Academy MFC
Spread Knowledge to Enlight Society.
ইখলাস ও সুন্নাহবিবর্জিত আমলকারী সেই মুসাফিরের ন্যায়, যে বালি দিয়ে তার থলে পূর্ণ করে - অর্থহীন একটি বোঝা সে বয়ে বেড়ায়, যেটি তার কোন কাজে আসে না।
[আল-মাজমুআতুস সাদিয়া ; ২/২৬২]
”এত এত মানুষের হিসাব আল্লাহ কীভাবে নিবেন?”
জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন,
“যেমনিভাবে বিপুল সংখ্যক হওয়ার পরও তিনি তাদের রিযিক দিয়ে থাকেন।”
[তাফসীরু ইবন জুযাই: ১/১০৩]
🔔বিশেষ ঘোষণা🔔
আসসালামুয়ালাইকুম
ভর্তি কার্যক্রম চলমান -
ভর্তি ফরম ২০০৳
নতুন ভর্তি ৪০০০৳(একই পিতার দুই সন্তানের ক্ষেত্রে একজনের জন্য ২৫% ছাড় রয়েছে)
রিএডমিশন(পুরোনো ভর্তি) ফি ২০০০৳(একই পিতার দুই সন্তানের ক্ষেত্রে একজনের জন্য ২৫% ছাড় রয়েছে)
ডিসেম্বর পর্যন্ত অফিস টাইম-
সকাল ৮.০০ - ১১.০০টা।
মাদরাসাতুস সুন্নাহ,
জালাল খান চৌধুরী সড়ক, পুরাতন চাঁদগাও থানার বিপরীতে, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
যোগাযোগ- 01847447007, 01834592110
"মহিলা কুরআন শিক্ষা কোর্স"
এই কোর্সে যা যা শিখতে পারবেন ইন শা আল্লাহ্-
◇ আরবি হরফের সঠিক মাখরাজ।
◇ আল ক্বয়িদাতুন নুরনিয়াহ।
◇ তাজউইদ কায়দা সমূহ।
ক্লাস সপ্তাহে তিন দিন
রবি ,মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার।
ক্লাসের সময় -
ফজর স্বলাতের পর।
তিন মাসের কোর্সে বিশুদ্ধ কুরআনে মাজীদ তিলাওয়াত।
📎 প্রয়োজনে ক্লাস রেকর্ড দেখার সু-ব্যবস্থা।
📎 যেসকল শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করবে তাদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
উস্তাযা
উম্মে আব্দুর রহমান।
কোর্স ফি: ২৫০০ টাকা।
(তিন মাস পর পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হতে পারলে ১০০০ টাকা রিফান্ড করা হবে।)
পেমেন্ট করে কনফার্ম করতে নিম্নের নাম্বারে নাম্বারে হোয়াস্টঅ্যাপে জানাতে হবে।
01877-389181
বিস্তারিত ছবিতে।
কীভাবে জ্ঞানের সাথে আল্লাহর ইবাদত করবেন।
-শেখ সালেহ আল ফাওজান
*collected
তুমি যদি দশ বছর কোন উপার্জন কিংবা খাবার ছাড়া থাকো, তবু ইলম থেকে বিমুখ হয়ো না। কারণ ইলম থেকে বিমুখ হলে তোমার জীবনযাপন সংকুচিত ও সংকীর্ণ হয়ে আসবে।
- আবু ইউসুফকে ইমাম আবু হানিফা {রাহিমাহুল্লাহ)
[গামযু উয়ুনিল বাসাইর: ৪/৩১৩]
وإنْ بَقِيت عَشْرَ سِنِينَ بِلا كَسْبٍ ولا قُوتٍ فَلا تُعْرِضْ عَنْ العِلْمِ؛ فَإنَّك إذا أعْرَضْت عَنْهُ كانَتْ مَعِيشَتُك ضَنْكًا.
