Md.Sanaul Islam Online

Md.Sanaul Islam Online

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Md.Sanaul Islam Online, Public Figure, .

02/12/2023

মনের স্থিরতা আনার কোরআনি আমল
বর্তমান বিশ্ব অদ্ভুত, অস্থির ও যন্ত্রণাময়। যার অধিক আছে সেও অস্থির, যার কিছু নেই সেও অস্থির।

কেউ অস্থির নিজের সীমা বাড়াতে, কেউ অস্থির নিজের শক্তি বাড়াতে। এ কারণে প্রতিনিয়ত মন যেনো জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়ানো চারাগাছের মতো দোদুল্যমান।

ফলে মনের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে বিশ্বশান্তি।

তাই সমাজ-সংসার ও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মনের স্থিরতা অতীব জরুরি বিষয়।
আমরা জানি, বর্তমান কর্মব্যন্ত যুগে মানসিক চাপ অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। প্রচুর কাজের চাপে মানসিক চাপ সমস্যায় বহু মানুষই বিপর্যন্ত।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পবিত্র কোরআনে কারিমের একটি আয়াত নিয়মিত তেলাওয়াত করা যেতে পারে। বুজুর্গরা বলেছেন, তাতে মনে স্থিরতা আসবে।

আয়াতটি কোরআনে কারিমের সূরা হুদের ১১২ নম্বর আয়াত। আয়াতটি হলো-

فَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ وَلَا تَطْغَوْا إِنَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

উচ্চারণ: ‘ফাসতাকিম কামা উমিরতা- ওয়ামান তাবা মাআকা, ওয়ালা তাতগাও ইন্নাহু বিমা তা’মালুনা বাসির। ’

অর্থ : সুতরাং (হে পয়গম্বর) তোমাকে যেভাবে আদেশ করা হয়েছে তাতে (সরল পথে) দৃঢ়ভাবে অবস্থান করো, তুমি এবং তোমার সঙ্গে যারা (আল্লাহর প্রতি) ঈমান এনেছো (সবাই, সঠিক পথ থেকে) সীমালংঘন করো না। তোমরা যা করো তিনি (আল্লাহ) তা ভালোভাবেই দেখেন।

আমল: প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর বর্ণিত আয়াতখানা ১১ বার করে পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ মনের অস্থিরতা দূর হবে। অন্তরে প্রশান্তি মিলবে।

20/11/2023

পৃথিবীতে
দুটো অনুভূতি কখনো
লিখে প্রকাশ করা যায় না-
এক পাওয়ার আনন্দ আর
দুই হারানোর বেদনা...

22/12/2022

চাকরির জন্য টিপস যা আপনাকে দেশে ও বিদেশে সেরা সুযোগটি পেতে সাহায্য করবে:

১. শুধু চাকরির শিরোনাম দেখেই আকৃষ্ট হবেন না: আপনার যোগ্যতার সাথে মিলে যায় এমন নির্দিষ্ট কিছু চাকরির খোঁজ করতে পারেন । আপনার ভিতর যে দক্ষতা গুলো আছে সেগুলোর দিকে গুরুত্ব দিন। কারণ সব ধরনের চাকরির দিকে ছুটতে গেলে আপনি অনেক বেশিবার চাকরির প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়ে আগ্রহ হারাতে পারেন। তাই খেয়াল রাখুন কী কী যোগ্যতা চাওয়া হচ্ছে এবং যদি সেসব যোগ্যতা না থাকে তাহলে সেগুলো অর্জনের চেষ্টাটি চালিয়ে যান। তাহলেই কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পাওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে।

২. চাকরির বাজারে এগিয়ে থাকতে LinkedIn: ৯০% এর বেশি ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা প্রাথমিকভাবে LinkedIn – এ নতুন লোক খুঁজে থাকেন। আপনি যদি একজন চাকরি হন, তবে আপনার শুধু LinkedIn – এ একাউন্ট থাকলেই চলবে না, এটি ব্যবহার করে পূর্ণ সুযোগ নিতে হবে।

৩. সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য/ গোল সেট করুন : আপনার প্যাশন ও স্কিল অনুসারে গোল সেট করুন।

৪. স্কিলসেটস ডেভলপমেন্ট করুন: রেলিভেন্ট ও সফট স্কিলস ডেভলপমেন্ট কন্টিনিউ করুন।
Skills Job-Seekers Must Learn To Thrive In 2021: IT and cybersecurity, AI and machine learning, Blockchain, Virtual reality and augmented reality, User-experience design, Mobile app development, Data analysis and statistics, Software Engineering, Fintech, Agile, Creativity, Growth Mindset, etc

৫. আকর্ষণীয় কভার লেটার তৈরি করুন: আপনার জীবনবৃত্তান্ত হুবহু তুলে দেবেন না - পুনরায় বিন্যাস করার চেষ্টা করুন । আপনি কে এবং আপনার অভিজ্ঞতা কেমন আছে সে সম্পর্কে সুন্দর করে সাজিয়ে একটি ভালো কভার লেটার তৈরি করুন ।
Introduce yourself
Get your Noticed
Convey specific Information
Highlight accomplishments

৬. পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিন: চাকরির ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধরণ , আপনার দায়িত্ব কী হবে এবং আপনি যে ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তাদের সম্পর্কে তথ্য জেনে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার জন্য যা কিছু করা উচিত তা করুন।

৭. প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন & আপনার বিকল্পগুলোকে পুনর্বিবেচনা করুন

