মুরারিচাঁদ কলেজ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি সিলেট শহরের টিলাগড় এলাকায় অবস্থিত।মুরারিচাঁদ কলেজ বৃহত্তর সিলেটের সবচাইতে পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । প্রতিষ্ঠাকালের দিক দিয়ে এটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কলেজগুলোর মধ্যে ৭ম । কলেজটি ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । সেই সময় থেকে আজ অবধি মুরারিচাঁদ কলেজ বৃহত্তর সিলেটের শিক্ষা,সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্তপুর্ণ অবদান রেখে
প্রতিষ্ঠার পটভুমি:
________________________________________________________________
মুরারিচাঁদ কলেজ ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সিলেটের প্রক্ষাত শিক্ষানুরাগি রাজা গিরিশচন্দ্র রায় এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটির নামকরন করা হয় তাঁর প্রমাতামহ মুরারিচাঁদ এর নামে ।পুর্বে কলেজটি সিলেটের বন্দর বাজারের নিকট রাজা জি. সি. উচ্চ বিদ্যালয় এর পাশে অবস্থিত ছিল।১৮৯১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটিতে এফ. এ. ক্লাশ খোলার অনুমতি দিলে ১৮৯২ সালের ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে মুরারিচাঁদ কলেজের যাত্রা শুরু হয় । সেসময় ছাত্রদের বেতন ছিল ৪ টাকা এবং ১ম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশকৃতদের জন্য বিনা খরচে পড়ার ব্যবস্থা ছিল ।
১৮৯২ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত রাজা গিরিশচন্দ্র রায় নিজেই কলেজটির সকল খরচ বহন করেন। ১৯০৮ সালে রাজা মারা গেলে কলেজটি সরকারী সহায়তা চায়। তখন থেকে কলেজটি সরকারী সহায়তায় পরিচালিত হতে থাকে। এরপর ১৯১২ সালে কলেজটি পুর্নাঙগ সরকারী কলেজ রুপে আত্মপ্রকাশ করে। একই বছর তৎকালীন আসামের চিফ কমিশনার স্যার আর্চডেল আর্ল কলেজটিকে ২য় শ্রেণীর কলেজ থেকে ১ম শ্রেণীর কলেজে উন্নীত করেন ।
১৯১৩ সালে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান ক্লাস চালু হয়। পরবর্তীতে জননেতা আব্দুল মজিদ (কাপ্তান মিয়া) সহ আরো অনেকে মিলে ১৮০০০ টাকা অনুদান দিলে কলেজটিতে স্নাতক শ্রেণী চালু হয়।
১ম বিশ্বযুদ্ধ ও অন্যান্য নানা সমস্যার কারনে কলেজের ক্যাম্পাস পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন কলেজ থেকে ৩ কি. মি.দুরে থ্যাকারে টিলায় ( বর্তমান টিলাগড়) ১২৪ একর ভুমি নিয়ে বিশাল ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। সে সময় কলেজের ছাত্র স্ংখা ছিল ৫৬৮ জন । ১৯২১ সালে তৎকালীন আসামের গভর্ণর স্যার উইলিয়াম মরিস কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।১৯২৫ সালে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে তা উদ্ভোদন করেন তৎকালীন আসামের গভর্ণর স্যার উইলিয়াম রীড ।
১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পুর্ব পর্যন্ত কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল । দেশ বিভাগের পর এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসে ।পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৬৮ সালে কলেজটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়, এবং সর্বশেষ ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর মত মুরারিচাঁদ কলেজটিকেও বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়এর অধিভুক্ত করা হয় এবং অধ্যাবধি রয়েছে ।
________________________________________________________________
১২৪ একর ভূমির উপর অবস্থিত মুরারিচাঁদ কলেজের সুবিশাল ক্যাম্পাস। ছায়া সুনিবিড় এই বিশাল প্রাঙ্গনে একটি ক্যান্টিন, একটি সুদৃশ্য মসজিদ, ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হোস্টেল,বিভিন্ন বিভাগীয় ভবন এবং বিশাল একটি খেলার মাঠ রয়েছে। ক্যাম্পাসের পুর্বে রয়েছে সিলেট সরকারী কলেজ, এবং উত্তরে রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ । এছাড়াও কলেজের পাশেই রয়েছে টিলাগড় ইকো পার্ক । কলেজের ভিতরে একটি বেশ বড় পুকুর আছে যা কলেজের সৌন্দর্যকে বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে ।
________________________________________________________________
অনুষদ ও বিভাগসমুহ
---------------------
কলা অনুষদ
---------------------
ইংরেজি বিভাগ
বাংলা বিভাগ
ইতিহাস বিভাগ
দর্শন বিভাগ
উর্দু বিভাগ
ইসলামের ইতিহাস ও স্ংস্কৃতি বিভাগ
বিজ্ঞান অনুষদ
---------------------
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
রসায়ন বিভাগ
গণিত বিভাগ
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
মনোবিজ্ঞান বিভাগ