𝑭𝒓𝒊𝒅𝒂𝒚 𝑹𝒆𝒎𝒊𝒏𝒅𝒆𝒓
- সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। 📖
- বেশি বেশি ইস্তিগফার(أَستَغْفِرُ اللهَ),
- দূরদ শরিফ পাঠ করা।
- দোয়া কবুলের মুহুর্তে (আসর মাগরিব এর মধ্যবর্তী সময়)দোয়া। 🖤
দুরুদ :
-اللهم صل وسلم على نبينا محمد
আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আ'লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
🌼সু-খবর 🌼সু-খবর🌼
আসসালামু আলাইকুম
আগামী ২৪শে নভেম্বর ২০২৩ইং শুক্রবার থেকে 'একাডেমী এমএফসি' এর পক্ষ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে 'এসো আরবি শিখি' কোর্স। রয়েছে হোয়াস্টঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিত হোমওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের সুবিধা।
কোর্স : এসো আরবি শিখি
কোর্স মেন্টর: উস্তায আবু জাফর (হাফি.)
ক্লাসের সময়: শুক্রবার বাদ ফজর।
রেজিস্ট্রেশন ফি: ৩০০ টাকা
মাসিক ফি: ২০০ টাকা(বাধ্যতামুলক নয়)
কোর্স মাধ্যম: গুগল মিট 🎥
বিকাশ ও নগদ : 01834592110
রেফারেন্স: MFC-AAS
ভর্তির শেষ সময় আগামী ২৩শে অক্টোবর ২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত। টাকা পাঠানোর পর নিম্নোক্ত নাম্বারে হোয়াস্টঅ্যাপে কনফার্ম করবেন।
📱01881943786
(মহিলা ও পুরুষ উভয়ের জন্যই এই কোর্স)
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এই কোর্স থেকে উপকারী জ্ঞান অর্জন করার তাওফীক দান করুন।
🌼সু-খবর 🌼সু-খবর🌼
আসসালামু আলাইকুম
আগামী ২৪শে নভেম্বর ২০২৩ইং শুক্রবার থেকে 'একাডেমী এমএফসি' এর পক্ষ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে 'এসো আরবি শিখি' কোর্স। রয়েছে হোয়াস্টঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিত হোমওয়ার্ক পর্যবেক্ষণের সুবিধা।
কোর্স : এসো আরবি শিখি
কোর্স মেন্টর: উস্তায আবু জাফর (হাফি.)
ক্লাসের সময়: শুক্রবার বাদ ফজর।
রেজিস্ট্রেশন ফি: ৩০০ টাকা
মাসিক ফি: ২০০ টাকা
ক্লাস মাধ্যম: গুগল মিট
টাকা পাঠানোর পর নিম্নোক্ত নাম্বারে হোয়াস্টঅ্যাপে কনফার্ম করবেন।
📱01881943786
(মহিলা ও পুরুষ উভয়ের জন্যই এই কোর্স)
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এই কোর্স থেকে উপকারী জ্ঞান অর্জন করার তাওফীক দান করুন।
𝑭𝒓𝒊𝒅𝒂𝒚 𝑹𝒆𝒎𝒊𝒏𝒅𝒆𝒓
- সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। 📖
- বেশি বেশি ইস্তিগফার(أَستَغْفِرُ اللهَ),
- দূরদ পাঠ করা।
- দোয়া কবুলের মুহুর্তে (আসর মাগরিব এর মধ্যবর্তী সময়)দোয়া। 🖤
দুরুদ :
-اللهم صل وسلم على نبينا محمد
আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আ'লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার জন্য সার্বিক বিষয়ে। একাডেমীর পক্ষ থেকে এই কোর্সের সাথে জড়িত থাকায় উস্তায ও শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সাথে সাথে আপনাদের আগ্রহের প্রসংশা করছি এত প্রতিকূল পরিবেশে কোর্স কনটিনিউ করে গিয়েছেন।
পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ যদিও খুবই কঠিন। তবে নিয়ম অনুসারে একজনই হবেন বিজয়ী।
এমএফসি একডেমী কর্তৃক আয়োজিত 'সালাতে পঠিতব্য অধিক সূরা ও দোয়া কোর্স' এর
বিজয়ী - তাসপিয়া ছবুর ছাফা।
আপনাকে অতি শিঘ্রই একাডেমীর পক্ষ থেকে পুরষ্কার প্রদান করা হবে ইন শা আল্লাহ্।
সাথে আমাদের কোর্স মেন্টর উস্তায হানিফ রাইহান এর রেফার অনুযায়ী বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করা হবে 'আফরোজা আক্তার'কে। ওনার প্রচেষ্টায় মহান রব আরো বারাকাহ দান করুন।
জাযাকুমুল্লাহু খইর্।
আসসালামু আলাইকুম।
"সুদ : দুনিয়া নাকি আখিরাত - ৪"
يَمْحَقُ اللّٰهُ الرِّبٰوا وَيُرْبِي الصَّدَقٰتِ ؕ وَاللّٰهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ اَثِيْمٍ
আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী পাপীকে ভালবাসেন না।
(সূরা বাকারাহ ২৭৬)
উপরোক্ত আয়াত থেকে বেশকিছু বিষয় লক্ষণীয়:
১) সদকা এবং সুদের পরিণাম পরস্পর বিরোধী।
কিছু তাফসীরকারকদের মতে, সুদখোরের ধন-সম্পদ আখেরাতে তার কোনই কাজে আসবে না, ররং তা তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
২) যে সম্পদের সাথে সুদ মিশ্রিত, অধিকাংশ সময় সেগুলো তো ধ্বংস হয়ই, অধিকন্তু আগে যা ছিল তাও সাথে নিয়ে যায়।
৩) রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্তি: “সুদ যদিও বৃদ্ধি পায় কিন্তু এর শেষ পরিণতি হচ্ছে স্বল্পতা।” [মুসনাদে আহমাদ ১/৩৯৫]
৪) আয়াতের শেষে বলা হয়েছে “আল্লাহ্ তা'আলা কোনো কাফের গোনাহগারকে পছন্দ করেন না”। এতে ইশারা করা হয়েছে যে, যারা সুদকে হারামই মনে করে না, তারা কুফরে লিপ্ত এবং যারা হারাম মনে করা সত্ত্বেও কার্যতঃ সুদ খায়, তারা গোনাহগার ও পাপাচারী।
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের জন্য হালালকে সহজ করে দিন এবং হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
তথ্যসুত্র: তাফসীরে আবু বকর জাকারিয়া।
আসসালামু আলাইকুম।
"সুদ : দুনিয়া নাকি আখিরাত - ৩"
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
‘যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়।
এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই।
অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
(সূরা বাকারা ২৭৫)
প্রিয় ভাই,
মহান রব বলছেন,
"আর যারা ফিরে গেল(সুদের দিকে), তারা আগুনের অধিবাসী।"
এই পৃথিবীর সকল সুখ-স্বাচ্ছন্দ দেয়ার পর যদি বলা হয়, এরসাথে পুরো শরীর থেকে শুধুমাত্র একটি আঙ্গুলের ডগায় আগুন জ্বলতে থাকবে। পারবেন এত সুখ উপভোগ করতে ?
চলুন রবের হুকুম মান্য করে সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় ছেড়ে দিয়ে আখিরাত তথা আল্লাহর দিকে পথ বাড়ায়।
জায়েদ জানো, তুমি কাকে বিয়ে করেছো?...তুমি যাকে বিয়ে করেছো তিনি আমার মা!
