The Big Content Ltd

গল্পটা প্রথম ভালোবাসার! যে ভালোবাসা আমাদের হাসায়, কাঁদায়, ভালোবাসায়...

এবারের ভালোবাসা দিবসে আমাদের প্রথম ভালোবাসার গল্পটা বলতে এসেছি আমরা। আজ সন্ধ্যা ৭টায় আসছে ইস্পাহানি ব্লেন্ডার্স চয়েস নিবেদিত মাহাথির স্পন্দনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'The First Love'। দেখার আমন্ত্রণ রইলো সবাইকে।

*No caption needed*

Our Creative Team messed it up again! *Sigh*

, (arguably)The at your service. 😝

স্বেচ্ছায় অংশ নেয়া যায়, এমন সবধরণের অ্যাওয়ার্ড শো থেকেই আমরা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছি আজকে থেকে। কেন? কারণটা জানতে গেলে বছর দুয়েক আগে থেকে একটু ঘুরে আসতে হবে।

টু বি ভেরি অনেস্ট, অ্যাডভার্টাইজিং ইন্ডাস্ট্রির লোকজন বিগ কনটেন্ট-কে চিনছে ২০২১ সালের কমওয়ার্ডের পরে। অনেক বাঘা বাঘা এজেন্সির ভিড়ে আমরা কেমনে কেমনে জানি ১৭টা অ্যাওয়ার্ড পাইলাম, যা গতবছর থার্ড হায়েস্ট উইনার ছিলো। আরও অনেকের মতোই, আমরা নিজেরাও বেশ সারপ্রাইজড ছিলাম। মাত্র ৩টা ক্যাম্পেইন, যার মধ্যে দুটোই অস্বাভাবিক লো-বাজেটের কাজ, এমন ৩টা ক্যাম্পেইন দিয়ে এই রেজাল্ট আসা বেশ আনএক্সপেক্টেড। এই রেজাল্টের সারপ্রাইজ হজম হতে না হতেই আমরা অ্যাওয়ার্ডের আসল ইফেক্ট বোঝা শুরু করলাম তার কিছুদিন পর। যেসব কোম্পানির ম্যানেজারও এর কিছুদিন আগ পর্যন্ত আমাদের ফোন ধরতো না, সেই কোম্পানির ডিরেক্টর / হেড অব মার্কেটিং নিজে কল দিয়ে অফিসে ইনভাইট করলো। তাদের ব্রীফ নেয়াই লাগবে! বলাই বাহুল্য, আমাদের জন্য এই এক্সপেরিয়েন্স একদমই নতুন ছিলো। আমরা বেশ মজা নিয়েই এই স্টারডম বা ভিআইপি ট্রিটমেন্ট এনজয় করতে থাকলাম। দেখলাম যে আমরা যতো উল্টাপাল্টা কোন আইডিয়া-ই দেই না কেন, কোন না কোন ক্লায়েন্ট কীভাবে কীভাবে যেন রাজি হয়ে যায়। একটার পর একটা এক্সপেরিমেন্টাল ক্যাম্পেইন নামানো শুরু করলাম। নিজেকে একজন “গ্রেট সেলসম্যান” হিসেবে মনে হতে লাগলো, যে কিনা যেকোনকিছুই বেচতে পারে। নিজের ভেতরে ভেতরে একধরণের আত্মশ্লাঘা অনুভব করা শুরু করলাম। ভালোই লাগতো!

সময় যেহেতু উড়ে উড়েই যায়, চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই ২০২২ সালের কমওয়ার্ড-ও চলে আসলো। এইবারও ঝুলিতে ১১টা অ্যাওয়ার্ড ভরলাম। ওয়ান অব দ্যা টপ পারফর্মারস ছিলাম আমরা। অফিসের অ্যাওয়ার্ড শো-কেসে এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা থাকলো না। কেউ অফিসে ঘুরতে আসলেই একটু বিস্মিত হয়ে ওদিকে একবার তাকাবেই। মিথ্যা বলবো না, সেই অবাক চাহনি দেখতে আমাদের খারাপ লাগতো না। কমওয়ার্ড, ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড, ইস্পাহানি-ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যাওয়ার্ড, সিনেগল্প অ্যাওয়ার্ড- সব মিলিয়ে দেখি মাত্র দুই বছরের মধ্যেই মার্কেটের সবচেয়ে বড় বড় প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে মোট ৩৭টা অ্যাওয়ার্ড পেয়ে বসে আছি। আমাদের মতো অনেক নতুন এজেন্সির কাছেই এটা হয়তো বা কিছুটা স্বপ্নের মতো।