প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগ
পরিস্ংখ্যান বিভাগ
সমাজবিজ্ঞান অনুষদ
---------------------
অর্থনীতি বিভাগ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
---------------------
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ
________________________________________________________________
একাডেমিক সুযোগ সুবিধা
________________________________________________________________
একাডেমিক ভবন
---------------------
বর্তমানে কলেজে ৯ টি একাডেমিক ভবন রয়েছে। এ ভবনগুলো প্রধানত শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরী ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ বিভাগেরই নিজস্ব ভবন রয়েছে ।
লাইব্রেরী
---------------------
এই কলেজের লাইব্রেরীটি সমগ্র সিলেটের এমনকি বাংলাদেশেরই একটি অন্যতম প্রাচীন লাইব্রেবী। বর্তমানে এই লাইব্রেবীতে ৬০,০০০-এর অধিক বই রয়েছে।
একই সাথে সকল বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব সেমিনার লাইব্রেরী রয়েছে ।
বোটানিক্যাল গার্ডেন ও জ্যুওলজিক্যাল মিউজিয়াম
---------------------
কলেজ ক্যাম্পাসে ১টি ছোটখাট বোটানিক্যাল গার্ডেন আছে । এই বোটানিক্যাল গার্ডেনটি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ রক্ষনাবেক্ষন করে থাকে । এটি সমগ্র সিলেটের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেন ।
এছাড়া কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগে একটি জ্যুওলজিক্যাল মিউজিয়াম আছে ।এতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে ।
কলেজের সুযোগ সুবিধা
---------------------
হোস্টেল
---------------------
বর্তমানে কলেজে ২টি হোস্টেল রয়েছে।একটি ছাত্রদের ও অপরটি ছাত্রীদের জন্য ।ছাত্রদের হোস্টেলটি ৬ টি ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত যার মধ্যে একটি ব্লক হিন্দু ছাত্রদের জন্য এবং বাকি ৫ টি ব্লক মুসলমান ছাত্রদের জন্য। এছাড়াও ছাত্রীদের জন্যও একটি বিশাল হোস্টেল রয়েছে ।
খেলার মাঠ
---------------------
ছাত্রদের হোস্টেলের উল্টোপাশে রয়েছে কলেজের নিজস্ব খেলার মাঠ ।
কলেজ ক্যান্টিন
---------------------
কলেজের অভ্যন্তরে রয়েছে একটি ক্যান্টিন যা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে থাকাকালীন সময়ে খাবারের চাহিদা পুরন করে ।
পোস্ট অফিস
---------------------
কলেজ ক্যাম্পাসের পাশে রয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর একটি পোস্ট অফিস । এই পোস্ট অফিসটি থাকায় হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের পরিবারের সাথে সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে ।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
________________________________________________________________
মুরারিচাঁদ কলেজে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে, সেগুলো হল
১/ বি. এন. সি. সি. : কলেজের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এর ময়নামতি ব্যাটলিয়ন এর অধীন একটি প্লাটুন রয়েছে ।
২/ রোভার স্কাউট
৩/ ডিবেটিং ক্লাব
৪/ ম্যাথ ক্লাব
________________________________________________________________
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম
________________________________________________________________
প্রতিবছর মুরারিচাঁদ কলেজে বাংলা নববর্ষ এর অনুষ্ঠান বেশ জাকজমকভাবে উদযাপিত হয় । সকল পেশার,সকল শ্রেণীর মানুষ এই অনুষ্ঠানে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করে, যা এই অনুষ্ঠানকে এতদঞ্চলের সবচাইতে জাকজমকপুর্ণ আয়োজনে পরিনত করেছে ।
বিখ্যাত ছাত্র-ছাত্রী
________________________________________________________________
নীহার রঞ্জন রায় , বিখ্যাত ঐতিহাসিক ।
মোহাম্মদ আতাউল করিম, বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী
আবু তাহের , বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও বামপন্থি রাজনীতিবিদ ।
সাইফুর রহমান , বাংলাদেশ সরকার এর সাবেক অর্থমন্ত্রী।
এম এ রশিদ , বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রথম উপাচার্য।
Sylhet Engineering College (SEC) established in the year 2007 under the School of Applied Sciences & Technology, Shahjalal University of Science and Technology, is best of its kind...
Blue Bird School is not one of the it's just simply the best school in Sylhet city.From 2006 it has started college section.In a short period of time Blue Bird College has also ear...