এই গল্পটি আমাকে বারবার কাঁদিয়েছে।
নবিজী সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ।
একদিন মক্কার বাজারে গেলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য ।
এক জায়গায় তিনি দেখলেন,
এক লোক নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে
কিছু দাস-দাসী বিক্রি করছে ।
আব্দুল্লাহ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
দাস-দাসীদের কাতারে দাঁড়িয়ে ছিলেন
নয় বছরের একটি কালো আবিসিনিয়ার মেয়ে ।
তাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো
মেয়েতি একটু রুগ্ন, হালকা-পাতলা গড়নের,
কিন্তু কেমন যেন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে ।
আব্দুল্লাহ সদ্য বিবাহিত।
ঘরে স্ত্রী আমেন্স একাক্যী থাকেন।
ভাবলেন, স্ত্রীর একজন সঙ্গী দরকার।
এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন ।
মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন ।
খুব আদর স্নেহ করতেন ।
তারা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন যে,
তারা তাদের সংসারে
আগের চেয়ে অনেক বেশি বারাকাহ পাচ্ছেন।
তাই তারা আদর করে মেয়েটিকে নাম দিলেন "বারাকাহ"।
এই গল্প, বারাকাহ এর গল্প ।
তারপর একদিন আব্দুল্লাহ,
ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন ।
আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায় ।
এর দুই/এক দিন পর আমেনা স্বপ্নে দেখলেন,
আকাশের আলোকোজ্জ্বল একটি তারা
যেন তার কোলে এসে পড়লো ।
তিনি বারাকাকে স্বপ্নের কথা বললেন।
উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন,
"আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তান হবে"।
আমেনা তখনও জানতেন না,
তিনি গর্ভধারণ করেছেন।
কিছুদিন পর বুঝতে পারলেন,
বারাকার ধারণাই সত্যি ।
আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি,
সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন ।
আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে,
বারাকাহ ছিলেন তার একমাত্র কাছের সঙ্গী ।
একসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয়,
এবং তিনি জন্ম দিলেন শিশু মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে ।
সর্বপ্রথম প্রিয় নবীকে দেখার ও
স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল
সেই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটির।
নিজ হাতে তিনি শিশু মুহাম্মাদকে
আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন,
আর আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন,
‘আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম তিনি হবেন চাঁদের মত,
কিন্তু এখন দেখছি, তিনি চাঁদের চেয়েও সুন্দর’।
এই সেই বারাকাহ ।
নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তের বছর ।
নবীজীর ছোটবেলায় তিনি আমেনার সাথে
তাঁর যত্ন নিয়েছেন,
গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন,
আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন।
আমেনার মৃত্যূর সময় তিনি বারাকাহ এর হাত ধরে
অনুরোধ করেছিলেন,
তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন ।
বারাকাহ জীবনভর তাই করেছিলেন ।
বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে ইয়াতিম
মুহাম্মাদ (সা.) চলে আসলেন
দাদা আবদুল মোত্তালিবের তত্বাবধানে।
এবার উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি হলেন
বারাকার নতুন মনিব ।
কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন,
বললেন,
‘আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন,
আপনি স্বাধীন ও মুক্ত’।
বারাকাহ শিশু মুহাম্মাদকে (সা.)
ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না।
রয়ে গেলেন, মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন।
এমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য
বেশ কয়েকবার চেষ্টাও করেছিলেন,
কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না।
উনার কথা ছিল,
'আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি,
আমি কোথাও যাবো না’।
একদিন খাদিজা (রা.) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো।
বিয়ের দিন নবীজি (সা.) খাদিজা (রা.) এর সাথে
বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন,
বললেন, ‘উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা’।
বিয়ের পর রাসূল (সা.) একদিন বারাকাহ-কে ডেকে বললেন,
‘উম্মি ! আমাকে দেখাশুনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন,
আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবে’।
(নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না)।
তারপর রাসূল (সা.) ও খাদিজা (রা.) মিলে তাকে
উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন।
কিছুদিন পর বারাকাহ এর একজন ছেলে হলো,
নাম রাখলেন আইমান ।
এরপর থেকে বারাকাহ নতুন নামে পরিচিত হলেন,
‘উম্মে আইমান’।
একদিন বারাকাহ স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন।
নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাহ-কে সাথে করে
নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন ।
কিছুদিন পর নবীজি(সা.) বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন,
‘আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই,
তিনি বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে,
কিন্তু তিনি জান্নাতি।
তোমাদের মধ্যে কেউ কি
একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?’
