Piraan-পিরান
Every time you wear our attire, let it be a reminder that you have the right to feel special Everyday
এই গরমে আরামদায়ক থ্রি পিস 💝💝
💐💐 For Order Please Inbox Us 💐💐
💛💛
যেকোন স্পেশাল দিনে প্রিয়জনকে টুকটাক উপহার দিয়ে আরো একটু স্পেশাল ফিল করাতে ক্ষতি কি বলুন!
সাধ্যের মধ্যে খুব ছোট উপহারেই কিন্তু ভালোবাসার মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো যায়।
পিরানের বসন্ত কালেকশন থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার প্রিয়জনের জন্য সেরা উপহার টি।
আপনার পছন্দমতো শারি পেতে আমাদের ইনবক্সে টোকা দিতে পারেন।আপনার পছন্দের পণ্য নিশ্চিন্তে পৌঁছে যাবে আপনার প্রিয় মানুষটার হাতে...🌺🌼
বাংলার নারীর চিরবরেণ্য ঐতিহ্যবাহী পোশাক ‘শাড়ি’❤️ বাংলাদেশের হস্তচালিত তাঁতশিল্পের কাছে আকণ্ঠ ঋণী। এই তাঁত শিল্পই বাংলা কুটির শিল্পের সবচেয়ে গতিশীল ও ঐতিহ্যবাহী খাত।
🌺 তাঁতে বোনা পিরানের শাড়ি: ১৪ হাত দৈর্ঘ্যের সেলাইবিহীন এক কাপড়, বাঙালি নারীর প্রিয় এক পোশাক।🌺
আমরা সরাসরি তাতপল্লি থেকে সরবরাহ করছি এই দারুণ শাড়িগুলো। 🤗🤗
💐💐 🕵অর্ডার confirm করতে কাঙ্খিত ড্রেসের ছবি/screenshot, detail address ও contact number টি message করুন।
💐💐 সমগ্র বাংলাদেশ 🏠Cash on delivery তে ড্রেস পাঠানো হয়।
💐💐 👁Delivery man এর সামনে ড্রেস check করে নিন। এর পরে কোনো ধরণের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
💐💐 ১০০% নিশ্চিত হয়ে অর্ডার confirm করুন।
💐💐 অন্য কোনো query থাকলে plz inbox
💐💐 for more update plz join our group - https://www.facebook.com/groups/381755166495649/?ref=share
💝💝
💐💐 আমরা সরাসরি তাতপল্লি থেকে সরবরাহ করছি এই অসম্ভব সুন্দর শাড়িগুলো। 🤗🤗
💐💐 🕵অর্ডার confirm করতে কাঙ্খিত ড্রেসের ছবি/screenshot, detail address ও contact number টি message করুন।
💐💐 সমগ্র বাংলাদেশ 🏠Cash on delivery তে ড্রেস পাঠানো হয়।
💐💐 👁Delivery man এর সামনে ড্রেস check করে নিন। এর পরে কোনো ধরণের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
💐💐 ১০০% নিশ্চিত হয়ে অর্ডার confirm করুন।
💐💐 অন্য কোনো query থাকলে plz inbox
💐💐 for more update plz join our group - https://www.facebook.com/groups/381755166495649/?ref=share
ধৈর্য্য ধরে point গুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ।।👏
💝💝
🖤🖤কালো মেয়েদের প্রেমিক থাকে না।
ওদের থাকে,প-তে-প্রিয়জন।
সেই প্রিয়জন কখনো তাদের প্রেমে পড়ে না।
থাকে ভিতর,ভিতর গড়া একটি 'মায়াজাল'।
এতে ,কালো মেয়েরা আহ্লাদিত হয়ে প্রেমিক ভাবলেও,মূলত সে প্রেমিক নয়।সে হলো নিতান্ত- ই একজন প্রিয়জন।
সে খুঁজতো , কালোর মাঝে কালো পড়লেও কালোর আসল সুন্দর।
"আমি কালো চোখে কাজলের কথা বলছি।"
সে প্রেমিক হলে পূবালী বাতাসে ,
শাড়ির গন্ধে হতো মুগ্ধ।
দুর্ভাগ্য!
