নদী বাঁচাও,দেশ বাঁচাও
নদী মরলে শুধু অর্থনীতিতেই বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এই বিজ্ঞানের জগতটাকে একসময় খালিদ ইবনে ইয়াজিদ ,জাফর আস-সাদিক, জাবির ইবন হাইয়ান, মুহাম্মাদ ইবনে মুসাআল-খারেজমি, আব্বাস ইবনে ফিরনাস,আল-কিন্দি, মাসলামা আল-মাজরিতিব এবং ইবনে-সিনার মতো জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানিরা লিড করে গেছেন।
আমাদের আধুনিক যুগের মুসলিমদের কাজ হচ্ছে নামাজে ভুল ধরা,নিজেদের মধ্যে ঝামেলা পাকানো, শিয়া-সুন্নি নিয়ে পরে থাকা আর সবশেষে আবাবীল পাখি প্রেরনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা!!
ফেইসবুকে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের কান্না দেখে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার পথে!
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন!
শাহজালাল বিমানবন্দর পৃথিবীর সবচাইতে দুর্ধর্ষ নিরাপত্তা বিশিষ্ট বিমানবন্দর। এখানে চেকিং শুরু হয় রাস্তা থেকে। রাস্তায় একবার গাড়ি থামায়, তারপর ব্রিজে উঠার সময় গাড়ি থামায়, তারপর ড্রপ পয়েন্টের আগে একবার গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক সময়।
ভেতরে ঢোকার আগে বিশাল লম্বা লাইন লেগে যায়, কারন শাহজালাল বিমাবন্দর হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র বিমানবন্দর যেখানে প্রবেশমুখে পুরো স্ক্যান করা হয়।
তো, আপনি ঢোকার আগেই চারবার চেকিংয়ের শিকার হবেন, যেটা দুনিয়ার অন্য কোনো এয়ারপোর্টে হয় বলে দেখিনি। ভেতরে ঢুকে দেখবেন শত শত লোক গলায় ব্যাজ লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা নানান সরকারি সংস্থার লোক হিসেবে বিমানবন্দর ম্যানেজমেন্টে আছেন। যাত্রীর বেশি না এসব ব্যাজধারী সরকারি লোক বেশি, মাঝে মাঝে চিন্তায় পড়ে যাবেন।
যাক, ভেতরে গেলেন।
তারপর বিমানে উঠতে হলে অবশ্যই ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনের চিপা গলি দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। ইমিগ্রেশন শেষ হওয়ার পরে একটা ছোট গেট দিয়ে বের হতে হবে, সেখানে আবার ইমিগ্রেশনের সিল দেখার জন্য আরেকজন ইমিগ্রেশন পুলিশ বসে থাকেন। ( এটাও দুনিয়ার কোথাও আপনি দেখবেন না।)
সবশেষে রয়েছে বোর্ডিং গেটের সামনের ফাইনাল নিরাপত্তার চেকিং। জুতা খুলে, বেল্ট খুলে, ঘড়ি খুলে যেতে হবে। পাসপোর্ট দেখবে, বোর্ডিং কার্ড দেখবে। তারপর ঢুকতে পারবেন।
তো, এই পর্যন্ত মোট ৭টা পর্যায়ে আপনাকে নিরাপত্তা তল্লাশি পার হয়ে বিমানে চড়তে হবে।
মফস্বলের শিশু জোনায়েদ একা একা ঘুরতে এসে একেবারে বিমানে চড়ে বসেছিল। শেষ সময়ে সিটের চাইতে লোক বেশি হওয়ায় এয়ারহোস্টেসরা বিষয়টি ধরতে পেরে তাঁকে নামিয়ে দিয়েছেন।
এই সপ্তস্তরের নিরাপত্তা, এই শত ব্যাজধারীর হুতুম হাতুম, সবকিছুকে এই শিশু একাই দেখিয়ে দিয়েছে, 'রাজা, তুমি ন্যাংটো!'
শুধুই গাল গপ্পো
১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়! বিশেষ প্রতিনিধি: দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা কত এর সঠিক হিসাব নেই। বিতরণকারী বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার প্রাক্....
