M.Rayhan page
WELL COME M.Rayhan Page
I'm a journeyman. After helping people out for years with rilegion releted
ইরিং বিরিং ছাইকেল চালায়😁😂
যদি বারে বারে একই সুরে প্রেম তোমায় কাঁদায়....
পরের লাইন কী
বাটপার রাজমিস্ত্রি 😂😁
এম. পি. শাকিব আল হাসান, এবং কি বলব 😁😂
To much funny😂😁
ম*দের বুতলে পুকুরডা পইরা গেছে😂😁
funny মিস্ত্রী 😁😂
বল্টু : রাতে বিছানায়শুয়ে সি*গা*রে*ট খাচ্ছে
হঠাৎ বল্টুর মা : পাশের রুম থেকে বলল বল্টু ধোঁয়া দেখা যায় কোথাও আগুন লাগেনিতো?,
বল্টু: না কয়েল জ্বা*লা*চ্ছি মা ”
মা: কয়েলের গন্ধ এরকম কেন ?
বল্টু: মা এটা নতুন কয়েল তাই এ রকম গন্ধ ।
: বুঝতে পারল এবং বলল
বাবা বল্টু এ রকম কয়েল জ্বা*লা*স না
বল্টু: কারণটা কি মা
মা: বলল
মশার ক্যা*ন্সা*র হতে পারে….
ইসলাম যে কাজকে যি'না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
শয়*তা'ন সেটাকে আদর করে নাম দিয়েছে প্রেম!
আব্বা ডাকিবার ইচ্চা = আব্বাইচ্চা
ইলিশ মাছ খাইবার ইচ্চা = ইলিয়াইচ্চা
মনে মনে যে শিওর = মশিউর
বোতলের ভিতর জল = বজল
ইউনিভার্সিটিতে পড়িবার ইচ্চা =ইউনুইচ্চা
বাতাস খাইবার ইচ্চা = বাতাসা
তামাক খাইবার ইচ্চা =তামাসা
উঠতে বসতে কিল = উকিল
পারলে আপনারাও কিছু বলে যান😂
মেধাবী নয়, আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী।আমি সকল মেধাবীকে জিততে দেখি নি। কিন্তু , কোন পরিশ্রমীকে হারতে দেখি নি।
আমার অনেক মেধাবী বন্ধু তাদের যোগ্য স্থানে যেতে পারে নি। কিন্তু পরিশ্রম করে অনেক বড় ভাই,বন্ধুকে দেখেছি সাফল্য হাসিল করতে। আপনার পরিশ্রম মেধাকে হারিয়ে দিতে পারে।
ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে মেধার সাতে সাতে পরিশ্রমী হওয়ার তৌফিক দিন ___ আমিন
❤️🖤
❤💙
Natural beauty 🖤
মীর জাফরের বান্ধবীর নাম কি ছিল?🙂
আজকে আবারো ৭১ এর যু'দ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে!😃
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
একজন মানুষ তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় সেজদার সময়।
(মুসলিম,হাদিস ৯৭৯)
কোন খলিফা কে দেখা মাত্রই শয়'তান ভয়ে দ্রুত বেগে ভিন্ন পথ দিয়ে পালিয়ে যেত ? .....
.....কিগো চিনো আমারে.....
🧔♂️
/ \
খারান,,পরিচয় দিতাছি🙁
আমি আপনার পাশের বাড়ির🤔
ছোট চাচির বড় ভাবির ননদের বাসুরের মেঝো
শালির বান্ধবীর😒
চাচাতো ভাইয়ের ক্লাসমেন্টের মামাতো
বোনের 🤗 ফুফাতো ভাইয়ের ভাবির
ছোট বোনের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড 😇😁
.....এবার চিনছো আমারে...🙃
"আল্লাহ ছাড়া আমার কোন ক্ষমতা নেই!"
আমি তার উপর ভরসা রাখি
আমি তার নিকট ফিরে যাবো।
(সূরা হূদ আয়াত নং :-৮৮)
নাস্তিক আসাদ নূরের গোপন তথ্য ভাইরাল 🤣
রাতে বন্ধুদের সাথে চু রি করা “মোরগ” দিয়ে বিরিয়ানি খাইছিলাম। এখন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি আমাদের বড় মোরগ'টা নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা.!🙂
ওরস্যালাইন কি সারাজীবন ওর ই থাকবে?
কোনোদিনও কি আমার হবে না?🫠
-: যারা ফ্যান চালিয়ে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমায়!
তারা নবাব সিরাজুদ্দৌলার বংশধর!🙂
কখনোই চেষ্টা করা বন্ধ করবেন না, কখনোই বি'শ্বাস হারাবেন না, কখনোই হাল ছেড়ে দিবেন না, আল্লাহ চাইলে আপনার স্বপ্ন পূরণের দিন আসবেই, ইনশাআল্লাহ ❤️
ব্যক্তিগত মোবাইল আছে
এটাই অনেক😊
ব্যক্তিগত মানুষ থাকা বিলাসিতা🙂
ভঁ্যা ভঁ্যা করলে তানবির ক্ষেপে জাচ্ছে কেন😁🤣
চা এবং চিনি এক করছি মাঠিতে গড়াগড়ি কইরা😁🤣✌️
তানবির কে উচিত শিক্ষা দিল বাটপার তায়িম😁🤣
আদর কইরা গরুর মাথায় দিছলাম আমি হাত
হালার বেটাই গুতা মাইরা ভাঙ্গিলাইছে দাঁত 😁
কুরবানির গরুর বাজার🤔
#গল্পঃছায়া_মানব
সাথি ইসলাম
পর্ব ২
বিকেলে উঠে ওয়াশরুমে গোসল করতে যেতেই আয়নায় দেখতে পায় একটি লেখা,' ঘরের দরজা বন্ধ করে গোসল করতে আসো।'
অহনা তাকিয়ে দেখে, সত্যি, ঘরের দরজা বন্ধ না করেই সে গোসল করতে চলে এসেছে। মনে মনে সেই অদৃশ্য মানবকে ধন্যবাদ দেয়। পরক্ষণেই চমকে উঠে, সে অপরিচিত লোক কিভাবে জানতে পারল সে গোসল করছে? তার মানে সে তাকে দেখতে পাচ্ছে। গোসল না করেই বেড়িয়ে আসে অহনা।
ভয়ে ভয়ে বিছানায় এসে বসে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখে কেউ আছে কিনা। না, কেউ নেই। সব স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। মোবাইলে টুং করে শব্দ হতেই চমকে উঠে। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে আরো একটি মেসেজ,' ভয় পেয়ো না। আমি শুধু তোমায় অনুভব করি, পাশে থাকি, তাই বলে লজ্জা হরণ করব না। তুমি নিশ্চিন্তে শাওয়ার নিতে পারো।'
অহনা কল করে। কিন্তু আবারো নাম্বারটা বন্ধ বলছে। অহনা বিরক্তিতে মোবাইলটাকে খাটের উপর ছুঁড়ে ফেলে গোসল করতে যায়।
রাতে অহনার মোবাইলে কল করে তার বন্ধু হ্যারি। কল করে জানায় তারা সব বন্ধুরা মিলে কালকেই ট্যুরে যাবে। অহনা জানিয়ে দেয়, সে যাবে না। কল রেখে দেয়।
সাথে সাথে মোবাইলে একটা মেসেজ আসে,' বান্দরবান অনেক সুন্দর একটা এলাকা, তোমার প্রিয় জায়গা,তাই যাও, মন ভালো থাকবে।'
অহনা অবাক হলো। হ্যারি তাকে ট্যুরের কথা বলেছে কিন্তু কোন জায়গা সেটা বলেনি। তাহলে অচেনা লোকটা জানল কি করে? যাই হোক। এখন সে ঠিক করল, সে ট্যুরে যাবে। হ্যারিকে আবার কল করে বলে দেয়।
পরদিন সকালে দশটায় রওনা দেবে, তাই আটটায় অহনা রেডি হতে যায়। সব গুছিয়ে নেয়। কিন্তু বিপত্তি হয় ড্রেস নিয়ে। কোনটা পড়ে যাবে সিলেক্ট করতে পারছে না। অনেকগুলো জামা সামনে রেখে গালে হাত দিয়ে ভাবছে অহনা। এমন সময় মোবাইলে মেসেজ আসে,' নীলে তোমাকে নীল পরী লাগে। নীল জামাটা পড়ে যাও।'
অহনা কিছুক্ষণ ভাবল, তারপর ঠিক করল সে নীলটাই পড়বে। কিন্তু চেঞ্জ করবে কিভাবে? অদৃশ্য মানব যদি দেখে নেয়। সে তো বার বার মোবাইলে আসে বাস্তবে না। অহনা ভাবল, তারপর মোবাইলটা ড্রয়ারে রেখে দেয়, রাখার সময় মোবাইলে একটা ওড়না পেঁচিয়ে দেয়। মনে মনে বলল,' ব্যস, এবার আর অদৃশ্য লোকটা আমাকে দেখতে পাবে না।'
নীল জামাটা পড়ে নেয়, সিল্কি চুলগুলো পিঠে ছড়িয়ে দেয়, ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপস্টিক, এইটুকুই সেজে বেড়িয়ে পড়ে। একটু পর মনে হয় মোবাইলের কথা। ড্রয়ার থেকে মোবাইল বের করতেই দেখল মেসেজ এসেছে,' আমি বললাম আমাকে ভয় পেয়ো না। আমি সর্বদা তোমার পাশেই থাকি, তুমি দেখতে পাও না।'
সবাই মিলে একটা মাইক্রো বাস নিয়েছে। ছয়জনের টার্গেট বান্দরবান। অহনা, হ্যারি, রুমি, ড্রেক, টিকু আর ইরা।
অহনার মোবাইলে মেসেজ আসে,' ড্রেক থেকে দূরে থাকবে।'
অহনার রাগ হয় এবার। বন্ধুদের সে অনেক ভালো জানে। তাহলে অদৃশ্য লোকটা কেন দূরে থাকতে বলছে। কিন্তু তাকে কিভাবে জিজ্ঞেস করবে, কল করলেই বন্ধ বলবে। অহনার মাথায় বুদ্ধি আসে। সে ভাবে মেসেজ করলে ভালো হয়, যখন লোকটি মেসেজ করার জন্য তার মোবাইল অন করবে তখন মেসেজটা সেন্ড হয়ে যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। একটি মেসেজ করল,' আপনি কে?'