09/07/2022

EID MUBAROK

10/06/2022

জীবন রং খুঁজে , রূপ খুঁজে। আপন মহিমায় এগিয়ে যেতে চায়। এটাই জীবনের প্রাকৃতিক ধর্ম । তাই জীবন গৌরবজ্জল পথে পাড়ি দিতে চায়। সফলতাই জীবনের সার্থকতা । এ সরল প্রবাহকে মন্থর করে রেখেছে কিছু পদ্ধতি । এ পদ্ধতির বর্তমান ফল বেকারত্ব ।
একটি শিক্ষা পদ্ধতি যদি শেষ প্রান্তে এসে সব মানের ছাত্রকে সরস -নিরস কর্মে প্রবেশ করাতে সমর্থ না হয় তাহলে সে শিক্ষা পদ্ধতিকে বাস্তবমূখী বা জীবনমূখী পদ্ধতি বলা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে।
এ শিক্ষা পদ্ধতির ত্রুটির পাশাপাশি ছাত্রত্বের যে মৌলিক কর্তব্য তা যথাযথ ভাবে অনুসরণ না করাও অনেকাংশে দায়ী ।
জন্মের সাথে যেহেতু কর্মের একটা প্রাকৃতিক যোগসূত্র রয়েছে সৃষ্টির মূল থেকে তাহলে জীবনের শুরুতে কর্ম সংশ্লিষ্ট শিক্ষা পদ্ধতি বেঁচে নিলে খুব সহজে সাফল্যের পথে পৌঁছানো যায়।
একটি মানুষের কর্মের মাধ্যমে তার সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি নির্ভর করে। তাই কর্মে প্রবেশের পূর্বে সে কর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নিয়ে শুরু করলে সার্বিক মূক্তি নিশ্চিত হয়।
জীবন একটি স্বাভাবিক চলমান প্রবাহ । এ স্বাভাবিক প্রবাহকে সময়োপযোগী পথ / কর্ম দিলে সে ফুল দেয় ,ফল দেয় , খোলা আকাশে দুহাত তুলে সর্মপিত হওয়ার সুযোগ দেয়।
কোন কাংখিত জীবন কেউ দিয়ে যায় না। উপহার হিসাবে পেলেও এটি ধরে রাখা যায় না। এটি একটি দক্ষতা । জীবনে মর্মার্থ উপলব্ধি করে যে কেউ প্রকৃত পথ ধরে হাঁটতে শুরু করলে পাল্টে যাবে আমাদের এ প্রিয় মাতৃভূমি । আলোর দৃপ্তি ছড়িয়ে পড়বে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি চোখে।
অসীম সম্ভাবনাময় মানুষকে জীবনের স্বাদ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে অন্তশক্তিকে জাগাতে হয়। এ শক্তিকে জাগানো পথ , সঠিক পরিকল্পনা । ছোট ছোট কর্ম -পরিকল্পনা করে দৃঢ় বিশ্বাসে ধৈর্য্যের সাথে কর্ম করলে উদ্ভাসিত হবে সম্ভাবনার ধারা। শুরু করলে সীমাবদ্ধতার প্রাচীর ভেঙ্গে তৈরি হয় দিগন্ত খোলা পথ। প্রয়োজন মনের শক্তির। এ মনের শক্তি দিয়ে তৈরি হয়েছে আমাদের এই আলোকিত বিশ্ব ।
কোন মানুষের কর্মহীন থাকার সুযোগ নেই। মানব মস্তিষ্ক এমন এক জৈব কম্পিউটার তাকে যে কাজ দেওয়া হয় সে কাজেই অবলীলায় করে যায়। কর্মের নিয়ন্ত্রণ যদি মস্তিষ্কে দেওয়া যায় মস্তিষ্কই নিয়ে যায় আলোকিত পথে। এ সত্য এখন প্রমাণিত ও জীবন্ত ।
শুধু লক্ষ্য ঠিক করে দৃঢ় আস্তার সাথে কর্ম শুরু করলে জীবন অনেক উচ্চতার স্বপ্ন দেখায়। যারা সফল হয়েছেন তাঁরা এ ভাবেই হয়েছেন।
বিষয়টি সহজ নয়। স্থায়ী ও দামী কোন কিছুই সহজে আসেনা। শ্রম - ঘাম ও রক্তের বিনিময়ে নির্মিত হয় সাফল্য । এ সাদা সত্যকে যিনি গ্রহণ করবেন আজ ও আগামী তার জন্য।

10/06/2022

*** আপনি উদ্যোক্তা হিসাবে বিশ্বস্ত তা প্রমাণের উপায় ***

বিশ্বাস একটি শক্তিশালী ব্যবসায়ীক সম্পর্ক, ব্যক্তিগত এবং পেশাদার উভয়ই ক্ষেত্রে আস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আর সুস্থ্য সম্পর্ক, সুখের চাবিকাঠি হচ্ছে বিশ্বাস। একজন বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা সুখী হওয়ার পাশাপাশি কর্মচারীদের বিশ্বাস আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তারা আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা পালন করেন। একজন বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ব্যবসা সম্পর্কে ভালো ধারণা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকা দরকার। যারা সফল হতে চান তাদের মাঝে অবশ্যই কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত।
সুতরাং আপনি কিভাবে আস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন? এখানে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হল-

১। কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করুন
একটি বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা হয়ে উঠার প্রথম পদক্ষেপ হল একটি দক্ষতার মাস্টার হওয়া। সবার আগে আপনার সহযোগীদের সাথে ব্যবসা করতে হবে। আপনাকে তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, আপনি কি জানেন এবং আপনি কি করতে যাচ্ছেন?
যখন আপনি মনে করবেন এর জন্য আপনি উপযুক্ত, আপনি ফলাফল প্রদর্শন করতে পারবেন এবং অন্যদের আপনার জ্ঞান বিতরণ করতে পারবেন। যদি আপনি কিছুই না জানেন তাহলে অন্যদের কিভাবে শিখাতে পারবেন। তাই আপনার কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করার আগে নিজকে একজন দক্ষ মাস্টারে পরিণত করুন।

২। আপনার প্রতিশ্রুতি রাখুন
যখন আপনার আস্থা অর্জন সম্ভব হয়, তখন আপনার উপর নির্ভরশীলতা বাড়ে। যদি আপনার জানার পরিমাণ কমে যায়, তাহলে আপনার দক্ষতাও কমে যাবে এবং আপনি সকলের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবেন না। নির্ভরযোগ্যতা হচ্ছে আপনি যা বলেন আপনি কি তাই করছেন? আপনি যখন কোন পণ্য চালু/উৎপাদনের চিন্তা করবেন সর্বপ্রথম আপনার গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে হবে। আপনি আপনার ব্যবসার উপর যে প্রতিশ্রুতি দিবেন তা আপনাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

আপনার জন্য পরামর্শ হল আপনি এমন কোন প্রতিশ্রুতি দিবেন না যেখানে আপনি আপনার ৫টি প্রতিশ্রুতির মাঝে ৪টা রাখলেন আর ১টি ভঙ্গ করলেন। একজন সফল উদ্যোক্তার মূল লক্ষ্য শুধু টাকা উপার্জনই নয়। একজন বড় ব্যবসায়ী অনেক অর্থ আয় করতে পারে তার সাথে সাথে একজন সত্যিকারের সফল বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনাকে আপনার কথা রাখতে হবে। যে প্রতিশ্রুতি আপনি গ্রাহককে করেছেন।

৩। আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলুন
আস্থা গড়ে তুলতে চান? তাহলে আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলুন, আপনি সবার সাথে আপনার মতামত শেয়ার করতে জড়তা বোধ করবেন না। বোঝা যাচ্ছে যে আপনি-আমি যখন কোন ব্যবসা শুরু করবো তখন নিজেকে অনেক ভীরু মনে হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলতে পারবেন সবার সামনে, বড় একটি হল রুমে, বড় একটি ষ্টেজে এবং ব্লগে। আত্মবিশ্বাসী হয়ে কথা বলুন এবং সবার সাথে মেশার চেষ্টা করুন। আপনি যদি অদক্ষ হন তাহলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে লিখতে ও বলতে পারবেন না। একজন বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা তার গ্রাহকের সাথে ব্যবসা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকা উচিত।

