Family Doctor

Family Doctor

ওয়া নু নাজ্জিলু মিনাল কুরআনী মা ওয়া শিফাউন ওয়া রাহমাতুল্লিল মুহমিনিন

22/04/2023
13/02/2023

চর্ম ও যৌন সমস্যা সমাধান পেতে ইনবক্স করেন

12/02/2023

আলহামদুলিল্লাহ আরেক টা Treatment দিলাম। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবেন

12/02/2023

যেকোনো চিকিৎসা সেবা নিতে ইনবক্সে মেসেজ করুন

12/02/2023

সোয়াইন ফ্লু

Photos from Family Doctor's post 11/02/2023

★চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসার অংশবিশেষ
আলহামদুলিল্লাহ সবাই এখন সুস্থ

Photos from Family Doctor's post 10/02/2023

আমাদের লাস্ট ৩ টি Treatment...
Alhamdulillah

09/02/2023

আসসালামু আলাইকুম।আমাদের টেলিমেডিসিন সেবা সমুহ
স্কিন সমস্যা যেমনঃ
ব্রণ,মেসতা,দাঁদ,খোসপাঁচড়া,পক্স, ছুলি,স্কিন ক্যান্সার,চুল পড়া ,বসন্ত,এলার্জি,একজিমা,শ্বেতী ইত্যাদি

যৌন সমস্যা যেমন
ছেলেদেরঃ
বীর্য ধারণে অক্ষমতা,যৌন অতৃপ্তি,বীর্যের পরিমাণ কম,সেক্স পাওয়ার কম,লিঙ্গ উত্থান জটিলতা,তরল বীর্য,বার বার প্রস্রাব,প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি
মেয়েদেরঃ
অনিয়মিত মাসিক,মাসিকবন্ধ,লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব,সেক্সে অনীহা,যৌনি দিয়ে রক্ত যাওয়া,গর্ভধারণে জটিলটা,গনোরিয়া,সিফিলিস ইত্যাদি।

গ্যাস্ট্রোএন্ট্রলজি ও লিভার সমস্যা যেমনঃ
গ্যাস্টিক,কোষ্ঠকাঠিন্য,অর্শ,গেজ হজমে গন্ডগোল, পাইলস,বমি বমি ভাব, আলসার,ফ্যাটি লিভার,খাবারে অরুচি,বুক জ্বালা,ঢেকুর উঠা,পেট ব্যাথা,ডায়ারিয়া,আমাশয় পেপটিক ও ডিউডেনাল সমস্যা ইত্যাদি

হাড় ও জোড়া রোগ যেমনঃ
বাত,জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা,কোমর ব্যাথা, ঘাড় ব্যথা,ক্যাসসিয়ামের অভাব জনিত সমস্যা,হাতে পায়ে ম্যাজম্যাজ করা,হাটতে বসতে না পারা, ইত্যাদি

দাঁতের সমস্যা যেমনঃ
দাঁতের ব্যথা,মাড়ি ফোলা,মুখ ঘা,জিহ্বা ঘা,দাঁত উঠা,নড়েচড়ে দাঁত,দাঁতের দাগ,মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া,
শিনশিন ঝিনঝিন করা,দাঁতের ক্ষয়,ব্যক্টেরিয়ার ভাইরাসের আক্রমণ

শ্বাসনালির সমস্যা যেমনঃ
হাপাঁনি,যক্ষা,নিউমোনিয়া,শ্বাসকষ্ট,এমফাইসোমা,
ফুসফুস ঘা,বুকে ব্যাথা,শ্বাসনালীর ইনফেকশন ইত্যাদি

মানসিক সমস্যা যেমনঃ
অযথা ভয় পাওয়া, গায়েবী আওয়াজ শোনা,একই কাজ বার বার করা,জ্বীনে ধরা,অজ্ঞান হওয়া,মাথা ধরা,স্কুল লেজ যাওয়ার ভীতি,ইনসিকিউরিটি ফিল করা,লেখা পড়ায় অমযোগী ভাব ইত্যাদি

এসব রোগের জন্য আমাদের পেজ এর পক্ষ থেকে সু-পরামর্শ পাওয়া যায়।(নাম মাত্র ভিজিট ফি তে) এবং প্রয়োজনে যথাযথ স্থানের যথাযথ ডাক্তারের কাছে রেফার করা হয়......

08/02/2023

পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার কি?
পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসর্ডার (পিটিএসডি) হল একটি মানসিক ব্যাধি যা কোনো মানুষ আঘাতজনিত ঘটনার সম্মুখীন হলে দেখা দিতে পারে, যেমন যৌন আক্রমণ, যু‌দ্ধ, যানবাহনের সংঘ‌র্ষ, বা মানুষের জীবনের অন্যান্য গভীর দুশ্চিন্তাজনক বিপদগুলি।

এই সমস্ত ঘটনা কিছু মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং তাদের রোজকার জীবনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। রোগী মানসিক অবসাদ অথবা প্যানিক অ্যাটাকের মতো অন্যান্য মানসিক বিকারের সঙ্গে এই অবস্থা উপলব্ধি করতে পারেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়, পিটিএসডি আছে এমন একজন মানুষের আত্মহত্যা ও ই‌চ্ছাকৃতভাবে নিজের ক্ষতি করার ঝুঁকিকে উদ্দীপ্ত করতে পারে।

পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
এটি মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবের একটি শ্রেণিবিন্যাস সহ মানসিক রোগ। প্রায় সবসময় যে লক্ষণগুলি এর সঙ্গে যুক্ত, তা নিচে উল্লেখ করা হল:

মানসিকচাপ যুক্ত ঘটনার উপলব্ধি অথবা প্রত্যক্ষ করার ইতিহাস।
দুঃস্বপ্ন এবং (অথবা) ফ্ল্যাশব্যাক সহ কোনও ঘটনার স্মৃতি পুনরায় অনুভব করা করা।
সেই সমস্ত পরিস্থিতি, স্থান এবং ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা যা যন্ত্রণাদায়ক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মকে ব্যাহত করতে পারে।
বিরক্তিভাব, মনোযোগে সমস্যা এবং ঘুমে ব্যাঘাতের মতো হাইপারঅ্যারাউওজাল উপসর্গ।
একজন মানুষ যেভাবে চিন্তাভাবনা ও অনুভব করেন তার পরিবর্তন, লড়াই করা বা পালানোর প্রতিক্রিয়া। এই লক্ষণগুলি ঘটনাটির পরে এক মাসের বেশি সময় ‌স্থায়ী হয়। ছোট শিশুদের কষ্ট প্রকাশ করার সম্ভাবনা কম, কিন্তু এর পরিবর্তে তারা খেলার মাধ্যমে তাদের স্মৃতিগুলি ব্যক্ত করতে পারে।

পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, হিংসামূলক অপরাধ এবং দুর্ব্যবহার, সামরিক যুদ্ধ, অপর কোনও ব্যক্তির মৃত্যু/গুরুতর আঘাতের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকা, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা, অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর মতো ব্যাপার, গুরুত্বর দুর্ঘটনা অথবা ব্যক্তিগতভাবে হিংসাত্মক হামলার শিকার হওয়ার মতো ঘটনায় জর্জরিত যুগে মানসিক আঘাত পাওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। এই ধরনের মানসিক চাপযুক্ত ঘটনায় আমরা অনেকেই গভীরভাবে আহত হই, কিন্তু কিছু দিন বা সপ্তাহ পরই দুঃখ সামলে উঠি এবং রোজকার জীবন ফের শুরু করি।

আমাদের শরীর মানসিক আঘাতজনিত ঘটনায় হওয়া মানসিক অবসাদের প্রতিক্রিয়ায় ভিন্নভাবে সাড়া দেয়। সাধারণত, মানসিক চাপ সামলাতে মানুষ একটি লক্ষ্যে কাজ করেন। তবে, কিছু ব্যক্তি ‘প্রচেষ্টা’ ছেড়ে দেন এবং আবেগ বা ভয়কে ভেতরে দমিয়ে রাখেন। এর ফলে পিটিএসডি হতে পারে।

আঘাতমূলক ঘটনার অভিজ্ঞতা হওয়া বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে পিটিএসডি দেখা দেবে না। আন্তঃব্যক্তিগত আঘাতের (উদাহরণস্বরূপ ধ‌র্ষণ বা শিশু নির্যাতন) অভিজ্ঞতা হওয়া মানুষদের মধ্যে পিটিএসডি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আক্রমণ-জনিত নয় এমন আঘাত, যেমন দু‌র্ঘটনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা হওয়া মানুষদের তুলনায় বেশি। ধ‌র্ষণের পরে প্রায় অ‌র্ধেক মানুষের মধ্যে পিটিএসডি দেখা দেয়।‌ আঘাতের পরে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের পিটিএসডি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কম, বিশেষত যদি তাদের বয়স ১০ বছরের কম হয়।

পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
নিজে তৈরি করা নির্দিষ্ট কিছু রিপোর্ট অথবা পেশাদার ডাক্তারের সহায়তায় প্রশ্নাবলী এবং মানদণ্ডের মূল্যায়নের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। আর তা রোগীর আবেগপ্রবণতাকে মাথায় রেখে খুব সংবেদনশীলভবে করা আবশ্যক। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে, কাউন্সেলিং বা পরামর্শ দান, কগনিটিভ বিহেভিরিয়াল থেরাপি, গ্রুপ থেরাপি, বিশ্রামের কৌশল এবং বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা। ওষুধ দেওয়া হতে পারে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট দেওয়া হয়, তবে তা অবস্থার তীব্রতার উপর নির্ভর করে
M.M SUMON
MBBS (in course)

Photos from Family Doctor's post 07/02/2023

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস কাকে বলে?
সোরিয়াসিস হল এক ধরনের চর্মরোগ, যাতে ত্বকে রক্তবর্ণের বা কালচে ছোপ দেখা যায় এবং সেই স্থানের চামড়া খসখসে আঁশের মতো হয়ে পড়ে। আর সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস হল, এক ধরনের বাত যা সোরিয়াসিসের রোগীদের মধ্যে বৃদ্ধি হয়; আক্রান্ত গাঁটগুলি ফুলে যায় এবং প্রায়ই যথেষ্ট যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। যাদের সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস থাকে, তাদের আর্থ্রাইটিসের উপসর্গগুলি বেড়ে ওঠার বেশ কিছু বছর আগে থেকেই সোরিয়াসিস থাকে।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের বিভিন্ন ধরনঃ

ডিস্টাল আর্থ্রাইটিস: আঙুলের শেষ জয়েন্টের আর্থ্রাইটিস।
অলিগো-আর্থ্রাইটিস: দুই থেকে চারটি জয়েন্টে আর্থ্রাইটিস।
পলি-আর্থ্রাইটিস: পাঁচটিরও বেশি অস্থিসন্ধির আর্থ্রাইটিস। এক্ষেত্রে সাধারণত দেহের দুই পাশের একই অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হয় এবং রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো লক্ষণ তৈরি হয়।
আর্থ্রাইটিস মিউটিলেন্স: এতে বেশির ভাগ সময়েই গোড়ালির অস্থিসন্ধি বিকৃত হয়ে পড়ে। এতে হাতের ও পায়ের বিভিন্ন আঙুলও কুঁকড়ে যায়।
স্পন্ডাইলোআর্থ্রাইটিস: মেরুদণ্ডের সংযোগস্থলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস কাদের হয়?
সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস পুরুষদের এবং মহিলাদের সমানভাবে আক্রান্ত করে। বেশিরভাগ লোক যারা সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হয় তাদের প্রথমে ত্বকে চর্ম , এর পরে বাতের লক্ষণগুলি দেখা যায়। তবে, প্রায় ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে চর্মের লক্ষণগুলি প্রদর্শিত হওয়ার আগে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের ব্যথা দেখা দিতে পারে।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
যেহেতু এটি একপ্রকার আর্থ্রাইটিস বা বাত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি বিভিন্ন রকম হতে পারে। এই অবস্থায় থাকা মানুষের মধ্যে ঘটা সবচেয়ে সাধারণ (কমন) লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল:

জয়েন্ট বা গিড়ার ব্যথা
জয়েন্ট বা গিড়া ফুলে যাওয়া বা শক্ত হয়ে যাওয়া।
সংলগ্ন পেশিতেও যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে।
ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় আঁশের মত হয়ে যাওয়া।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কোমরে বা হাঁটুতে ব্যথা। হাঁটলে, চললে কমে যায়, কিন্তু বিশ্রামে আবার বাড়ে।
সকালের দিকে প্রায় আধ ঘণ্টা বা চল্লিশ মিনিট অস্থিসন্ধি কঠিন বা অনমনীয় হয়ে থাকা।
ছোট গাঁটগুলিকে আক্রমণ করে, যেমন হাতের ও পায়ের আঙুল, কব্জি, গোড়ালি এবং কনুই।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায় ৯০ শতাংশের মধ্যেই নখের ভঙ্গুরতা, গোড়া থেকে নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।
কিছু ক্ষেত্রে চোখের সমস্যাও দেখা দিতে পারে, এর মধ্যে সবথেকে বেশি হয় কনজাংটিভাইটিস (চোখ ওঠা) এবং ইউভিআইটিস।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের প্রধান কারণগুলি কি কি?
দীর্ঘ দিন ধরে সোরিয়াসিসে ভুগছেন, এমন মানুষের ক্ষেত্রেই সাধারণত এই সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস দেখা যায়। সোরিয়াসিস যেমন একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার, অর্থাৎ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরের সুস্থ কলাকোষকে আক্রমণ করলে এই রোগ হয়। অনেকের মতে, ঠিক তেমন করেই সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস রোগটিরও সৃষ্টি হয়।

