তরুণ উদ্যোক্তা ফখরুল হোসেন

সুনামগঞ্জ জেলার সফল যুব সংগঠক এর পেই

02/05/2022

০১/০৫/২০২২ ইং
আমার জমজ দুইটা পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করেছে আমি আপনাদের সবাই আমার ছেলেদের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যেন সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করেন আমিন।

30/03/2022

ভোটার তালিকা হালনাগাদ - ২০২২ইং
সারা দেশব্যাপী আগামী ২০/০৫/২০২২ ইং থেকে পরবর্তী ৩ সপ্তাহ।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে ৷

# # # নতুন ভোটার হইতে যা যা লাগবে:-

* জম্ম সাল ০১-০১- ২০০৭ হতে হবে।
* অনলাইন জম্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
* পিতা/মাতার আইডি (NID) ফটোকপি।
* স্বামী/স্ত্রীর আইডি ফটোকপি।
* শিক্ষা সনদের ফটোকপি।
* রক্তের গ্রুপ পরিক্ষার সার্টিফিকেট।
* হোল্ডিং টেক্স রিসিটের ফটোকপি।

অনুসরনী বিষয়ঃ যাদের জম্ম সনদ অনলাইনে নেই, তারা দ্রুত জম্ম সনদ অনলাইন করে নেন। যাদের জন্ম সনদ অনলাইন আছে কিন্তু সার্টিফিকেটের সাথে মিল নেই ভুল আছে তারা অতি দ্রুত সংশোধনের অনুরোধ রইল ৷

21/02/2022

২১ শে ফেব্রুয়ারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস - এ সকল ভাষা শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

14/01/2022

আজ ৩৮ দিন হয়েছে সুনালী মুরগির
কিছু দিন পরে বিক্রয় করা হবে। ইনশাআল্লাহ

25/12/2021

সুনালী ক্লাসিক মুরগির বাচ্চার বয়স আজ ২০ দিন
হোসাইন এন্টারপ্রাইজ

23/12/2021

নতুন প্রজেক্ট
সুনালী মুরগির খামার ১ম সেট

08/02/2021

তরুণ উদ্যোক্তা মাইকেল

"ইনকাম ডায়েরি" নামের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছেন ২১ বছর বয়সী তরুণ প্রোগ্রামার মাইকেল। বর্তমানে তার এই ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবার প্রায় দশ হাজার। তাকে নিয়ে লিখেছেন প্রাঞ্জল সেলিম।

স্কুলের পড়াশোনা খুব বেশি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। নিজের একটা ছোট্ট জগত্ নিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন তিনি। একসময় ছেড়ে দেন পড়াশোনা। এরপর কী হবে? এ নিয়ে তার বাসায় শুরু হল ঝড়। কিন্তু তিনি আগে থেকেই মনস্থির করে ফেলেছিলেন ব্যবসা করবেন। সেই লক্ষ্যে খুলে ফেলেন একটি ওয়েব সাইট। অবশ্য তখনও জানতেন না, এই ওয়েব সাইটই তাকে নিয়ে যাবে বহুদূর। এরপর তিনি শুরু করেন ব্লগ লেখার কাজ। একসময় তিনি তার নিজস্ব ব্লগে ডিক্লিয়ার করেছেন, তিনি নিজের অটোবায়োগ্রাফি সংযুক্ত করবেন এবং নাম দেবেন, ‘অ্যান্ড আই থট মাই সেলফ’ কিংবা এমনই সংক্ষিপ্ত কিছু। তার স্বপ্নের মতোই সেটা পরিবর্তন হতে থাকবে, সময়ের সাথে সাথে। সাধারণত সবাই যা করে সেসব নিয়ে আলাপ করে তাদের ব্লগে কিন্তু তিনি ব্যতিক্রম। তিনি মনে করেন, তিনি কী করতে যাচ্ছেন অথবা ভবিষ্যতে তার অবস্থান কোথায় হবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সম্পর্কে আরো কথা সেখানে লেখা আছে। আছে তার স্বপ্নের কথা। তিনি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। তবে সবসময়ই একজন লিডারের ভূমিকায় থাকতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘দ্যাটস হু আই অ্যাম’। সত্যিই তিনি ডন, একাধারে ফটোগ্রাফি, ফিল্ম মেকিং, অভিনয়, ব্লগ লেখক, বই পড়া, টাকা আয় করা সব দিক দিয়েই তার রয়েছে প্রতিভা। আর তাই তিনি সবকিছুকে একত্রে মিলিয়ে নিজের পরিচয় দিয়েছেন, একজন ইন্টারপ্রেনার অর্থাত্ ‘উদ্যোক্তা’। মানুষ সেসব কাজে সফলতা লাভ করেন যেগুলো কাজ করে তারা আত্মতৃপ্তি পান। তেমনই একজন আমাদের আলোচিত ব্যক্তিত্ব, ‘মাইকেল’। তিনি নিজের সৃজনশীলতা ও প্রতিভা অন্যের উপকারে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তার চিন্তা-চেতনা দিয়ে মানুষের জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে চান তিনি। তিনি সিনিয়র স্কুলে থাকার সময়ই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। তবে অ্যাস্ট্রোলজিতেও তার কিছুটা আগ্রহ ছিল। তিনি মনে করেন, পড়া কখনো শেষ হয় না। আর মন দিয়ে পড়লে, পড়াশোনাকে ভালোবাসলে অনেক কিছুই শেখা যায়। জেমি তার শৈশব থেকেই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে সেটা ছিল কিছুটা আনন্দের উত্স। তার বয়স তখন ১১ বছর। তিনি ও তার বন্ধুরা মিলে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এবং তা দেখার জন্য ছিল টিকেটের ব্যবস্থা অর্থাত্ এন্ট্রি ফি। সেইসব প্রতিযোগিতাগুলো ছিল বিনোদনধর্মী। এবং এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের ব্যবস্থাও রেখেছিলেন তিনি। এক কথায় একটি ব্যবসাসফল উদ্যোগ। এর ঠিক ৭ বছর পরের কথা, তখন হাই স্কুলে গ্র্যাজুয়েশান করছেন। এর মধ্যেই তিনি যথেষ্ট নাম কামিয়ে ফেলেছেন একজন ভারতীয় ইন্টারনেট উদ্যোক্তা হিসেবে। তিনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু করেন প্রফেশনালি। তার প্রথমদিকের করা একটি ওয়েব সাইটের মধ্যে রয়েছে ‘মেডিটেশন রকস ডট ইউএস’ নামের একটি সাইট। তিনি সেসময় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করতেন। এই পরিচয়ের পাশাপাশি সুবক্তা হিসেবে তিনি জনপ্রিয়। সম্প্রতি তিনি টিনেজদের উপর একটি ইলেক্ট্রনিক ম্যাগাজিন লেখার কাজ করছেন। সেই সাথে বিজ্ঞানের ‘ইন্টারসেকশন অব স্পিরিচুয়েটি অ্যান্ড সায়েন্স’ নিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার আরো কাজের মধ্যে রয়েছে ইয়ং টিনেজদের নিয়ে সিনেমা বানাবার কাজ। সিনেমাটির নাম দিয়েছেন, ‘ফ্রেন্ডস : দ্য মুভি’। নাম শুনেই বোঝা যায়, বন্ধুদের নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমাটি। মাইকেলের ব্লগ থেকে শেষ খবর পাওয়া গেছে তিনি টিনেজারদের নিয়ে একটি কনফারেন্স করতে যাচ্ছেন। এই কনফারেন্সের মূল আলোচ্য বিষয় হলো ইয়ং জেনারেশন কী করতে পারে কিংবা তারা বিশ্বকে তাদের কাজের মাধ্যমে কতটা প্রভাবিত করতে পারে। এক অর্থে বলা যায়, এই বৈঠক সকলের কাছে একটি সুযোগের দ্বার খুলে দিতে পারে যাতে তারা, ব্লগিং ছাড়াও অনেক ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সুযোগ পান।

[ইত্তেফাক। ২৬ এপ্রিল ২০১২]

Photos from তরুণ উদ্যোক্তা ফখরুল হোসেন's post 03/11/2020

“মুজিববর্ষের আহবান, যুব কর্মসংস্থান” এই প্রতিপ্রাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলণ কক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার প্রদান, সনদপত্র এবং যুব ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর #দক্ষিণ_ছাতক_যুব_উন্নয়ন_সমিতির_প্রতিষ্টাতা, ফখরুল হোসেন কে ( যুব আত্নকর্মী)হিসাবে জেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করায় সংগঠনের পক্ষ থেকে যুুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও সকল শুভানোদ্ধায়ীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

