Icon Tourism
"Tourism Voice Consultancy" is very much committed to exploring the real beauty of Bangladesh.
Our mission is to develop Bangladeshi tourism & show the whole world that the most beautiful Bangladesh. Our aim is to serve our clients with the same commitment we hold for our Bangladeshi tradition of integrity and hospitality, fueled by a dedication to dynamism, efficiency, and quality to meet the ever-changing and challenging requirements of the travel and tourism industry.
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘব, শহরের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা রোধ এবং যাত্রীসাধারণের হয়রানি রোধে চালু হয়েছে ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ সেবা। কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে চালু হওয়া (ওয়েব ঠিকানা www.obtcoxsbazar.com) এই সেবা কার্যক্রম পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা কাজে লাগাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সুগন্ধা পয়েন্ট মোড়ে সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
সম্মানিত হজ যাত্রীদের জরুরি জ্ঞাতব্য 📢📢📢
🇹🇷 🇹🇷 Turkey 🇹🇷 🇹🇷
বাংলাদেশিদের জন্য তুরস্কের ই-ভিসা চালু করেছে। তুরস্ক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের ই-ভিসার বিস্তারিত তথ্যঃ
২০১৩ সাল থেকে তুরস্ক বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ই-ভিসা সার্ভিস চালু করেছে।এটি বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের পর্যটকদের জন্য তুরস্কে প্রবেশ করা সহজ করে তুলেছে। বাংলাদেশের নাগরিকরাও এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তুরস্কের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ই-ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশিরা তুরস্কে কী কী করতে পারবেন:
***অবকাশ যাপন: ই-ভিসা ব্যবহার করে পর্যটন ভিসার মাধ্যমে ৩০ দিন তুরস্কে অবস্থান করা যাবে।
***ব্যবসা: ব্যবসায়িক ভিসার মাধ্যমে ৯০ দিন তুরস্কে অবস্থান করা যাবে।
ই-ভিসার বৈধতা:
তুর্কি ই-ভিসা দেশটিতে প্রবেশের তারিখ থেকে শুরু করে ১৮০ দিনের জন্য বহাল থাকে। কেউ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে চাইলে একটি পৃথক তুর্কি ভিসার প্রয়োজন হবে।
ই-ভিসার সুবিধা:
***দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ব্যক্তিগতভাবে যেতে হবে না।
***অনলাইনে দ্রুত এবং সহজে আবেদন করা যাবে।
ই-ভিসার জন্য যোগ্যতা:
***বাংলাদেশ, ভারত, ইরাক, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান ইত্যাদি দেশ শুধু সিঙ্গেল এন্ট্রি ই-ভিসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
***শেনজেন দেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আয়ারল্যান্ডের যেকোনো একটি থেকে বৈধ ভিসা বা পর্যটন ভিসা থাকতে হবে।
***অথবা শেনজেন দেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আয়ারল্যান্ডের যেকোনো একটি থেকে বসবাসের অনুমতি থাকতে হবে।
ই-ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
***কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতাসহ একটি বৈধ পাসপোর্ট।
***তাদের ইনবক্সে ই-ভিসা পাওয়ার জন্য একটি বৈধ ই-মেইল ঠিকানা।
***ই-ভিসা ফি প্রদানের জন্য একটি ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড।
***একটি ফিরতি টিকিট।
***হোটেল বুকিং।
***ভ্রমণের জন্য আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ।
আবেদন প্রক্রিয়া:
***https://www.evisa.gov.tr ওয়েবসাইটে যান।
***"Apply Now" ক্লিক করুন।
***প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
***কাগজপত্র আপলোড করুন।
***ই-ভিসা ফি প্রদান করুন।
***আবেদন জমা দিন।
***সাধারণত আবেদন অনুমোদন করতে 24 ঘন্টা সময় লাগে।
অভিনন্দন!