এর মধ্যে আমার বয়সও কিছুটা বাড়লো, একটা এজেন্সি চালানোর কারণে ইন্ডাস্ট্রির জানা-বোঝাও কিছুটা বাড়লো। “কজ অ্যান্ড এফেক্ট” বোঝা শুরু করলাম এতোদিন পরে এসে। মার্কেটে দেখলাম আমাদের নামের সাথে আরও দুটো পরিচয় যোগ হয়ে গেছে। প্রথমটা হচ্ছে আমাদের প্রায় সব ক্যাম্পেইন-ই হিট বা ভাইরাল হয়। এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে আমাদের ক্যাম্পেইনগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে অ্যাওয়ার্ডেড হয়। বিভিন্ন ক্লায়েন্ট থেকে আমাদের কাছে ব্রীফ আসা শুরু করলো- “ভাই, চলেন একটা অ্যাওয়ার্ড-উইনিং / হিট ক্যাম্পেইন করি!” ব্র্যান্ড পজিশনিং, ক্যাম্পেইন অবজেক্টিভ- কোন কিছুই তাদের কাছে ম্যাটার করে না, শুধুমাত্র ক্যাম্পেইন-টা হিট আর অ্যাওয়ার্ড-উইনিং হইলেই হবে!! স্টোরি-টেলার হতে এসে কখন যে স্টোরি-সেলার হয়ে গেলাম, নিজেও জানি না!

আমরা তখন একটু টাইম-ট্র্যাভেল করলাম। বিগ কনটেন্ট শুরুর আগে চলে গেলাম। যেই ফ্রাস্ট্রেশন থেকে আমরা কোথাও চাকরি না করে নিজেদের একটা ছোট জায়গা শুরু করেছিলাম- সেই দিনগুলো থেকে আরেকটাবার ঘুরে আসলাম। আমার কাছে তখন মনে হতো মার্কেটে গল্পের একটা খরা যাচ্ছে। আমরা দিনদিন কেন যেন গল্প বলাটা ভুলে যাচ্ছি সবাই- সেটা হোক কলমে বা ক্যামেরায়। আমাদের বেশিরভাগ গল্প-বলা লোকজনের দৌড় সেই চাল-ডাল-তেলের গুণগান গাওয়া বিজ্ঞাপন পর্যন্ত। ১০০ বছর আগে বিজ্ঞাপনের যেই ফরম্যাট আমাদের শিখায়ে দিয়ে গেছিলো দাদাভাই’রা, এখনো পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে সেটাই বেচে খাচ্ছি আমরা।
অথচ, আমাদের কাছে সবসময়েই মনে হয়, গল্পের ভয়ঙ্কর রকম একটা ক্ষমতা আছে, যেই ক্ষমতাটা আমরা ঠিকমতো কেউই ব্যবহার করতে পারছি না। গল্প দিয়ে খুব সহজেই একটা মানুষকে প্রচণ্ড প্রভাবিত করা যায়, তার মগজের একদম গভীরেও ঢুকে যাওয়া যায়। আর গল্প দিয়ে মানুষের মগজে ঢুকে সেখানকার আবর্জনা পরিষ্কার করা- এটাই ছিলো আমাদের “বিগ কনটেন্ট” শুরু করার পেছনের একমাত্র উদ্দেশ্য। অ্যাডভার্টাইজিং-এর যেই হাদীস সবাই মেনে চলে- “হয় টাকা, নয়তো অ্যাওয়ার্ড”, সেটা মেনে চলার সৌভাগ্য, সুযোগ বা ইচ্ছা কোনটাই আমাদের হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম, একটা ভালো গল্পের ক্ষমতা আসলেই কতোদূর সেইটুকুই খালি দেখতে।

একটা গল্প দিয়ে আমরা কিছু মানুষের চিন্তার প্যাটার্নে কিছু পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম, কারণ আমার চারপাশের মানুষগুলো আমাকে প্রচুর ভুগিয়েছে তাদের চিন্তাভাবনা দিয়ে। “লোকে কী বলবে”- এই ভেবে জীবনের অর্ধেকের বেশি নষ্ট করে ফেলেছি, মনে হতো যে একটা ধার করা জীবন নিয়ে চলছি। আমি আমার গল্প দিয়েই এই সো-কলড সোশ্যাল সিস্টেমের সাথে যুদ্ধটা করতে চেয়েছি। আমরা “নট হার ফল্ট”-এ খুব পরিষ্কার করেই বলেছি- যিনি ধর্ষণের শিকার, সেখানে তার কোনই দোষ নাই। তার সাথে ভিক্টিম-ব্লেমিং করা যাবে না। “পৃথিবী সবার হোক”-এ বলেছি, দুই ধর্ম পাশাপাশি থাকতে কোন বাধা নেই, শুধু আমাদের ইচ্ছাটাও থাকা লাগবে। ফ্রেশ টিস্যুর ব্রেস্ট ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইনে প্রত্যেকটা সন্তানকে বলেছি তার মায়ের-বোনের খোঁজটা নিতে যে ওনার ব্রেস্ট ক্যান্সারের চেক-আপটা করেছে কিনা। ওনাদের জীবনটা বাঁচানো বেশি জরুরি আমাদের লজ্জার চেয়ে। “কক ইন কন্ট্রোল”-এ সরাসরি বলে দিয়েছি পুরুষেরা নিজের কামনা-বাসনা সামলাতে পারলেই আর কোন সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ঘটবে না। কোন সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স-এর ঘটনাতেই কোন নারীর পোশাক দায়ী না।

