Dr. Md. Abdul Gofur, "Cardiovascular and Thoracic Surgeon, Nhfh&RI"
Dr. Md. Abdul Gofur
MBBS,MS(CV&TS) ,FACS(USA)
Associate Professor & Senior Consultant
Alhamdulillah starting of My unit.
Inshaallah on 6th October 2023 ,I will do my regular Friday chamber at kushtia -popular diagnostic centre
রক্তনালী Blockages হবার প্রধান রিস্ক ফ্যাক্টর গুলো
1.Dyslipidemia
2.High Blood Pressure
3.Diabetes
4.Smoking
আজকের আলোচনার বিষয়
𝗖𝘂𝗿𝗿𝗲𝗻𝘁 𝘁𝗿𝗲𝗮𝘁𝗺𝗲𝗻𝘁 𝗴𝘂𝗶𝗱𝗲𝗹𝗶𝗻𝗲𝘀 𝗳𝗼𝗿 𝘁𝗵𝗲 𝗺𝗮𝗻𝗮𝗴𝗲𝗺𝗲𝗻𝘁 𝗼𝗳 𝗱𝘆𝘀𝗹𝗶𝗽𝗶𝗱𝗲𝗺𝗶𝗮
𝐃𝐫.𝐌𝐝. 𝐀𝐛𝐝𝐮𝐥 𝐆𝐚𝐟𝐮𝐫
𝘼𝙨𝙨𝙤𝙘𝙞𝙖𝙩𝙚 𝙋𝙧𝙤𝙛𝙚𝙨𝙨𝙤𝙧 & 𝙎𝙚𝙣𝙞𝙤𝙧 𝘾𝙤𝙣𝙨𝙪𝙡𝙩𝙖𝙣𝙩
𝙉𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣𝙖𝙡 𝙃𝙚𝙖𝙧𝙩 𝙁𝙤𝙪𝙣𝙙𝙖𝙩𝙞𝙤𝙣 𝙃𝙤𝙨𝙥𝙞𝙩𝙖𝙡 & 𝙍𝙚𝙨𝙚𝙖𝙧𝙘𝙝 𝙄𝙣𝙨𝙩𝙞𝙩𝙪𝙩𝙚
National Heart Foundation of Bangladesh
Beating Heart CABG Operation
My Friday chamber will be closed on tomorrow (19.05.2023)
Inshaallah From 26 th May 2023,I will do my regular Friday chamber .thanks
VSR অপারেশন কি??
Ventricular septal rupture (VSR)
হল একটি জটিল সার্জিক্যাল অপারেশন যার লক্ষণযুক্ত রোগীদের অবিলম্বে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
এই procedure করার জন্য closure of the VSR and coronary artery bypass grafting এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এবং অত্যন্ত জরুরীভাবে অপারেশন প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে এমন জটিল ও কঠিন অপারেশন হয়।
is a surgical emergency needing immediate treatment in symptomatic patients.
Part:-1
MICS অথবা মিনিমালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি কী ?
এমআইসিএস (MICS) বা এমআইসিএস হলো মিনিমালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি এবং এটি বাংলাদেশে হৃৎপিণ্ডের সার্জারির একটি নতুন রূপদান করেছে।
অতান্ত আনন্দের বিষয় এই যে আমরা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এ নিয়মিত এই রকম অপারেশন করে থাকি।
আপনার চিকিৎসার ইতিহাস,বর্তমানের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, বয়স এবং পরীক্ষার ফলাফলগুলির উপর ভিত্তি করে আপনার সিদ্ধান্ত নেবেন যে কোন পদ্ধতিটি আপনার পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত।
MICS-পদ্ধতির উপকারিতা
➡️ প্রচলিত অপারেশন এর বিপরীতে, বুকের পার্শ্বদিক থেকে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে প্রবেশ করা হয়,যা অপারেশন পরবর্তী ব্যাথা হ্রাসকরে ।
আপনি দ্রুত নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।
➡️ রক্ত ক্ষরনের ঝুঁকি কম, তাই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ন্যূনতম।
➡️বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি আদর্শ পদ্ধতি,কারণ এটি ক্ষত সংক্রমণের বা অস্ত্রোপচার পরবর্তী সংক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
➡️যেহেতু ছিদ্রটি মাত্র 2-3 ইঞ্চি করা হয়,তাই ক্ষত নিরাময় খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় এবং সেটি দৃশমান হয় না।
➡️প্রচলিত অস্ত্রপচারের তুলনায় কম সময়, 2-3 দিন হাসপাতালে থাকতে হয়।
এটিকে নিরাপদ এবং কার্যকর কৌশল হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
"An envious person is never at peace. When somebody goes up, he feels bad. When somebody goes down, he feels good. An envious person is a very insecure person because his happiness depends on the situation of the people around him.
