Md Ibrahim Khalil
Founder of Magsaysay welfare Foundation.রাস্তার পাশের মানুষগুলো।
আমার পরিবারের সদস্য,বন্ধু,পিতৃতুল্য শিক্ষক,পাড়া প্রতিবেশী,সহপাঠি, ফেইসবুকের বন্ধুসহ আমার সকল শুভাকাঙ্খী আমার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রাত ১২ টার পর থেকে আমাকে অনলাইন অফলাইনে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন আমি প্রত্যেকটি মানুষের নিকট চির কৃতজ্ঞ।আপনাদের এই ভালোবাসা আমাকে অনেকদিন বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দেয়।সবথেকে বিস্মিত হই তখন,যখন অনেক মানুষ যাদেরকে আমি কোনদিন সামনে থেকে দেখি নাই তারা ও ইনবক্সে আমার এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে আমার খোঁজ খবর সহ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।একজীবনে এর থেকে বেশি আর কি ই বা পাওয়ার আশা করতে পারি।আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।❤️❤️❤️এই বিশেষ দিনে সকলের নিকট একটি দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাকে সদাসর্বদা মানুষের জন্য কাজ করার এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত একজন ভালো মানুষ হিসাবে কবুল করে নেয় সেই দোয়া কামনা করি।
যত বেশি প্রত্যাশা, তত বেশি হতাশা । চাহিদা যত কম, জীবন তত সুন্দর ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আব্বা অনেকটা সুস্থ।আপনাদের থেকে এতো এতো দোয়া ও ভালোবাসা পেয়েছি যে, আমাদের পরিবার আপনাদের নিকট অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।আপনারা আরো দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন।
Eid Mubarak
সকলকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন শুয়াইব
সবকিছু অসাধারণ ছিল
তোর আগামীর জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা।
Eid Mubarak
গোলাপ গ্রাম
খাগান,আশুলিয়া।
ধন্যবাদ Badrul Alam
আমাদের একজন মেহেদী হাসান মিরাজ আছে❣️❣️❣️❣️
আমি আমাকে খুজি আপন নিরালায় ❣️❣️
কিছুটা সময় এই ডেস্কে দেওয়াটাই উত্তম😍😍😍
নিজেকে ভালোবাসতে পারাটা জীবনের সবথেকে বড় সফলতা❣️❣️
সাফল্যের কোনও গোপন রহস্য নেই। এটি প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার ফলাফল ।
— কলিন পাওয়েল
কিছু সময় আমাদের শিক্ষা দিয়ে যায়,, সেই শিক্ষা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের দিকে রওনা হতে হয়।না হলে পরবর্তীতে আমাদের অনেক পাস্তাতে হয়।
মানুষ মানুষের জন্য নয় শুধু নিজের প্রয়োজনে বেঁচে থাকে,,জানি আমার কথার সাথে সকলে একমত না ও হতে পারেন তবে এইটাই সত্য কথা।
আমরা ২৫ বছর বয়সে যখন পরিবারের নিকটে হাত পাতি আর দিব্বি ঘুরে বেড়াই। সেখানে এইটুকু বয়সে নিজের জীবনের সাথে কত দায়ীত্ব গ্রহণ করেছে?এই অসহায় মানুষগুলো অনেক অনেক ভালো থাকুক।
অভিনন্দন বাংলাদেশ 😍
তোমার ইতিহাস তোমার হাতের তালুতে নয়,,তোমার ৩ ইঞ্চি ভিজিটিং কার্ডে মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে।
দূর আকাশের ঐই নিলিমায়
আমি আকাশ ছুঁতে চাই।
বারবার আমি যত হোঁচট খাই,
আমি পিছনে নয় সামনে যেতে চাই।
সময়টা সেই ৩ বছর আগের,,,সময় সময়ের নিয়মে যাচ্ছে চলে আমি আছি আমার নিয়মে।
সেই সময় কই আজকেও নিজেকে নিয়েই শুধু ভেবে চলেছি।
তারাইতো আসল মানুষ যারা অন্যের সুখ, দুখেরঃঅনুভূতিকে আপন করে নেয়।
অরাও মানুষ,,, যাদের কেউ নেই তাদের একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাই নাই,,ওদের কষ্টগুলো কেউ বুঝতে চায় না।
মানুষগুলোর সাথে আমার আমার খুব পরিচয়,, ওদের কথাগুলো আমার কানে বাজে। স্থান:কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন,,,২০১৯
অভিমান করে যদি উন্নতি করা যায় তাহলে সেটা জীবনের সেরা অধ্যায়,,,অভিমান করে যদি অবনতি হয় তাহলে সেটা জীবনের কলংকিত অধ্যায়।
সময় মানুষকে বাঁচতে শিখায়।
পচে যাওয়া সমাজের আসল চেহারা। ঘুষ খাও , চুরি কর, ডাকাতি কর কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো সৎ পথে কষ্ট করে উপার্জন করা!আর যদি সে পথে কেউ করে তাহলে তাকে নিয়ে উপহাস করা।
রাতের অন্ধকারে আমরা ঘুমিয়ে থাকি,,, আমাদের কত আরামদায়ক বিছানায় বা শান্তির কুঠির সুন্দর বাড়িঘরের মাঝে।কিন্তু আমাদের চারপাশে কত মানুষ না খেয়ে থাকে সে খবর কি আমাদের কাছে আছে?