অনেকক্ষণ ধরে রিপ্লাইয়ের আশায় মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে রইল। কোনো উত্তর পাচ্ছে না।
ড্রেক বলল,' মোবাইলে কি দেখছিস? আমরা এখানে মজা করতে আসছি। এসব ভং চং চলবে না বলে দিলাম। এবারের গানটা তুই গাইবি।'
অগত্যা অহনা গান ধরল,' এই সাগর পাড়ে আইসা আমার মাতাল মাতাল লাগে.......'
ড্রেক তার মাথায় চাপড় মেরে বলে,' তুই কি এখন সাগর পাড়ে নাকি? অন্য গান বল।'
' আমি গান পারি না। তোর অন্য গান ভালো লাগলে তুই গা বসে বসে। আমার ইচ্ছা নেই।'
' তাহলে আসলি কেন? বাড়িতে বসে বসে আমাদের পোস্টে রিয়্যাক্ট কমেন্ট করলেই পারতি, হুদাই আমাদের মোমেন্টটা নষ্ট করলি।'
'হ্যারি বলেছিল আমাকে। তুই এসব বলার কে?'
পাশ থেকে রুমি বলল,' ঝগড়া থামা গেন্দার দল। তোদের জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে।'
' ঠিক আছে তাহলে তুই গান বল।'
' আমি একা না। সবাই মিলে।'
সবাই মিলে গান ধরল,
তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে
হৃদয়ের কোঠরে রাখব_
আর হৃদয়ের চোখ মেলে তাকিয়ে
সারাটি জীবন ভরে দেখব_
আমি নেই, নেই, নেইরে।।
যেন তোরি মাঝে হারিয়ে গেছি......
বান্দরবান এসেই তারা তাবু টানায়। রাতে তারা তুমুল পার্টি করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অহনা একচোট ঝগড়া করে নেয় হ্যারির সাথে। বিষয়বস্তু ছিল কে কাল সকালে তারাতাড়ি উঠতে পারবে!
দুটো বেড করা হলো। একটাতে ছেলেরা অন্যটাতে মেয়েরা। অহনার মা কল করল বাড়ি থেকে,
' কিরে মা, কই আছিস?'
' আমি একটু ঘুরতে এসেছি মা।'
' কোথায় ঘুরতে গেলি?'
' বন্ধুদের সাথে বান্দরবান।'
' হ্যাঁ, তোর বাবা বলেছিল তো। আজকাল কিছুই মনে থাকে না। বলছিলাম যে এবার ঘুরে এসে বাড়ি আসিস। আমার শরীরটা ভালো নেই, তোকে কাছে দেখতে চাই।'
' কি হয়েছে তোমার মা?'
' তেমন কিছু না। তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে। এবার গেলিযে তো আটমাস হতে চলল।'
' আচ্ছা মা। আমি দুই দিন পরেই আসব। তুমি নিজের যত্ন নিও। বাবা কোথায়?'
' ঘুমাচ্ছে। কথা বলবি?'
' না, সকালে বলব। এখন আর বিরক্ত করব না।'
' খেয়েছিস?'
' হ্যাঁ মা। তুমি খেয়েছো?'
' হ্যাঁ, আচ্ছা তুই ঘুমিয়ে পড়।'
' গুড নাইট মা। লাভ ইউ।'
অহনা কল রেখে দিতেই মেসেজ আসে,' রাতে সাবধানে থেকো, একদম ঘুমিয়ে পড়বে না। কেউ আসছে.......'
চলবে ইনশা'আল্লাহ.....
#অপবাদ
#পর্ব_৫
-- এই গুলো ভিষন প্রয়োজন ছিল?(আমি)
-- অই সময় ত,,,।এগুলোর কি দরকার ছিল বললেন।।(রিমি মুখ ভেংচি দিয়ে)
মোবাইল্টাও দেখছি খুব দামী রেডমি ৭।সাথে রিমির রেজিস্টার করা নতুন সিম।আর বাসায় ত ওয়াইফাই আছেই। সময় টা না হয় কেটে যাবে?
কিন্তু একটা মানুষ কতক্ষন ঘরবন্ধি থাকতে পারে।
দুপুরে গোছল করার সময় হয়ে গেছে।।রিমি এনে দেওয়া লুঙ্গী নিয়ে ওয়াশরুমে গেছি গোছল করতে।।বলতে ভুলে গেছি রিমিদের এডজাস্ট করা ওয়াশরুম।তাই তেমন সমস্যা হয়নি।তার পর ও রিমি জানতে পারলে বকতে পারে।বলছিল গোছল করার সময় রিমি ওয়াশরুমে এগিয়ে দিয়ে আসবে।।তাছাড়া সাপোর্ট এর জন্য দুটু (সরি মনে আসছে না এটার নাম) ভর দিয়ে চলার জন্য রিমি এনেছিল কিছুক্ষন আগে।এখন মনে হয় হাটাতে পারবো আমি একাই।।
গোছল করে,,,বের হয়ে দেখি রিমি রুমে বসে আছে।আমাকে দেখে রাগ দেখিয়ে বলছে?
