BD NYON 0.3

BD NYON 0.3

শূন্যতার শহরে পূর্ণতা নেই
আছে শুধু অবহেলা--"এর চেয়ে ভালো ছিলো ঝামেলাহীন ছোট বেলা

02/08/2023

ইনশাআল্লাহ❤️❤️

02/08/2023

আমিন

01/08/2023

কিছু ছবি তে ক্যাপশন লাগে না

31/07/2023

ღ۵_অভিনন্দন � আপনার পেজটা ঘুরে আসলাম।
_আপনার পেজটা অনেক সুন্দর,
এগিয়ে যান _ সবাই পেজটাতে ফলো দিয়ে পাশে থেকে সাপোর্ট করবেন।�
শুভ কামনা রইল"࿐⃝��

31/07/2023

বাবার অর্থ সম্পদ না থাকলে
প্রতিটা মধ্যবিও সন্তানের সাফল্যের
সিঁড়ির পথ এমনটায় মনে হয় । 😔

31/07/2023

#নেশা
#পর্ব_০৯


চিলে কোঠার ঘরের এক কোনায় হাটুর ভাজে মুখ গুজে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছি। আমার কষ্ট সহ্য করার সীমা ক্রমেই অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে। আর পারছি না। আর কতো কি সহ্য করবো! সহ্যেরও তো একটা সীমা থাকে! ছোট থেকে তো সহ্যই করে আসছি।

জন্মের পর মা বাবা তাদের পরিচয় দেয় নি, এতিমখানার দরজায় ফেলে দিয়ে চলে গেছে। জীবনের শুরুর দশটা বছর এতিমখানায় একা একা কেটেছে। রূপা আপু আর চাচা আমার মতো এতিমকে তাদের মেয়ে বানিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেও চাচি কখনও আমাকে আপন ভাবতে পারে নি। জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করেই টিকে থাকতে হয়েছে।

অতঃপর ভাগ্যের খেলায় প্রিয়জনকে হারিয়ে হতে হলো নিঃস্ব। প্রিয়জনের ঘৃণা নিয়ে বেঁচে থাকার অভিশাপও পালন করে নিয়েছি।

ভাগ্যের নিষ্ঠুর জুয়া খেলায় আবার সবার হাতের পুতুল হয়ে গেলাম। যাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলাম সেই তিতলি এখন আমার থেকে ক্রোশ দূরে। যিনি আমার স্বামী সে সবার সামনে আমাকে সার্ভেন্ট বলে পরিচয় দেয়! অবশ্য তারই বা কি দোষ? বিয়ের শর্তই ছিল তিন মাসের সংসার,, বাসর রাতেই তো নিজের তালাকনামায় সই করে দিয়েছি!




চিলে কোঠার ঘর টা তে জিনিসপত্র আর ধুলা দিয়ে আস্তরণ পরে গেছে। চোখের পানি মুছে আঁচল কোমড়ে গুজে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। নির্ঝরের পরিবারের জন্য রাতে রান্না করলাম।

যেহেতু বাড়ির নতুন সার্ভেন্ট আমি সেহেতু তাদের খাওয়া শেষ করিয়ে সবকিছু ধুয়ে পরিষ্কার করে রাত প্রায় সাড়ে এগারোটার পরে পুনরায় চিলে কোঠার ঘরে গেলাম। চিলে কোঠার ঘরটায় ছোট একটা জানালা আছে। আমার মতোই বিষন্ন রাতের আকাশ দেখার জন্যই হয়তো জানালা টা বানানো।


পুরো আকাশ মেঘে ছেয়ে আছে। ইদানিং মেঘ বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেছে। আকাশও আমার সাথে পাল্লা দিয়ে অশ্রু বর্ষণ করে। গুড়গুড় করে মেঘ ডাকছে। মাঝে মাঝে পুরো ধরাকে আলোকিত করে বিদ্যুত চমকাচ্ছে! আলো ছায়ার সেই খেলা আমি চিলে কোঠার মেঝেতে শুয়ে দেখে যাচ্ছি!

হঠাত দরজায় টোকা পরাতে উঠে দরজা খুলে দেখলাম নির্ঝর দাড়িয়ে আছেন।

উনাকে দেখে আমার বুক কেঁপে উঠলো। চোখমুখ লাল হয়ে আছে উনার। কেনো যেনো মনে হচ্ছে উনি এতোক্ষণ কান্না করেছেন। কিন্তু উনি কেনো কান্না করবেন!

দরজা খুলে দিয়ে আমি ভিতরে চলে এলাম। উনি পিছন থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলেন। উনার গরম নিশ্বাস আমার গলায় ঘাড়ে পরছে। অন্য কোনো দিন হলে হয়তো আমার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন হতো কিন্তু আজ তার প্রতিটা স্

31/07/2023

নেশা
পর্ব_০৮
Sumaya_Tabassum_Kotha

" আপনি আমাকে আটকে রেখে গিয়েছিলেন কেনো? আমি কি মানুষ নাকি জীব-জন্তু? এভাবে আটকে রেখে যেতে হবে কেনো?
রাতে অফিস শেষে নির্ঝর বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে তৃষ্ণা রাগি দৃষ্টিতে কথাটা বললো।

-- তুমি নিজে বোকা নাকি আমাকে বোকা ভাবো বুঝি না!

-- মানে? কি বলতে চাইছেন?

-- তোমার কি মনে হয়? এই বাড়ি থেকে যেখানে একটা পাখি আমার অনুমতি ছাড়া বের হতে পারে না,, সেখানে তুমি তিনদিন একা বের হয়েছো, সেটা আমি জানি না!

উনার শান্ত কন্ঠের ভয়ানক কথায় আমার আত্মার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।

-- কি বলতে চাইছেন আপনি? আমি ককোথায় যাই? এএকদিনই পপালিয়ে ছিলাম।

-- লাইক সিরিয়াসলি! এতোটা বোকা মনে হয় তোমার আমাকে? তৃষ্ণা আমি এতোটাও বোকা নই। মানুষ চেনার দক্ষতা আগে ছিল না। কিন্তু এখন আমি ঠিক চিনতে শিখেছি সবাইকে। শপিং এর বাহানায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দশ লাখ টাকা কাকে দিয়েছো সেটাও জানি। কালকে আমি বাসায় না থাকার সুযোগে বাসা থেকে বেরিয়ে কোথায় গিয়েছিলে সেটাও আমি জানি। অবশ্য এসবে আমার কিছুই আসে যায় না। তোমাকে আমি কিনে নিয়েছি আর এখন তুমি আমার বউ। সো তোমার উপর আমার অধিকার দ্বিগুণ। আমি ভেবেছিলাম অন্তত কাল রাতের পর তুমি নিজেকে একটু হলেও শুধরে নেবে। বাট আই ওয়াজ রং। তুমি আগের মতোই আছো। প্রতারক!

নির্ঝরের এমন গা জ্বালানো কথা আমার একদম সহ্য হচ্ছে না। এমনিতেই তিতলির টেনশনে আমার মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম আর উনি উনার ফালতু কথার ঝুলি খুলে বসে আছেন।
কিন্তু একটা ভাববার বিষয় আছে। সে যদি জানতো আমি লুকিয়ে কোথায় যাই তাহলে আমাকে বাঁধা কেনো দেন নি।

-- আপনি যদি জানতে তাহলে বাঁধা দেন নি কেনো?

নির্ঝর কিছুক্ষণ বাম হাত দিয়ে তার কপালে স্লাইড করতে থাকে। হয়তো সে যেই কথাটা বলেছে সেটা তার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে। হয়তো সে বলতে চায় নি।

-- আমি শুধু জানতে চাচ্ছিলাম তুমি আর কতোটা নিচে নামতে পারো। তন্ময় কে টাকা দেওয়ার জন্য নিজেকে আমার কাছে বিক্রি করেছো। এতোটা ভালোবাসো তন্ময় কে! আর আমি! আমি যে তোমার স্বামী সেই খেয়ালটুকু আছে তোমার? কালকেও তুমি তন্ময়ের বাড়ি গিয়ছিলে। কেনো তৃষ্ণা? উত্তর দাও কেনো?

-- এটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনাকে বলতে বাধ্য নই।

-- তৃষ্ণা! তুমি কি একবারের জন্যও আমাকে বুঝো না?

-- ছাড়ুন আমাকে। রাতের জন্য রান্না করতে হবে। বাসায় কোনো সার্ভেন্ট নেই।

নির্ঝর আমার বাহু আঁকড়ে ধরে কিছুক্ষণ আমার স্থির দৃষ

30/07/2023

নেশা
পর্ব_০৬
Tabassum_Kotha

অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে আছি। পরনে নির্ঝরের দেওয়া লাল শাড়িটা, নতুন বউয়ের কোনো লক্ষণ আমার মধ্যে আছে বলে আমার মনে হয় না। রূপা আপুর ফুলশয্যায় দেখেছিলাম আপুকে অনেক গয়নায় মুড়িয়ে বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বিছানার ঠিক মাঝখানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আর আমি! শাড়ির আঁচলের ঠিক নেই, গয়নার বালাই নেই, ঘোমটা সে তো অনেক দূরেই থাক। আমার মতো কনে আর কেউ দেখেছে হিহিহি।

দরজা খোলার শব্দে পিছনে ফিরে তাকালাম। দরজায় হেলান দিয়ে বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন নির্ঝর। তার পরনে একটা ব্ল্যাক টিশার্ট আর গ্রে ট্রাওজার। লম্বা চুলগুলো বাম হাত দিয়ে পিছনের দিকে মেলে দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।

বসা থেকে দাড়িয়ে গেলাম আমি। কেনো যেনো ভীষণ ভয় করছে। নির্ঝর যতো আমার কাছে আসছেন ততোই আমার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। পিছিয়ে যাওয়ার শক্তি পাচ্ছি না, স্থির হয়ে বিছানার সামনে দাড়িয়ে আছি। উনি আলমিরার দিকে এগিয়ে গিয়ে আলমিরা থেকে একটা কাগজ বের করলেন।

উনার মুখোমুখী হতে চাই নি, তাই পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যাওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে উনি পিছন থেকে আমার হাত চেপে ধরলেন। হার্টটা অসম্ভব দ্রুত বিট হচ্ছে, কপাল বেয়ে চিকন ঘাম ঝরছে। হয়তো ভয়ে এমনটা হচ্ছে। আজ আর আমার শেষ রক্ষা হবে না, আজ নিজেকে উনার হাতে সর্পে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ আমার কাছে খোলা নেই।
উনি আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন। আশ্চর্যজনক ভাবে উনি আমাকে নিজের বাহুডোরে জরিয়ে নিলেন। আজ নির্ঝরের স্পর্শে কোনো হিংস্রতা নেই, নেই কোনো ঘৃণা। আছে শুধু ভালোবাসা। কেনো যেনো মনে হচ্ছে আজ উনার ভালোবাসার জোয়ারে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি উনার ব্যবহারে অবাক দৃষ্টিতে উনার মুখপানে তাকিয়ে আছি। উনি চোখ বন্ধ করে আছেন, কিন্তু সেই বন্ধ চোখের আড়ালে দুই ফোঁটা পানি তার গাল বেয়ে পরছে।

নির্ঝরের গালে হাত দিয়ে পানি মুছে দিতে গেলেই উনি চোখ খুলে ফেললেন। নির্ঝরের চোখ দেখে আমার আত্মা পর্যন্ত কেঁপে উঠলো। উনার চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করে আছে। যেনো চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে। ভালোবাসায় শিক্ত বাহুডোর ক্রমশ কষ্টদায়ক শিকলে পরিণত হচ্ছে। মনে হচ্ছে নির্ঝর তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাকে চেপে ধরছেন। আমি ব্যথা পাচ্ছি কিন্তু উনার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সে আগের মতোই রক্ত চক্ষু নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আচমকা নির্ঝর আমাকে তার বুক থেকে সরিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিল

30/07/2023

𝐻𝒶𝓂 𝓉𝒶𝓇𝑒

30/07/2023

নেশা
পর্ব_০৬
Tabassum_Kotha

অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো বিছানায় বসে আছি। পরনে নির্ঝরের দেওয়া লাল শাড়িটা, নতুন বউয়ের কোনো লক্ষণ আমার মধ্যে আছে বলে আমার মনে হয় না। রূপা আপুর ফুলশয্যায় দেখেছিলাম আপুকে অনেক গয়নায় মুড়িয়ে বড় একটা ঘোমটা দিয়ে বিছানার ঠিক মাঝখানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আর আমি! শাড়ির আঁচলের ঠিক নেই, গয়নার বালাই নেই, ঘোমটা সে তো অনেক দূরেই থাক। আমার মতো কনে আর কেউ দেখেছে হিহিহি।

দরজা খোলার শব্দে পিছনে ফিরে তাকালাম। দরজায় হেলান দিয়ে বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন নির্ঝর। তার পরনে একটা ব্ল্যাক টিশার্ট আর গ্রে ট্রাওজার। লম্বা চুলগুলো বাম হাত দিয়ে পিছনের দিকে মেলে দিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।

বসা থেকে দাড়িয়ে গেলাম আমি। কেনো যেনো ভীষণ ভয় করছে। নির্ঝর যতো আমার কাছে আসছেন ততোই আমার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। পিছিয়ে যাওয়ার শক্তি পাচ্ছি না, স্থির হয়ে বিছানার সামনে দাড়িয়ে আছি। উনি আলমিরার দিকে এগিয়ে গিয়ে আলমিরা থেকে একটা কাগজ বের করলেন।

উনার মুখোমুখী হতে চাই নি, তাই পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমের দিকে যাওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে উনি পিছন থেকে আমার হাত চেপে ধরলেন। হার্টটা অসম্ভব দ্রুত বিট হচ্ছে, কপাল বেয়ে চিকন ঘাম ঝরছে। হয়তো ভয়ে এমনটা হচ্ছে। আজ আর আমার শেষ রক্ষা হবে না, আজ নিজেকে উনার হাতে সর্পে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ আমার কাছে খোলা নেই।
উনি আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন। আশ্চর্যজনক ভাবে উনি আমাকে নিজের বাহুডোরে জরিয়ে নিলেন। আজ নির্ঝরের স্পর্শে কোনো হিংস্রতা নেই, নেই কোনো ঘৃণা। আছে শুধু ভালোবাসা। কেনো যেনো মনে হচ্ছে আজ উনার ভালোবাসার জোয়ারে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবেন। আমি উনার ব্যবহারে অবাক দৃষ্টিতে উনার মুখপানে তাকিয়ে আছি। উনি চোখ বন্ধ করে আছেন, কিন্তু সেই বন্ধ চোখের আড়ালে দুই ফোঁটা পানি তার গাল বেয়ে পরছে।

নির্ঝরের গালে হাত দিয়ে পানি মুছে দিতে গেলেই উনি চোখ খুলে ফেললেন। নির্ঝরের চোখ দেখে আমার আত্মা পর্যন্ত কেঁপে উঠলো। উনার চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করে আছে। যেনো চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে। ভালোবাসায় শিক্ত বাহুডোর ক্রমশ কষ্টদায়ক শিকলে পরিণত হচ্ছে। মনে হচ্ছে নির্ঝর তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাকে চেপে ধরছেন। আমি ব্যথা পাচ্ছি কিন্তু উনার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সে আগের মতোই রক্ত চক্ষু নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আচমকা নির্ঝর আমাকে তার বুক থেকে সরিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলেন।

নির্ঝরের হঠাত পরিবর্তন হওয়া রূপ টা বুঝতে পারছি না। এই মাত্রই তো মনে হয়েছিল উনি আমাকে ভালোবাসেন আর এখন!