25/08/2020

এই পৃথিবীতে জীবনে যারা খ্যাতিলাভ করে সাফল্যের শীর্ষে উপনীত হয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত অধ্যয়ন, অক্লান্ত পরিশ্রম ও অনেক সাধনা করেই সাফল্য পেয়েছেন। জীবনে সফল হতে হলে অবশ্যই ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের দুঃসহ পথ পাড়ি দিতে হয়।বিজ্ঞানী নিউটন বলেছিলেন " সাফল্যের দু'ভাগ প্রতিভা, আর আটানব্বই ভাগই পরিশ্রম "!! পরিশ্রমবিহীন জীবনে উন্নতি সাধনা করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। তোমার জীবনকে সুন্দর আদর্শ ও চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে, উত্তম আদব আখলাক বিনয় ও সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাও।দেখবে তুমি একদিন না একদিন তোমার লক্ষে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।

18/08/2020

পণ্য বাজারজাতকরনের দৃষ্টিভঙ্গী

#পণ্য_বাজারজাতকরনের_দৃষ্টিভঙ্গী

অনেকদিন আগে একটি ছোট ঘটনা শুনেছিলাম, ঘটনাটা ছিল এরকম, এক জুতা কোম্পানী তাদের জুতা বাজারজাত করার জন্য নতুন জায়গা খুজছিল, খুজতে খুজতে তারা একটি বিশালদ্বীপ এ এসে পৌছালো, দ্বীপ এ পৌছে তারা জানতে পারলো যে এর আগে কোন জুতা কোম্পানী এই দ্বীপে আসেনি । তারা এই খবরটি পাওয়ার পর খুব খুশি হলো তারা মনে করলো যে, যেহেতু এর আগে কোন কোম্পানী এই দ্বীপে আসেনি তাই তাদের কোন প্রতিযোগি নেই তাদের ব্যবসা অনেক ভাল হবে, এই ভেবে তারা আরো খোজ খবর নিতে শুরু করলো এবং তারা জানতে পারলো যে, এই দ্বীপের লোকেরা জুতা ব্যবহার করে না তাই এখানে কখনও কোন জুতার কোম্পানী এর আগে আসেনি । যে দ্বীপে কোন মানুষ জুতা ব্যবহার করে না সেখানে একটি জুতার কোম্পানী কিভাবে ব্যবসা করবে ? কে কিনবে তাদের জুতা ? এই ভেবে তারা তাদের সমস্ত কাজ সেই দ্বীপ থেকে উঠিয়ে চলে গেল এই ভেবে যে এখানো ব্যবসার কোন সুযোগ নেই । তারা শহরে গিয়ে অন্যদের জানালো যে, তারা এমন এক দ্বীপ গিয়েছিল যেখানে কেও কখনও জুতা ব্যবহার করেনি এবং তারা সেখানে জুতা বিক্রির কোন সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে ফেরত এসেছে । শহরের একজন ছোট জুতার ব্যবসায়ী চিন্তা করে দেখলো যে, আরে জুতার ব্যবসার করার জন্য তো সেই দ্বীপটাই সবচেয়ে উত্তম কারন, দ্বীপবাসীরা জুতার ব্যবহার জানেনা বিধায় তারা জুতা ব্যবহার করে না কিন্তু কোনভাবে যদি তাদের জুতা ব্যবহারের উপকারিতা সম্পকে তাদের বোঝানো যায় তাহলে সেই দ্বীপটিই হয়ে উঠবে জুতার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে ভাল একটি জায়গা । যেই কথা সেই কাজ । তিনি তার কোম্পানীর লোকজন নিয়ে সেই দ্বীপটাতে পৌছে গেল । কিন্তু যখনই তারা দ্বীপবাসীকে জুতার ব্যবহার, জুতা ব্যবহারের উপকারিতা ইত্যাদি বোঝাতে গেলেন তখন সবাই তাদের পাগল বলতে লাগলো কেও তাদের কথা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না । কিন্তু আস্তে আস্তে দ্বীপবাসীকে তারা বোঝাতে সক্ষম হলেন এবং এক এক করে প্রতিদিন জুতা বিক্রি বাড়তে লাগলো । এই খবর পেয়ে অন্যান্য জুতার কোম্পানীগুলোও সেখানে তাদের জুতা বিক্রির জন্য যেতে লাগলো ।
শিক্ষনীয় বিষয়:
উপরে উল্লেখিত ঘটনা থেকে একটা বিষয় খুব সহজে অনুমেয় যে, আপনার পণ্য বিক্রির জন্য বাজার আপনাকেই তৈরী করতে হবে । অন্যদিকে আপনি আপনার বাজার তৈরীর (সৃজনশীল প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে) যতো বেশি বুদ্ধি মত্তার পরিচয় দেবেন ততো বেশি আপনি ব্যবসায় সফলতা পাবেন । উপরে যে দ্বীপটির কথা বলা হয়েছে সেখানে একই পণ্য বিক্রির জন্য দুইজন ব্যবসায়ী তাদের দুই রকম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন একজন সফল হয়েছেন আরেকজন সফল হতে পারেনি ।

শুধুবুদ্ধিমত্তা নয় আপনার ব্যবসা সফল করার জন্য নতুন বাজার তৈরীর জন্য নিচের বিষয়গুলোও খেয়াল রাখা প্রয়োজন :

পণ্যের নিজস্বতা:
ব্যবসার শূরুতেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে, আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তা অন্যদের চাইতে কতটুকু আলাদা অথ্যাৎ আপনার পণ্যের নিজস্বতা রয়েছে কিনা । যেমন: বাজারে এখন রাইস তেল নামে এক ধরনের নতুন তেল বের হয়েছে । যা একদমই অন্য যে কোন পণ্যের চেয়ে আলাদা । যে কোন নতুন পণ্য কিনতে/ব্যবহারে মানুষ আগ্রহ না দেখালেও আস্তে আস্তে মানুষ সেটার প্রতি ঝুকতে থাকে যদি সতিক্যার অথেই সেটি ভাল গুনাগুন সম্পুন্ন পন্য হয় ।

পণ্যের চাহিদা:
উপরের পণ্যটি উদাহরন হিসাবে ধরেই যদি বলি এখনো মানুষ রাইস তেল ব্যবহারে তেমন আগ্রহী হয়ে উঠেনি বিভিন্ন কারনে মানে এখনো পণ্যের চাহিদা তেমনভাবে তৈরী হয়নি । তবে মজার বিষয় যতটুকু চাহিদাই তৈরী হয়েছে বা বাজার তৈরী হয়েছে তা কিন্তু শুধুমাত্র প্রথম বাজারজাতকারী কোম্পানীর কারনেই হয়েছে এবং পুরো ব্যবসাটাই তারা করতে পেরেছে । ঠিক এই ব্যবসায়ীই যদি সয়াবিন তেল নিয়ে বাজারে আসতে তাহলে হয়তো অন্য কোম্পানীর ভিরে হারিয়ে যেত বা এতটুকু ব্যবসায় করতে পারতো না ।

পণ্যের গুনাবলী সঠিকভাবে উপস্থাপন:
আপনি বাজারে যে পণ্যই বাজারজাত করুন না কেন ? পণের গুনগত মান নিশ্চিত করা অত্যান্ত জরুরী । কোন নিম্ন মানের পণ্য নিয়েই আপনি বাজারে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবেন না । রাইস তেল এমন একটি পণ্য যেটি সম্পকে গুনগতমান বা উপকারিতা সম্পকে ক্রেতা তেমন কিছু জানেন না বা তেমন ধারনাও নেই তাই আপনি যদি আপনার পণ্যের গুনগতমান সঠিকভাবে ক্রেতার কাছে তুলে ধরতে না পারেন তাহলে কোনভাবেই ক্রেতা আপনার পণ্য কিনতে আগ্রহী হবে না । কেন এটি ভাল ? কেন আপনি এটি কিনবেন ? কেন এটি অন্য পণ্য থেকে আলাদা ইত্যাদি ক্রেতার সামনে তুলে ধরতে হবে ।

পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ:
পন্যের মান নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে থাকতে হবে আপোষহিন । আপনি যদি পণ্যের মূল্য কমাতে বা অধিক মুনাফার জন্য পণ্যের মান সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন না করেন তাহলে যখন বাজারে আপনার আরো প্রতিযোগী আসবে তখন আপনার বাজারে টিকা থাকা কঠিন হয়ে উঠবে । তাছাড়া ক্রেতারাও আস্তে আস্তে আপনার পণ্য ছেড়ে অন্য পণ্যের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে । তাই প্যাকেজিং, লেবেলিং, বোতল, ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ।

পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা:
উপরের সবগুলো কাজ ঠিকঠাক মতো করে আপনি বাজার তৈরী করলেন তিন্তু আপনার পণ্য বাজারজাত করনে এমন পদ্ধতি ব্যবহার করলেন যে, ক্রেতার চাহিদার সাথে আপনার পণ্য বাজারজাত করতে পারলেন না । তখন ক্রেতা স্বাভাবিকভাবেই অন্য কোম্পানীর পণ্যের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে । তাই পণ্য বাজারজাত করনে এক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে যেখানে যেমন পণ্য ব্যবস্থা করা প্রয়োজন তেমনিভাবে পণ্য বাজারজাত করনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে এমন না হয় কোথাও পণ্যের চাহিদা আছে পণ্য নেই কোথাও পণ্য আছে চাহিদা নেই তাই পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নিতে হবে ।

এছাড়াও পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য ফোর পি পণ্য, স্থান, প্রচার এবং মূল্য ( 4P - Product, Place, Promotion and Price ) মাথায় রেখে পণ্য বাজারজাত করা প্রয়োজন ।

17/08/2020

আপনি যে কাজ করতে পছন্দ করেন সেই কাজ করুন
সফল হবেন ইনশাআল্লাহ

11/08/2020

আসুন সময় থাকতে ভালো হয়ে যাইঃ-

প্রতিদান,প্রতিদান, প্রতিদান,
খুব সুন্দর একটি গল্প, পড়লে ১০০%ভালো লাগবে

⭕ ঘটনা - ১
ইন্টারভিউ টেবিলের স্যার কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর, ভারী গলায় বললেন - বাহ ! তোমার সার্টিফিকেট তো বেশ ভালো ! তোমাকে আর প্রশ্ন করতে চাচ্ছি না। ধরে নাও তুমি চাকরিটি পেয়ে গেছো । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাটা জমা করে দাও। তারপর তোমার নিয়োগ হবে। ছেলেটি ইন্টারভিউ রুম থেকে বের হয়ে বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো, ৫ লাখ টাকা না হলে তার চাকরিটা হবে না। গ্রামের সহজ সরল বাবা নিজের ছেলের চাকরির জন্য ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন। তারপর বড় স্যারকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেটি চাকরি পেয়ে গেলো।

⭕ ঘটনা - ২
আজ বড় স্যারের ছেলের জন্মদিন। বাড়িতে বিশাল পার্টির আয়োজন করা হয়েছে । তিনি বাড়িতে ঢুকেই তার ছেলের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন । ছেলে কাছে আসতেই বড় স্যার “হ্যাপি বার্থডে মাই সান” বলতে বলতে ছেলের হাতে ৫ লাখ টাকার বাইকের চাবি তুলে দিলেন । বাইক পেয়ে ছেলেটি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বললো - আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা।

⭕ ঘটনা - ৩
বড় স্যারের ছেলে আজ বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে রাজপথে ছুটে চলেছে বাইক । হঠাৎ ট্রাকের সাথে ধাক্কা সবকিছু থেমে গেলো । বড় স্যারের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো হাসপাতালের বড় ডাক্তার সাহেব জানালেন আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, খুব জটিল একটা অপারেশন করাতে হবে, কাউন্টারে ১০ লাখ টাকা জমা করে দিন । বড় স্যার কোনও উপায় না দেখে মেয়ের বিয়ের জন্যে ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকাটা কাউন্টারে জমা করে দিলেন।

⭕ ঘটনা - ৪
বড় ডাক্তার সাহেব আজ খুব খুশি। ৩-৪ লাখ টাকার অপারেশনের জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন, পুরোটাই লাভ। খুশিতে তিনি তার একমাত্র মেয়ের জন্য স্বর্ণের নেকলেস কিনে বাসায় ফিরলেন। বাসায় ঢুকেই তিনি তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মামুনি মামুনি বলে ডাকতে শুরু করলেন। ডাক্তার সাহেবের বউ কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাদের মেয়ে এখনও বাসায় ফেরেনি। বড় ডাক্তার সাহেব তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন, কোথাও কোনও খোঁজ না পেয়ে তিনি যখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন, ঠিক তখনই অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এলো। ফোনেও ঐ প্রান্ত থেকে জানালো, আপনার মেয়ে আমাদের কাছে, মেয়েকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কথাটা শুনে বড় ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করলেন।

⚫ শিক্ষাঃ আপনি অতীতে যা করেছেন, বর্তমানে যা করছেন, ভবিষ্যৎ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে আপনার কাছে ফিরে আসবেই।।

প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই একটা সমান ও বিপরীতমূখী প্রতিক্রিয়া আছে।
নিউটনের গতিবিষয়ক তৃতীয় সূত্র।

সুতরাং সময় থাকতেই সাবধানী হোন।
সৎ পথে চলার অভ্যাস করুন।

10/08/2020

উদ্যোক্তা দের জীবনে লস বলতে কিছুনেই,
হয়তো সফল হবেন, না হয়
সফলতার পথ খুঁজে পাবেন।
গুনিজনের বানীতে পড়েছি।

রিক্স রিক্স রিক্স আপনাকে নিতে হবে।
সফল হতে হলে।

01/08/2020

# কোন কিছু শুরু করার আগে

কোন কিছু শুরু করার আগে নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যে সকল কারনে নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত তা নিয়েই লিখছি…

কোন কিছু যখন আমরা শুরু করি, তখন হয়তো সবার আগে এ ভাবনটাই আশে “লোকে কি ভাববে” , “মানুষ কি বলবে” ইত্যাদি।

মানুষ বা লোক আপনি কিছু শুরু করলেও কিছু বলবে, শুরু না করলেও বলবে। শুরু না করলে বলবে এ ছেলেটা “সারা দিন বসে বসে বাপের টাকা নষ্ট করে, নিজে কিছু করে না... বা বলবে দেখ লোকটার দিকে সারাদিন বসে বসে আড্ডা দেয়। কোন কাজ নেই।। ইত্যাদি।

শুরু করলেও বলবে... যেমন এটা শুরু করছ কেন। আহ এটা করে তো সব নষ্ট করে ফেলছো। তোমার ক্যারিয়ার শেষ। ইত্যাদি।। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে ভালো কিছু করতে পারলে এ মানুষ গুলোই আবার প্রসংশা করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলবে। তাই শুরু করাই কি প্রধান কাজ হওয়া উচিত নয়?

আচ্ছা, শুরু তো করব, কি করা যায়? তাহলে বলি, অন্যের বুদ্ধিতে কাজ করার চেয়ে নিজের বুদ্ধিতে কাজ করা ভালো। আপনি কিসে ভালো তা আপনি ভালো জানেন। অন্য কেউ না। আপনার সম্পর্কে খুব সামান্য পরিমান জানতে পারবে পরিপার্শ্বের মানুষ। খুবি সামান্য। আর নিজেকে? সকল ভাবনাই তো আপনার... সেই ছোটবেলা থেকেই নিজেকে একটু একটু করে জেনে আসছেন। নিজের সম্পর্কে নিজে ছাড়া আর কে ভালো জানতে পারে?