-- আপনি একা একা কেন হাটছেন।যদি পায়ে ব্যাথা লাগে ত?(রিমি)
-- আপনি তো (সরি নিজ দ্বায়িত্বে বুজে নেন।(সাপোর্টার) এনে দিছেন।আমার মনে হয় কেউ হেল্প করতে হবে না চলতে পারবো?,,(এগিয়ে যাওয়ার আগেই রিমি উঠে এসে আমার হাত ধরলো)
-- বেশি বুজেন না?আসুন।।(কি রাগ দেখাচ্ছে।।মনে হচ্ছে কত বছরের পরিচয়)
আসলে ভালো মানুষ গুলো এমনই হয়। ওরা ধনী, গরিব,বড়,ছোট কিছু বুজে না।ওরা বুজে শুধু মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতে হবে।আর ভালো মানুষ গুলো অল্পতেই মানুষকে আপন করে নিতে পারে।কারো কারো চোখে এগুলো,,খারাপ দেখায়।আসলে এই গুলোই মানব প্রেম।
-- একটা কথা বলবো?(আমি)
-- জ্বি বলেন?(রিমি)(ততক্ষনে বিছানায় বসে)
-- রুমে থাকতে থাকতে কেমন যেন লাগছে।এমনেতেই মন খারাপ আব্বু,আম্মুর জন্য।আজ বিকেলে কি আপনাদের ছাদে নিয়ে যাবেন?(আমি)
-- আপনাকে ত এত হাটা মানা করছে।।বারান্দায় বসে গল্প করবো। মন ভালো হয়ে যাবে অকে?(রিমি)
-- আচ্ছা,,ঠিক আছে।।(আমি)
-- আচ্ছা,,,আমি খাবার নিয়ে আসছি,,,প্রস্তুত থাইকেন?(রিমি খাবার আনুতে চলে গেছে)
বুজি না,,এমনও ভালো,,মিশুক মেয়ে হয়?আপনাদের কি মনে হচ্ছে এগুলো শুধু গল্পেই সম্ভব তাই না?না এগুলো সম্ভব আমার সাথে এমনই হচ্ছে।।
দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।,,আমি যেই রুমে থাকি এখানে বারান্দা ও আছে আজ প্রথম জানলাম,,,।
বিকেলে রিমি আসলো গল্প করার জন্য,,,
-- কি করছেন?( রিমি)
-- কিছু না,,সুয়ে আছি?(আমি)
-- বারান্দায় যাবেন না?(রিমি)
-- না,,,রুমেই থাকি,,,পা টা যত তারাতারি ভালো হয় মুক্তি? (ভেবে দেখলাম এমনেই অনেক কষ্ট হচ্ছে এদের,,,এখন হাটতে গিয়ে যদি পায়ে ব্যাথা পেয়ে নেই।।)
-- আচ্ছা,,আপনি কি লেখাপড়া করেন?(রিমি)
-- হুম,, কলেজে উঠছিলাম?(মন খারাপ করে)
-- আমিও ত,,ভালোই হলো আমরা তাহলে ফ্রেন্ড অকে?(রিমি)
-- কি বলেন আপনার সাথে।। (আমি)
-- কেন আমাকে পছন্দ হচ্ছে না?(রিমি মন খারাপ করে)
-- কি বলেন আপনার মত মেয়ে হয় নাকি?(আমি)
-- তাহলে তুমি করে বলবা অকে,,,(রিমি)
-- আমি আপনিই বলবো আপনি তুমি বইলেন।।
-- না ফ্রেন্ডকে কখনো আপনি বলা যায় না।(রিমি)
-- আচ্ছা তুমিই বলবো?(আমি)
রিমির সাথে গল্প করতে করতে রিমির জিবনের খারাপ সময়ের কথা সুনতে পাই।।রিমির জিবনের গল্পটা খুবই কষ্টের।যা সুনে চোখের কোনে পানি জমে যায়।হয়তো প্রতিটি মানুষের জিবনে এরকম একটা গল্প থাকে।কেউ কেউ প্রকাশ করে।কেউ বলতে পারে না নিজের ভিতর কবর দিয়ে দেয়।,,
রাত তখন ৯ টা খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাবিকে আমার নতুন নাম্বার থেকে কল দিলাম।কিন্তু ভাবির নাম্বার বন্ধ দেখাচ্ছে।অনেকবার ট্রাই করছি কিন্তু কোনো কাজে আসছে না।নাম্বার বন্ধ দেখাচ্ছে।হয়তো মোবাইলে চার্জ নাই।তাই রেখে দিলাম,,বাসায় ত আর কাউকে ফোন দিয়ে কথা বলার মত অবস্থায় নাই।।
সত্যি বলতে আমার মায়ের কন্ঠটা সুনতে খুব মনে পড়ছে।,,আসলে যে যতটা আপন তার থেকে পাওয়া কষ্টটা অনেক বেশি হয়।যা অনেক সময় সহ্য করতে পারা যায় না।।।আমার আম্মু আমাকে অনেক ভালোবাসে,,আম্মু হয়ত কখনো ছেলের এত টুকু অপরাধ করতে দেখেনি।কিন্তু যখন আম্মু এই রকম জগন্য কাজ করতে দেখে।হয়ত কলিজা পুরে গেছিলো। আম্মু পারে নাই নিজের চোখে দেখে বলতে আমার ছেলে এমন না। সে এমন করতে পারে না।
আমি যখন রাতে,পড়তে পড়তে অনেক রাত করে ফেলতাম আম্মু আমার রুমে এসে বসে থাকতো।কখনো দুধ গরম করে দেয়।কখনো কফি এনে দেয়।
যদি কখনো বললাম আম্মু আজ খাবো না ভালোলাগছে না।আম্মু আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিত।আর বলত রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমাতে নেই।
খেতে বসলে সবচেয়ে ভালো খাবারটা আমাকে দিতো।আব্বুর দেওয়া হাত খরচের পরও আম্মু অনেক গুলো টাকা ধরিয়ে দিত।।আর বলতো আমার ছেলেটা না খেয়ে সুকিয়ে যাচ্ছে।।
আজ মায়ের আদর গুলো খুব মনে পড়ছে।আম্মু বেচে থাকতেই আম্মু বলে ডাকার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি।এর থেকে আর কষ্টের কি হতে পারে আমার জানা নাই।
হয়ত যাদের মা নেই তারাই বুজবে মা কে মনে পড়া কতটা কষ্টের।।
পরেরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভাবির নাম্বারে আমার কল দিলাম।।কিন্তু এখনো নাম্বারটা বন্ধ পাচ্ছি,,।ভাবির মোবাইল কি হলো।,,মন খারাপ করে বসে আছি,,,রিমি এসে,,
-- কি আসিফ মন খারাপ কেন?(রিমি)
-- ভাবির নাম্বারটা বন্ধ পাচ্ছি কাল রাত থেকে।(মন খারাপ করে)
-- মন খারাপ কইর না হয়তো মোবাইলে কিছু একটা হইছে।(রিমি)
-- কি জানি? (আমি)
-- আসিফ তোমার সাথে দেখা করতে আমার একটা ফ্রেন্ড এসেছে?(রিমি)
-- আমার সাথে কে দেখা করবে?(অবাক হয়ে)
-- আমার এক ফ্রেন্ড বললাম না?(রিমি)
-- কিন্তু আমার সাথে কেন?দেখা করবে?(আমি)
-- আমি তোমার কথা বলেছিলাম,, তোমার জিবনের গল্প বলেছিলাম।তোমার গল্প সুনে দেখার জন্য পাগল হয়ে। গেছে এমন ভালো মানুষকে না দেখে নাকি ঘুম হবে না।(রিমির কথা সুনে কেমন হাসি পাচ্ছে)
কিছু বললাম না,,,
রিমি মেয়েটাকে রুমে নিয়ে আসলো,মেয়েটার সাথে কথা হলো। খুব ভালোলাগলো কথা বলে। মানুষের কষ্ট বুজার মতো মন আছে।
বিকেলে ভাবিকে আবার ফোন দিলাম।কিন্তু একই অবস্থা বন্ধ পাচ্ছি।এভাবে কেটে গেলো দুই দিন কিন্তু ভাবির ফোন এখনো বন্ধ পাচ্ছি।।বাসার সাথে যোগাযোগ কি তাহলে একেবারে বন্ধ হয়ে গেলো।।????