তবে ঠিক কেমন করে এই রোগের উৎপত্তি, তা কিন্তু নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। এ নিয়ে মতপার্থক্য লক্ষ করা যায়। সাধারণভাবে মনে করা হয়, জিনগত কিংবা পরিবেশগত বিভিন্ন ফ্যাক্টর যেমন, স্ট্রেস বা চাপ, ভাইরাস কিংবা কোনও আঘাত থেকেও এই রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
গাঁটের সমস্যা অথবা কাঠিন্যের উপসর্গগুলি অনুযায়ী, চিকিৎসক কিছু পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারেন এবং পরবর্তী মূল্যায়নের জন্য রোগীকে রিউমাটোলজিস্টের কাছে পাঠাতে পারেন। আর্থ্রাইটিসের প্রকার নির্ণয়ের জন্য সাধারণত যে পরীক্ষাগুলি করা হয় তা হল এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা যার মাধ্যমে এরিথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেট ও সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিনের মাত্রা বেশি আছে কিনা দেখা হয়।

কোন একটি নির্দিষ্ট ওষুধ সবরকম আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়, সুতরাং এর উপযুক্ত ওষুধ পাওয়ার আগে একাধিক ওষুধ পরখ করার দরকার হতে পারে। চলনশীলতা এবং গাঁটের সমস্যায় সাহায্য করার জন্য শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-রিউমাটিক ওষুধ দিতে পারেন। কর্টিকোস্টেরয়েড, বায়োলজিক বা ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট জাতীয় ওষুধগুলিও এতে ব্যবহার করা হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, আর্থ্রাইটিস স্থায়ী হয় এবং একে সম্পূর্ণ দমন করা কঠিন হতে পারে, কিন্তু সঠিক ওষুধ ও থেরাপির সাহায্যে এর পুনরাবৃত্তি ঘটাকে এড়ানো যেতে পারে।

M.M SUMON
MBBS (in courses)

04/02/2023

প্রস্টেট ক্যান্সার কি?
পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারকেই প্রস্টেট ক্যান্সার বলে। পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়স হলে পুরুষদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। এর চাইতে কম বয়সেও প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু সেটা সচরাচর দেখা যায় না। বয়স যতো বাড়তে থাকে, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততোই বেড়ে যায়। পরিবারের কারো যদি (ভাই কিংবা বাবার) প্রস্টেট ক্যান্সার থাকে তাহলেও ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। প্রজননতন্ত্রের প্রস্টেট নামে পরিচিত ছোটো গ্রন্থিতে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে।

প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
প্রস্টেট ক্যান্সারে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও লক্ষণ অথবা উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে, যতক্ষণ না চরম পর্যায়ে পৌঁছোচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে, নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণকে অন্তর্নিহিত ক্যান্সারের ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হয়। এই লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল:

প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালা ভাব।
ঋজুকরণে সমস্যা।
মলদ্বারে অথবা শ্রোণী, উরু বা নিতম্বে ব্যথা।
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব পড়া, প্রস্রাব করতে প্রচুর সময় লাগে।
প্রস্রাব এক ধারায় শুরু করতে সমস্যা; প্রস্রাবে বেগ থাকে না।
প্রস্রাব করার পরো মুত্রথলিতে প্রস্রাব রয়েছে এমন অনুভব হওয়া।
ঘনঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
প্রস্রাব অথবা বীর্য দিয়ে রক্ত বেরনো- কিন্তু এটা খুবই কম দেখা যায়।
অন্ডকোষে ব্যাথা।
পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা।

প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রধান কারণগুলি কি কি?
প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার প্রধান কারণ স্পষ্ট নয়, তবে এমন অনেক সাধারণ কারণ রয়েছে যা প্রস্টেটে ক্যান্সারের কার্যকরী প্রক্রিয়ার ইঙ্গিতবাহী। ডিএনএ-তে মিউটেশনের ফলে প্রস্টেটে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিত হয়, যার ফলে এই অবস্থা দেখা দেয়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল অঙ্কোজিন ও টিউমার সাপ্রেসর জিনের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা। অঙ্কোজিন শরীরে ক্যান্সারযুক্ত কোষের বৃদ্ধির জন্য দায়ী আর টিউমারের বৃ্দ্ধি প্রতিরোধ করার জন্য টিউমার সাপ্রেসর জিন সঠিক সময়ে ক্যান্সারযুক্ত কোষের বৃদ্ধিকে মন্থর করা অথবা তাকে নষ্ট করে দেয়।

আরও কতগুলো বিষয় লক্ষ করা গেছে যেগুলো প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলোকে বিপদের কারণ হিসেবে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-

বয়স যত বেশি প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বেশি।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস৷
প্রোস্টেট ক্যান্সারের কিছু জেনেটিক কারণও আজকাল আলোচিত হচ্ছে।
প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ ও এ রোগের যথাযথ চিকিৎসা না করা।
খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত চর্বি ও আমিষ খাবারের সংযোজন। সিগারেট, তামাক সেবন।
পুরুষ হরমোন (টেস্টোস্টেরনের) উপস্থিতি প্রোস্টেট ক্যান্সার দ্রুত বৃদ্ধি ও বিস্তারে সাহায্য করে থাকে।

প্রস্টেট ক্যান্সার কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
প্রস্টেট ক্যান্সারের উপস্থিতির জন্য চূড়ান্ত নির্ধারক এবং সুনিশ্চিত পরীক্ষা হল কোনও মূত্ররোগ বিশেষজ্ঞের করা বায়োপসি। ডাক্তার যদি মনে করেন যে আপনার প্রস্টেট সমস্যা থাকতে পারে তাহলে আপনার মধ্যে কি কি লক্ষণ দেখা গেছে সেগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। এর সাথে সাথে তিনি কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষাও করতে পারেন। সাধারণত যেসব ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় সেগুলো হচ্ছে:

রক্ত পরীক্ষা, একে সাধারণত পিএসএ পরীক্ষা বলে।
ডিআরই নামে এক ধরনের শরীর পরীক্ষা।
রক্ত এবং মুত্র পরীক্ষা।
ইউরোফ্লোমেট্রি বা মুত্রের প্রবাহ পরীক্ষা।
আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান। এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে আপনি ব্লাডার বা মুত্রথলি কতোটা খালি করতে পারছেন।

প্রস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফল হয়। যেসমস্ত ওষুধ এবং চিকিৎসা প্রদান করা হয়:

রেডিয়েশন থেরাপি- ডাক্তার গামা-রশ্মির মতো সরাসরি বিকিরণকে ক্যান্সার কোষের ওপর ফেলেন।
সার্জারি- এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে যখন টিউমার ছড়িয়ে পড়েনি এবং ছোটো থাকে, তখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
কেমোথেরাপি- ক্যান্সার যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কেমোথেরাপি চিকিৎসার জন্য সহায়ক।
ওষুধ- ক্যান্সারযুক্ত কোষের বৃদ্ধি হ্রাস করতে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ দেওয়া হতে পারে।