পাসপোর্ট অফিস হেল্পলাইনে ১৬৪৪৫ মিলবে যেসব সেবা:-
পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট, এমআরপি পাসপোর্ট এবং ভিসা সম্পর্কিত নিম্নের তথ্যসেবা পাওয়া যাবে ২৪/৭।
> ই-পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা
> ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি সম্পর্কিত তথ্য
>অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে সমাধান
> আবেদন করতে না পারলে তা বুঝিয়ে দেওয়া
> অভিযোগ জানাতে পারবেন
> আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে
> এমআরপি পাসপোর্টের অবস্থা (প্রবাসীদের জন্য)
> এমআরপি পাসপোর্টের ডেলিভারি সম্পর্কে জানা যাবে
> এমআরভি ভিসা সংক্রান্ত তথ্য
পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বর থেকে সেবা নিতে ফি দিতে হবে না। শুধু যে ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলবেন সেই অপারেটর বা কোম্পানি প্রতি মিনিটে যে চার্জ কাটে সেটাই কেটে নেবে।
ট্রেন যোগাযোগ 🚉
২৬/০৩/২০২২, তারিখ থেকে চালুকৃত বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং সিস্টেমে টিকেট ক্রয়ের নিয়মাবলী/পদ্ধতিঃ
Registration প্রক্রিয়াঃ (শুধুমাত্র একবার করতে হবে)।
প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
ওয়েব সাইটটির নীচের দিকে “Registration” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
Create an Account” নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে “Personal Information” এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে পূরণ করতঃ Security code ঘরের পাশে প্রদর্শিত “Security Code” দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সকল তথ্যাদি সঠিক থাকলে “Registration Successful” নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষনিকভাবে আপনার প্রদত্ত ই-মেইল ঠিকানা Bangladesh Railway এর থেকে একটি ই-মেইল পাঠানো হবে।
আপনার ই-মেইল এর মেসেজ বক্সে Bangladesh Railway প্রদত্ত ই-মেইলটি খুলতে হবে। মেসেজের ভিতর রক্ষিত “Click” লিংকটিতে ক্লিক করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার পর যাত্রীর Registration প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে।
ক্রয় প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
“Log in” এর প্যানেল ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতঃ “Log in” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর যে Pageটি আসবে তাতে “Purchase ticket” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এখানে যে Pageটি আসবে সে Page এ আপনার চাহিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, ট্রেনের নাম, শ্রেনী, টিকেট সংখ্যা যেভাবে রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। এর পরের পেইজে “Registration Seat Available” দ্বারা চাহিত টিকেট এবং এর মূল্যমান জানিয়ে দেয়া হবে। টিকেট থাকলে “Purchase ticket” বাটন ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের একাউন্ট মারফত যাত্রির জমাকৃত টাকা থেকে টিকেট মূল্য কেটে নেয়া হবে এবং যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে টিকেট নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।
ই-মেইল মেসেজ বক্স থেকে প্রেরিত টিকেটটির প্রিন্ট নিয়ে ফটো আইডিসহ ই-টিকেট প্রদত্ত “Ticket Print Information” প্রদান করে সংশ্লিষ্ট সোর্স ষ্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
[ বিঃদ্রঃ ২৬ মার্চ থেকে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে ]
আজকের তারিখ ২২-০২-২০২২ একটি প্যালিন্ড্রোমীয় তারিখ ।
প্যালিনড্রোম (ইংরেজি: Palindrome) হল এমন কিছু বিশেষ শব্দ আর সংখ্যা যার আরম্ভ বা শেষ দুদিক থেকেই পড়লে শব্দের উচ্চারণ আর অর্থের কোন বদল হয় না; বা সংখ্যার মান একই থাকে (সংখ্যার ক্ষেত্রে)। মূল গ্রীক শব্দ প্যালিনড্রোমাস(অর্থ: Running back again) থেকে ইংরেজি প্যালিনড্রোম শব্দটি এসেছে। বাংলা ভাষায় একে দ্বিমুখী শব্দ বা সংখ্যা বলা যায়। এধরনের দ্বিমুখী শব্দ বা বাক্য সাজাতে যারা দক্ষ তাঁদের ‘পেলিনড্রোমিস্ট’ বলা হয়। প্যালিনড্রোমিক লেখা প্রাচীন ‘কিরাতার্জুনীয়’ কাব্যের বহু অনুচ্ছেদে দেখা যায়। এমনই একটি অনুচ্ছেদ হল- “সারস নয়না ঘন অঘ নারচিত রতার কলিক হর সার রসাসার রসাহর কলিকর তারত চিরনাঘ অনঘ নায়ন সরসা”, চতুর্দশ শতকে দৈবজ্ঞ সূর্য পণ্ডিতের লেখা ‘রামকৃষ্ণ বিলোম কাব্যম’ নামে ৪০টি শ্লোকের যে বিখ্যাত কবিতা রয়েছে তার রচনাশৈলীও ভারি অদ্ভুত। প্রতিটি শ্লোকই এক-একটি প্যালিনড্রোম। আবার কবিতাটি সামনে থেকে পড়লে রাম ও রামায়ণের কাহিনি আর পেছন থেকে পড়লে কৃষ্ণ ও মহাভারতের কাহিনি। যেমন ৩ নং শ্লোকে রয়েছে “তামসীত্যসতি সত্যসীমতা মায়য়াক্ষমসমক্ষয়ায়মা। মায়য়াক্ষমসমক্ষয়ায়মা তামসীত্যসতি সত্যসীমতা।।”
বাংলায় প্যালিনড্রোমিক শব্দ অনেক থাকলেও প্যালিনড্রোমিক বাক্য খুব বিরল। কারণ বাংলায় যুক্তবর্ণ ও যুক্তাক্ষরের ব্যবহার প্রচুর। প্যালিনড্রোমিক শব্দের মধ্যে বহুশ্রুত দুই অক্ষরের শব্দ হল- বাবা, দাদা, মামা, কাকা, চাচা, নানা, লালা, চিঁচিঁ, হিহি, জুজু ইত্যাদি। তিন অক্ষরের প্যালিনড্রোমিক শব্দের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি, যেমন- মরম, মলম, দরদ, জলজ, যমজ, তফাত, মধ্যম, বাহবা, চামচা, সন্ন্যাস, সন্ত্রাস, সরেস, সমাস, সহিস, নতুন, নরুন, নরেন, নন্দন, নবীন, কালিকা ইত্যাদি। একটু বড় প্যালিনড্রোমিক শব্দ হল বনমানব, নবজীবন। প্যালিনড্রোমিক নামও বাংলায় আছে বেশ কিছু – মহিম, নরেন, নটেন, কনক, কটক ইত্যাদি। তবে রমাকান্ত