কালো মেয়েদের 'সে' প্রেমিক হয় না।ওদের 'সে'হয় প-তে- কেবল- ই প্রিয়জন।🖤🖤
💐💐 For Order Please Inbox Us 💐💐
🖤🖤
💛"কি হবে হাতে হলদে রঙের শাড়ি পরে?
যদি তুমি নাই দেখো...!!" 💛
💐💐 For Order Please Inbox Us 💐💐
💛💛
বাতাসে বসন্ত বসন্ত ঘ্রাণ!🌼
কথা ছিল দু'জনে চা'য়ের চুমুকে দেখিবো কৃষ্ণচূড়া।☕🌸
তবে যে কৃষ্ণচূড়া গাছটি এখনো সাজিয়া উঠেনি বসন্তের সজীবতায়। 🍂
আমরা সরাসরি তাতপল্লি থেকে সরবরাহ করছি এই দারুণ শাড়িগুলো। 🤗🤗
💐💐 🕵অর্ডার confirm করতে কাঙ্খিত ড্রেসের ছবি/screenshot, detail address ও contact number টি message করুন।
💐💐 সমগ্র বাংলাদেশ 🏠Cash on delivery তে ড্রেস পাঠানো হয়।
💐💐 👁Delivery man এর সামনে ড্রেস check করে নিন। এর পরে কোনো ধরণের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না।
💐💐 ১০০% নিশ্চিত হয়ে অর্ডার confirm করুন।
💐💐 অন্য কোনো query থাকলে plz inbox
💐💐 for more update plz join our group - https://www.facebook.com/groups/381755166495649/?ref=share
ধৈর্য্য ধরে point গুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ।।👏
💝💝
Hello There!!!
We are back with lots of love❤️❤️❤️
Stay connected with ❤️❤️❤️
I believe that no one is ready to be a mother, not at 15, or at 23, or at 30, if that baby came into your life it is for something and it comes with a purpose😍🤰
একটা কথা বলি শোনো মেয়েরা, জীবনে আর যাই করো, এটলিস্ট এতটুক সেল্ফ ডিপেন্ডেড হইয়ো, যেন তোমার নিজের মন ভালো করার ক্ষমতাটা তোমার থাকে। যেন নিজেকে নিজের পিরিয়ড এর সময় বিশাল বড় একটা আমুল এর ডার্ক চকলেট এনে দিতে পারো, যেন হুটহাট দু চারটে শপিং করে আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় চলে আসতে পারো। যেন এক্সস্টেড লাগলে ঘন্টাখানেক পার্লার এ গিয়ে ম্যাসাজ নিতে পারো। এর জন্যে যেন কারো আশায় বসে থাকতে না হয়। যেন মন খারাপ এর সময় কেউ কেন মন ভাল করার চেষ্টা করছেনা এটা নিয়ে পড়ে না থেকে নিজেই একটা ইন্টারেস্টিং কিছু করে ফেলতে পারো। পছন্দের মুভি/ ড্রামা দ্যাখো, নিজের শখের গার্ডেন করো, একুরিয়াম টেরারিয়াম বানাও, পেট এনিমেল রাখো, কিছু লেখো অথবা একটু গিটারই নাহয় বাজাও! মেয়ে তুমি রাতের আকাশ দ্যাখো, ভোরবেলা এক কাপ গ্রিন টি হাতে সান রাইজ দ্যাখো। একটা লম্বা শাওয়ার নাও। কনফিডেন্স বাড়বে। সেল্ফ কেয়ার ম্যাটার করে গার্লস। নয়তো আজীবন আমার ফ্যামিলি আমারে বুঝেনা, বয়ফ্রেন্ড কেয়ারলেস, হাসবেন্ড আমার ফিলিংস বুঝেনা ওয়ালা দুঃখবিলাস চলতেই থাকবে। তোমারে তোমার চেয়ে ভালো বুঝার ক্ষমতা কারোরই নাই!!!
১১ আশ্বিন, ১৪২৯
©মাসুমা আতিয়া কেয়া
প্রাপ্তির শেষ কোথায়?
বিবাহিত?
সংসারে অশান্তি। তালাক দিয়ে সব মিটমাট করে ফেলতে ইচ্ছা করে!
অবিবাহিত?
সারাক্ষণ বিয়ের ভাবনায় দিন কাটে। সঙ্গীকে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর!