-- কি ভেবেছিলে? নির্ঝর আহমেদ চৌধুরী তোমার মতো একটা রাস্তার মেয়ের প্রেমে পরে গিয়েছে? নাকি ভেবেছিলে এইভাবে আঁচল ফেলে, চুল খুলে আমাকে সিডিউস করবে? কোনটা?

-- আমি কিছুই ভাবি নি। আর আপনার ভালোবাসা আশাও করি না।

-- আশা করাও উচিত নয়। তুমি সেটার যোগ্য নও। নাউ গেট আপ এন্ড সাইন দিজ পেপার্স।

-- কিসের কাগজ এগুলো?

-- তোমার আর আমার কন্ট্রাক্ট ম্যারিজের কাগজ। এটাতে লেখা আছে ৩ মাস পর আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবো।

-- কন্ট্রাক্ট ম্যারিজ!!

-- কেনো ভুলে গেলে নাকি? দুপুরেই না বললাম তিন মাসের জন্য বিয়ে করবো। আর তুমি তো জানোই আমার কতো টাকা। সেই টাকা দিয়েই নিমিষে পেপার্স রেডি করে ফেললাম।

নির্ঝরের দেওয়া কাগজগুলো আমার হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে। বাসর রাতেই নিজের ডিভোর্স পেপার্সে সই করতে হবে আমাকে! এমন ভাগ্য নিয়ে কয়টা মেয়ে পৃথিবীতে আসে। আমি কি সত্যিই এতো খারাপ একটা মেয়ে! যে আমার ভাগ্যে কোনো সুখই বেশিদিন টিকে না!

-- কোন খেয়ালে ডুব দিলে। সাইন দ্য পেপার্স। ফাষ্ট!

দুচোখের কার্নিশ বেয়ে গড়িয়ে পরা পানি আড়ালে মুছে নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে সই করে দিলাম। আমার তালাক নামায়!

বৈবাহিক জীবন শুরু করার আগেই তালাকের চুক্তি করে নিলাম। অবশ্য উনার দোষ না এতে। উনি তো আগেই বলেছিলেন তিন মাসের জন্য আমাকে বিয়ে করবেন। আমিও সেই শর্তে রাজি হয়েই টাকা নিয়েছিলাম। নিজের মন কে যতোই মানাচ্ছি যে এসব হওয়ারই ছিল। তবুও কেনো যেনো বুকের বা পাশটায় অসম্ভব যন্ত্রনা হচ্ছে। মনে হচ্ছে কলিজাটা ছিড়ে বেরিয়ে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যে।

নিজেকে যথা সম্ভব স্থির রেখেছি, চোখের পানিও আটকে ধরে রেখেছি। নির্ঝরের সামনে কিছুতেই নিজেকে দুর্বল দেখানো যাবে না। নির্ঝর কন্ট্রাক্টের কাগজ গুলো সযত্নে আলমিরাতে রেখে আমার দিকে এগুতে লাগলেন। কিছুক্ষণ আগেও তার হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু এখন আর সেই শক্তি নেই। এক টুকরো কাগজ আমার সব শক্তি শুষে নিয়েছে। উনি আমার কাছে এসে আচমকা আমাকে পাঁজাকোলে তুলে নিলেন। আমাকে কোলে নিয়ে উনি ব্যালকোনির দিকে হাঁটা ধরলেন। কিছুই বুঝতে পারছি না উনি কি করতে চাইনেন।

উনি আমাকে ব্যালকোনির ঠিক মাঝ বরাবর নিয়ে গিয়ে ঠাস্ করে নিচে ফেলে দিলেন। নিচে পরতেই আমি ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠলাম। কোমড়ে ভীষণ ব্যথা পেয়েছি এভাবে এতো উঁচুতে থেকে ফেলে দেওয়ায়।

-- এটাই তোমার আসল জায়গা। টাকার লোভে আমাকে বিয়ে করেছো না, এখন বুঝবে এই বিয়ের মজা। মাত্র তিন মাস তুমি আমার কাছে থাকবে। এই তিন মাসে তোমাকে কষ্ট জিনিস টা হারে হারে টের পাইয়ে দেবো।

নির্ঝর আমার পাল্টা উত্তরের আশায় দাড়িয়ে আছেন। কিন্তু আমি চুপ করে আছি। প্রতিবার এই তর্ক আর ভালো লাগে না। উনি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকেও উত্তর না পেয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় গ্লাস লক করে গেছেন যাতে করে আমি ভিতরে ঢুকতে না পারি।


আকাশে মেঘেরা জড়ো হচ্ছে ধীরে ধীরে। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশের বুক চিড়ে অজস্র জলরাশি নেমে ধরাকে ভিজিয়ে দেওয়ার কাজে লেগে পরবে।

আমার ধারণাকে সত্যি প্রমাণ করে দিয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। ব্যালকোনিতে কোনো ছাওনি নেই। খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে ভেজা ছাড়া আর কোনো উপায় আমার কাছে নেই। বৃষ্টির পানি আর আমার চোখের পানি একে অপরের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। জানি না কতোক্ষণ ভিজছিলাম আর কখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি!

ঘুম ভাঙতেই নিজেকে নির্ঝরের বিছানায় আবিষ্কার করলাম। ব্ল্যাংকেট জরানো গায়ে, রাতের শাড়িটাও চেঞ্জ। চুলগুলো এখনও খানিকটা ভেজা, মানে ভোরের দিকে আমাকে ঘরে এনেছেন নির্ঝর। ঘড়িতে ৮ টা বাজে। হয়তো অফিসের জন্য বেরিয়ে পরেছেন উনি। বিছানা ছেড়ে উঠে আলমিরা খুলতেই আমি হতবাক। পুরো আলমারির অর্ধেকটা জুরে মেয়েদের জিনিসপত্র। উনিই হয়তো করেছেন সব। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে একটা শাড়ি হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।

নির্ঝর বাড়িতে না থাকার সুযোগে তিতলিকে দেখার জন্য বেরিয়ে পরলাম। কিন্তু হসপিটালে গিয়ে যা শুনলাম তাতে মনে হলো আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তিতলি নামের কোনো পেশেন্ট হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য এই হসপিটালে ভর্তিই ছিল না। হসপিটাল রেকর্ডস যদি বিশ্বাস করি তাহলে এতোদিন যা হয়েছে তা কি ছিল? তন্ময় নিজে আমাকে বলেছিলেন তিতলি অসুস্থ! আমি নিজে তিতলিকে হাসপাতালে ভর্তি দেখেছিলাম। আর ভাবতে পারছি না। মাথা ঘুরাচ্ছে আমার। এসব কি হচ্ছে? তিতলির জন্য আনা টাকা! তাহলে কি তন্ময় আমাকে ধোঁকা দিয়ে টাকা গুলো নিয়েছে? তিতলির অসুস্থতার মিথ্যে কথা বলেছেন আমাকে? নাকি তিতলির অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে গেছে! নাহ আমাকে সবটা জানতে হবে, তন্ময়ের সাথে কথা বলতে হবে।

হাসপাতাল থেকে সোজা তন্ময়ের বাড়িতে এসে উঠলাম। তন্ময়ের বাড়ির সদর দরজা খোলা থাকায় ডাকাডাকি না করে সোজা ভিতরে ঢুকে পরলাম।


ড্রয়িং রুমের সোফায় তন্ময় বসে আছে, তার কোলে একটা মেয়ে বসে তার ঠোঁটে অনবরত চুমু খেয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি আমার বয়সি। তাদের এই অবস্থায় দেখে তাদের মধ্যাকার সম্পর্ক খুব ভালোই আন্দাজ করতে পারছি। এই তাহলে তন্ময়ের আসল চেহারা। আর এতোদিন সে আমার প্রতি বিশ্বাস আর মায়ার নাটক করেছেন!