চলবে,,
বিদ্রঃভালো লাগলে জানাবেন প্লিজ। অবশ্যই শেয়ার এবং ফলো দিয়ে সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।
#অপবাদ
#পর্ব_৪
রিমির থেকে ফোনটা চেয়ে ভাবির নাম্বারে ফোন দেই।
কিন্তু ফোন রিসিব করলো ভাইয়া।।
ভাইয়ার কন্ঠ সুনে সাথে সাথে কেটে দেই,,,
-- কি হলো,,রিসিভ করে নাই?(রিমি)
-- করছে,,কিন্তু ভাইয়া।(আমি মন খারাপ করে)
-- অহ আচ্ছা তাহলে আমাকে দেও?(রিমি মোবাইল টা নিয়ে আবার ফোন দিল)
আবার ও ভাইয়া দরেছে।
-- হেলো আসসালামু আলাইকুম?(রিমি)
-- অলাইকুম আসসালাম আপনি কে?(ভাইয়া)
-- আমি রিমি,,,আশা কই,,আমি আশার ফ্রেন্ড। (ভাবির নাম টা রিমিকে বলছিলাম)
-- অহ আচ্ছা একটু অপেক্ষা করুন আমি দিচ্ছি।(ভাইয়া)
(কপিবাজদের মুখোশ সবার সামনে খুলে দিন)
(গল্প নিয়ে মতবাদ থাকলে ইনবক্স করবেন)
(যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন ফ্রেন্ড হতে পারেন)
-- হ্যালো আসসালামু আলাইকুম,,(ভাবির কন্ঠ পেয়ে আমার কাছে রিমি ফোন টা দিল)
-- কেমন আছো ভাবি?(মুহুর্তেই চোখ থেকে পানি বেরিয়ে আসলো)
-- আসিফ,,,তুমি কোথায় এখন?তোমার মোবাইল বন্ধ কেন?কি হয়েছে?(ভাবির কন্ঠ জরিয়ে যাচ্ছে।মনে হয় কান্না করে দিবে)
-- ভাবি,, কাল আমি এক্সিডেন্ট করি পা টা ভেংগে যায়।সাথে আমার মোবাইলটা ভেংগে যায়।।তাই কথা বলতে পারিনি?(আমি)
-- কি বলো এইসব কিভাবে?এখন তুমি কই?(ভাবি)
-- ভাবি আমি এখন একজন আশ্রয়কারীনির বাসায় আছি।যিনি আমার এমন বিপদে পাশে এসে দাড়িয়েছে।অনেক ভালো ওরা,,,ওনার মেয়ের ফোন দিয়ে কথা বলছি।(আমি)
--আমাকে একটা বিকাশ নাম্বার দেও আমি টাকা পাঠাচ্ছি।(ভাবি)
-- আচ্ছা ভাবি যখন লাগবে জানাবো।বাসার অবস্থা কেমন?(খুব জানতে ইচ্ছে করছে।আগের মতই হাসি খুশিতে আছে নাকি আমার আসার সাথে সব চলে গেছে)
-- ভালো,না।আম্মু,,আব্বুর মন খারাপ।।কাল রাতে কেউ খাবার খায় নি।তবে মিথিলা আর সুমির জামাই কেমন হাসি খুশি।তাদের মতি গতি সুবিধার মনে হচ্ছে না।(ভাবি)
-- আমি ত দুলাভাইকে ভিডিও টা দেখিয়ে ভয় দেখাইছি যেন না মিশে?তবুও ওরা নিজেদের ভুল গুলা বুজতে পারছে না।।(খুব রাগ হচ্ছে মনে হচ্ছে ভিডিও টা নিয়ে বাসায় যাই সবাইকে দেখিয়ে দেই)কিন্তু এখন চাইলেও সম্ভব না ভিডিও টা হারিয়ে গেছে)
-- ভয়ের কোনো চিহ্ন দেখছি না।তোমার ভাইয়াকে রাতে বলছিলাম।তোমাকে এমন শাস্তি না দিলেও পারতো।সে বলে,,আমার এর দরদ কেন?আমার কি তোমার সাথে সম্পর্ক আছে নাকি।।(ভাবি কান্না সুরে বললো)
-- কেদো না ভাবি,,,আমি তোমার ভালোবাসা বুজি কেউ বা বুজক।।আর এই সব নিয়ে বাসায় কাউকে কিছু বইল না।।তবে ওদের আটকানো দরকার।।(আমি)
-- কিভাবে?(ভাবি)
-- তুমি,,দুলাভাইকে,,,বলবা। আসিফ যে ভিডিওটা যাবার সময় আমাকে দিয়ে গেছে।বলেছে আর যদি মিথিলার সাথে মিশতে দেখি বাসার সবাইকে দেখাতে?(আমি ভাবিকে বলতে বললাম)
-- আচ্ছা,,,আশাকেও বলবো?(ভাবি)
-- হুম খুব গোপনে দেখো ওরা ভালো হয় কিনা?(আমি)
-- আসিফ তুমি ওদের জন্য কেন এমন করছো।যারা তোমাকে মিথ্যা অপবাদে বাসা থেকে বের করিয়ে দিলো। এখন প্রমান টাও হারিয়ে ফেলেছো।তুমি কি আর ফিরবে না।(ভাবি কান্না সুরে)
-- ফিরবো ভাবি,,তবে যেদিন সবাই তাদের ভুল বুজতে পারবে? (চোখ বেয়ে পানি পরছে।)
-- তোমার ভাইয়া আসছে।রাতে ফ্রি হলে ফোন দিব?(ভাবি ফোন টা রেখে দিল)
-- আসিফ,,আপনি কি মানুষ?(রিমির চোখের কোনেও পানি)
-- কেন?(চোখ মুছে)
-- যে আপনাকে,বাসা ছাড়া করলো।।মিথ্যা অপবাদ দিল।।তাদের জন্য এত ভাবছেন।।মনে রাখবেন এই দুনিয়ায় কেউ কারো জন্য অতটা ত্যাগ শিখার করে না।।(রিমি)
-- তাহলে আপনারা কেন করছেন/?আপনারা ত চাইলে আমাকে কিছু টাকা ধরিয়ে চলে আসতে পারতেন। কিন্তু আমার ভালোর জন্য বাসাত নিয়ে আসলেন,,,ত্যাগ শিখার করছেন?(আমি)
-- আপনি আমাদের উপকার করছেন ধরে নিতে পারেন তাই আমরা আপনার উপকার করছি।।কিন্তু মিথিলা আর দুলাভাই ত আপনার সম্মান ডুবিয়ে বাসা থেকে বের করে দিল?(রিমির কথা যুক্তিযুক্ত)
-- মিথিলা আমার,,চাচাতো বোন জাকে আমি ভালোবাসতাম।।তার সম্মান কি করে নষ্ট করি বলুন ত।মিথিলা হয়ত একটা ভুল করছে।আমি তার ভুল গুলোর সংশোধনের কারন হতে চাচ্ছি।।সে জেন বুজতে পারে,,কাকে সে অপমান করতো।সে আজ তার সম্মান বাচানোর জন্য।মুখ বুজে সব সহ্য করে গেল।।।(আমি)
-- আপনি এখনো মিথিলাকে ভালোবাসেন? (রিমি)
-- জানি না,তবে আমি চাই মিথিলা তার ভুল বুজতে পারুক।সম্মান নিয়ে বেচে থাকুক।।(আমি)
-- অহ,,,বুজছি,,,হয়তো এখনো ভালোবাসেন?(রিমি)
রিমি হয়তো বলতে চাচ্ছে আমি যা করছ সব কিছু ভুল করছ।।রিমি চলে যায়।আমি রিমির কাছ থেকে গল্পের বই চেয়ে নেই।সময় কাটানোর জন্য।গল্প পড়তে আমার অনেক ভালোলাগে।ঠিক আপনাদের মতই।
(কপিবাজ ভাইয়েরা নিজেরা গল্প লিখতে চেস্টা করুন দেখবেন অনেক ভালো লিখতে পারছেন)
(খারাপ লাগে যখন এত কষ্ট করে গল্প লিখে অন্যজন নিজের নামে পোস্ট করে।রেস্পন্স বেশি পায়)
গল্প পড়ছি,,এমন সময় আন্টি রুমে আসলো তার ছেলেকে নিয়ে।।বয়স বেশি হবে না ৫ বছর হবে হয়তো।
-- খাবার খেয়েছো আসিফ?(আন্টি)
-- জ্বি আন্টি?রিমি এনেছিল।(আমি)
-- আচ্ছা,,, টিভি ছেড়ে দিবো?(আন্টি)
-- না আন্টি আমি বই পড়ছিলাম।।বই পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।।ভাইয়া,,এদিকে আসো।।বসো ভাইয়ার সাথে।।(রিমির ভাইকে ডাকলাম)
-- না,,পায়ে ব্যাথা দিবে?অনেক দুস্টু আগে পা ভালো হওক তার পর খেলা করবে?(আন্টি)
-- না আন্টি সমস্যা নাই।।।(ছেলেটাকে আমার পাশে বসিয়ে আদর করছি)
-- তুমি কি লেখাপড়া করো?(আন্টি)
-- জ্বি আন্টি সবে মাত্র কলেজে উঠেছি?আর মনে হয় লেখাপড়া টা করতে পারবো না।।(মন খারাপ করে বললাম)
-- মন খারাপ কর না একটা ব্যবস্থা হবে?আমাদের রিমিও কিন্তু এইবার কলেজে উঠেছে।(আন্টি)
অহ তার মানে সমবয়সী ঈ।।ভালোই হলো,,সময়টা পড়ালেখা করে চালিয়ে দিব।।।
-- আচ্ছা তুমি রেস্ট নেও।।পরে এসে দেখে যাবো।।(আন্টি তার ছেলেকে নিয়ে চলে গেলো)
আমি বসে টিভি দেখছি।এমন সময় রিমি কি কি নিয়ে যেন আমার থাকার রুমে আসলো।।হাতে কত গুলো সপিং?
-- এই গুলো আপনার দেখেন পছন্দ হয়েছে কিনা।আমার পছন্দ আশা করি ভালো লাগবে?আর এটা আপনার নতুন মোবাইল।।(রিমি)
-- এই গুলার কি দরকার ছিল বলেন,,শুধু শুধু টাকা খরচ করলেন?(আমি কি তাদের বেশি জ্বালিয়ে দিচ্ছি)
-- তাই নাকি,,এক কাপড়ে থাকতে পারবেন।।আর সারাদিন রুমে বসে সময় কাটাবেন কি করে সুনি।।(রিমি)
-- এই ধরুন এই ৫০০০ টাকা আছে,,,।বাকিটা ভাবিকে বলে নিয়ে দিয়ে
অচেনা নাম্বার থেকে একটি মেসেজ,' তোমার বয়ফ্রেন্ড আজ তোমাকে গ নধ*র্ষ*ণ করতে যাচ্ছে। নিজেকে বাঁচাতে হলে বাড়ি থেকে বের হয়ো না।'
অহনা সাজগোজ করছিল বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাবে বলে। তখনি মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠে মেসেজটি। সেটাকে উপেক্ষা করে আবারো সাজায় মনোনিবেশ করে। হয়তো কেউ দুষ্টামি করছে তার সাথে, সে ভেবেই তৈরি হয়ে নেয়।
বের হতেই আবার মোবাইলে মেসেজ আসে,' তারা এগারো জন। গ নধ*র্ষ*ণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে এখনি সিদ্ধান্ত বদলাও। না হয় তোমার সম্মান নয় কেবল তুমিও বেঁচে ফিরতে পারবে না।'
অহনার রাগ হয় অচেনা সেই লোকের উপর, যে কিনা ভয় দেখাচ্ছে। মোবাইলটাকে সাইলেন্ট করে দেখা করতে যায় বয়ফ্রেন্ড অর্ণবের সাথে।
পার্কে পৌঁছাতেই অর্ণব বলল,' চলো এক জায়গায় যাব।'
' কোথায়?'
