বিসিএস প্রিপারেশন হ্যাকস
It is a virtual classroom of the project School of Learning!
জ্বী, এর নাম পেশাদারিত্ব!
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপরাধ রুখে দিতে গিয়ে জীবন দিলেন তবুও অন্যায়ের সাথে আপোষ করলেন না; ঘুষ, প্রলোভন ও হুমকিতেও গললেন না। অটুট থাকলেন আদর্শের ওপর।
হে আল্লাহ,আপনি এ ভাইকে বেহেশতে উচ্চ মাকাম দান করুন (আমীন)।
একজন মনস্তত্ত্ববিদ হিসেবে আমার যেটা পর্যবেক্ষণ সেটা হলো এ ভাই পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং এ বিষয়টিকে তিনি তার অস্তিত্বে লালন করেছেন। তাই তার পক্ষে আদর্শ বিসর্জন দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর অর্থ এই নয় যে অন্য কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা কেউ এমন আদর্শে অটুট থাকতে পারবে না। তবে স্বাভাবিকভাবেই নিজের পড়াশোনা করা বিষয়ে চাকরি করা ব্যক্তিরা সেই বিষয়ে পেশাদারিত্বসম্পন্ন হবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এসে পুলিশ কর্মকর্তা হলে সে পুলিশের আদর্শ ও পেশাদরীত্বের কী মর্ম বুঝবে?
[] ধূর্ত ছেলেদের ভয়ানক অন্ধকার দিক যা প্রথম দেখায় চোখে পড়ে না!
ধূর্ত ছেলেরা অল্পবয়সী মেয়েদের সাথে প্রেম করা শুরু করলে কিংবা প্রথম পরিচয় হলে এরা তাদের সাথে এতো ভালো ব্যবহার করে এবং তার কাছে এতো ভালো মানুষ সেজে নিজেকে উপস্থাপন করে যে মেয়েটা তাতে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে মনে করে এ তো এক ফেরেশতা ছেলে পেয়ে গেছি। এতো ভালো মানুষ হয়! আমি আমার স্বপ্নের পুরুষ পেয়ে গেছি। কিন্তু এটা হলো তার সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার ফলে তার প্রতি সৃষ্টি হওয়া মুগ্ধতার অনুভূতি। সাধারণ মানুষ কখনও স্বপ্নের মতো সুন্দর হয় না, এটা হওয়া সম্ভব না। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। প্রতিটি মানুষেরই কিছু পরিমাণ কিংবা অনেক বেশি অন্ধকার দিক থাকে। কিন্তু এসব ধূর্ত ছেলে সুকৌশলে তোমাকে এমনভাবে পটিয়ে ফেলে যে তোমার কাছে মনেই হয় না যে সেই ছেলের আবার অন্ধকার দিকও থাকতে পারে। তোমার কাছে মনে হয় এতো ভালো ছেলের কোনো মন্দ দিক থাকতেই পারে না। কিন্তু আসলে তার অনেক অন্ধকার দিক আছে কিন্তু তুমি সেসব জানো না। তোমার কাছে সে নিজেকে খুবই ভালো মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছে যেমন– সে তোমার সাথে খুবই ভালো-ভদ্র ব্যবহার করেছে, নিয়মিত তোমার খোঁজখবর নিয়েছে, তোমাকে সহানুভূতি-সহমর্মিতা দেখিয়েছে, তোমার কেয়ার করেছে, তোমাকে গিফট দিয়েছে, অনেক সুন্দর সুন্দর মূল্যবান কথাবার্তা বলেছে। এভাবে সে তোমাকে ভুলিয়ে ফেলেছে। তাই তোমার কাছে মনে হচ্ছে সে খুবই ভালো ছেলে এবং তার কোনো অন্ধকার দিক থাকতে পারে না।