আমরা যদি একদিন রেইল-ষ্টেশন বা ফুট ওভার ব্রিজ কিংবা ফুটপাতের মাঝে ঘুরি তাহলে আমাদের ধারণা পরিবর্তন ঘটবে।
স্থানঃটঙ্গী রেলওয়ে ষ্টেশন
#মানব_সেবাই_মানবতা
Magsaysay welfare foundation-ম্যাগসেসে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন
স্বার্থপর এই দুনিয়ায় ক,জন আছে যে,অন্যকে নিয়ে ভাবে,আর যারা ভাবে তারা সত্যি অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
মানুষের ব্যক্তিত্ব তার আচরণের মাধ্যমে ফুটে উঠে।
হার না মানা এক বাবার গল্পঃ
বাড়ি কিশোরগঞ্জ নাম রফিকুল,গতকাল আমরা মগবাজার রেলগেইট থেকে আসব ট্রাকস্ট্যান্ড এমন সময় এক চলন্ত রিক্সা চলে যাচ্ছিল।জিজ্ঞাসা করলাম খালি জাবেন? উত্তরে বলল যাওয়াইতো আমার কাজ তো আপনারা কোথায় জাবেন?বললাম তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড,বলল চলেন যাই,, আমি বললাম ভাড়া কত?উনি বলল ৩০ টাকা।আমি বললাম না ২৫ পাবেন।উনি বলল তাহলে ২০ দিয়েন। আমি বিস্মিত হয়ে বললাম এটা কেমন কথা? উনি বলল মামা ৫ টাকা আপনি দিবেন না তাহলে আর কি করার? আমার কাছে ভাংতি নাই। আমি বললাম তাহলে চলেন যাই।
এখন বুজতে হবে লোকটা একটু চটপটে ও চালাক।
আমার একটা বদ অভ্যাস হল রিক্সায় চড়ে তাদের সাথে খোশ গল্প করা।জিজ্ঞাসা করলাম বাড়ি কোথায়? ছেলে মেয়ে কত জন?
উনি বলল আমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ,নাম রফিকুল।মজার ব্যাপার হল উনি প্রেম করে বিয়ে করেছে।উনার শশুর বাড়ির লোকজন অনেক বৃত্তশালী প্রথমে নাকি ৫ বছর মেনে নেয় নি।পাঁচ বছর পর উনার একটা মেয়ে হয়।
এখন ১ ছেলে ১ মেয়ে!
উনার জিদ উনার শ্বশুর বাড়ির সবাই সরকারী চাকুরী করে তাই উনার "মেয়েকে উনি বি.এ পাশ করিয়ে প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী করাবে" আর একটা "ঘর" করবে আর ছেলে কে "পুলিশ অফিসার" বানাবে। ১৭ লাখ টাকায় একটা বিল্ডিং বানিয়েছে মেয়েও একটা প্রাইমারীতে চাকুরী করছে।বাকী রইল ছেলের পুলিশের চাকুরী। ছেলে ছোট এই আশাটা পূরণ হলে তার বিধাতার নিকট আর কিছু চাওয়ার নেই।আমি বললাম এত চাকূরী থাকতে পুলিশ কেন? উনি বলল আমি ঢাকাতে যখন কাজ করি তখন আমি পুলিশ দ্বারা অনেক লাঞ্চিত হই। তাই ছেলেকে।পুলিশ বানিয়ে বলব হয় তোর বাবাকে হাত কড়া পরাবি না হয় সৎ ভাবে দেশের জন্য কাজ করবি।সমাজের জন্য কাজ করবি,তোর বাবা একজন রিক্সা চালক এই পুলিশ অনেক অন্যায়ভাবে মানুষকে হয়রানী করে তুই ভালোভাবে মানুষের জন্য কাজ করবি।এখন থেকে নাকি ট্রেনিং দিচ্ছেন উনি আর উনার সহধর্মিণী।আমি বললাম সব পুলিশ খারাপ কে বলল আপনাকে? উনি বলল সবাই খারাপ আমি তাই বলিনি সবাই খারাপ হলে দেশ চলত না মামা।তবে অধিকাংশ অন্যায়ের সাথে জড়িত।
এখন উনি বলছে মামা আমার মেয়ে বি.এ পাশ করে প্রাইমারি স্কুলের চাকুরিতো পেয়েছে সাথে বিয়ে দিয়েছি।আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনার মেয়ে ডিগ্রী শেষ করে ফেলছে। উনি বলল আপনি আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন?এই নেন ফোন আমি কল দিয়ে দিচ্ছি। আমি লজ্জা সূচকে বললাম আপনি বলেছেন কেন বিশ্বাস হবে না? তবে আপনাকে দেখে মনে হয় না। কারণ উনার বয়স উনেক কম মনে হচ্ছিল।জামাই বায়িং হাউজে চাকুরী করে বিয়াই স্কুলের মাস্টার।আর আমি মাত্র ৮ মাসের জন্য ঢাকাতে রিক্সা চালাতে আসছি ৩ মাস হয়েছে আর বাকি ৫ মাস!