' আমার সাথে চলো।'
অহনা কথা না বাড়িয়ে অর্ণবের সাথে চলতে থাকে। পৌঁছে যায় নিজের এলাকা থেকে কিছু দূরে একটি জঙ্গলে। সুনসান নীরবতায় ভয় পায় অহনা। অর্ণবের শার্ট খামচে ধরে বলে,' এ তুমি কোথায় নিয়ে এলে আমায়?'
'আর একটু বেবি। কিছুক্ষণ পরই দেখতে পাবে আসল মজা।'
' এটাতো জঙ্গল। এখানে কি এমন করবে তুমি? বড় কোনো সারপ্রাইজ কি আছে?'
' হ্যাঁ, গেলেই দেখবে। অনেক বড় সারপ্রাইজ।'
তারা পৌঁছে যায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। চারিদিকে কেমন বিদঘুটে অন্ধকার। পঁচা গন্ধ আসছে অনেকটা। সিড়ি বেয়ে উপরে উঠল। উপরটা পরিপাটি তবে একখানা ভাঙা আয়না আর বিছানা ছাড়া আর কিছুই চোখে পরছে না। অহনা বলল,' এখানে কি? কিছুতো নেই। আমরা এখানে কেন এলাম? আমার ভয় করছে অর্ণব। প্লীজ চলো বাড়ি চলে যাই।'
' একটু পর চমক দেখবে সবুর করো।'
দেখতে পেল একে একে দশজন তরুণ প্রবেশ করল। অহনার আচমকা অচেনা মেসেজের কথা মনে হয়। সেও বলেছিল এগারো জন লোক তাকে গনধর্ষণ করবে। বুকটা ধ্বক করে উঠল তার।
' অর্ণব, এরা কারা?'
' এরা আমার বন্ধু। মজা হবে আজ।'
'আমি বাড়ি যাব। আর এক মুহূর্তও এখানে না। তুমি গেলে চলো না হয় আমি একা গেলাম।'
একজন লোক এগিয়ে আসে অহনার দিকে,' কোথায় যাচ্ছ সোনা? তোমার জন্যইতো আমরা এখানে এলাম। তুমি গেলে মজা করব কার সাথে?'
বলেই শয়তানি হাসিতে ফেঁটে পড়ল তারা। অর্ণবও হাসছে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হতে লাগল অহনার। বার বার মনে আসছে অচেনা মানবের কথা। যদি তার কথা শুনে না আসত, তাহলে এতো কিছু ঘটত না।
অর্ণবসহ এগারো জন পুরুষ অহনার দিকে এগিয়ে আসছে। অহনা নিজের হাতের ফোনটার দিকে তাকায়। রাগের বশে অফ করে রেখেছিল। তারাতাড়ি অন করতেই অর্ণব তার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে বিছানায় ছুড়ে মারে। পরক্ষণেই এগারোজন এগিয়ে আসে আরো কাছে। অহনাকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। অহনা পিঠের নিচে মোবাঈলের অস্তিত্ব টের পায়। মোবাইল অন করতেই দেখতে পায় একটি মেসেজ,' তোমার পেছনে, বিছানার পাশে একটি স্প্রে আছে। সবার মুখে স্প্রে করো। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।'
অহনা কোনো কিছু না ভেবে আশেপাশে তাকায়। সত্যি সত্যি একটি স্প্রে দেখতে পায়। হাতে নিয়েই তাদের চোখে মুখে স্প্রে করে। তারাহুড়ো হয়ে ঘরটি থেকে বেরিয়ে যেতেই অর্ণব ওর হাত ধরে ফেলে,' কোথায় যাচ্ছিস? তোকে ভোগ না করে এখান থেকে ছাড়বো না। পালাতে পারবে না।'
অহনা অর্ণবের হাতে কামড় বসায়। ব্যথার চোটে অর্ণব তাকে ছেড়ে দেয়। সিড়ি দিয়ে নামতেই আরেকজন ওর হাত টেনে ধরে। টেনে আবার উপরে নিয়ে যায়। ঠাসস করে একটা চড় বসিয়ে দেয়। অহনা ছিটকে পড়ে বিছানায়। চিৎকার করেও লাভ নেই এখানে। এই পরিত্যক্ত জায়গায় কেউ শুনবে না তার আর্তনাদ। পশুগলো পুনরায় ঝাঁপিয়ে পরতেই পুলিশ এসে হাজির হয়।
পুলিশ দেখে সবাই ভয়ে পালাতে থাকে। অর্ণবের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,' শা/লার পুলিশ খবর দিল কোন মা*?'
পুলিশ সবাইকে ধরে নেয়। অহনা বেঁচে যায়। একজন এসআই অহনার কাছে এসে বলল,' ভাগ্য করে এমন হাজবেন্ড পেয়েছেন। আজকালকার হাজবেন্ড ওয়াইফের মনের মিল থাকে না কখনো। আপনার স্বামীতো অফিস থেকেই আমাদের কল করে বলল, তার নাকি আপনাকে মনে পড়ছে, কলটাও ধরছেন না। ওনার মনে হচ্ছিল আপনি বিপদে আছেন। আমাদের বলল, আপনাকে তারাতাড়ি উদ্ধার করতে। কিন্তু উনি আমাদের সাথে আসলেন না। বেষ্ট অফ লাক, এমন স্বামী পেয়েছেন আপনি। এখন আপনি চলে যান। আপনি নিরাপদ, আমাদের গাড়ি আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে।'
অহনা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। মনে মনে ভাবতে থাকে। কে সেই ব্যক্তি, যে নিজেকে অহনার স্বামী পরিচয় দিল? কেন সে সাহায্য করছে? তাকে চিনলই বা কি করে? অনেক প্রশ্ন মনে হতে থাকল।
অহনা ছুটে গেল সেই এসআই এর কাছে।
'স্যার, আপনি কি সেই লোকের নাম্বার দিতে পারবেন, যে আপনাকে বলেছিল আমাকে সাহায্য করতে?'
ইন্সপেক্টর অবাক হয়,' আপনার স্বামীর নাম্বার আপনার মনে নেই?'
অহনা আমতা আমতা করে বলল,' আসলে সে নতুন সিম নিয়েছে। নাম্বারটা আমার মনে নেই। আপনি এখন দিলে উপকৃত হতাম। না হয় বাড়ি গিয়ে তাকে জানাবো কি করে?'
ইন্সপেক্টর নাম্বার দিয়ে দেয় অহনাকে। নিজেও কল করে সেই অপরিচিত লোককে। আশ্চর্য ব্যাপার! ফোন বন্ধ বলছে। কয়েকবার ট্রাই করেও কোনো উপায় হয় না।
ইন্সপেক্টর বললেন,' বাড়ি গিয়ে ওনাকে খবর দিয়ে দেবেন। আমাদের এখানে কল লাগছে না।'
' জ্বী স্যার।'
অহনা বাড়ি গিয়েই দেখে এটা সেই নাম্বার, যে নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছিল। কল করে, কিন্তু বন্ধ বলছে। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে রেখে দেয়। কিন্তু মনে খটকা রয়ে গেল।
অহনা বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই আবার মেসেজ আসে। ফোন ধরে দেখে সেই অজানা নাম্বার থেকে মেসেজ,' দক্ষিণের জানালাটা বন্ধ করো। বাতাস বইছে খুব। ঠান্ডা লেগে যাবে।'
অহনা সাথে সাথেই নাম্বারটায় কল করে। বলতে না বলতেই আবার ফোন বন্ধ বলছে। অহনা তারাতাড়ি বাইরে যায়। চারিদিকে নিরবতা, কেউ নেই কোথাও। তাহলে সেই অপরিচিত লোক জানল কিভাবে তার জানালা খোলা? উত্তর ছাড়া হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অহনার মাথায়।
বিকেলে উঠে ওয়াশরুমে গোসল করতে যেতেই আয়নায় দেখতে পায়.....
