Safa homeo care
Male, female & child treatment center
Assalamo alaikom
আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি
আমাশয় হলো একটি বিশেষ ধরনের পাতলা পায়খানাজনিত রোগ। এখানে মলের সঙ্গে মিউকাস বা সাধারণ মানুষ যাকে আম বলে থাকেন অথবা রক্ত অথবা দুটোই গিয়ে থাকে। আমাশয় বা পাতলা পায়খানাজনিত বিশেষ রোগের প্রধান কারণ সংক্রমণ। বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ হয়। জীবাণুঘটিত, পরজীবীঘটিত। এটি অপরিচ্ছন্ন খাবার, হাত ও পানীয়র মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। পাশাপাশি কিছু ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো সিগেলাফ্লেক্সেরি নামক এক প্রকার জীবাণু অথবা ক্যামপাইলোব্যাকটর জেজোনি নামের এক প্রকার জীবাণু। একটি হলো স্বল্পমেয়াদি আমাশয়, আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়। স্বল্পমেয়াদি আমাশয় সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি আমাশয়। এটি সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী চিকিৎসা নিতে হয়।
আমাশয় রোগটি কি? এই প্রশ্নের উওরে সংক্ষেপে বলা যায় যে, উদরাময় ও তার সঙ্গে পেটের বেদনাসহ অল্প অল্প মল রক্ত আম বা আম রক্ত বার বার বের হতে থাকলে তাকে আমাশয় বলা হয়, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমাশয় বা ডিসেন্ট্র্রি বলতে আমরা সাধারণভাবে যা বুঝি অ্যামিবা (এক কোষী পরজীবী বা পেরাসাইট) এবং সিগেলা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ধারা মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রে (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বাসা বেঁধে যে ঘা বা ইনফেকশনে পেটে কামড়ানোসহ মলের সঙ্গে পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মা যুক্ত রক্ত যাওয়াকে আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলা হয়।
‘আধুনিক প্রযুক্তিতে কয়েকটি ভাইরাস, ছত্রাক ও কৃমি জাতীয় জীবাণু ও আমাশয় সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে’। আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এক ধরনের লোক আছে যারা এসে বলে, ‘আমার ক্রনিক ডিসেন্ট্রি। ১০ বছরের বা ১২ বছরের ডিসেন্ট্রি।’
প্রথমে বলি, আমাশয় কী? যদি আপনার বারবার পায়খানা হয়। পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত বা মিউকাস যায়, তখন আমরা একে বলি আমাশয়।
আমাশয় প্রধানত দুই ধরনের
১। এমোয়েবিক ডিসেন্ট্রি ২। আরেকটি হলো বেসিললারিক ডিসেন্টি। আমরা গ্রাম্য ছন্দে বলি, ১.সাদা আমাশয় ২. রক্ত আমাশয়। তবে এই আমাশয়গুলো দীর্ঘমেয়াদি নয়। এগুলো স্বল্প মেয়াদির আমাশয়। তিন থেকে সাতদিনের। চিকিৎসা না করা হলেও চলে যেতে পারে। তবে জোড়ালোভাবে যদি আক্রান্ত হয় রোগী তাহলে চিকিৎসা করা দরকার। তবে আরেক ধরনের মানুষ আছে আমাদের দেশে। যারা বলে, ‘আমার তো ক্রনিক ডিসেন্ট্রি।’ যদি বলি, ক্রনিক ডিসেন্ট্রি বুঝলেন কীভাবে? বলবে, ‘আমার মলের সঙ্গে সবসময় মিউকাস যায়, আম যায়। পেটে ব্যথা থাকে। আসলে সেগুলো আমাশয় নয়।
আরেকটি রোগ রয়েছে যেটি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। এটিকে বলা হয় আইবিএস। ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম। এটা নাড়িভুঁড়ির এক ধরনের ফাংশনাল রোগ। ফাংশনাল রোগ এই জন্য বলছি যে, এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের জীবাণু পাওয়া যাবে না। কোনো ধরনের প্যাথলজি পাওয়া যাবে না। যদি প্যাথলজি পাওয়া না যায় একে আমরা বলি ফাংশনাল রোগ। এই রোগের একটি প্রকৃতি হচ্ছে মাঝেমধ্যে মলের সঙ্গে আম যাওয়া। এটি আইবিএসেরই একটি লক্ষণ। এটি আমাশয় নয়। হোমিও প্রতিবিধানঃরোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, এই জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকে রোগীর পুরা লক্ষণ নির্বাচন করে চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে আমাশয় রোগী হোমিওতে চিকিৎসা দেয়া আল্লাহর রহমতে সম্ভব, আবার ইদানীং অনেক হোমিও চিকিৎসক বের হয়েছে তারা রোগীর লক্ষণ নির্বাচন ছাড়া, পেটেন্ট টনিক মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে, ওইসব ডাক্তার গণকে ডা. হ্যানিমেন শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ বলে থাকে।
হোমিও চিকিৎসা : প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক গণ যেই সব মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে, একোনাইট, মার্ক সল, মার্ক কর, ইপিকাক, ক্যাপ্সিকাম, কলচিকাম, কলোসিন্থ, এলোজ, নাক্স, সালফার, থুজা, লাইকোপোডিয়ামসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই মেডিসিন নিজে নিজে ব্যবহার না করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডাঃ আফরোজা আক্তার (হোমিওপ্যাথিয়ান)
চেম্বার - সাফা হোমিও কেয়ার
গাজীপুরা,টঙ্গি,গাজীপুর
মোবাইল --01996528950
Safa homeo care Male, female & child treatment center
ক্যান্সার ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ক্যান্সার শব্দটি ল্যাটিন ‘ক্যানক্রাম’ থেকে এসেছে, ক্যানক্রাম শব্দের অর্থ হলো কাঁকড়া, সে যেমন হাত পা চারদিকে বিছিয়ে থাকে ঠিক তেমনি ক্যান্সার নামের রোগটি যে জায়গায় শুরু হয় তার চারপাশেই শুধু নয়, তার উৎপত্তির জায়গা থেকে বহুদূরে ছড়িয়ে পড়ে। সে জন্যই এ রোগটিকে ক্যান্সার বলে।
রোগটা কী ধরনের?
