tawhid Islam
tawhid
কি খুঁজছো আপন মানুষ?
আকাশের দিকে তাকাও আল্লাহ ছাড়া কাউকে আপন মনে হবে না!🌸
My baba
ছেলে: "বাবা, আমি কি তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি?"
বাবা: "হ্যাঁ নিশ্চিত, বলো?"
ছেলে: "বাবা,তুমি এক ঘন্টায় কত আয় কর?"
বাবাঃ "এটা তোমার জানার বিষয় নয়। তুমি এমন কথা জিজ্ঞেস করছ কেন?"
ছেলে: "আমি শুধু জানতে চাই। আমাকে বলো, তুমি এক ঘন্টা কত আয় কর?"
বাবা: " আমি প্রতি ঘণ্টায় $100 আয় করি।"
ছেলে: "ওহ! (মাথা নিচু করে)।
ছেলে: "বাবা, আমি কি দয়া করে ৫০ ডলার তোমার কাছ থেকে ধার করতে পারি?"
বাবা রেগে গেলেন।
বাবা: "তুমি কি কোন খেলনা কিনবে বলে আমার কাছে পয়সা চাইছো? যদি তা তুমি ভেবে থাকো, আমি তোমাকে বলবো তুমি এখন গিয়ে শুয়ে পড়ো। আমাকে প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয় শুধুমাত্র পেটের ভাত যোগাড় করার জন্য,খেলনা কেনার জন্য নয়।
ছোট ছেলেটি চুপচাপ তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
লোকটি বসে পড়ল এবং ছোট ছেলের প্রশ্নের কথা ভেবে সে আরো ক্ষেপে গেল।শুধু কিছু টাকা পাওয়ার জন্য তার এমন প্রশ্ন করার সাহস হয় কিভাবে?
প্রায় এক ঘন্টা বা তার পরে, লোকটি শান্ত হয়ে গেল এবং ভাবতে শুরু করল:
হয়তো এমন কিছু ছিল যা তার সত্যিই $ 50 দিয়ে কেনার দরকার ছিল এবং সত্যিই তো আমার ছেলে কখনোই তো আমার কাছে টাকা পয়সা চায় না। লোকটা ছোট ছেলের ঘরের দরজায় গিয়ে দরজা খুলে দিল।
বাবা: "ঘুমাচ্ছো,বাবু?"
ছেলে: "না বাবা, আমি জেগে আছি"।
বাবা: "আমি ভাবছিলাম, হয়তো আমি তোমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি। বাবা, বলতো ৫০ ডলার নিয়ে তুমি কি করবে?
ছোট ছেলেটা সোজা হয়ে বসে হাসল।
ছেলে: "ওহ, ধন্যবাদ বাবা!"
তারপর, তার বালিশের নীচ থেকে সে কিছু কয়েন টেনে আনলো। লোকটি দেখল ছেলেটির কাছে আগে থেকেই টাকা আছে, আবার তিনি রাগ করতে শুরু করলেন। ছোট ছেলেটি আস্তে আস্তে তার টাকা গুনল, তারপর বাবার দিকে তাকাল।
বাবা: "তোমার কাছে যদি আগের থেকে টাকা থেকেই থাকে, তাহলে তুমি কেন আমার কাছে টাকা চাইছো?
ছেলে: "কারণ আমার কাছে যথেষ্ট ছিল না, কিন্তু এখন গুনে দেখছি আমার কাছে 100 ডলারই আছে।
" আমি তোমাকে ১০০ ডলার দিতে চাই এবং তোমার এক ঘন্টা কিনে নিতে চাই। তুমি এই নাও টাকা, আর আগামীকাল এক ঘন্টা আগে বাড়ীতে এসো। ঐ ১ ঘন্টা আমি তোমার কাছ থেকে কিনলাম। ওই এক ঘন্টা তুমি শুধু আমার সাথে খেলা করবে, আর কোন কাজ নয়।
একথা শুনে বাবা ভীষণভাবে আলোড়িত হলেন। তিনি তার ছোট ছেলের সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন এবং তিনি তার ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
এটা শুধুমাত্র একটি ছোট উদাহরণ।সত্যি সত্যি আমরা সবাই গতিতে এগিয়ে চলেছি এবং নিজেদের কক্ষপথে নিজেরাই ছুটছি।আর এই ছোটার জন্যই যারা আমাদের প্রিয়জন তাদের খোঁজ খবরও রাখিনা, মনের খবরও রাখি না। আমাকে আপনাকে জীবনে এত কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। তবে যারা আমাদের কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি তাদের সাথে কিছু সময় না কাটিয়ে সময়কে আঙুল দিয়ে পিছলে যেতে দেওয়া উচিত নয়।
ই
কি খুঁজছো আপন মানুষ?
