https://www.facebook.com/100293458975751/

Rudraksh 06

( C ) Parijat Maitra
কেউ বিপক্ষ দলের জার্সি টেনে ছিঁড়ে, মাতৃসম ক্লাব পতাকা পা দিয়ে মাড়িয়ে আনন্দ পায়, কেউ আবার বিপক্ষ টিমের জার্সি ঐতিহ্য বহনকারী স্মারক রূপে সযত্নে রক্ষিত করে I

আসলে যার যেটা চরিত্র - তাদের ব্যবহারেই সেটি প্রকাশ পায় I

যে ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের ক্লাবের শ্রেষ্ঠতর খেলোয়াড় এর দুর্মূল্য সমস্ত পদক, পদক দাতার অজান্তে বেঁচে দেয়, সেই ক্লাবের সমর্থকরা জার্সি আর পতাকার গুরুত্ব বুঝবে না, এটাই তো স্বাভাবিক I

পাশাপাশি, আরেকটি ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের ক্লাবের শ্রেষ্ঠতর খেলোয়াড়দের দুর্মূল্য সমস্ত পদক সযত্নে সংরক্ষিত করে রাখেন, আগামী প্রজন্মের কাছে ক্লাবের ইতিহাসকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য I শুধু তাই নয়, উক্ত ক্লাবের সমর্থক, প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের ঐতিহ্য বহনকারী জার্সি ও সংরক্ষিত করে রাখে - শ্রদ্ধার সঙ্গে I কারণ, সে জানে, এই জার্সির গুরুত্ব উক্ত জার্সির অধিকারী ক্লাব কোনদিনই বুঝবে না I গোষ্ঠ পালের স্মারকের মত বেঁচে খেয়ে নেবে I

দুটি ক্লাবের এটাই পার্থক্য - কেউ মা কে সম্মান করে, কেউ পদদলিত করে I

(ছবিতে যে জার্সি টি দেখা যাচ্ছে, সেটি মোহনবাগান ক্লাবের ১৯২১ সালের জার্সি, যেটি পড়ে খেলেছিলেন কিংবদন্তি ফরওয়ার্ড মোনা দত্ত I জার্সিটি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একজন একনিষ্ঠ সমর্থকের কাছে সম্মানের সাথে সংরক্ষিত রয়েছে)