NSBD Pegion loft

NSBD Pegion loft

আসসালামু আলাইকুম সকল কবুতর প্রেমি ভা?

05/10/2021
Photos from NSBD Pegion loft's post 23/09/2021

অনলাইন থেকে নেওয়া

18/09/2021

# NSBD PEGION LOFT
এই পেজ টাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে, সবাই, সবার বন্ধুদের শেয়ার, করুন,

18/09/2021

কবুতর পালনের গুরুত্ব ঃ কবুতর অত্যন্ত নিরীহ ও শান্ত প্রাণী এবং সহজে পোষ মানে। আমাদের দেশের জলবায়ু ও বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত কবুতর পালনের উপযোগী। কবুতর পালনের গুরুত্ব ক্রমান্বয়ে তুলে ধরা হলো-

এক জোড়া কবুতর ১২ মাসে ১৩ জোড়া পর্যন্ত বাচ্চা দেয়
কবুতরের মাংস সুস্বাদু ও বলকারক বলে সদ্য রোগমুক্ত ও প্রসব পরবর্তী ব্যক্তির জন্য উপকারী
কোন মহৎ কাজের শুরুতে ‘শান্তির প্রতিক’ কবুতর ছেড়ে দেয়া হয়
প্রজনন, শরীরবৃত্তিয় ও অন্যান্য অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মে কবুতর ব্যবহার করা হয়
স্বল্পখরচ উৎকৃষ্ট মানের মাংস ও আয়ের উৎসরূপে কবুতর পালন লাভজনক উদ্যোগ; কবুতর পালন কার্যক্রম ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করছে
বেকার যুবক এবং দুস্থ মহিলাদের কর্মসংস্থানের উপায়
কবুতরের রোগবালাই কম ক্স এরা পোকা মাকড় ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ক্স কবুতর পালন আনন্দদায়ক।

17/09/2021

কবুতর প্রতিপালনের প্রয়োজনীয়তা

কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়। কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং বলকারক হিসেবে সদ্যরোগমুক্ত ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত উপযোগী। রোগীর পথ্য হিসেবে কবুতরের মাংস ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে অনেকে বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর পালন করছেন।

17/09/2021

আসসালামু আলাইকুম
কবুতরের চিকিৎসা সংক্রান্ত সাধারণ পরামর্শ

কবুতর পালকদের কঠিন সময় যায় কবুতর অসুস্থ হলে ৷ বাংলাদেশে কবুতরের চিকিৎসা বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেবার তেমন কেউ নাই ৷ তবে অসুখ হয়েছে এন্টিবায়োটিক খাওয়ান এমন মরামর্শ দেবার লোকের অভাব নাই ৷ মনে রাখতে হবে রোগ মারাত্বক হলে তবেই এন্টিবায়োটিক দিতে হবে এবং মধ্যম মাত্রার এন্টিবায়োটিক , রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না ৷
গ্রাম্য এক মেয়ের অস্বাভাবিক আচরণকে জ্বীনে ধরেছে মনে করে তার অভিভাবক এক তান্ত্রিককে আনলেন ৷ তান্ত্রিক বাবা এসে জ্বীনকে হুমকি ধামকি দিলেন ৷ এরপর কী সব মন্ত্র পড়ে কাঁচা মরিচ মেয়েটির নাকের ভিতর দিলেন ৷ এরপর মেয়েটিকে পেটানো হল ৷ অতঃপর মেয়েটি জ্ঞান হারালে তাকে হাসপাতালে নেয়া হল ৷