আকাশের দিকে তাকাও আল্লাহ ছাড়া কাউকে আপন মনে হবে না!🌸
♥চমৎকার একটি শিক্ষনীয় গল্প।♥
এক কলা বিক্রেতা ৫ টাকা পিছ দরে কলা বিক্রি করছিল। প্রচুর বিক্রি হচ্ছিল। মানুষ নিচ্ছে আর
ছিলে ছিলে খাচ্ছে।
এ দেখে বিক্রেতা ভাবল যদি কলা গুলো ছিলে রাখি তাহলে ক্রেতাদের ছিলতে কষ্ট হবেনা এবং ছিলে দেওয়ার কারনে দাম ও বেশি পাব।
তখন সে কিছু কলা ছিলে তার দাম ধার্য করল
৬ টাকা পিস।
এখন ক্রেতারা এসে দাম জিজ্ঞাসা করলে, সে বলছে এগুলো ৫ টাকা আর ছিলা গুলো ৬ টাকা। ক্রেতারা তখন ৫ টাকা দরের কলা নিয়ে যাচ্ছে।
সে ভাবল যখন কম দামি কলা থাকবে না, তখন দাম বেশি দিয়ে নিয়ে যাবে। এক সময় ৫ টাকার কলা সব শেষ৷
এখন আর কোন ক্রেতা তার কাছে আসে না। তবে প্রচুর মাছি এসে বিনামূল্যে কলা খাচ্ছে আর ভৌঁ ভৌঁ করে উড়ে বেড়াচ্ছে।
এখন সে ভাবল দাম কমালে বিক্রি হবে। সে দাম কমাতে কমাতে ০ টাকাতে চলে এলো, তবুও কেউ নিল না।
দিনের শেষে সেগুলো ড্রেনে ফেলে দিল৷ যে ড্রেন পরিষ্কার করে সে ওই সময় টাকা তুলতে এসেছিল। তার নজরে পড়ে গেল ছিলা কলা গুলো।
সে বলল, ভাই এত আবর্জনা করলে? এ আমি পরিস্কার করতে পারব না। অনেক কথার পর সে কিছু টাকা দিয়ে বলল কিছু মনে করো না পরিষ্কার করে দিও।
বর্তমান যুগের মেয়েদের অবস্থা ঠিক এই রকম। আগের মেয়েরা পর্দা করে চলত তাই তাদের টাকা দিয়ে সম্মানের সাথে নিয়ে যেত।
এখন এরা কলার মত খোলা থেকে দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টায় আছে।
দাম তো বাড়ছেই না উপরন্তু কিছু মাছি জাতীয় জন্তু তাদের উপর বসে চুষে খেয়ে উড়ে পালাচ্ছে।
আর এরা নিজেদের দাম বাড়াতে গিয়ে এত কমে যাচ্ছে যে,
এদেরকে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে পার করাতে হচ্ছে।
★নারীর মর্যাদা পর্দায় কমে না, বেপর্দায় কমে★
আল্লাহ পাক আমাদের বুঝার তাওফিক
দান করুন।( আমিন)
বাসররাতে আমার স্বামী তার বুকের সাথে আমার হাতটা চেপে ধরে বললো
--" আমি কি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি? কখনো তোমার কাছে তোমার অতীত জানতে চাইবো না। শুধু তোমার ভবিষ্যৎটা সম্পূর্ণ আমার।
আমি মুচকি হেসে বললাম ঃ- হুম আপনি পারেন আমাকে বিশ্বাস করতে। আমি আপনার হক কাউকে দিবো না। আমি কি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি?
--" হুম পারো। আমি তোমার বিশ্বাসে মর্যাদা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
কথাগুলো বলার সময় আমাদের দুইজনের চোখ পানিতে ভিজে যাচ্ছিলো। সে আমার চোখ মুছে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। কিছু সময় পর আমি জানতে চাইলাম আপনি চোখের পানি মুছুন।
সে হেসে বলেছিলো ঃ- এই চোখের পানি মোছার দ্বায়িত্ব তোমার।
--" আমি কখনো আপনার চোখে আমার জন্য পানি আসতে দিবো না।
--" আমিও দিবো না।
সেদিনের পর থেকে রোজ রাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার স্বামী বলতো --" আমি বিশ্বাস করি তোমায়। আমিও তার কথায় মুচকি হাসি দিতাম।
একদিন খেয়াল করলাম সে কয়েকটা কাগজ নিয়ে পড়ে আর মুচকি মুচকি হাসে। কিন্তু এই মোবাইল ফোনের যুগে কি কেউ লাভলেটার দেয় নাকি? আমি আসলেই কাগজগুলো লুকিয়ে ফেলে। কেমন একটা সন্দেহ তৈরী হলো। তাহলে কি এখন চিঠির মাধ্যমে প্রেম করেন উনি। তাই যদি না হয় তাহলে আমায় দেখলেই কেন সে কাগজগুলো লুকিয়ে রাখবে। লুকিয়ে খেয়াল করে দেখলাম সে কাগজগুলো ম্যানিব্যাগে রেখে দেয়৷
