Law & Lawyers Foundation

Law & Lawyers Foundation

Law, Human Rights & politics

08/06/2023

একটি গনতান্ত্রিক সরকারের একটাই চাপ থাকবে সেটি হলো জবাবদিহিতা। বিদেশি চাপ বলে কিছু নেই। বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্র। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। এই সংবিধান অনুযায়ী জনগণ সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করবে জনপ্রতিনিধিদের যারা এই দেশটাকে চালিয়ে নিবে। সমস্যা ঠিক এই জায়গাটায়! জনগন ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পাচ্ছে না! তারা তাদের ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন করছে। এই লড়াইটা সরকারের ওপর সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। এটা কোনোভাবেই বিদেশি চাপ নয়, বরং এটা বাংলাদেশের জনগণের চাপ। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গনতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটা ভিসা নীতি প্রকাশ করেছে। কিন্তু সরকার সমর্থিত চ্যানেলগুলো এই ভোটাধিকারের আন্দোলনকে অন্য পথে প্রবাহিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী টকশো, খবর সিরিজ আকারে প্রচার করছে! এমনকি সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র কতৃক ঘোষিত ভিসা নীতি বিদেশি চাপের শামিল! এটি একটি জঘন্য মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার। আমেরিকার ওপর দোষ চাপিয়ে শেষ মুহুর্তে এই অবৈধ সরকার মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন আমাদের সমর্থন করেনি এবং শেখ মুজিব স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর তারা আমাদের দেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখন কিন্তু চীন আমাদের সরকারের পরম বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আবার আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া ও ভারত আমাদের সহায়তা করেছিলো, এটাকে কি আমরা বিদেশি চাপ বলবো? না, কারণ তখন এই সাহায্যের প্রয়োজন ছিলো। আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিটাও এমন।

আমাদের জনগণ তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে লড়াই করছে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুক্ত গনতান্ত্রিক দেশের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে গনতান্ত্রিক পৃথিবীর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রমোট করা জন্য গনতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর ব্যাক্তিকে ভিসা রেস্ট্রিকশন দেয়ার যে নীতি ঘোষনা করেছে তা কোনোভাবেই বিদেশি চাপ নয়, বরং আমাদের দেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে দারুণ একটা সমর্থন।

The only pressure a democratic government will have is accountability. There is no such thing as foreign pressure. Bangladesh is a People's Republic. According to the constitution of this country, the people are the source of all the powers of the state. According to this constitution, the people will directly elect the representatives who will run this country. The problem is right here! People are not getting the opportunity to elect their representatives by voting! They are agitating for their right to vote. This movement is increasing pressure on the government to hold fair polls. It is not foreign pressure in any way, rather it is the pressure of the people of Bangladesh. In this situation, the United States has announced a visa policy to ensure Bangladesh's democracy, voting rights and human rights. But government backed channels are trying to divert this suffrage movement in the form of anti-US talk shows, news series! Even trying to say from various quarters of the government that the visa policy announced by the United States is part of foreign pressure! This is a blatant lie and propaganda. This illegitimate government is trying to get people's sympathy at the last minute by blaming America.

China did not support us during our great liberation war and after 15th August, 1975 they recognized us but now China has emerged as good friend of our government. On the other hand, Russia and India helped us during our great liberation war, shall we call it foreign pressure? No, because this help was much needed, such is the visa policy of the United States today.

Our people are struggling to regain their democratic rights and the United States, which emerged as the leader of free democratic countries after the Second World War and is leading the democratic world, announced a new visa policy to Bangladeshi people who will try to undermine the democracy, in order to promote the democratic process in Bangladesh which is a great support for the freedom-seeking people of our country.

07/06/2023

আমি বুঝিনা বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজির সম্পর্ক কোথায়? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গনতান্ত্রিক দেশ এবং বাইডেন প্রশাসন সারা পৃথিবীতে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের এক ধরনের পলিসি তৈরি করেছে, এতে সমস্যাটা কোথায়? তারা তাদের ভিসা নীতিতে স্পষ্ট বলেছে- যে বা যারা গনতন্ত্রকে আন্ডারমাইন করার সাথে জড়িত থাকবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা রেস্ট্রিক্ট করা হবে। কয়েকদিন যাবৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পলিসি নিয়ে এক ধরনের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা করছে আমাদের দেশের দালাল মিডিয়াগুলো। এরা প্রতিদিন সরকারের সাথে সুর মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে এবং দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মনোভাব উষ্কে দেয়। আমাদের সংকট হলো সুষ্ঠু নির্বাচন, আমাদের সংকট হলো গনতান্ত্রিক পরিবেশ, আমাদের সংকট হলো স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ। এসবের সমাধান হলে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনার প্রয়োজন হবে না।

I don't understand what is the relationship between holding a fair election in Bangladesh and the Indo-Pacific strategy of the United States? The United States is a democratic country and the Biden administration has developed a kind of policy to establish democracy around the world. They have made it clear in their visa policy that anyone involved in undermining democracy will be restricted from entering the US. For last few days, the media has been spreading a kind of false propaganda against the United States. They are in tune with the government every day to criticize the US and incite anti-US sentiment in the country. Our crisis is fair elections, our crisis is democratic environment, our crisis is freedom of expression. If these are resolved then there will be no need to discuss or criticize the visa policy of the United States.