M.M SUMON
MBBS( in course)

29/01/2023

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) কাকে বলে?
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার। পিসিওএস আসলে একটি হরমোনজনিত ব্যাধি। সাধারণত সুস্থ মহিলাদের ডিম্বাশয় প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বানু ছেড়ে থাকে। এটি গর্ভদশা চলাকালীন পরিণত হয় নতুবা নির্মূল হয়ে একটি সাধারণ মাসিক চক্রের রূপ নেয়। কিন্তু যখন মেয়েদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায় তখন অ্যান্ড্রোজেন হরমোন আধ্যিকের কারনে ডিম্বাশয়ের আশপাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। ফলে ডিম্বাশয় থেকে যে ডিম্বাণু বড় হয়ে ডিম বের হওয়ার কথা, তাতে বাধা সৃষ্টি হয় এবং এভাবে একসময় ডিম বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পিসিওএসে আক্রান্ত মহিলাদের ডিম্বানুগুলি সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠে না অথবা নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন চক্রের সময় ডিম্বানু ছাড়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে নিয়মিত ঋতুচক্র বাধাগ্রস্থ হয়। এটি সাধারণত ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী প্রজনন বয়সের সময়ের মধ্যে যে মহিলারা আছেন তাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি?
এই রোগের উপসর্গগুলি হলঃ

এমেনোরিয়া যার অর্থ হলো ঋতুস্রাব না হওয়া।
ডিসমেনোরিয়া যার অর্থ হলো যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাব।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজম যার অর্থ হলো শরীরে উচ্চ মাত্রায় পুরুষালী হরমোন নিসৃত হওয়া।
হিরসুটিজম যার অর্থ হলো দেহে ও মুখে পুরুষের মত অতিরিক্ত লোমের উপস্থিতি।
পিম্পল বা ব্রণ।
কোমরের কাছে ব্যথা।
গর্ভধারণে ব্যর্থতা: এটি সরাসরি দীর্ঘস্থায়ী অ্যান ওভ্যুলেশন (ডিম্বপাত না হওয়া) থেকে আসে।
স্থূলত্ব, যাতে পেটে চর্বিসঞ্চয়ের সম্ভাবনা থাকে।
পেরিফেরাল ইনসুলিন প্রতিরোধ।
বন্ধ্যাত্ব।
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া।
টাইপ-২ বহুমূত্র রোগ - ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধ্যতা, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস।
রোগীর পরিবারে মাসিকসংক্রান্ত সমস্যা, এড্রেনাল এনজাইমের অভাব, বন্ধ্যাত্ব, স্থূলত্ব এবং মেটাবলিক সিনড্রোম বা ডায়াবিটিসের ইতিহাস থাকতে পারে। অথবা, রোগী অতিরিক্ত রক্তপাত বা দীর্ঘস্থায়ী ঋতুস্রাবের অভিযোগ করতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের প্রধান কারণগুলি কি?
পিসিওএস রোগটির জিনগত প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়, এবং বাবা ও মা দুজনের থেকেই অটোজমাল ডমিনেন্ট জিন হিসাবে এটি পরবর্তী প্রজন্মে বাহিত হয়। রোগীদের শরীরে অধিক মাত্রায় এন্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) উপস্থিত থাকে, বিশেষত টেস্টোস্টেরন। এই হরমোনগুলি ডিম্বাণুচক্রের বিন্যাসে ব্যাঘাত ঘটায় এবং বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি করে। হরমোনগুলির ফলে ফলিকলের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই অপরিণত ফলিকলের জন্যই ডিম্বাশয়কে দেখে মনে হয় তা তরলপূর্ণ সিস্টে ভর্তি।

কিভাবে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?
এই রোগটি নির্ণয়ের জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ চিকিৎসার ইতিহাস সংগ্রহ ও শারীরিক পরীক্ষার দরকার। ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মধ্যে আছে থাইরয়েডের ক্রিয়ার পরীক্ষা; এফএসএইচ, প্রোলাক্টিন এবং এলএইচ মাত্রা; টেস্টোস্টেরন ও রক্তশর্করার মাত্রা। এগুলির আগে, আল্ট্রাসনোগ্রাফীর মত নন-ইনভেসিভ ইমেজিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিম্বাশয়ে সিস্টগুলির উপস্থিতি দেখতে লাগে অনেকটা মুক্তোর মালার মত।

এর চিকিৎসা হল রোগীকে আরো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উৎসাহী করে তোলা। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ওজনহ্রাস, নিয়মিত শরীরচর্চা প্রভৃতি পরিবর্তনের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও চিকিৎসক হরমোন থেরাপির নির্দেশ দিতে পারেন। প্রাকডায়াবিটিস অথবা ইনসুলিন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মেটফর্মিন জাতীয় ইনসুলিন সেনসিটাইজিং ওষুধও সাহায্য করে।

M.M SUMON
MBBS (in course)

29/01/2023

ক্ষতচিহ্ন (স্কার) কাকে বলে?
ক্ষতচিহ্ন (স্কার) হলো স্থায়ী দাগ যা কোনও ক্ষত সেরে যাওয়ার পরে ঐ স্থানে যে ফাইব্রাস টিস্যু সৃষ্টি হয় সেটাই ক্ষতচিহ্ন হিসেবে পরিচিত। এই টিস্যুগুলো কোন প্রকার প্রভাব ছাড়াই নিজে নিজেই সৃষ্টি হয় এবং প্রায় প্রতিটি ক্ষতের কারণেই ক্ষতচিহ্নর সৃষ্টি হয়। এগুলি শরীরে কোনও কাটা, আঁচড়, পুড়ে যাওয়া সেরে গেলে তারপর তৈরি হয়; এছাড়াও কোনও রকম চর্মরোগ, যেমন চিকেন পক্স এবং ব্রণ সেরে যাওয়ার পর কিছু দাগ রেখে যায়। ক্ষতচিহ্নগুলি গোলাপী বা লাল রঙের এবং চকচকে হয় এবং স্বাভাবিক ত্বকের উপর হয়ে থাকে।

ক্ষতচিহ্ন (স্কার) এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
আঘাতের প্রকার, প্রভাব, এবং পরিমাণের উপর নির্ভর করে, এই ক্ষত চিহ্নগুলি বিভিন্ন আকার, মাপ, এবং বিভিন্ন রকমের দেখতে হয়।

হাইপারট্রফিক ক্ষত

চামড়া থেকে উত্থাপিত হয়
লাল বা গোলাপী রঙের হয়
আঘাতের সীমানার মধ্যেই হয়

কেলয়ডস

চামড়া থেকে উত্থাপিত হয়
লালচে খয়েরী রঙের হয়
স্বাভাবিক চামড়ার উপর ছড়িয়ে পড়ে