৪। ভালো শ্রোতা হোন
একজন ভালো আত্মবিশ্বাসী শ্রোতা হোন এবং একজন ভালো শ্রোতা হওয়ার জন্য আপনার এই জিনিসটি জরুরী। শৈশব থেকে আমাদের চিন্তা চেতনা বৃদ্ধি পায়। তখন থেকেই শিক্ষা হয় আমরা কিভাবে আরেকজনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনব। আমাদের প্রথম প্রবৃত্তি অন্যদের দ্বারা বুঝতে হবে। যখন আপনি আরেকজনের কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন তখন আপনার অনেক কথা মিস হয়ে যেতে পারে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আপনাকে গ্রাহকের ভালো লাগা মন্দ লাগা সব কিছু সম্পর্কেই শুনতে হবে।


৫। সহানুভূতি প্রদর্শন
গ্রাহকদের আস্থা গড়ে তোলার জন্য আপনাকে সহানুভূতি প্রদর্শন করতে হবে। আপনি শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করছেন না। একজন ভালো উদ্যোক্তা যদি সঠিকভাবে গ্রাহককে সেবা প্রদান করতে না পারে তাহলে বিশ্বাস অর্জন করবেন কিভাবে। সহানুভূতি একটি জীবনব্যাপী অভ্যাস। যা আপনার পক্ষে একবারেই আয়ত্ত করা সম্ভব না। কিন্তু আপনি যখন জানলেন তখন থেকেই শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে সহানুভূতির মাধ্যমে আপনি সবার আস্থা অর্জন করুন। তাহলে আপনি একজন বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

৬। দুর্বল মন মানসিকতা
অনেক ব্যবসায়ীর মাঝে এই প্রবনতা দেখা যায়। দুর্বলতা আপনার চরিত্রের একটি দুর্বল দিক এবং তা আপনাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। পৃথিবীতে যারা সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বড় হয়েছেন তারা শুধুমাত্র মনের দিক থেকে অনেক শক্তিশালী ছিল বলেই সফল হয়েছেন। অর্থ থাকলেই ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। উদাহরণ স্বরূপ কয়েকজন সফল উদ্যোক্তার নাম বলা যায়। বিল গেটস এবং ডা: ইউনুস তারা তাদের কর্মের গুণে আজ সফল হতে পেরেছেন। বিল গেটস বর্তমান সফল ব্যবসায়ীদের মাঝে একজন এবং সকল উদ্যোক্তাদের জন্য আদর্শ। আমাদের দেশের ডক্টর ইউনুসের নাম কে না জানে। সকল সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে তিনি উল্লেখযোগ্য। আর যে কোন ব্যবসায় ঝুঁকি গ্রহণ করতে হয়। আপনাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে দুর্বল হলে চলবে না।

৭। সত্যবাদী হোন
সবসময় সত্য কথা বলা সহজ না। কিন্তু একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপানাকে সত্যবাদী হতে হবে। আপনি যদি আপনার ব্যবসা সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য গ্রাহককে দিন তাহলে তাদের ঠকানো হবে। তাহলে আপনি কখনই একজন সফল বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী হতে পারবেন না। আপনি নিজেকে একজন বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীক উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণ করতে পারবেন যদি আপনি সত্যবাদী হোন । জনসাধারণের মনে ব্যবসা সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা আনার জন্য আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি সফল ও বিশ্বস্ত হতে পারবেন যদি আপনার মাঝে উপরোক্ত গুণাবলী গুলো থাকে। এছাড়াও সঠিক ভাবে কাজ নির্বাচন করুন, সৎ ভাবে কাজ করুন এবং কাজের প্রতি আস্থা তৈরি করুন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে, ধৈর্যশীলতার সাথে কাজ করতে হবে, গ্রাহকের সন্তুষ্টির দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যে কোন পরিস্থিতে ঝুঁকি গ্রহণ করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি একজন বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা হতে পারবেন। এছাড়াও একজন ক্রেতা/ভোক্তার বিশ্বাস অর্জন করার জন্য তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করতে হবে। একজন বিশ্বস্ত উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার নিজের দিকটা দেখার পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জীবন-যাপনের উপর খেয়াল রাখতে হবে, গ্রাহকরা আপনার পণ্যটি পেয়ে উপকৃত হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের উপর ও উন্নতির উপর নজর রাখতে হবে।

10/06/2022

*** সফল উদ্যোক্তাদের বৈশিষ্ট্য ***
উদ্যোক্তা বলতে বুঝায় যিনি এমন একজন ব্যক্তি উৎপাদনের সকল উপকরণ সমূহের মধ্যে সফল সমন্বয় সাধন করেন এবং ব্যবসায় প্রত্যাশিত মুনাফার ব্যবস্থা করেন। একজন উদ্যোক্তার মাঝে শিক্ষা, ত্যাগী মনোভাব, তৎপরতা, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, ঝুঁকি গ্রহণের যোগ্যতা, নেতৃত্ব, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, পরামর্শ ও সমালোচনার প্রতি সাড়া এছাড়াও আরও অনেক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী এবং অর্থনীতিবিদ সবাই তাদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্যোক্তাদের বৈশিষ্ট্য নিরূপনের চেষ্টা করেছেন। এমন কিছু কার্যকরী বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো :

১. সূর্যোদয়ের আগে দিনের কাজ শুরু করুন:
বিচক্ষণ উদ্যোক্তা ও সফল ব্যক্তিদের অন্যতম অভ্যাস হলো ভোরে ঘুম থেকে উঠা। এটা শুধু আপনার স্বাস্থ্যেরই উপকার করবে না বরং একটা ভাল সকাল একটি উৎপাদনশীল দিনের জন্ম দিবে। নিচে বর্তমান সময়ের কিছু সফল ব্যক্তিদের ঘুম থেকে ওঠার সময় দেওয়া হলো:
প্রেসিডেন্ট ওবামা- সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিট।
ডেভিড ক্যামেরন- সকাল ৬ টা।
ষ্টারবাক্স সিইও হাওয়ার্ড গুলজ- ভোর ৪ টা ১৫ মিনিট।
অ্যাপল সিইও টিম কুক- ভোর ৩ টা ৪৫ মিনিট।
জেনারেল মোর্টস সিইও মেরি বারবা- সকাল ৬ টা।
এওএল সিইও টিম আর্মস্ট্রং- ভোর ৫ টা।
জেরক্স সিইও উরসুলা বার্নস- ভোর ৫ টা।
জিই সিইও ফে ইমেল্ট- সকাল ৫ টা ৪৫ মিনিট।
পেপসিকো সিইও ইন্দ্রা নুই- ভোর ৪ টা।
ক্রাইসলার সিইও এস মারছিওনি- ভোর ৩ টা ৩০ মিনিট।
রিচার্ড ব্রানসন- সকাল ৫ টা ৪৫ মিনিট।
ভার্জিন আমেরিকা সিইও ডেভিড কুশ- ভোর ৪ টা ১৫ মিনিট।
ডিজনি সিইও বব- ভোর ৪ টা ৩০ মিনিট।
মিশেল ওবামা- ভোর ৪ টা ৩০ মিনিট।
আপনি যদি উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে চান তবে দিন শুরুর সময়টা এখনই ঠিক করে নিন। এটা আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাদারি জীবনের জন্য জরুরী।

২. প্রতিদিন নিয়ম করে বই পড়া:
বিচক্ষণ উদ্যোক্তা ও সফল ব্যক্তিদের আরেকটি অন্যতম অভ্যাস হল নিয়মিত বই পড়া। তবে বইগুলো গল্প-কবিতার বই না হয়ে প্রাসঙ্গিক বই হওয়া চাই। আপনি যে কাজে বা ব্যবসায় নিয়োজিত তাতে যদি আপনার গভীর জ্ঞান থাকে তা আপনাকে ওপরে উঠতে সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ের বিল গেটস্, মার্ক জুকারবার্গ থেকে শুরু করে প্রায় সব সফল ব্যক্তিদের এটি নিয়মিত অভ্যাস। তবে এখানে বাঙ্গালী সফল উদ্যোক্তার কথা বলে শেষ করি। তিনি হলেন রুসেল সরদার। আইটি ট্রেনিং কোম্পানী ঘবঃ ঈড়স খবধৎহরহম এর কর্ণধার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সফল আইটি ট্রেনিং কোম্পানি, যাদের সেল্স ১০ মিলিয়ন ডলারেরও ওপরে। তিনি বলেন, “ব্যবসা নিয়ে যত ব্যস্ত থাকেন না কেন, প্রতিদিন নিয়ম করে বই পড়েন। সপ্তাহের কাজের দিনগুলো ১-২ ঘন্টা এবং বন্ধের দিনগুলো ৮-১০ ঘন্টা তিনি বই পড়েন”।

৩. নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন:
নিজের লক্ষ্য ঠিক করাকে প্রতিদিনের কর্তব্য মনে করুন। প্রতিদিনে, মাসে, বছরে এমনকি এক দশকে আপনি কী অর্জন করতে চান তা লিখে ফেলুন। এমনটি আপনাকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখতে ও বড় কিছু চিন্তা করতে সাহায্য করবে যার মাধ্যমে আপনি ছোট সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন। আপনি যদি লক্ষ্য অর্জন করতে চান, তবে আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিছু আকাঙ্খা লিপিবদ্ধ করুন। যেমন- পরবর্তী ১০ বছরে আপনার একটি ভালো বাড়ি, একটি ভালো গাড়ি, ব্যক্তিগত সহকারী থাকবে। যদি এমন ধারণাগুলো আপনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন তবে এটা আপনাকে আপনার জীবনের গতি সম্পর্কে উজ্জীবিত করবে। যদি পরবর্তী ১০ বছরের জীবনকে আপনি এখন দেখতে পারেন, তবে আপনি সেটা করতে পারবেন।

৪. প্রতিদিন নোট লিখুন:
প্রত্যেকেরই চিন্তা করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। ফলপ্রসূ চিন্তার জন্য আপনাকে নোট রাখতে হবে। এছাড়া যখনই কোন ভাল চিন্তা বা কৌশল মনে আসে তখনই তা নোট করুন। এটা অনেকটা ডায়েরী লেখার মত। এটা আপনাকে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তথা দৈনন্দিন বিষয়গুলোর উপর সজাগ রাখবে এবং সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর ওপর প্রতিফলন করতে সাহায্য করবে। একটা সময় আপনি যখন আপনার ডায়েরীতে ফিরে তাকাবেন তখন এটা আপনাকে আপনার অতীত জীবনযাত্রা সম্পর্কে অতিভূত করবে।

৫. পরিকল্পনা করুন
আপনার ব্যবসার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। সফল উদ্যোক্তারা তাদের দিনের কাজ আগেই পরিকল্পনা করে নেন। কিভাবে তারা তাদের পরবর্তী সকালের নানান ঝামেলা, কাজ সারবেন তা তারা আগের দিনই ভেবে রাখেন। ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা ব্যবসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি প্রতিটি ব্যবসার অবস্থা, গবেষণা বিশ্লেষণ এবং তথ্য কম্পাইল করে থাকে। আপনি আপনার ব্যবসা পরিকল্পনা অ ২ ত লিখে রাখবেন। যদি কোন পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় পরিবর্তন করবেন। সময় মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সফল উদ্যক্তাদের জীবনে। তাছাড়া সকলই সময়ের ব্যপারে বেশ সতর্ক।

৬. ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা
ব্যবসা শুরুর আগে মনে রাখতে হবে, ব্যবসা করতে গেলে ঝুঁকি থাকবে। ঝুঁকি গ্রহণের গুনটি উদ্যোক্তার মাঝে অবশ্যই থাকতে হবে। উদ্যোক্তার কাজটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী কাজ। তাই তার উৎপাদিত পণ্য বা সেবার বাজারও অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিয়তা থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকি গ্রহণের মন মানসিকতা থাকতে হবে। অন্যথায় অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব নয়। কারণ, ঝুঁকির পরিমাণ যেখানে যতো বেশি মুনাফার সম্ভাবনাও সেখানে ততো বেশি।

৭. মানসিক শক্তি থাকতে হবে
ব্যবসায় করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সে সকল সমস্যা ছোট বড় অনেক ধরনের থাকতে পারে। সেই সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য আপনার মাঝে প্রচুর মানসিক শক্তি থাকতে হবে। নিয়মিত ইতিবাচক মেডিটেশন করুন।

