AIMS
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from AIMS, Pharmacy / Drugstore, Sylhet.
★pharmacy with aims
★best medicine best rate
★your trusted drug store
★get what you need
★rare medicine only for your need
★serving with care
★your health is our concern
★we care beyond what your doctor have prescribed.
যারা প্যানিক এটাকে খুবই যন্ত্রনায় ভোগেন তারা কমেন্ট করুন
আপনার সাথেই আছি আমরা✋
ডায়ালাইসিসের সময় শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে লাল টিউব দিয়ে ডায়ালাইসিস মেশিনে যায় এবং নীল টিউবের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে ফিরে আসে আর এভাবে ৪ ঘণ্টা নড়াচড়া ছাড়া কস্ট সহ্য করে বিছানায় থাকতে হয়।
কীডনী বিকল রোগীদের প্রতি সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করাতে হয় যার অর্থ মাসে ১২ বার এবং প্রতিবার ৪ ঘন্টা করে মোট ৪৮ ঘন্টা।
আমরা যারা সুস্থ আছি, আমাদের কিডনি দিনে ৩৬ বার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোন প্রকার ব্যথা ছাড়াই আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে যাচ্ছে।
আল্লাহ তায়ালার কি পরিমান দয়ায় আমরা বেঁচে আছি একবারও কি উপলব্ধি করেছেন?
তাই সর্বাবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। আর সবাই বলুন আলহামদুলিল্লাহ!! ©
কিছুতেই ক্ষুধা সহ্য হচ্ছে না, আলসার নয় তো?
===============
কিছুতেই ক্ষুধা সহ্য হচ্ছে না, আলসার নয় তো?
সুস্থতার জন্য আমাদের খাবার খাওয়া জরুরি। খিদে পেলে খাবার খেতে হয় তা আমাদের সবারই জানা। খাবার খিদে মেটাতে সহায়তা করে। দিনের বিশেষ কিছু সময়ে আমরা সবাই নিয়ম করে খাবার খেয়ে থাকি। এছাড়াও সারাদিন অন্যান্য সময়েও অল্প পরিমাণে কিছু না কিছু খাওয়া হয়ে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায়, ব্যস্ততার কারণে খিদে পেলেও সঠিক সময়ে খাওয়া হয় না। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা ক্ষুধা একদম সহ্য করতে পারেন না। যদি আপনার মধ্যেও এমন সমস্যা থাকে তবে এখন থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ ক্ষুধা শ্য না হওয়া আলসারের লক্ষণ হতে পারে।
এই ব্যাপারে বায়োমেড ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্চ ল্যাবের ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. মুহম্মদ মুহিদুল ইসলাম (এমবিবিএস) বিস্তারিত আলচলা করেছেন। চলুন এই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
আলসার শব্দটির সহজ অর্থ হচ্ছে ‘ক্ষত’। পেপসিন হচ্ছে পাকস্থলীর পাচক রস, যা আমিষ হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলী খাদ্য হজমের জন্য ক্রমাগত হাইড্রোক্লোরিক এডিস তৈরি করে। এই এসিড যাতে পাকস্থলিকেই পুড়িয়ে না ফেলে সেজন্য পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে মিউকাসের ভারী আস্তরণ রয়েছে।
দীর্ঘদিন অতিরিক্ত এসিডিটি থেকে এ আস্তরণ ভেদ করে এসিড এবং পেপসিনের যৌথ প্রতিক্রিয়ায় পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে ক্ষত তৈরি হয়, একে পেপটিক আলসার বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগের জন্য হেলিকোব্যক্টের পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কাজ করে।
পেপটিক আলসারের লক্ষণ
>> ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস
>> ক্ষুধা সহ্য করতে না পারা
>> কালো রঙের পায়খানা হওয়া
>> বমি ও বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া
>> মধ্যরাতে ক্ষুধায় ঘুম ভেঙে যাওয়া
>> দীর্ঘদিনের গ্যাসের ওষুধ ব্যবহারের ইতিহাস
>> খাওয়ার পর পর ব্যথা কমে বা বেড়ে যাওয়া
>> বুক জ্বালাপোড়া বা পেটের ওপরের মধ্যভাগে ব্যথা
>> কয়েকমাস পর পর এসব সমস্যা ফিরে ফিরে আসা ইত্যাদি। তবে সবগুলি বৈশিষ্ট্য সবার মধ্যেই থাকবে, এমন নয়।
চিকিৎসা না করালে কী কী অসুবিধা হয়-
>> ইনফেকশন
>> হজমের গোলমাল
>> ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
>> আলসারের ক্ষত থেকে রক্তপাত হবে
>> পাকস্থলী বা অন্ত্রের দেয়ালে ছিদ্র হবে
>> খাদ্য পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে যেতে না পারা
>> ১০-১৫ বছর পর শেষ পরিণতি হতে পারে ক্যান্সার
চিকিৎসা
আমাদের দেশে অনেক মানুষ এই রোগে ভোগেন। অনেকেই নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন “গ্যাসের ওষুধ” সেবন করে থাকেন। এসব ওষুধ বছরের পর বছর খেয়ে আরো নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়।
অথচ একজন রেজিস্টার্ড এমবিবিএস চিকিৎসক আপনাকে মাত্র ২ মাসের ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে দিতে পারেন।
এলার্জিজনিত নানাবিধ সমস্যা ও প্রতিরোধের উপায়ঃ
এলার্জি হচ্ছে ইমিউন সিস্টেমের একটা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা পরিবেশের কোনো এলার্জেনের কারণে শরীরে হাইপারসেনসিটিভিটি দেখায় কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়।
এলার্জেন: যদি কোনো বস্তু বা উপাদান কোনো মানুষের শরীরে হাইপারসেনসিটিভ রিয়েক্ট দেখায় সেসব বস্ত বা উপাদন সমূহ সেসব মানুষের জন্য এলার্জেন।
এলার্জিক রিয়েকশন: কোন অ্যালার্জেন শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীরে যেসব অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাকে এলার্জিক রিঅ্যাকশন বলে। আবার এটাকে হাইপেরসেন্সিটিভিটি রিয়েকশনও বলা হয়। হাইপারসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন কে চার ভাগে ভাগ করা যায়, তবে চার প্রকারের মধ্যে টাইপ-১ হাইপারসেনসিটিভিটি নিয়ে এখানে আলোচনা করবো।
কোন অ্যালার্জেন দ্বারা শরীরের যেসব হাইপারসেনসিটিভিটি রিয়েকশন দেখা দেয় তাকে টাইপ ওয়ান হাইপারসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশন বলা হয়। এলার্জি হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমরা যা বুঝে থাকি তা মূলত টাইপ ওয়ান হাইপারসেনসিটিভিটি রিঅ্যাকশনকে বোঝায়।
এলার্জিক সাধারণ প্রতিক্রিয়া সমূহ:
এলার্জিক রাইনাইটিস: অনেক সময় দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজলে, পুকুরে গোসল করলে, ধুলোবালিতে গেলে, একটু ঠান্ডা লাগলে বা কোনো ঠান্ডা পানীয় পান করলে কারো কারো সর্দি কাশি শুরু হয়। আবার একই কাজগুলো অন্যরা করলে তাদের কিছুই হয় না। তাহলে বোঝা গেল বৃষ্টির পানি, ধুলোবালি , পুকুরের পানি বা ঠান্ডা জলীয় বস্তু কারো জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে আর কারো কারো জন্য এটা স্বাভাবিক হিসেবে থাকে। এই স্বাভাবিক বস্তুগুলো যাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে তাদের সর্দি কাশি শুরু হয়ে যায় তাকে এলার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।
এলার্জিক রাইনাইটিস হলে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের মিউকাস মেমব্রেন সমূহ আক্রান্ত হয় এবং হিস্টামিনের প্রভাবে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ মিউকাস তৈরি হয়। শ্বাসযন্ত্রে লুউকোট্রিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈরি হয় যা কাশি তৈরিতে শ্বাসযন্ত্র কে উত্তেজিত করে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, নাক দিয়ে পানি পড়া তথা সর্দি কাশি, সঙ্গে হালকা গায়ে গায়ে জ্বর থাকা এসবকিছু অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণে হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় রাইনো ভাইরাস এলার্জি হিসেবে কাজ করে।
এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস বা চোখের এলার্জি:
এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস মূলত চোখের একটি এলার্জি জনিত রোগ। এসময় চোখ লাল হয়ে থাকে। চোখ থেকে পানি পড়ে, ব্যথা করে। ৬ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা দেয়। যাদের শরীর কোনো নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদের অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মত এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।
কিছু বাচ্চাদের দেখা যায়, পুকুরে গোসল করলে বা খেলাধুলা করলে কিংবা বাহিরে চলাফেরা করলে তাদের চোখ লাল হয়ে যায় চোখ থেকে পানি পড়ে এবং ব্যথা করে চোখ চুলকায়। এগুলো মূলত এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস এর কারণে হয়ে থাকে।
ফুড অ্যালার্জি: অনেকে গোশত বা বেগুন বা বাইরের খাবারে শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। বমি বমি ভাব হয়। এগুলো মূলত এলার্জির কারণে হয়ে থাকে। তাদের শরীর ওই সমস্ত খাবারের জন্য উপযোগী না এবং ঐ সমস্ত খাবার গুলো যদিও অন্যদের জন্য স্বাভাবিক তবে তাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। তাই তারা যখন ওই খাবারগুলো খায় তখন সারা শরীর চুলকাতে থাকে এবং লাল হয়ে যায়। তাহলে বুঝতে হবে গোশত তার জন্য অ্যালার্জেন।
ড্রাগ অ্যালার্জি: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তারা কোনো এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করার পরে তাদের শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। তাহলে বুঝে নিতে হবে ওই এন্টিবায়োটিকের প্রতিও তার হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে এবং ওই এন্টিবায়োটিক তার জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করছে। যদি কারো এমন হয়ে থাকে তাহলে সে ওই এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে অন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। কোনো মেডিসিন ব্যবহারের ফলে যদি কোন হাইপেরসেন্সিটিভিটি রিয়েকশন শুরু হয় তবে সে প্রকার এলার্জিকে ড্রাগ এলার্জি বলা হয়ে থাকে।
এনাফাইলেক্টিক রিএকশন: এনাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন হচ্ছে এক প্রকার ইমারজেন্সি এলার্জিক কন্ডিশন। মনে করুণ কারো শরীরে একটি কীটপতঙ্গের সংস্পর্শ লেগেছে অথবা কোনো ছোট মশা কিংবা অন্যান্য কীটপতঙ্গ কামড় দিয়েছে এর কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল তার শরীররে লাল লাল চাকা হয়ে গেছে। শরীর প্রচণ্ড চুলকায়। সারা শরীর ব্যথা করছে। এই অবস্থা গুলোকে এনাফাইলেক্ট্রিক রিঅ্যাকশন বলে। যাদের শরীর হাইপারসেনসিটিভ তাদের ক্ষেত্রে মশার কামড়ে কিংবা ছারপোকার কামড়ে এনাফাইলেকটিক রিঅ্যাকশন দেখা দিতে পারে।
এটপিক একজিমা: একপ্রকার এলার্জিক স্কিন কন্ডিশন। যা এলার্জিক রিয়েকশন এর কারণে হয়ে থাকে।
চিকিৎসা: প্রথমে জেনে রাখা ভালো, এলার্জির স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। কারণ এটার সম্পর্ক ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে। তাই যাদের যেসব বস্তু বা খাবারে এলার্জি রয়েছে তা পরিহার করে চলাই ভাল। আর অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরার কারণে যাদের এলার্জিক উপসর্গগুলো দেখা দেয় তারা মেডিসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।
মেডিকেশন: এলার্জিতে যেহেতু হিস্টামিন প্রচুর রিলিজ হয় তাই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে হিস্টামিন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে আর সে জন্য এলার্জিক কন্ডিশনে এন্টিহিস্টামিন হচ্ছে এলার্জির মূল চিকিৎসা। তবে অবশ্যই এলার্জির চিকিৎসায় চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতিত কোন চিকিৎসা নেয়া কিংবা অল্টারনেটিভ চিকিৎসা নেয়া বিপদজনক হতে পারে। যে কোনো শারীরিক সমস্যায় নিকটস্থ চিকিৎসক কিংবা সরাসরি হাসপাতালে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে ভাল।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস কীভাবে বুঝবেনঃ
=================
অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণ পেট ব্যথার তুলনায় বেশ আলাদা। এটা শুরু হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় শল্যচিকিৎসা নিতে হয়। অনেক সময় এ ব্যথাকে আমল না দিয়ে নানা রকম ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এতে পরবর্তী সময়ে রোগীর শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়।
মানুষের বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো কনিষ্ঠ আঙুলের মতো একটি সরু থলের নাম অ্যাপেন্ডিক্স। লম্বায় এটি ২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। থাকে তলপেটের ডান দিকে। এর সঠিক কাজ যে কী, তা এখনো অস্পষ্ট। কিন্তু এই ছোট্ট থলেতে আকস্মিক প্রদাহ হলে দেখা দেয় অসহনীয় ব্যথা। এর নাম অ্যাপেন্ডিসাইটিস।
কেমন এই ব্যথা?