আমাদের শরীরটাকে একটা বাড়ির সঙ্গে তুলনা করতে পারি। বাড়িটার কাঠামোর কথা যদি চিন্তা করি তাহলে দেখি যে কতকগুলো ঘরের সমাহার। আবার ঘরগুলো কতকগুলো দেয়ালের সমষ্টি। কিন্তু এ একটি দেয়াল তৈরি হয়েছে অনেক ইটের গাঁথুনির মাধ্যমে। এই শরীরটার একটা অদ্ভুত সামঞ্জস্য রয়েছে ওই বাড়ির সঙ্গে। আমাদের শরীরটা তৈরি হয়েছে বেশ কতকগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে। অঙ্গগুলো তৈরি হয়েছে আবার বেশ কিছু দেহকলা নিয়ে। আর দেহকলা তো আসলে অসংখ্য কোষের সমষ্টি। আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি তখন ওজন থাকে প্রায় পঁাচ পাউন্ড, উচ্চতায় আমরা প্রায় ফুট দেড়েক। কিন্তু যখন পরিণত বয়সে উপনীত হই তখন দেহের ওজন প্রায় শত পাউন্ড। উচ্চতা সাড়ে পঁাচ থেকে ছয় ফুট। এটা কি করে সম্ভব হলো? সম্ভব হয়েছে দেহের কোষগুলোর বৃদ্ধি ঘটার কারণে। কখনও তারা বাড়ে সংখ্যায় কখনও আকারে। ফলে নবজাতক শিশুর আট দশ ইঞ্চি পা এক সময়ে তিন চার ফুট হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই কোষ বৃদ্ধির ওপর শরীরের পূর্ণনিয়ন্ত্রণ থাকে। শরীরের স্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ওপর যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকত তাহলে তো আমরা দানবের চাইতেও বড় হয়ে যেতাম । কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। আসলে শরীরের কোষগুলো যখন নিয়ন্ত্রণ বিহীনভাবে বাড়তে থাকে এবং শরীরের কোনো কাজেই আসে না, সেই কোষগুলোর সমষ্টিকে আমরা বলি টিউমার। টিউমারের ভিতরের কোষগুলোর চেহারা কখনও স্বাভাবিক কোষগুলোর মত হতে পারে এবং চরিত্রের দিক থেকেও এই কোষগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নাও হতে পারে। এ ধরনের কোষ সমষ্টিকে আমরা বলি বিনাইন টিউমার। আর যখন ওই টিউমার কোষগুলোর চেহারা শরীরের স্বাভাবিক কোষগুলো থেকে ভিন্ন ধরনের হয় এবং কাজের দিক থেকেও এরা অস্বাভাবিক এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয় তখন আমরা তাকে বলি মেলিগন্যান্ট টিউমার যার সাধারণ নাম ক্যান্সার।
ক্যান্সার কেন হয়?
শতকরা ৯০ ভাগ ক্যান্সারের জন্য দায়ী আমাদের পরিবেশ আর আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা পদ্ধতি। আজ একথা প্রমাণিত যে দেহের সমস্ত ক্যান্সারের প্রায় ত্রিশ ভাগের জন্য দায়ী তামাক কিংবা ধূমপান। মদ্যপানের সঙ্গে মুখের ক্যান্সার, গলবিলের ক্যান্সার জড়িত। তাছাড়া মদ্যপানের ফলে এক সময় লিভারের ক্যান্সারও হতে পারে। আজকাল কেউ কেউ মনে করেন অল্পসল্প মদ্যপানে তো কোন ক্ষতি নেই। গবেষণার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে অল্পই হোক আর বেশিই হোক মদ্যপান শরীরের কোনো না কোনো ক্ষতি করবেই। আর এক নেশার নাম পান। পানের সঙ্গে চুন মেশানো হয়। অনেক সময় সুগন্ধি জদার্ও। এই চুন এবং জদার্র সংমিশ্রণে পান পাতা চিবানোর ফলে মুখে এক ধরনের ক্ষয়ের সৃষ্টি হয়। সেই ঘা সহজে সারতে চায় না। এভাবে কণ্ঠনালির ক্যান্সার আত্মপ্রকাশ করে, সমীক্ষায় দেখা গেছে স্রেফ পান খেয়ে ভারতে ৩৫ শতাংশ মানুষ নানান ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এ ছাড়াও মুখের স্বাস্থ্য নষ্ট হয় দাঁত অকালে পড়ে যায়। পানের সঙ্গে থাকে আর একটি জিনিস সেটি হলো সুপারি, এতে রয়েছে ‘অ্যারাকোলিন’ নামে একটি উপাদান। এটিও কোষের ক্ষতি করে। সুপারিতে থাকা ট্যানিক এসিড কোষের মধ্যস্থ জিনকে প্রভাবিত করে ফলে শারীরিক বিকৃতি ও জটিল রোগ দেখা দেয়। বেশির ভাগ সুপারি আবার ‘অ্যাফালটপ্রিন’ নামে এক জাতীয় ছত্রাক আক্রান্ত। এ ধরনের সুপারি লিভারের ক্যান্সারে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। বাজারে বিক্রীত অধিকাংশ মিষ্টি সুপারি এই বিষাক্ত ছত্রাকে আক্রান্ত বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। পানে দেয়া খয়ের, খয়েরের প্রধান উপাদান ট্যানিন থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।
মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ু, মুখের ক্যান্সার আর স্তনের ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। জরায়ু মুখের ক্যান্সারের জন্য খুব কম বয়সে বিয়ে, অনেক সন্তান প্রসব, যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা রক্ষা না করা আর একাধিক পুরুষের সঙ্গে দেহ মিলনই দায়ী। আর স্তনের ক্যান্সারের জন্য একটি কারণ শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ানো। প্রাণিজ আমিষ ও প্রাণিজ তেল জাতীয় খাদ্য বেশি গ্রহণ এবং পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম না করাই অনেকাংশে দায়ী। লিভারের ক্যান্সারের জন্য মদ্যপান তো বটেই তার সঙ্গে জন্ডিসের একটি ভাইরাস রেপাটাইটি বিও দায়ী। ক্যান্সারের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার আর একটি জটিল রোগ। ব্লাড ক্যান্সারকে চিকিৎসা পরিভাষায় লিউকোমিয়া বলা হয়। মানবদেহে রক্তকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি রক্তরস ও আরেকটি রক্ত কণিকা। রক্ত কণিকা আবার তিন প্রকার যেমন লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও অণুচক্রিকা । আমাদের প্রতি সিসি রক্তে ৪০০০-১১০০০ শ্বেত রক্ত কণিকা থাকে কিন্তু লিউকোমিয়া হলে এই সংখ্যা বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে এ সংখ্যা বেড়ে ৫০,০০০-১,০০,০০০ পযর্ন্ত হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে কোষগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কিন্তু লিউকোমিয়ার কোষের সংখ্যা বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। কোষ বাড়ে ঠিকই, কোষগুলো অপরিণত হয়, যায় জন্য এর কাযার্বলি সঠিকভাবে করতে পারে না। ব্লাড ক্যান্সার জীবন ধ্বংসকারী একটি রোগ। এ রোগ যে কোনো বয়সে যে কোনো সময় হতে পারে। ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদ
লিউকোমিয়ার অনেক রকমভেদ আছে। একটি একিউট মায়েলয়েড লিউকোমিয়া এটি সাধারণত ৩-৫ বৎসরের ছেলেমেয়েদের বেশি হয় আর একটি নাম লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকোমিয়া। এটি বড়দের বেশি হয়।
ব্লাড ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ?