৮. ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ
কাজের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ উদ্যোক্তার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কাজ করতে গিয়ে বাস্তব জীবনে অকৃতকার্য হলে তিনি নিরাশ হন না। বরং ব্যর্থতার কারণগুলো খুঁজে বের করে পরবর্তীতে যাতে এগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে দিকে সচেষ্ট থাকতে হবে। ব্যর্থতাই যে সাফল্যের চাবিকাঠি হতে পারে দর্শনে তিনি অটল বিশ্বাসী থাকেন।
৯. স্বাধীনচেতা
উদ্যোক্তারা আত্ম নির্ভরশীল এবং স্বাধীনচেতা হয়ে থাকে। তারা সাধারণত অন্যের নিয়ন্ত্রন বা পরের উপর নির্ভরশীল হওয়া পছন্দ করে না। এ বৈশিষ্ট্য তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রেরণা যোগায় এবং ব্যবসায় উন্নতি করতে প্রলুব্ধ করে।

১০. প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়া
প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়া ছাড়া বর্তমানে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না। এ সময়ে ব্যবসার প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনশীল। উন্মুক্ত অর্থনীতিতে একটি পণ্য বা একই ধরনের পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একজন উদ্যোক্তাকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। ব্যবসার শুরু থেকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। যারা আপনার প্রতিপক্ষ তাদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে হবে। সফল উদ্যোক্তাকে বহু সমুদ্র যাত্রার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ নাবিকের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যিনি ভবিষ্যতকে দেখতে পান। সব ব্যবসায়ীক সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সর্বোত্তম উপায়ের সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন।

১১. সুযোগ সন্ধানী উদ্যোক্তা
যেসব উদ্যোক্তা বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে কাজ করে থাকেন, সেসব উদ্যোক্তা তার প্রতিষ্ঠানকে একদিন অনেক উপরে নিয়ে যায়। এ ধরনের উদ্যোক্তা ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করেন। তাই তাদের সফলতার হার উল্লেখযোগ্য। সুযোগ সন্ধানী উদ্যোক্তা ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে শিক্ষিত, সচেতন, মেধাসম্পন্ন এবং সাহসী হয়ে থাকেন। তারা সবসময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। ভাল একটি সুযোগ কোন উদ্যোক্তার হাত থেকে খসে পড়ে না। আর তা হলে তাঁরা সফল উদ্যোক্তা হতেন না। ভাল সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকা সফল উদ্যোক্তাদের আরেকটি চমৎকার বৈশিষ্ট্য।

১২. সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন করার প্রচেষ্টা
উদ্যোক্তাকে অবশ্যই সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী হতে হবে। উদ্ভাবন অর্থ কেবল নতুন কোন পণ্য বা সেবার আবিষ্কার নয়, পুরনো কোন পণ্য বা সেবাকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা, নতুন বাজার সৃষ্টি করা, কাঁচামালের নতুন উৎস সন্ধান করা এবং কাজের সুবিধার জন্য নতুন কোন কৌশল আয়ত্ত করাকেও বুঝায়। কোন উদ্যোক্তা শুধু সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির কারণেই তার নিজের অবস্থানকে উন্নত করতে পারবে এবং বর্তমান বাজারে টিকে থাকতে পারবে।

১৩. কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা
উদ্যোক্তারা যখন কোন কাজে হাত দেন তখন নিজেকে ঐ কাজে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে নিয়োজিত করে। কোন কাজ অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় থাক তারা তা পছন্দ করেন না, এ জন্য নিজেকে ক্ষমাও করেন না। শিল্প পণ্য উৎপাদন একটি জটিল কাজ এটা জেনেও কাজে হাত দেন এবং সাফল্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত পিছুপা হয় না।

১৪. আপনার গ্রাহক সম্পর্কে জানুন
কোন ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গ্রাহক চিহ্নিত করা এবং তাদেরকে আপনার ব্যবসা সম্বন্ধে জানানো। একজন গ্রাহকের পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে ধারনা নেওয়া। একজন উদ্যোক্তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করার মাধ্যমে গ্রাহককে সন্তুষ্ট করা।

১৫. আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে
প্রত্যেক মানুষের কিছু গুণ থাকে। সফল উদ্যোক্তার প্রধান গুণ হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। যার আত্মবিশ্বাস যত বেশি তার সাফল্য তত বেশি। যদিও এটি অর্জন করা কঠিন। সফল উদ্যোক্তা তার আশপাশের আত্মবিশ্বাসী লোকদের মধ্যে অন্যতম। একজন উদ্যোক্তাকে তার সাফল্যের বিষয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কার্যক্রম গ্রহণে দৃঢ় মনোবল আর চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রয়োজন হয়। আত্মবিশ্বাস না থাকলে যে কোন কাজ ভাল ভাবে সম্পাদন করা সম্ভব না। আপনাকে হতে হবে স্থির ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, যা আত্মবিশ্বাসকে আরও বৃদ্ধি করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে।

১৬. নেতৃত্ব দানের অধিকারী
একজন উদ্যোক্তাকে লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কর্মীদের মাঝে দলীয় অনুভূতি সৃষ্টি এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। একজন উদ্যোক্তার গতিশীল নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট সকল কর্মীদেরকে লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্য প্রেরণা যোগায়।

১৭. নেটওয়ার্ক স্থাপন করা:
এই সময় নেটওয়ার্কের জন্য অনেক পথ রয়েছে, বিশেষভাবে তথ্য প্রযুক্তি এ কাজটিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। একজন সফল নেটওয়ার্ককারী হতে হলে আপনাকে ‘উৎপাদক হতে হবে, ভোক্তা নয়’। তার মানে হল, আপনাকে ‘সক্রিয় হতে হবে, নিষ্ক্রিয় নয়’। কারও কল বা ই-মেইলের জন্য অপেক্ষা না করে আপনি তাদের কল করুন, ই-মেইল না হয় টেক্সট করুন। প্রতিদিন আপনার ব্যবসা, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ১০ জনকে জানান, ১০ জনের সঙ্গে দেখা করুন, ১০ জনের কাছে বিক্রি করুন। এ জন্য তাদের কল করুন, ই-মেইল করুন অথবা ম্যাসেজ দেবেন।