ধনী?
একটু শান্তি আর সুখের খোঁজ কোথা থেকে পাওয়া যায়, তা ভাবতে ভাবতে বিষন্নতায় ডুবে থাকা!
গরীব?
আরও বেশি অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে ফেরা!
শিশু?
কবে যে বড় হবো? সবাই ছোট-ছোট বলে!
প্রাপ্তবয়স্ক?
ইশ্! সেই শৈশবটাকে যদি আবার ফিরে পেতাম!
সন্তানপ্রাপ্ত?
এইগুলোর যন্ত্রণায় জীবনটা শেষ হয়ে গেল। একটাও মানুষ হলো না। যাদের সন্তান নেই তারাই ভালো আছে!
নিঃসন্তান?
আল্লাহ্, পৃথিবীর যেকোন কিছুর বিনিময়ে আমাকে সন্তান দাও!
চাকুরীজীবি?
দিনভর এত খাটুনি আর ভালো লাগে না!
বেকার?
কবে যে একটা চাকুরী হবে!
সেলিব্রেটি?
মুখ লুকাতে ব্যস্ত!
সাধারণ ব্যাক্তি?
সেলিব্রেটি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর!
✔️এই জগতে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া মানুষের এই অসীম ইচ্ছা, চাহিদা আর অপূর্ণতাকে দমানোর কোনো শক্তি নেই।
কাজেই আসুন, যে যেই অবস্থানে আছি আলহামদুলিল্লাহ বলে, সেখান থেকেই নিজের মনের সর্বোচ্চ প্রশান্তিটা খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করি।
আল্লাহ আপনি আমাকে যেভাবে রেখেছেন অনেক ভাল আর অনেক সুখে রেখেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ।🤲❤️
আপনি ঠিক কোন পর্যায়ে গিয়ে কারো কাছে হাত পাতবেন তা আপনার পরিস্থিতির উপর ডিপেন্ড করেনা, ডিপেন্ড করে আপনার ব্যাক্তিত্বের উপর।
অনেকেই দেখবেন খুব করুন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, হয়তো ঘরে তিন বেলার খাবার নেই, তাও কারো কাছে হাত পাতছেন না। প্রানপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করার। আরেক দল দেখবেন- সব আছে, হয়তো কোন বিলাসী জিনিসের অভাব; তার জন্যও হাত পাতছেন, ভিক্ষা চাচ্ছেন।
আমি গ্রামে এমন ছাত্রও দেখেছি যে একবেলা ভ্যান চালিয়ে আরেক বেলা পড়াশোনা করেছে। ঈদের সময় নতুন জামা না কিনে স্কুল ড্রেস কিনে সেটা ঈদের দিন পরেছে, এরপর সারা বছর ঐ ড্রেস গায়ে দিয়ে স্কুলে গিয়েছে। স্কুল থেকে ফিরে বেশিরভাগ সময় গামছা গায় দিয়ে ঘুরেছে। এগুলো আমার নিজের চোখে দেখা। সেই ছাত্রকে আপনি হাতে পায়ে ধরেও তার হাতে ২০০ টাকা গুজে দিতে পারবেন না, কারন ভিক্ষা বা সাহায্য নেয়া তার স্বভাবে নেই।
অন্যদিকে ফেসবুকে অহরহ পোস্ট দেখবেন- "কেউ আমাকে একটা শাড়ি দেবেন, একটা বিয়ের দাওয়াতে পরে যাবো", " কেউ আমার বাচ্চাকে কিছু খেলনা দান করবেন, কেনার টাকা নাই", "কেউ আমাকে একটা টাচ মোবাইল দান করবেন, গ্রুপচ্যাটে পড়াশোনা করবো"।
সত্যিই কি বিয়ে বাড়িতে যাওয়াটা এতোই দরকার যখন আমার ঘরে পরার শাড়ি নাই? অথবা টাচ মোবাইল নাহয় পাইলেন বাট এমবি কিনবেন কোন টাকা দিয়া?