===========
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা সাধারণত নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপর থেকে শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকের অংশে ব্যথাটা স্থায়ী হয়। থেমে থেমে ব্যথা ওঠে সেটা তীব্র ও হালকা—দুই রকমেরই হতে পারে। এ ছাড়া বমি বমি ভাব বা দু-একবার বমি হতে পারে। সঙ্গে হালকা জ্বরও থাকতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। ব্যথা তীব্র হলে রোগী হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়। তবে হালকা ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে। কেননা, পরবর্তী সময়ে রোগীর অ্যাপেন্ডিক্সের চারদিকে বিভিন্ন উপাদান জমা হয়ে পেটে একটি চাকা বা ফোঁড়া তৈরি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে খাদ্যনালির ভেতরের বিভিন্ন উপাদান, পরিপাক হয়ে যাওয়া খাবারের অংশ ও মল বেরিয়ে পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে পেটের ভেতরে, এমনকি রক্তেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গুরুতর সংক্রমণ। এ ধরনের ঘটনায় রোগীর জীবনের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
চিকিৎসা কী?
=========
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হলো আক্রান্ত অংশ বা অ্যাপেন্ডিক্স যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলে দেওয়া। অস্ত্রোপচারের ভয়ে অনেকে হাসপাতালে যেতে চান না। অনেক সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাবার দেওয়া বন্ধ রাখুন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।
হঠাৎ প্রেশার বাড়লে বা কমলে করনীয়।
বুক ধরফর করা এখনকার দিনে যেকোনো বয়সের মানুষ এর মাঝে দেখা যায়।তাই জেনে নিন বুক ধরফর করলে করণীয়।
বিভিন্ন রুগ এবং এর করণীয় সম্পর্কে জানতে আমাদের পেইজ এর সাথে থাকুন। NILSHOPNO
নকল ওষুধ চেনার ৭ উপায়
=================
বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ক্ষতিকর প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে কয়েক হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটেছিল। সরকারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের হিসাবে এ সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।
দেশে বছরে প্রায় ২৫ হাজার রকমের ওষুধ তৈরি হয়। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪ হাজার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখার সামর্থ্য আছে সরকারের। ফলে বিপুল পরিমাণ ভেজাল, নকল বা নিম্নমানের ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিএইচও) এর তথ্য অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলির বাজারে যে ওষুধ বিক্রি হয় তার শতকরা ১৫ ভাগ ওষুধ নিম্নমানের, ভেজাল বা নকল।
দেশে সরকারি কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ভেজাল, নকল বা নিম্নমানের ওষুধ নিয়ন্ত্রণের। ২০১৫ সালে ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের দায়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ১২৩৫টি মামলা করেছে এবং ৬৬ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রথম দুই মাসে এ সংক্রান্ত ২৫০টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ৬জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং একটি ফার্মেসি সিলগালা করে দেয়।
ভেজাল বা নকল ওষুধ শনাক্তে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকেরও দায়িত্ব রয়েছে। একজন নাগরিক যখন ওষুধ কিনতে যান তখন তিনি খুব সহজেই সেটি যাচাই করে নিতে পারেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পণ্য যাচাই-বাছাই করা ভোক্তার অধিকার। কেউ যাচাই-বাছাইয়ে বাধা দিলে তার শাস্তির বিধান রয়েছে।
১. ওষুধের প্যাকেটের গায়ে যে সিল থাকে সেটি ভাল করে দেখুন। কোথাও কোনো গলদ আছে কিনা। প্রয়োজনে একই কোম্পানির অন্য একটি ওষুধের প্যাকেট হাতে নিয়ে দুই প্যাকেটের সিল মিলিয়ে দেখুন। দু’টির সিল ও অন্যান্য লেবেল একই আছে কিনা। একরকম না হলে অন্য দোকান থেকে ওষুধ কিনুন।
২. আগে যদি আপনি একই ওষুধ কিনে থাকে তাহলে পরের বার কেনার সময় আগের প্যাকেটের সঙ্গে প্যাকেজিং, অক্ষরের ফন্ট, বানান, রং এগুলো মিলিয়ে দেখুন। কোথাও কোনো গলদ মনে হলে সেখান থেকে ওষুধ কেনা এড়িয়ে চলুন।
৩.ওষুধ কেনার পর বাড়িতে গিয়ে যখন সেটি খাবেন বা ব্যবহার করবেন তখন খেয়াল করুন, ওষুধের রং, আকার, গঠন নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কিনা। ওষুধের কোথাও কোনো ভাঙা অংশ রয়েছে কি না, গুঁড়ো ওষুধের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে দেয়া আছে কি না এসব ভাল করে দেখুন। সন্দেহ হলে সেটি এড়িয়ে চলুন।
৪. ওষুধটি যদি ক্রিস্টালের মতো হয় তাহলে আগের কেনা ওষুধের মতো শক্তি বা নরম কিনা দেখুন। ওষুধের ভেতরে কোথাও ফোলা অংশ বা দাগ থাকলে সেই ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. ওষুধের দাম আপনার কাছে অসম্ভব কম বা বেশি হলে সেটি সন্দেহের একটি কারণ। নকল বা ভেজাল ওষুধ আসল ওষুধ থেকে কম দামে বিক্রি হতে পারে। এমন সন্দেহ হলে সেই দোকান থেকে ওষুধ না কেনাই ভাল।
৬. দেশে প্যানাসিয়া ডট লাইভ (www.panacea.live) নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে গিয়ে আপনি আপনার ওষুধটি যাচাই করতে পারবেন।
৭. প্যানাসিয়ার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ওষুধের প্রতিটি পাতায় একটি করে আলাদা কোড থাকে। কেনার আগে ওষুধের গায়ে থাকা নির্দিষ্ট কোডটি ‘২৭৭৭’ নম্বরে এসএমএস করে পাঠালে প্যানাসিয়ার ডাটাবেইসে থাকা কোডের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাই হবে। আর তাত্ক্ষণিকভাবে একটি ফিরতি এসএমএসে (ইংরেজি ও বাংলায়) জানিয়ে দেওয়া হবে ওষুধটি আসল না নকল।
ওষুধ খাওয়ার ভুলে অসুস্থতা
_________________
নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভুল ওষুধ খেয়ে আরও অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
জ্বর বা মাথাব্যথা হলেই প্যারাসিটামল, অ্যালার্জির জন্য হিস্টাসিন কিংবা গ্যাসের ট্যাবলেট- এই ধরনের ওষুধগুলো আমরা হরহামেশাই খাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। আর চিকিৎসকের পরামর্শপত্রের উপর বাড়তি ডাক্তারি করার অভ্যাস তো আছেই।
রোগ নিরাময়ের অসংখ্য ওষুধের মাঝে আছে ঝুঁকি। অন্যতম হল ভুল ওষুধ খাওয়া ঝুঁকি। রোগ নিরাময়ে পরিবর্তে তীব্রতা বাড়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত নানাবিধ ঝুঁকি মিশে আছে ভুল ওষুধ খাওয়ার পেছনে।
আর এই ভুলের শিকার হন বেশিরভাগ প্রবীন রোগী, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এর মধ্যেই অনেক দূর্বল হয়ে গেছে, শরীরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য ব্যাধি এবং প্রতিদিন একাধিক ওষুধ তাদের সেবন করতে হয়।