এইকথা শুনে জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)
নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ।
নবীজি (সা.)উম্মে আইমানের সাথে কথা বলে
বিয়ের আয়োজন করলেন ।
বিয়ের দিন রাসূল (সা.) জায়েদকে
বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়,
ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন,
জায়েদ জানো, তুমি কাকে বিয়ে করেছো?
‘হাঁ, উম্মে আইমানকে’, জায়েদ উত্তর করলেন।
নবীজী বললেন, ....
তুমি যাকে বিয়ে করেছো তিনি আমার মা!
সাহাবীরা বলতেন, রাসূল (সা.)-কে
খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না ।
উনি সেটা পছন্দ করতেন না ।
কিন্তু উম্মে আইমান একমাত্র নারী,
যিনি রাসূল (সা.) কে খাবার দিয়ে
"খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন।
আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন।
নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন ।
রাসূল (সা.) স্বিয় দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে
যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে
তার উপর তাকে বসতে দিতেন,
ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর
দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
নবীজি তাঁর গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে,
উম্মে আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি
নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন,
‘উম্মি ! জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না’।
নবীজি(সা.) মৃত্যুর আগে সাহাবীদের অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন।
সেই সব কথার মধ্যে একটা ছিল,
উম্মে আইমানের কথা।
তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মত।
তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন,
তিনি আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য,
যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন’।
সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন।
গায়ের রং নয়, এক সময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়,
তাঁর পরিচয় ছিল, তিনি নবীজীর আরেক মা।
ফলে সাহাবায়ে কিরাম আপন মায়ের মতোই
এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন ।
আবু বকর উমার রা. মাঝে মাঝেই তাকে দেখতে যেতেন,
আর তাঁর খোঁজখবর নিতেন।
বিভিন্ন সুত্র
~ Mokhter Ahmad (Hafi.)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় ভাইয়েরা,
জীবন চলার পথে আমরা অনেক অপ্রিয় বিষয়ের মুখোমুখি হই। আমরা যদি সম্পর্ক বিজ্ঞানের (intersection science) সুন্নাহ সম্মত মূলনীতি গুলো
মেনে চলি তবে ঝগড়া হলেও আমাদের সম্পর্ক অটুট,সুন্দর ও প্রানবন্ত থাকবে।
সম্পর্কের আদব ১:
আমি কারো মুখে শুনলাম, অমুক আমার নামে মন্দ বলেছেন, আমার গীবত করেছেন-এমুহূর্তে আমার করণীয় কী?
চিন্তা করব : কে বেশী প্রিয়? কে বেশী বিশ্বস্ত? আমার বিষয়ে কে অধিক কল্যানকামী? সম্পর্কের গভীরতায় কে নিকটতর?
১) আমার নিকট বর্ননাকারী?
২) নাকী আমার নামে গীবত কারী
১(ক) যদি বর্ননাকারী প্রিয় হয়, তবে তাকে বলব" গীবত কারী গীবত করে নিজেকে গুনাহগার করেছে, আমার আমলনামা সমৃদ্ধ করেছে, আপনি কেন তার গীবত করে আর আমাকে শুনিয়ে, নিজেকে ও আমাকে গুনাহগার করছেন? তার আমলনামা সমৃদ্ধ করছেন"? বরং আসুন আমরা নিজেদেরকে অসার কাজ থেকে বিরত রেখে নিজের অন্তরকে প্রশান্ত রাখি, পরিশুদ্ধির দিকে আগাই, আপনার প্রতি নসিহা "আমি আপনাকে মহান আল্লাহর জন্য ভালোবাসি, আর কখনো আপনি আমার কাছে কারো গীবত (সত্য কথা) করবেন না, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা জান্নাতে একসাথে থাকব"
২(ক) আর যদি, গীবত কারী প্রিয় হয়, তাহলে শুরুতেই বর্ণনা কারীকে কিঞ্চিৎ অবিশ্বাস করেই বলব, "ঠিক আছে ভাই, বিষয়গুলো আমি আমার ঐ গীবত কারী ভাই কে জিজ্ঞেস করব, আপনার আপত্তি নাই তো? কারণ আমি চাইনা ঐ ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হোক, হয়তো আপনাকেও তার মুখোমুখি হতে হবে, রাজী তো?