আমাদের প্রতিটা ক্যাম্পেইন-ই ছিলো আমাদের চুপ করে থাকা, জমাট বাঁধা কথাগুলো চিৎকার করে সবাইকে জানানো। সেখানে টাকা বা অ্যাওয়ার্ড কামানো কখনোই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো না। একজন মানুষেরও যদি কোন উপকার হয়ে থাকে আমাদের ক্যাম্পেইনগুলো থেকে- সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড এবং রিওয়ার্ড। আমরা সৌভাগ্যবান, আমাদের কিছু কিছু ক্লায়েন্ট আমাদেরকে এই পাগলামিগুলো করার সর্বোচ্চ সুযোগটুকু দিয়েছে। তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।

বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে পুরস্কৃত করে যারা এতো সম্মানিত করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এতোকিছুর পরেও, আমরা বর্তমানে এসে কিছুটা ক্লান্ত। আমাদের আর কোন “হিট” বা “অ্যাওয়ার্ড-উইনিং ক্যাম্পেইন” করার কোন ইচ্ছা নাই। হিট, ভাইরাল, অ্যাওয়ার্ড-উইনিং এমনসব শব্দগুলোর সাথে আমরা আর কোন সম্পর্ক রাখতে চাই না।
কিন্তু আমাদের চারপাশ বদলে ফেলতে পারে- এমন গল্পগুলো বলার চেষ্টা’টা সম্ভবত আমাদের সারাজীবনই থাকবে। আমরা চাই না, আমাদের আর কোন কাজ কেউ কখনো অ্যাওয়ার্ড দিয়ে জাজ করুক। আমাদের কাজের ভালো বা মন্দ বলতেই পারেন, ভুল থাকলে শুধরে নিবো; কিন্তু শুধুমাত্র কোথাও কোন অ্যাওয়ার্ড পেলে তারপরেই সেটা ভালো কাজ হয়েছে- আমি এই যুক্তি বা প্র্যাকটিসে বাঁধা পড়তে চাই না। একজন শিল্পীর কাছে এরচেয়ে অপমানজনক আর কিছু হতে পারে না বলেই মনে করি। আমরা এই দৌড় থেকে বিরতি নিচ্ছি।

আমরা শুধুমাত্র আমাদের কাজ দিয়েই পরিচিত হতে চাই- সেটা ভালো বা খারাপ হোক, কিন্তু আর কোনদিন অন্য কোন অ্যাওয়ার্ড বা ভাইরাল ভিডিওর পরিচয়ে আমরা পরিচিত হতে চাই না। আমাদের চাওয়া এতোটুকুই।

#মুছেযাকগ্লানি

The Big Content Ltd has won the Best Content Creator (Health & Wellbeing) Award for campaign in Blender's Choice - The Daily Star OTT and Digital Content Awards. Hoping for many more to come.

পারিশ্রমিক বৃদ্ধিসহ চা শ্রমিকদের সকল ন্যায্য দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

**সকল সামাজিক শ্রেণী ও পেশার মানুষের প্রতি আমরা সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল। শুধুমাত্র সৃজনশীল অভিব্যাক্তি প্রকাশের সুবিধার্থে সম্বোধনের ক্ষেত্রে তুচ্ছার্থক/ঘনিষ্ঠতাজ্ঞাপক মধ্যম পুরুষ ব্যবহৃত হয়েছে।

All praise to the almighty.

BIG RECRUITMENT
Does your creative mind hunger for catalyzing positive social changes through your communication expertise? If you have a creative and ecstatic mind that believes in creating inspiring content for brands, you’re whom we’re looking for. And it’s time to think bigger!
The Big Content Limited is looking for urgent recruitment for the following positions:
 Associate Art Director
 3D Graphic Designer (BTL)
 Motion Graphic Designer
 Strategic Planner (Mid Level)
 Senior Executive, Client Service
 Senior Executive, HR & Admin
Required Qualifications:
- Bachelor Degree
- Leadership & Communication skills in both Bangla & English
- Must have an agency background and experience in the related field.
To be a part of the pioneer impact platform in Bangladesh, please drop your CV and portfolio at [email protected] by mentioning the following subject line – `Your Name: Your Desired Designation’ within August 4, 2022.

ব্যবসা অনেক হইসে।

Press Ad
Client: IPDC Finance Limited
Campaign: Unsung Women Nation Builders Awards 2022