তন্ময় আমাকে দরজার সামনে দাড়ানো দেখে ধরফরিয়ে উঠে দাড়ালো। তার সাথে মেয়েটি কোনোমতে মুখ লুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলো। তন্ময় ভূত দেখার মতো চমকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

-- এটাই তাহলে আপনার আসল রূপ তাই না? কেনো করলেন তন্ময়? কেনো আমার সাথে এতোবড় খেলা খেললেন?

-- তৃষ্ণা তুমি ভুল ভাবছো বিশ্বাস করো।

-- বিশ্বাস! তাও আবার আপনাকে! আমার নিজের চোখ কে আমি কিভাবে অবিশ্বাস করবো? আপনি এতোটা নিচ.. আপনি এসব! ছিঃ!

-- আমাকে ক্ষমা করে দাও তৃষ্ণা। আমি ভুল করে ফেলেছি। আসলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নি। তুমি তো জানো রূপার যাওয়ার পর থেকে একা ছিলাম, ভেবেছিলাম সেদিন তোমার সাথে বিয়ে হলে একজন সঙ্গী পাবো কিন্তু বিয়েটাও হলো না। আর আজ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরেই,,, ক্ষমা করে দাও তৃষ্ণা।

-- আপনার কি মনে হয় আপনাকে আমি এই কারণে বিয়ে করতাম? ছিঃ! আপনার মন মানসিকতা এতোটা বাজে আমার জানা ছিল না। আপনার আর আমার বিয়ের একমাত্র কারণ ছিল তিতলি। তিতলির জন্যই আপনাকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলাম। আর সেই তিতলির অসুস্থতার নাটক করেছেন আপনি। আপনার কি একবারও রুহ কাঁপে নি নিজের মেয়ের জীবন নিয়ে মিথ্যে বলতে?

-- এসব কি বলছো তৃষ্ণা? মিথ্যে নাটক!

-- আর অভিনয় করতে হবে না। আমি জানি আপনি অনেক ভালো অভিনেতা। আমি হসপিটাল থেকে আগেই সব জেনে এসেছি।

-- ওহ তাহলে সব জেনে গেছো?

-- হ্যাঁ। আপনার মতো একটা নিচ মানুষের কথায় বিশ্বাস করে আমি নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি। নিজের আত্মসম্মাণকে নিজের হাতে খুন করেছি। শুধুমাত্র তিতলিকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু আমি তো জানতাম না, বাবা নামক এই কীট টা এতোটা খারাপ যে নিজের মেয়েকে নিয়ে মিথ্যা বলে টাকা হাতায়! আপনি বাবা হওয়ার যোগ্য নন। বাবা নামের কলঙ্ক আপনি।

আর কিছু বলার আগেই তন্ময় আমার গালে ঠাস্ করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।

-- অনেক বড়বড় কথা বলতে শিখে গেছিস দেখছি। তা এতো সাহস কোথায় পেলি? নির্ঝর দিয়েছে বুঝি? আমার মেয়ের মরার নাটক করি বা মেরে ফেলি,, তাতে তোর কি আসে যায়? মেয়েটা তো তোর নয়। আমার মেয়ে আমার অধিকার। এতোই যখন অধিকার ফলানোর ইচ্ছা হয় তখন একটা মেয়ে জন্ম দিয়ে নে না। আর আমার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট কে চেয়েছে তোর কাছে? তুই নিজেও তো নির্ঝরের সাথে রাত কাটিয়েছিস। এখনও কাটাচ্ছিস। রাতের অন্ধকারে বন্ধ দরজার আড়ালে নির্ঝর আর তোর মাঝে কি হয় আমি বুঝি না ভেবেছিস।

-- ছিঃ! আপনার ওই নোংরা মুখ দিয়েই এসব নোংরা কথা বের হতে পারে।

-- আরেহ চুপ! যতো শুনছি ততো শুনাচ্ছিস। বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে। আমার মেয়ের ত্রিসীমানায়ও যেনো আর না দেখি তোকে। তিতলি আমার মেয়ে আর আমার মেয়ের আশেপাশে থাকার অধিকারও আমি তোকে দেবো না।

তন্ময় আমার হাত ধরে টেনে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিলেন।

-- তন্ময় এমন করবেন না প্লিজ। আমাকে তিতলির থেকে দূর করবেন না। আমি মরে যাবো তিতলিকে ছাড়া। প্লিজ দরজা টা খুলেন। তিতলি আমার কলিজার টুকরা। ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আমি যে ওর মা তন্ময়। আমার বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনটুকু কেঁড়ে নেবেন না তন্ময়। তন্ময়!

তন্ময়ের বাড়ির দরজার কাছে পরে আর্তনাদ করতে থাকে তৃষ্ণা।

চলবে,,,,

29/07/2023

নেশা
পর্ব_০২
Tabassum_Kotha

দুহাত দিয়ে নিজের অর্ধনগ্ন দেহ টা ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করছি। পরণের লাল বেনারসি শাড়িটার আঁচল ছিড়ে মেঝেতে পরে আছে। ব্লাউজের বাম কাঁধের অনেকটা ছিড়ে কাঁধ দেখা যাচ্ছে। কান্না করার ফলে দুচোখের কাজল লেপ্টে একাকার হয়ে গেছে। তবুও আমি থেমে নেই। নিজেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা আমি করবোই।

এক পা দু পা করে পিছাতে পিছাতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলো। তবে কি আর শেষ রক্ষা হবে না! আমি কি পারবো না নিজেকে রক্ষা করতে!

নির্ঝর আমার থেকে মাত্র এক হাত দুরত্বে দাড়িয়ে আছে। ভয়ে হার্ট টা অসম্ভব দ্রুত বিট হচ্ছে। উনি এক পা এক পা করে আমার দিকে আসছে আর তার শার্টের বোতামগুলো খুলছে। নির্ঝরের এই রূপ আমার রুহ পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিচ্ছে। কালকের ঘটনার ঠিক পরপরই আজকের এই ধাক্কা সামলাতে আমি হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি।

বন্ধ দরজার ভিতরে আছি আমি আর নির্ঝর। এখান থেকে বের হওয়া অসম্ভব। দরজাটা ভিতর থেকে লক করে দিয়েছে নির্ঝর। ভীষণ কান্না পাচ্ছে কিন্তু ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। একটা টু শব্দও বেরুচ্ছে না গলা দিয়ে।

কিছুক্ষণ আগে নির্ঝরের লোকজন আমাকে বিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনে এখানে ফেলে গেছে। আর এখন নির্ঝর আমার সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করছে।

নির্ঝর আর আমার মাঝের দুরত্ব ক্রমশ কমে আসছে। এক হাত থেকে নিমিষেই এক ইঞ্চি হয়ে গেলো দুরত্ব। এবার আমি কি করবো? পালানোর কোনো রাস্তা নেই। তবে কি যা হতে চলেছে সব মেনে নিতে হবে!






ঠাস্ করে একটা চড় আমার বাম গালে পরলে আমি ছিটকে মেঝেতে পরে গেলাম। জানতাম আমি এমন কিছুই হবে। তবে সেটার প্রভাব এতোটা তীব্র হবে সেটা জানা ছিল না। নিজেকে সামলে মাথাটা একটু উঁচু করতেই নির্ঝর আমার চুলের মুঠি টেনে ধরলেন।

চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে নির্ঝর আমাকে উপরে টেনে তুলছেন। এদিকে ব্যথায় আমি কুকাচ্ছি কিন্তু সেদিকে তার ভ্রুক্ষেপ নেই। উনাকে দেখে মনে হচ্ছে আমার ব্যথায় সে ভীষণ আনন্দ পাচ্ছে। তার চোখে মুখে শয়তানি হাসি ফুঁটে উঠেছে।

-- কি হলো? ব্যথা লাগছে বুঝি! একচুয়ালি ব্যথা লাগার জন্যই দিয়েছি।

উনার বলা কথাগুলো কেনো যেনো বিশ্বাস করতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এতোটা কষ্ট দিচ্ছে আমাকে সে! কিন্তু তার মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অনুশোচনা নেই!

