Learn For Career
ক্যারিয়ার গড়ার নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল প
===::: লক্ষ্য যদি হয় ওয়েব ডিজাইন :::===
যারা ওয়েব ডিজাইন শিখবেন বা শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু দিক নির্দেশনাঃ
-
১। মূলত আমরা পিএসডি টু এইচটিএমএল প্রাকটিস করে থাকি। তাই ভাল মানের পিএসডি নিয়ে প্রাকটিস করুন।
-
২। পিএসডি হাতে পাওয়ার পর হেডার থেকে শুরু করে ফুটার অংশ পর্যন্ত ভালভাবে দেখে নিন। একেকটি অংশ বারবার দেখুন এবং মনের মধ্যে একটি ছক করুন। কিভাবে করবেন। রো কোডিং করবেন নাকি ফ্রেম ওয়ার্ক ব্যবহার করবেন। আপনি যেটা ভাল পারেন সেটা দিয়ে শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন, ছোট ছোট ব্যাপারগুলো সবসময় রো কোডিং করা ভাল।
আর তুলনামূলক যেগুলো বুটষ্ট্রাপের কলাম এ ফেলে সহজে সাজানো যায় সেগুলো বুটষ্ট্রাপ দিয়ে করবেন। দেখা যায় অনেকেই অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজেও বুটষ্ট্রাপের কলাম ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে গুলিয়ে ফেলেন কোথায় কত কলাম ব্যবহার করবো। কোথায় অফসেট ব্যবহার করবো। কোথায় করবোনা ইত্যাদি ইত্যাদি। উল্লেখ্য, বুটষ্ট্রাপের কলাম, রো, কন্টেইনার, ন্যাভবার, ট্যাব, বাটন, ক্যারোসেল প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখার চেষ্টা করতে হবে। মুখস্ত করা লাগবেনা। অন্তত কপি-পেষ্ট করেও যেন কাষ্টমাইজ করে নিজের কাজের উপযোগী করে তুলতে পারেন।
-
৩। একটি সেকশন শুরু করলে সেটা শেষ করার পর অন্য সেকশনে যান। তাতে আপনার কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা পরিলক্ষিত হবে। অনেকেই একটি সেকশন শেষ না হতেই আরেক সেকশনের কাজে হাত দিয়ে থাকেন। যার ফলে ঐ আগের সেকশন অসম্পূর্ণ থাকায় পরের সেকশনে তার প্রভাব পড়ে থাকে। একটি কথা খুবই জরুরী, একটি ডিভের শুরু ও শেষ নিশ্চিত করবেন। শুধু ডিভ ই না যেকোন ট্যাগ শুরু করলে তার শেষ নিশ্চিত করতে হবে।
-
৪। একটি সেকশন শেষ হওয়ার সাথে সাথে তার রেসপনসিভ ব্যাপারটিও সেরে ফেলতে হবে। মনে রাখবেন, কাজ শেষ করে রেসপনসিভ করতে গেলে কোন সেকশনের জন্য কোথায় স্ক্রল পাচ্ছে তা এত্তো এত্তো কোডের মধ্য থেকে খুঁজে বের করা মুশকিল হয়ে পড়ে। যার ফলে, চক্ষু লাল, মাথা গরম, মেজাজ খিটখিটে এমনকি মাথার চুলও ছিঁড়তে হয় কখনও কখনও। তাই একটি সেকশন শেষ হওয়ার সাথে সাথে রেসপনসিভ পার্টটাও সেরে ফেলুন।
-
৫। একটানা প্রাকটিস করবেন না। মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন।
-
৬। কোড যখন মিলছেনা, পিসির সামনে আর বসে থাকবেন না। বাইরে একটু হাটাহাটি করুন। চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিন। কারও সাথে একটু অন্য বিষয়ে গল্প করুন। অবশ্যই তা মোবাইল ফোনে করতে যাবেন না এবং গল্প যেন কোডিং সংক্রান্ত না হয়। অথবা একটু গান শুনুন। ছোটদের সাথে মজার কোন গল্প শেয়ার করুন।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে ইউটিউব থেকে বা ফেসবুক থেকে মজা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না এই সময়টাতে। একটু রিফ্রেশমেণ্ট নেওয়ার পর কোডটাতে চোখ বুলান দেখেন সামান্য একটি ভুল করে রেখেছেন। সমাধান হয়ে যাবে। অনেকে কোডিং এ ইরোর খুঁজতে খুঁজতে অনেক সময় পার করে ফেলেন। অথচ ফলাফল শুন্য দাঁড়িয়ে যায়। অযথা সময় পার না করে স্রেফ ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠে যান রিফ্রেশমেন্টের জন্য।
-
৭। যে কথাটি প্রায়ই বলে থাকি, ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিনঃ-
ক) প্রাকটিস করুন। খ) প্রাকটিস করুন। গ) প্রাকটিস করুন। 🙂
অবশেষে যে কথাটি না বললেই নয়, ওয়েব ডিজাইনকে যদি পেশা হিসেবে নিতে চান। তাহলে নিজের উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন। পরিশ্রম করুন। সময়কে সময় দিন। মহান সৃষ্টিকর্তার উপর সন্তুষ্ট থাকুন।
শেখার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত পথ পরিহার করুন। সবজান্তা ভাব পরিহার করুন। শেখার নামে আত্নপ্রবঞ্চক হবেন না। (দিনরাত ফেসবুকে সময় পার করছেন আর মা-বাবা ভাই অথবা বন্ধু বান্ধব অথবা আপনার মেণ্টরকে বুঝাচ্ছেন আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখছেন)। আত্মপ্রবঞ্চনা আপনাকেই ঠকিয়ে দেবে। আর সবচে যে বিষয়টি জরুরী তাহলো, শিখতে হলে প্রশ্ন করতে শিখুন। প্রশ্ন করতে পারলেই শিখতে পারবেন। মনে রাখবেন, যে প্রশ্ন করতে জানে, শেখার অধিকার তারই আছে।
বাস্তবে যারা সাফল্য পেয়েছে এবং যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের মধ্যে মূল পার্থক্য ”অভ্যাসে”
বাস্তবে যারা সাফল্য পেয়েছে এবং যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের মধ্যে মূল পার্থক্য ”অভ্যাসে” ভাল অভ্য কঠিন সত্য হলো, বাস্তব জীবনে যেকোন সেক্টরে যারা সফল হয়েছে এবং যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের উভয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো ...