"If you" compare yourself with others,you may become vain or bitter for always there will be greater and lesser persons than yourself.”
maximum people we are like this behaviour.
So,May this upcoming Ramadan we should changes our behaviour be the best Ramadan for all of us!...
Ramadan is gifted to muslims so they attain devotion,purification of their innerself and gain immense rewards from Almighty Allah
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে কেন আপনি চিকিৎসা করাবেন??
যে প্রধান কারণগুলো স্পষ্ট হয়,তা হলো–
১. ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তুলনা মুলক স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা করানো যায়।
২.উচ্চমানের চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যায়। দ্রুত রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা হয়, এবং
৩. চিকিৎসকরা আন্তরিক ব্যবহার করেন। পর্যাপ্ত সময় ও মনোযোগ প্রদান করেন।
৪.দক্ষ চিকিৎসকের উৎস
বলাবাহুল্য,
স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত পিছিয়ে। মা ও শিশুমৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্য পূরণে সমর্থ হয়নি ভারত।
অথচ সেই দেশটি দিনে দিনে চিকিৎসা পর্যটনের কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে!
অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে,আমাদের দেশের কার্ডিয়াক সার্জারিতে আমূল বিপ্লব ঘটিয়েছে।
আমরা কি জানি, কী অবিশ্বাস্য অধ্যবসায়ে শূন্য থেকে সকল ধরনের ইমার্জেন্সি ও কার্ডিয়াক প্রসিডিউর,সার্জারিতে সক্ষমতা গড়ে তুলেছেন আমাদের দেশের চিকিৎসকরা।
প্রতিদিন কত রোগীকে নিশ্চিত মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে আনছেন!
কিন্তু অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের দেশের জনগণ সঠিক খবর না জানার কারণে ভারতমুখী হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্তরা দু’একবার ভারতের করপোরেট হাসপাতাল ঘুরে এসে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তারা জানেন না যে ভারতের উন্নত হাসপাতালগুলোতে তাদের ৮০ শতাংশ জনগণের সেবা গ্রহণের আর্থিক সক্ষমতা নেই। ভারতের গরিব মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে জমিজমা, ঘটিবাটি বিক্রি করতে হয়। ভারতের সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে আলাদা কিছু নয়। ওখানেও প্রচুর অব্যবস্থাপনা, ভুল চিকিৎসা, হাসপাতালের মেঝেতে রোগী শুয়ে থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে। ভারতের করপোরেট চিকিৎসা পর্যটনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ আর অর্থনৈতিক ভিত শক্তিশালী হওয়ার জয়গান করছে। আদতে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে ভারতের বেসরকারি ব্যয়বহুল স্বাস্থ্য অবকাঠামো দেশের সীমিত সংখ্যক ধনী ও বিদেশি রোগীদের সেবা দিচ্ছে। অন্যদিকে দরিদ্র জনগণের বিপুল অংশ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকছে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভারতীয় সরকার চিকিৎসা পর্যটনে ভর্তুকি ও ছাড় দিতে গিয়ে উপেক্ষিত রাখছে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাত।
তবে চাকচিক্যে বিভ্রান্ত না হয়ে আমাদের সঠিক পথে চলতে জানতে হবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার গতিপথ এগিয়ে নিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যেয় রাখতে হবে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে এসে বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা নিতে এই বিদেশ যাত্রা পরিতাপের বিষয়।
আসুন দেশকে ভালোবেসে একসাথে এগিয়ে যায়।
Inshaallah ,tomorrow I will do my Friday chamber at popular diagnostic centre,kushtia .
Family tour -india
বাইপাস সার্জারির ব্যাপারে সবার কিছু কমন প্রশ্ন রয়েছে।
সেগুলো হল- বাইপাস সার্জারি কি, কেন করা হয় এবং কিভাবে করা হয়?
এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এই ইউটিউব ভিডিওটিতে।
বাইপাস সার্জারী কি? কেন ও কিভাবে করা হয়? বাইপাস সার্জারী কি? কেন ও কিভাবে করা হয়? - এই বিষয় নিয়ে কথা বলছেন-ডা. মোঃ আব্দুল গফুর,সহকারী অধ্যাপক, কার্ডিয়াক সার....