ভুল ওষুধ খাওয়া, ভুল মিশ্রণে কিংবা ভুল সময়ে ওষুধ খাওয়া ইত্যাদির ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে জানানো হল আমাদের এই সাস্থ্য বিষয়ক পেইজ এঃ
ভুল মিশ্রণে ওষুধ খাওয়া: দুটি বিপরীতধর্মী ওষুধ একসঙ্গে খাওয়া একজন মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। কারণ দুটি বিপরীতধর্মী ওষুধ একসঙ্গে খেলে একটি আরেকটির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে কোনোটাই শরীরের কোনো কাজে আসে না এবং যে রোগের জন্য ওষুধ খাওয়া হলো সেটাতেও কোনো প্রভাব পড়ে না। পাশাপাশি দেখা দিতে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। যেমন- ‘অ্যান্টিডিপ্রিসেন্ট’ এবং ‘মেথাডন’ এই দুই ধরনের ওষুধ একসঙ্গে খেলে এমনটা হয়। সাধারণ ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।
ওষুধ সম্পর্কে পুরোপুরি না জেনে খাওয়া: চিকিৎসক কোনো ওষুধ দিলে তার কাছ থেকেই ওই ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। জানতে হবে তা কীভাবে সেবন করতে হবে, কখন নিতে হবে, কী পরিমাণে নিতে হবে এবং তার কী পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে তা সম্পর্কে। অনেক সময় ডাক্তারের লিখে দেওয়া ওষুধ দোকানে না থাকায় একই ধরনের কিন্তু অন্য প্রস্তুতকারীর ওষুধ দিতে চায় দোকানিরা। দুটো ওষুধ আসলেই এক কিনা সেটাও নিশ্চিত হতে হবে ওষুধের ‘জেনেরিক’ নাম কিংবা তাতে থাকা উপাদানের তালিকা দেখে। ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকলে তা সেবনে ভুল হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
বেশি মাত্রার ওষুধ খাওয়া: ওষুধ যত সাধারণই হোক না কেনো তা চিকিৎসকের বাতলে দেওয়া পরিমাণেই খেতে হবে। কারণ বেশি ওষুধ খেলে তা যকৃতের উপর বাড়তি চাপ ফেলে এবং বাড়তে পারে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মাত্রা। সেইসঙ্গে মাথা ঘোরানো, মানসিকভাবে দ্বিধাগ্রস্ত থাকা, বুকে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আবার চিকিৎসক যতবার সেবন করতে বলেছেন তার চাইতে বেশিবার সেবন করাও ক্ষতিকর।
ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়া: দীর্ঘদিন ধরে খেতে হবে এমন ওষুধে এই বিপত্তি হতে পারে। আবার কিছুটা সুস্থ বোধ করার পর ওষুধের কোর্স পুরণ না করাতো আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। খুব হেলাফেলার সঙ্গে যে কাজটি আমরা করে ফেলি তার ভবিষ্যত ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ। বিশেষ করে ‘অ্যান্টিবায়োটিক, ‘অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্টস’, ‘স্টেরয়েড’, ‘ব্লাড থিনিং মেডিসিন’ ইত্যাদি কখনই ভুল করা যাবে না কিংবা মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না।
খালি পেটে ওষুধ খাওয়া: কিছু ওষুধ চিকিৎসক বলে দেন খালি পেটে খেতে। সেগুলো ছাড়া কোনো ওষুধই খালি পেটে গ্রহণ করা উচিত হবে না। আবার কিছু ওষুধ খাবারের পার খাওয়া উচিত নয়, যার সম্পর্কে চিকিৎসকই জানাবেন। ছোটখাট এই বিষয়গুলোকে অবহেলা করার ফল হতে পারে মারাত্বক।
নিজের মনে ওষুধ খাওয়া: এই সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। সবাই জানেন এটি কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। আলসেমি কিংবা চিকিৎসকের মজুরির পয়সা বাঁচাতে অসংখ্য মানুষ এই কাজ করেন। সাধারণ সর্দিজ্বরের জন্য সমস্যা হয়ত নেই তবুও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ওষুধ সেবন করাই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিপদে না পড়লে বেশিরভাগ মানুষই তা বুঝতে চান না।
অন্যের কথা শুনে ওষুধ খাওয়া: ডাক্তার হিসেবে আমরা কেউ কম যাই না! নিজে তো ডাক্তারি করিই, অন্যদের অসুস্থতাতেও পরামর্শ দিতে আমরা পিছপা হইনা। রোগ যত সাধারণ বা মারাত্বকই হোক না কেনো, সবার কাছেই কোনো না কোনো চিকিৎসা আছে। আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হল রোগীও চিকিৎসকের পরামর্শের চাইতে আশপাশের মানুষের পরামর্শে ভরসা করেন বেশি। আপনার আর আপনার বন্ধুর উচ্চ রক্তচাপ আছে বলেই যে দুজন একই ওষুধ খেতে পারবেন এমনটা নাও হতে পারে। চিকিৎসক ওষুধ দেন রোগীর শারীরিক অবস্থা, বয়স, অন্যান্য রোগ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে।
তাই রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে যান, একই রোগে আক্রান্ত পরিচিত মানুষটির কাছে নয়।NILSHOPNO
ঘুমের ওষুধের খুব একটা সুনাম নেই৷ বলা হয় এসব বিপজ্জনক ও আসক্ত করে৷ কিন্তু অনিদ্রা যাঁদের নিত্যসঙ্গী তাঁদের কাছে ঘুমের ওষুধের দিকে হাত বাড়ানো ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না৷ আর এরকম ঘটনা ঘটছে হামেশাই৷
আনে-মারিও একজন ভুক্তভোগী৷ ১৯ বছর আগে দেখা দেয় এই যন্ত্রণা৷ আনা মারির ভাষায়, ‘‘তা ছিল ১৯টি কষ্টকর বছর৷ অনিদ্রা যাঁদের হয়নি, তাঁরা তা বুঝবেন না৷'' মায়ের মৃতদেহ ছোঁয়ার পর থেকেই শুরু হয়৷ স্মরণ করে বলেন আনে মারি৷ ‘‘আমি জানতাম না মানুষের শরীর এত ঠাণ্ডা হয়৷ এটা ছিল একটা শক৷'' সারা রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন আনা মারি৷ তারপর আরো অনেক রাত এইভাবে কাটে৷ ছোটেন ডাক্তারের কাছে৷ সেখানে অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি তিনি৷
এখন আনে মারির বয়স ৬৮৷ বাস করেন জার্মানির বন শহরের কাছে লোমার শহরে৷ সেখান থেকে এক ঘন্টার মধ্যেই প্রায় সব ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে পারেন তিনি৷ এইসব চিকিত্সকের কেউ তাঁকে সাহায্য করতে পারেননি৷
অবশেষে এক উপায় বের করেন তিনি৷ প্রতি রাতে চার ভাগের এক ভাগ ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেন৷ ‘‘বছর দশেক আগে আমার মনে হয়েছিল, হয় এই ওষুধ তুমি খাও, নয় মৃত্যুবরণ করো৷ ঘুম পানাহারের মতই জরুরি'', বলেন আনে-মারি৷
অনেক সময় রোগীরা পরদিন সকালে ক্লান্তি বোধ করেন৷
অনিদ্রার কবলে অনেক মানুষ
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানির ২৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে অনিদ্রার লক্ষণ দেখা যায়৷ অ্যামেরিকার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ক্রনিক অনিদ্রায় ভোগেন৷ এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্লিপ ডিসওর্ডার রিসার্চ'৷
একটি ক্লিনিকের স্লিপিং সেন্টারের প্রধান হান্স গ্যুনটার ভিস জানান, ‘‘রোগীরা শোবার ঘরে এসেও সব চিন্তাভাবনা দূর করতে পারেন না৷ দৈনন্দিন নানা ঘটনা তাদের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে৷'' এছাড়া শারীরিক কারণেও অনিদ্রা দেখা দিতে পারে৷ যেমন থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যাতেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে৷
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ঘুমের ওষুধ আছে কী?
গবেষকরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া ঘুমের ওষুধ আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন৷ কয়েক দশক আগে বারবিচুরেট ঘুমের ওষুধ হিসাবে নাম করেছিল৷ কিন্তু এর উপাদান মানুষকে নির্ভরশীল করে৷ একটি দুঃখজনক ঘটনা থেকে ওষুধটির নাম ছড়িয়ে যায় বিশ্বব্যাপী৷ হলিউডের চিত্রতারকা মেরিলিন মনরো বেশি ডোজে এই ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন৷
ঘুমের কি প্রয়োজন আছে?
এরপর বাজারে আসে বেনজোডায়াজোপিন৷ এটাও মস্তিষ্কে এমন সংকেত পাঠায় যাতে ঘুম আসে৷ তবে এর উপাদান মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশকেও প্রভাবিত করে, যেসব মানুষের অনুভূতি, নড়াচড়ার সমন্বয় ও মনমেজাজের জন্য জরুরি৷ এই ওষুধ এখনও পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে এর চেয়েও ভালো একটি বিকল্প এসেছে বাজারে৷ এটির নাম জেড-ড্রাগ বলা হয়৷ এতে কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলির নাম জেড দিয়ে শুরু৷ এই ওষুধও ঘুম পাড়ায়, তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম৷ এখন অনিদ্রার চিকিত্সায় সাধারণত এই ওষুধও দেওয়া হয়ে থাকে৷
ভেষজ ওষুধও কাজে লাগতে পারে
এছাড়া বালড্রিয়ান বা ভ্যালেরিয়ানার মতো ভেষজ ওষুধও ঘুমের ব্যাঘাত হলে সাহায্য করতে পারে৷ তবে সমস্যাটা হালকা হলেই কেবল এই ওষুধ কাজে লাগে৷ অনিদ্রা জেঁকে বসলে উদ্ভিজ ওষুধ তেমন কাজে লাগে না৷
আধুনিক ঘুমের ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম থাকলেও পুরোপুরি মুক্ত নয়৷ অনেক সময় রোগীরা পরদিন সকালে ক্লান্তি বোধ করেন৷ গাড়ি চালাতে পারেন না৷ এই ধরনের ওষুধ দুই সপ্তাহের বেশি নিলে পরে ওষুধ ছাড়া আর ঘুমই আসে না৷ অনেকদিন পর হয়ত কাজই করে না ঘুমের ওষুধ৷
আনে মারি জানান, তিনি ঘুমানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছেন কিন্তু সফল হননি৷ এজন্য ‘সেল্ফ হেল্প গ্রুপ'-ও গড়ে তুলেছিলেন৷ কিন্তু কিছুদিন পর অংশগ্রহণকারীরা আর আসতে পারেননি৷ ‘‘দিনের পর দিন না ঘুমিয়ে সন্ধ্যার সময় খুব ক্লান্ত থাকতেন তারা৷ তাই এই আসরে আসা সম্ভব হয়নি,'' জানান আনে-মারি৷
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, ঘুমের ট্যাবলেট সাময়িকভাবে নেওয়া যেতে পারে৷ কিন্তু স্থায়ী সমাধান হতে পারেনা৷ ওষুধ দিয়ে লক্ষণটা কমানো যায় কিন্তু অনিদ্রার আসল কারণ দূর করা যায় না৷
রক্তাল্পতা কি ?
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া এক ধরণের রোগ। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে লাল রক্তকণিকা এবং হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকে। রক্তের কোষগুলিতে অক্সিজেন পৌঁছনোর জন্য হিমোগ্লোবিন প্রয়োজন। যদি ব্যক্তির কোষগুলিতে পর্যাপ্ত রক্ত বা হিমোগ্লোবিনের অভাব থাকে তবে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না। অক্সিজেনের অভাবে ব্যক্তির মধ্যে ক্লান্তির লক্ষণ পাওয়া যায় । আপনার মনে যে প্রশ্নটি আসছে তা হল রক্তাল্পতা কী ? সুতরাং, আসুন আজ রক্তাল্পতা সম্পর্কে বিশদ জেনে নি ।
রক্তাল্পতা কী ? (What is Anemia in Bengali)
রক্তাল্পতা একটি ব্যাধি। এটি ব্যক্তির শরীরে রক্তের অভাব বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির কারণে ঘটে। যার কারণে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয় এবং ব্যক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। রক্তস্বল্পতা সহজেই মহিলা, শিশু এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দিতে পারে।
রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) কী কারণে হয়? (What causes in Anemia in Bengali)
অনেক কারণে অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা) হতে পারে।
পেটের আলসার বা প্রদাহের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মহিলারা রক্তাল্পতায় আক্রান্ত হন।
শরীরে ভিটামিনের অভাবে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতা দেখা দেয়।
কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তাল্পতা হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী রক্তাল্পতা যেমন: ডায়াবেটিস, লুপাস, সংক্রমণ রক্তাল্পতার দিকে পরিচালিত করে।
বার্ধক্যজনিত কারণে শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দেয়।
হেমোরয়েডস রোগের কারণে একজন ব্যক্তি রক্তাল্পতা বা রক্তাল্পতার অভিযোগ করেন ।
রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) এর লক্ষণগুলি কী কী? (What are the Symptoms of Anemia in Bengali)
রক্তাল্পতার সমস্ত লক্ষণ বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে আলাদা আলাদা ভাবে প্রকট হয়। এগুলি বিভিন্ন ধরণের লোকের মধ্যে দেখা যায়।
বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়া।
ত্বক হলুদ হওয়া।
দুর্বল হওয়া।
মাথা ধরা ।
মাথা ঘোরানো।
হাত পা ঠান্ডা হয়ে পড়া।
বুক ব্যাথা করা।
শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া।
হৃদস্পন্দনের দ্রুত হওয়া ।
রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) এর চিকিৎসা কী? (What is the treatment of Anemia in Bengali)
রক্তাল্পতা অ্যানিমিয়ার ধরণের ভিত্তিতে চিকিৎসা করা হয়।
যদি ভিটামিনের অভাবে রক্তাল্পতা দেখা দেয় তবে চিকিৎসকরা ভিটামিন সমৃদ্ধ ডায়েট গ্রহণের পরামর্শ দেন। কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার ভিটামিন বি 12 এর ঘাটতি কাটাতে রোগীদের ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন। এই ইঞ্জেকশনটি রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে 1 মাস বা সারা জীবন ধরে নেওয়া যেতে পারে।
যদি আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা দেখা দেয় তবে চিকিৎসক রোগীকে ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন। যদি মাসিকের রক্তপাতের কারণে রক্তপাত না হয়ে অন্য কোনও কারণে রক্তপাত হয় তবে ডাক্তার শল্যচিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন।
অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ার চিকিৎসার জন্য, চিকিৎসক রোগীদের কোষগুলিতে লাল রক্ত বাড়ানোর জন্য রক্তের বিনিময় করার পরামর্শ দেন।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন, ব্যাথার ওষুধ, এবং কিছু ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাথার জটিলতা হ্রাস করতে শিরাগুলির মাধ্যমে ইনজেকশনের ব্যবস্থা করা হয়।
অস্থি মজ্জার সাথে সম্পর্কিত অ্যানিমিয়া ওষুধের পরিপূরক, কেমোথেরাপি, অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
গুরুতর রক্তাল্পতা রক্ত সঞ্চালন বা প্লীহা অপসারণের কারণে হতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান রোগজনিত রক্তাল্পতার চিকিৎসার জন্য, চিকিৎসকরা প্রথমে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করবেন। গুরুতর ক্ষেত্রে, রক্তের বিনিময় বা কৃত্রিম এরিথ্রোপ্রোটিন, হ’ল এক ধরণের প্রোটিন যা কিডনিতে ইনজেকশনের মাধ্যমে উত্পাদিত করা হয় ।
রক্তাল্পতার চিকিৎসা করার আগে, একজন ব্যক্তির সংক্রমণের চিকিৎসা করা উচিত। যাতে সংক্রমণ রক্তকে দূষিত না করে।
শরীর পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। যাতে রোগ শরীরে প্রবেশ করে না।
রক্তাল্পতায় কী খাওয়া উচিত এবং কী এড়াতে হবে (অ্যানিমিয়া) ? (What to eat in Anemia and What to Avoid in Bengali)
অ্যানিমিয়ায় পালং শাক, সয়াবিন, বিট, লাল মাংস, চিনাবাদাম মাখন, টমেটো, ডিম, বেদনা, রুটি, সিরিয়াল, বীজ এবং শুকনো ফল, সামুদ্রিক খাবার, আপেল, খেজুর ইত্যাদি খাবার অন্তর্ভুক্ত হয়
অ্যানিমিয়া রোগীদের, ট্যানিন জাতীয় খাবার যেমন কফি, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি এবং আঙ্গুর, আঠালো সমৃদ্ধ খাবার, দই, দুধ, পনির ইত্যাদি খাবার এড়ানো উচিত।NILSHOPNO
গুরুত্বপূর্ণ 📒
#বলুন_তো_আপনি_কতদিন_পূর্বে
#কৃমির_ঔষুধ_খেয়েছিলেন?
✓জেনে অবাক হবেন যে
একটি কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে দিনে ০.২ মিলিলিটার রক্ত শুষে খায়।
অনেকগুলো কৃমি শরীরে থাকলে প্রতিদিনই বেশ কিছু পরিমাণ রক্ত হারিয়ে যায়। ফলে আমরা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগি ছোট বড় সবাই।
#এছাড়াও কৃমির কারণে অ্যালার্জি,ত্বকে চুলকানি, শুকনো কাশি,শ্বাসকষ্ট হতে পারে,কারো আবার কৃমির জন্য রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয় না।
কখনো অন্ত্রের বা পিত্তথলির নালিতে কৃমি আটকে গিয়ে বড় ধরনের জটিলতা হয়।
কৃমির সংক্রমণে হতে পারে বড় ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা এবং অপারেশনের কারন।
#কৃমি দূর করতে হলে প্রথমেই জানা দরকার এটি কেন হয়?
নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী।
কৃমি ঔষুধের মাধ্যমে দূর করার উপায় আছে। কিন্তু অনেকে নানা ভুল ধারণার জন্য ভয়ে কৃমির ঔষুধ খান না।শিশুদেরকেও খাওয়াতে চান না। কিন্তু ঔষুধ নিয়ম মেনে খেলে আর সহজ কিছু উপায় মেনে চললে সহজেই কৃমি দূর করা যায়।
#জেনে নেওয়া যাক সহজ কিছু উপায়:
১. প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল টেবলেট সেবন করতে পারেন। মেবেনডাজল হলে খেতে হবে পরপর তিন দিন।
সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে খাওয়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বয়স ১বছরের কম হলে ক্রিমির ঔষধ খাওয়াতে হয়না।
২. চিনি খেলে বা মিষ্টি খেলে কৃমি হবে বলে যে ধারণা প্রচলিত, তা ঠিক নয়। মিষ্টি বা চিনি খাওয়ার সঙ্গে কৃমির কোনো সম্পর্ক নেই। বরং নোংরা হাতে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কৃমি হবে।
৩. কৃমি হলে পায়ুপথ চুলকায় বলে সেখানে হাত দেয়।পরে আবার সেই হাত মুখে দেয়।এভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। তবে পায়ুপথ চুলকানো মানেই কৃমি সংক্রমণ নাও হতে পারে। কৃমি সংক্রমণের আরও উপসর্গ আছে। যেমন: ওজন না বাড়া, পেট ফাঁপা, পেট কামড়ানো, আমাশয়, অপুষ্টি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি।
৪. গরমকালে কৃমিনাশক খাওয়া যাবে না—এমন ধারণারও কোনো ভিত্তি নেই। গরম, শীত, বর্ষা যেকোনো সময়ই কৃমিনাশক খাওয়া যাবে। তবে খাওয়ার পর বা ভরা পেটে খাওয়া ভালো।
৫. কৃমিনাশক নিরাপদ ঔষুধ। এর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কারও কারও পেট ফাঁপা বা বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় কৃমিনাশক খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার যে খবর পাওয়া যায়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা ও কুসংস্কারজনিত।
৬. পানি অবশ্যই ফুটিয়ে বা বিশুদ্ধ করে পান করবেন। শাকসবজি ও মাংস খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে। শিশুদের খাওয়ার আগে ও শৌচাগার ব্যবহারের পর হাত ও পানিরটেব সাবান দিয়ে কীভাবে ভালো করে হাত কচলে ধুতে হয়, তা শেখানো জরুরি।
৭. বাইরের খোলা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়াই ভালো। মাঠঘাটে শিশুদের খালি পায়ে খেলতে দেবেন না।
৮. কেবল গ্রামে বা রাস্তায় থাকা শিশুদের কৃমি হয়—এই ধারণাও ভুল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে-কারও কৃমি সংক্রমণ হতে পারে। কুকুর,গরু,ছাগল ভেড়া, পাখি,হাঁস,মুরগি,ফলমুল, বিভিন্ন খাবার,ইত্যাদির মাধ্যমে কৃমি ছড়িয়ে পড়ে।
তাই অপুষ্টি এড়াতে নিয়মিত কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াই ভালো।
#কৃমির ঔষধ একা খেলে হবেনা,একা খেলে আবারো হবে তাই ৩মাস পরপর পরিবারের সবাইকে একসাথে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