আর বাচ্চাদের খেলনাও কেউ দান সাকাত চায়? অথচ আমার মেয়ে তো আজ অবদি তার সমস্ত খেলনা এক সাইডে সরায় রাইখা রান্না ঘরের বেলুন আর ডাল ঘুটনি দিয়াই খেইলা গেলো। তার প্রিয় খেলনার তালিকায় আছে- শ্যাম্পুর খালি বোতল, আমার বাবার কানের মেশিন, চিরুনি, ফ্রাই প্যানের ভাঙা হাতল এগ্লা।
এগুলাও কী আপনাদের ঘরে নাই?
ছোট একটা উদাহরণ দেই। বছরখানেক আগে এক প্রেগন্যান্সি গ্রুপে একজন পোস্ট করলো তার বাচ্চাটার ঠান্ডা লেগে গেছে সারা রাত ডায়পার ছাড়া ঘুমিয়ে, ডায়পার কেনার টাকা নাই। আরেকজন জানালো তার বাচ্চার শীতের জামা কেনার টাকা নাই। আমরা গ্রুপের প্রায় ১৫/২০ জন মায়েরা মিলে চাঁদা তুলে তাদেরকে ভাল একটা এমাউন্ট দিলাম।
কিছুদিন পর দেখলাম সেই ২য় মহিলা আবার সবার কাছে টাকা চাচ্ছে তার বাচ্চার একটা ট্রাই সাইকেল লাগবে তার জন্য। এক আপু সেটাও কিনে দিলেন। এবার দেখলাম তিনি আবার পোস্ট করলেন তার বাচ্চার জন্মদিন করতে চান। তারপর দেখলাম তিনি বাচ্চার জন্য ফিডার ওয়ার্মার কিনতে চান, টেন্ট হাউজও কিনতে চান, ফিডিং চেয়ারও কিনতে চান, বেবি স্ট্রলারও কিনতে চান, আমার পেজের জামদানীও কিনতে চান এবং এই সবগুলোর জন্যই তিনি দান সাদকা চাওয়া শুরু করলেন।
আমরা গ্রুপ থেকে সেই মহিলাকে ব্যান করলাম।
এরপর তিনি সবার মেসেঞ্জারে টাকা চাওয়া শুরু করলেন। আমি তখন তাকে একটা জব অফার করলাম। তিনি আমাকে ব্লক করলেন 🤷♀️🤷♀️🤷♀️।
আসলে ভিক্ষা চাওয়াটা একটা অসুখ। এই অসুখে একবার ধরলে তাকে আর বের করা যায়না। বিশ্বাস না হলে ঢাকা শহরের যে কোন কর্মক্ষম ভিক্ষুককে আপনি ১০/১৫ হাজার টাকার স্যালারি সহ জব অফার করেন, দেখবেন ও পাশ কাটিয়ে যাবে, জীবনেও করবেনা।
আর ভিক্ষা দেয়াটা একটা দুর্বলতা। আমরা যখন ফেসবুকে এইসব পোস্টধারীদেরকে বিকাশে টাকা দেয়া শুরু করি, তারা আমাদের দুর্বলতা খুঁজে পায়।
একবার এক মেয়ে আমার পেজে মেসেজ করে জানালেন- তার মা মৃত্যু সয্যায় রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার মায়ের খুব শখ একটা জামদানী পরা, আমি যেন তাকে এটা দান করি।
আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে বললাম- আপনার হাসপাতালের ঠিকানা দেন। আমি নিজে রাজশাহী এসে উনার হাতে শাড়িটা তুলে দিতে চাই 😭😭😭।
মেয়েটা আমাকে তৎক্ষনাৎ ব্লক মারলো 🫡🫡🫡।
যাই হোক, আবেগে ভাসার আগে একটু ভেবে দেখবেন- বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ, আর ফেসবুক আইডি ১৮ কোটি। আপনার আব্বা-আম্মা কী ফেসবুক আইডি চালায়?
যদি না চালায় তাইলে উনার জন্য বরাদ্দ আইডিটা অন্য কেউ চালাচ্ছে এঞ্জেল মিথিলা নামে, আর সেটা দিয়ে টাকা আদায় করতাছে আমাদের কাছ থেকেই।
- Nadia Parvin Juthi
❤️❤️ পিরান এর প্রথম Sale!!
মনে পরে গেল সেইদিন গুলো!!
স্বপ্ন দেখি পিরান আবার ফিরবে ইন শা আল্লাহ!!