কঠোর পরিশ্রমঃ- 🙂
জীবনে সফলতা অর্জনের পিছনে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।পৃথিবীতে কেউ সাফল্যের চামচ নিয়ে জন্মলাভ করে না। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করতে হয়।প্রবাদ আছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’।পরিশ্রমের দ্বারা ভাগ্যের চাবিকাঠি এমনভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব।সফলতার প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। আধুনিক বিশ্বে যা কিছু আবিষ্কার হয়েছে সবই পরিশ্রমের ফসল।কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, প্রতিভা বা ভাগ্যের দ্বারা অসাধ্য সাধন করা যায়। কিন্তু পৃথিবীতে যারা কীর্তিমান, তারা প্রতিভার চেয়ে কঠোর পরিশ্রমকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি।পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ সে নিজের ভাগ্য নিজের কর্মের দ্বারা পরিবর্তন না করে।সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক মানুষকেই প্রতিভা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা তাদের ভেতর সুপ্ত অবস্থায় থাকে।তাই আপনাকে নিজের লক্ষ্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
কার কার সাথে এমন টা হয় 😁😂😅😆
আপনি যার জন্য সাগর সেঁচে মুক্তো খুঁজে বেড়াচ্ছেন, ফিরে এসে দেখবেন সে পথের সস্তা নুড়ি নিয়ে মেতে আছে।
সবাই আপনার মূল্যবান সময়, পরিশ্রম এবং ইফোর্টের যোগ্য না। না চাইতেই কাউকে দু’হাতে সব বিলিয়ে দিবেন না, লেট দেম আর্ন ইট।
Control Your "Anger" Because it is just one letter away from "D"anger.
১৭৪ দেশকে হারিয়ে রোবটিকসে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
❤️💜💚❤️
prothomalo.com যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ফার্স্ট গ্লোবাল আয়োজিত আন্তর্জাতিক রোবটিকস প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৭৪টি দে....
যখন দেখবেন শরীরের চেয়ে ছায়া বড় হয়ে গেছে,
বুঝবেন সূর্য ডুবার সময় হয়েছে।
বিয়ের সাতদিন পর আমার বউকে গনধর্ষণ করা হয়েছিল। এই জঘন্য কাজটা আমার সামনেই করা হয়েছিলো কিন্তু আমি কিছু করতে পারিনি। আমাকে বেঁধে রেখে আমার সামনেই নরপিশাচরা আমার বউকে ধর্ষণ করেছিল। আমি অনেক আকুতি মিনতি করেছিলাম কিন্তু তাদের কানে আমার আকুতি পৌছায়নি। ওরা ছিলো চার জন। বিয়ের পর আমি নিজেই আমার বউ এর কাছে যাইনি। কারণ সে অসুস্থ ছিলো। কিন্তু ওরা অসুস্থ্যতা দেখেনি। ওরা চলে যাওয়ার পরেও পাঁচ ঘন্টা আমার স্ত্রী আমার সামনে নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলো। তাঁর কান্না আমার ভিতর পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে দিন গুনতে থাকে। আর আমি ধর্ষকদের শাস্তির জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে থাকি। একসময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে কেস চালাতে হয়েছে আমাকে। আমার সবকিছু আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম শুধু ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য কিন্তু আমি পাইনি।
তিনমাস পর তারা জামিনে বের হয়ে আসে। আর সেদিনই আমার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা। চিঠিতে লিখে গিয়েছিল।
এই দেশে ধর্ষকের শাস্তি হয় না কিন্তু ধর্ষিতার মানসিক শাস্তি ঠিকই হয়।
আমার সামনে দিয়ে যখন আমার বউকে ধর্ষণ করা মানুষগুলো হেঁটে যেতো তখন মরে যেতে ইচ্ছে করতো। ওরা ছিল প্রভাবশালী তাই ওদের কে কিছু করা যাবে না সেটা জানি আমি।
একটা মেয়ের সাহায্য নিয়ে ওদের চারজনকে আমি কিডন্যাপ করি। কারণ ওরা ছিলো সেক্স পাগল। সেক্সের জন্য কোনো মেয়ে বললে যেখানেই হোক না চলে যেতো। চারজন মানুষকে একা কিডন্যাপ করা কখনো সম্ভম না। কিন্তু আমি করেছিলাম। তার জন্য ব্যবহার করেছিলাম একজাতীয় স্প্রে যেটা নাকে ধরলে চব্বিশ ঘন্টা অজ্ঞান থাকবে।
ওরা যখন চোখ খুলে তখন একটা অন্ধকার রুমের ভিতর হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল।
ওদের জ্ঞান ফেরার পরেই আমি ছুটে যাই ওদেরকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন আমার মনে হয় আমার বউ এর মৃত্যু যন্ত্রণা। কতোটা কষ্ট দিয়েছিলো তাকে। হাসপাতালের বেডে কতোটা যন্ত্রণা সহ্য করেছিল।
তখন আমার মনে হলো এদেরকে শুধু দুইমিনিটের মৃত্যু দিলে আমার বউ এর আত্মা শান্তি পাবে না। এদের আমি পৃৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর আর কষ্টকর মৃত্যু উপহার দিবো।
সাতদিন ওদেরকে আমি বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। সাতদিন ওদের সাথে আমি নরপিশাচের মতো ব্যবহার করেছিলাম।