অনেক কবুতর পালকই আছেন, যারা কোন চিন্তা ভাবনা না করে ঠিকমত জানেন না এমন ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জ্বীন তাড়ানোর মত মারাত্বক পদ্ধতিতে কবুতরের চিকিৎসা করেন ৷ উল্লেখিত পদ্ধতি প্রয়োগে অনেক মানুষ মারা যায়, আবার বেঁচে থাকলেও নানা সম্যসায় ভোগেন ৷ তেমনি জ্বীন তাড়ানো চিকিৎসায় প্রচুর কবুতর মারা যায় এবং যেগুলো বেঁচে থাকে সেগুলোও সম্যসায় ভোগে ৷ আমাদের কবুতরের অন্যতম সম্যসা কবুতর ঠিকমত ডিম না দেয়া, ডিম না জমা ৷ অনেককেই বলেছি, উল্টাপাল্টা ঔষুধ প্রয়োগের কারনে কবুতরের প্রজননে সম্যসা হয় ৷ মানে কবুতর ঠিকমত ডিম দেবে না, ডিম জমবে না ৷ জানি না, কে কতটুকু বিশ্বাস করেছেন ৷ .

ঠান্ডা, পাতলা পায়খানায় এন্টিবায়োটিক কাজ করে না ৷ অথচ অনেকেই ঠান্ডা লাগলে এন্টিবায়োটিক দিতে পরামর্শ দেন ৷ সাধারণ ঠান্ডা, পাতলা পায়খানা অনেক সময় এমনিতেই ঠিক হয়ে যায় ৷ এতে এন্টিবায়োটিক কোন বাহাদুরী নাই ৷ এন্টিবায়োটিকের প্রয়োগ নিয়ে আলাদা শিরোনামে পোষ্ট দেয়া হবে ৷
কবুতরের বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে, সাল্মনেল্লা (salmonella), কৃমি ও কবুতরের শরীরের মাইট কে নিয়ন্ত্রন করতে পারলে, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান এবং ভালমানের খাবার দেন, তাহলে কবুতর পালন নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। মনে রাখবেন, যত কবুতর রোগে না মরে তার থেকে বেশি মরে উল্টাপাল্টা ঔষধ ও রোগ নির্ণয়ের অভাবে, অধিক পরিমানে ও মাত্রার এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারের ফলে, পরিচ্ছন্নতার অভাবে ৷ তাই এগুলোর ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে ।
• কবুতরের সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক রোগ নির্ণয় জরুরি ৷ রোগ নির্ণয়ের জন্য কবুতরকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয় ৷ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কিভাবে কবুতরকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তা পরবর্তী পোষ্টে জানানো হবে ৷ .

• কবুতরের অসুখ হলে প্রথম কাজ হলো কবুতরকে আলাদা রাখা ৷ কেননা অসুস্থ কবুতর থেকে সুস্থ কবুতরের রোগ ছড়ায় ৷
• কিছু রোগ সাড়তে সময় লাগে ৷ তাই ধৈর্য ধরে চিকিৎসা চালাতে হবে ৷
• অসুখের কথা জেনে ঔষুধ দিলাম ৷ সপ্তাহ পর জানা গেল কবুতর মারা গেলো ৷ ঔষুধ প্রয়োগের পরও কবুতর মারা গেলো ৷ তবে কি ভুল ঔষুধ দেয়া হয়েছে? গিয়ে দেখি কবুতরের খাবারের মধ্যে তেলাপোকা চলাফেরা করছে? কি মারাত্বক অবস্থা ৷ .

কবুতর অসুস্থ হলে শুধু ঔষুধ প্রয়োগই যথেষ্ঠ না ৷ কবুতরকে পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে, নিজে খেতে না পারলে হাতে ধরে খাওয়াতে হবে, তেলাপোকা, ইদুরের উৎপাত থেকে দূরে রাখতে হবে ৷ অসুস্থ হলে ঔষুধের সাথে যে আরও যত্নআত্তি করতে হয়, এই সাধারণ ব্যাপারও যদি নিজের মাথায় না ধরে তবে তো সম্যস্যা ৷
• অসুস্থ কবুতরকে ধরতে হাতে গ্লাফস ও মুখোশ (মাস্ক) পরা উচিত ৷ এবং অসুস্থ কবুতরকে ধরার পর অবশ্যই জীবানুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে ৷ কেননা কবুতরকে রোগের জীবানু মানুষেও সংক্রমিত হয় ৷ .