Last week we have done 3 MICS Opeartion in our hospital,among them one AVR with 23 MM SJ mechanical valve and two ASD closure.only AVR MICS er some still picture dilam
Inshaallah ,I will do my regular Friday chamber at kushtia on 13 th May 2022
First day tour at Delhi, India
ঈদ মুবারক-সবাইকে
করোনারি ব্লকেজ এর কারনঃ
হৃৎপিন্ডের অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এর মধ্যে বর্তমানে সারা পৃথিবীতে যে রোগটি সর্বাধিক দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি করোনারি আর্টারি ডিজিজ(Coronary artery disease) বা করোনারি হৃদরোগ। আর এ রোগ এর কারনগুলো সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
হৃদরোগ এর কারনগুলো হল-
ধূমপান
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক যৌথ গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অল্প বয়সেই হার্টের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের জন্যে যে-সব কারণকে দায়ী করা হয়, তার মধ্যে ধূমপানের অবস্থান শীর্ষে।
এ-ছাড়াও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪০ বছরের কম বয়সী রোগীদের ওপর একটি জরিপে দেখা গেছে, তাদের শতকরা ৮৫ ভাগই ছিল ধূমপায়ী।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। শরীরের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপরই এর রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব। হৃৎপিন্ড ও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। ডায়াবেটিস একাই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় প্রায় ৩৩%। আর এর সাথে উচ্চ রক্তচাপ যোগ হলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬%।
রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য
যখন রক্তে মোট কোলেস্টেরল (ঞড়ঃধষ ঈযড়ষবংঃবৎড়ষ), এলডিএল কোলেস্টেরল (Total Cholesterol) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের (LDL Cholesterol) পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরলের (HDL Cholesterol) পরিমাণ কমে গেলেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। আর এ সবকিছু ঘটে মূলত ভুল খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মেদস্থূলতা এবং
উচ্চ রক্তচাপ
করোনারি হৃদরোগের একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। ধমনীর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় এটি ধমনীর গায়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় চাপ দেয়। আর এই চাপ যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়, সেটিই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থাকলে করোনারি ধমনীর অভ্যন্তরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। রক্তপ্রবাহে ভেসে বেড়ানো অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সেই ক্ষতের জায়গাটিতে আটকে যায়। এভাবে রক্ত চলাচলের পথে পরবর্তীতে আরো কোলেস্টেরল একটু একটু করে সেই একই জায়গায় জমতে থাকে। যার ফলাফল করোনারি ব্লকেজ।
বয়স
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বয়স যত বাড়তে থাকে হৃদরোগের আশঙ্কাও তত বাড়তে থাকে। আমরা যদি দেখি, হৃদরোগ সাধারণত কোন বয়সে হয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি হয় বয়স ৪০-এর কোঠায় এসে বা তার পরে। কেন?
সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা এর একটি কারণ খুঁজে বের করেছেন। ৪০ হচ্ছে এমন একটি বয়স, যে বয়সে এসে একজন মানুষ জীবনের অঙ্ক মেলাতে শুরু করে—কী চেয়েছিলাম, কী পেলাম আর কী হারালাম?
বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করা যাক। শৈশব থেকে মানুষের জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই তার কিছু স্বপ্ন থাকে। তারুণ্যে পৌঁছে সে দেখে একটি সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন—এমন একটি চাকরি বা ব্যবসা করব, এরকম একটি সামাজিক অবস্থান আমার হবে কিংবা এমন একজন জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী হবে। একসময় সে বাস্তব জীবনে প্রবেশ করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুরু হয় স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার দ্বন্দ্ব। স্বপ্নের পরিধিও ছোট হতে থাকে ক্রমশ। বাড়তে থাকে না-পাওয়ার অতৃপ্তি আর কষ্ট।
একসময় বয়স ৪০ বছর পার হয়, সে তখন ফিরে তাকায় ফেলে আসা জীবনের দিকে। নিজেই বুঝতে পারে—যা চেয়েছিলাম তার অনেক কিছুই পাওয়া হয় নি। ভেতরে শুরু হয় এক ধরনের অতৃপ্তি আর অশান্তি। কেউ ভোগে না-পাওয়ার বেদনায়, কেউ ভুগতে থাকে বিষণ্নতায়। দিনের পর দিন এই যে কষ্ট, এটি শুধু মনেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এই বিষণ্ন-ব্যথাতুর হৃদয়ের প্রভাব নিশ্চিতভাবেই পড়ে তার হৃদযন্ত্রেও।