এ রোগের প্রকৃত কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি, তবে এ পযর্ন্ত বিভিন্ন গবেষণায় যে সব কারণ জানা সম্ভব হয়েছে, তা নিম্নরূপ পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ-পরবতীর্ আবহাওয়ার পরিবতর্ন (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে দেখা গেছে গভর্বতী মায়েদের যদি অতিরিক্ত এক্স-রে করানো হয় তবে গভর্স্থ সন্তানের ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। বেনজিন কারখানা শ্রমিকদের ঝুঁকি বেশি। এনকালাইজিং স্পন্ডিলাইটিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেডিও থেরাপিও ব্লাড ক্যান্সার তৈরি করতে পারে। যারা দীঘির্দন যাবত আয়োনাইজিং বেরিয়ে অথার্ৎ এক্স-রে, গামা রে ইত্যাদি সংস্পশের্ কাজ করে সাইটোটপ্রিক ওষুধ গ্রহণকারী রোগীদের রেটো ভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাসও দায়ী বলে জানা গেছে।
ব্লাড ক্যান্সারের উপসর্গ
বেশিভাগ ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে সামান্য জ্বর থাকে। ধীরে ধীরে ওজন কমে যাওয়া ও দুবর্লতা বোধ করা, ক্রনিক লিউকোমিয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় যকৃত ওপ্লীহা বড় হয়ে যায়। আহারের অরুচি খিটখিটে মেজাজ হওয়া, ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হয়ে পড়ে, দাঁতের গোড়া ও মাড়ি ফুলে যায়, কখনো রক্ত ক্ষরণের সমস্যা হতে পারে। লিম্ফগ্লান্ড ফুলে যায়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি যেহেতু লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। লক্ষণ ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করলে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যায়। হোমিওপ্যাথিতে নিদির্ষ্ট কোনো ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। তবে হোমিওপ্যাথিতে ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।
Safa homeo care Male, female & child treatment center
🍁বেলস পালসি কী?
বেলস পালসি হলো মুখমন্ডলের মাংসপেশীর এক ধরনের প্যারালাইসিস। এ রোগে সাধারণত ফেসিয়াল ক্যানেল বা তার আশপাশে এক ধরনের ক্ষত তৈরি হয়। ফলে ফেসিয়াল নার্ভটি ফেসিয়াল ক্যানেলের মধ্যে প্রচন্ড চাপে থাকে। এ কারণে ফেসিয়াল নার্ভ ও এর শাখ-প্রশাখা দ্বারা যেসব মাংসপেশি পরিচালিত হয়, সেগুলো আর পরিচালিত হতে পারে না। ফেসিয়াল বা মুখমন্ডলের মাংশপেশিগুলো তার স্বাভাবিক কার্যক্রম হারায়।
🍁মুখমন্ডলের প্রধান প্রধান মাংসপেশি ও এদের কাজ
* অক্সপিটর ফ্রন্টালিস- ভ্রু উপরে ওঠায়
* করোগেটর ও প্রসেসিস- ভ্রু কুচকায়
* অরবিকুলার অকুলি চোখ বন্ধ করে
* জাইগোমেট্রিক- মেজর ও মাইনর (উপরের ঠোঁটসহ মুখের কোনা উপরে ওঠায়)
* বাক্সটির- গাল ফুলায়, চুষতে সহায়তা করে।
🍁কী কী কারণে বেলস পালসি হয়?
এ রোগটির সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এটি সাধারণত যেসব কারণে হয়ে থাকে-
* হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন।
* ভাইরাসের আক্রমণে ফেসিয়াল নার্ভের চারপাশে প্রদাহের সৃষ্টি হওয়ায়।
* মুখ ও কানের গোড়ায় হঠাৎ প্রচন্ড ঠান্ডা লাগলে বা হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসে। বিশেষ করে যারা সরাসরি ফ্যান বা এসির নিচে মাথা রেখে ঘুমান।
* কোনো কারণে ফেসিয়াল নার্ভে কমপ্রেশন পড়ার কারণে।
* আঘাতজনিত কারণে।
🍁রোগটি কখন হয় ও কাদের বেশি হয়?