আরো কারণ রয়েছে। অন্যের বুদ্ধিতে কাজ করার পর কোন এক সময় মনে হবে “I am not doing right things” বা আমি সঠিক কাজ করছি না। আমার এটা করা উচিত হয় নি। আমার ঐটা করলে আরো ভালো হতো। এমকি এমনই হয়। ৫ জন মানুষকে জিজ্ঞেস করে শিউর হওয়া যেতে পারে। বা সময় করে অল্প কয়েক জন মানুষের জীবনের গল্প সম্পর্কে শুনা যেতে পারে।।

আর নিজে যখন নিজের বুদ্ধি বা নিজের ইচ্ছে কোন কিছু শুরু করি, তখন কি হয় জানেন? যখন ভুল করি তখন নিজে নিজেই তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা যায়। ভুল করলে তখন অন্য কারো উপর দোষ চাপানো যায় না। আর আমরা বাঙালি, এ জিনিস্টা ভালোই পারি। তাই না?? যখন অন্যের উপর দোষটা চাপানো যাবে না, তখন অবশ্যই তা নিজের উপর আসবে। ঐ দোষ টা বা ভুলটা কিভাবে সারিয়ে উঠা যায়, তাই ভাববো আমরা। তাই না? হ্যা, অবশ্যই তাই করব। আর যদি এমন কোন ভুল করি, যা থেকে কাটিয়ে উঠা যাবে না, তখন কি হবে জানেন? একটা ভালো শিক্ষা হবে। যা বাকি জীবনে অনেক বেশি বার কাজে লাগবে। যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

হয়তো আবার দেখা যাবে ঐ ভুলটা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো বড় কিছু শুরু করতে পারবেন। হ্যা, তাই আরো বড়ো কিছু শুরু করা যাবে।

তাই কোন কিছু শুরু করার আগে নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিয়ে শুরু করা উচিত।

প্ল্যানিং?? হ্যা, প্ল্যানিং করে শুরু করতে পারলে অনেক বেশি ভালো। অনেক সময় দেখা যায় যে প্ল্যানিং করতে গিয়ে সব কিছু নষ্ট করে ফেলে। বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সে ক্ষেত্রে বলব আগ্রহ না হারিয়ে শুরু করা উচিত। আর যারা শুরু করে তারাই সফল হয়।

01/08/2020

ঈদ মোবারক

31/07/2020

উদ্যোগ সংক্রান্ত কিছু কমণ জিজ্ঞাসা

উদ্যোগ সংক্রান্ত কিছু কমণ জিজ্ঞাসা

১ । ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অঞ্চল নির্বাচনের মাপকাঠি আসলে কি ? আমি যে এলাকায় ব্যবসা করব সেই এলাকার কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে নাকি যে এলাকায় আমার অফিস থাকবে সেই এলাকা থেকে নিতে হবে ?
যেমন আমি থাকি উত্তরা কিন্তু আমার ব্যবসা হবে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রিক কিন্তু অফিস থাকবে উত্তরাতেই সে ক্ষেত্রে কি হতে পারে ... ?
আবার আমার জন্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেডলাইসেন্স সংগ্রহ করার চাইতে নারায়গঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা অনেক সহজ । আমি যদি কাগজে কলমে সব কিছু নারায়নগঞ্জ দেখিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নেই আর ব্যবসা উত্তরা থেকে পরিচালনা করতে চাই তাহলে কি পারব ? আমার ব্যবসাটি হল অনলাইন কেন্দ্রিক ।
অনলাইন কেন্দিক ব্যবসা কিন্তু আবার সারা দেশ ব্যাপি হতে পারে, যেমন আমার জেলা প্রতিনিধি থাকতে পারে, এমন ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের ধরন কি হতে পারে ?
আবার আমি যদি আইটি বেইস ট্রেনিং সেন্টার করতে চাই তাহলে কি হবে ?
যদি আমি একটি প্রতিষ্টানের আন্ডারে অনেকগুলো কার্যক্রম চালাতে চাই তাহলে কি আলাদা আলাদা ট্রেড লাইসেন্স লাগবে নাকি একটিতেই হবে ? যেমন মনে করেন - ওয়েবসাইট ডেভেলপ, সফটওয়্যার ডেভেলপ, অনলাইন মার্কেটিং, ই - কমার্স, ট্রেনিং সেন্টার, ব্লগ পরিচালনা ।
উত্তরঃ আপনি ট্রেড লাইসেন্স যেখানে আপনার বিজনেস রান করবে সেখান থেকে নেয়াই উত্তম। সেই ক্ষেত্রে আপনার নারায়ণ গঞ্জ থেকে নেয়াই শ্রেয়। উত্তরা অফিস টা আপনাকে অপারেশন চালাচ্ছেন আর মুল বিজনেস করছেন নারায়ণগঞ্জে তাই আমার মতে নারায়ণগঞ্জ আপনার জন্যে বেস্ট প্লেস। সেই ক্ষেত্রে উত্তরা কোন বাধা হবে না।

জেলা প্রতিনিধির ব্যাপার থাকলে আর ব্যবসা যদি হয় অনলাইন কেন্দ্রিক তাহলে ডিস্ট্রিবিউশন বা ডিলারশীপ ক্যাটাগরি বেস্ট সুইটেবল আর ট্রেড লাইসেন্স এর বেলায় আই টি সার্ভিসেস বা আই টি এনাবল্ড সার্ভিস ক্যাটাগরি দিলে আপনি যা যা করতে চাচ্ছেন আই টি সংক্রান্ত সব কিছুই করতে পারবেন (ট্রেনিং, ওয়েব ফার্ম ইত্যাদি)

আমার ২য় জানার বিষয়টি হল আইনি দিক সম্পর্কে -
আমি আমার প্রতিষ্ঠানের জন্যে নিয়োগ দিতে চাইলে সেই ক্ষেত্রে কি পুর্বেই সমস্ত কাগজ পত্র কমপ্লিট থাকতে হবে নাকি কাগজপত্র ফাইনাল হতে হতে আমি নিয়োগ দেয়াও ফাইনাল করতে পারব ?
অনেক প্রতিষ্ঠানই যাদেরকে নিয়োগ দেয় তাদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে কিছু অগ্রিম টাকা নেয়, এর আইনি দিকটা কি ? কর্মীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ নেয়া টাকা কি কেউ তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারবে ? এর আইনি দিকটা কি ?
আমি একটি একক মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে চাই, কিন্তু ব্যাক্তিগত ভাবে আমি অনেকের কাছ থেকেই টাকা নিব যাদের সাথে আমার চুক্তি পত্র করা থাকবে, যারা আমার ব্যবসা থেকেই লাভ নিবে । এই ক্ষেত্রে আমি কি এমনটা করতে পারি ? নাকি আমাকে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসার জন্যেই আবেদন করতে হবে ?
উত্তরঃ

১) আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান এর সকল কাজ বা কাগজ পত্র ফাইনালাইজ করে তবেই নিয়োগ দিন, এর আগে নয়।

২) জামানত নেয়াটা আসলে আইন সিদ্ধ না যদি না সেখানে কোন কমিটমেন্ট এর বিষয় থাকে, যেহেতু সে টাকার বিনিময়ে কাজ করবে আপনার প্রতিষ্ঠানে তাই জামানত না নেয়াই উত্তম। আর জামানত এর টাকা কোম্পাণীর এমপ্লয়ি ওয়েলফার ফান্ড করে সেখানে জমা রাখলেন তাতে আপনাকে কোণ ভাবে নিজের পকেট থেকে দেয়া লাগলো না যদি না আপনার কাজ গুলোতে রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে যেখানে জামানত দিয়ে সেটা কভার করা হবে ইত্যাদি। তবে জামানত নেয়া উচিত হবে না একদমই এক কথায়। তাই এই টাকা বিনিয়োগ করা অন্য ভাবে চিন্তা করে নীতি এবং নৈতিকতার ব্যাপার টা কে সামনে নিয়ে আসে। আর যদি বিনিয়োগ করতেই চান তবে যাদের টাকা নিয়েছেন তাদের কে শেয়ার দেয়া লাগবে সেটা দিতে আপনি প্রস্তুত কিনা ! নচেত তা বেআইনী।

৩) একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ইনভেস্টমেন্টের জন্যে ফান্ড নিতে পারবেন সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান এর পক্ষে ঐ ব্যক্তি বিশেষ এর সাথে ১০০০/২০০০/২৫০০ টাকার স্ট্যাম্পে এগ্রিমেন্ট করে নিবেন এতে ঐ এগ্রিমেন্ট টা পাকা পোক্ত হলো ভালো করে প্লাস আইনগত ভাবে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত হলো। অথবা ইনভেস্টমেন্ট শেয়ার দেয়া যেতে পারে তবে ঐ ব্যক্তি বিশেষ প্রতিষ্ঠান এর কোন ডিসিশন মেকিং এ ভুমিকা রাখতে পারবে না। এটা হচ্ছে মুলত আপনার প্রশ্নের উত্তর এর উপর রিপ্লাই।

আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে এইসব ক্ষেত্রে জবাবদিহীতা থাকা জরুরী তাই বড় অংকের এমাউন্ট হলে তা কোম্পাণী ফর্ম করে (লিমিটেড) তার মাধ্যম শেয়ার ইস্যু করলে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ সু-নিশ্চিত হবে ভালো করে।

---------------------------------------------------------লাইক কমেন্ট শিয়ার করুন,
সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ

31/07/2020

উদ্যোক্তা বনাম ব্যবসায়ী

উদ্যোক্তা বনাম ব্যবসায়ী

আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনি একজন উদ্যোক্তা নাকি একজন ব্যবসায়ী ? আপনি হয়তো সহজেই উত্তর দেবেন, আমি একজন উদ্যোক্তা নয়তো বলবেন আমি একজন ব্যবসায়ী ? আসলে আপনি যে কাজটি নিজের চাইতেও বেশি ভালবাসেন সেই কাজের সঠিক মুল্যায়ন যদি আপনি না পান তাহলে আপনি একদিকে যেমন আপনার কাজের পুরস্কার থেকে বনিÂত হবেন অন্য দিকে সমাজ তথা রাষ্ট্রও আপনা

কাছ থেকে অনেক কিছু বনিÂত হবে ।

ইদানিং আমরা অনেক বেশি উদ্যোক্তা শুনতে পাই, বিশেষ করে আমাদের তরুন সমাজের মাঝে উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার এক প্রবল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে । যতটা না তারা নিজেদের ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে । আমরা যদি এ দুটি শব্দের সঠিক অথ/মানে না জানি তাহলে আমাদের তরুন সমাজ যতোই নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করুক না কেন আমরা তথা আমাদের সমাজের কাঙ্খিত পরিবতন কিন্তু কখনই সাধিত হবে না ।

উদ্যোক্তা শব্দের ইংরেজী হলো “entrepreneur” এবং

ব্যবসায়ী শব্দের ইংরেজী হলো “businessman”

Oxford dictionary’তে entrepreneurs প্রসঙ্গে বলা হয়েছে “A person who sets up a business or businesses, taking on financial risks in the hope of profit”

Oxford dictionary’তে businessman প্রসঙ্গে বলা হয়েছে “A man who works in commerce, especially at executive level”

Dictionary.Com’তে entrepreneurs প্রসঙ্গে বলা হয়েছে “A person who organizes and manages any enterprise, especially a business, usually with considerable initiative and risk”

Dictionary.Com’তে businessman প্রসঙ্গে বলা হয়েছে “A man regularly employed in business, especially a white-collar worker, executive, or owner”

Business Dictionary.Com’তে entrepreneurs প্রসঙ্গে বলা হয়েছে “Someone who exercises initiative by organizing a venture to take benefit of an opportunity and, as the decision maker, decides what, how, and how much of a good or service will be produced”

Business Dictionary.Com’তে businessman প্রসঙ্গে বলা হয়েছে “A person who is employed by an organization or company. Businessmen are often associated with white collar jobs.

উপরের সবগুলো “entrepreneur” এর সংÁা ভাল করে খেয়াল করলে অনেকগুলো শব্দ বা কাজ খুজে পাওয়া যাবে যেমন:

- sets up a business or businesses/ organizes any enterprise/initiative by organizing a venture:

- to undertake/ manages/decision maker:

- financial risks/ risk:

- hope of profit/ take benefit

- good or service will be produced:

উপরের “entrepreneur” সম্পকিত কাজগুলোকে যদি সহজভবে বলা যেতে পারে যে, “একজন ব্যাক্তি একটি প্রতিষ্ঠান/ব্যবসা/কাজ শুরু করবেন এবং সেটার ভাল মন্দ দেখা/ সিদ্ধান্ত গ্রহণ/ ব্যবস্থাপনা/ করবেন, আথিকভাবেও লাভবান হবার চেষ্টা করবেন তাদের নিজেদের পণ্য/সেবার মাধ্যমে, আথিক ও সামাজিক ঝুকিঁ সাথে নিয়ে” ।

উপরের সবগুলো “businessman” সংÁা ভাল করে খেয়াল করলে অনেকগুলো শব্দ বা কাজ খুজে পাওয়া যাবে যেমন:

- who works /regularly employed/ who is employed

- commerce/business/company

- at executive level/ executive, or owner/white collar jobs

উপরের “businessman” সম্পকিত কাজগুলোকে যদি সহজভবে বলা যেতে পারে যে, “একজন ব্যাক্তি, যিনি মালিক/চাকুরীজীবি হিসাবে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত, যেই প্রতিষ্ঠানটি আথিক লেন দেনের সাথে জড়িত”

উদাহরন:

একজন পান বিক্রেতা (রহিম) দৈনিক বড় বাজার থেকে পান কিনে এনে, পাড়ায়, পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করে বড় দোকানের টাকা পরিশোধ করেন ।

আপনি উনাকে কি বলবেন একজন উদ্যোক্তা নাকি একজন ব্যবসায়ী ?
“entrepreneur” এর আলোচনা থেকে মোটামোটি একটি পরিস্কার একটা ধারনা পাওয়া গেছে যে, একজন উদ্যোক্তা তার পণ্যের মাধ্যমে, একটি প্রতিষ্ঠান তৈরীর মাধ্যমে ঝুকিঁ নিয়ে আথিক লাভের জন্য কাজ করে থাকেন । এখানে পান বিক্রেতা পান বিক্রি করে আথিকভাবে লাভবান হলেও, বাকি অন্য বিষয়গুলো কিন্তু অনুপস্থিত, যেমন: নিজস্ব পণ্য এবং ঝুকি । যেহেতু তিনি নিজে পণ্য উৎপাদন এর সাথে জড়িত নেই তিনি অন্যের উৎপাদিত পান বিক্রি করেন এবং যেহেতু তিনি দৈনিক এর পান, দৈনিক বড় বাজার থেকে এনে পাড়ায়, পাড়ায় বিক্রি করেন তাই এ কাজেও তার তেমন কোন ঝুকি নিতে হয় না । অন্যদিকে “businessman” এর আলোচনা থেকে মোটামোটি একটি পরিস্কার ধারনা পাওয়া গেছে যে, একজন ব্যবসায়ী তার নিজের অথবা অন্যের প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে আথিক লাভের জন্য কাজ করে থাকেন । এখানে পান বিক্রেতা ঠিক এই কাজটিই করছেন সফলতার সাথে । দৈনিক বড় বাজার থেকে লাভের আসায় পাড়ায়, পাড়ায় বিক্রি করে আথিকভাবে লাভবান হচ্ছেন । তাহলে আলোচনার প্রেক্ষিতে সহজেই বলতে পারি যে, পান বিক্রেতা (রহিম) একজন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা নন ।

এবার ধরা যাক আরেকজন পান বিক্রেতাই (করিম) নিজের জমিতে পান উৎপাদন করে, বিভিন্ন হাটে, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পান বিক্রি করে থাকেন ।

এখন তাকে আমরা কি বলবো উদ্যোক্তা নাকি ব্যবসায়ী ?
পান বিক্রেতা (রহিম) এর মধ্যে যে দুটি জিনিস/কাজ অনুপস্থিত থাকার কারনে আমরা তাকে উদ্যোক্তা বলতে পারি নাই । পান বিক্রেতা ( করিম) এর মধ্যে কিন্তু সেই দুটি জিনিস/কাজ বিদ্যামান রয়েছে । যেমন: পান বিক্রেতা (করিম) যেহেতু নিজের জমিতে পান উৎপাদন করেন তাই তিনি সরাসরি পণ্য উৎপাদন এর সাথে জড়িত এবং যেহেতু পান নিজের জমিতে উৎপাদন করেন তাই, জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে পান বিক্রি পযন্ত দীঘসময় এই উৎপাদন এর সাথে জড়িত থাকতে হয় । যে কোন সময়, পানে পোকা লেগে, পানের বাজার দড় কমে গিয়ে, পান পরিবহন এর খরচ বৃদ্ধি পেয়ে সে আথিকভাবে লোকসানের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন তার মানে তাকে যথেষ্ট ঝুকিঁ নিয়েই তাকে এই পান উৎপাদন এর সাথে জড়িত থাকতে হচ্ছে । ফলে পান বিক্রেতা (করিম) কে আমরা ব্যবসায়ী না বলে একজন উদ্যোক্তা বলতে পারি ।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা বোধহয় এ কথা বলতে পারি যে, সকল উদ্যোক্তাই ব্যবসায়ী তবে সকল ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নন ।