অন্যান্য মনোদৈহিক রোগগুলোর মতো করোনারি হৃদরোগের অন্যতম কারণও মূলত এই হাহাকার। একবার যদি এ অতৃপ্তি ভেতরে জেঁকে বসে আর সর্বক্ষণ মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে যে, যা চেয়েছিলাম তা পেলাম না, কেন পেলাম না, না পেয়ে কী হারালাম—তবে আর রক্ষা নেই। আপনার সমস্ত অর্জন তখন আপনার কাছে ফিকে হয়ে যেতে পারে। ব্যর্থতার অনুভূতি আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াতে পারে প্রায় সারাক্ষণই, যা দীর্ঘমেয়াদে নানা শারীরিক-মানসিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লিঙ্গভেদে
হৃদরোগের প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোপজের বা ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। মহিলাদের মধ্যে যারা নিয়মিত জন্মবিরতিকরণ ওষুধ সেবন করেন, তাদের করোনারি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
জেনেটিক বা বংশগত
মা-বাবার হৃদরোগ থাকলে তাদের সন্তানদেরও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গবেষকদের মতে, এর মূল কারণ পারিবারিক ভুল খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও ধূমপানের ইতিহাস। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একজন মানুষ শৈশব থেকে প্রায় সব ব্যাপারেই পারিবারিক রীতি আচার ও ঐতিহ্যে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। যেমন : মা-বাবা বেলা করে ঘুম থেকে উঠলে সন্তানও সেভাবেই বেড়ে ওঠে। মা-বাবা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি না করলে সন্তানও ব্যায়ামের প্রতি আগ্রহী হয় না। বাবা ধূমপায়ী হলে সন্তানেরও ধূমপায়ী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খাদ্যাভ্যাসও তেমনই একটি উল্লেখযোগ্য পারিবারিক অভ্যাস। পরিবারে যে ধরনের খ্যাদ্যাভ্যাস চালু থাকে, জীবনের শুরু থেকেই মানুষ সাধারণত সে খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। তাই পারিবারিক অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বংশগত হৃদরোগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
রিফাইন্ড ফুড (তেল, চিনি, সাদা চাল, সাদা ময়দা)
হৃদরোগ হওয়ার পেছনে রিফাইন্ড ফুড অর্থাৎ তেল, চিনি, সাদা চাল, সাদা ময়দার ভূমিকা এখন প্রমাণিত। এ সকল খাবার একদিকে যেমন ওজন বৃদ্ধি এবং কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ার জন্যে দায়ী; অন্যদিকে এসব খাবারে নেই কোনো ভিটামিন, মিনারেল বা ফাইটোকেমিক্যাল। ফলে এসব খাবার হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে।
প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার
হৃদরোগ হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাশ্চাত্যের খাদ্যশিল্প ধূমপান
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক যৌথ গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অল্প বয়সেই হার্টের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের জন্যে যে-সব কারণকে দায়ী করা হয়, তার মধ্যে ধূমপানের অবস্থান শীর্ষে।
এ-ছাড়াও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪০ বছরের কম বয়সী রোগীদের ওপর একটি জরিপে দেখা গেছে, তাদের শতকরা ৮৫ ভাগই ছিল ধূমপায়ী।
রিফাইন্ড ফুড (তেল, চিনি, সাদা চাল, সাদা ময়দা)
হৃদরোগ হওয়ার পেছনে রিফাইন্ড ফুড অর্থাৎ তেল, চিনি, সাদা চাল, সাদা ময়দার ভ‚মিকা এখন প্রমাণিত। এ সকল খাবার একদিকে যেমন ওজন বৃদ্ধি এবং কোলেস্টেরল ও ট্রাইগিøসারাইড বাড়ার জন্যে দায়ী; অন্যদিকে এসব খাবারে নেই কোনো ভিটামিন, মিনারেল বা ফাইটোকেমিক্যাল। ফলে এসব খাবার হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে।
প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার
হৃদরোগ হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে পাশ্চাত্যের খাদ্যশিল্প (Food Industry)। পুষ্টিবর্জিত এসব খাবারে (চিপস, ক্র্যাকার্স, ফাস্ট ফুড, টিনজাত ও প্যাকেটজাত খাবার, কোমল পানীয়, জ্যাম, জেলি, জুস ইত্যাদি) ব্যবহৃত হয়ে থাকে পাঁচ ধরনের ১৫ হাজার কেমিক্যাল, যা মানবদেহের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেমন : ফুড কালার, ফুড টেস্টার, ফ্লেভার, ফ্যাটেনার ও অ্যাডিক্টার। কেমিক্যালযুক্ত এসব খাবার ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের অন্যতম কারণ।
তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার গ্রহণ
তৈলাক্ত চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার রক্তের টোটাল কোলেস্টেরল ও ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়—যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যালের ঘাটতি
ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং ভুল পদ্ধতিতে রান্নার কারণে খাবারের মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল নষ্ট হয়, যা সুস্থতার জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজন। তাজা ফল, কাঁচা সালাদ, কাঁচা সবুজ পাতা, বাদাম, বীজ, বিন এবং অর্ধসেদ্ধ শাকসবজিতে এই উপাদানগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের কারণে।
অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা
অতিরিক্ত ওজন যাদের, তাদের শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে হৃৎপিন্ডকে তুলনামূলক বেশি কাজ করতে হয়। এটিও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মূলত খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালরির পরিমাণ ও সে ক্যালরি ব্যবহারে অসামঞ্জস্যতাই অতি-ওজনের কারণ। অত্যধিক ওজনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের আধিক্য ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেক গুণ।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
আধুনিক ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধাপূর্ণ জীবনে আমরা সবাই কমবেশি গা ভাসিয়ে দিয়েছি। অথচ শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় ও পরিশ্রমহীন অলস জীবনযাপনে অভ্যস্ত যারা, তাদের অকালমৃত্যু ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কায়িক পরিশ্রমে অভ্যস্তদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। তাই বলা হয়ে থাকে ‘যত আরাম তত ব্যারাম’।
সবমিলিয়ে এগুলোই করোনারি হৃদরোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি ও কারণ। যদি একজন মানুষের জীবনে একাধিক ঝুঁকি বিদ্যমান থাকে, তবে তার হৃদরোগের আশঙ্কাও সেই অনুপাতে বাড়ে।
অবশ্য করোনারি হৃদরোগের কারণ আলোচনায় এটিই শেষ কথা নয়; চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোও তা-ই বলছে। কারণ কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস কিংবা মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল—এর কোনোটিই নেই, অথচ তিনি করোনারি হদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আবার দেখা গেল, ৮০ বছর বয়সেও বাবার হৃদযন্ত্র দিব্যি সুস্থ, কিন্তু ছেলের ৪০ না পেরোতেই হার্ট অ্যাটাক!
করোনারি হৃদরোগের পেছনে কি তাহলে এগুলো ছাড়াও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য কারণ আছে? আছে বৈকি। সেটি হলো, জীবন সম্পর্কে আমাদের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি এবং এ থেকে সৃষ্ট স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, যাকে আমরা সহজ ভাষায় বলতে পারি টেনশন। পরবর্তী অধ্যায়ে এ বিষয়টি আমাদের কাছে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
করোনা আর্টারি ব্লকেজ কি অ্যান্ড কিভাবে হয়।
হৃৎপিন্ডের অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এর মধ্যে বর্তমানে সারা পৃথিবীতে যে রোগটি সর্বাধিক দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি করোনারি আর্টারি ডিজিজ(Coronary artery disease) বা করোনারি হৃদরোগ। আর এ রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে হলে এ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ক্রমাগত ভুল জীবনযাপনের ফলে করোনারি ধমনীর ভেতরের দেয়ালে কোলেস্টেরল প্লাক বা হলুদ চর্বির আস্তর জমে। এতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। হৃৎপিন্ডের কোষ- গুলোতে রক্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছাতে পারে না। ফলে রোগী একসময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। রক্ত চলাচল কমে গিয়ে এ সমস্যাটি দেখা দেয় বলে একে ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজও (Ischaemic heart disease) বলা হয়।
সাধারণত কিছুদূর হাঁটলে কিংবা ভারী কাজ বা সিঁড়িতে ওঠানামার মতো পরিশ্রম করলে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়।
রাতের ভারী খাবারের পর কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডাতেও ব্যথা হতে পারে।
রোগী কোনো কারণে তীব্র মানসিক চাপ বোধ করলেও -এ ব্যথা শুরু হতে পারে।
সাধারণত বিশ্রাম নিলে বা জিহ্বার নিচে নাইট্রেট জাতীয় ওষুধ নিলে ব্যথা কমে আসে।
করোনারি হৃদরোগজনিত এ ব্যথাটি চিকিৎসাশাস্ত্রে এনজাইনা (Angina) নামে পরিচিত। অধিকাংশ রোগীই এসময় বুকের মধ্যে ব্যথা, ভার ভার বা এক ধরনের চাপ অনুভব করেন। মূলত বুকের বাম দিকে বা বুকের মধ্যখানে এই ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো কখনো শ্বাসকষ্টও অনুভব হতে পারে। বুকের এই ব্যথা সাধারণত গলা, বাম চোয়াল, ঘাড়, কাঁধ, ওপরের পিঠ, বাম শোল্ডার জয়েন্ট, বাম বাহু ও হাত হয়ে অনামিকা ও কনিষ্ঠা আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
এ-ছাড়াও হৃদরোগের ব্যথা ওপর পেট, থুতনি, বুকের ডান পাশ, পিঠ এমনকি ডান হাতেও যেতে পারে। করোনারি হৃদরোগের ব্যথা শুধু ওপরের পেটে হলে তা হতে পারে সবচেয়ে বিপজ্জনক। কেন?