এ রোগটি যে কোনো ঋতুতেই হতে পারে, তবে শীতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যে কোনো বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
🍁চিকিৎসা
এ রোগে মাংশপেশি তার কার্যকরী ক্ষমতা হারায়। তাই এ রোগে আক্রান্তদের প্রধান একটি চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ও পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে খুব দ্রুত এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যে কোন রোগের জন্য পরামর্শ অথবা চিকিৎসা নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন।
চেম্বার - সাফা হোমিও কেয়ার
মোবাইল --01996528950
পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক,শেয়ার করে পাশে থাকুন। ধন্যবাদ
মেঞ্জ বা আঁচিল (Wart)
অধিকাংশ মানুষের জীবিতাবস্থায় কখনো না কখনো শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার আঁচিল হয়ে থাকে। সাধারণত এরা আকারে ছোট হয়। অধিকাংশ আঁচিলেই কোনো ধরনের ব্যথা হয় না। সঠিকভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হলে সব ধরণের আঁচিল (Wart) এবং কন্ডিলোমাটা (Condylomata Latum) এর সেরা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ থুজা অক্সিডেন্টালিস দিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে চিকিৎসা সম্ভব।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, এক প্রকার ডিএনএ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এইচপিবি এর দ্বারা ত্বক সংক্রমিত হলে আঁচিল হয়।
এরা সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। তবে আঁচিলের কারণে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। চেহারায় এমন পরিবর্তন আসে যা দেখতে বিশ্রী ও অসুস্থ দেখায়। অসুন্দর চেহারা কারোরই ভালো লাগে না।
কখনো কখনো আঁচিল চুলকায় ও ব্যথা করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আঁচিলে সামান্য একটু ঘঁষা লাগলে রক্তপাত হয়।
আঁচিল কত প্রকার?
বিভিন্ন প্রকার আঁচিল হয়ে থাকে। যেমন-
১। সাধারণ আঁচিল – যেগুলো প্রধানত হাতে হয় বটে তবে যেকোনো জায়গাতেই হতে পারে।
২। চেপ্টা আঁচিল – যেগুলো মুখে ও কপালে হয়ে থাকে। বাচ্চাদের প্রায়ই হয়ে থাকে। কিশোর ও প্রাপ্ত বয়সে এ ধরনের আঁচিল হয় না বললেই চলে।
৩। জননাঙ্গের আঁচিল – সাধারণত জননাঙ্গের আশেপাশে, জংঙ্ঘায় এবং জননেন্দ্রিয়ের ভেতরে হতে পারে।
৪। প্লান্টার আঁচিল – পায়ের পাতার নিচে হয় এবং সাবুংগুয়াল এবং পেরিয়াংগুয়াল আঁচিল – আঙ্গুল ও বুড়ো আঙুলের আশেপাশে দেখা দেয়।
৫। সাধারণ মসৃণ ও ত্বকের রংয়ের আঁচিল – যখন বাড়তে থাকে তখন এতে কিছুটা অসাধারণত্বঃ দেখা যায় ও মোটা মাংসখন্ডের মত দেখায়।
আঁচিল (Wart) এবং কন্ডিলোমাটা (Condylomata Latum), এক্সক্রিসেন্সেস এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
থুজা অক্সিডেন্টালিস
থুজা অক্সিডেন্টালিস একটি ২০ মিটার লম্বা গাছ। যার হালকা লাল ও বাদামী রঙের পাতলা ও লম্বা ডাল উর্দ্ধমূখী।
এই গাছের পাতা গোল ও তীক্ষ্ণাগ্র। আমেরিকাতে পাওয়া যায়। তবে এখন ভারত ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও রোপণ করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে থুজা অক্সিডেন্টালিস অভ্যন্তরীণভাবে খাবার ওষুধ হিসেবে আঁচিল (Wart) ও ত্বকের কন্ডিলোমাটা, এক্সক্রিসেনসিজ ইত্যাদি সমস্যায় হোমিওপ্যাথিতে সাফল্যের সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাহ্যিক ব্যবহারঃ
থুজাকে আঁচিল চিকিৎসায় বাহ্যিকভাবে ও ব্যবহার করা যায়।
আঁচিল ও কন্ডিলোমাটা, এক্সক্রিসেনসিজ ইত্যাদিতে ত্বক আক্রান্ত হলে তার উপর থুজা অক্সিডেন্টালিস এর টিঙ্কচারকে হালকাভাবে ঘঁষে অথবা প্রলেপ দেয়া যায়।
থুজার এইরূপ বাহ্যিক ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রেই আশ্চর্যজনকভাবে অতি অল্প সময়ে আঁচিল বা কন্ডিলোমাটা ভালো হতে দেখা যায়।
আঁচিল চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধের লক্ষণ নির্দেশিকা
কষ্টিকাম – মুক্তোদানার মতো দেখতে আঁচিলের প্রধান ওষুধ। এছাড়া মুখে যে সকল আঁচিল হতে দেখা যায় সে সমস্ত আঁচিলের চিকিৎসায় কষ্টিকাম খুবই কার্যকরী।
এসিড নাইট্রিক – যে সমস্ত আঁচিলে প্রায়ই রক্তপাত হয় এবং চর্ম ও শ্লেষ্মা ঝিল্লির সংযোগস্থলে যেমন- মলদ্বার, দুই ঠোঁটের কোণ, ইত্যাদি স্থানে বেশি হতে দেখা যায় এমন আঁচিল সমূহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পারদ ও সিফিলিস দোষে দুষ্ট শরীরের আঁচিলের চিকিৎসার জন্য প্রধান ওষুধ এই এসিড নাইট্রিক।
নেট্রাম সালফ – লাল আঁচিল চিকিৎসায় কার্যকর।
কেলি কার্ব – মোটাসোটা থলথলে মাংসপেশী যুক্ত ব্যাক্তিদের আঁচিলে চুলকানি থাকলে কেলি কার্ব ভালো কাজ করে।
নেট্রাম কার্ব – স্নায়বিক দুর্বলতা যুক্ত ব্যাক্তি, বিশেষ করে যারা সামান্য শব্দে অতিরিক্ত অনুভূতি প্রবণ তাদের পিঠের আঁচিল চিকিৎসায় কার্যকর।
এছাড়া সর্বাঙ্গীন লক্ষণ সমষ্টি সংগ্রহ করে রোগীর লক্ষণ ও উপসর্গের সাথে ওষুধের লক্ষণের সামঞ্জস্যতা বিবেচনা করে যে কোন ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।
ডাঃ আফরোজা আক্তার
সাফা হোমিও কেয়ার
মোবাইল -01996528950
কিডনি পাথর
কারণ,লক্ষণ ও প্রতিকার
বর্তমান সময়ে অনেক প্রচলিত রোগের একটি হল কিডনিতে পাথর। পেছন কোমরে ব্যথা, বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ… এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে কিডনিতে পাথর ধরা পড়লো। এরপর তা অনেককেই বিচলিত করে। চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে এবং একসময় একেবারেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। এ কার্যক্ষমতা কমতে থাকা নির্ভর করে পাথরের ধরন, অবস্থান, আকৃতি এবং সঠিক চিকিৎসা ও পরবর্তী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে কার্যক্ষমতা অনেকাংশে রোধ করা যায়।
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ
কিডনির পাথর -