নিউমোনিয়া (ইংরেজি: Pneumonia) ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম।ইহা হল ফুসফুসের প্যারেনকাইমার প্রদাহ বিশেষ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। নিউমোনিয়া থেকে ফ্লু হবারও সম্ভাবনা থাকে। নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়।
নিউমোনিয়ার উপসর্গ গুলো বিভিন্ন হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কি ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার উপর। নিউমোনিয়ার লক্ষণ সমূহ নিম্নরূপ:
জ্বর
কাশি
শ্বাসকষ্ট
কাপুনি
ঘাম হওয়া
বুকে ব্যাথা যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে উঠা নামা করে
মাথা ব্যথা
মাংসপেশীতে ব্যাথা
ক্লান্তি অনুভব করা
লক্ষণসমূহঃ
লক্ষণ হার
কাশি
৭৯-৯১%
ক্লান্তি
৯০%
জ্বর
৭১-৭৫%
শ্বাসকষ্ট
৬৭-৭৫%
থুথু
৬০-৬৫%
বুক ব্যথা
৩৯-৪৯%
১। অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
২। এছাড়া
যারা বৃদ্ধ এবং শিশু
যারা ধূমপান করেন
যারা ফুসফুসে কোন আঘাত পেয়েছেন
যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে
নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে
সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
ধূমপান করা যাবে না।
অন্যের সামনে হাঁচি/কাশি দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি/কাশি দেয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
টিকা দিতে হবে। যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর।
ডায়াবেটিস,এইডস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদির চিকিৎসা করাতে হবে।
শীত চলে আসবে খুব শীঘ্রই। আর এই সময় শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা জনিত রোগ হয়। সাধারণ সর্দি-কাশি ও ভাইরাস জ্বর বা ফ্লু-এর সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা দেয় অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত, এই কয়েক মাসে। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের বছরে অন্তত নয়বার এ রকম ঠান্ডা সর্দি-কাশি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত সমস্যা এবং তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে এই সময় শিশুদের নিউমোনিয়া, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হাঁপানি ইত্যাদিরও প্রকোপ যাবে বেড়ে।
সর্দি-কাশিতে ভয়ের কিছু নেই
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাইনো ভাইরাসই মূল দোষী। এতে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পরা, খুকখুক কাশি, ঘড়ঘড় শব্দ ও সঙ্গে জ্বর, গা ম্যাজম্যাজ, এমনকি গলা বা কান ব্যথা—যেকোনো উপসর্গই হতে পারে। কারও কারও এর সঙ্গে বমি বা নরম মলও হয়। জেনে নিন এই উপসর্গ হলে কী করবেন।
—নাক বন্ধ বা নাকে সর্দির জন্য নরমাল স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন নাক পরিষ্কার করার জন্য। শিশুকে পাশ ফিরিয়ে নাকে পানি গড়িয়ে পড়তে দিন ও টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। প্রচলিত কফ সিরাপ বা অন্য কোনো ওষুধ না দেওয়াই ভালো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।
—ছয় মাস বয়সের নিচে কেবল মায়ের বুকের দুধই বারবার দিন। ছয় মাস বয়সের ওপর কাশি থাকলে কুসুম গরম পানিতে মধু, আদার রস বা তুলসী পাতার রস, লেবু দিয়ে গরম পানি বা চা ইত্যাদি দিতে পারেন। এগুলো কফ তরল করতে সাহায্য করবে।
—সর্দি-কাশি বা অরুচির জন্য শিশু একবারে বেশি খেতে পারে না, তাই বারবার খাবার দিন। পানিশূন্যতা রোধে তরল খাবার বেশি দিন। ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, যেমন: লেবু, কমলা, মালটা, আমলকী ইত্যাদি উপকারী।
কখন সতর্ক হবেন
সাধারণ যত্ন ও পুষ্টি বজায় রাখলে এই সমস্যা সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যাওয়ার কথা। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি জটিলও হয়ে যেতে পারে। লক্ষ্য রাখুন কয়েকটি বিষয়। যদি শিশু ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে, নিঃশ্বাসের সঙ্গে পাঁজর ভেতর দিকে দেবে যায়, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দেয় ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে, খিঁচুনি হয় বা জ্বর অনেক বেড়ে যায় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। l
শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সারাবছর মাথা যন্ত্রণা! কড়া রোদ বা ঝিরঝিরে বৃষ্টি মাথায় পড়লেই মাথা ব্যথা শুরু| অনেক ক্ষেত্রে একে মাইগ্রেন ভাবা হলেও সাইনাসের কারনেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে| অনেককেই বলতে শোনা যায় মাথা যন্ত্রণার কারণ আসলে সাইনাস| সেই সাইনাস নিয়েই আজ আমরা আলোচনা করব
সাইনাস আসলে কি?
সাইনাস হলো করোটির মধ্যে থাকা ফাঁকা জায়গাগুলির মধ্যে একটি কানেকশন সিস্টেম| করোটির মধ্যে থাকা গহ্বরগুলির মধ্যে একটি আছে যা মোটামুটি ইঞ্চি খানেক লম্বা আর বাকিগুলি আকারে ও আয়তনে ছোট হয়ে থাকে| আমাদের শরীরের যেসব জায়গায় এই সাইনাস অবস্থান করে তা হলো, চোখ ও গালের মধ্যবর্তী স্থানে, এটিই হল শরীরের সবচেয়ে বড় সাইনাস একে বলা হয় ম্যাক্সিলারি সাইনাস| এছাড়াও রয়েছে, কপালের নিচের দিকে ঠিক মাঝখান বরাবর জায়গায় থাকে সাইনাস, একে বলা হয় ফ্রন্টাল সাইনাস| দুই চোখের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে এথময়েড সাইনাস| এগুলি ছাড়াও রয়েছে স্ফেনয়েড সাইনাস| এই সাইনাস নাকের হাড়ের ঠিক পিছনের দিকে অবস্থান করে থাকে| এই হলো সাইনাসের অবস্থানের কথা| এবার আসা যাক সাইনাসের গঠনগত দিকের কথায়| সাইনাসের চারপাশে থাকে পিঙ্ক রঙের সফ্ট টিস্যু যাদের মিউকোসা বলা হয়ে থাকে| সাইনাসের এই গঠন মূলত নাকের ভিতরের অংশকে আর্দ্র করে রাখে এবং বাতাস যা নাকের সাহায্যে আমরা টেনে নিয়ে থাকি তা পরিশুদ্ধ করা| নাকের দুই দিকের প্যাসেজের মধ্যে পাঁচিল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেপ্টাম|
কিন্তু আমাদের সাইনাসের সমস্যা হয় কেন?