কামার ছাড়াও সুবললাল বসু, সদানন দাস, রায়মনি ময়রা, হারান রাহা, নিধুরাম রাধুনি, দেবী দে ইত্যাদি পদবিসহ প্যালিনড্রোমিক নাম বিরল হলেও বাস্তবে থাকা অসম্ভব নয়। বাংলায় অর্থপূর্ণ প্যালিনড্রোমিক বাক্য গঠন করা বেশ কষ্টসাধ্য। তবুও সরল কিছু শব্দ সহযোগে ছোট ছোটো প্যালিনড্রোমিক বাক্য গঠন করা যায়। বই চাইব, তুমি কি মিতু, বিকল্প কবি, ঘুরবে রঘু, সীমার মাসী, ইভার ভাই, নাম লেখালেম না ইত্যাদি হলো প্রচলিত প্যালিনড্রোমিক ছোট্টো বাক্য। তরুণ প্যালিন্ড্রোমিস্ট আব্দুল্লাহ্ পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কোনো ভাষায় প্যালিন্ড্রোমের প্যালিন্ড্রোমিক সংজ্ঞা প্রদান করেন। তার সংজ্ঞাটি হচ্ছে, "ইহা উল্টে পাল্টে উহাই।"
বাংলায় উভমুখীসম শব্দ তৈরির অগ্রদূত দাদাঠাকুর খ্যাত শরৎচন্দ্র পণ্ডিত। তিনিই সম্ভবত প্রথম বাঙালি যিনি বাংলায় প্যালিনড্রোম নিয়ে গভীরভাবে চর্চা করেছেন। তার জন্মসাল ১৮৮১৷ সালটা কিন্তু একটা প্যালিনড্রোমিক বছর। আর জন্ম তারিখ বাংলায় ১৩ বৈশাখ (১২৮৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩ বৈশাখ সংখ্যায় লিখলে এভাবে লেখা হয় – ১৩/১। এটাও একটা প্যালিনড্রোম। আর দাদাঠাকুরের প্রয়াণ তারিখও জন্ম তারিখেই – ১৩ বৈশাখ। জীবন শুরু যে তারিখ দিয়ে, মৃত্যুও সেই তারিখে। দাদাঠাকুরের জীবৎকালও একটা প্যালিনড্রোম! তিনি নিজেও তাঁর ‘বিদুষক’ পত্রিকায় বহু প্যালিনড্রোম সৃষ্টি করে বাংলাভাষায় প্যালিনড্রোমকে সমৃদ্ধ করেছেন। কাক কাঁদে কাক কাঁ; চেনা সে ছেলে বলেছে সে নাচে; তাল বনে নেব লতা; মার কথা থাক রমা; রমা তো মামা তোমার; চার সের চা; বেনে তেল সলতে নেবে; ক্ষীর রস সর রক্ষী; কেবল ভুল বকে; দাস কোথা থাকো সদা? নিমাই খসে সেখ ইমানি; থাক রবি কবির কথা, বিরহে রাধা নয়ন ধারা হেরবি – ইত্যাদি হল দাদাঠাকুর সৃষ্ট অমর প্যালিনড্রোম। তাঁর সৃষ্ট ‘কীর্তন মঞ্চ পরে পঞ্চম নর্তকী’ বাংলাভাষায় সর্বাধিক জটিল ও সর্বাধিক শব্দ সমন্বিত প্যালিনড্রোম।
একটি প্যালিনড্রোম কবিতা-
রাধা নাচে অচেনা ধারা
রাজন্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা
কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী?
কীর্তন মঞ্চ ‘পরে পঞ্চম নর্তকী
বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্যালিনড্রোম বই লেখেন ফরিদ উদ্দিন। তার লেখা 'কথা থাক' বইটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি প্যালিন্ড্রোম গল্প নিয়ে 'নব যৌবন' এবং প্যালিন্ড্রোম কবিতা নিয়ে 'নব প্লাবন' নামে দুটি প্যালিন্ড্রোম বইয়ের সম্পাদনা করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে প্যালিনড্রোমের অগ্রগতির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফরিদ উদ্দিন একজন নিরাপত্তা প্রহরী। তার জন্ম ১৯৮১ সালের ৪ঠা মার্চ। কিশােরগঞ্জ সদরের নীলগঞ্জ পাঁচধা গ্রামে।