কিডনির যেসব রোগ বের করা গেছে তার মধ্যে পাথর একটি পুরনো রোগ। পাথরগুলো কেবল কিডনিতে নয়, এর বিভিন্ন অংশে হতে পারে- কিডনিতে হতে পারে, কিডনির ভেতর থেকে বের হওয়া বৃক্ক নালীতে হতে পারে, প্রস্রাবের থলেতে হতে পারে এবং থলে থেকে বের হয়ে অনেক সময় পাথর মূত্রনালিতে আটকা পড়ে। পাথর কেন হয়- এর উত্তর দেওয়া মুশকিল। কেননা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন অনেক কারণে কিডনিতে পাথর হয়। যেমন-
১) কিডনিতে বারবার সংক্রমণ এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসা না করা।
২) দৈনিক অল্প পানি পান।
৩) খাবারে অধিক লবণ।
৪) কম ফলফলাদি ও শাকসবজি খাওয়া।
৫) বেশি লাল মাংস যেমন-গরু ও খাসির মাংস এবং পোলট্রির মাংস খাওয়া কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ।
৬) বেশি বা খুব কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া।
৭) যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট প্রচুর পরিমাণে খায় এদেরও পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
৮) যেসব লোকের ইনফ্লামেটরি বাওয়েল রোগ থাকে, তারা কিডনির রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
৯) টপিরামেট জাতীয় (এটা টোপাম্যাক্স হিসেবে পাওয়া যায়) ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেনের রোগে ব্যবহার করা হয়।
১০) অতিরিক্ত অক্সালেট জাতীয় শাকসবজি যেমন, পুঁই শাক, পালং শাক, বিট ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
১১) অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যথা কিংবা মূত্রাশয়ে প্রদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণসমূহ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। তবে-
১. মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথর যাওয়া।
২. হঠাৎ তলপেটে, নিচের পেটের দুই পাশে বা কোমরে তীব্র ব্যথা।
৩. রক্তবর্ণের লাল প্রস্রাব, ব্যথা, জ্বালাপোড়া থাকতে পারে।
৪. ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
৫. ঘোলাটে এবং দূর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব।
৬. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা অল্প একটু হয়েই আর না হওয়া।
৭. কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
তবে আকস্মিকভাবে পেট বা পিঠে ব্যথা অনুভব করা কিংবা প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা মানেই কিডনিতে পাথরের লক্ষণ নয়, তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন, কারণ হতে পারে এটি মারাত্নক কোন রোগের লক্ষণ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন আসলেই কিডনিতে পাথরের জন্য এমন হচ্ছে কিনা।
চিকিৎসা
কিডনিতে পাথর হলেই অপারেশন করতে হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। চিকিৎসা নির্ভর করে পাথরের অবস্থান, আকার, ধরন, কিডনির কার্যকারিতা এবং প্রস্রাবের পথে প্রতিবন্ধকতার ওপর।
কিডনিতে পাথর হওয়ার ধরণ -
ছোট অবস্থায় ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, কারণ ছোট আকৃতির পাথর সাধারণত প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার বা যন্ত্রের মাধ্যমে পাথর ভেঙে বের করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার না করে ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে পাথর বের করা বা পাথর আর বড় না হওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অস্ত্রোপচারের পরও আবার পাথর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ সেবন করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনিক ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ উপযুক্ত পরিমাণে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায় এবং কিডনির পাথরের ঝুঁকি এবং জটিলতা কমিয়ে আনে।
হতে হবে সচেতন
১) প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
২) আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ পরিমিত রাখুন।
৩) কখনোই প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
৪) ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজন ব্যতীত ক্যালসিয়াম ওষুধ ও ভিটামিন ডি যুক্ত ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
৫) বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে এর ঠিকমতো চিকিত্সা করান।
৬) দুধ ও দুধের তৈরি খাবার পুষ্টিকর হলেও সেসব খাবেন পরিমিত পরিমাণ, অত্যধিক বেশি নয়।
৭) ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।
৮) কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হলেও অ্যালকোহল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে।
পাথর যদি একের অধিক হয়ে থাকে এবং তা কিডনির গভীরে থাকে বা কিডনিতে কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি না করে সেসব ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা রোগীর জন্য উপকারী হবে তা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারই বলবেন। তাই যে কোন সমস্যাতেই হাতুড়ে কবিরাজের পরামর্শমত আজেবাজে চিকিৎসা করিয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। সময় থাকতে সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সাফা হোমিও কেয়ার
ডাঃ আফরোজা আক্তার (হোমিওপ্যাথ)
01996528950
গ্যাস্ট্রিক আলসারের স্থায়ী চিকিৎসা
বিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ পেপটিক আলসার বা পাকস্থলীর ক্ষত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের ফলে অন্ত্রের দেয়ালে এই ক্ষতগুলো তৈরি হয়। খাদ্যনালি, পাকস্থলী, ডিওডেনাম বা অন্ত্রের শুরুর কিছু অংশে আলসার হতে পারে। প্রধানত পাকস্থলী বা ডিওডেনামেই আলসার দেখা দেয়, সে-অনুযায়ী আলসার দুই ভাগে বিভক্ত: (১) গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পাকস্থলীর আলসার এবং (২) ডিওডেনাল আলসার। রোগ-প্রক্রিয়া মোটামুটি একইরকম হলেও এদের উপসর্গে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। লক্ষণভিত্তিক নিয়মিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এ রোগ নিরাময় করা সম্ভব।