১৮. আগামীকালের কাজের পরিকল্পনা আজই করে ফেলুন-
প্রতিদিন সকালে সম্পূর্ণ দিনের পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। আপনি যদি আরও অগ্রগামী হন তবে আগের রাতেই পরের দিনের পরিকল্পনা করে নেবেন। এখানে উদাহরণ স্বরূপ- একটি দিনের পরিকল্পনা কীভাবে করবেন তার কিছু উপদেশ দেওয়া হলো:
 ঘুম থেকে উঠা- ভোর ৫ টা।
 পরিচ্ছন্ন হওয়া, পানি পান, সকালের প্রার্থনা- ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে।
 আজকের দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৩-৫ টি কাজের পরিকল্পনা ও সময় নির্ধারণ করুন।
 দিনকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। বিশেষভাবে সকালে ঘুম থেকে উঠে কী করবেন, সারা দিনের পরিকল্পনা এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগের কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
 ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু সময় বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।
 প্রতিটি পরিকল্পনার আগে তিনটি বিষয় মাথায় রাখবেন। আপনার কাজ, আপনার স্বাস্থ্য ও আপনার জীবন।
 ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বের সূচি আপনার পুরো দিনের কাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
 ব্যায়ামাগারে যাওয়ার জন্য দিন ঠিক করতে পারেন এবং প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা দৌঁড়াতে পারেন।
 মাঝে মাঝে নিজের সূচি পরিবর্তন করুন। বৈচিত্রতা আপনাকে স্বত:স্ফূর্ত রাখবে।
 নিয়মিত আপনার ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী প্রার্থনা করুন।

১৯. পরামর্শ নিন-
কোন প্রতিষ্ঠানকে সু-প্রতিষ্ঠিত হতে হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে হবে। পরামর্শ/উপদেশ গ্রহণ ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। পৃথিবীর বড় বড় সফল প্রতিষ্ঠানগুলো পরামর্শ গ্রহণ করেই সফল হয়েছে। পরামর্শ ছাড়া সফল, সাধারণত হয় না। কেউই সব বিষয়ে সবজান্তা নয়। প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন ভাল পরামর্শক খুঁজুন। আপনার জ্ঞানকে বাড়ান। আপনি জানবেন কীভাবে আপনার ব্যবসা বড় করতে হয়। আবার নিজের জ্ঞানকেও অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন। যখন আপনার জ্ঞানকে প্রকাশ করবেন, এটা বস্তু কাউকে শিক্ষিত করবে, উদ্দীপ্ত করবে যে, সে আগে বাড়তে পারে। আপনি আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করছেন, যা আপনার প্রতিষ্ঠানকে বড় ও সু-প্রতিষ্ঠিত করবে। কারণ, কঠিন কাজগুলো আপনি আর একা করবেন না।

10/06/2022

*** ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যা প্রয়োজন ***
ব্যবসা ব্যবস্থাপনা হল বিপণনের এমন একটি কার্যাবলি, যার মাধ্যমে একটি পণ্যের বা সেবা কীভাবে ক্রেতা বা ভোক্তাদের মনের ভেতরে জায়গা করে নেবে সেটি বিশ্লেষণ করা হয়। কোন ধরণের ভোক্তাকে লক্ষ্য করে পণ্য বা সেবাটি বাজারে ছাড়া হবে সেটি নির্ধারণ করা হয় এবং সর্বোপরি ব্র্যান্ডের কাঙ্খিত সুনাম সৃষ্টিও বজায় রাখা হয়। ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার জন্য ভোক্তা বা ক্রেতাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা ব্যবস্থাপনার দৃশ্যমান উপাদানগুলো হল- পণ্য, পণ্যের মূল্য, মোড়ক, বিজ্ঞাপন প্রভৃতি। আর অদৃশ্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোক্তার অভিজ্ঞতা, সন্তুষ্টি এবং ব্যবসার সঙ্গে তার সম্পর্কটি কেমন সেটি।

একজন ব্যবসা ব্যবস্থাপককে উপরোক্ত সবগুলো বিষয়ে নজর দিতে হয়। ব্যবসা ব্যবস্থাপনা হল- “প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরতে এবং পণ্য বা সেবার প্রতি ক্রেতার অনুগত্য নির্মাণের স্বার্থে একটি কোম্পানীর পণ্যের সঙ্গে ক্রেতার মনস্তাত্ত্বিক উপলব্ধিকে যুক্ত করবার বা এদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া।
ব্যবসা ব্যবস্থাপনার কয়েকটি পদ্ধতি আলোচনা করা হল:

১. অল্প জ্ঞান দিয়ে ব্যবসা শুরু না করা:
কখনোই অল্প জ্ঞান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাবেন না। যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান আপনার ক্রেতার চেয়ে বেশি নেই, সে জিনিসের ব্যবসা কখনোই করবেন না। ধরুন, আপনি গার্মেন্টস্ একসেসোরিজ বিজসেন করতে চান। আপনার ক্রেতা কারা হবে? আপনার ক্রেতা হবে গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজাররা। তাদের চেয়ে আপনার উৎপাদিত বা সরবরাহকৃত একসেসোরিজ প্রডাক্ট, যেমন- জীপার, বাটন, স্যুইং থ্রেড, লেবেল ইত্যাদির বিষয়ে অবশ্যই বেশি জ্ঞান থাকতে হবে। নয়তো আপনি হেরে যাবেন। এভাবে, আপনি যেকোন পণ্য বা সেবা উৎপাদন বা সরবরাহের ব্যবসা শুরুর চিন্তা করেন না কেন, আপনাকে সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ক্রেতার চেয়ে বেশি জ্ঞান ধারন করতে হবে। জ্ঞান অর্জনের জন্য কোর্স করুন, সফল উদ্যোক্তাদের সাথে যুক্ত থাকুন।

২. সঠিক কর্মী নিয়োগ:
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে চালিয়ে যাবার জন্য অবশ্যই সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানের “ম্যানেজার পদে হোক বা সাধারণ কর্মী পদে হোক” যোগ্য লোকের অভাব আপনার ব্যবসার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় বসানো আপনার ব্যবসার ব্যবস্থাপনার জন্য খুবই জরুরী।

৩. রিলেটিভদের নিয়োগের ব্যাপারে সতর্ক থাকা:
এদেশের অনেক ব্যবসায়ী অল্প সময়ে ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হয়েছে, এই একটি ভুলের জন্য। শালা, মামাত ভাই, খালাত ভাইদের দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভর্তি করে ফেললে ব্যবসার উন্নতির বদলে যেটা হবে, তা হল “অধিক সন্ন্যাসিতে গাজন নষ্ট” অবস্থা। রিলেটিভদের নিয়োগ দিতে নিষেধ করা হচ্ছেনা। কিন্তু তাদের কখনো দক্ষতার বিচারে ছাড় দেওয়া যাবে না। ধরুন, আপনার একটি ইন্ডেন্টিং ব্যবসা আছে। যার কাজ হল আমদানী-রপ্তানীর মধ্যস্ততা করা। এখন আপনার শ্যালক আপনার কোম্পানীতে চাকরী প্রত্যাশী কিন্তু, তার আমদানী রপ্তানী বিষয়ক কোনা জ্ঞান নেই। কিন্তু বউয়ের চাপে তাকে ম্যানেজার পদে চাকরি দিলেন। তাহলে সে আপনার ব্যবসাকে কিভাবে ম্যানেজ করবে? তাই আপনার উচিৎ, তাকে আপনার দক্ষ কোন ম্যানেজারের শিক্ষানবীশ হিসেবে তাকে নিয়োগ দেয়া এবং ব্যবসায়ীক কাজে কখনো তার কাছ থেকে রিপোর্ট গ্রহণ না করা (যাতে করে সে প্রশ্রয় না পায়)।