❤️❤️
আচ্ছা কেমন হতো, যদি সন্তান জন্মদানে বাবা-মা দুজনকেই সমান পরিশ্রম করতে হতো?
বাবা-মা একসাথে প্রেগন্যান্ট হতো?
একসাথে মর্নিং সিকনেস এর অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতো?
একসাথে সারাদিন পেটে একটা খাবার না থাকলেও টানা বমি করে যেতো?
তারপর একসাথে অফিস থেকে দুজনকেই প্রেগ্ন্যাসি লিভ নেয়া লাগতো?
দুইজনেই ইনকাম বন্ধ করে অনাগত বাচ্চার জন্য অপেক্ষা করে যেতো?
সারারাত নির্ঘুম রাত, বারবার ওয়াশরুমে যাওয়া, মাঝরাতে রাক্ষসের মতো ক্ষুধা লাগা?
সব কিছুই যদি দুজনের হতো?
যদি একসাথেই দুজন ওটিতে জীবন আর মৃত্যুকে দুই পাশে রেখে শুয়ে থাকা লাগতো?
একসাথেই দুজনের পুরো শরীরটাকে অর্ধেক করে কেটে ফেলা হতো?
এরপর দুজন মিলে মাসের পর মাস নির্ঘুম রাত, বাচ্চার ক্ষুধা লাগলো কিনা, ঘেমে গেলো কিনা, ডায়পার চেঞ্জ করা লাগবে কিনা সব একসাথে করা গেলে কেমন হতো?
আর এরপর, আর কী? দুজনে মিলেই চাকরি বাকরি গোল্লায় দিয়ে সভ সার্টিফিকেট আলমারিতে তুলে রেখে বাচ্চার জন্য নতুন নতুন রেসিপি রান্না করলেন? চাকরি করে তো আর বাচ্চা মানুষ করা যায়না তাইনা?
জানেন, সৃষ্টিকর্তা হয়তো একবার চেয়েছিলেন এই সবগুলো যন্ত্রনা দুজনকেই একসাথে দিতে কারন সন্তান তো আপনাদের দুজনেরই।
কেন দিলেন না জানেন?
কারন এই অবর্ননীয় কষ্ট একজন ভোগ করলে আরেকজন যেন তাকে সাপোর্ট দিতে পারে।
এবং এই সাপোর্ট দেয়ার দায়িত্বটা তাকেই দিলেন যিনি দুজনের মধ্যে তুলনামূলক বেশী দায়িত্বশীল।
তাহলে সন্তানের বাবা,
আপনি আপনার দায়িত্বটা পালন করছেন তো???
আপনার স্ত্রী সারা রাত জেগে থাকলে আপনি যদি ভাবেন- "কাল সকালে আমার অফিস আছে, আমি ঘুমাই", তাহলে সৃষ্টিকর্তাকে গিয়ে কী জবাব দেবেন তা রেডি করে রেখেছেন তো?
©Nadia Parvin Juthi
🤣🤣
বছর দুয়েক আগের কথা বলি- আমি প্রচুর ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম।
না, টাকা পয়সার অভাবে না, আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে।
স্থাপত্যে পড়াশোনা করেও নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডকে ধরে রাখতে না পারা, শিক্ষকতা শুরু করার পর ম্যাটার্নিটি লিভ আর করোনাকালীন স্থবিরতা, একের পর এক গভঃ জব এক্সাম দিয়ে যাওয়া। কেন যেন মনে হচ্ছিলো জীবন যুদ্ধে যতোই দৌড়াচ্ছিনা কেন, আমি হেরে যাচ্ছি বারবার।
আমি জীবনে পড়াশোনার পেছনে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম এবং সময় ব্যয় করেছি। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি এসবের বাহিরেও জব এক্সামের পেছনে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। এমনও হয়েছে আমার চার মাসের মেয়েকে পায়ে দুলিয়ে সারা রাত বই হাতে নিয়ে পড়েছি।
একটার পর একটা জব এক্সাম দিচ্ছিলাম, রেজাল্ট আসছিলো না। ৪১ তম বিসিএসে চমৎকার প্রিপারেশন ছিল, ৯৫ মার্ক পেয়ে বসে গেলাম।
আর এই সবকিছুর সাথে যোগ হয়েছিলো আত্মীয়-অনাত্মীয়দের কথার আঘাত- "এতো শিক্ষিত হয়ে কি লাভ হলো, সেই তো বসেই আছো"।
একদিন মাঝরাতে পড়তে পড়তে হটাৎ কি ভেবে যেন একটা পেজ খুলে ফেললাম, নাম দিলাম একমাত্র মেয়ে আনাবিয়ার নামে। নিজেও জানিনা কেন করলাম, বা কি করলাম।