05/06/2023

নতুন মার্কিন ভিসা নীতি, বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া ও আমার মতামত।
(পাঁচ মিনিট ব্যায় করে পড়ুন ও আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানিয়ে আমাকে/আমাদেরকে আপনার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করুন)

কি আছে এই ভিসা নীতিতে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার এক ঘোষণায় বলেন, যেকোনো বাংলাদেশী ব্যক্তি যদি সে দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়- তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। এর আওতায় পড়বেন বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশী কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যবৃন্দ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরা।

গনতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত বলতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কি বুঝিয়েছেন:
গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, এমন কাজের মধ্যে রয়েছে -
১. ভোট কারচুপি,
২. ভোটারদের ভয় দেখানো,
৩. জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ
সমাবেশের অধিকারচর্চাকে সহিংসতার মাধ্যমে বাধাদান।
৪. নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার
করা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড।

বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া: বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো ও সাধারণ মানুষ মার্কিনীদের এই নতুন ভিসা পলিসিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বিশ্বাস করে নতুন এই মার্কিন ভিসা পলিসির কারণে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে দেশের সকল মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে যা তারা বিগত দুটি নির্বাচনে প্রয়োগ করতে পারেনি।

সরকার ও আওয়ামীলীগের প্রতিক্রিয়া: নতুন এই মার্কিন ভিসা পলিসি আওয়ামিলীগের ভিতরে ভয় ও অস্বস্তি তৈরী করেছে কিন্তু আওয়ামীলীগ তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে দলীয় কর্মীদের এবং দলীয় প্রশাষনিক ক্যাডারদের উজ্জীবিত রাখার জন্য গত ২১ দিনে(৩রা মে থেকে ২৪শে মে) কূটকৌশল নির্ধারণ করতে পেরেছে।

কূটকৌশলের অংশ হিসেবে গনতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সংজ্ঞার চারটি স্তরের মধ্যে শুধুমাত্র ২ নং (১,৩ ও ৪ বাদ দিয়ে) পয়েন্ট নিয়ে তারা কথা বলছে। ২ নং পয়েন্টে বলা আছে- ভোটারদের ভয় দেখানো সম্পর্কে। তারা এটাকে বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী তোলাকে ভোটারদের ভয় দেখানোর শামিল উল্লেখ করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে!

দেখুন গনতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংজ্ঞার যে চারটি পয়েন্ট তার মধ্যে ১ম পয়েন্টটি অর্থাৎ ভোট কারচুপির প্রশ্নটা নির্বাচনের দিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং ২য় পয়েন্টটি অর্থাৎ ভোটারদের ভয় দেখানো, সেটিও নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের ও পরের কয়েকদিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। একারণে ভোটের প্রায় সাত মাস আগে এই দুটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা অর্থহীন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সংজ্ঞার ৩য় ও ৪র্থ পয়েন্ট কেনো গুরুত্বপূর্ণ: ৩য় পয়েন্টে বলা হয়েছে জনগণকে সংঘটিত হওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে এবং সহিংসতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাঁধা প্রদানকারীকে ভিসা দেবেনা যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে তো এতোদিন এই কাজটাই হচ্ছে। বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও কর্মসূচীকে সরকারী দল কখনো তার নিজস্ব লোক দিয়ে বা কখনো পুলিশ প্রশাসন ব্যাবহার করে বাঁধা দিচ্ছে, হামলা করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরছে! আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর ঠিক এই কাজটাকেই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার শামিল হিসেবে বর্ণনা করছে।

৪র্থ পয়েন্টে বলা হয়েছে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা যাবে না। অর্থাৎ ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের মতো সুশীল সমাজকে বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গার কালো পানিতে ফেলা যাবে না বা পত্রিকায় সঠিক সংবাদ ছাপার জন্য কারোর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মালা করে বা অন্যান্য উপায়ে তাদের টুটি চেপে ধরা যাবে না।

কিভাবে এই ভিসা পলিসি গনতন্ত্রকামী মানুষের জন্য সহায়ক: আপনি যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট খেয়াল করেন তাহলে বুঝবেন বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষ, সকল রাজনৈতিক দল(আওয়ামিলীগ ও তাদের দোসররা ছাড়া) একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে দীর্ঘ কয়েকটি বছর আন্দোলন করে আসছে। সেই আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন নির্বিচারে লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস, টিয়ার সেল ও বুলেট ব্যাবহার করেছে এবং সর্বোপরি বিচার বিভাগকেও ব্যাবহার করেছে এই অনির্বাচিত সরকার। ঠিক এই জায়গাটাতেই কাজ করছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তারা নিপীড়কের বিরুদ্ধে ভিসা রেস্ট্রিকশন দিয়ে নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের মন থেকে ভীতি দূর করার চেষ্টা করছে, গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছে। ব্যাস এটুকুই। বর্তমান বাইডেন প্রশাসন কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দিচ্ছে না, তারা শুধু গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাহতকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।

একটি ফুটবল খেলার কথা চিন্তা করুন। একটি দল ভালো ফুটবল খেলে কিন্তু আরেকটি দল তাদেরকে বারবার ফাউল করে খেলায় ফিরতে দিচ্ছে না। ঠিক এই সময় একজন রেফারির দরকার যার পকেটে থাকবে হলুদ ও লাল কার্ড। যিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন ফাউল ঠেকানোর ও ফেয়ার ফুটবল খেলতে বাধ্য করার। বাকীটা ইতিহাস হবে।

আল ফয়সাল সিদ্দিকী,
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
তাং- ২৭.০৫.২০২৩

Telephone

Website