ওদের শরীরের প্রতি ইঞ্চি পরপর শুই ঢুকিয়েছিলাম। শুই দিয়ে মুখের সমস্ত জায়গায় ছিদ্র করেছিলাম। তারপর সমস্ত গায়ে লবণ মরিচ মাখিয়ে দিয়েছিলাম নিজ হাতে।
দ্বিতীয় দিন তাদেরকে টানা দুই ঘন্টা ধর্ষণ করিয়েছিলাম। তারা কান্না করে চিৎকার করেছিল। সহ্য করতে পারছে না। তখন আমি এক পৈশাচিক আনন্দ ভোগ করেছিলাম।
তৃতীয় দিন আমি তাদের মাথার চুলগুলো টেনে টেনে তুলি। এটা করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিলো। চতুর্থ দিন আমি তাদের কান দুইটা প্লাস দিয়ে টেনে টেনে ছিঁড়েছিলাম। তারা সেদিন আমার কাছে মৃত্যু ভিক্ষা চেয়েছিল। খুব করে আকুতি করেছিলো তারা আর সহ্য করতে পারছে না। মৃত্যু চায় তারা। কিন্তু আমি তাদের মৃত্যু দেয়নি। পঞ্চম দিন আমি তাদের চোখদুটো তুলে ফেলি। তুলে ফেলার আগে চোখে মরিচের গুড়া দিয়েছিলাম। তারা পঞ্চম দিনে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম ওরা মারা গিয়েছে। তাই নিজের প্রতি অনেক রাগ হয়েছিলো সেদিন। কিন্তু সাতদিনের দিন তাদের জ্ঞান ফিরে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম তারা বেশি সময় বাঁচবে না। তাই তাদের চিরতরে শেষ করার সিদ্বান্ত নেই।
তাদের লিঙ্গের অর্ধেক কেটে ফেলেছিলাম। তারপর তাদের বাকি লিঙ্গতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে আস্তে আস্তে পুরো শরীরে আগুন ছড়িয়ে যায়। তবে অনেক সময় লেগেছিলো তাদের শরীরে আগুন ছড়াতে। তারা প্রায় বিশ মিনিটের মতো আগুনে পুড়েছে আর মৃত্যু যন্ত্রণায় চিৎকার করেছে।
পুরো সাতদিনে আমি একটা ভিডিও বানাই। সাতান্ন মিনিটের একটা ভিডিও। যেটাতে সাতদিনের ভয়ংকর শাস্তিগুলো রেকর্ড করা ছিলো। আমি জানতাম ভিডিওটা ফেসবুকে ছাড়লে ভাইরাল হবে। তাই ফেসবুকে ছেড়ে দেই।
ভিডিওটা দেখার পর বারো জন ধর্ষক আত্মহত্যা করে। কিছু মানুষ দেখে স্ট্রোক করে। কিছু মানুষ ভিডিওটা দেখার সাহস পায়নি।
ভিডিওটা দেখার পর ধর্ষণ অনেকটা কমে এসেছে।
তবে আদালত আমার ফাসির রায় দিয়েছে। আমি এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে ধর্ষণ করার জন্য জেল,ফাসি কিছু হয় না। কিন্তু ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়ার অপরাধে ঠিকই আদালত আইন প্রয়োগ করে।
#শাস্তি
লেখা ও ছবি-(অনিরুদ্ধ গুহ)
“Either be frustrated or inspire yourself. It all depends on you. "
আমি ব্যর্থতাকে মেনে
নিতে পারি, কিন্তু আমি
চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারি না।
শুরুতেই ধ্বংস্ব হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে!
ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য!
টেকনিক্যাল মোড় থেকে একটু সামনে এপ অন করে দাড়ায়ে রইছি৷ রাত প্রায় ১০টা বাজে তখন।
হাতে ছোট একটা কাপড়ের ব্যাগ আর টুপি পাঞ্জাবী পড়া এই ছেলে এসে জিজ্ঞাসা করতেছে, ভাই ঘাটে যাবেন?
উত্তরে জিগাইলাম, কোন ঘাট?
বললো সদরঘাট।
আমি পাঠাও ইউজার এপ ওপেন করে দেখলাম ভাড়া আসে ১৯০ টাকার মত।
তারে বললাম, আমি তো এভাবে কাউকে নেই না। এপের মাধ্যমে নেই শুধু। আপনার এপ আছে?
কিছু না বলে অন্য দিকে চলে গেল৷ আমি ডেকে বললাম, চুক্তিতে গেলেও ১৭০-৯০ টাকার বেশি যায়েন না৷ এরকম ভাড়া আসবে৷
সে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজনের সাথে কথা বললো৷ সম্ভবত ওনার সাথেও মিলে নাই৷ তাই হাটা দিল সামনের দিকে৷
একটু পর দেখলাম সে হাটতেছে৷ বাসেও উঠে না, আবার বাইকেও উঠে না৷
এপ বন্ধ করে তার সামনে গিয়া বললাম, উঠেন৷ পল্টন পর্যন্ত যেতে পারবেন আমার সাথে৷ আমি ওদিকেই যাব। ভাড়া লাগবে না৷
একটা স্মিত হাসি দিয়েই থ্যাংকিউ বলে বাইকে উঠা ধরলো৷ আমি বললাম আগে হেলমেটটা পড়ে নেন৷
হেলমেট পড়ায়ে বাইকে উঠাইলাম। তারপর পল্টনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
পথিমধ্যে অনেক কথা হইলো৷
মিরপুরে একটা ফার্নিচারের দোকানে মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করে৷ মায়ের অসুস্থতার খবরে জরুরী ভিত্তিতে আজকেই চাঁদপুর যাচ্ছে তিনদিনের ছুটি নিয়ে৷
জিজ্ঞাসা করলাম, আমার পরে পিছনে আরেকজনকে যে জিগাইলেন ওনি ভাড়া কত চাইলো? উত্তর দিল ১৫০ টাকা৷
সে ১২০ টাকা পর্যন্ত বলছে কিন্তু রাজী হয়নি৷ তাই হাটা দিছে। এমনিতেই অনেক কষ্ট করে ঢাকায় থেকে কাজ শিখতেছে। বেশি টাকা খরচ করা সম্ভব না৷ অনেকটা হিসেব করেই চলতে হয়৷
পরে জিগাইলাম, বাসেও তো উঠলেন না৷ যেতেন কিভাবে?
আল্লাহর নামে হাটা দিছিলাম৷ ব্যাবস্থা একটা হইতো৷ বাসে উঠতে পারি না। বমি আসে শুধু৷
মাঝপথে আরো অনেক কথাই হলো৷ তার লঞ্চের শেষ সময় ১১টা ১৫ মিনিট৷
ঘড়িতে তখন ১০টা ১৫ বাজে৷ আমরা বিজয় সরণি সিগন্যাল ক্রস করলাম৷
সে একটু চিন্তিত মনে প্রশ্ন করলো ভাইয়া যেতে পারবো তো?