• চোখের রোগের জন্য চোখের ড্রপ ৫ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
• ভিটামিন বা কোন ঔষুধ দলা বেঁধে গেলে আর ব্যবহার করবেন না।
• ভিটামিন ব্যবহারের পর যদি হলুদ ধরনের পায়খানা করে, তাহলে ওই ভিটামিন আর ব্যবহার করবেন না।
• কবুতর বমি করলে ওমিডন বা এই ধরনের ঔষুধ বেশি ব্যবহার করবেন না। হিস্টাসিন , রেনামাইসিন ধরনের ঔষধ কখনও ব্যবহার করবেন না।
• ঔষধের গায়ে লেখা নির্দেশনা মত ঔষধ ব্যবহার করতে যাবেন না। বাংলাদশে কবুতরের জন্য কোন ঔষুধ পাওয়া যায় না ৷ হাস মুরগির ঔষুধ কবুতরের জন্য প্রয়োগ করা হয় ৷ কিন্তু হাস মুরগি ও কবুতরের গঠন একই রকম না ৷ .

• দ্রুত রোগ সারানোর জন্য কখনই বেশি মাত্রায় ঔষুধ খাওয়ানো যাবে না ৷ বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক ৷ একে তো কবুতর বেশি মাত্রার ঔষুধের ধকল সহ্য না করতে পেরে মারা যেতে ৷ দ্বিতীয় তো বেশি মাত্রায় ঔষুধ খাওয়ালে কবুতরের ইমিউনিটিতে এবং প্রজননে সম্যসা হতে পারে ৷ যদি কোন ঔষুধ খাওয়ানোর তিন দিনের মধ্যে কোন উন্নতি দেখা না যায়, সেক্ষেত্রে ঔষুধ পরিবর্তন করা যেতে পারে ৷ কিন্তু বেশি মাত্রায় দেয়াটা উচিত হবে না ৷ কিছু রোগে তিনদিন পরেও অবস্থার উন্নতি নাও হতে পারে ৷ কিছু পরিস্থিতিতে ঔষুধের মাত্রা বাড়ানো যায়, যা বুঝতে আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ৷ .

• অনেকে মনে করেন হারবাল ঔষুধ কবুতরকে দিতে হয় না ৷ অথচ আমরা জানি, অ্যালোপ্যাথি প্রয়োগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, কিন্তু হারবাল এবং হোমিওতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই ৷ তবে কেন কবুতরকে হারবাল দেয়া যাবে না? .

• একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা ৷ হোমিও ঔষুধ সঠিক শক্তি এবং পরিমাণ ব্যবহার করলে কোন সম্যসা হবে না ৷ তবে বেশী শক্তির এবং পরিমাণে প্রয়োগ করলে সম্যসা হওয়া স্বাভাবিক ৷ .

• কখনই হোমিও এবং অ্যালোপাথি (মানুষের এবং ভেটেরিনারি) ঔষুধ একত্রে প্রয়োগ করবেন না ৷ .

• এন্টিবায়োটিক, হোমিও, হার্বাল, মানুষের ঔষুধ এক সাথে খাওয়াবেন না ৷ .