দেখুন রাজধানীর জিরানী খালের অবস্থা
জ্বালানী তেলের দাম কেন কমানো হচ্ছে না
বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ। ব-দ্বীপ শব্দটি আসলে গ্রিক ∆ (ডেলটা) থেকে এসেছে। ব-দ্বীপ সমুহকে ইংরেজীতে Delta বলা হয় কারন এর গঠন অনেকটা গ্রিক ∆ এর মতো। বাংলায় ব বর্ণটির সাথে ডেলটা এর মিল থাকায় বাংলায় ব-দ্বীপ নামটি প্রচলিত হয়।
হিমালয় থেকে নদীগুলো সাগরে পড়ার সময় প্রচুর পলি কনা বা সেডিমেন্ট সাথে করে নিয়ে আসে। সেই সেডিমেন্টে বাংলাদেশের সৃষ্টি। আমাদের হিমালয় অববাহিকায় গঙ্গা(বাংলাদেশে পদ্মা) ও যমুনা, মেঘনা নদীর সহযোগে বঙ্গীয় ব-দ্বীপ গড়ে তুলেছে। এই বদ্বীপ গড়ে উঠতে লেগেছে শত মিলিয়ন বছর।
আমাদের বাংলাদেশ জায়গাটা আসলে জলের, হিমালয় থেকে লাখ লাখ বছর ধরে বয়ে যাওয়া জলের। আর এখানে শত শত বছর ধরে মানুষের বসবাস। একটু ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যায়, এখানে এই বয়ে যাওয়া জলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল জীবনব্যবস্থা। এখানের মূল ফসলগুলো পানির সাথে সম্পর্ক করে উৎপাদন করা হত। যেমন আমন মৌসুমের ধানগুলো। সবগুলো ধান বর্ষার পানি বেয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে। পানি যত বাড়ে, ধানও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। আবার আমনের ক্ষেত এই অঞ্চলের মাছদের ব্রিডিং জোন ছিল। দেশে এখন আমন নাই, সেই সাথে প্রাকৃতিক মাছও নাই। যেহেতু এটা প্লাবনভূমি, তাই বাড়িঘর তৈরি করতে হত উঁচু করে, বাড়ি উঁচুতে তৈরির সময় বাড়ির পেছনে তাই একটা পুকুর তৈরি হতো। সেই পুকুর ছিল শুষ্ক মৌসুমের মাছের আধার। এ অঞ্চলের বড় রাস্তাগুলো ছিল হালট নামে চিহ্নিত, যা জল প্রবাহে সেভাবে বাধা দিত না, বর্ষায় তলিয়ে যেত। এলাকা যেহেতু জলের তাই মানুষ সাঁতার, মাছ ধরা ও নৌকা বানাতে পটু ছিল। এক পাড়া থেকে আরেক পাড়ায় যেতে লাগতো নৌকা, কত শত ধরণের নৌকা যে ছিল। নৌকা বাইতে বাইতে মাঝি যে গান গাইতো। সে গানই তো ভাটিয়ালি। জল আর জীবন ছিল মিলে মিশে একাকার। জলের স্রোতের সাথে বয়ে চলতো মানব জীবন। এখানের ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি, খাদ্য, পোশাক, সংস্কৃতি সবকিছুতেই ছিল জলের ছাপ, এ ছিল এক জলজ জীবন ব্যবস্থা।
এই জলের এলাকা গত শতাব্দীতে বৈদেশিক উন্নয়ন মডেল গ্রহণ করা শুরু করলো। যে ভোগবাদী বৈদেশিক মডেল সারা বিশ্বের প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইকোসিস্টেম ডিস্ট্রাকশন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, প্রানের গনবিলুপ্তি, ওশান এসিডিফিকেশনের জন্য সরাসরি দায়ী এবং আর কিছুদিনের মধ্যে হয়তো বৈশ্বিক ইমারজেন্সি ঘোষণা করতে হবে। পৃথিবীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আমরা টিপিং পয়েন্ট ক্রস করেছি পরিবেশ প্রতিবেশ ধংসে আর পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে।
এই আরোপিত অর্থনৈতিক মডেলে বাংলাদেশের বিষয়টা দাঁড়ালো মাছকে রাস্তায় সাঁতার কাটতে বলার মত। রাস্তা তৈরি করে জলের প্রবাহ আটকে দেয়া হলো। বাঁধ, সেতু তৈরি করে নদীর গলায় ফাঁস ফাঁস দেয়া হলো। নদী নাব্যতা হারালো, ফলে একটু বেশি পানি প্রবাহিত হলেই বন্যা হয় এখন। শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষের নামে আর্সেনিক দূষণে দূষিত করা হলো ভূগর্ভস্থ পানি। বয়ে যাওয়া পানি দূষিত হলো ইউরিয়ার নাইট্রেতে, পলিথিন-প্লাস্টিকের কথা নাই বা বললাম।
কোনো এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মিলিয়ে জীবন ব্যবস্থা তৈরি করলে, সেটা টিকে থাকে। আর প্রকৃতির সাথে চ্যালেঞ্জ করে বাঁচতে চাইলে প্রকৃতি সেটা উপড়ে ফেলে।এই উপড়ে ফেলার বিষয়টা মানুষের পারসেপশনে ঠিকঠাক আসে না। কারন ঘটনা অতি ধীরে ধীরে ঘটে।
এই যে সিলেটের বন্যা, এটা পরিবেশ প্রতিবেশ ধ্বংস করার ফসল। সামনের দিনগুলোতে এদেশে এগুলো হবে নিত্যদিনের ঘটনা। কারন গ্লোবাল ওয়ার্মিং টিপিং পয়েন্ট ক্রস করেছে। তাপে প্রচুর পানি বাষ্প হয়ে স্থলভাগে আসবে, আর বন্যা হয়ে এলাকা ভাসিয়ে সাগরে নামবে।
আমরা ফসিলফুয়েল নির্ভর ভোগবাদী জীবনব্যবস্থার বাইরে আসতে পারবো না, তাই সমাধানও নাই। আগে এমন বন্যা হলে এলাকাবাসীরাই মোকাবেলা করতে পারতো কারন তারা প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার ছিল। পানিতে, বন্যায় কিভাবে সার্ভাইব করতে হয়, সেই ডিপ নলেজ তাদের যাপিত জীবনের কারনেই শেখা হয়ে যেত।