এই সময়টায় গুলিস্তানে প্রচুর জ্যাম থাকে৷ তারে পল্টন নামায়ে দিলে হয়তো বাকি পথ আবার বাইকেই উঠতে হবে৷ তারপর মনে মনে প্ল্যান চেঞ্জ করলাম যে সদরঘাটেই নামায়ে দিব আর উত্তর দিলাম হ্যা যেতে পারবেন৷ কোন সমস্যা নাই৷
সে তখনো জানে তাকে পল্টনেই নামায়ে দিব আমি৷
পল্টন পার হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পার হয়ে যাচ্ছি৷ তারপর প্রচুর জ্যাম ঠেলে সদরঘাট এসে নামালাম ১০টা ৪৯ মিনিটে৷ তার লঞ্চ তখনো ছেড়ে যায়নি৷ অপেক্ষায় আছে।
নামার পর পকেট থেকে টাকা বের করতেছে৷ সে হয়তো ভাবছে আমি অন্তত ১২০ টাকা হলেও নিব৷ যেহেতু তারে একদম শেষ লোকেশনে নিয়া আসছি৷
আমি বললাম টাকাটা আপনার কাছেই রাখেন৷ মায়ের জন্য কিছু নিয়েন৷ আমাকে দিতে হবে না৷
এবার তার মুখের হাসিটা কেমন যেন ছিল৷ আমি নিজেই তার হাসির মায়ায় পড়ে গেছি৷
সে খুশি হয়েছে তবে কিভাবে প্রকাশ করবে বুঝতে পারতেছে না৷ তার হাসিতে ব্যাপারটা স্পষ্ট ফুটে উঠতেছিল বারেবার।
আমি দ্রুত ওখান থেকে চলে আসলাম৷ আবেগ চলে আসলে সমস্যা। চোখে পানি এসে যাবে৷ আবেগকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
সম্ভবত ১৯০ টাকা খুব বড় একটা এমাউন্ট না৷ তবে এই মুহূর্তে আমার কাছে এই টাকাটা কমও না। বাইকার হিসেবেই তারে রাইডটা দিলাম।
আমি জানি না সে ভবিষ্যতে কি হবে৷ তবে কখনো যদি সফল ব্যাবসায়ী বা এরকম কিছু হয় আর সে তার স্ট্রাগলের গল্প শেয়ার করে কারো সাথে৷
তাহলে নিশ্চয় আমার নামটা আলাদা করে বলবে। আমি এইটুকুতেই খুশি!
রাতের ঢাকায় এরকম কত গল্পই তো থাকে৷ আজকের গল্পটা না হয় আমিই শেয়ার করলাম!
© MD Mehedi Alam
ভোকাবুলারি শেখার ৫টি কার্যকরী অ্যাপ! 😎
যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন Vocabulary-এর। বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার মূল শর্তই থাকে ইংরেজিতে পাস করা। সেই ক্ষেত্রে যার Vocabulary-তে দক্ষতা বেশি তার সেখানে ভালো করার সম্ভাবনাও বেশি। এখন Vocabulary শেখা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। কারণ এখন সহজেই অ্যাপ ইন্সটল করে শেখা যায় নতুন নতুন শব্দ। এই অ্যাপগুলোর সুবিধা হলো খেলাচ্ছলে নতুন নতুন শব্দ শেখানো। ট্রাফিক জ্যামে বসে থেকেই শিখে নেয়া যায় নতুন কয়েকটি শব্দ।
আজকে দেখবো Vocabulary শেখার কয়েকটি কার্যকর অ্যাপ।
১। Vocabulary.com:
এটি এমন একটি অ্যাপ যার মধ্য দিয়ে তুমি কিছু নতুন শব্দ শিখতে পারবে এবং বিনোদনের চাহিদাটাও মেটাতে পারবে। এটি নকশা করা হয়েছে সব রকম ছাত্রছাত্রীর কথা মাথায় রেখে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে SAT-এর প্রস্তুতি ও নিতে সাহায্য করবে এই অ্যাপটি। এখানে মূলত বিভিন্ন কুইজ দেয়া হবে প্রশ্ন কিংবা ছবি আকারে, উত্তর দেয়ার পর তার আসল অর্থটি বলে দেয়া হবে। খুব সহজেই নতুন শব্দ শিখতে সাহায্য করবে এই অ্যাপটি।
২। PowerVocab:
খুব জনপ্রিয় একটি ওয়ার্ড গেম এই PowerVocab অ্যাপটি। এটিকে ছোটখাটো অভিধান বললেও ভুল হবে না। শব্দ নিয়ে বিভিন্ন রকম খেলা রয়েছে। যেমন-word matching, quiz ইত্যাদি। বহুনির্বাচনীতে মূলত দেয়া থাকে বিভিন্ন শব্দের সংজ্ঞা এবং তা থেকেই বের করতে হয় সঠিক উত্তরটি। কোন শব্দের অর্থ জানতে চাইলে ডিজিটাল ডিকশনারীর মতো এখানেও শব্দটি নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে খুঁজে নিতে পারবে। শব্দের অর্থ থেকে শুরু করে তার প্রয়োগ বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এমনকি Audible pronounciation-ও ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে।
৩। Magoosh vocabulary builder:
এই অ্যাপটি ঠিক PowerVocab-এর মতো হলেও এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে GRE-র জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সুবিধার্থে। এখানেও প্রশ্নগুলো কুইজ আকারে তৈরি করা। Chris Lele এবং GRE experts মিলে ১০০০-এর মতো শব্দ বাছাই করে নিয়েছেন যা এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। তিনটি ধাপে এই খেলাটি এগুতে থাকে এবং ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে কঠিন শব্দগুলোকে বার বার সামনে নিয়ে আসে যা তাদের অনুশীলনে সাহায্য করে।
৪। A word a day widget:
প্রতিদিন নতুন শব্দ শিখতে হলে এই অ্যাপটির জুড়ি নেই। এই অ্যাপটি ইন্সটল করলে প্রতিদিনই স্ক্রীনে একটি নতুন শব্দ ভেসে উঠবে যা তোমার শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করবে। শব্দটির সঙ্গে তার অর্থ এবং বিভিন্ন উদাহরণ দেয়া থাকে যা শব্দটির প্রয়োগ সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা তৈরি করতে পারবে।
৫। VoLT (Vocabulary Learning Techniques):
এটি এমন একটি অ্যাপ যার সাহায্যে কঠিন ইংরেজি শব্দগুলো মনে রাখতে বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়া হয়। যারা ইংরেজিতে আরও দক্ষ হতে চায় কিংবা GRE, GMAT, TOEFL, BCS, IELTS, Bank jobs ইত্যাদি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আগ্রহী তাদের জন্য এই অ্যাপটি ভীষণ কার্যকর।
গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ সেই তথ্যই বেশি মনে রাখতে পারে যা তাদের বিদ্যমান তথ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই অ্যাপটি সেই ধারণাটিকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। ইংরেজি শব্দগুলোর সাথে পরিচিত ছবি, ঘটনা, গল্প, নিত্যদিনের জীবনের সূত্র গঠন করে দেয় যা শব্দগুলোকে মনে রাখতে খুব সাহায্য করে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে অনুশীলনেরও দরকার পড়ে না। প্রত্যেকটি শব্দের সঙ্গে তার উদাহরণ সহ প্রয়োগ, সমার্থক এবং বিপরীত শব্দ ও দেয়া থাকে।
আজ থেকেই শুরু করে দাও খুব সহজে নতুন শব্দ শেখা। ছোটবেলায় শিক্ষকরা যেই উপদেশ দিতেন প্রতিদিন ৩টি নতুন শব্দ শেখা তা আবার শুরু করে দাও। দিন শেষে দেখবে নিজেই পরিতৃপ্ত। কারণ দিন শেষে ঐ শব্দগুলোই তোমার অর্জন।
চমৎকার এই ব্লগটি লিখেছেন: Aysha Noman
ব্যর্থতাকে ভয় করার বদলে চেষ্টা না করে বসে থাকাকে ভয় করো।
ইতিবাচক চিন্তারা দেয় জীবনের আশ্বাস,
নেতিবাচক চিন্তাগুলি চেপে ধরে নিশ্বাস!