আশ্চর্যের বিষয় হল গণিতে প্যালিনড্রোমিক সংখ্যার অভাব নেই। সাধারণভাবে যে কেউ হাজার হাজার প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা তৈরি করতে পারবে, যেমন ১১, ২২, ১২১, ২৩২, ২৪৪২, ১২৩২১ ইত্যাদি। তবে সহজ অ্যালগোরিদম পদ্ধতিতে (নির্দেশমত সুনির্দিষ্ট ধাপে) যে কোনও অ-প্যালিনড্রোমিক সংখ্যাকে প্যালিনড্রোমিক সংখ্যায় পরিণত করা যায়। যেমন ধরা যাক, একটি সংখ্যা হল ৫৭ (দুই, তিন, চার বা তার বেশি অঙ্কের সংখ্যা ধরা যেতে পারে)। এবার সংখ্যাটিকে উল্টে দেওয়া হল। তাহলে সংখ্যাটি হল ৭৫। এবার এই দুটি সংখ্যা যোগ করা হল। তাহলে এবার সংখ্যাটি হল (৫৭+৭৫)=১৩২। একেও উল্টে দেওয়া হল। তাহলে সংখ্যাটি হল ২৩১। আবার এই দুটো সংখ্যা যোগ করা হল। যোগফল হল (১৩২+২৩১)=৩৬৩। এটি একটি প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা। তিন অঙ্কের সংখ্যা নিয়ে দেখা যাক। ধরা যাক সংখ্যাটি ২৫৫। একই নিয়মে ২৫৫+৫৫২=৮০৭, ৮০৭+৭০৮=১৫১৫, ১৫১৫+৫১৫১=৬৬৬৬। তিন ধাপেই পাওয়া গেল প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা। এভাবেই যে কোনও সংখ্যাকেই এই নিয়মে পর পর যোগ করে গেলে একসময় প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা চলে আসবে। তবে এ যাবৎ সবচেয়ে দেরিতে যে সংখ্যাটির প্যালিনড্রোম তৈরি করা গেছে এই নিয়মে তা হল ১,১৮৬,০৬০,৩০৭,৮৯১,৯২৯,৯৯০ । ২৬১ ধাপের পর এটি প্যালিনড্রোমে পরিণত হয়। পাশাপাশি অঙ্কে প্যালিনড্রোমিক-মজার দৃষ্টান্তও প্রচুর। যেমন- ৯ সংখ্যাটির প্যালিনড্রোম জাদু। ৯-এর সব গুণিতককে (যেমন ০,৯,১৮,২৭,.... ৯০) পর পর পাশাপাশি লিখলে তা কিন্তু লম্বা একটা প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা হয়ে যাবে। সংখ্যাটি হল- ০৯১৮২৭৩৬৪৫৫৪৬৩৭২৮১৯০ । আবার ১ সংখ্যাটিরও আছে প্যালিনড্রোমিক ম্যাজিক। ১ দিয়ে তৈরি সমসংখ্যক অঙ্কের দুটি সংখ্যার গুণফল সবসময় প্যালিনড্রোমিক হবে। যেমন- ১১x১১=১২১, ১১১x১১১=১২৩২১, ১১১১x১১১১=১২৩৪৩২১, ১১১১১x১১১১১=১২৩৪৫৪৩২১ ইত্যাদি। আবার প্যালিনড্রোমিক গুণফলগুলোর মধ্যে একটা সামঞ্জস্যও লক্ষণীয়। দুই অঙ্কের সংখ্যার গুণফলের মাঝের সংখ্যা ২, তিন অঙ্কের সংখ্যার গুণফলের মাঝের সংখ্যা ৩, চার অঙ্কের সংখ্যার গুণফলের মাঝের সংখ্যা ৪ ইত্যাদি। প্যালিনড্রম নয় এমন একটিই সংখ্যা পাওয়া গেছে যার ঘনফল হল একটি প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা। সংখ্যাটি হল ২২০১। অনেক সংখ্যা আছে যেগুলোর বর্গ হল প্যালিনড্রোম। যেমন- ১১-এর বর্গ ১২১, ২২-এর বর্গ ৪৮৪, ২৬-এর বর্গ ৬৭৬, ১০১-এর বর্গ ১০২০১, ১২১-এর বর্গ ১৪৬৪১ ইত্যাদি। একইভাবে ৭, ১১, ১০১ ও ১১১ সংখ্যাগুলির ঘনফল (Cube) যথাক্রমে ৩৪৩, ১৩৩১, ১০৩০৩০১ ও ১৩৬৭৬৩১ হল প্যালিনড্রোম। চতুর্থ পাওয়ারের প্যালিনড্রোমিক সংখ্যাও আছে, যেমন ১৪৬৪১, ১০৪০৬০৪০১, ১০০৪০০৬০০৪০০১ ইত্যাদি। কিন্তু