#গল্পঃছায়া_মানব
সাথী ইসলাম
#পর্ব_১
চলবে ইনশা'আল্লাহ.....
#অপবাদ
#পর্ব_২ও_৩_একসাথে
ভাবির চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে।ভাবি আমার হাতে অনেক গুলো টাকা দিয়ে বলে টাকার দরকার পড়লে যেন ভাবিকে জানাই।।।ভাবি চোখ মুছে আমার রুম থেকে বের হয়। কিন্তু আমার চোখের পানি জোরায় না।রুমটার প্রতি মায়া লাগছিল।।আম্মুর পায়ে একবার সালাম করতে মন চাচ্ছিল কিন্তু সেই সাহস আজ আমার নেই।সবাই আমার চলে যাওয়া দেখছে।ভাবি সবার চোখের আরালে বার বার চোখ মুছছে?
১২টার বাসে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে,,,
কিন্তু কোথায় গিয়ে উঠবো,,ঢাকা গিয়ে কি করবো?খুব চিন্তা হচ্ছিল।কারন ঢাকা আমি ভালো করে চিনি না।আর কোনো আত্মীয় স্বজন নাই যে সেখানে গিয়ে উঠবো। ভাবির দেওয়া টাকা গুলো গুনলাম ৫০০০ টাকা আছে এখানে।আর আমার পকেটে ৭৮০টাকা।ভাবি যদি টাকা না দিতো তাহলে ত ২ দিন বেচে থাকা কষ্টকর হয়ে যেত।।এমনে কোনো কাজও জানি না।
সবে মাত্র কলেজে পা দিয়েছি।আব্বুর টাকার অভাব নাই।যার জন্য লেখাপড়াটাই করেছি মন দিয়ে। পরিবারের সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো।আমার কোনো দুষ ছিল না।শুধু একটাই দুষ আমি মিথিলাকে পাগলের মতো ভালোবাসতাম।। যখন থেকে বুজতে শিখেছি তখন থেকেই মিথিলাকে ভালোবাসতাম আমি।একসাথে স্কুলে যাওয়া খেলাধুলা করা।আমরা ছিলাম বেস্ট ফ্রেন্ডের মতই।কিন্তু যখন মিথিলাকে স্কুলের এক বড়ভাই ফলো করতে শুরু করে।আর মিথিলা যদি সম্পর্কের জড়িয়ে যায় সেই ভয়ে সুমি আপুর বিয়ের দিনই প্রপোজ করি মিথিলাকে।
কিন্তু মিথিলা সাথে সাথে এই কথা আমার আব্বুকে এসে বলে দেয়। আব্বু আমাকে সেদিন অনেক মারে।।
তখন নবম শ্রেনীতে উঠেছি মাত্র।।আমার আর বিয়ে খাওয়া হলো না।।আব্বুর হাতের মাইর সেদিন প্রথম খেয়েছিলাম।আব্বু বলেছিল মিথিলাকে যেন নিজের বোনের মতই দেখি।।আমার মাইর দেখে মিথিলা অনেক হেসেছিল। কিন্তু মিথিলার প্রতি রাগ আসে নি আমার।,,
বিয়ের দিন সুমি আপুর সাথে যাওয়ার জন্য বলেছিল আপু।আমিও প্রিপেরেশন নিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু আমার আর যাওয়া হলো না।।মিথিলাই গেলো।আব্বক আমাকে মাইরের কারন টা শুধু ভাবিই জানতো।আর সবাই জেনেছে দুস্টুমির জন্য মেরেছে।অনেকে আব্বুকে রাগ দেখিয়ে বলেছিল। দুষ্টুমির জন্য কেউ এমনে মারে।আর বিয়ের দিন ফাইজলামি করবে না তো কবে করবে?
আপুকে আনার জন্য গিয়েছিলাম,,।আপু না যাওয়ার কারন কি জানতে চেয়েছিল কিন্তু কিছু বলি নাই।।।তবে মিথিলার মনে যেন আনন্দের জোয়ার বইছে।নতুন দুলাভাইয়ের সাথে ভালোই খাতিল জমেছে।।আমার খুব ভালো লাগলো বড় ভাইয়ের অভাবটা দুলাভাইকে দিয়েই পুরন করুক।
আপুকে নিয়ে বাসায় আসলাম,,,দুলাভাইয়ের সাথে আমারও ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে।।খুব ভালোভাবেই যাচ্ছিল দিনগুলো।
কিন্তু বার বার মিথিলাকে আমার মনের কথা বলার চেস্টা করেছি।মিথিলা বলতো আমি তোকে শুধুই ভাইয়ের মত দেখি।।।দুলাভাইকে দিয়েও বলেছিলাম অনেক বার কাজ হয় নি।।
তবে দুলাভাই আর মিথিলাকে অনেক বার একান্তে দেখেছি।মনে হচ্ছিল প্রেমিক প্রেমিকা বসে প্রেম করছে।। কিন্তু আমি তখন এইসব নিয়ে ভাবি নাই।।কারন মিথিলা,,দুলাভাই এমন না।।পরবর্তিতে এমনই হলো।।
হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ টিউন বেজে উঠে,,,কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে আসি।।মিথিলার নাম্বার থেকে মেসেজ।।কি লিখেছে?
-- আমার রুপ বের করতে গিয়ে নিজেই ধরা খেলি কেমন অভিনয় টা করলাম?(মিথিলার লেখাটা পরে চোখের কোনে জমে থাকা কষ্ট গুলো বের হতে চাচ্ছিল)
-- আমি জানি না তুই এমনটা কেন করেছিস।।তবে আমি চাইলে আমি তোদের রুপটা বের করে দিতে পারতাম।কিন্তু তোর সম্মান আর আপুর সংসারের কথা ভেবে কাউকে কিছু বলি নাই(আমি)
-- তাই নাকি,,,তর কাছে কি প্রমান আছে নিজেকে সাধু বানানোর জন্য?তবে কেন তোকে বাসা থেকে বের করেছি জানিস।যেন আমাদের সম্পর্ক আর কেউ না জানে।আর তোর কাছে যেন ছোট হয়ে না থাকতে হয়।(মিথিলা)
-- ভালো করেছিস,,,এতে আমার কোনো দুঃখ নাই।শুধু বলবো আপুর সংসারটা নষ্ট করিস না প্লিজ।।তোদের এই অবৈধ সম্পর্ক নষ্ট করে।সবাই যেমন ভাবতো তোকে সেইরকম ভাবে চল।।
-- তুই আমাকে বলবি আমি কি করবো?আমি দুলাভাইকে বিয়ে করবো?(মিথিলা)
তার পর আমি রিপ্লে দিলাম,,,কিন্তু মেসেজ সেন্ড হচ্ছে না।।।বুজতে বাকি নেই এই সিম টা নষ্ট করে ফেলেছে।।
কিন্তু আমার মনে খুব ভয় জন্মাচ্ছিল,,,আপুর সংসায় টা কি মিথিলা ধংশ করে দিবে।
তাই আমি সাথে সাথে দুলাভাইকে,,,ভিডিওটা পাঠিয়ে ছোট করে লিখে দিলাম।।
-- আমি চাইলে এই ভিডিওটা সবাইকে দেখাতে পারতাম।এতে করে আপনাদের সম্মান কোথায় যেত একবার ভেবে দেখেন। কিন্তু আমি তা করি নি।আমি না হয় এই অপবাদে ভালোভাবেই বেচে থাকতে পারবো। কিন্তু মিথিলা?মিথিলার আব্বু নাই,,আমার আব্বু নিজের মেয়ের মতো আদর করে।সেই আদর টা থাকতো না।আর মিথিলার সম্মান টা কোথায় থাকতো।
আর আপনার?আপুর চোখে সারাজিবন ধর্ষক হয়ে বেচে থাকতেন।হতে পারতো আপনাদের সংসার টা ভেংগে গেছে।আর আমাদের বাড়িতে যেই সম্মানে আছেই সেই সম্মানটা ঘৃনায় পরিনত হতো।।।।
-- তাই আপনাদের একটা সুযোগ দিলাম,,,আপনাদের এই অবৈধ সম্পর্ক থেকে সরে আসুন।।সম্মান আর আপুর ভালোবাসা নিয়ে বেচে থাকুন।মনে রাখবেন আপনার একটা ফুটফুটে বাচ্চাও আছে।(আমি মেসেজ টা দিয়ে বসে রইলাম)
বাস একটা স্টেশনে এসে থামলো।।বাস থেকে নেমে পেটে খুব ক্ষুধা লাগছিল। তাই হোটেলে গিয়ে খাবার খেয়ে নেই।। রাস্তার পাশ ধরে হাটছি।।কিন্তু এখন আমি কোথায় যাবো?কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। আব্বু আম্মুর কথা গুলো কানে বাজছিল।।(তুই আমার ছেলে না।।তোকে কোন পাপে পেটে ধরেছি।)মাগো তুমিও তোমার ছেলেকে চিনলে না।।চোখ থেকে অনবরত পানি ঝরছিল।।,, অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছি।।দুপুর গড়িয়ে বিকেল।