গ্যাস্ট্রিক আলসার: সাধারণ মানুষের কাছে এটি গ্যাস্ট্রিক রোগ নামে পরিচিত। ৪০-৬০ বছর বয়সের মানুষ এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণাবলী: বুক জ্বালা, বদহজম বা অজীর্নতা, পেটে বেদনা, রক্তবমি বা রক্তস্রাব, টক ঢেকুর, বমির রক্ত টকটকে লাল, পেট বেদনা হঠাৎ করে প্রচণ্ড আকারে দেখা দেয়, পেটের খাদ্য বমি হয়ে গেলে ব্যথার উপশম হয়। শরীরে পানি স্বল্পতা থাকে এবং জ্বর থাকে।
ভাবী ফল: নতুন অবস্থায় রোগী সহজে আরোগ্য হয় কিন্তু পুরাতন অবস্থায় ক্যান্সারের পরিণত হতে পারে বা ছিদ্র হলে পেরিটোনাইটিস হতে পারে।
চিকিৎসা: আর্সেনিকাম এলবাম, এনার্কাডিয়াম ওরিয়েন্টালিস, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম, ক্যাডমিয়াম সালফ, ক্রিয়োজোট সিকেলিকর, ইপিকাক , হাইড্রাসটিস, হেমামেলিস, মিলিফোলিয়াম, নাক্সভম ইত্যাদি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সময় মতো সেবনে গ্যাস্ট্রিক আলসার ভালো হয়।
ডিওডেনাল আলসার: খাদ্য পাকস্থলী হতে নিচের দিকে অপেক্ষাকৃত সরু যে নালিতে প্রবেশ করে সেই বাকা অংশ টিকে ডিওডেনাল বলে। সেই ডিওডেনালের মিওকাস মেমব্রেন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হলে তাহাকে ডিওডেনাল আলসার বলে। সাধারণত ৩০-৪০ বছর বয়সের মানুষ এ রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে যে সকল পুরুষ মানুষের রক্তের গ্রুফ ০(+) তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
রোগের মূল কারণ এবং আনুষঙ্গিক কারণ: গ্যাস্ট্রিক আলসারের ন্যায়।
ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণগুলো: খাবার গ্রহণের ১-৩ ঘণ্টা পর পেটে ব্যথা শুরু হয়। রক্ত বমি খুব একটা হয় না, কখনও হলেও রক্তের বর্ণ কালো দেখায়। পায়খানার সহিত কালো বর্ণের রক্ত যায় বা রক্ত পায়খানা। জ্বালা যুক্ত ব্যথা। রোগীদের ক্ষিদে পেলেই ব্যথা বৃদ্ধি হয়। পেটে ব্যথার সময় মুখে পানি আসে বুক জ্বালা করে।
ডিওডেনাল আলসাররের চিকিৎসা: আর্সেনিকাম এলবাম, এনার্কাডিয়াম, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম, ক্যাডমিয়াম সালফ, ক্রিয়োজোটাম, সিকেলিকর।
চিকিসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
ডাঃ আফরোজা আক্তার (হোমিওপ্যাথ)
সাফা হোমিও কেয়ার
01996528950
বাংলাদেশের যেকোন স্থানে ভিপি ও কুরিয়ারের মাধ্যমে ঔষধ পাঠানো হয়।
সাফা হোমিও কেয়ার
01996528950
Safa homeo care Male, female & child treatment center
টেস্টোস্টেরন হরমোন (পুরুষের হরমোন) প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করার ৯টি উপায়
এএনএম নিউজ ডেস্ক: শরীরের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থাকলে শারীরিক অক্ষমতা, দুর্বলতা, ডিপ্রেশন, ওজন বৃদ্ধি, চুলপড়া নিম্নকর্ম ক্ষমতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলি আপনার মধ্যে দেখা দিলে টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষ হরমোন বৃদ্ধি অর্থাত্ টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করার কয়েকটি টিপস-
১) নিয়মিত ব্যায়াম: চিকিত্সা বিজ্ঞানে প্রমানিত যে, নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির অন্যতম ভূমিকা পালন করে। ২০১২ সালে প্রমাণিত হয়েছে ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের সর্বাধিক টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়।
২) দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা: দুশ্চিন্তার কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোন লেভেল কমে যায় তাই দুশ্চিন্তা মুক্ত থেকে সঠিক খাবার এবং ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে হবে।
৩) খাদ্যাভ্যাস: খাবারে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বাইড এর পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। খাবারে প্রোটিন পেশী, স্কিন, ব্লাড সুরক্ষা দেয় অন্যদিকে হরমোন উত্পাদক হিসেবেও কাজ করে। ফ্যাট টেস্টোস্টেরন উত্পাদক হিসাবে কাজ করে অন্যদিকে কার্বোহাইড্রেট টেস্টোস্টেরন লেভেলকে অপটিমাইজ করে।
৪) সান বাথ: পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলোতে থাকতে হবে অথবা ভিটামিন ডি গ্রহণ করা, কারণ সূর্যের আলোতে শরীরে ভিটামিন ডি উত্পাদিত হয়। ভিটামিন ডি হলো প্রাকৃতিক টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য সেরা মাধ্যম। তাই নিয়মিত সকালের দিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকা উচিত।
৫) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম: নিয়মিতভাবে ঘুম টেস্টোস্টেরনের উত্পাদন বৃদ্ধি হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সুস্থ মানুষের উপর সাপ্তাহিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যারা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছে তাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন ১৫% কমে গেছে অন্যদিকে যারা পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়েছে তাদের টেস্টোস্টেরন লেভেল ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৬) জিংক, ম্যাগনেসিয়াম: এই জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে টেস্টোস্টেরন হরমোন লেভেল অনেকবৃদ্ধি পায়। লেটুসপাতা প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এবং বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনকে বৃদ্ধি করবে।
৭) আদা ও অশ্বগন্ধা: অশ্বগন্ধা গ্রহণ করলে ১৭% শতাংশ টেস্টোস্টেরন হরমোন এবং আদা খেলে প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়।