"আপনি নিজে যেমন, তেমন করে জ্বলে উঠুন। যারা আপনাকে সত্যিই আপন ভাববে তারা আপনার আলোতে আপনার সাথেই জ্বলে উঠবে।"
ছবিতে যাকে দেখছেন—ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসাইনের পৌত্র মুস্তফা হুসাইন।
আমেরিকার সৈন্যরা যখন সাদ্দামের বাসভবনে অপারেশন চালায়, ১৪ বছরের কিশোর মুস্তফা একাই তখন শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যায়। অপারেশনে অংশ নেওয়া আমেরিকান সৈন্যদের ভাষ্য থেকে জানা যায়—যখন তারা সামনে অগ্রসর হতে শুরু করে, তখন মুস্তফা তাদের উপর তীব্রভাবে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। ৪০০ আমেরিকান সৈন্যদের অগ্রসর হওয়া সে একাই রোধ করে দেয়।
অথচ তার সামনে নিথর-নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল বাপ-চাচার লাশ। এ বীর-শার্দুল একটুও ঘাবড়ায়নি। সামান্য একটা রাইফেল দিয়েই সে ১৪ জন আমেরিকান সৈন্যকে জাহান্নামের টিকেট ধরিয়ে দেয়। টানা ৬ ঘন্টা সে একাই বিশ্বের উন্নত সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪০০ আমেরিকান সৈন্যের বিরুদ্ধে পাহাড়ের মতো অবিচল থেকে লড়াই চালিয়ে যায়। অবশেষে তাকেও শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করতে হয়। শামিল হতে হয় অনন্ত-মহাকালের অভিযাত্রীদের কাতারে।
অপারেশন সাকসেস করে আমেরিকান সৈন্যরা যখন ভেতরে প্রবেশ করে, ভেতরের দৃশ্য দেখে তাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, গত ছয়-সাত ঘন্টা এ কিশোর তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছিল! তাদের জন্য আরও আশ্চর্যের বিষয় ছিল, এ কিশোর একাই তাদের বিরুদ্ধে লড়ছিল। সঙ্গে যারা ছিল, তারা লড়াইয়ের শুরুতেই প্রাণ হারিয়েছিল!
নিউইয়র্ক টাইমসের বিখ্যাত প্রবন্ধ 'মুস্তফা হুসাইন'-এ প্রাবন্ধিক রবার্ট লিখেছেন—
'যদি মুস্তফার মতো বীর-শার্দুল আমেরিকায় জন্ম নিত, তাহলে আমরা আমাদের প্রতিটা শহরে তার স্মৃতিসৌধ বানাতাম। সবখানে তার প্রশংসা করা হতো—কারণ সে ইতোমধ্যেই প্রতিরোধ-যুদ্ধের নায়কে পরিণত হয়েছে।'
ভয়ে মরে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর!!
In Mexico 🇲🇽 , a member of Parliament removes all his clothes in Parliament during debate... "You are ashamed to see me naked, but you are not ashamed to see your people in the streets naked, barefooted, desperate, jobless and hungry after you have stolen all their money and wealth".........he told the Parliament‼️
What a courageous man, this is how it should be.
© World Press
প্রচণ্ড গরম পরেছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র...
কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে!!
হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল... একটু ঝাঁকি দিল... এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল... সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই...
জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?
- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না... তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভাল।
এরকম ভুল প্রায় লোকই করে... সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো... কি আর হবে!! কিন্তু এটা যে কত মারাত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না...
বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপদজনক...
কয়েক মাস আগের কথা... ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
একটু সন্দেহ হল... জিজ্ঞাসা করলাম, কি খাওয়াইছেন বাবুকে?
- কেন? স্যালাইন।
- বানাইছেন কিভাবে?
- হাফ গ্লাসের মত পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলছি।
- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?
- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?
তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক... কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।
মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমত খাবেন। এটি ওষুধ... বমি, পাতলা পায়খানা বা গরমের ফলে প্রচন্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।
এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলতে হবে... ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে... আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যালাইন দ্রবন প্রস্তুত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।
এর কম পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিডনির ক্ষতি করবে... বেশি পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।
একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।
কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না... কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না... এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন...
একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ কিংবা হার্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।
আর হ্যাঁ, বাজারে "টেস্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না.. এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোন অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
©Dr.Taraki Hasan Mehedi
যে গরু গোয়ালের চার বেড়ার মাঝে বড় হয় সেই গরু মাঠের সবুজ ঘাসের সৌন্দর্য দেখে আবেগাপ্লুত হবে এটাই স্বাভাবিক। সেই গরুগুলো সবুজ ঘাস, লতাপাতা দেখলে খাবার জন্য হামলাইয়া পড়ে না। ওদের কাছে শুকনো হলুদ খড়ই জীবন। এ শুকনো খড়কে সার, পানি দিয়ে মাখিয়ে দিলে ওরা ভীষণ খুশি হয়, তারপর খায়, ঠোঁট চাটে আবার জাবরও কাটে।
সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে মানুষ কি পড়ে, কি পড়তে ভালবাসে, কোন বিষয়গুলোতে হামলাইয়া পড়ে সেটা বুঝতে পারা এখন খুব সহজ এবং আমরা সেটাই করার চেষ্টা করি। এমনকি উচিত নয় জেনেও করি।
এই ফালতু অভ্যাসের মধ্যেও আমরা চেষ্টা করি কিছু ভিন্ন লেখা, কিছু ভিন্ন তথ্য আপনাদের উপহার দিতে! এতে করে যদি একজন মানুষও তার রুচি ও অভ্যাসের পরিবর্তন করেন তাতেই স্বার্থকতা।
আমাদের রুচি ও অভ্যাসই আমাদের ভবিষ্যতের রূপরেখা এঁকে দেয়..
ভালো ভালো বই পড়ুন!
ভালো ভালো ব্লগ পড়ুন!
ভালো ভালো লেখা শেয়ার করুন!
ভালো ভালো চিন্তাও করুন!
আসুন আগে নিজে পরিবর্তন হই, পরে অন্যদের পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা করি!
যারা ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশাগ্রস্থ তাদের জন্য নিচের লিংক দুটি ভীষণ কার্যকরি হবে:
আপনি অনেক ভালো কিছু করেন, অনেক উন্নতি করেন সেটা উপর উপর চাইলেও ভেতরে ভেতরে কেউই চায় না! এমনকি আপনার নিজের সংসারের একটা বিরাট অংশ চাইবে না যে, আপনি অনেক উন্নতি করুন! কি ভাবছেন? এটাও সম্ভব? জ্বি, সম্ভব। বিস্তারিত লিংকে..
https://webcodeinstitute.com/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6.../...
আপনার বর্তমান সবকিছু ঠিক রেখেই আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত ৩/৪ ঘন্টা সময় বের করতে পারেন তাহলে আমরা পরামর্শ দিবো বা আপনারই উচিত যেকোন একটি বিষয়ে এখন থেকেই দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সময়, পরিশ্রম ও মেধার সমন্বয় ঘটানো।
Skills Level
Think about this skills!
প্রায় ১৩ লক্ষ তরুন-তরুনী এইবার এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী ছিল।
১৩ লক্ষ স্বপ্ন! সময়ের সদ্ব্যবহার না করলে স্বপ্ন ভঙ্গ হতে সময় লাগবে না।
যে সবকিছু পায়, আর যে সবকিছু হারায় এই দু'জনের মধ্যে আসল পার্থক্য হচ্ছে ছেড়ে দেওয়া ও লেগে থাকা।
পুরাতন কম্পিউটার ডেস্কটপ/ ল্যাপটপ কেনার সময় আপনার জানা লাগতে পারে ডেস্কটপ/ ল্যাপটপটা কবে প্রথম চালু করা হয়েছিল। এটা জানার জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে জানতে পারবেন 🙂
১। উইন্ডোজ আইকনে রাইট ক্লিক করে Search অপশানে ক্লিক করুন।
২। তারপর লিখুন System Information এটাতে ক্লিক করলে System Information ওপেন হবে।
৩। এখানে BIOS Version/Date এ যে তারিখ দেখাবে ওটাই ডেস্কটপ/ ল্যাপটপ চালু করার প্রথম তারিখ।
শেয়ার করে সবাইকে জানতে সহযোগিতা করুন।
কোন কিছু যদি সত্যিই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, কোন বাধাই আপনাকে থামাতে পারবে না।
Life is Like a book.
Some chapters are sad, some are happy.
Turn the next chapter to see the next one.
একজন মায়ের আহাজারি! 😢😢😢
অবশেষে আমার ঘরে....৷
ভিতরের রুমে বসে আছি। এমন সময় আমার ওয়াইফের উঁচু গলা দেখে সামনে গেলাম। দরজার বাইরে কিছু লোক পিপিই, মাস্ক পরা। তারা নাকি কোভিড টেস্ট করতে এসেছে। দুপুরবেলা এসেছে যখন পুরুষ মানুষ সবাই অফিসে থাকে। আইডিকার্ড ঝুলিয়ে এসেছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ। প্রথমে বলল সরকারী। আমার পাশের ইউনিটে থাকেন এসআই ধর্মেন্দু সাহেব আবার আরেক প্রতিবেশী সাংবাদিক জুয়েল ভাই। এসআই সাহেব সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় এদেরকে দেখে যখন প্রশ্ন করতে থাকেন তারা এলোমেলো জবাব দিতে লাগলো। এর ভিতর এলাকার আরো একটা ছেলে আসলো যে কিনা এদের নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু এদের সবাইকে যে নিয়োগ দিয়েছে তার ফোন নাকি বন্ধ। শেষে পুলিশ এসে নিয়ে গেল।
সব কলেজপড়ুয়া ছোট ছেলেপেলে। আমি চাই না তারা যদি নির্দোষ বা কারো দ্বারা ইউজ হয়ে থাকে তবে শাস্তি পাক। আবার যদি অপরাধী হয়ে থাকে তবে তারা শাস্তি না পাওয়া ঠিক হবে না। ঘরে আমি আর আমার ওয়াইফ ছোট বাচ্চা নিয়ে থাকি। এই ঘটনাটা পোস্ট করতাম না। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতায় আছি যদি এরা ক্রিমিনাল হয়।