নির্ঝর আমার দিকে ঝুঁকে পুনরায় বলতে শুরু করলেন,
-- সে যাই হোক, এখন তো তোমার সাথে আরও ভয়ংকর কিছু হতে চলছে! গেস করো তো কি করবো আমি এখন!

-- আপনার কি এসব খেলা মনে হচ

29/07/2023

নেশা
পর্ব_০৩
Tabassum_Kotha

ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছে কেউ আমাকে জরিয়ে ধরে ব্লাউজের হুক খুলছে। সারারাত চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় কান্না করছি। একটু আগেই চোখ লেগেছে। পিঠে লোকটার স্পর্শ ক্রমাগত বাড়তে থাকলে আমার ঘুম পুরোপুরি ছুটে যায়। চোখ খুলতেই দেখি নির্ঝর আমার উপর আধ শোয়া হয়ে আছেন আর আমি বিছানায় শুয়ে আছি।

নির্ঝরকে একটা ধাক্কা দিয়ে আমার উপর থেকে সরিয়ে আমি উঠে বসলাম। নির্ঝর এমনিতেই ড্রাংক ছিল, ধাক্কা দেওয়াতে টাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়। ব্লাউজ কাঁধের উপর উঠিয়ে ব্ল্যাংকেট টা গায়ে জরিয়ে কোনোমতে শরীরটা আড়াল করলাম। নির্ঝর রক্তিম চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন ঝরছে, আর সেই আগুন আমাকে ঝলসে দেবে। ভীষণ ভয় করছে, উনার চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে আবার কোনো শাস্তি দেবেন।

নির্ঝর উঠে এসে আমার চুলের মুঠি চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
-- অনেক সাহস হয়েছে তোমার তাই না! আমাকে! নির্ঝর আহমেদ চৌধুরীকে ধাক্কা দেও!

-- আই এম সরি। আমি আপনাকে ধাক্কা দিতে চাই নি কিন্তু আপনি যা করছিলেন সেটা ঠিক না। আপনাকে থামানোর জন্যই,,

-- চুপ একদম চুপ! তোমাকে আমি কিনে নিয়েছি। আমার যা ইচ্ছা তোমার সাথে আমি তাই করবো।

চুল টেনে ধরায় ব্যথায় আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে।

-- আমার উপর কারো অধিকার নেই। আমাকে কেউ কিনতে বা বেঁচতে পারবে না। আমি কোনো পণ্য নই।

-- তুমি কোনো পণ্য নও তবে তুমি আমার প্রোপার্টি। একটা বিষয় ভেবে দেখেছো? তুমি কতোটা ভ্যালিওলেস! তোমার দাম মাত্র পাঁচ লাখ টাকা! এতো কম দামি তুমি?

কথাটা বলেই নির্ঝর বিকট হাসলেন। নির্ঝরের কথায় আমার কান দিয়ে রক্ত বের হওয়ার উপক্রম। একটা মানুষ এতোটা নিচু কিভাবে হতে পারে।

নিজের সম্পর্কে এসব কথা শুনতে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে নিজেকে। নির্ঝর আমার চুলের মুঠি ধরা অবস্থাতেই কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তার দৃষ্টিতে আমার জন্য আকাশ সমান ঘৃণা জমে রয়েছে। এই ঘৃণা তার করা প্রতিটি দুর্ব্যবহারের থেকেও বেশি কষ্ট দিচ্ছে আমাকে। কিছুক্ষণ এভাবে থেকে উনি আমার চুল ছেড়ে দিয়ে ব্ল্যাংকেটে টান দিলেন।

-- কি করছেন? দয়া করে আমার এতোবড় সর্বনাশ করবেন না!

-- ডোন্ট বি সিলি বেবস্। তোমার মতো একটা রাস্তার মেয়েকে নির্ঝর আহমেদ চৌধুরী স্বপ্নেও তার বেড পার্টনার বানাবে না। সো নিজেকে এতোটা ইমপোর্ট্যান্স দিও না।

-- তাহলে কেনো আটকে রেখেছেন আমা

29/07/2023

ঘুম থেকে উঠেই দেখি আম্মু রান্নাবান্না নিয়ে ব্যাস্ত কাজের লোকরা একেকজন একেকদিকে ছোটাছুটি করছে।

আম্মু কে জিজ্ঞাস করলাম আম্মু কি হইছে গো?

ওহ আরেব্বা, তাড়াতাড়ি ঘরটর গোছা আজ তোরে দেখতে আসছে পছন্দ হইলে আজই বিয়ে।

আমি আর নিচে একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে, দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসলাম তার পর আয়নায় নিজেকে একটু দেখে ওয়াশরুমে চলে গেলাম গোসল টুসল সেরে, একটু সাজোগুজো করলাম,

নিজের বিয়ে বলে কথা একটু সাজুগুজু না করলে কি হয়, তার পর কলেজের সব বই ব্যাগে ভরে বেড়িয়ে পড়লাম, যাওয়ার সময় আম্মুকে বললাম আমি ১ ঘন্টার মধ্যে আসছি, বন্ধুদের একটু দেখে আসি আর কবে দেখবো তার তো ঠিক নাই।

যাওয়ার সময় একজন বই ক্রেতা কে পেয়ে গেলাম বাহ বেশ ভালোই হলো, বই গুলা ওনার কাছে ১২ টাকা দামে বিক্রি করে দিলাম সব বইয়ে ৫ কেজি হইছে, তাতে ৬০ টাকা পেলাম।ব্যাগ টা ও ক্রেতা কে দিয়ে দিলাম এটা আমার তো আর লাগবে না।

কলেজে গেলাম বন্ধুরা বিয়ের কথা শুনে ট্রিট দিতে বললো, বই বিক্রির ৬০ টাকা দিয়ে ৬জনে ঝালমুড়ি খেলাম আর তাদের বললাম বিয়ের পর রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়াবো, অতঃপর বাসায় চলে আসলাম।

এসেই দেখি নানা নানি আসছে, আসবেই বা না কেনো একমাত্র নাতনি বলে কথা, সব গোছগাছ করে খাওয়া দাওয়া শেষে আম্মু কে বললাম, আম্মু ওনারা কবে আসবে গো। লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে।

কারা(আম্মু)
-ছেলেপক্ষ,

-ওসব ছেলে পক্ষ টেলেপক্ষ কেউ আসবে না, তোর নানিরা আসার কথা ছিলো এটা বললে তো একটাও কাম করতি না তাই এসব হুদাই কইছি,

আম্মু তুমি আমার সাথে এমন করতে পারলা🥺
হো আর তুইও এসব শিখে রাখ ভবিষ্যতে কামে দিবো,এখন বেশি কথা না বলে পড়তে বস।

এখন আমি বসে বসে চিন্তা করছি কি পড়মু, বিক্রি করে দেওয়া বইগুলো কই পামু্🥺

#ট্রিট
#আরেব্বা_চৌধুরী
#অনুগল্প

28/07/2023

Today's Best Photo ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️








's Best














28/07/2023

আজ ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে একটা ধ/র্ষি/তা মেয়েকে বিয়ে করলাম!!! আসলে বিয়েটা নিজের ইচ্ছেমতো করিনি!! মায়ের জন্য করতে হয়েছে!! আমি খুব গরিব ঘরের মেধাবি একজন ছেলে!! মা হাসপাতালে ভর্তি মায়ের অপারেশন এর জন্য ১০ লাখ টাকার দরকার ছিলো!! অফিসের বসের কাছে টাকা চাইতে গেলে উনি আমাকে এই শর্ত দেন!! উনি আমাকে বলে উনি আমাকে টাকা দিতে পারে কিন্তু আমাকে ওনার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে!!

