবার ধীরেধীরে শক্তিতে পরিণত হয়। ফলে খাবারের একটা বড় অংশ শক্তি না হয়ে আগেই চর্বিতে পরিণত হয়। এই চর্বি জমা থাকে স্তনে, পেটে, কোমরে এবং বাটক-এ। চর্বির বিশাল একটি অংশ জমা হয় চামড়ার নিচে, সারাশরীরে। ফলে স্ত্রীদের চামড়া মোলায়েম এবং নরম হয়।
বুদ্ধিমত্তা এবং মস্তিষ্কের আয়তনেও একটা পার্থক্য আছে।
পুরুষের মস্তিষ্কের আঁকার স্ত্রীদের তুলনায় ১০ ভাগ বড়। কিন্তু পুরুষরা ব্যবহার করে মস্তিষ্কের একপাশ (সেরেব্রাল হেমিস্ফেয়ার)। স্ত্রীদের ১০% ছোট হলেও মস্তিষ্কের দুই অংশের মধ্যে অনেক বেশি স্নায়ু সংযোগ থাকে। ফলে দুটো অংশই স্ত্রীরা ব্যবহার করতে পারে। আরো নিখুঁতভাবে, শুদ্ধভাবে কাজ করতে পারে। এজন্যই ছোটখাটো জিনিস ছেলেরা ভুলে গেলেও মেয়েরা সহজে ভুলে যায় না।
স্ত্রীদের হরমোনের নাম- ইস্ট্রোজেন। পুরুষের হরমোনের কারণে পুরুষরা অনেক সুবিধা পেলে নারীরা তাদের হরমোনের ক্ষেত্রে তেমন সুবিধা পাবে না?
অবশ্যই পাবে।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে বিশাল পরিবর্তন দেখা যায় স্ত্রীদের মধ্যে।
ধরা যাক, মুখের কথা।
স্ত্রীদের ভ্রু ছেলেদের তুলনায় উঁচুতে। ঠোঁট ছেলেদের চেয়েও বেশি পেশিবহুল। মুখমণ্ডল গোলাকার। কিন্তু থুতনী খাঁড়া এবং সহজেই মুখ থেকে আলাদা বোঝা যায়।
ছেলেদের ক্ষেত্রে গোলগাল নয়। ভ্রু চোখের সাথে লাগা। ঠোঁটে স্নিগ্ধতা নেই। মুখ গোলগাল না হয়ে খানিকটা চার কোনাকার বা লম্বাটে।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণেই স্ত্রীরা পুরুষের চেয়ে বেশিই শান্ত, সুস্থির, ভদ্র, নম্র।
এমনই... সেক্সুয়াল ডাইমরফিজমের কারণে আর হাজার হাজার পার্থক্য আছে স্ত্রী ও পুরুষের দৈহিক গঠনের মাঝে।
কার্টেসি-ডা. রাজীব হোসাইন সরকার
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Website
Address
Sirajganj
Khwaja Yunus Ali Medical College, Enayetpur
Sirajganj, 6751
স্বাস্থ্য-বিষয়ক তথ্য সহজ ভাষায় মানুষ?
Shirajgonj Sadar, Shirajgonj
Sirajganj, 6700
(Raisul's Tech and All In One)is a
Chorraipur School Sirajgonj Sodor Sirajganj
Sirajganj, 6700
Doctor Near Me Bangladesh for you find the best doctors by department with chamber contact number
Sirajganj, 6200
Selling domestic and foreign medicines and providing primary health care.
Bazar Main Road ( Adjacent Kiron Bala School), Dhariapur, Shahjadpur
Sirajganj
• হামদর্দের যেকোন প্রোডাক্ট হোম ডেলিভারি পেতে এখানে অর্ডার করুন।
Masum Pur
Sirajganj, 6700
আমাদের পেইজে আপনাকে স্বাগতম সিরাজগঞ্জের একটি সামাজিক সেবা মূলক পেজ। কল : 01787 300 402
Bogura Road (Adjacent Bus Stand), Soya Dhangora
Sirajganj
• হামদর্দের যেকোন প্রোডাক্ট হোম ডেলি?