মূলপোস্ট লিংক: https://www.facebook.com/ralph.dreamer/posts/2958429564259255
আমি একজন সিঙ্গেল মাদার। আমার ৬ বছর বয়সী কন্যা রাফাকে নিয়ে আলাদা থাকি। না, বাবা মা ভাই বোন কারো কাছে জায়গা হয়নি আমার। সবাই যে যার মত দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে। অথচ একটা সময়ে তাদের কতই না সাহায্য করেছিলাম আমি।
ছোট ভাইটা বেকার ঘুরতো। বড় ভাসুরকে বলে একটা চাকরির ব্যবস্থা করেছিলাম। বাসা থেকে কত কষ্ট করে টাকা ম্যানেজ করে বাবাকে বন্ধকী জমিটা ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। যৌতুকের টাকার জন্য ছোট বোন লায়লার বিয়েটা প্রায় ভাঙতে বসেছিল। নিজের বিয়ের সমস্ত গহনা দিয়ে, সেভিংসের সব জমানো টাকা দিয়ে নিজের হাতে বোনটার বিয়ে দিয়েছিলাম। বড় বোন নায়লা আপা যখন চাকরি করতেন তার দুই ছেলে মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য আমাকে রেখেছিলেন। মায়ের মত সারাদিন আগলে রাখতাম ওদের। আজকে সেই বোন একটা বারও আমার মেয়েটার খোঁজ নেয়নি। বড় ভাবীর সিজারিয়ানের সময় প্রায় মরতে বসেছিলেন। ৪ মাসের প্রেগন্যান্সি নিয়ে ঢাকা থেকে ছুটে গিয়েছিলাম যশোর। রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিলাম তাকে। আজকে সেই রক্ত বিরক্ত হয়ে গিয়েছে। ঘরেই ঢুকতে দেয়নি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অন্যের সংসারের ঝামেলা উনি মাথায় নিতে পারবেন না। বড় ভাইও চুপ ছিল। বউয়ের পিছে পিছে উঠে চলে গেল।
আমরা ৫ ভাইবোন, সাথে বাবা মা। বিশাল পরিবার। কিন্তু আজকে আমার কেউ নেই। দুঃসময়ে রক্ত ও বেঈমানী করে।
শাহেদের সাথে বিয়ের প্রথম দিকে খুব সুখেই ছিলাম। কিন্তু এরপরই ওর জীবনে অন্য কেউ আসে। প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। কিন্তু একেরপর এক প্রমাণ যখন পেলাম, তখন কি করে আর অবিশ্বাস করি!! খুব ঝগড়া হতো এ নিয়ে। বাজে ভাষায় গালিগালাজ করতো আমাকে। ছোটবেলা থেকেই গালিগালাজ আমি সহ্য করতে পারিনা। প্রতিবাদ করতে গেলেই মার খেতাম। এরপর এটা নিয়মিত রুটিনে পরিণত হলো। বাপের বাড়িতে, আত্মীয় স্বজনদের কাছে নালিশ দিলাম। সবাই একই উপদেশ দিতো, "মানিয়ে নাও"
কালশিটে পড়া ক্ষত বিক্ষত শরীরের যন্ত্রনাটা কেউ বোঝেনি, হয়তো বুঝতে চায়নি। এরপর যখন প্রমাণ দেখালাম, ভেবেছিলাম এবার হয়তো তারা বিশ্বাস করবে। বিশ্বাস করেছে, আবার এও বলেছে, "কেমন মাইয়া হইছো যে নিজের সোয়ামী রে আঁচলে বাইন্ধা রাখতে পারো না?? আরেক বেটির কাছে যায় ক্যামনে!!"
এটা আমাদের সমাজের নিয়ম। মেয়ের জামাই যতই অন্যায় করুক না কেন মেয়ের পরিবার মেয়েকেই দোষারোপ করে ঠেলেঠুলে ঐ সংসারেই ফেরত পাঠাবে। একবারও বুঝতে চাইবে না,মেয়েটা কত যন্ত্রনার মধ্যে আছে!!
আমার অবস্থা ও হয়েছিল তেমন। সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছিলো তো সেদিনই যেদিন ঐ নষ্টা মেয়েটাকে ঘরে এনে তুলল। আর সহ্য করতে পারিনি। এক কাপড়ে মেয়েকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু কোথাও ঠাঁই হয়নি আমার। সবার মুখে একই কথা, "আরেকটু সহ্য করতে পারলে না??" "মেয়ে মানুষ এত অধৈর্য হলে চলে??"
তারা কি কখনো খোঁজ নিয়েছে, কতটা অমানুষিক যন্ত্রনার মধ্যে আমি ছিলাম!! একটা মেয়ে কতটা কষ্ট পেলে নিজের সংসার ত্যাগ করে আসে!!
সমাজ কখনোই জানবে না একটা মেয়েকে কতটা অমানুষিক যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়। তারা শুধু জানে কীভাবে একটা অসহায় মেয়ের দিকে নোংরা আঙুল তুলতে হয়!!
জীবন যুদ্ধে একাই নেমে গেলাম, মেয়েকে বুকে চেপে। হন্যে হয়ে একটা চাকরি খুঁজছিলাম। কিন্তু কে দেবে চাকরি?? ইন্টার পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে এই শহরে কি আর ভালো চাকরি পাওয়া যায়?? তবুও আশায় বুক বেঁধে ছিলাম, ছোটখাটো একটা চাকরি হলেই হবে। মা মেয়ের ঠিক চলে যাবে।
চাকরি সে তো সোনার হরিণ!! ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে কত লোলুপ দৃষ্টির শিকার হয়েছি,কত মোটা অঙ্কের অফার পেয়েছি!! না খেয়ে থেকেছি কিন্তু নিজেকে বিলিয়ে দেইনি।
অবশেষে এই পোড়া কপালে একটা চাকরি জুটলো। তাও পি এস এর পোস্ট। লোকে মেয়েদের এই পোস্টে চাকরি করা ভাল নজরে দেখে না। কিন্তু আমি নিরুপায়।
চাকরি তো জুটলো, কিন্তু বাসা ভাড়া নিতে গিয়েই পড়লাম বিপদে। পুরুষ মানুষ ছাড়া কোন যুবতী মেয়েকে তারা ঘর ভাড়া দিবে না। বললাম আমার একটা ছোট মেয়ে আছে। তখন তো আরো প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম, মেয়ের বাবা কোথায়, সাথে থাকে না কেন, কত দিন ধরে আলাদা থাকি, কি সমস্যা... যত্তসব ফালতু বিরক্তিকর প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। তারপর ও সব হাসিমুখে জবাব দিচ্ছি, যদি একটা ঘর ভাড়া পাই।