এরপর বর্ননাকারীর নাম উল্লেখ না করে, আমি গীবত কারী মন্দ ভাইয়ের মুখোমুখি হব, সরাসরি ও সুনির্দিষ্ট ভাবে পয়েন্ট উল্লেখ করে করে, বিষয় গুলোর ব্যখ্যা চাইব,
তার ব্যখ্যায় আমি অসন্তুষ্ট হলে "ঈমানের যত্ন নিতে বলব, ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক করব"
আর তার ব্যাখ্যায় আমি সন্তুষ্ট হলে, "তাকে জাযাকাল্লাহু খয়রন বলব এবং বর্ণনাকারী ভাই কে ঈমানের যত্ন নিতে বলব, ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক করব".....চলবে
বিস্তারিত জানতে :
১) সুরা হুজুরাত, আয়াত ৬-১২
২) সহিহ মুসলিম ৬১৬৬ ( ইসলামিক ফাউণ্ডেশন) শরাহ সহ।
~ এড. নিজাম উদ্দিন
আসসালামুয়ালাইকুম।
খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।
সবাইকে আমন্ত্রণ।
আগামীকাল চোখ রাখুন পেজ এ ৮:৪৫ মিনিট এ..
আশেপাশের পরিচিতদের কে এবং সাথে আপনিও ভর্তি হয়ে নিতে পারেন ইন শা আল্লাহ্।
🌼 সুখবর 🌼 সুখবর 🌼 সুখবর
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
সু-প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা,
নিশ্চয়ই সালাত মুসলিমদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। এই ফরজ ইবাদত আদায় এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা অতীব জরুরী।
যেমন- সালাতের ফরজ, ওয়াজিব, বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়াসমূহ।
এই বিষয়কে সামনে রেখে "Academy MFC" এর নতুন আয়োজন আগামী ৪ঠা আগষ্ট ২০২৩ইং থেকে 'সালাতে অধিক পঠিতব্য সূরা ও দোয়া কোর্স' ইন শা আল্লাহ্।
কোর্স মেন্টর: উস্তায হানিফ রায়হান( Hanif Raihan )।
কোর্স ফি: ৫০ টাকা
বিকাশ: 01834592110
রেফারেন্স: A.MFC.Q.C
বি:দ্র: মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক ব্যাচ এবং মহিলাদের পড়া শুনবেন মহিলা উস্তাযা।
আসন সংখ্যা: ১৫ জন ( মহিলা ও পুরুষদের আলাদা)
গুগল ফর্ম লিঙ্ক: https://forms.gle/9aGpVMkU4ns3nPhy9
প্রয়োজনে📱: 01877389181(Whatsapp)
আমাকে একজন বললেন, "অমুকেরা যয়ীফ বা জাল হাদিস দিয়ে মানুষদের আল্লাহর পথে ডাকেন। কত বলি যে, আপনারা সহিহ হাদিসের কিতাব পড়ুন, কিন্তু তারা শুনেন না।" আমি বললাম, "তাঁরা তো যয়ীফ হাদীস দিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ডাকছেন, আপনি সহিহ হাদিসের গ্রন্থগুলো নিয়ে ক'জনের দ্বারে গিয়েছেন?" শুধু সমালোচনা কোন কল্যাণ বয়ে আনে না।
~ ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।