হঠাৎ ই রাস্তার মাঝখানে একটা বাচ্চাকে দেখলাম।যেকোনো মুহুর্তে গাড়িতে চাপা পরতে পারে।।আমি কোনো কিছু না ভেবে ব্যস্ত রাস্তায় নেমে গিয়ে আব্বাটাকে কোলে করে রাস্তার পাশে নিয়ে যাই।।কিন্তু শেষের দিয়ে একটা গাড়ি এসে আমার পায়ের উপড় দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়।।আমি ব্যথায় কাতরাচ্ছি,,,, বাচ্চাটির,,,মা এসে আমাকে হাসপাতাল নিয়ে গেলো।আর একদিক দিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে অন্যদিক দিয়ে নিজের বেখেয়ালির জন্য বাচ্চাকে বাচাতে গিয়ে আমার এমন অবস্থার জন্য নিজেকে দুষারুপ করছে।
ডাক্তার এসে আমাকে কি যেন একটা ইঞ্জেকশন দিলো।আস্তে আস্তে আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসলো।।
চোখ খুলে দেখি পায়ে ভ
আমার চাচাতো বোন মিথিলাকে কলেজে যাওয়ার জন্য খুজতে যাই মিথিলার রুমে।রুমে যেতেই দেখি মিথিলা তার দুলাভাইয়ের সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্ত পার করছে।।মিথিলা প্রায় অর্ধ উলঙ্গ আর দুলাভাই শুধু শর্ট পেন্ট। তাদের প্রেমলীলা দেখে আমি থমকে যাই। এটা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমি।আমি মিথিলাকে ভালোবাসি এটা মুটামুটি বাড়ির সবাই জানে। এই কারনে কত যে মাইর খেয়েছি তার কোনো হিসাব নাই।আমাকে বরাবর বলে দিয়েছে মিথিলাকে নিজের বোনের মতো দেখার জন্য।
আমি মিথিলাকে এমন অবস্থায় দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না।।
-- ছিহ, ছিহ মিথিলা এইসব কি দেখছি?আর দুলাভাই আপনি কি করে পারলেন এটা করতে?(আমার আওয়াজ সুনে যেন ওদের মাথায় আকাশ ভেংগে পরছে)
-- আসিফ প্লিজ কাউকে বইলো না প্লিজ,,,কাউকে বললে আমাদের মানসম্মান থাকবে না?(দুলাভাই)
ওনি সুমি আপুর স্বামী,,,দেখতে স্মার্ট,, আর অনেক বড় চাকরি করে।সুমি আপু হলো মিথিলার বড় বোন।আপু সকালে তার বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে গেছে। সাথে চাচিও গেছে।চাচা নাই মারা গেছে ৩ বছর হয়।আব্বুই দুই পরিবারের প্রধান। আব্বুও চাচা মিলে একইরকমের দুইটা দুতলা বাড়ি করে। সুমি আপুর বিয়ে হয়েছে ২ বছর।একটা ৬ মাসের মেয়ে বাচ্চাও আছে। আপুকে আব্বুই বিয়ে দেয়।।বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়।দুলাভাই আমার হিরেরটুকরা বাড়ির সবাই জানে।।কিন্তু তার চরিত্র যে এত খারাপ আমি নিজেও ভাবতে পারছি না।
আর মিথিলা? মিথিলা এটা কিভাবে করলো?মিথিলার মত ভদ্র মেয়ে ত তিন গ্রাম খুজেও পাওয়া যাবে না।মিথিলার সৌন্দর্য পরিবারের লোকজন ছাড়া বাহিরের কেউ দেখে নাই।হাত মৌজা।পা মৌজা বোরকা পরে পর্দার সাথেই সব সময় চলাচল করে।কিন্তু আজ সেই মিথিলার একি হাল দেখছি??
-- চুপ করেন আপনি?লজ্জা করে না আবার কথা বলেন?আর মিথিলা তুই না পর্দা করিস,,,কোনো পর পুষের সামনে যাস না।এই তর পর্দার আরালে আসল চেহারা?(আমার কথা সুনে মিথিলা কিছু বলছে না নিজেকে ঢেকে কেদে যাচ্ছে)
-- তোর জন্য তো পুরো পর্দানশীন নারীদের সম্মান নষ্ট হলো।কি দরকার ছিল পর্দা করার পতিতা পল্লিতে গেলেই ত পারতি?(এই মিথিলাকে যখন আমি বলতাম মিথিলা আমি তোকে ভালোবাসি।তোর জন্য সব করতে পারবো।তখন মিথিলা আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলতো।।আর আব্বুকে বলে আমাকে মাইর খাওয়াতো)
-- আসিফ,,,কাউকে বলিস না প্লিজ?(মিথিলা কান্না করতে করতে)
-- মিথিলা আমি যখন তোকে ভালোবাসি বলতাম,,তুই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলতি আব্বুর কাছে মাইর খাওয়াইতি।আজ তোর আসল রুপ টা দেখুক সবাই।।আর দুলাভাই আপনাকে আর কি বলবো?(
আমি রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলাম।ওদের কে যতই বলি রুপ দেখিয়ে দিব কিন্তু সুমি আপুর সংসারটার কি হবে? আর একটা ৬ মাসের মেয়েও আছে তাদের।আর মিথিলাতো আমার চাচাতো বোনই। যাকে আমি ভালোবাসি।তাকে সম্মান কি করে নষ্ট করি।)
-- দুলাভাই আপনি এখনো এখানে বসে আছেন?(দুলাভাই মাথা নিচু করে বসে ছিল)
আমার কথা সুনে,,,দুলাভাই রুম থেকে বের হয়ে যায়।,,
-- মিথিলা অন্তত তোর কাছে এটা আশা করি নাই।কাজ টা কিন্তু বেশি ভালো করিস নাই।।(বলে যখন রুম থেকে বের হতে যাবো দরজা আটকানো)
মিথিলা চিল্লাতে শুরু করে দিছে,,
-- আসিফ আমাকে ছেড়ে দে প্লিজ।আমার এত বড় সর্বনাশ করিস না প্লিজ।। আমি তোকে ভাইয়ের মতোই ভাবি।।।আসিফ না প্লিজ,,,(মিথিলার কান্ডে আমি বাকরুদ্ধ।। সেই সুযোগে মিথিলা ভিতর থেকে দরজা আটকিয়ে নিয়েছে!)
আমি কথা বলতে পারছিলাম না।গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না।মনে হচ্ছে হাত,পা সব বেধে রেখেছে কেউ।।
-- আসিফ তুই আমার এত বড় সর্বনাশ করিস না প্লিজ আমি তোর পায়ে পরছি।।।।(মিথিলা তার কাপড় চোপড় ছিরতে লাগলো।প্রায় অনেক অংশ ছেড়ে ফেলছে)
--অনেক কষ্টে মুখ থেকে বের করলাম,,,মিথিলা কি হচ্ছে এইসব?(আমি)
-- কেউ,,বাচাও আসিফ প্লিজ,,,আ,,,,(মিথিলা অনেক জোরে চিল্লাচ্ছে)
আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই দাড়িয়ে আছি,,,।মিথিলার এমন কান্ডে শরিরের শক্তি হারাই ফেলছি।
বাহির থেকে দরজা ধাক্কাতে লাগলো দুলাভাই।আর দরজা খুলার জন্য চিল্লাতে লাগলো।
দুলাভাইয়ের চিল্লানি সুনে আব্বু,আম্মু,ভাইয়া,ভাবি সবাই মনে হয় চলে এসেছে।
জোরে দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে দরজা ভেংগে ফেলে সবাই।দরজা খুলতেই মিথিলা আব্বুর পিছনে গিয়ে লুকায়,,,।মিথিলার কাপড় চোপড় ছেড়া দেখে আন্তাজ করে ফেলেছে মিথিলার সাথে খারাপ কিছু হতে যাচ্ছিল।।
মিথিলা ন্যাকা কান্না করছে,,, মিথিলাকে ভাবি আগলে নেয়।আর সবাই আমার দিকে অগ্নি চুক্ষু দেখাতে লাগলো?
