Traveler Animesh

Pahalgam memory..😌🥹❤️

প্রায় এক বছর আগে এখানে রাতে চাঁদের আলোয় টেন্ট লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে এরকম দৃশ্য দেখেছিলাম।😌❤️🥹

শান্তি সংঘের পরিচালনায় ২৬ তম বর্ষ শ্রী-শ্রী শ্যামা মায়ের পুজো উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মুহূর্ত।🙏🏻❤️
(শশাটি,পালপাড়া)
শান্তি সংঘের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা।🥰

দূর্গা পুজোয় পাওয়া কিছু সম্মাননার মুহূর্ত।

আজ ১২-ই অক্টোবর উত্তরণ কলাকেন্দ্রের বার্ষিক অনুষ্ঠান ও গত ১লা অক্টোবর শ্যামপুর সংস্কৃতি চক্রের অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত ও দুই অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া সম্মাননার কিছু মুহূর্ত।❤️

গতকাল অপরাজেয় আয়োজিত মহতী রক্তদান উৎসবে অংশগ্রহণকারী ১০৪ জন রক্তদাতাকে অশেষ শুভেচ্ছা ও রক্তিম অভিনন্দন। গ্রূপের সব মেম্বারদের অনেক অনেক ভালোবাসা,সবাই এর পরিশ্রমে আমরা সফল হয়েছি। আর যারা দূর থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদেরও অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।

কাশফুলের সুন্দর্য্য বুঝিয়ে দেয় দূর্গা পুজো আর বেশি দিন বাকি নেই।😍❤️
ঠিক এমন সময় হিমাচল প্রদেশে ভ্রমণ করার মুহূর্তে ছবি দুটি ক্লিক করেছিলাম।😌💙🚴🏼

গতকাল হাওড়া অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন-র বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমায় দেওয়া হলো সেরা সম্মান।❤️"হাওড়া অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন" এটি জেলার অন্যতম একটি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ক্লাব। এখানে মাউন্টেনিয়ারিং,রক ক্লাইম্বিং,হাই অল্টিটিউড ট্রেকিং,কোস্টাল ট্রেকিং,রিভার ট্রেকিং,ডেজার্ট ট্রেকিং,জঙ্গল ক্যাম্পিং সহ অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের নানান ক্ষেত্রে ওনাদের পদচারণা। এই অ্যাসোসিয়েশন ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে অনন্য নজির স্থাপনকারী কৃতিদের "ছন্দা গায়েন স্মারক সম্মান" দিয়ে ভূষিত করে আসছে। ঠিক সেই ভাবেই গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার অনেক অভিযাত্রীদের দেওয়া হয় 'ছন্দা গায়েন স্মারক সম্মান'। অনেক ভালোবাসা সবার জন্য।😌❤️

লাল পাহাড়ির দেশে যা,রাঙা মাটির দেশে যা,
হিতাক তোকে মানাইছেনা রে,ইক্কেবারে মানাইছেনা রে।😌❤️
📍Ladakh

আরগড়িয়াতে বড় বাবার পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় আমাদের সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিলো। আমরাও যথারীতি সময় মতো পৌঁছে যায়। ওখানে যাওয়ার পরে একটু গল্প-আড্ডা তারপর খাওয়া-দাওয়া করে সবাই বাড়ি ফিরলাম।😌

আশুথতলা পূজা কমিটির পরিচালনায় বড় বাবা ও কালী পূজা উপলক্ষে বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। গত ১৩-ই আগস্ট সন্ধ্যায় আমি হঠাৎ করেই উপস্থিত হয়েছিলাম আশুথতলায়। সাথে ছিলো শ্যামপুরের গর্ব তথা ভারতের গর্ব প্রিয়াঞ্জনা জানা।☺️
তবে আশুথতলায় যাওয়ার আগে সন্ধ্যায় শ্যামপুরে দাদা-দিদি ভাই-বোন ও বন্ধুদের সাথে একটু সময় কাটানো। আশুথতলায় যাওয়ার পরে আমার অনেক পরিচিত মানুষদের সাথে দেখা হয়। স্কুলের স্যারের সাথে দেখা হয়,দেখা হয় বেশ কিছু কাকু-কাকিমার সাথে। ওনাদের সাথে বেশ অনেকটা সময় গল্প করলাম। অনুষ্ঠানে প্রিয়াঞ্জনা বোনের ব্যায়াম ও নাচ দেখলাম সত্যি অসাধারণ। আশুথতলায় একটা কাকু-কাকিমা চা দোকান আছে বেশ সুন্দর চা বানায়। আমি লেবু চায়ে চুমুক দিয়েছি আমার তো খুব ভালো লাগলো। তারপর ভাই বোনদের সাথে আড্ডা দিলাম। তারপর আমাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হলো,আমি সংক্ষেপে আমার কিছু অভিজ্ঞতা বললাম। আশুথতলা পূজা কমিটির সমস্ত সদস্যর জন্য অনেক ভালোবাসা।