সাইনাস কেন হয় তার উত্তর বিশেষজ্ঞরাও দিতে পারেনি। এই সাইনাসের কারণ আজ ডাক্তারদের কাছে অজানা। সাইনাস আসলে আমাদের জন্য কি কাজ করে সেটাও অনেকের কাছে কাছেই অজানা কারণ এই সাইনাসের কাজ নিয়ে রয়েছে দোটানা। একটি থিওরি বলে নাসিকাগহ্বরকে আর্দ্র করতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে কিন্তু অন্যদিকে আরেকটি থিওরি বলে, আমাদের গলার স্বর বাড়াতে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
সাইনাস থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে?
১) সাইনাস থেকে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে প্রখরতার ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রথম আসে যে নামটা সেটা হলো, অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস- এ ধরণের সাইনাসের সমস্যা মূলত হয় ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণের ফলে। এই ক্ষেত্রে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণের ফলে নাসিকাগহ্বর জ্বলতে থাকে। অতিরিক্ত মিউকাস, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গালে অস্বস্তি, মাথা যন্ত্রনা প্রভৃতি সমস্যা পরিলক্ষিত হয় এই ধরণে সাইনোসাইটিস হলে।
২) ক্রনিক সাইনুসাইটিস- বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকা সাইনাস ইনফেকশন পরে ক্রনিক সাইনুসাইটিসের রূপ নিতে পারে। পরপর একই স্থানে ইনফেকশন ঘটার ফলে নাসিকা গহবরের মধ্যে জ্বলন বেশিদিন স্থায়ী হয়ে থাকে।
৩) ডেভিয়েটেড সেপ্টাম-সেপ্টাম যেহেতু নাকের দুই দিককে একে ওপরের থেকে আলাদা করে থাকে এবং নাসিকা গহবরের থেকে সে যথারীতি দূরে অবস্থান করে তাও কিছু ক্ষেত্রে বাতাসের চলাচলের পথ আটকে যেতে পারে।
৪) হে জ্বর- ফুলের রেনু, পোষ্যের লোমে থাকা ড্যানডার, ধুলোবালি, পোকামাকড়ের স্পর্শে অ্যালার্জি হয়। এই অ্যালার্জির ফলে নাসিকা গ্রন্থির অধিক প্রদাহ বা জ্বলন ছাড়াও, নাক বন্ধের সমস্যা, বারবার হাঁচি হওয়া, গলা খুসখুস করা প্রভৃতি সমস্যা এই জ্বরের সময় দেখা দেয়|
৫) অনুনাসিক পলিপ- অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় নাসিকার অভ্যন্তরে অতিরিক্ত মাংস পিন্ড গজিয়ে উঠেছে। একেই বলা হয় অনুনাসিক পলিপ। নাসিকা গহ্বরের মধ্যে জন্মানো ছোট ছোট পাউচের মতো বস্তুগুলি আসলে প্রদাহ, অ্যাজমা বা কোনো অ্যালার্জির ফলে তৈরী হয় মাংস পিন্ড। নাকের ভিতরে এই পলিপের অবস্থান কখনো সম্পূর্ণভাবে একটি নাক বন্ধ করেও দিতে পারে।
সাইনাসের ট্রিটমেন্ট কি আছে?
সাইনাসের ট্রিটমেন্ট নানাভাবে করা হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে যেসব পদ্ধতিগুলি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেগুলি হলো,
১) অ্যান্টিবায়োটিক- সাইনাসের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা সর্বপ্রথম যে ওষুধের ব্যবহার করেন তা হলো অ্যান্টিবায়োটিক। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে তা শীঘ্রই উপকার দেয়।
২) অ্যান্টিহিসটামিনস- অ্যাল্যার্জিক রাইনাইটিস থেকে সাইনাসঘটিত যেসব সমস্যার সৃষ্টি হয় তার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত এই জাতীয় ওষুধ ব্যবহৃত হয়।
৪) ডিকনজেস্টেন্টস- এই জাতীয় ওষুধ নাকের মধ্যে থাকা রক্ত জালিকাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে থাকে। এর সাথেই নাসিকার ভিতরে অবস্থিত নাসাল টিস্যুকেও সংকুচিত করে। এর ফলে অতিরিক্ত সাইনাস বা অতিরিক্ত মিউকাস জমতে পারে না।
৫) নাসাল স্প্রে- অতিরিক্ত মিউকাস জমে নাক বন্ধের ক্ষেত্রে এই জাতীয় স্যালাইন স্প্রে নাক খুলতে সাহায্য করে থাকে।
৬) সাইনাস সার্জারি- যখন সব চিকিৎসা পদ্ধতি ফেল হয়ে যায় সেই সময় চিকিৎসকেরা সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। নাকের ভিতরে পলিপ জন্মালে তখনও চিকিৎসকেরা সার্জারির পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তাহলে আজ সাইনাস নিয়ে জানলাম নানা কথা। সাইনাসের কারণ, তার চিকিৎসা পদ্ধতি সবটাই আজ তুলে ধরলাম। এই রোগটি কমবেশি সকলেরই হয়ে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে এই রোগটি কোনো ক্ষতি না করলেও মাঝে মধ্যে এই রোগটিই মারাত্মক আকার নিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। পুরোটাই সম্ভব হয় তখন যখন এই সাইনাসের সমস্যাকে গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখা হয়। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার সাইনাসের সমস্যা হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিয়ে নেবেন।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Telephone
Address
3100
Mirabazar
Sylhet, 3100
এখানে দেশি-বিদেশি সকল প্রকার ঔষুধ ও কোভিড-১৯ মোকাবিলার যাবতীয় সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়
Sylhet
Sylhet
Home HEALTH CARE service.a TRUSTED and RELIABLE Customer-centric e-commerce platform in Bangladesh.
Uposhohor Main Road, Sonarpara, Shibgonj
Sylhet, 3100
ছাত্তার মেডিকেল হল শিবগঞ্জ এলাকাতে আ?