আসলে সে তোমার সাথে এই যে এতো এতোসব ভালো কাজ করেছে এসব হলো তোমার কাছে তার নিজেকে ভালো দেখানোর প্রচেষ্টা। আবারও বলি, এটা হলো ভালো দেখানোর প্রচেষ্টা। আর তার এসব ইন্দ্রজালে ভুলে গিয়ে তুমি ভাবছো যে আমি একজন স্বপ্নের পুরুষ পেয়ে গেছি। এটা তুমি ভুল পথে যাচ্ছো। তাদের একটি ভয়ানক অন্ধকার দিক আছে যা তুমি জানো না। একটা বিষয় ভাবো তো– যে ছেলের চাকরি নাই কিংবা ব্যবসা নাই কিংবা ভালো ট্যালেন্টেড ছাত্রও নয় যে টিউশনি ও কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়ার কাজ করে, তাহলে সে তোমাকে কীভাবে গিফট কিনে দেয়? আসলে সে তলে তলে মাদক সাপ্লাইয়ের কাজ করে যা তার পরিবার ও সমাজের কেউ জানে না, অথবা তলে তলে সে চুরি-ডাকাতি করে, কিংবা সে অনলাইনে লোক ঠকানো প্রতারণার ব্যবসা করে; আর সে নিজে এসবের কোনোটিই না করে থাকলে সে তার বাবার অবৈধ পথে আয় করা টাকা উড়ায় আর এসব করে। এটাই বাস্তব ও সত্য।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে— "Ill got, ill spent" যার বাংলা অর্থ "অসৎ পথের আয় অসৎ পথেই যায়"। আসলেই কথাটি সত্য। অসৎ পথের আয় কখনও ভালো কাজে আসে না, সেটা অসৎ পথেই ব্যয় হয়ে থাকে। এসব লাফাঙ্গা ছেলের এসব আলগা টাকা ব্যবহৃত হয় মাদক, জুয়া এবং এভাবে মেয়েদেরকে ভুলিয়েভালিয়ে ভোগ করার কাজে। তাই সে তোমার পিছে টাকা খরচ করেছে তার মানে সে তোমাকে জীবনসঙ্গিনী করবে এটা নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। এভাবে তোমার পিছে টাকাপয়সা খরচ করার পর তুমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে তাকে ভালোবাসতে শুরু করলে সে যদি তোমার সাথে বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় তাহলে ১০০% সিউর থাকো যে সে আসলে তোমাকে ভুলিয়েভালিয়ে তোমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই তোমার পিছে এতো টাকাপয়সা খরচ করেছে। আলগা টাকাওয়ালা ঘরের অনেক ছেলে কিংবা নিজে অবৈধ পথে আলগা টাকা আয় করা অনেক ছেলে এসব করে থাকে।
© লেখা: মেহেদী হাসান |
বই: যেসব বিষয় মেয়েদের জানা জরুরি।
# শিঘ্রই বইটি বাজারে আসছে।
[] চাকরির পরীক্ষার সিজনে নতুন ধাঁচের ধান্দাবাজি!
প্রাইমারি–নিবন্ধন–বিসিএস কোনো একটা পরীক্ষা এলেই ৩–৬ মাস পূর্বে থেকে একপ্রকার ধান্দাবাজির উদ্ভব হয়। এবার যেহেতু এই তিনটা পরীক্ষা পরপর অনুষ্ঠিত হবে এবার এই ধান্ধাবাজিরও অধিক মাত্রায় উদ্ভব ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।
বিষয়টা হলো বেসরকারি চাকরি করা কিছু ছিঁচকে মার্কা সরকারি চাকরিপ্রার্থী থাকে যারা অন্যের টাকায় চলার পরিকল্পনা আঁটে। এরা যেটা করে সেটা হলো বন্ধুবান্ধব–ছোটভাই–বড়ভাই যাকেই পায় তার থেকেই এক/ দেড়/ দুই/ তিন হাজার করে টাকা ধার নেয় এবং বলে যে সামনের মাসে বেতন পেলেই টাকা পরিশোধ করবে। সামনের মাসে বেতনের টাকা থেকে ধারের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা বরং সামনের মাসের বেতন হাতে পাওয়ামাত্র এরা চাকরিই ছেড়ে দিবে এবং ঘরে বসে আগামী ৩–৬ মাস পুরোদমে পরবর্তী বড় নিয়োগের সরকারি চাকরির পড়াশোনা করবে। আর এই সময়টা সে কীভাবে চলবে ও টুকিটাকি খরচাপাতি চালাবে সেজন্যই পরিকল্পনা করে এই টাকা ধারের নাটক আর কী!
তাই চাকরির পরীক্ষার সিজনে এরূপ কাউকে টাকা ধার দিতে চাইলে সেই টাকা আর পরবর্তী ৬ মাসে ফেরত পাবেন না কিংবা কখনওই ফেরত পাবেন না এটা মাথায় রেখেই টাকা ধার দিবেন।
জনস্বার্থে : Awareness Studies
নোট: Awareness Studies প্রোগ্রামের সচেতনতা বিষয়ক বইগুলোর পিডিএফ কপি পড়তে ভিজিট করুন→
https://awareness-books.blogspot.com
ধন্যবাদ |
Awareness Studies Program
োথায়_যাচ্ছে_দেশ!