৮) নেশা বা মাদকদ্রব্য: এজাতীয় অভ্যাস থাকলে তা টেস্টোস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধির বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে প্রাকৃতিক জল গ্রহণ করা কারণ প্লাস্টিক বোতলে কেমিক্যাল থাকে যা টেস্টোস্টেরোন হরমোনের বাধা সৃষ্টি করে।
৯) ওজন কমান: শরীরে উচ্চতার তুলনায় অধিক ওজন থাকলে টেস্টেস্টেরন হরমোন লেভেল কমে যায় তাই ওজন কমিয়ে ফেললে টেস্টোস্টেরন লেভেল বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে টেস্টেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করা যায়।
সাফা হোমিও কেয়ার
আফরোজা আক্তার (হোমিওপ্যাথ)
পলিপাস
নাক, কান ও গলা এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে সমস্ত শরীরটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকের ভেতর হতে পারে। প্রথমে ইহা দেখতে মটরশুটির মতো হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বাহির হতে দেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙ্গুরের মতো। নাসিকার্বুদ নাসা রন্দ্রের শৈষ্মিক ঝিল্লি হতে উদ্ভেদ হয়। এ রোগ লক্ষণে নাসারন্দ্রের অস্বাভাবিক পরিলক্ষিত হয়। নাসিকা প্রদাহ বৃদ্ধির কারণে হতে পারে। নাসিকার্বুদ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। নাসাবুর্দ প্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। নাকের ছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়।
রক্তে সিরাম আইজিই এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠা-া , সর্দ্দি, হাঁচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে পারে। নাকের ভেতরের শৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালারজিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের পি-ের আবির্ভাব হয়। যা দেখতে আঙ্গুরের মতো এ ধরনের সমস্যাকে নাকের পলিপাস বলে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেই সমস্যা বেশি দেখা দেয়, বার বার হাঁচি, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে, নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথায় ব্যথা হয়, নাক চুলকায়, নাকে ব্যথা ও স্মৃতি শক্তি কমে যায় এবং মুখ হ্যাঁ করে নিঃশ্বাস নিতে হয় ঘুমের কষ্ট হয়।
পলিপাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত লক্ষণ ও সমস্যা সংগ্রহ করে হোমিও চিকিৎসা দিলে কখনো কষণও অপারেশন ছাড়াই নাকের পলিপাসের যন্ত্রণা থেকে বিনা কষ্টে-অতি সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সর্তকতা : পলিপাসের রোগীকে সব সময় অ্যালার্জি জাতীয় খাবার, ঠান্ডা ও ধুলা-বালু হতে দূরে থাকতে হবে। যথা সময় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীতে সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও অ্যাজমা দেখা দিতে পারে।
পলিপাস চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি অদ্বিতীয়।
সাফা হোমিও কেয়ার
Safa homeo care Male, female & child treatment center
টনসিল
টনসিলাইটিস চিকিৎসায় হোমিও সমাধান
টনসিলাইটিস টনসিলের এক ধরনের ইনফেকশন। আমাদের শরীরে কিছু লিম্ফ নোডস থাকে যেগুলো ইমিউনোগ্লোবিউলিন নিঃসরণ করে শরীরকে রক্ষা করে। টনসিলও এক ধরনের লিম্ফনোড যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অংশ এবং দুই থেকে ছয় বছর পর্যন্ত ইনফেকশন থেকে নাক, গলা, কানকে রক্ষা করে।
এর সঙ্গে প্যালেটে, নাকের আশপাশের অংশে আরও লিম্ফ নোড থাকে, আর টনসিলসহ এই পুরো অঞ্চলকে ওয়ালডেয়ার রিং বলা হয়। সাধারণ মৌসুমের পরিবর্তনের কারণে টনসিল অথবা টনসিলাইটিসের সমস্যা দেখা যায়। টনসিল শব্দটির সাথে আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি পরিচিত। আমাদের প্রত্যেকেই জীবনে কখনো না কখনো অল্প-বেশি টনসিলের সমস্যায় পড়েছি।
টনসিল সম্পর্কে আমাদের মনে একটা ধারণা হচ্ছে, টনসিল এমন একটা বস্তু যা আমাদের প্রত্যেকের গলায় থাকে। ঠাণ্ডা পানি খেলে বা ঠাণ্ডা খাবার খেলে কিংবা ঠাণ্ডা বাতাসে এই সমস্যা বৃদ্ধি পায়। অপারেশন করে ফেলে দিতে পারলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি! আসলেই কি তাই? মোটেই না। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আপনার এতদিনের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল।
, টনসিলাইটিস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। টনসিল ইনফেকশন সাধারণত তিন থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে যে একেবারেই হয় না তাও নয়। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, টনসিল ইনফেকশনের জন্য ভাইরাস দায়ী। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্যও টনসিলাইটিস হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রোপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দিয়েও টনসিলাইটিস হতে পারে। টনসিল হচ্ছে এক ধরনের লিম্ফ নোড বা গ্রন্থি যা আমাদের গলার পেছনের দিকের অংশে থাকে। টনসিল আমাদের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপন্ন করে থাকে। এই শ্বেত রক্তকণিকা বাইরে থেকে দেহে প্রবেশকারী রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
কখনো শ্বেতরক্তকণিকা জীবাণুর বিরুদ্ধে ঠিকমতো কাজ করতে না পারলেই দেহে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু কখনো কখনো এসব জীবাণুকে ধ্বংস করতে গিয়ে টনসিল গ্রন্থি নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে ইনফেকশন হয় এবং এই গ্রন্থি ফুলে যায়। একেই আমরা মেডিকেলের ভাষায় টনসিলাইটিস বলি এবং সাধারণের ভাষায় টনসিলের সমস্যা বলে চিনি।
সাধারণত শিশুরা বাইরে খেলাধুলা করে এবং স্কুলে অনেকে একসাথে থাকে। ফলে টনসিলাইটিস হওয়ার মতো শত কারণের মুখোমুখি হয়। আর এজন্যই শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে যেকোনো বয়সি মানুষেরই টনসিলাইটিস হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টনসিলাইটিস হয়ে থাকে কমন কোল্ড বা অন্যান্য ভাইরাসের আক্রমণের কারণে। ১৫-২০ ভাগ টনসিলাইটিসের কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে। স্ট্রেপ্টোকক্কাল ব্যাকটেরিয়ার কারণে স্ট্রেপ্টো থ্রোট নামক রোগ হয়। এই রোগের লক্ষণকে অবহেলা করলে পরবর্তীতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