অ্যাকনে স্কার্স বা ব্রণের ক্ষতচিহ্ন

তীব্র ব্রণের পর দেখা যায় বা থেকে যায়

কংট্রাক্চার ক্ষতচিহ্ন

পুড়ে যাওয়ার আঘাতের উপর হয়
চামড়া শক্ত এবং সংকুচিত হয়ে যায়
আক্রান্ত জায়েগাটিতে কম নড়াচড়া এবং পেশি ও স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে

ক্ষতচিহ্ন (স্কার) এর প্রধান কারণ কি কি?
যখনই চামড়াতে বা ত্বকে আঘাত লাগে এবং টিস্যু ফেটে যায়, তখন ত্বকের কোলাজেন প্রোটিন নিষ্কৃত হয় এবং আঘাতের বা ক্ষতের জায়গায় জমা হয়। এটি ক্ষতটিকে সারিয়ে তোলে এবং রক্ত জমাট বাধাকে শক্তিশালী করে তোলে। যদি আঘাতটি অনেক বড় হয় তাহলে কোলাজেন ফাইবারের গঠন এবং জমাট বাধা কিছুদিন ধরে চলতে পারে, এবং এটি পুরু, উঁচু, লালচে, এবং ফোলা মতো দেখতে হয়।

এই ক্ষতচিহ্নের কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই, কিন্তু এটি সাধারণত বেশীরভাগ সময় বড় আঘাত, কেটে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, এবং মাঝেমধ্যে অস্ত্রপচারের পর হতে পারে। পোষা বা বন্য প্রাণী কামড় বা নখের আঁচড় লাগলে, যক্ষার প্রতিষেধক টিকা দিলে বা শরীরের কোনো অংশে ট্যাটু করালে এসব স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখা দেয়। বয়স্ক ব্যক্তি বা যাদের ত্বকের রঙ গাঢ় তাদের ক্ষতচিহ্ন হওয়ার বেশি ঝুঁকি থাকে।

ক্ষতচিহ্ন (স্কার) কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিত্‍সা করা হয়?
সাধারণত একটি সঠিক চিকিত্‍সাগত ইতিহাস এবং সম্পূর্ণ ক্লিনিকাল পরীক্ষার মধ্যমে এটি নির্ণয় করা যায়। এটি এটাও বুঝতে সাহায্য করে যে ক্ষতচিহ্নটি কি প্রকারের। তবুও কিছুসময় নির্ণয়টি নিশ্চিত করার জন্য ত্বকের একটি বায়োপ্সি (ক্ষতচিহ্নর টিস্যুর বায়োপ্সি) করা হয়।

এই ক্ষতচিহ্নগুলিকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা খুবই কঠিন কাজ, কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষতচিহ্নই কিছু বছর পর নিজে থেকে মিলিয়ে যায়। কিছু চিকিত্‍সা পদ্ধতির মধ্যমে এই ক্ষত চিহ্নগুলি আগেই সারিয়ে তোলা যায় এবং ক্ষতচিহ্নগুলি কম দৃশ্যমান হয়:

ক্ষতচিহ্নের উপর সিলিকন জেল প্রয়োগ করা।
স্কার টিস্যুর উপরে এবং চারপাশে স্টেরয়েড ইঞ্জেক্ট করা হয় যাতে ক্ষতচিহ্নের আকারটা কম হয়।
কিছু অস্ত্রপচার করা যেমন, ক্ষতচিহ্নটা কেটে বাদ দেওয়া বা ত্বকের গ্রাফটিঙ্গ।
উঁচু ক্ষতচিহ্ন গুলিকে চেপ্টে দেওয়ার জন্য লেসার থেরাপি (ভাস্কুলার লেসর) করা এবং কিছুসময় তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার জন্য অ্যাব্লেটিভ লেসার থেরাপি করা।

ক্ষতচিহ্ন দ্রুত ওঠাতে ঘরোয়া পদ্ধতিঃ
ত্বকে যে কোনো দাগ সময়ের সঙ্গে হালকা হতে থাকে। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে এই গতি বাড়ানো যায়।

অ্যালোভেরা: বা ঘৃতকুমারীর জেল ত্বকের ক্ষত কমিয়ে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে। এই কারণেই দাগ কমানোর নানা রকম প্রসাধনীতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এটি ব্যবহার ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
ব্যবহার- অ্যালোভেরার সবুজ অংশটি ছাড়িয়ে তা থেকে জেল বের করে নিতে হবে। এরপর এটি দাগের উপরে বৃত্তাকারে মালিশ করতে হবে। ৩০ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, কখনও খোলা ক্ষতস্থানে অ্যালোভেরার জেল লাগানো ঠিক নয়।

নারিকেল তেল: নারিকেলের তেলে থাকে ভিটামিন ‘ই’ যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’য়ের কাজ করে। এটি দ্রুত দাগ কমাতে ও নতুন দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া রয়েছে ল্যাউরিক, ক্যাপ্রিলিক ও ক্যাপ্রিক এসিড যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে, ক্ষতগ্রস্ত চামড়া সুস্থ করে এবং বিনামূল্যেই ‘ফ্রি র‌্যাডিকল ড্যামেজ’য়ের সমাধান করে।
ব্যবহার- খানিকটা নারিকেলের তেল গরম করে তা হাতের তালুতে ঢালতে হবে। এরপর এটি আক্রান্ত স্থানের উপর পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় নিয়ে মালিশ করতে হবে।

লেবু: এতে আছে আলফা হাইড্রোক্সাইড যা সব ধরনের ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে ও নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। লেবুর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সুস্থ করার পাশাপাশি এর ব্লিচিং উপাদান দাগ হাল্কা করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার- খানিকটা লেবুর রস সরাসরি

M.M.SUMON
MBBS( in Course)

24/01/2023

সারকোডোসিস কাকে বলে?
সারকোডোসিস হল একটি অসুখ যাতে শরীরের, বিশেষত ফুসফুস ও লসিকা গ্রন্থির, টিস্যুগুলিতে প্রদাহের ফলে লাল ও স্ফীত নডিউল (গ্রানুলোমা) সৃষ্টি হয়। যেকোন বয়সে সারকোডোসিস হতে পারে; তবে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের উপর এর প্রভাবের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি হয়। কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এর ফলে পালমোনারি ফাইব্রোসিসও হতে পারে।

যদিও এতে শরীরে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি (গ্রানুলোমা) দেখা যায়, সারকোডোসিস রোগটি ক্যান্সার নয় এবং ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রোগী এই সমস্যার থেকে মুক্তি পায়। বিভিন্ন ওষুধ এর উপসর্গগুলি কমাতে অথবা অনাক্রম্য তন্ত্রকে চেপে রাখতে সাহায্য করে।