আমি শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছি!! অফিসের বসের মেয়েকে বিয়ে করবো এতে না বলার কী আছে!! কিন্তু বস যখন সব খুলে বললো!! বস বললো ওনার মেয়েটা নাকি ধ/র্ষি/তা!! ধ/র্ষি/তা কথাটা শুনা মাত্রই আমি না বলে দিলাম!! বললাম একটা ধ/র্ষি/তা মেয়েকে আমি কেন বিয়ে করতে যাবো!!?? বস আমার হাতে ধরে রিকোয়েস্ট করলো!! বললো দয়া করে তুমি আমার মেয়েটাকে বিয়ে করো!!

নয়তো ও যে কোন সময় আ/ত্মহ/ত্যা করে বসবে!! ঠিক সেই সময় হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো আর তারা জানালো তারা তারি ১০ লাখ টাকা জমা করে দিতে!! অপারেশন করতে হবে নয়তো নাকি মাকে বাচাঁনো যাবে না!! আমি আর কিছুই ভাবতে পারছি না!! আমি আর কিছু ভাবতে ও চাই না!! আমি বসের সব শর্ত মেনে নিলাম!! আর বসের মেয়েটাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলাম!!

বস খুব বড় লোক!! তাই বিয়েটা খুব ধুমধামেই দিলো!! আজ আমার বাসর রাত!! আমি বাইরে দাড়িয়ে ছিলাম!! বসের মেয়ে মানে আমার বউ রোমে আগে থেকে বসে ছিলো!! আমি প্রায় ১ ঘন্টা দেরি করে বাসর ঘরে ঢুকলাম!! রোমে ঢুকেই দেখলাম মেয়েটা জানালার কাছে গিয়ে বাইরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!! হয়তো মেয়েটার মনটা খুবই খারাপ!!

আমি মেয়েটা পিছনে গিয়ে একটু শব্দ করলাম!! মেয়েটা পিছন ঘোরে আমার দিকে তাকালো!! আর আমাকে জিজ্ঞেস করলো কেন বিয়ে করলেন আমাকে??আপনি কী জানেন না আমি একজন
ধ/র্ষি/তা মেয়ে!! আমি বললাম হুম জানি!! মেয়েটি অবাক হলো!! আর বললো সবাই তো আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে আপনি এই বিয়েটা কেন করলেন??? আমি কিছু বলছি না!!

শুধু চুপ করে আছি!! মেয়েটি দেখতে কিন্তু বেশ!!! আমি প্রথমে ভেবে ছিলাম মেয়েটা দেখতে বেশি ভাল হবে না!! কিন্তু যখন ওকে দেখলাম তখন আমার ধারনটা ভে/ঙে গেলো!!ওর নামটা জানতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে!! বললাম আপনার নামটা কী জানতে পারি?? মেয়েটা বললো ওর নাম নীলা!! মনে মনে বললাম নামটা কিন্তু বেশ!!! বললাম নীলা যান আপনি শুয়ে পরুন!!

কেন এই বিয়েটা করলাম তা অন্যদিন বলবো!! নীলা বেডে আর আমি সোফায় শুয়ে পরলাম!! খুব সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে

28/07/2023

--""শূন্যতার শহরে পূর্ণতা নেই
আছে শুধু অবহেলা--""😓💔

--"""😊এর চেয়ে ভালো ছিলো
ঝামেলাহীন ছোট বেলা"""!!❣
E4 E4 El GuarrománticoaEl GuarrománticoOEXOPESPN

27/07/2023

“মা তোমার ফেইসবুক আইডির নাম কি?

ভদ্রলোকের এহেন প্রশ্নে বেশ অবাক হলাম। এর আগে যারা দেখতে এসেছিলো তাদের সবাই জিজ্ঞেস করেছে, "মা তোমার নাম কি?
আর আজকের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করছে ফেইসবুক আইডির নাম কি।
আমাকে চুপচাপ থাকতে দেখে উনি আবারও বলল,
-কি হলো মা সংকোচ কিসের এত? আজকালকার ছেলে মেয়েরা তো সবাই ফেইসবুক চালায় এ আর নতুন কি! বলো তোমার আইডির নাম টা।

ভদ্রলোকের দিকে দু সেকেন্ড তাকিয়ে জবাব দিলাম,

-জ্বী অবনী রায়।

- বেশ সুন্দর নাম তো। তা মা ছবি কার দেওয়া আছে?

-জ্বী আমার।

উনি পকেট থেকে ফোন বের করে কিছুক্ষণ টিপাটিপি করে তারপর বললেন,

-বাহ তোমার পোস্ট গুলা তো বেশ রোমান্টিক। আমার পছন্দ হয়েছে। তোমাকে ছেলের বৌ করতে আমার আপত্তি নেই। তুমি এখন ঘরে যাও মা।

এ কেমন মানুষ কে জানে! আমি দফায় দফায় অবাক হচ্ছি।
সবার সামন থেকে উঠে আসার সময় উনি আবার পিছু ডাকলেন।

-শোন প্রিন্সেস অবনী, আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা একসেপ্ট করিয়ো।
কোন রকম মাথা নাড়িয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম।
ঘরে বসে ভাবছি এ ও কি সম্ভব ?
হবু শ্বশুর মশাই ফেইসবুক আইডি ও চালায়। বেশ মজার মানুষ তো! সাত পাচঁ ভেবে ফেইসবুকে লগইন করলাম, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট চেক করে আরেকটা ঝটকায় পড়লাম। ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এসেছে, “রিয়াক্ট বয় দীশু,আইডি থেকে। এইটা কেমন আইডি নাম?

যতদুর শুনেছি ভদ্রলোকের নাম দীনেশ।
এখানে দেখি দীশু। বাপ মাতের দেওয়া নামের বারোটা বাজিয়েছেন ভদ্রলোক। আইডি ঘুরে আরেক দফায় অবাক হয়ে গেলাম কি সব লিখে রেখেছে বায়োতে।

১/ শোন মেয়ে ভাব দেখাবেনা তোমার ভাব দেখার সময় আমার নাই।
২/ ইজি বাপের বিজি পোলা।
৩/পাশে থাকলে পাশে পাবি।
৪/ সলিট রিয়াক্টর।
৫/ ওগো মেয়ে তোমার রুপে পাগল আমি সে কি বুঝো?
৬/ শোন মেয়ে তোমার আজাইরা ভাব দেখার সময় নাই, তুমি যে স্কুলে ভাব শিখছো আমি ওই স্কুলের হেড মাষ্টার।

ব্লা ব্লা ব্লা

মাথায় হাত পড়ে গেলো আমার এসব কিহ? মাকে দেখাতেই মা বলল,

-এসব নিয়ে ভাবিস না তো অবনী। হতে পারে কেউ বদমাইশি করে এসব লিখে দিয়েছে। ভদ্রলোক হয়ত কারো থেকে খুলে নিয়েছে আইডি টা আর তাছাড়া শোভনের বাপের আইডি তে কি আসে যায়? শোভন বেশ ভদ্র ছেলে ভালো চাকরি করে, স্যালারী ও বেশ ভালোই। তুই যাই বলিশ না কেন এই বিয়ে আমি ভাঙতে পারব না,তোর শোভন কেই বিয়ে করতে হবে।

বেশ কিছুক্ষণ ভাবলাম বসে।

আসলেই তো শোভন কে বিয়ে না করার কোন কারণ হয়না ওর এই বাপের আইডির জন্য।

সাত পঁচ

E44 ESPN El Guarrománticoo

27/07/2023

কে বলেছে যে শুধু ভালোবাসার সম্পর্ক গুলোই ভেংগে যায়?? বেস্টফ্রেন্ড হারিয়েছো কখনও???