30/07/2020

আমার উদ্যোক্তা হওয়ার অভিজ্ঞতা। এই লেখা যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য।

একটু পেছনের ইতিহাসঃ 17 জুন 2001, তিন বন্ধু (নাছের, মিলন, আমি) বাড়ি ছাড়লাম। সিদ্ধান্ত নিলাম আর বাড়ি নয়, যেতে হবে ঢাকা। পড়া-লেখার যবনিকাপাত। এবার কিছু একটা করা চাই। আর সেই কিছু একটা করার স্থান অবশ্যই ঢাকা। ঢাকায় যাওয়ার পর ফলাফল- তিনদিনের মাথায় নাছেরের চাকরির ডাক। চাকরিস্থল সুদূর চুয়াডাঙ্গা। মাসখানেক পর মিলনের বাড়ি ফেরা, আর আমি ঢাকা ছাড়ব না ঘোঁ ধরে ঢাকায় পড়ে থাকা।

উদ্যেক্তা

2008 সালঃ নাছের ততদিনে গাজীপুরে একটি বড় কোম্পানীর বড় অফিসার। ততদিনে বিয়েথা করে সংসারি এবং এক মেয়ের গর্বিত বাবা। আরেক মেয়ে আসছি আসছি করছে। ও সব সময় ঢাকায় আছি কিন্তু ঢাকার পাশে গাজীপুরে গিয়ে তার মেয়েটিকে একটি বার দেখে আসলাম না বলে অনুযোগ করে। শেষ পর্যন্ত আরেক বন্ধুসহ গেলাম তার বাসায়।

এখানেই পথের শুরুঃ ওর বাসায় কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাইরে একটু ঘুরতে গেলাম। ও নাকি কি একটি ফ্যাক্টরী নিজেই দিয়েছে কিন্তু ওর কোম্পানী (যেখানে চাকরি করে) কোন এক কারণে তাকে সেই ফ্যাক্টরী উঠিয়ে নিতে বলেছে। সুতরাং তার ফ্যাক্টরী বন্ধ। গিয়ে দেখলাম এটা একটি পিলার ফ্যাক্টরী। ঘর-বাড়ি তৈরীতে ব্যবহার হয়। আমাদের দেশে এটা বগুড়ার পিলার হিসাবে পরিচিত। দেখে বেশ ভালই লাগল। কারণ আমাদের দেশে সাধারণত ঘরবাড়ি তৈরীতে হাতে তৈরি চারকোনা পিলার ব্যবহার হয়ে থাকে, কিন্তু এই পিলার গুলো আটকোনা, মেশিনে তৈরী হয় এবং ফিনিশিং অসাধারণ।

নতুন স্বপ্ন, নতুন আশাঃ ততদিনে বন্ধু মিলনেরও প্রবাস জীবন প্রায় 5/6 বছর। এর মধ্যে বিয়ে করে সেও এক ছেলের গর্বিত পিতা। শুধু আমিই তথৈবচঃ একদিন সকালে মিলনের ফোন, বুঝলাম সে হুট করে দেশে চলে এসেছে, বিমানবন্দরের কাছেই আমার বাসা কিন্তু ও আমাকে একটু জানালাও না যে দেশে আসবে। মাত্রই 6/7 মাস আগে একবার দেশ থেকে ঘুরে গেছে। জিজ্ঞেস করলাম কাহিনী কি? ওর জবাব বিদেশ আর ভাল লাগে না। এর দু’তিন দিন পর নাছের ফোন দিল, সে জানাল বাড়ি আসবে, আমি আসব কিনা। অগত্যা রাজি হয়ে গেলাম, ভাবলাম তিন বন্ধু অনেক দিন পর, মন্দ হয় না। তারপর তিন বন্ধু অনেকদিন পর মিলিত হলে যা হয় আরকি........ আড্ডার ফাঁকে চলল কি করছি, কি করব টাইপ আলোচনা। মিলন জানাল সে আর বিদেশ যেতে চায় না, বিদেশ আর ভাল লাগে না। আমরা বুঝাই, ’’দেখ, আরেকটা বার ঘুরে আয়, অনেক বাঙ্গালী থেকে তুই বিদেশে ভালই আছি, ভালই কামাচ্ছিস, দেশে আসলে একটু পুঁজি রেডি কর যা দিয়ে কিছু করা যাবে।’’ কিন্তু কোন হিতোপদেশেই কাজ করল না, সে আর যাবেই না। কথায় কথায় বন্ধু নাছেরের সেখানকার সেই আটকোনা পিলারের কথা উঠল, মিলনের প্রস্তাব, আমরা কি তেমন একটি ফ্যাক্টরী দিতে পারি না? নাছের প্রথমে রাজি হলো না, বলল আমরা পারব না এবং আমাদের এলাকায় এগুলো সম্ভবত চলবে না। পরে সিদ্ধান্ত হলো মিলনের এক ফুফাত ভাই এই পিলার বিক্রি করে, উনার সাথে কথা বলে দেখি কি বলে। উনার সাথে কথা বলার সাথে সাথেই উনি বললেন ভাল প্রদক্ষেপ। এই প্রোডাক্ট ভালই চলে। এবার দেখি নাছেরও রাজি, সে পার্টনার থাকবে না, তবে আমাদের সব রকমের হেল্প করবে। তখন মিলন প্রস্তাব দিল আমি পার্টনার হতে, কারণ তার একার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু আমিও রাজি না। কারণ আমার এলাকায় থাকার এলার্জি, ঢাকা না ছাড়ার পণ। সেই সাথে অবশই অর্থ সংকট। এর থেকেও বড় সংশয় ’’এই মাল আদো চলবে তো?‘‘ এরপর মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়ে গেল এই ফ্যাক্টরী হবেই। কিন্তু আমি রাজি না। মন কোন ভাবে সাড় দেয় না। যে যার মতো আবার চলে গেলাম স্ব স্ব স্থানে, বন্ধু নাছের, যাকে কিনা কর্মব্যস্ততার কারণে মোবাইলে একটা মিনিট পাওয়া মুশকিল সে প্রতিদিন আমাকে রাজি করানোর জন্য 3/4 বার ফোন করে। আমি রাজি হই না.... হই না.... হই না..... এবং অনেক চিন্তা করে একদিন হতে হলো। অনেক ভাবনার মধ্যে একটি ভাবনা ছিল, প্রত্যেক মানুষই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একটা না একটা সুযোগ পায়, কেউ সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে কেউ পারেনা। অনেক মানুষকে দেখেছি আফসোস করে বলতে ’’আহা... আমি সেখানে থাকলে/ সেই কাজটা করলে এখন কি ভালটাই না থাকতাম!‘‘ কিন্তু সেই ভুলের প্রায়শ্চিত করা জীবনে আর হয়ে উঠে না। আমারও মনে হতে লাগল, আমি যদি বন্ধুদের কথা না শুনি তবে কি জীবনের একটি ভুলই করব?