পাঁচ পাওয়ারের প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু মৌলিক সংখ্যা আছে যেগুলো প্যালিনড্রোম। তিন অঙ্কের সংখ্যার মধ্যে রয়েছে ১৫টি সংখ্যা, যেমন ১০১, ১৩১, ১৫১, ১৮১, ১৯১, ৩১৩, ৩৫৩, ৩৭৩, ৩৮৩, ৭২৭, ৭৫৭, ৭৮৭, ৭৯৭, ৯১৯, ৯২৯। আবার পাঁচ অঙ্কের সংখ্যার মধ্যে রয়েছে ৯৩টি মৌলিক সংখ্যা। সাত অঙ্কের সংখ্যার মধ্যে রয়েছে ৬৬৮টি। দুটি ক্রমিক সংখ্যার গুণফলের ক্ষেত্রে প্যালিনড্রোম সংখ্যা তৈরি হয় পাঁচটি ক্ষেত্রে। যেমন ১৬x১৭=২৭২, ৭৭x৭৮=৬০০৬, ৫৩৮x৫৩৯=২৮৯৯৮২, ১৬২১x১৬২২=২৬২৯২৬২, ২৪৫৭x২৪৫৮=৬০৩৯৩০৬। তিনটি ক্রমিক সংখ্যার গুণফলের ক্ষেত্রে প্যালিনড্রোম হয় মাত্র একটি ক্ষেত্রে, ৭৭x৭৮x৭৯=৪৭৪৪৭৪ । আবার প্যালিনড্রোমে বিন্যস্ত দুটি সংখ্যার গুণফল হয় প্যালিনড্রোমে বিন্যস্ত অপর দুটি সংখ্যার গুণফল- এমন মজাদার সংখ্যাও নেহাত কম নেই। দু’চারটে নমুনা দেওয়া যাক- ১৪৪x৪৪১=২৫২x২৫২, ১২২৪x৪২২১=২১৪২x২৪১২, ১৩৩৪৪x৪৪৩৩১=২৩৩৫২x২৫৩৩২ ইত্যাদি। গত শতাব্দীর একমাত্র প্যালিনড্রোমিক বছর ছিল ১৯৯১ সাল। একবিংশ শতাব্দীতে ফেলে আসা ২০০২ সালটিই হল একমাত্র প্যালিনড্রোমিক সাল। আর পরের শতাব্দীতে ২১১২ হবে প্যালিনড্রোমিক বছর। আবার দিন, মাস ও সাল ধরে আট সংখ্যার তারিখ খুঁজে দেখলে বর্তমান শতাব্দীতে কুড়িটি প্যালিনড্রোমিক তারিখ পাওয়া যাবে, যেমন প্রথমটি ছিল ১০.০২.২০০১। তারপর চলে গেছে ২০.০২.২০০২, ১১.০২.২০১১, ২১.০২.২০১২ ও ১২.০২.২০২১। আর আসতে বাকি আছে ২২.০২.২০২২, ১৩.০২.২০৩১, ২৩.০২.২০৩২, ১৪.০২.২০৪১, ২৪.০২.২০৪২, ১৫.০২.২০৫১, ২৫.০২.২০৫২, ১৬.০২.২০৬১, ২৬.০২.২০৬২, ১৭.০২.২০৭১, ২৭.০২.২০৭২, ১৮.০২.২০৮১, ২৮.০২.২০৮২, ১৯.০২.২০৯১ এবং ২৯.০২.২০৯২। সুতরাং বলা যায় এই শতাব্দি হল আট সংখ্যার তারিখের ভিত্তিতে প্যালিনড্রোম সমৃদ্ধ। বিগত সহস্রাব্দে শেষ যে আট সংখ্যার তারিখটি আমরা প্যালিনড্রোম হিসেবে পেয়েছি তা দ্বাদশ শতাব্দীতে - ২৯।১১।১১৯২।
তথ্যসূত্র -- wikipedia
Holiday Notice for the Month of February 2022
Our Story
"ICON TOURISM" is very much committed to exploring the real beauty of Bangladesh. Our mission is to develop Bangladeshi tourism & show the whole world that the most beautiful Bangladesh. Our aim is to serve our clients with the same commitment we hold for our Bangladeshi tradition of integrity and hospitality, fueled by a dedication to dynamism, efficiency, and quality to meet the ever-changing and challenging requirements of the travel and tourism industry.
Videos (show all)
Contact the business
Telephone
Website
Opening Hours
Monday | 09:30 - 21:00 |
Tuesday | 09:30 - 21:00 |
Wednesday | 09:30 - 21:00 |
Thursday | 09:30 - 21:00 |
Saturday | 09:30 - 21:00 |
Sunday | 09:30 - 21:00 |