কলেজে পরিচয় এই মেয়েটার সাথে আমার,, আমার জন্য এককথায় সে পাগল ছিল।
একবার তার সাথে আমি ভিষণ রাগ করেছিলাম, সে পল্লি বিদ্যুৎ থেকে আমার বাসায় চলে আসছিল রাগ ভাংগাতে প্রায় 3 কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে।

আর আজকে 3rd একজনের জন্য আমাদের বন্ধুত্ব টা শেষ,,, এখন তার সাথে দেখা হলেও কথা হয় না,,, আমি দূর থেকেই দেখি, সে তার অন্য বান্ধুবিদের সাথে খুবই খুশি😅💔। এখন তার আমাকে না হলেও চলবে, 🙂💔।

📸✒️:-BD MIHI.

Cardi B

27/07/2023

স্যার একটা কথা কমু?
-কি বল?
-আইজ আমারে সাড়ে ১২ টায় ছুটি দেবেন?
-কেন? কি করবি?
-বাসায় গিয়া ভাত খামু। পেটে খুব ক্ষিধা।
-কেন সকালে খেয়ে আসোনি?
-জ্বী না।
-কেন?
-তরকারি নাই। আর লবণ দিয়া ভাত খাইতে পারি না।
কথাটা শুনতেই বুকের মধ্যে কেমন যেন লাগলো স্যারের?
-রাতে কি খেয়েছো?
-গরম ভাতে পানি দিয়া ডাল মনে করে ভাত।
-এখন কি দিয়ে খাবে?
-মায় কইছে স্কুল ছুটির পর গেলে কচু রাইন্ধা রাখবে। হেইডা দিয়া মজা কইরা ভাত খামু।
মায় খুব মজা কইরা কচু রানবার পারে।
কখন যে চোখটা ঝাপসা হয়ে আসল বুঝতে পারিনি।
একদিন তোমার মায়ের হাতের রান্না করা কচু
খেয়ে আসব। নিবা তোমার বাসায়?
যাইবেন স্যার সত্য?

হ্যাঁ যাব। যাও বাসায় গিয়ে পেট ভরে ভাত খাও।
মুখে পৃথিবী জয় করা হাসি নিয়ে বই হাতে নিয়ে তার
চলে যাওয়ার দিকে মন্ত্র মুগ্ধের মত তাকিয়ে
রইলাম।

তরকারির জন্য ভাত খেতে পারছে না। অথচ
আমাদের এই সমাজে কত মানুষ আছে যাদের
খাবারের মেনুতে কত আইটেম থাকে। যা তারা
খেয়ে শেষ করতে পারে না। উচ্ছিষ্ট অংশ চলে যায় ডাস্টবিনে।

এমন অনেক বাবা মা আছেন যারা ছেলেকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ান। গাড়ি করে নিয়ে যান। ছেলের কত আবদার! সব পূরণ করতে ব্যস্ত। অথচ রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষ গুলোর দিকে ফিরেও তাকান না। তাকাবেন কেন?? তাকালেই তো ঘাড়ে এসে পড়বে। আমরা তো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। হাজার টাকার বডি স্প্রে গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াই।

ঈদ আসলে ব্যস্ত হয়ে পড়ি শপিং নামক টাকা উড়ানোর খেলায়। কেউ পাখি,কেউ কিরণমালা,
কেউ শীলা কি জাওয়ানি নামক উদ্ভট সব পোশাক
কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু বুঝতে চাই না এই
বাইরের পোশাক গুলোতে আমাকে কি মানাচ্ছে?
অথচ একটা গরীব লোক এসে বলছে-দুইটা টাকা
দেন। তখন বলি-ভাংতি নাই। মাফ কর।

গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে চাইনিজ এ অনেক-ই যায়। কত টাকা খরচ হয় হিসাব রাখে না অথচ গরীব রিক্সাচালক যখন বলে-পাঁচটা টাকা বাড়াইয়া দেন। তখন তার গায়ে হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করে না।

ঐ গরীব লোক গুলোর অপরাধ কি?

অপরাধ একটাই যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে গরীবের
ঘরে জন্ম দিয়েছেন। আর আপনাকে সোনার চামচ মুখে দিয়ে কোন ধনী বাবার ঘরে।

আসুন আমাদের যাদের সামর্থ্য রয়েছে আমরা এদের পাশে দাড়াই। আমাদের টাকা থেকে কিছু অংশ দিয়ে ওদের জন্য কিছু করি।

আল্লাহ আমাদের তৌফিক দিন, আমিন।

সংগৃহীত

যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন 📕-সাহিত্য কুটির

26/07/2023

#আমি_মায়াবতী
#পর্ব_৫
লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

মায়ের গোপন কথাগুলো কিভাবে জানবো? কিভাবেই বা সাবিহার মাকে জানাবো? আমার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কি করবো আমি এখন? একমাত্র ঐ ডায়েরিটাই ছিল সবকিছু জানার উপায়। কিন্তু, ঐটা কে নিবে? এই ঘরে কে এসেছে আমি তো কিছুই জানি না। কাউকে জিজ্ঞেস করার অধিকারও আমার নেই। কোনো উপায় না পেয়ে আমি ফ্লোর এ বসে কাঁদতে লাগলাম।
" এই, তুমি কাঁদছো কেন? কি হয়েছে তোমার আবার? তুমি কি শুধু কান্নাই করো? মায়ের কথা মনে পড়ছে? নাকি ক্ষুধা লেগেছে?"
সামনে তাকিয়ে দেখলাম সাব্বির দাঁড়িয়ে আছে। আমি হতাশ গলায় বললাম," আমার খুব দামী একটা জিনিস হারিয়ে গিয়েছে। তাই আমি কাঁদছি।"
" কি হারিয়েছে তোমার? একটা ডায়েরি নাকি?"
আমি অবাক হয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম," তুমি কি করে জানলে?"
" আরেহ, ওটা তো হারায়নি। আমি নিয়েছি। উপরে প্রজাপতির স্টিকার লাগানো ছিল তো। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি একটা প্রজাপতি উঠিয়েছি। তুমি রাগ করবে না তো? আচ্ছা, দাঁড়াও।আর কেঁদো না। আমি এক্ষুনি এনে দিচ্ছি তোমাকে।"
আমি এতোক্ষণে যেন হাঁফ ছেড়ে বাচলাম। যাক, হারায়নি তাহলে। কিছুক্ষন পরেই সাব্বির ছুটে এসে আমাকে ডায়েরিটা ফেরত দিল। আমি দুহাতে আগলে নিলাম সেটাকে। আমি মুচকি হেসে ওকে বললাম," তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। "
" তুমি রাগ করোনি তো? শোনো, আমি না ডায়েরির একটা.... "
"সাব্বির, মা ডাকছে। দুপুরে খেয়ে ঘুমুবে। চলো।" সাবিহার কথায় আমরা দুজনেই দরজার দিকে তাকালাম৷ সাব্বির কি বলছিল তা আর শোনা হলো না। সাব্বির বাধ্য ছেলের মতো বোনের হাত ধরে চলে গেল। সাবিহা আমাকে এখনো মেনে নিতে পারেনি। না পারাটাই স্বাভাবিক। আমাকে বলেছে আমি যেন স্কুলে বেশি ঘুরাঘুরি না করি। আমাদের চেহারা যেহেতু প্রায় একই রকম, তাই সবাই হয়তো ওকে প্রশ্ন করবে আমার ব্যাপার এ। আমি ব্যাপারটা বুঝেছি। ওর জায়গায় যে কেউ এইসবই বলবে। এমনকি আমিও হয়তো এইটাই করতাম। কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইলেই তাকে সেই সুযোগ দিব কেন?