ভালোবাসা কত রকম? আমি বরং এই মুহূর্তটা একটু বলি তাহলে বুঝবেন। আমার পাশের মানুষটার নাম ভাস্কর মন্ডল। উনি একজন স্কুলের শিক্ষক। পরিচয় হয়েছে ফেসবুকের মাধ্যমে। তবে কোনোদিন চ্যাট বক্সেও কথা হয়নি। যখন দেশ ভ্রমণ করে বাড়ি ফিরলাম তারপর কিছু প্রোগ্রামে দেখা হয় আর কথা শুরু হয়।দাদার বাড়ি পুজোর দিন দাদার বাড়িতে গিয়েছিলাম তারপর একটা ভালো সম্পর্ক হয়। এই জন্যই আমি স্যার না বলে ভালোবেসে দাদা বলি। এবার আসি এই ছবির গল্পে,অনেক দিন আগে ভাস্কর দাদা আমাকে বলেছে ১৫ই আগস্ট ফাঁকা থাকিস। আমার বাড়িতে আসবি কিন্তু.. আমি প্রথমেই হ্যাঁ বলি। ২ দিন আগে আবার কল করে আমায় যখন বললো তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম দাদা ঠিক কখন যাবো! দাদা বললো সকাল থেকেই প্রোগ্রাম শুরু তুই তো কমলপুর যাবি তাহলে একটু বেলায় আসিস। তো গতকাল ১৫-ই আগস্ট সকাল থেকে প্রচুর ব্যস্ত ছিলাম। দাদা মাঝে একবার কল করেছে কিন্তু আমি বললাম দেরি হবে একটু তবে আসবো। বেলা গড়িয়ে প্রায় ২ তখন গাড়ি নিয়ে শ্যামপুরের দিকে আসছি,দাদা আবার কল করলো আমি বললাম এই তো আর একটু বাকি। দাদা সেই মিষ্টি গলায় হ্যাঁ আই। যখন দাদার বাড়িতে আসলাম তখন প্রোগ্রাম প্রায় শেষ,প্রোগ্রামে প্রায় ৭০ জন স্টুডেন্টস এসেছিলো কিন্তু আমি যখন আসলাম তখন প্রায় ১৫+ তবে সবার খাওয়া শেষ। কিন্তু দাদাই একমাত্র খায়নি আমার জন্য। আমি আসতে তবেই দাদা খেতে বসলো। আমাকেও পাশে বসতে বললো। দাদার সাথে মাত্র কয়েক দিনের পরিচয় কিন্তু তাও নিজে না খেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করা। মুখে সেই মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো আই বস আগে খেয়ে নে। খেয়ে তারপর গল্প শুরু। হয়তো ভাবলে কিছুই না আবার ভাবলে অনেক কিছু।ভালোবাসা শুধু না এটা সত্যি অনেক কিছুই।❤️❤️❤️❤️

গতকাল সমীর নাগ স্যার এর বাড়িতে একটু সময় কাটানোর কিছু মুহূর্ত। আমি তো ভালোবেসে কাকু কাকিমা-ই বলি। অনেক আগে ওনাদের সাথে কথা হয়েছে কিন্তু দেখা করার মত সুযোগ হয়নি। তবে গতকাল সবার সাথে দেখা ও অল্প সময়ের গল্প হলো। সাথে ছিলেন আরও কিছু দাদা-দিদি ও ভাই-বোনরা।

১৫-ই আগস্ট এর মুহূর্ত।
"কার্তিকদাদা" এই নামটা অনেকেরই জানা। কার্তিকদা বছরের বিশেষ দিন গুলি সাইকেল চালিয়ে কখনো হাওড়া,কলকাতা,হুগলী ইত্যাদি জায়গায় যায়। আজ ১৫-ই আগস্ট জয়পুর থেকে কমলপুর পর্যন্ত এসেছে।(বাড়িতে হঠাৎ একটা সমস্যা হওয়ার জন্য ওনাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হলো) আজ সকাল থেকেই খুব গরম। এই গরমে অতো দূর থেকে কখনো সাইকেল চালিয়ে আবার কখনো হেঁটে এতো দূরে এসেছেন। আমি দেখলাম সাইকেলে অনেক পরিমান বেলুন,পতাকা দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজানো, যদি উল্টো দিক থেকে বাতাস আসে বাতাস তখন কাটবে না। তার পরেও সেই সকাল ৬ টা থেকে সাইকেল নিয়ে যে এতোটা এসেছেন,এর জন্য আমি বা আমরা সবাই প্রচন্ড খুশি।❤️ অনেক ভালোবাসা কার্তিক দা।❤️