স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম প্রদক্ষেপঃ সিদ্ধান্ত তো হলো, কিন্তু টাকা কই? মিলন বিদেশের টাকায় চোট্ট একটা জমি কিনেছিল এবং সে জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল। আর আমি ফকির কি করি? আমার তো কিছুই নাই, কিছু টাকা ছিল শেয়ার বাজারে, ফকির দরবেশরা সেটাকা গিলে গিলে যাচ্ছে। প্রতিদিন ট্রেডিং শেষে পোর্টফোলিও খুলে ‘‘আগ্রহ’’ ভরে দেকি আজ কত টাকা গেল। যেতে যেতে অনেক গেলেও তখনও কিছু টাকা ছিল, একদিন দিলাম সব বিক্রি করে। কিন্তু সে টাকা দিয়েও তো হয় না, অগত্যা প্রবাসি ভাইয়ের কাছে হাত পাতলাম এবং উনি নিরাশ করলে না। শুরু হলো ‘‘শিল্পপতি’’ হওয়ার প্রথম প্রদক্ষেপ। জায়গা হলো,ঘর হলো বাকি যন্ত্রপাতি। মুলত আমরা এই ব্যবসার ‘‘ব’’ও জানি না। সারাদিন খাতায় অংক কষি ‘এই করলে এই হবে, সেই করলে সেই হবে।’ যন্ত্রপাতির ভার পড়ল নাছেরের উপর সে’ই সব কিছু তৈরি করাবে এবং লোক দিয়ে সব সেট করে দেবে। সে আমাদের আশ্বাস দিল সে একটু ডিফারেন্ট টাইপ যন্ত্রপাতি দেবে যা সহজে নষ্ট হবে না। তবু মন থেকে ভয় যায় না, জানি না বুঝি না এমন একটি কাজে হাত দেয়া কি ঠিক হলো? দুরুদুরু বক্ষে একদিন যন্ত্রপাতির জন্যও টাকা দিয়ে দিলাম। এবার অপেক্ষার পালা যন্ত্রপাতি কখন আসে। কিন্তু অপেক্ষা আর পুরোয় না। আজ আসবে, কাল আসবে বলে শেষে প্রায় পাক্কা আড়াই মাস পর যন্ত্রপাতি এলো এবং যন্ত্রপাতি দেখে আমাদের দুই পার্টনারের আক্কেল গুড়ুম। এই যন্ত্র দিয়ে আমরা কি করুম? এ যে বিদ্যুতের খাম্বা তৈরীর মেশিন। কিন্তু বন্ধু নাছের তার সিদ্ধান্তে অনড়, ওর মতে ও ঠিক যন্ত্রই দিয়েছে। কিন্তু আমাদের মন বলছে এই যন্ত্র দিয়ে কিছুই হবে না। কি আর করা, যন্ত্র সেটিং-এ নেমে পড়লাম। যে কাজ একদিনে শেষ করা যায় সে কাজ অবশেষে প্রায় বিশ দিনে শেষ হলো। এবং শেষ দিকে এসে একটি মেশিন আমার বাম হাতের দুটো আঙ্গুল খেয়ে ফেলল। শুরু হলো লাইফের আরেক পার্ট, ডাক্তার, হাসপাতাল দৌড়াদোড়ি। চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকায়। আর বন্ধু মিলনের জীবন ওষ্ঠাগত এই যন্ত্রপাতি নিয়ে, এগুলো দিয়ে যে কিছুই হয় না। অনেক কষ্ট করে এগুলো যাও কিছুটা ব্যবহার উপযোগী করা গেল তাও সবচে বড় সমস্যার সমাধান করা গেল না। দেখা যাচ্ছে আমরা একটি পিলার তৈরি করতে যত সময় লাগছে সেই একই সময় অন্য ফ্যাক্টরী গুলো তৈরী করতে পারবে কম করে হলেও 10টা পিলার। এভাবে চললে তো লাভ তো দূরের কথা, বাপের বাড়ি বিক্রি করে লেবারের বেতন দিতে হবে। লেবার না পাওয়া আরো বড় একটি সমস্যায় পরিনত হলো। সব মিলিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকালে দেখি অমানিশার অন্ধকার।

নতুন হাঙ্গামাঃ

এর মধ্যে বাপ-মা হাতের নাগালে পেয়ে শুরু করে দিল আরেক যন্ত্র না। এবার নাকি বিয়ে করতে হবে। আমার অবস্থা ‘‘খাল নাই কুত্তার বাঘা নাম’’। নিজে খাই বাপের হোটেলে, একটাকা নাই রোজগার আমি করুম বিয়া। এছাড়াও আছে চিরকুমার থাকার প্রতিজ্ঞা। আফটার অল আমি আবার চিরকুমার সংঘের সভাপতি। সে আরেক কাহিনী...... যাইহোক.... বিয়ে নিয়ে অনেক মিটিং হলো এবং সব ব্যার্থ করে দিলাম। শেষে সবাই মিলে এমন এক চাল দিল যে, 100% বেকার আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।

স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনাঃ

লেবার সমস্যা শেষ পর্যন্ত নাছেরই সমাধান করল। ও কয়েকজন লোক পাঠাল এবং অবশ্যই বেশ কর্মঠ তারা। কিন্তু এই যন্ত্রপাতির কাছে তারাও ফেল মারল। ওরা সারাদিন পরিশ্রম করেও 15/20টা পিলার বানাতে পারে না। কোন ভাবেই না। শেষমেশ ওরা একদিন রাতের অন্ধকারে পলায়ন করিল। হিসাব করে দেখলাম বিভিন্ন ভাবে তাদের কাছে আমরা 18000/= টাকা পাওনা ছিলাম। শুরু হলো অন্ধকারে ডুবার। ফ্যাক্টরীর বন্ধ, এই যন্ত্র দিয়ে হবে না, সম্পূর্ণ নতুন যন্ত্র তৈরী করতে হবে। বলা যায় ফ্যাক্টরী আবার নতুন করে দিতে হবে, অথবা বন্ধ করে দিতে হবে। কঠিন এক সময়ের শুরু। পিছনে যাওয়ার পথ নাই কারণ যা কিছু টাকা পয়সা ছিল সর্বস্ব এখানে দিয়ে দিয়েছি এমন কি ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েও। সামনে যাওয়ার পথ নাই কারণ নতুন করে ইনভেস্ট করার মতো একটা টাকাও নাই। আমার পার্টনার বন্ধুরও একি অবস্থা। বাড়তি হিসেবে ও কেন বিদেশ গেলনা সেই কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে জনে জনে। যদিও তখনও ওর ভিসার মেয়াদ ছিল, ইচ্ছে করলেই চলে যেতে পারত।

বলে রাখা ভাল, নাছের আমাদের এই সময়ে অনেক আর্থিক সাহায্য করেছে (যা এখনো শোধ করা হয়নি)। ও যা করেছে কোন ভাইও ভাইয়ের জন্য করবে কিনা সন্দেহ।

শুরু হলো নিদারুণ যন্ত্রণার দিন, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিন। ঘরে স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। কি করে কিনি ঔষধ, কি করে কিনি ওর জন্য একটু ভাল খাবার? কি করে চলবে সংসার? ফ্যাক্টরী বন্ধ কিন্তু খরচ আছে প্রতিমাসে। ফ্যাক্টরীর খরচ, নিজের খরচ...... বসে বসে নিজের চুল নিজে ছিঁড়ি। ঘুমের মধ্যেও দুঃস্বপ্ন দেখে আঁতকে উঠি। এক একদিন মনে হয় অনেক গভীর কোথাও তলিয়ে গেলাম, আর ফেরার উপায় নাই।

একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম সব যন্ত্রপাতি কেজি দরে ভাঙ্গারির কাছে বিক্রি করে দেব। কারণ এই যন্ত্র কারোরই কোন কাজে লাগবে না। এবং শেষ পর্যন্ত লাখ লাখ টাকার যন্ত্র সের দরে মাত্র 27000/= হাজার টাকা বিক্রি করে দিলাম। বিশ্বাস হয়? মাত্র 27000/=?

আবার নতুন করে শুরু করার জন্য ব্যাংকের কাছে লোন চাইলাম। কিন্তু ওরা দেবে না। কারণ ওরা ‘‘তেলা মাথায় তেল ঢালে।’’ ওরা ব্যাংক ট্রানজেকশন চায়, ব্যবসার মেয়াদ তিন বছর চায়। আরে শালা, আমার এগুলো থাকলে তোদের কাছে যাই?