• ঔষুধ কখনই খোলা জায়গায় রাখবেন না ৷ বিশেষ করে গরমের সময় তো ভুলেও না ৷ স্টীলের আলমারী, ফাইল কেবিনেটেও না ৷ কাঠের বাক্স বা আলমারীতে ঔষুধ রাখবেন ৷ ঠান্ডা জায়গায় ঔষুধ ভাল থাকে ৷ ঔষুধের গায়েও লেখা থাকে ঠান্ডা এবং শুষ্ক স্থানে ঔষুধ সংরক্ষণ করুন ৷ সাধারণত ক্যাপ (সীল) খোলার পর কোন কোন ঔষুধ ৬০ দিন পর্যন্তও ভাল থাকে ৷ তবে ৩৫/৪০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করা উত্তম ৷ কিন্তু সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে ১০/১৫ দিন পরেই ঔষুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে ৷
• ভিটামিন বা ঔষুধ যেন রোদে না রাখা হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে ।
• কোন ঔষধ বা ভিটামিন ৮ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না।
• ঔষুধ খাওয়ানোর পর যদি কবুতর বমি করে, তবে খাবার খাওয়ানোর আগে ঔষুধ খাওয়াবেন ৷ এবং দানাদার খাবারের পরিবর্তে তরল খাবার (চালের স্যালাইন, বার্লি অথবা আটা গুলিয়ে) খাওয়াবেন ৷
• কবুতর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দুই/তিন ঘন্টা রোদে রাখুন ৷ গরমের সময় এমনভাবে রোদে রাখুন ৷ গরমের সময় এমনভাবে রোদে রাখতে হবে, যাতে একপাশে ছায়া থাকে ৷
• ভুল ঔষুধ প্রয়োগ করলে বা ঔষুধ পরিবর্তন করতে হলে, নতুন ঔষুধ খাওয়ানোর ১/২ ঘন্টা আগে prevnone ১/২ ফোঁটা খাওয়াতে হবে ৷
• রোগের চিকিৎসা চলাকালীন কবুতরকে অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে ৷ আবহাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ শুধু ঔষুধ প্রয়োগই যথেষ্ট না ৷ গরমের সময় ঠান্ডা এবং শীতের সময় গরমের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ কবুতর নিজে খেতে না পারলে চালের স্যালাইন দিতে হবে। অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ৷
• কবুতর মারা গেলে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে শরীরের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষার জন্য এভিয়ান পশুচিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত ৷ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা (ময়না তদন্ত) করলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে এবং সঠিক ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে ৷ .

• কবুতরের চিকিৎসার জন্য কয়েকজনের কাছ থেকে পরামর্শ না নিয়ে ভালো জানে এমন একজনের পরামর্শ গ্রহণ করুন ৷
• একই রোগে, একই ঔষুধ একইভাবে খাওয়ানোর পর একেকজনের অভিজ্ঞতা একেক রকম হতে পারে ৷ ধরুন, রক্ত আমাশয়ে ৫ দিনের চিকিৎসাতেই আমার কবুতর সুস্থ হতে পারে ৷ আর আপনারটা ১০ দিনের চিকিৎসাতেও পুরো সুস্থ নাও হতে পারে ৷ তাই চিকিৎসা ভুল হয়েছে এমন না ভেবে পরবর্তীতে কি করতে হবে, তা ভাল জানে এমন কারও কাছ থেকে জেনে নিতে হবে ৷
• খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা - ঔষুধ নির্বাচন করতে যে কারও ভুল হতে পারে ৷ কারও পরামর্শে কোন ঔষুধ প্রয়োগে কবুতর সুস্থ না হলে বা সম্যসার সমাধান না হলে, পরামর্শ দাতা জানেন না, এমনটা মনে করবেন না ৷ আবার সঠিক ঔষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগের পরও কবুতর মারা যেতে পারে ৷ যদি এই কথা মেনে না নিতে না পারেন, তবে আর সামনে না যেয়ে এখানেই FULL STOP দিন ৷ এরপর আপনার যা ইচ্ছা করুন ৷

ইচ্ছে করে ভুল পরামর্শদাতা ব্যতিত, কবুতরের ক্ষতির জন্য পরামর্শ দাতা না, পরামর্শ গ্রহীতা দায়ী ৷ পরামর্শ গ্রহীতার দায়িত্ব, সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে, এমন কারো কাছ থেকেই পরামর্শ নেয়া ৷
• রোগের প্রতিকার বা চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম ৷ তাই কবুতরের রোগ প্রতিরোধের দিকে গুরুত্ব দিন।

17/09/2021

NSBD PEGION LOFT
আপনাদের স্বাগতম

Telephone

Website