আজ ১৫-ই আগস্ট ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের চারিদিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছে। আমাকেও অনেক দিন আগেই কিছু দাদারা বলেছিলো ভাই তোমাকে আমাদের এখানে অবশ্যই আসতে হবে। আমি তো খুশি খুশি তখনি হ্যাঁ বলেছিলাম। কথা মত আজ আমি সকালে দেউলী,কমলপুর ইত্যাদি জায়গায় পৌঁছে পতাকা উত্তোলনের মুহূর্তে যোগদান করলাম। সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর-যোদ্ধাদের প্রতি অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার্ঘ্য রইলো।🇮🇳🧡🤍💚
একটা সময় আমি নিজে লাইনে দাঁড়িয়ে লজেন্স ও কেক ইত্যাদি নিতাম কিন্তু আজ আমি অনেক ছোট ছোট ভাই বোনদের হাতে কিছু ভালোবাসা(🍬) দিলাম। এই মুহূর্তগুলো আমার কাছে এক আলাদা সুন্দর মুহূর্ত।😌

সময় থাকতে বুঝতে শেখো,গাছদের আগলে রেখো কারণ গাছ যদি হারায় মোরা,বাড়বে দূষণ নামবে খরা।শতাধিক পুরনো গাছ বাঁচানোর জন্য হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিরোধ। আমরা কারো বিপক্ষে যেতে চায় না,শুধু পরিবেশের পক্ষে থাকতে চায়। গতকাল শ্যামপুর থেকে গাদিয়াড়া পর্যন্ত আমাদের সাইকেল ও বাইক র‍্যালির কিছু মুহূর্ত। গাছ লাগান,প্রকৃতিকে ভালোবাসুন।🌳🌱💚

(অর্পণ দাদার থেকে নেওয়া)(শ্যামপুরের খবর)
আমরা যেখানে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করি, সেখানে সরকার উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে গাছ কাটতে ব্যস্ত থাকে। এই বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে এত গাছ হত্যার পর গাছ লাগলেও সেই শূন্যস্থান কোনোদিনই পূরণ হবেনা।
আসুন না আমরা শ্যামপুর গাদিয়াড়া রাস্তার শতাধিক পুরনো গাছ বাঁচাতে হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিরোধ করি।
যারা অংশ নিয়ে সক্রিয় ভাবে প্রতিরোধে থাকতে চান তাদের #শ্যামপুর_বসুন্ধরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে স্বাগত। কমেন্ট বক্স তে হোয়াটসঅ্যাপ লিংক দেওয়া হলো।(আগামীকাল শ্যামপুরে সাইকেল ও বাইক র‍্যালি হবে যারা যোগ দিতে ইচ্ছুক তারা কমেন্ট বক্সের লিংকে গ্রূপে যুক্ত হন)
আগামীকাল বেলা ২:৩০ টায় শ্যামপুর মোড় থেকে গাদিয়াড়া মোড় পর্যন্ত গাছ সংরক্ষণের পক্ষে সাইকেল র‍্যালি ও কয়েকটা গাছে পোস্টার লাগানো হবে।সকলকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সঙ্গে আপনার পরিচিত বন্ধু বান্ধব, ছাত্র ছাত্রীদেরও অংশগ্রহণ করার কথা জানাবেন। এই লড়াই শুধু আমাদের জন্য নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও। জমায়েত জোরালো হোক। প্রতিবাদে মুখর হোক শ্যামপুর।

আজ শ্যামপুর ব্লাড গ্রূপের পরিচালনায় স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়েছিল। বিশেষ আর্থিক সহযোগিতায় রক্তযোদ্ধা সন্দীপ দাদা। এই রক্তদান শিবিরে ৪৮ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছে, প্রত্যেক রক্তদাতা-কে রক্তিম অভিনন্দন জানায়। সাথে অনেক ভালোবাসা রইলো।❤️
প্রত্যেক রক্তদাতাই হলেন এক একজন বড় বীর..❤️