সারকোডোসিসের প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি?
এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গটি হল শ্বাসকষ্ট, যার পরে আকস্মিক ফুসকুড়ির আক্রমণ দেখা দেয়। সারকোডোসিসের অন্য পরিচিত উপসর্গগুলি হল মুখে ও হাতে লাল গোটার সৃষ্টি, চোখের প্রদাহ, ওজন হ্রাস, রাতে ঘাম হওয়া এবং ক্লান্তি। তবে শতকরা ৫% এই রোগের উপসর্গ দেখা দেয় না।

সারকোডোসিসের অন্যান্য উপসর্গগুলি নিচে দেওয়া হল:

বুকে ব্যথা।
শ্বাসকষ্ট।
ক্লান্তি।
মুখ ফুলে যাওয়া।
শুস্ক চোখ।
আবছা দৃষ্টি
হাটু ফুলে যাওয়া।
আর্থ্রাইটিস।
পায়ে যন্ত্রণাদায়ক পিণ্ডের সৃষ্টি।
বগল, ঘাড় ও কুঁচকির গ্ল্যান্ড (গ্রন্থি) ফুলে যায় ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
অ্যারিদমিয়া (অনিয়মিত হৃদস্পন্দন)।
কিডনিতে পাথর।

সারকোডোসিসের প্রধান কারণগুলি কি?
জীবাণু ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার লড়াইয়ের ফলস্বরূপ এই সমস্যাটির সৃষ্টি হয়। এর ফলে টিস্যুর স্ফীতি ও লালভাব দেখা দেয়। ক্রমশ যখন সুস্থ টিস্যু ও অঙ্গগুলিও আক্রান্ত হতে শুরু করে এবং আরো গ্রানুলোমার সৃষ্টি হয়, তত সারকোডোসিস অসুখটি আরো গুরুতর চেহারা নেয়, এটি অটোইমিউন রোগের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য।

মনে করা হয় যে পরিবেশগত ও জিনগত কিছু উপাদান মূলত এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। সুতরাং এই রোগটি সংক্রামক প্রকৃতির নয়।

কিভাবে সারকোডোসিস নির্ণয় করা হবে এবং এর চিকিৎসা কি?
রোগীর চিকিৎসার ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং বুকের এক্স-রের উপর এই রোগটির নির্ণয়করণ নির্ভর করে। এই প্রক্রিয়াগুলো অন্যান্য অনুরূপ রোগ, যেমন যক্ষ্মা, ছত্রাক সংক্রমণ, রিউমাটিক জ্বর ও লসিকার ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাতিল করতে সাহায্য করে।

ফুসফুসের সারকোডোসিস (পালমোনারি সারকোডোসিস) শনাক্তকরণের জন্য ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা যেতে পারে।

প্রদাহের নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রানুলোমার চিকিৎসার জন্য প্রেডনিজোন জাতীয় কর্টিকোস্টেরয়েড বিশেষ কার্যকরী। আরেকটি বিকল্প উপায় হল শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ অঙ্গগুলিকে সক্রিয় রাখা এবং উপসর্গগুলির চিকিৎসা করা। তবে সমস্যাটি নিজে থেকেও কমে যেতে পারে। সুতরাং চিকিৎসক থেরাপি শুরুর কোন নির্দিষ্ট সময় নাও বলতে পারেন।

উপরোক্ত ঘটনাগুলি সত্ত্বেও সারকোডোসিস আক্রান্ত রোগীর উচিত অসুখটির পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত দেখা করা। কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়োগের বেশ কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলে জানা যায় যার মধ্যে কয়েকটি হল মেজাজের পরিবর্তন, তরলের সঞ্চয়, রক্তে উচ্চ মাত্রায় সুগার, প্রভৃতি। এদের দীর্ঘকালীন ব্যবহার হাড়ের সামর্থ্যকেও ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এবং আলসারের সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং ওষুধগুলোর সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়ার জন্য চিকিৎসক-নির্দেশিত পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত।

M.M SUMON
MBBS (in course)

23/01/2023

ক্লান্তি কি?
ক্লান্তিকে সবথেকে ভালো বর্ণনা করা যায় আলস্য ও অবসাদ হিসাবে। যাদের মধ্যে এই উপসর্গগুলো এবং নিদ্রালুভাব দেখতে পাওয়া যায় তাদেরকে ক্লান্তিগ্রস্ত বলা যায়। এই নিষ্ক্রিয়তা এবং আলস্য হতে পারে মানসিক অথবা শারীরিক, যা ঐ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শারীরিক বা মানসিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও কোনও অসুস্থতার কারণে এটা হতে পারে। এছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে, যা আমাদের প্রাণশক্তি নষ্ট করে দেয়।

ক্লান্তির প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো কি কি?
ক্লান্তিগ্রস্ত ব্যক্তি সাধারণত একটু অন্যমনস্ক থাকেন এবং খুব ধীরে চলাফেরা করেন। অন্যান্য যে উপসর্গ দেখা যেতে পারে সেগুলি হল মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন, শ্রান্তি, জীবনীশক্তির অভাব এবং দুর্বল চিন্তাশক্তি। এছাড়া ক্লান্তিগ্রস্ত ব্যক্তির মধ্যে তৎপরতার অভাবও দেখতে পাওয়া যায়।

ক্লান্তির প্রধান কারণগুলি কি কি?
শারীরিক কিছু অসুস্থতা, যেমন জ্বর বা ফ্লু, দুর্বলতা এবং ক্লান্তিভাব সাধারণভাবেই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও অন্য যেসব অসুখের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায় সেগুলি হল:

হাইপারথাইরয়েডিসম বা উচ্চ-থাইরয়েডের সমস্যা।
হাইপোথাইরয়েডিসম বা নিম্ন-থাইরয়েডের সমস্যা।
স্ট্রোক।
গর্ভাবস্থা।
অত্যধিক মদ্যপান।
জ্বর।
মেনিনজাইটিস।
মস্তিষ্কে আঘাত।
কিডনির সমস্যা।
লাইম রোগ।
শরীরে পানিশুন্যতা, কম ঘুম বা অসম্পূর্ণ পুষ্টি।
মানসিক সমস্যা, যেমন, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, গর্ভাবস্থা-পরবর্তীকালীন বিষণ্ণতা বা প্রি-মেনস্ট্রুয়্যাল সিনড্রোম বা মাসিকচক্রের পূর্ববর্তীকালীন সমস্যা।
অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও অন্যান্য কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কিভাবে ক্লান্তি নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?
ক্লান্তি নির্ণয়ের জন্য রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসাগত ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজনীয়। হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের পরীক্ষাও করা হতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসক রোগীর মানসিক সচেতনতা ও অন্ত্রের শব্দ ও ব্যথার পরীক্ষা করতে পারেন। সম্ভাব্য কোন অসুখের জন্য রোগী ক্লান্তিতে ভুগছেন তা জানতে একাধিক টেস্ট ও ইমেজিং স্টাডি বা প্রতিবিম্বকরণ করা হয়ে থাকে।