আমার কৌতুহলে জিজ্ঞাসা করলাম ৮ মাস কেন? উনি বলল মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি ৩ লক্ষ টাকা খরজ হয়েছে।তবে কারো থেকে ধার নিয়ে নয় নিজের। আমি বাড়িতে কৃষি কাজ করি এখন আমার পুজি শেষের দিকে তাই ৮ মাস রিক্সা চালাব! এরপর আমি একটা পুঁজি নিয়ে আবার আমার কাজ শুরু করব।৩ মাসে ৫০ হাজার ব্যাংকে রাখছি মামা।আমার কোন খরজ নেই।বাড়িতে আপনার ভাবি একটা অস্টেলিয়ান গাভী লালন করে প্রতিদিন ৫০০ টাকা পায়। তাতে আমার ছেলে ওর মায়ের চলে যায়।আমার রোজগারের টাকা আমি ব্যাংকে রাখি।আবার ৮ মাস পর থেকে আমি কৃষি কাজ শুরু করব।উনি দিনে সকাল ১০ টা পর্যন্ত গাড়ি চালান।আর রাতে চালান।মালিবাগ এলাকায় যান না কারণ অখানে তার ছোট শ্যালক ডি.বি পুলিশে চাকুরী করেন।বলাম যদি কখনো দেখে ফেলে।উনি উত্তর দিল মামা দুনিয়াটা বড় আজব,,আপনাকে একবেলা মানুষ খাওয়াবে কিন্ত সারা জীবন কেউ আপনার পরিবারের ভার গ্রহণ করবেনা।আমি চুরি করিনা আমি কাজ করে পয়শা আয় করি।
আরো অনেক গল্প হল কারণ সাত রাস্তায় জ্যাম ছিল তাই গল্পটা ও মজে ছিল। এত লিখা সম্ভব না।
আমাদের গন্তব্যে যখন পৌঁছালাম উনি নামার আগে আমাদের বিস্মিত করে বলল মামা আমার একটা দাবি আছে আমি বললাম মামা কি দাবী?
আপনাদের আমি চা খাওয়াতে চাই।যেটা আমরা বলতে পারিনি সেইটা উনি বলে দিল আমাদের সময় ছিল না উনি নাছোড় বান্দা খাওয়াবেই!কি আর করার এর পর অনেক খুঁজে একটা দোকানে দাঁড়িয়ে আমরা উনার সাথে চা পান করলাম।বিল উনি দিবে আমি বুজাতেই পারছিলাম না এটা আমার এলাকা আমি বিল দিব।অনেক জুরাজুরির পর উনি বুঝল।
তবে উনার শর্ত আছে উনি বাড়ি থেকে কিছু নিয়ে আসবে আমাদের খাওয়াবে।আমার নাম্বার ঠিকানা রেখে দিল প্রতি শুক্রবার এসে দেখা করবে সময় হলে।
কারণ শুক্রবার উনি রিক্সা চালায় না।
শিক্ষাঃউনি কাজকে ছোট করে দেখেন না,,,,অদম্য ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে তার ৩টি আশার মাঝে ২ টি পূর্ণ করে ফেলছে।
কাজ যাইহোক তাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই
সৎ শিক্ষা অর্জন করা মূল কাজ।
আর ছেলেকে সৎ পুলিশ অফিসার বানাবে যাতে করে সে সমাজের অন্যায় দূর করতে পারে।।
সকলে ব্যক্তিটির জন্য দোয়া করবেন।