গোসল করতে বাথরুমে গেলে লুকিয়ে কাগজগুলো বের করতেই আমার চোখ কপালে উঠলো। কি সুন্দর প্রেমের বানী লিখে রেখেছে। রাগের থেকে কষ্টই বেশি হচ্ছিল। হঠাৎ খেয়াল করলাম হাতের লেখাটা আমার৷ একমিনিট এইগুলো তো আমার ডাইরির পেজ। তার মানে উনি আমার ডাইরি থেকে সব পেজ ছিড়ে নিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে ডাইরি বের করে দেখলাম তাতে একটা লেখা পেজও আর নেই। সব ছিড়ে নিয়ে গেছে। বাথরুম থেকে বের হয়ে সে এই অবস্থা দেখে কি করবে বুঝতে পারছিলো না। আমি ততো সময় রেগে ফুলে বেলুন হয়ে গেছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো
--" আসলে এতো সুন্দর কথা আমাকে নিয়ে লেখেছো যে সবসময় পড়তে ইচ্ছে করে তাই ছিড়ে নিয়েছি তুমি রাগ করো না৷ সবসময় তো তোমার সাথেই থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারি না তাই নিয়েছি তুমি রাগ করো না সোনাবউ আমার৷
আমি রাগ দেখিয়ে চলে গেছিলাম। বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় ফুচকা চটপটি আইসক্রিম চকলেট গোলাপফুল আর বেলিফুলের মালা নিয়ে এসেছিলো৷ বোকা হাসি দিয়ে বললো
--" তোমার কি পছন্দ তাতো জানি না তাই সব নিয়ে এলাম। তুমি আবার পছন্দ জানি না বলে রাগ করো না কিন্তু। তাহলে এখন আমি কিন্তু কান্না করবো।
তার কথাশুনে আমি ফিকফিক করে হেসে দিলাম। সে মুগ্ধ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুদিন পর আমার ফোনে অচেনা একটা নম্বর দিয়ে কল আসলো সে পাশেই বসা ছিলো। আমি অনেক দ্বিধা নিয়ে কলটা রিসিভ করে লাউডস্পিকারে দিয়ে রাখলাম। ওপাশ থেকে মা কথা বলছে। কথা শেষে সে মুচকি হেসে বললো
--" আমি পাশে থাকলে লাউডস্পিকারে দিয়ে কথা বলার দরকার নেই। আমি বিশ্বাস করি তোমায়।
--" সবাই ভালোবাসি বলে আর আপনি বিশ্বাস করি বলেন কেন?
--" ভালোবাসার রং বদলে যেতে পারে কিন্তু বিশ্বাস বদলায় না হয়তো ভেঙে যায় নয়তো অক্ষত থাকে। আর ভালোবাসি কথাটা প্রমাণ করা অনেক কষ্টের আর বিশ্বাস করা প্রমাণ করা কিছুটা সহজ। ভালোবাসার প্রথম স্তর হলো বিশ্বাস। বিশ্বাস না থাকলে কখনো ভালোবাসা থাকে না৷ তোমাকে যদি অন্য ছেলে বলে ভালোবাসে তোমায় তখন তোমার মনে হবে আমি বিশ্বাস করি তোমায়। কারো সাথে ঘনিষ্ঠ হতে গেলেও এটা মনে পড়বে।
আমি তার কথা শুনে আবেগে চোখের পানি ফেলেছিলাম। সে ব্যস্ত হয়ে পানি মুছতে লাগলো আর বলতে লাগলো তোমাকে কি কষ্ট দিয়ে ফেললাম আমি? আমি মাথ নেড়ে না বলে তাকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম।
সময়ের সাথে আমার সুখের সংসার পর হচ্ছিল। কিন্তু সুখ সবার কপালে সহ্য হয় না। একদিন দুইজনে ঘুরতে গিয়ে একটা গাড়ি আমাকে চাপা দিতে এগিয়ে এলো আমাকে বাঁচাতে গিয়ে মানুষটা গাড়ির নিচে পড়ে গেলো। আমি তার মাথাটা কোলে তুলে নিলাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
--" আল্লাহ চাইলে আমাদের জান্নাতে দেখা হবে আর তুমি আমার জন্য দোয়া করো। একটা কথা বলবো আমি অনেক হিংসুটে তোমার ভাগ কাউকে দিতে চাই না। আমি সত্যিই চাই না ওপারে কেউ তোমাকে দাবী করুক। আমি বিশ্বাস করি তোমায়।
--" তোমার কিছু হবে না। ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি সবাই চলে আসলো বলে।
লোকটা সেদিন আর কথা বলেনি। বিদায় নিয়ে চলে গেছে দুনিয়া থেকে। সেদিনের পর আরো পনেরোটা বছর পর পার হয়ে গেছে। আমার মা বাবা শশুর শাশুড়ী সকলে আমার জন্য পাত্র খোঁজে। আশেপাশের লোকজন বলে তোমার বয়সই বা কত আর একটা বিয়ে করে নেও। কিন্তু কাউকে নিয়ে কিছু ভাবতে গেলে আমার কানে একটাই কথা বাজে--" আমি বিশ্বাস করি তোমায় "
সমাপ্ত
আমি_বিশ্বাস_করি_তোমায়...😊
tawhid Islam
tawhid
কি খুঁজছো আপন মানুষ?
আকাশের দিকে তাকাও আল্লাহ ছাড়া কাউকে আপন মনে হবে না!🌸