ক্লান্তির চিকিৎসা করার আগে, এর অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করা প্রয়োজন। কারণ জানা গেলে তার উপর নির্ভর করে এর চিকিৎসা শুরু করা যায়। চিকিৎসক এর জন্য ওষুধ দিতে পারেন, যেমন মানসিক সমস্যার কারণে ক্লান্তি হলে এন্টিডিপ্রেসেন্ট দেওয়া হয়। যথেষ্ট পানিপান, পরিমিত ঘুম, সুষম খাদ্যগ্রহণ ও মানসিক চাপ কমানোর মতো কিছু সহজ পদ্ধতি ক্লান্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ক্লান্তি দূর করবে যে খাবারগুলোঃ
আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বজায় রাখবে এবং আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তি দূর করবে। এ ছাড়া এসব খাবার আপনার ওজন কমাতেও সহায়তা করতে পারে।

অপ্রক্রিয়াজাত খাবারঃ আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহ করা ও ক্লান্তভাব দূর করতে হলে বেছে নিতে হবে অপ্রক্রিয়াজাত খাবার।
তাজা ফল ও সবজিঃ তাজা ফল ও সবজি আপনার শরীরে শক্তি ভালোভাবে সরবরাহ করে দূর করতে সহায়তা করে আপনার ক্লান্তিভাব।
ক্যাফেইনমুক্ত পানীয়ঃ ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় সাময়িকভাবে শক্তি সরবরাহ করলেও এটি পরে আপনার ক্লান্তিভাবের কারণ হতে পারে। তাই এ সমস্যা এড়াতে ক্যাফেইনমুক্ত পানীয় বেছে নিন।
চর্বিহীন প্রোটিন খাবারঃ চর্বিহীন প্রোটিন খাবার যেমন— মুরগি/টার্কির মাংস, মাছ ও পাতলা মাংস খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে ও ক্লান্তিভাব দূর করতে সহায়তা করবে।
বাদাম ও বীজঃ বাদাম ও বীজ আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেরা খাবার।
পানিঃ শরীরের কার্যকারিতা সচল রাখতে এবং ভালোভাবে পরিচালিত হতে পানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরে সরাসরি শক্তিবৃদ্ধি না করলেও শক্তির প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে সহায়তা করে।

M.M.SUMON
MBBS(in course)

Photos from Family Doctor's post 23/01/2023
21/01/2023

New prescribe style of Family Doctor

Photos from Family Doctor's post 21/01/2023

অ্যাথলেট ফুট কি?
অ্যাথলেট ফুট হলো একটি ছত্রাকজনিত সংক্রমণ, সাধারণত পায়ের আঙ্গুলের মধ্যিখানের ত্বক এতে আক্রান্ত হয়। এটির এরকম নাম কারন এটি সাধারনত অ্যাথলেট বা ক্রীড়াবিদদের বেশি হয়। এই ধরণের সংক্রমণের জন্যে দায়ী ছত্রাকটি হলো টিনিয়া, এইকারনে একে টিনিয়া পেডিসও বলা হয়ে থাকে।

অ্যাথলেট ফুটের প্রধান লক্ষন ও উপসর্গগুলি কি কি?

যে ব্যক্তি অ্যাথলেট ফুট রোগে ভুগছেন তাঁর পায়ের আঙ্গুলের মাঝখানে চুলকানি ও জ্বালার অনুভূতি হবে।
চামড়া লাল ও শুষ্ক, আঁশের মতো দেখায়।
কখনো কখনো পায়ের পাতায় ফোস্কা বা ঘা হয়ে যায়, সাথে সামান্য রক্তপাত হতে পারে।
নখ ঝুরঝুরে ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
সংক্রমণ হাতে বা শরীরের অন্য কোনো জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে যদি আক্রান্ত জায়গাটা বারবার ছোঁয়া হয়।

অ্যাথলেট ফুটের প্রধান কারনগুলি কি কি?

অ্যাথলেট ফুটের জন্যে দায়ী ছত্রাকটি হলো মাইক্রোস্পোরাম । এটা একটা সংক্রামক রোগ এবং ছুঁলে বা সংক্রামিত মোজা বা কার্পেট ইত্যাদি থেকে এই রোগটি ছড়াতে পারে।
কদাচিৎ, ব্যাকটেরিয়া বা সোরিয়াসিস এই সংক্রমণের অনুরূপ আচরণ করতে পারে।
ভেজা, অপরিস্কার পা বা অবিন্যস্ত নখ থেকে একজন ব্যক্তির এই সংক্রমণ হতে পারে।
খালি পায়ে রাস্তায় হাঁটা ও অন্য কারোর মোজা পড়লে অ্যাথলেট ফুট হতে পারে। অফিস, জিম, এবং সুইমিং পুল প্রভৃতি যেসব স্থানগুলি অন্যদের সাথে যৌথভাবে ব্যবহার করা হয় সেখান থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
যেসব রোগীর মধুমেহ বা ডায়াবেটিস আছে অথবা ইমিউনোকম্প্রোমাইজ্ড বা বিপদগ্রস্ত রোগ প্রতিরোধক অবস্থা যেমন এইডসে আক্রান্ত তাদের এই সংক্রমণ হতে পারে।
অত্যন্ত ঘামও এই রোগের কারণ হতে পারে।

কিভাবে এটি নির্ণয় করা হয় এবং এর চিকিৎসা কি?
আক্রান্ত পায়ের পরীক্ষা করলে চিকিৎসক এই রোগ নির্ণয় করতে পারেন। যদি কখনও, এর কারণ বোঝা না যায়, তাহলে ত্বকের বায়োপসি করেও নিশ্চিত হওয়া যায়।

এই অবস্থার চিকিৎসার অন্তর্গত হলো:

অ্যান্টিফাঙ্গাল বা ছত্রাকরোধী ওষুধ, যেটি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দোকান থেকে কিনতে পারা যাবে। এই ওষুধগুলি, রোগের প্রখরতা অনুযায়ী, ৪ সপ্তাহের জন্য দেওয়া হয়।
যদি ব্যাকটেরিয়ার কারনে এই রোগ হয়, তাহলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওষুধ দেওয়া হয়।
পা সবসময়ে পরিস্কার রাখা উচিৎ এবং রাস্তায় পা ঢেকে চলা উচিৎ। যদি ফাঙ্গাস বা ছত্রাককে সম্পূর্ন নির্মূল না করা যায় তবে পুনরায় এই রোগ হতে পারে।

নিজের যত্ন নেওয়া:

ভিজা বা অপরিষ্কার মোজা বা জু্তো না পরা।
বাড়ি ফিরে পা ধোয়া উচিৎ, বিশেষ করে রাস্তা থেকে এলে।
অন্যের তোয়ালে, রুমাল, মোজা ব্যবহার না করা।
পা সুরক্ষিত রাখার জন্যে ভালোভাবে ঢাকা জুতো ও চটি পড়া উচিৎ।