৪. ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং ব্যবসায়ীক কৌশল অনুসরণ করা:
প্রতিটি ব্যবসার একটি বিজনেস প্ল্যান থাকে, যেমন- কতদিন যাবৎ লসে ব্যবসা চালাবেন, প্রফিটের কত অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করবেন, উৎপাদন এবং গুণগত মানের রেশিও ব্যবসার কোন অবস্থায় কেমন হবে ইত্যাদি। কিন্তু, সব ব্যবসা যে আপনার প্ল্যান মত চলবে, তা নয়। সেক্ষেত্রে আপনার কৌশল। আপনার বিজনেস কৌশল আপনার ব্যবসার শুরু থেকেই ঠিক করে রাখা উচিৎ এবং কোন অবস্থাতেই সেই কৌশল থেকে সরে আসবেন না। সেটা আপনার ব্যবসার ব্যবস্থাপনার ক্ষতি করতে পারে।

10/06/2022

*** একজন প্রকৃত উদ্যোক্তাকে যেমন হতে হবে ***
উদ্যোক্তা পরিচয়ের একটি বড় সমস্যা হয়ে গেছে আমাদের মাথায় বসানো কিছু শব্দ। কিছু ধনাত্মক শব্দের অতীব ঋণাত্মক ব্যবহার। আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে যাদের কথা বলছি আমাদের সমাজে তাদের পরিচয় হয় “ব্যবসায়ী” শব্দটি দিয়ে। আমরা ধরে নেই সেটি খুব খারাপ কাজ, শুধু খারাপ মানুষেরাই শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ী হয়ে যায়। তাছাড়া ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য কোন যোগ্যতা লাগেনা। এরকম আরও একটি শব্দ হচ্ছে- ‘মুনাফাখোর’। শব্দটি যেন- ‘ঘুষখোর’ এর মতই ঘৃণ্য। বক্তৃতা বিবৃতিতে এই শব্দটি ঘুষখোর ধরনের শব্দগুলোর সাথে নিয়মিত ব্যবহার হয়। ব্যবহারের কারণে এই শব্দগুলো শুনলে মনের অজান্তেই- অশিক্ষিত, সংস্কৃতিহীন, লোভী, ধূর্ত ও চরিত্রহীন একজন ব্যক্তির ছবি ভেসে ওঠে।

অথচ, স্বার্থক ও সফল উদ্যোক্তা হবার সঙ্গে সেগুলোর কোন সম্পর্ক নেই। ব্যবসা করা ও মুনাফা নেয়া আইনগতভাবে (ও ধর্মমতে) স্বীকৃত ও বৈধ কাজ। সেই কাজটি ভালভাবে করার জন্য অত্যন্ত যোগ্য এবং বহু গুণের অধিকারী হতে হয়। একটি ব্যবসায়ের উদ্যোগ- কিছু লোক, সমাজ ও রাষ্ট্রের উপকার করে, কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ক্ষতিও করতে পারে। উপকারের পরিমাণ বেশি হলে সেই ব্যবসায়ী কেন সম্মানী হবেন না?

তার উপরে উদ্যোক্তা মানে ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেক কিছু। তিনি অত্যন্ত উঁচু মানের একজন শিল্পী। যিনি শুধু ব্যবসা পরিচালনা করেন না? নতুন ব্যবসা সৃষ্টিও করেন। সেটি থেকে কখনও মুনাফা নেন, কখনও শুধুমাত্র পারিশ্রমিক। তাঁর টাকার পরিমাণ সফলতা মাপার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড বটে। তবে তা একমাত্র মানদন্ড নয়। উদ্যোক্তা হতে সাধারণ যোগ্যতার বাইরেও অনেক যোগ্যতা লাগে। চরিত্রহীন হওয়া সফল উদ্যোক্তা হওয়ার কোন যোগ্যতা নয়। বরং সফল হবার জন্য চরিত্রবান হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। প্রতিটি পেশায় ভাল ও খারপ মানুষ থাকে। যারা আজ সফল, তাদের বেশিরভাগ কাজের উদ্দেশ্য ও ফলাফল তুলনামূলক ভাল।

এসকল কারণে উদ্যোক্তারা পরিচয় দিতে লজ্জা পান। কিন্তু এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। লজ্জা পেলে চলবে না। গুরুত্ব ও শ্রদ্ধার সাথে নিজের এবং অন্য উদ্যোক্তার পরিচয় দিতে হবে। গুরুত্ব দিতে একসময় পরিচয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়। পরিচয়টি দিতে হবে টাকার পরিমাণ নয়, কাজের ধরণ এবং তার ফলাফল দিয়ে।

10/06/2022

*** # # # যেভাবে ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা করবেন # # #***
কী ব্যবসা করবেন তা ঠিক করে হুট করে ব্যবসায় নামলেন আর তরতর করে এগিয়ে চললেন- তা নয়। কোন ধরণের ব্যবসা করবেন সে পরিকল্পনা তো করাই হয়েছে। তবে যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখনই আসল পরিকল্পনা নেয়ার পালা। অনেক পরিকল্পনার সমন্বয়ে একটি ব্যবসার পরিকল্পনা সফল হয়ে ওঠে। বলা যায় একাধিক পরিকল্পনাই একটি সম্পুর্ণ ব্যবসায় প্লান।

প্রাথমিক ভাবনা:
একটি ব্যবসায়ীক পরিকল্পনার ওপরই নির্ভর করে ব্যবসার সফলতা। একটি সম্পূর্ণ নতুন কোম্পানির জন্য বিজনেস প্লান খুব শক্ত হয়। যেমন প্রাথমিক অবস্থায় কি রকম কোম্পানি, তার পণ্য বা সেবা কি হবে, মার্কেটিং কিভাবে হবে, অর্থনৈতিক বিষয়গুলো কিভাবে সমন্বয় হবে। এই সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট হলে একটা আদর্শ ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করা সহজ হয়ে যায়।

অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা:
ব্যবাসার বাজেট, নির্বাহী বোর্ড, বেতন কাঠামো ইত্যাদি ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। তৃতীয় পক্ষের কোন কিছুই এই পরিকল্পনার ভিতর আসবেনা।