আপনি হয়তো রাতে ভূরিভোজ করেছেন। মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। বুক জ্বলছে। সেইসাথে ওপরের পেটে একটা অস্বস্তি। স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে রাতে গুরুপাক খেয়েছি, তাই হয়তো এসিডিটি হয়েছে। বাড়িতে এন্টাসিড থাকলে খেয়ে নিলেন একটা। তারপরও অস্বস্তি কমছে না দেখে ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধও হয়তো খেয়ে নিলেন। তবুও কমছে না; বরং কিছুটা যেন বাড়ছে। ফোন করলেন আপনার ডাক্তার বন্ধুকে।
আপনার বর্ণনা শুনে ডাক্তারেরও প্রথমেই মনে হতে পারে—রাতের গুরুপাক খাবারই এর কারণ। অতএব এটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। ফলে আপনার আর হাসপাতালে যাওয়া হলো না। সকাল হওয়ার আগেই দেখা গেল আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কখনো কখনো হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম চিত্র এটি। অর্থাৎ ওপরের পেটে ব্যথার লক্ষণ নিয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছে কিন্তু আপনি মনে করছেন এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
করোনারি হৃদরোগ: প্রকার ও ধরন
করোনারি হৃদরোগ মূলত দুধরনের : এনজাইনা পেকটোরিস (Angina Pectoris) ও মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial Infarction)।
করোনারি ধমনীতে চর্বি জমে ব্লকেজ সৃষ্টি হতে শুরু করলে এর মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল কমে আসে। যার ফলে হৃৎপিন্ডের সংশ্লিষ্ট অংশে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ হতে পারে না। হৃৎপিন্ডের কোষগুলো বঞ্চিত হয় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি থেকে। তখন বুকে ব্যথা হতে শুরু করে। এটাই এনজাইনা পেকটোরিস।
ব্লকেজের পরিমাণ যদি বাড়তে বাড়তে শতভাগ হয়ে যায় এবং ধমনী-পথে রক্ত চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আসে, তখনই ঘটে হার্ট অ্যাটাক। আবার ৫০%, ৬০% বা ৭০% ব্লকেজও হঠাৎ ফেটে (Burst) রক্ত ও চর্বির দলা বেরিয়ে এসে পুরো ধমনীকে ব্লক করে ফেললে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।
চিকিৎসা পরিভাষায় যা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন নামে পরিচিত। রোগী এসময় বুকে তীব্র ও অসহনীয় ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা কখনো কখনো বুক, গলা, ঘাড়, ওপরের পেট, দুই হাত এবং পিঠেও চলে যেতে পারে। সাথে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। রোগী ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং জরুরি চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।
পরবরতিতে হৃদরোগ এর কারনগুলো নিয়ে আলোচনা করবো
চলতে থাকব…।।
হার্ট এর কৃত্রিম ভালভ লাগানো রোগী , যাদের Tab. Warfarin খেতে হয়, তাদের জন্য.........
বাইপাস রোগীদের খাদ্য তালিকা।
My chamber details.
হার্ট এর চারটি ভাল্ভ থাকে। এর যেকোনো একটি নষ্ট হলে সেটা Repair / Replacement অপারেশন লাগে । অপারেশন এর মাধমে এমনি একটা কৃত্রিম ভাল্ভ Replacement এর কিছু অংশ ।
Videos (show all)
Telephone
Website
Opening Hours
Monday | 09:00 - 17:00 |
Tuesday | 09:00 - 17:00 |
Wednesday | 09:00 - 17:00 |
Thursday | 09:00 - 17:00 |
Saturday | 09:00 - 17:00 |
Sunday | 09:00 - 17:00 |