M.M SUMON
MBBS(in course)

Photos from Family Doctor's post 21/01/2023

যৌন সমস্যার আদ্যোপান্ত (পর্ব ১)

21/01/2023

যৌন সমস্যা ৬

21/01/2023

যৌন সমস্যা ৫

20/01/2023

যৌন সমস্যা ৪

20/01/2023

যৌন সমস্যা ৩

19/01/2023

কোন রোগের জন্য কী টেস্ট করা হয়ঃ
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
🔴 CBC যে যে রোগে করা হয়ঃ
"""''''''''""""""""""""""'"''"'""""'''
⏩জ্বর হলে কী কারণে হচ্ছে তার ধারণা নেয়ার জন্য। অনেক সময় Blood Culture করতে হয়।
⏩শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে জানার জন্য।
⏩রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য।
⏩শরীরে এলার্জি কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্তে ইনফেকশন বা প্রদাহ কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্ত জমাট বাধার উপাদান কি পরিমাণ আছে তা জানা যায়।
⏩ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।

🔵Urine R/E প্রস্রাব টেস্ট যে যে কারণে করা হয়ঃ
""'''''''''''''''''''''''''''""""""""""""""""""
👉ইনফেকশন আছে কিনা,থাকলে সিভিয়ারিটি কতটুকু।
👉ডায়াবেটিস আছে কিনা।
👉প্রোটিন যায় কিনা।
👉রক্ত যায় কিনা।
👉কিডনীতে পাথর আছে কিনা।

🔴 RBS-Random Blood Sugar: ডায়াবেটিস আছে কিনা তার ধারণা করার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।

🔵 Serum Creatinine: যেইসব রোগীর কিডনীর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এ টেস্ট তাদের করা হয়।(প্রেশার ও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এই টেস্ট করা উচিত)।

🔴 Lipid profile: রক্তে চর্বির পরিমাণ বুঝার জন্য এটা করা হয়।হার্টের ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য এটা খুব জরুরি।

🔵 Serum Bilirubin: জন্ডিস আছে কিনা দেখা হয়। একদম প্রাথমিক টেস্ট। জন্ডিস হয়ে গেলে আরো টেস্ট করতে হয়।

🔴 SGPT/SGOT: লিভারের কন্ডিশন বুঝার জন্য এটা করা হয়।লিভার কতটুকু এনজাইম উৎপন্ন করছে তা দেখা হয়।

🔵 Serum Electrolyte: রক্তে খনিজের পরিমাণ জানার জন্য এটা করা হয়। শরীর দূর্বল লাগলে, বেশীবমি, ডায়রিয়া এসব ক্ষেত্রে এ টেস্ট করা হয়।

🔴 HBsAG: জন্ডিস এবং লিভার কন্ডিশন বুঝার জন্য এ টেস্ট করা হয়।
🔵 HBA1c: ডায়বেটিস বা রক্তে গ্লুকোজের কয়েক মাসের গড় নির্ণয়ের জন্য এই টেস্ট করা হয়।
🔵 LFT: লিভারের সমস্যা বুঝতে এ টেস্ট করা হয়।
🔴 BT-CT: রক্ত রােগের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
🔵 Via Test: সার্ভিক্সের ইনফেকশন বা ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এ টেস্ট করা হয়।
🔴 TSH: Thyroid Stimulating Hormone এই টেস্ট হরমোন নির্ণয়ের জন্য করা হয়।
🔵 ECG: হৃদরােগের অবস্থা বুঝার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।

19/01/2023

কোনটির ক্ষেত্রে ভ্যানভারওয়াল বল বিদ্যমান?
ক)অক্সিজেন অণুর বন্ধন
খ)সোডিয়াম ও ক্লোরিন পরমাণুর বন্ধন
গ)সিলিকন পরমাণুর বন্ধন
ঘ)তামার পরমাণু বন্ধন

19/01/2023

স্কিন ক্যান্সার কেন হয়?

অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি, অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার, নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ না করানো, ঘন ঘন ব্লিচ করার ও ব্র্যান্ড ছাড়া কসমেটিকস ব্যবহার করলে ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন স্কিন ক্যান্সার

১. শরীরের ত্বকে কোনো এক জায়গায় গোল দাগ হতে পারে ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ। চামড়ায় ক্যান্সার হলে চামড়ার উপরিভাগে কালো, গোলাপি, লাল ও বাদামি ধরনের দাগ দেখা যায়।

২. বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চামড়ার এ রকম দাগে চুলকানি না জ্বলুনি দেখা দেয়।

৩. শরীরে তিল বা আঁচিল থাকলে তার দিকে নজর রাখুন। লক্ষ্য রাখুন এর আকার ও রঙে পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে কিনা।

৪. নিচের ঠোঁটের চারপাশে কোনো দাগ দৃশ্যমান হয়, তবে এটি কেবল হরমোনজনিত ব্রণ তা নয়, এর বাইরে অন্য কোনো সমস্যাকে থাকতে পারে। এটি আসলে হজম সমস্যা এবং এনজাইম ফাংশনসংক্রান্ত সংকেত হতে পারে। এই স্থানে সাধারণত ব্রণ হয় না। সুতরাং দেখতে হবে এটি কীট ও জীবাণু সংক্রান্ত কোনো সমস্যা কিনা।

৫. বয়ঃসন্ধিকাল, ঋতুস্রাব বন্ধ বা অন্য কোনো কারণে প্রায়ই ত্বকে ব্রণ ফুটে ওঠে। ব্রণ, চুল বৃদ্ধি কিংবা চুল পড়া অথবা শুষ্ক ত্বকের লক্ষণও হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে। যদিও এ সমস্যাগুলো চিকিৎসক ছাড়া নির্ণয় করা কঠিন।

৬. পানি আপনার শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীর পানি শোষণ না করলে এটি ত্বকে প্রদর্শন করবে, ত্বক শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে পড়বে। যদি ত্বক পানি শোষণ করে তবে সাধারণত কোনো দাগ থাকবে না। প্রতিদিন চাহিদামাফিক পানি পান করুন।

৭. ফুসকুড়ি, লাল ফোসকা বা ত্বকে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

কী করবেন

এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এ ছাড়া তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়ালেই সতর্ক হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার ত্বকের উপযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

অনেকে প্রতিদিনই মেকাপ নেন। মেকআপের কেমিক্যালস ত্বকের কোষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ত্বকের ওপর এসব কেমিক্যালসের আস্তরণ ক্যান্সার ডেকে আনে। তাই প্রয়োজন ছাড়া মেকআপ না করাই ভালো।

এ ছাড়া ঘন ঘন ব্লিচ করার প্রবণতাও কমিয়ে ফেলুন। আর ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন

Telephone

Address

Sylhet