কার্যকরী পরিকল্পনা:
কার্যকরী পরিকল্পনাকে একক রকম অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বলা যেতে পারে। এটাকে আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায় একটি ব্যবসার ধারণা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, কিকি ডাটা নিয়ে প্লান তৈরি করা হবে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবস্থাপকের দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয় এই কার্যকরী পরিকল্পনায়।

পরিসংখ্যানগত পরিকল্পনা:
পরিসংখ্যানগত পরিকল্পনাকেও এক রকম অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা বলা যেতে পারে। কিন্তু এটি সমস্ত বিষয়টিকে আরো বিশদভাবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তারিখের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এটি কোম্পানির ব্যবস্থাপক টিমের বিষয় বর্ণনা করে না বরং অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে নির্দিষ্ট সময় সীমার আওতায় এনে কোম্পানির বর্তমান ও সামনের গতিপথের ক্যালেন্ডার রচনা করে। এক কথায় সংখ্যার ধারণায় কবে, কখন, কিভাবে কোন কাজ করা হবে তার পরিকল্পনা করা হয়।

উন্নয়ন পরিকল্পনা বা নিউ প্রোডাক্ট প্লান:
ব্যবসায়ের কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়কে আলাদা করে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এটি অভ্যন্তরীন পরিকল্পনা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। এই পরিকল্পনা সাধারণত লোন আবেদন এবং নতুন বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনার বর্তমান ব্যবসাকে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে পৌঁছাতে যে পরিকল্পনা তাই উন্নয়ন পরিকল্পনা।

সম্ভাব্য প্লান:
সম্ভাব্য প্লান সাধারণ প্রাথমকি পরিকল্পনার মতোই। সম্ভাব্য প্লানে একটি কোম্পানির সারাংশ, মিশন এস্টেটমেন্ট, কী টু সাকসেস, বেসিক মার্কেটিং এনালাইসিস, প্রাথমিক কস্ট এনালাইসিস, প্রাইসিং, সম্ভাব্য খরচ প্রভৃতির সন্নিবেশ থাকে। এই ধরনের প্লান সিদ্ধান্ত পৌঁছতে সাহায্য করে।

বিপণন পরিকল্পনা:
এই অংশে থাকবে কীভাবে আপনি আপনার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের মাঝে পৌঁছে দিতে চান। ক্রেতার কাছে কীভাবে পণ্য পৌঁছাবে অর্থাৎ সরাসরি, পরিবেশক, নাকি পুর্নবিক্রেতার মাধ্যমে, তা এই অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্রেতার চাহিদা, তা কীভাবে পূরণ করা হবে, কীভাবে পণ্য তাঁদের মধ্যে জনপ্রিয় করা যায়, পণ্যের দামের বিষয়ে ক্রেতারা কতটুকু সচেতন-এসব বিষয়ও থাকবে বিপণন পরিকল্পনায়। সব মিলিয়ে একটি ভাল কৌশল অবলম্বনই হবে একটি পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই তাদের ব্যবসা শুরু করে অল্প পুঁজি নিয়ে। পৃথিবীর বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো এদের বেশির ভাগই শুরু হয়েছিল অল্প পুঁজি নিয়ে। এদের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান সফল হয়েছে তাদের নামই আমরা শুনতে পাই। যেসব প্রতিষ্ঠান সফল হতে পারেনি তাদের নাম আমরা শুনতে পাই না। তবে নিশ্চয়ই আমরা অনুমান করতে পারি যে, যারা সফল তাদের কাজের ধরণ আর যারা অসফল তাদের কাজের ধরণ এক ছিলো না। এখন আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলবো যেগুলো সফল ব্যাক্তিরা তাদের ব্যবসা শুরু করার সময় অনুসরণ করতেন।

যারা স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরুর চিন্তা করছেন তারা যদি এ বিষয়গুলো মেনে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন তবে তাদের দ্বারা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি হবে।

অন্যের কথায় ভয় পাওয়া যাবে না:
অনেকেই খুব সহজে বলে থাকে তুমি যা করছো তা ঠিকমতো হচ্ছে না, তোমার এখন অন্য কিছু শুরু করা উচিত। এরকম কথা বলা খুবই সহজ। যদি আপনি এসব কথায় প্রভাবিত হোন তাহলে ভাববেন বিষাক্ত কোন ঔষধ গেলা আরম্ভ করছেন। আপনি যদি এরকম কথায় প্রভাবিত হয়ে থাকেন তবে এখনই এ প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের মত করে আপনার প্রতিষ্ঠানকে চালিয়ে নিয়ে যান। আপনার নিজের কাছে যখন মনে হবে আর চালিয়ে নেয়া সম্ভব না ঠিক তখনই থামেন। অন্যের কথায় কখনো আপনার প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা যাবে না।

মিতব্যায়ী হোন:
ক্রেতা/ভোক্তা নিয়মিত আসা শুরু করার আগে জাঁকজমক অফিস নির্মাণের কোন প্রয়োজন নেই। যদিও বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই এ ভুলটা করে থাকে। প্রথমেই সুন্দর ও আকর্ষনীয় অফিস দিয়ে ক্রেতা/ভোক্তাদের আকর্ষনের চেষ্টা করেন অনেকেই। তবে শুরুতেই এটা করতে যাওয়া এক ধরণের বোকামি। একইভাবে প্রথমেই উচ্চ প্রযুক্তির কম্পিউটার বা সফটওয়্যার এর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন যা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার পক্ষে ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

উৎসাহ ধরে রাখুন:
উৎসাহ ধরে রাখা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাজ। শুরুর দিকে উৎসাহ ধরে রাখা আরও বেশি কঠিন কাজ। শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের হতাশা চলে আসে। ব্যর্থতা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। সামান্য ব্যর্থ হলেই কাজ বন্ধ করে দেয় অনেকেই। এরকম কখনোই করা যাবেনা। সাফল্য আসার পূর্ব পর্যন্ত নিজের উৎসাহ উদ্দীপনা ধরে রাখতে হবে।

আপনার টিমের ব্যাপারে সচেতন থাকুন:
মনে রাখবেন আপনার টিম আপনাকে সাফল্য এনে দিতে পারে আবার ব্যর্থতাও এনে দিতে পারে। একা একা কখনোই কোন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো সম্ভব নয়। আপনি যে কোন সফল উদ্যোক্তাকে যদি প্রশ্ন করেন, আপনার সফলতার রহস্য কি? তিনি একবাক্যে উত্তর দিবেন, আমার টিমের কারণে আমি সফল। সুতরাং টিমের দিকে আপনাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। টিম যদি সর্বোচ্চ ত্যাগ করে আপনার জন্য কাজ করে তবেই আপনি সফল, আর যদি তা না করে তবে আপনি ব্যর্থ।

Telephone

Website