তরুণ লক্ষণ : প্রথম অবস্থায় জ্বর ও গলাব্যথা দেখা যায়। দুই পাশের টনসিল ফুলে লাল হয়ে যায়। অনেক সময় গলার গ্রন্থি সমূহ বৃদ্ধি পেয়ে গলনালী বন্ধ হয়ে যায়। ঢোক গিলতে সমস্যা হয়। খাদ্যদ্রব্য খেতে খুব কষ্ট হয় । মুখ দিয়ে লালা পড়ে। প্রবল কাঁপুনিসহ জ্বর আসতে পারে। ক্রমে টনসিল পাকে ও ফেটে যায়।
পুরাতন লক্ষণসমূহ : বারবার টনসিল প্রদাহ রোগের আক্রমণের শিকার হলে পীড়া পুরাতন আকার ধারণ করে। এতে টনসিলের গঠনের স্থায়ী বৃদ্ধি ঘটে। পুরাতন পীড়ায় রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। নাক বন্ধ করে রোগীকে শ্বাস গ্রহণ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে টনসিল দেখতে একটা বড় সুপারির মতো মনে হয়।মানসিক বৃত্তির পরিবর্তন, শ্রবণশক্তি হ্রাস, কানে তালা লাগা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
প্রদাহের কারণসমূহ—
কোল্ডনেস বা ঠাণ্ডা লাগাজনিত ও শীতকালীন আবহাওয়া।
স্যাঁতস্যাতে স্থানে বসবাস, কাজ এবং অবস্থান করা।
অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান।
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া।
টনসিল প্রদাহের উপসর্গসমূহ : গিলতে কষ্ট হওয়া, জিহ্বা ও কর্ণমূলে ব্যথা, জ্বর এবং ঠাণ্ডালাগার অনুভূতি হওয়া, মাথা ব্যথা, গলায় ব্যথা ও ক্ষতবোধ, চোয়াল এবং গলায় স্পর্শকাতরতা, গলার দুই পাশের গ্রন্থি বা লিম্ফনোড বড় হয়ে যাওয়া, গলায় সাদা বা হলুদ দাগ থাকতে পারে, গলা খুশখুশ করে আক্ষেপিক কাশি, শিশুদের মধ্যে ক্ষুধামন্দাভাব দেখা দিতে পারে, নিঃশ্বাস নিতে ফেলতে সমস্যা, টনসিল ফুলে খুব বড় হলে খাবার খেতে বা পান করতে সমস্যা হতে পারে।
টনসিল প্রদাহের জটিলতা—
ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী টনসিল প্রদাহ ফুলে থাকা।
দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীতে প্রতিবন্ধকতা, ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
খেতে বা গিলতে সমস্যা হওয়া।
কথাবার্তায় জড়তা বা অস্বাভাবিকতা।
ক্রনিক কর্ণমূল প্রদাহ।
হার্টের কপাটিকার রোগ।
ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস। এ ছাড়াও স্কারলেট ফিভার, বাতজ্বর এবং বিভিন্ন ধরনের হূদরোগও হতে পারে।
টনসিল ডায়াগনোসিস—
কফ কালচার করলে সংক্রমণকারী জীবাণু সম্পর্কে জানা যায়।
CBC-তে সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়তি প্রকাশ পায়।
ফিজিক্যাল এক্সজামিন করে।
টনসিল রোগীর জন্য কিছু পরামর্শ—
লবণ পানি : গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি কম বেশি আমরা সবাই করে থাকি তা হলো, সামান্য উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করা। এটি টনসিলে সংক্রামণ রোধ করে ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলি করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও দূর করে দেয়।
সবুজ চা : এবং মধু এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে থাকে। দিনে তিন থেকে চার কাপ এই মধু-চা পান করুন। উপকার পাবেন।
হলুদ দুধ : এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। গরুর দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। দুধে অ্যান্টিব্যায়টিক উপাদান আছে। গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিব্যায়টিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
আদা চা : দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর আন্দাজ মতো চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত দু-তিনবার এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছাড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি খুবই কার্যকরী।
লেবুর রস : ২০০ মিলিগ্রাম উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু, আধা চামচ নুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। যত দিন গলা ব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত এই মিশ্রণটি সেবন করুন।
হোমিও সমাধান : রোগ নয়, রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে ডা. হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে টনসিলসহ যেকোনো জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক লক্ষণ, সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগতভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই। কেন না একসময় আমরা শুনতাম যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষ্মা ভালো হয়। এসব কিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল।
টনসিল চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলো দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়।
সাফা হোমিও কেয়ার
মোবাইল -01996528950
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Tongi
Opening Hours
Monday | 10:00 - 21:00 |
Tuesday | 10:00 - 21:00 |
Wednesday | 10:00 - 21:00 |
Thursday | 10:00 - 21:00 |
Friday | 10:00 - 21:00 |
Saturday | 10:00 - 21:00 |
Sunday | 10:00 - 21:00 |
59 Modhumita Road
Tongi, 1710
Homeopathic medicine Shop. Expert BHMS & DHMS homeopathic doctors treat here.
Mirashpara Amtoli, Gazipur
Tongi, 1230
Popular Homeo Hall is famous Healthcare in Bangladesh. Homeopathic medicines are safe for everyone
Tongi Bazar
Tongi
Surgica instrument, scientific,pathological & Laboratory Equipment,Diagnostic kits/Reagent & Chemica
Kha Para Road . Uttar Auch Para Tongi, Gazipur
Tongi, 1711
SMC Blue star সেবা কেন্দ্র
Tongi, 1230
সবধরনের ডাক্তার চেম্বার,সাথে সকল প্যাথলজি,আল্ট্রাসনোগ্রাম,এক্সরে,ইসিজি সম্পূর্ন আধুনিক মেশিনে করা হয়!