কিন্তু সবাই মুখের উপর না করে দিলো। এক মহিলার সাথে সাবলেট থাকতে চাইলাম। কিন্তু উনি মুখের উপর স্রেফ জানিয়ে দিলেন, আমি থাকলে নাকি তার সংসারে ঝামেলা হবে। অবশেষে এক মধ্যবয়সী মহিলার সাথে সাবলেট থাকার সুযোগ পেলাম। কিন্তু দুই মাসের বেশি থাকতে পারলাম না। আমার জন্য নাকি তার ছেলেরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ইমিডিয়েটলি বাসা ছাড়তে বললেন। বুঝতে পারছিলাম না, কি করবো, কোথায় যাবো?? কিন্তু আল্লাহর দুনিয়াটা অনেক বড়। কোথাও না কোথাও ঠিক ঠাঁই মিলে যায়। নতুন একটা পরিবারের সাথে সাবলেট থাকার সুযোগ পেলাম। তারা খুব ভাল মনের মানুষ। তাদের ও দুটো ছোট বাচ্চা ছিল। আমার মেয়েটাকে খুব কেয়ার করতো। তাদের কাছে রেখেই নিশ্চিন্তে অফিসে যেতে পারতাম।
অফিসের মধ্যবয়সী বসকে বাবার চোখে দেখতাম। কিন্তু কিছুদিন পর বুঝলাম উনি আমাকে কখনোই মেয়ের চোখে দেখেনি বরং তার উল্টোটা। এত নোংরামি সহ্য হয়নি। চাকরিটা দরকার ছিল, কিন্তু সম্মান বিসর্জন দিয়ে নয়।
জানপ্রাণ দিয়ে একটা নতুন চাকরি খুঁজতে লাগলাম।ছোটখাটো একটা নতুন চাকরি পেয়ে গেলাম। রিসিপশনিস্ট, বেতন খুবই কম। তারপর ও মোটামুটি নিরাপদ ছিল। বাকি সময় দু চারটা টিউশনি ও করতাম। টেনেটুনে মাসটা পার করে দিতাম। মেয়েটাকে একটা ভাল স্কুলে পড়ানোর খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সামর্থ্য ছিল না। এলাকার সাধারণ একটা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলাম। ভালই চলছিল আমাদের মা মেয়ের দিনগুলি।
কিন্তু আমার কপালে সুখ বেশিদিন সয় না। শাহেদ মেয়ের কাস্টোডির জন্য মামলা করেছে। আর সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে "শায়লা আমার মেয়েটাকে আমার কাছে আসতে দেয় না"
অথচ কোনদিন ফোন দিয়ে মেয়েটার খোঁজ খবর নেয়নি। আমি খুব ভাল করেই জানতাম ও আমাকে শাস্তি দেয়ার জন্য এসব করছে, মেয়ের জন্য না। শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওকেই সাপোর্ট দিচ্ছিল। আমার শাশুড়ি ফোন করে বললেন, "তুমি জাহান্নামে যাও, আমাদের নাতনীকে আমাদের কাছে দিয়ে যাও"
আমি আমার মেয়েকে আগলে রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারলাম না। মামলায় হেরে গেলাম। মেয়ের কাস্টোডি পেলো ওর বাবা। আমার কলিজাটা ছিঁড়ে কলিজার টুকরাটাকে নিয়ে গেল। একটুও দয়া হয়নি তাদের। প্রতিদিন বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম, এক নজর মেয়েকে দেখার জন্য, ওরা দেখা করতে দিতো না। নতুন করে মামলা লড়বো, সেই টাকা পয়সা ও ছিল না আমার। আল্লাহর দরবারে মাথা ঠুকতাম, "আমি শুধু আমার মেয়েটাকে চাই, আর কিচ্ছু না "
শাহেদ ফোনে আমাকে হুমকি ধমকি দিতো, "তোর সামর্থ্য আছে মেয়ের ভরণ পোষণ দেয়ার?? পারবি আমার মতো ইংলিশ মিডিয়ামে মেয়েকে পড়াতে?? ওর এক মাসে যা বেতন, তোকে বেচলেও তো অত টাকা হবে না। কোত্থেকে দিবি মেয়ের ভরণপোষণ??"
কিন্তু আমার জেদ চেপে গেল। আমার মেয়েকে আমি চাই ই চাই!!
কতজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলাম, ভিক্ষা চাইলাম কিন্তু কেউ ফিরে ও তাকায়নি। মানবাধিকার কমিশনে গেলাম। তারা আমার সব কথা শুনলেন, বুঝলেন। তারাই আমার হয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলেন। আমি যেন আশার আলো দেখতে পেলাম। অবশেষে শত কাঠখড় পুড়িয়ে এক বছর পর আমার বুকের মানিককে আমার বুকে ফিরে পেলাম।
এরপর শুরু হলো আমার নতুন যুদ্ধ। মেয়ের স্কুল বদলাইনি, ওকে আমি ইংলিশ মিডিয়ামেই পড়াবো। শাহেদকে আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, ওকে আমি দেখিয়েই ছাড়বো!!
চাকরির পাশাপাশি একটা বুটিকসের দোকানে নাইট শিফটে কাজ করতাম। সাথে ব্যাচে দু চারটা স্টুডেন্ট পড়ানো। দম ফেলার সময়টাও ছিল না। তাও নিজেকে কখনোই ক্লান্ত মনে হয়নি। মাথার উপর ছাদ ছিল না, পায়ের নিচে মাটি ছিল না। কিন্তু কখনো হাল ছাড়িনি আমি।
নিজে বেশি পড়ালেখা করতে পারিনি আমি। খুব ইচ্ছে ছিল মেয়েটাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করবো। আজ আমার মেয়ে বিমান বাহিনীর ফ্লাইং অফিসার হিসেবে কর্মরত। আমার পরিশ্রম সার্থক। সারা দুনিয়াকে আমি দেখাতে পেরেছি, একা একটা মা ও সংগ্রাম করে মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
"সেরা রত্নগর্ভা সম্মাননা "র জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়েছে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গর্ব করি। বাপের অর্থবিত্ত, ভোগ বিলাসিতার লোভে ও কখনোই আমাকে ছেড়ে যায়নি। বরং অভাব অনটনের মাঝেও এই বুকের সাথে আকঁড়ে ছিল। দামি পোশাক, খেলনা কিছুই দিতে পারিনি। কোন অভাব অভিযোগ ছিল না তার, হাসিমুখে সব মেনে নিতো। এমন একটা সোনার টুকরো মেয়ে জন্ম দিতে পেরে আমি সত্যিই রত্নগর্ভা মা।
গল্প : দ্য সিঙ্গেল মাদার (The Single Mother)
লেখা : আফরিন শোভা
Learn More, Earn More.