বাংলাদেশের চুশীল সমাজের অধিবাসী (সুশীল সমাজ নামধারী একটা তথাকথিত মাথামোটা বুদ্ধিজীবীগোষ্ঠী এবং এদের সহচর হিসেবে থাকা সত্ত্বা বিক্রি করে খেয়ে পাঁ চাটা হয়ে বেঁচে থাকা একটা পরগাছা সাংবাদিক শ্রেণি) যারা মাঝেমধ্যে পান থেকে চুন খসে যাওয়ার মতো একটা কিছু ঘটলেই তা নিয়ে সরব হয়ে উঠে পাগলা কুকুরের মতো ঘেঁউঘেঁউ করে পরিবেশ নষ্ট করে অথচ দেশে উদ্ভূত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল সমস্যাগুলোর বিষয়ে তারা ব্যাঙের শীতনিদ্রায় রত থাকার মতো জ্ঞাননিদ্রায় ঘুমিয়ে থাকে।
এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে এরূপ ভয়াবহ অনিয়ম নিয়ে এসব চুশীল আজ চুপ কেনো? তাদের সংস্কারনীতি, আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি আজ কোথায়? নাকি এটি আসলে আমলে নেওয়ার মতো কোনো বিষয়ই নয়?
জাতি গড়ার কারিগর নামে খ্যাত শিক্ষকশ্রেণির কেউ একজন এরূপ কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করলে সেটা সেই জাতির জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ও লজ্জাকর বিষয় তা বুঝতে হলে তো মাথা লাগবে ও মাথায় মগজ থাকা লাগবে। আর এসব অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কথা বলার জন্য বুকে সৎসাহস থাকা লাগবে; মাথামোটা বুদ্ধিজীবী ও পাঁ চাটা সাংবাদিক দিয়ে সেটা হবে না। এরূপ ঘটনার পর যে চুশীলরা কোনো প্রতিক্রিয়াই করলো না তারা কীসের সুশীল সমাজ তা আর সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে বোঝাতে হবে না।
আর, এই কাজের পর যে দেশে সেই শিক্ষক এখনও বরখাস্ত হয়নি সেই দেশ ও সমাজ ভিতরে থেকে কতটা পঁচে গেছে তা আর বলে বোঝানো লাগবে না; যাদের বোঝার ক্ষমতা আছে তারা ভালোভাবেই বুঝে গেছে। শুধু সরকারকে দোষ দিয়েও লাভ নেই, দেশের সকল পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা মানুষেরাই ভিতরে ভিতরে পঁচে গেছে।
পরীক্ষকের দায়িত্ব ছিল নিজে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা, আর সে সম্পদ বাড়ানোর অন্ধ নেশায় ইঁদুর দৌঁড়ে মত্ত হয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ গুরুদায়িত্বের জন্য বরাদ্দকৃত সময়টা বাঁচিয়ে সেই সময়টা অন্য কোনো ব্যবসায় দিয়ে এক্সট্রা আয় করার জন্য সে কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে এইচএসসির উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার মতো একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছে! তাহলে কোথায় যাচ্ছে দেশ!
যে শিক্ষকের হওয়ার কথা ছিল দায়িত্ববোধের দীক্ষাদাতা সেই শিক্ষকই আজ দায়িত্বজ্ঞানহীন!
# এটি একটি মনুষ্যত্ববোধের দুর্ভিক্ষ!
# এটি নৈতিকতাবোধের দুর্ভিক্ষ!
# এটি একটি মূল্যবোধের দুর্ভিক্ষ!
# এটি আসলে দায়িত্ববোধজ্ঞানের দুর্ভিক্ষ!
এই দুর্ভিক্ষ থেকে জাতি কীভাবে পরিত্রাণ পাবে?
ই-মেইলেট মাধ্যমে কীভাবে একটি প্রাইভেট জব এর জন্য আবেদন করবেন? | How to apply for a private job via e-mail?
দেখুন ফটোতে→
এক প্রখর মেধাবী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পরে সে ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠিয়ে যাচাই পরীক্ষা নিয়েছে। আশাকরি আমি টিকবো।