আব্বু আমার সামনে এসেই ঠাস,,,ঠাস কয়েকটা চর বসিয়ে দেয়। ভাইয়া এসেও অনেকটা চর মেরেছে।আমি কিছু বলতে যাবো সেই সুযোগ নাই।সব কিছু এত দ্রুত হচ্ছিল।
-- মিথিলা,,আসিফ তো তোমাকে কলেজে যেতে ডাকতে আসছিল?তোমাকে এত খারাপ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে,কেন?আসিফ কি তোমার সাথে কিছু করেছে?(ভাবি হয়ত বিশ্বাস করতে পারছে না।আমার মত ছেলে এমন একটা কাজ করবে)
-- ভাবি আমি সুয়ে ছিলাম।আসিফ এসে আমাকে একা পেয়ে আগের মতো ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়।আমি বড় আব্বুকে জানাবো বলাতে আসিফ আমাকে বলে আমি নাকি অনেক মাইর খাওয়াইছি।তাই আজ আমার ইজ্জত কেড়ে নিবে।।তার পর আসিফ আমার সর্বনাশ করতে থাকে।আপনারা না আসলে আজ আসিফ আমার কি যে করতো?(মিথালা ভাবিকে জড়িয়ে ধরে নেকা কান্না কাদছে)
মিথিলার কথা অবিশ্বাস করার কোনো কারনই নাই। আগেই বলেছি তিন গ্রাম খুজেও এমন মেয়ে পাওয়া যাবে না।
আব্বু মিথিলার কথা সুনে যেন আরো রেগে গেলেন?
--তুই আমার ছেলে ভাবতেই লজ্জা লাগছে।যে নিজের চাচাতো বোনের সাথে এমন করতে পারে সে অন্য মেয়েদের কি না করবে?তোর এইবাড়িতে কোনো জায়গা নেই।বের হয়ে যা এই বাড়ি থেকে?(আব্বুর কথা সুনে চোখ বেয়ে পানি পরছে।)
-- আব্বু আমি কিছুই করি নাই?(মাথা নিচু করে কান্না করতে করতে বললাম)
-- অই তুই আমাকে আব্বু বলবি না।আজ থেকে আমার একটা ছেলে তুই মরে গেছিস।(আব্বুর মুখে এই কথা সুনার থেকে মরে যেতে পারলেও অনেক সুখের হতো)
-- আম্মু,,আমি কিছু করিনাই,,মিথিলা,,(কথা আটকিয়ে দিয়ে)
-- তুই আমাকে আম্মু বলবি না,,জানিনা কোন পাপে তোকে পেটে ধরেছিলাম।(আম্মু কেদে কেদে)
আম্মুর মুখে কথা সুনে মনে হচ্ছে কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে।
আর কাকে বলবো যেখানে আমার গর্ভধারিণী মা বিশ্বাস করে না।আমাকে কিছু বলতেও দেয় নাই।।
আমি দুলাভাইয়ের দিকে তাকালাম,,,মুখে পৈচাছিক হাসি।,,আর মিথিলা এখনো ন্যাকা কান্না করছে।।
সুমি আপুও চলে এসেছে।যার আদরে আমার বড় হওয়া।যেই আপুটা আমাকে আপন ভাইয়ের মতো ভালোবাসে। আমাকে এখনো মুখে খাবার তুলে খাইয়ে দেয়।।সেই আপুটা সব কিছু সুনে,, কান্নায় বুক ভাসাচ্ছে।। আজ আমি আপুর চোখেও খারাপ হয়ে গেলাম।।
মিথিলার রুম থেকে বের হয়ে,,,আমার রুমে গিয়ে কাপড় চোপড় গোছাচ্ছি কারন এই বাড়িতে আমার জায়গা নেই।আর আমি কোন মুখে থাকবো এখানে যেখানে সবাই আমাকে ধর্ষক বলে জানে।
কাপড় গোছানো শেষ,,রুম থেকে বের হবো এমন সময় ভাবি আমার রুমে আসলো।ভাবিকে দেখে আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিলাম।
কারন ভাবি আমার মায়ের মতো আদর করে।আমার টাকা পয়সার অভাব ভাবিই পুরন করে।ভাবি সুমি আপুর মতই আমার একটা বড় আপু।
-- এটা তুমি কি করলা আসিফ,,?আমরা তো মিথিলার সাথে তোমার বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম আব্বুকে না হয় আমরা বুজিয়ে নিতাম।তার জন্য জোর করে?(ভাবি)
--ভাবি আমাকে মাফ করে দিও আমি পারি নাই সবার সামনে সত্য টা বলতে?(কান্না করছিলাম)
-- কি সত্য বলতে পারো নাই?(ভাবি)
-- ভাবি কথা দেন কথা গুলো কাউকে বলবেন না?(ভাবির কাছে কথা নিয়ে)
-- হুম,, বলো বলবো না কাউকে?(ভাবি)
-- ভাবি,,আমি মিথিলার সাথে এমন কিছুই করি নাই?(কান্না সুরে)
-- তাহলে মিথিলার কাপড় ছেড়া ছিল কেন?(ভাবি)
-- ভাবি আমি মিথিলাকে ডাকতে গিয়ে,, দুলাভাই আর মিথিলাকে পাপ কাজে লিপ্ত থাকতে দেখি।আমি তাদের অপমান করি।ভয় দেখাই বাড়ির সবাইকে বলে দিব।কিন্তু পরে আপুর সংসার,,আর মিথিলার সম্মানের কথা ভেবে থমকে যাই।।আমি রুম থেকে বের হতে যাচ্ছিলাম দুলাভাই বাহির থেকে দরজা লক করে দেয়।মিথিলা জোরে জোরে কাদতে থাকে আর কাপড় গুলো ছিড়তে থাকে। তার পর ভিতর থেকে লক করে দেয় মিথিলা। বাহির থেকে দুলাভাই দরজা ডাককাচ্ছে আর চিল্লানি সুনে তোমরা এসে আমাকে এই পরিস্থিতে 'দেখলা।।আমি কাকে বলবো এই কথা।কে বিশ্বাস করবে বলো।।(কেদে কেদে রুম থেকে বের হতে যাচ্ছি)
ভাবির চোখেও পানি,,,,ভাবি বিশ্বাস করলেও নিরুপায়।
-- কি বলছো আসিফ,,,তাদের পাপের বোজা তোমার উপর চাপিয়ে দিয়েছে?(ভাবি)
-- ভাবি তুমি কাউকে বলো না প্লিজ,,,মিথিলার সম্মান।।আর আপুর সংসার নষ্ট হয়ে যেতে পারে?(আমি)
-- জানি না আসিফ,,,কে মিথ্যা কে সত্য বলছে।মিথিলার,, আর সুমির জামাইর ত এমন কোনো বাজে লক্ষন দেখি নাই।।(ভাবি)
-- ভাবি তুমি আমাকে বিশ্বাস করছো না তাহলে এটা দেখো?(আমি সুযোগে সব কিছু ভিডিও করে রেখেছিলাম)
ভেবেছিলাম কাউকে দেখাবো না,,কিন্তু পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ টার চোখে নিজেকে খারাপ বানাতে পারি নাই।।
-- আসিফ এই ভিডিও এখনই আব্বুকে দেখাবো।।(ভাবি মোবাইল নিয়ে যেতে চায়)
-- ভাবি প্লিজ,,,কথা দিয়েছো কাউকে বলবা না।।সবার চোখে খারাপ হলেও তোমার চোখে যেন ভালো হয়ে থাকতে পারি তাই তোমাকে সব বললাম।।(কথা শেষ করতেই।।।।ভাইয়া ভাবিকে বলছে এই ধর্ষকের সাথে কিসের এত কথা)
ভাবির চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে।ভাবি আমার হাতে অনেক গুলো টাকা দিয়ে বলে টাকার দরকার পড়লে যেন ভাবিকে জানাই।।।ভাবি চোখ মুছে আমার রুম থেকে বের হয়। কিন্তু আমার চোখের পানি জোরায় না।রুমটার প্রতি মায়া লাগছিল।।আম্মুর পায়ে একবার সালাম করতে মন চাচ্ছিল কিন্তু সেই সাহস আজ আমার নেই।সবাই আমার চলে যাওয়া দেখছে।ভাবি সবার চোখের আরালে বার বার চোখ মুছছে?
১২টার বাসে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে,,,
চলবে,,,
#অপবাদ
#পর্ব_১
সারা পেলে নেক্স দিবো
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Sunamganj
3030
Sunamgonj
Sunamganj, 3000
Video Edit. Online income. Online Project. Youtube income. Feacbook income., and online others Subj
Vishwamberpur
Sunamganj, 3000
আসসালামু আলাইকুম আমরা নিত্তনতুন মটিফিসান নিয়া ভিডিও করেথাকি।/video Editor/