আবার নুতন করে শুরুঃ

অতঃপর আবার প্রবাসি ভাইয়ের কাছে হাত পাতা। উনি নিরাশ করলেন না। আবার দিলেন টাকা। এই কৃতজ্ঞতা কোন দিন শেষ করা যাবে না। শুরু হলো নতুন উদ্যেমে আবার যন্ত্রপাতি তৈরী করা। এবার আর কারো সাহায্যে না, সম্পূর্ণ নিজেদের শ্রম ও চেষ্টায়। অভিজ্ঞতার জন্য ঘুরেছি অনেক জায়গায়। তিল তিল করে নিজেরাই তৈরী করেছি/করিয়েছি সব কিছু। এবার সফল হতেই হবে এই প্রতিজ্ঞা করলাম। পরিশ্রম করলে তার সুফল একদিন আসবেই, পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে না এই বিশ্বাস ছিল মনে। দিনের পর দিন ঘাম ঝরিয়ে একে এক সব কিছু তৈরী করলাম। এবার নতুন করে প্রোডাকশন শুরুর পালা। কিন্তু আবার বিপদ। যন্ত্রপাতি তৈরীতেই সব টাকা শেষ, কাঁচামাল কিনব কি দিয়ে? একদম অল্প কিছু টাকা ছিল যেগুলো দিয়ে খুব অল্প অল্প কাঁচামাল কিনে প্রোডাকশন শুরু করলাম। প্রোডাকশন না বলে একে ছেলে খেলা বলাই ভাল। কারণ এভাবে আর যাই হোক, ব্যবসা হয় না। ব্যাংক লোন দেবেনা, কোথাও থেকে ধার নেব তাও সম্ভব না। গ্রামের এক বড় ভাই সব শুনেটুনে এক লাখ টাকা সুদের উপর নিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিলেন। সুদ? দুচোখে দেখতে পারি না। কিন্তু কি করব? সেই এক লাখ টাকা নেয়া ছাড়া উপায় রইল না। এলাকার 3/4 জন লেবার নিয়ে এবং তাদের সাথে নিজেরা লেবার খেটে শুরু করে দিলাম। সারা জীবন কাটিয়েছি বাবুগিরি করে, এখন লেবারের সাথে লেবার হয়ে গেলাম, কিচ্ছু করার নাই। সফল হতে গেলে করতেই হবে।

ইতিমধ্যে বাবা হওয়া দিন ঘনিয়ে এলো। বন্ধু নাছেরের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করলাম। শত দুঃখের মাঝে আল্লাহর রহমতে পুত্র সন্তানের বাবা হলাম। এত আনন্দের মধ্যেও নিজের ভিতর ঝড় বড়ে যেতে লাগল, কারণ যে দিন হাসপাতল থেকে ছাড়পত্র দেবে তার আগেরদিন ও আমি জানি না টাকা কোথায় পাবে আর ছাড়পত্র কি করে নেব। অবশেষে ভাইদের সহযোগীতায় হাসপাতাল থেকে ভালয় ভালয় ছাড় পেলাম।

এদিকে শুরু হলো লেবার খোঁজা। লেবার আর পাই না, মাস যায়... দিন যায় কত জায়গায় খুঁজি লেবার পাই না। আবার চোখের সামনে অন্ধকার। একসময় মনের মধ্যে ঢুকে গেল আমাদের দিয়ে আসলে হবে না। সব কিছু থাকলেও লেবারের কারণে হবে না। প্রথমে যে লেবারগুলো রাতের অন্ধকারে পালিয়েছিল তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। কিন্তু তারা আসার সাহস করে না। ভয় পায়, যদি কিছু করি? কিন্তু আবার সাহসও পায় কারণ ওরা যে কয়দিন ছিল সে কয়দিনে দেখেছে আমাদের সততা, কথা দিয়ে কথা রাখার গুন। কিন্তু একজন আসতে রাজি হলে অন্য জন্য রাজি হয় না করে করে কেটে গেল প্রায় 5/6 মাস। এরপর একদিন ওরা সাহস করে চলেই এলো। গত ডিসেম্বরের 10 তারিখ থেকে শুরু হলো আমাদের নতুন করে পথচলা। কিন্তু রয়ে গেলে কাঁচামাল ও আরো যন্ত্রপাতির স্বল্পতা। এর মধ্যে যা ব্যবসা হচ্ছে তা দিয়েই ধীরে ধীরে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা। একসময় নতুন যন্ত্রপাতি আরো কিছু তৈরি করার সামর্থ হলো, কাঁচামালও হলো, সংসারও চালাতে পারছি এই অবস্থায় আরেক বিপদ। যে জায়গা ভাড়া নিয়ে ফ্যাক্টরী দিয়েছি তার মেয়াদ শেষ আগামী ডিসেম্বরে। জমিদার নতুন করে ডিট করবে না তাই নতুন জায়গা দেখতে হবে। তবু ওদের থেকে সময় নিয়েছি সামনের বছর জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে নতুন জায়গায় যেতে হবে যার জন্য অন্তত 3/4 লাখ টাকা খরচ হবে। আবার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বেশ কিছু নতুন যন্ত্রপাতি বানাতে হবে।

সাজ্জাত ভাই নাকি মুনির হাসান ভাইয়ের একটা কথা মনে পড়ে, ব্যবসা করতে চাইলে চাই ইচ্ছে ও সঠিক পরিকল্পনা। টাকা ভুতে যোগাবে। আমরা একটি ফ্যাক্টরী জন্য যে টাকা খরচ করেছি তা দিয়ে তিনটা ফ্যাক্টরী করা যায়। শেষ পর্যন্ত কিন্তু টাকার অভাবে থেমে থাকি নি।

এত বিপদ কাটিয়ে আসতে পেরেছি, এই টুকু কি পারব না? ইনশাল্লাহ পারব। তাই আগামীর প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত আমরা। টাকা যোগাবে ভুতে।


এই লেখা পড়ে যা শিখতে বলব, একদম না জেনে কিছু করতে নাই।


প্রেমে সফল হতে যত কষ্ট করতে হয় তার থেকে শতগুণ বেশী কষ্ট করতে হয় উদ্যোক্তাতা হওয়ার জন্য। গানের সাথে মিলিয়ে বলতে হয়, পথের কাঁটায় পায়ে রক্ত না ঝরালে কি করে এখানে তুমি আসবে ? সুতরাং সাফল্যের জন্য কষ্ট স্বীকার করতে না পারলে কেরানীগিরি করুন।

** আপনাদের হয় তো লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেল মনে হবে, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে অনেক ছোট হয়ে গেল কত কিছুই তো লেখা হলো না।

** এক বসায় লেখাটা শেষ করেছি, ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে।

** সর্বোপরি এই লেখা পড়ে কারো মনে যদি এই বোধটা সৃষ্টি হয় যে, ‘‘লেগে থাকলে সফল হওয়া যায়’’ তাহলে আমার কষ্ট স্বার্থক হবে।

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Sunamganj?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

সুনালী ক্লাসিক মুরগির বাচ্চার বয়স আজ ২০ দিন হোসাইন এন্টারপ্রাইজ

Category

Telephone

Address

সিরাজগঞ্জ বাজার
Sunamganj

Other Entrepreneurs in Sunamganj (show all)
Bd Foysol Bd Foysol
Dowara Bazar
Sunamganj, 3080

Bangladeshi Foysol

Salman Farsi Salman Farsi
Sunamganj, 25°04'11.3"N91°23'34.0"E HTTPS://GOO.GL/MAPS/BEIQEPJZURRVWDUE8

Official Page

BOKUL..46 BOKUL..46
Sunamganj

আমার আধার রাতের তারা

সারোয়ার ডিজিটাল কর্নার সারোয়ার ডিজিটাল কর্নার
বাদাঘাট বাজার (কলেজ রোড), তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ।
Sunamganj, 3030

নিজস্ব ডিজিটাল সেবা ভিত্তিক ব্যবসা।

Khizir Khizir
Hajipara
Sunamganj

Assalamu alaikum, everybody! It's ‘‘ Al-khidir’’ a trusted mart for cloths.

Amir Hosen Amir Hosen
Dakshin Bongshikunda
Sunamganj, 2456

Amir Hosen is a Bangladeshi young Entrepreneur and Internet Marketer.

ছাতক সুরমা ব্রিজ ছাতক সুরমা ব্রিজ
Chhatak, Sunamgonj, Sylhet
Sunamganj

M/S Hoque Traders M/S Hoque Traders
Chowdhury Market, Syedpur Bazar, Jagannathpur
Sunamganj, 3061

Computer Compose, Photocopy, Laminating, bKash, Nagad, Flexiload & Office stationary Sells centre.

Md homayon vai Md homayon vai
Sunamganj . . . . Biswambhpur. .
Sunamganj

baiba lab nai takai sob

Rainbow shoping. Bd Rainbow shoping. Bd
Sunamgonj Sodor
Sunamganj

সব রকম শাড়ী ,পান্জ্ঞাবি, ড্রেস,টপস,লেহ?

A.H.M Jewel Mahmud A.H.M Jewel Mahmud
House-93, Julilpur, Bishwamverpur
Sunamganj, 3000

He who has respect for self-reliance, will one day stand tall in the heavens, no matter how late.

MD Ibrahim Sony MD Ibrahim Sony
Sunamganj