এরপর তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে সৃষ্টিকর্তাকে বলেছিলাম- আমি এই নিদারুণ মনোকষ্ট থেকে মুক্তি চাই।
তারপরের জার্নিটা নাহয় অজানাই থাক। ৪১ তম বিসিএসের হল থেকে বের হয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম হয় এখান থেকেই ক্যাডার হবো, অথবা জীবনেও আর জবের জন্য পড়বোনা।
সত্যিই আমি পড়িনি আর।
দুই বছর পর এসে যদি নিজের কাছে জানতে চাই আমি কেমন আছি, তবে বলবো- আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের একজন।
না, আমি বিজনেসে করছি, টাকা উপার্জন করছি একারনে না। আমি এখন আত্মপরিচয়হীনতায় ভুগছি না।
এটা যে একটা নারীর কাছে কতো বড় প্রাপ্তি তা বলে বোঝানো যাবেনা।
এবার নিজের বিজনেসের কথা বলি, দুই বছর আগেও আমার কোন টার্গেট ছিল না আমি ঠিক কোন পর্যন্ত যেতে চাই, কি কি পেতে চাই।
শুধু জানি, সৃষ্টিকর্তা আমায় দু'হাত ভরে দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের এতো ভালোবাসা, এরচেয়ে বেশী প্রত্যাশা আমার ছিল না।
আর সেল আপডেট? সত্যি বলতে আমি বদ নজরে বিশ্বাস করি, তাই আমার সেল আপডেট কোথাও শেয়ার করিনা। তবে এতোটুকু বলতে পারবো, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এ যারা বর্তমানে কাজ করছেন তাদের যে কারো কাছেই তা হয়তো ঈর্ষনীয় হবে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে- রাতের পর রাত জেগে পড়াশোনা করে আমি যেসব জব এক্সাম দিতাম আর হতাশ হতাম, ঐসব জব এক্সামের রেজাল্ট পরে বের হয়েছে। করোনার কারনে অনেক আনপাবলিশড রেজাল্ট আটকে ছিল, পরে পাবলিশ হয়েছে। হ্যাঁ, আমার ডাক এসেছে।
কিন্তু এখন আর ফেরার উপায় কি, আজকে আমার আনাবিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে আছে আরো শত শত পরিবারের কর্মসংস্থান। তাই, সরকারি চাকরিগুলো নাহয় আমার মতো আর অনেক রাত জাগা মায়েদের জন্য তোলা থাকুক।
এগুলো গত বছর আমার আনাবিয়া পেজের এক বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের ছবি। আমরা অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়েছিলাম সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের স্কুলে। প্রায় ৭০-৮০ জন বাচ্চা, ওদের সাথে সারাদিন কাটিয়েছি। ওদের সবার সাথে এক বেলা খাবার খেয়েছি, ওদের হাতে তুলে দিয়েছি শিক্ষা উপকরণ। আমার কেন যেন মনে হয়- ক্যারিয়ার, সংসার, সন্তান সবকিছুর উর্ধ্বে আমাদের একটা জিনিস দরকার, তা হলো মানসিক শান্তি।
আমরা সবাই সেই শান্তি চাই, কিন্তু কিভাবে খুঁজে পেতে হয় তা জানিনা।
আর হ্যাঁ, সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কি জানেন?
আপনার লাইফ পার্টনার।
যিনি আপনার কষ্ট বুঝবে, আপনার হ্যাঁ তে হ্যাঁ, না তে না বলে গলা মিলাবে।
আলহামদুলিল্লাহ, এটা বোধহয় সৃষ্টিকর্তা নিজের থেকেই আমাকে মিলিয়ে দিয়েছেন তাই তাকে আর ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা।
শুধু বলতে চাই- আমি অকৃতি অধম, বলেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি।
Collected 🖤