***
সাগরিকার মেজাজ খুব খারাপ। একে তো মন টা খারাপ। তার উপর তার মায়ের কথাগুলো। এখন আবার সাব্বিরও ঘুমুতে চাইছে না। সবকিছু মিলিয়ে নিজেকে পাগল পাগল লাগছে তার৷ সহ্য করতে না পেরে সাব্বির এর গালে একটা থাপ্পড় লাগিয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে সাব্বির ঘুমিয়ে পড়লেও, সাগরিকার ভীষণ খারাপ লাগছে। নিজের রাগ টা বাচ্চা ছেলেটার উপর দেখালো। নাহ, এমন করা উচিত হয়নি তার৷ নিজের বলতে এখন আর আছে কি তার? দুই সন্তান ছাড়া? সাব্বির এর কপালে চুমু খেয়ে ওর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লক্ষ্য করলো, সাব্বির এর পড়ার টেবিল এর উপর একটা বাটি। বাটি ভর্তি পানি। তার উপর একটা কাগজের নৌকা ভাসছে। সাগরিকার ভালো লাগলো ব্যাপার টা৷ সাব্বির অনেক ক্রিয়েটিভ একটা ছেলে৷ কাগজ দিয়ে হাবিজাবি অনেক কিছুই বানিয়ে ফেলতে পারে সে। সাগরিকা পানি ভর্তি বাটি আর নৌকা নিয়ে কিচেনের দিকে গেল। পানি বেসিনে ফেলে দিয়ে নৌকাটাও ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে গেলে লক্ষ্য করলো, ভিতরে কিছু লেখা আছে। বেশ সুন্দর হাতের লেখা। সাগরিকা ভাবলো হয়তো সাবিহার। তাই নৌকার ভাজ খুলতে খুলতে সাবিহার রুমের দিকে যেতে লাগলো৷ কিন্তু একি! এটাতো একটা চিঠি৷ সাবিহার লেখা নয়। অন্য কারো। কাগজটা প্রায় ভিজেই গেছিলো। সাগরিকা হন্তদন্ত হয়ে রুমে এসে ফ্যান ছাড়লে কিছুক্ষণের মধ্যেই কাগজ টা শুকিয়ে যায়। সাগরিকা চিঠি টি পড়তে শুরু করে....

প্রিয় সতীন আমার,
আশা করি ভালো আছেন। যদিও জানি যে ভালো নেই আপনি৷ ভালো থাকার কথাও না। মায়া গিয়ে হয়তোবার আপনার সাজানো সংসারটা এলোমেলো করে দিয়েছে। আপনি অনেক ভাগ্যবতী জানেন তো? খুব ভাগ্যবতী। এই চিঠিটা যখন আপনি পড়ছেন, তখন আমি এই পৃথিবীতে নেই। মায়া হয়তো আপনাকে ডায়েরিটা দিয়েছে। মায়া তো আর জানতো না যে আমি সবার জন্য আলাদা চিঠি রেখেছি। মায়া আর আমাদের স্বামীর জন্য...নাহ ভুল বললাম। আপনার স্বামীর জন্যও আলাদা চিঠি আছে। দয়া করে আপনি তাদের কে তাদের চিঠিগুলো দিয়ে দিবেন।

আপনার হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে। কিন্তু আমি আপনার স্বামীকে ভালোবাসি। আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা সে। যখন তাকে ভালোবাসলাম, তখন জানতাম না যে সে বিবাহিত। যখন জানতে পেরেছি, ততোদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি পুরোপুরি তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু সে ভালোবেসেছে আপনাকে। আপনার জন্য নিজের পরিবারকে ছেড়ে এসেছে৷ এইটাই প্রথমে শুনেছিলাম। কিন্তু, পরে শুনেছি ব্যাপারটা আলাদা।
মায়ার জন্মটা কিভাবে সেটা আমি চিঠিতে বলতে পারবো না। দয়া করে আপনি ডায়েরিটা পরে নিবেন। আপনার স্বামীর কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। আমার সামান্য একটা ভুলে আমাদের সবার জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে, যেহেতু আমার ভুলেই আমার জীবন নষ্ট হয়েছে, তাই আমি আমার মেয়েকে নিয়েই সুখি ছিলাম। আপনার স্বামী আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে এই অনেক। বেচারা অনেক ভয়ে ভয়ে থাকতো। আপনাকে হারানোর ভয়।
আপনি তো একজন মা। আপনিও প্রেগন্যান্সির জার্নিটা করেছেন। জানেন তো মেয়েদের কত কষ্ট হয় এই সময়টাতে। আমারও হয়েছে। আমার কাছে এমন কেউ ছিল না যে আমাকে একটু ভরসা দিত। আমি আমার মায়ের কাছেই ছিলাম। কিন্তু সে শুধু আমার দায়িত্বই পালন করেছিল। আমাকে ভালোবাসেনি। কারণ, আমার ভুলের কারণে আমি তখন নিজের জন্মদাত্রী মায়ের কাছেও ঘৃণার পাত্র ছিলাম। রাতের আঁধারে মায়াকে জন্ম দিয়েছিলাম হাসপাতালে যাওয়ার ও উপায় ছিল না। আপনার স্বামী তখনও আসেনি। সে এসেছিল টানা ১৪ দিন পরে। আমি তখন মোটামুটি সুস্থ। মেয়েকে নিয়ে তার কোনো আহ্লাদ ছিল না। সে এমন কোনো সন্তানের বাবা হতে চায়নি যার মা আপনি নন। কত কষ্ট করে মায়াকে এতো বড় করেছি আমি নিজেই জানি।
আপনি যখন প্রথমবার প্রেগন্যান্ট হলেন, আমি দূর থেকে দেখেছিলাম তার ব্যস্ততা। প্রায় প্রতি মাসেই আপনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে দেখেছি। আপনার মেয়ে সাবিহার জন্মের সময় হাসপাতালের করিডোরে তাকে পাগলের মতো ছুটাছুটি করতে দেখেছি। আপনার অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল। সে আপনাকে চেয়েছিল। বলেছিল আমার সাগরিকার যেন কিছু না হয়। তারপর যখন আল্লাহর দয়ায় দুজনই সুস্থ ছিলেন, তখন মেয়েকে নিয়ে তার আবেগ আর ভালোবাসা ছিল দেখার মতো। জানেন, আমার নিজের জন্য একটুও খারাপ লাগেনি। খারাপ লেগেছে নিজের মেয়ের কথা ভেব

Want your business to be the top-listed Media Company in Kollam?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

𝐻𝒶𝓂 𝓉𝒶𝓇𝑒

Category

Telephone

Address

Kolkata
Kollam
2870000

Other Digital creator in Kollam (show all)
Dyan & Diya Dyan & Diya
Kollam, 691577

നമ്മുടെ സന്തോഷം നമ്മുടെ കയ്യിലാണ്. Be Happy

Ambili's Kitchen World Ambili's Kitchen World
Kollam

Healthy and traditional Kerala recipes with my personal touch. Trying to share simple cooking videos in Malayalam.

syaam_laal syaam_laal
Kollam, 690528

RrrrrrFfff RrrrrrFfff
Fullbari
Kollam

I'm Firoj

Praavv machans Praavv machans
Kollam

https://youtube.com/channel/UCuaTXeyhb1QewZHh_89V0aQ

One upon a time One upon a time
Rameswerpur
Kollam, 712152

মানুষই মানুষের মুক্তি আনবে।

Darkness_Sonu Darkness_Sonu
Kollam Town
Kollam, 691571

Anshmotor show Anshmotor show
Cresent Apartment , Thevally Po
Kollam

An automobile page which gives you genuine reviews from real vehicle owners

SadriMemes SadriMemes
11no Musaliar Nagar, 2nd Mile Stone Kilikolloor
Kollam

"We share funny memes in sadri.

Bokeh Vibrance Digital Media Bokeh Vibrance Digital Media
Ezhukone P. O. Kollam
Kollam, 691505

Welcome to BV Media. Take a look at our page to find our hands on Wedding, Save the Date, Digital Pencil Drawing, Digital Art, Birthday, Baby photography, baptism , and Designing l...

Jarvis Techy Jarvis Techy
Kerala
Kollam, 691601

#jarvistechy