Islam Nows
This Page, Run By A K Azad, works on Islam, Arabic, World Order & English
link of Islamic Research Mission YT Channel http://www.youtube.com/c/IslamicResearchMission
নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ক্ষমতা অর্জন করলেই হয় না। চালাতে জানতে হয়।
اللهُمَّ سخر لفلسطين ملائكة السماء وجنود الأرض ومن عليها وأفتح لهم أبواب توفيقك ، ويسر أمرهم وقوي عزيمتهم ، ومد صبرهم ... اللهُمَّ أكرمهم وأحفظهم واجعل لهم من كل ضيقٍ مخرجاً اللهُمَّ ، أنصرهم على من عاداهم وأفتح لهم فتحًا مُبينًا، اللهُمَّ احفظ فلسطين وأهل فلسطين يامن لا تضيع عندك الودائع ..اللهُمَّ آمين."!
ধর্মীয় জালসা অনুষ্ঠানগুলোকে জীবনঘনিষ্ট, সমাজমুখী ও কল্যাণময় বানাতে কিছু বিনীত প্রস্তাব
ধর্মীয় জালসা প্রকৃতপক্ষে ইলমি অনুষ্ঠান । এর মূল উদ্দেশ্য হলো ইসলাম শিক্ষা। কিন্তু বর্তমানে এটি আমোদপ্রমোদ, অতিথিভোজন ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির অনুষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। আজকাল অধিকাংশ ধর্মীয় জালসায় মুলত চার ধরনের মানুষের লাভ হয়ঃ ১। প্যান্ডেলওয়ালা, ২। বক্তা, ৩। চাটপাটিওয়ালা, ৪। আয়োজক । আয়োজকরা কিছু পাক আর না পাক সেদিনের ভুরিভোজটা হয়ে যায় আর ক্যাশিয়ার সেক্রেটারি হলে তো কথাই নেই। কার সাধ্য হিসেব চাই!
সন্দেহ নেই সচেতন সমাজ গঠনে শুদ্ধ ওয়াজ মাহফিলের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু ওয়াজকারী হতে হবে যোগ্য এবং ধর্মীয় জালসার প্রতিপাদ্য হতে হবে প্রাসংগিক, জীবঘনিস্ট ও ইসলামের মৌলিক আকিদা বা আমল। অপ্রয়োজনীয় অভিনব বিষয় থাকা অনুচিত। ওয়াজকারী দায়িত্ব সর্বাধিক। আমাকে কেউ যদি কোন ধর্মীয় জালসায় ওয়াজ করার জন্য আমন্ত্রন জানান তাহলে আমাকে নিম্নিলিখিত বিষয় সমুহ অবশ্যই ভাবতে হবেঃ
১। পর্যাপ্ত শিক্ষাগত ইলমি যোগ্যতা : আমাকে সুনিশ্চিত হতে হবে যে, আমার পর্যাপ্ত শিক্ষাগত ইলমি যোগ্যতা আছে কিনা। আমি ডিগ্রির কথা বলছি না। কোন মাদ্রাসা বা দারুল উলুমের ডিগ্রি থাকলেই যে আলেম এবং না থাকলে আলেম নয় এ ধারণা ভূল। ইমামে আহলে সুন্নাত শাইখুল ইসলাম হাফেয ইমাম আহমাদ রেযা খান বেরেলভী রাহিমাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়, ‘ ইসলামী বক্তা বা ওয়ায়েয কি আলিম হওয়া আবশ্যক?’ জবাবে তিনি বলেন: ‘আলিম নয় এমন ব্যক্তির ওয়ায করা হারাম।’ এরপরে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, ‘আলিমের পরিচয় কী?’ তিনি বলেন: ‘আলিমের পরিচয় হলো- আক্বাইদের ব্যাপারে পরিপূর্ণ অবগত ও স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়া এবং কারো সাহায্য ব্যতিত দীনের জরুরি বিষয়সমূহ কিতাব থেকে নিজেই বের করতে সক্ষম হওয়া।’[ তথ্যসূত্রঃ মালফূযাত-ই-আ‘লা হযরত, পৃষ্ঠা: ৫৮, মাকতাবাতুল মাদীনা, করাচী ]। তবে আলিম নয়, যে শুধু উর্দু (বা বাংলা) পড়তে জানে, এমন ব্যক্তি যদি নিজের পক্ষ থেকে কিছু না বলে বরং আলিমের লিখা (হুবহু) পড়ে শুনায়, তাহলে এতে কোন সমস্য নেই [ তথ্যসূত্রঃ আ‘লা হযরত, আল-ফাতাওয়া আর-রদ্বাভিয়্যাহ্, ২৩/৪০৯, রেযা ফাউন্ডেশন, পাকিস্তান ]। এখানে ভেবে দেখার বিষয় ইমামে আহলে সুন্নাত এর মানদন্ড অনুযায়ী বর্তমান ওয়াজকারীদের মধ্যে কত জন ‘আলেম’ হিসেবে বিশেষিত হওয়ার যোগ্য? কত জন ওয়াজকারী “ আক্বাইদের ব্যাপারে পরিপূর্ণ অবগত ও স্বয়ং সম্পূর্ণ” ? সকলকে আত্মবিশ্লেসন এর আবেদন জানাচ্ছি।
মুদ্রার উল্টো পীঠ হলো, কিছু মানুষ পেশায় শিক্ষক বা ডাক্তার বা ব্যবসায়ী বাংলা-ইংরেজিতে কিছু ধর্মীয় বই পড়েই নিজেকে ‘বিশাল’ আলেম ভাবতে থাকেন। শুদ্ধভাবে কুরআন মাযীদ পাঠ করতে পারেন না কিন্তু ওয়াজ করেন। এদেরও ওয়ায করা বা এদের ওয়াজ শোনা দুটোই অবৈধ। অনুরুপ, ফাসিক্ব ব্যক্তি অর্থাৎ যার নামায-রোযা নেই, সুন্নাহ্ সম্মত দাঁড়ি নেই, পর্দার ধার ধারে না বা শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত এমন ব্যক্তিরও ওয়ায করা নিষিদ্ধ এবং তার ওয়ায শুনাও নিষিদ্ধ ।
২। অর্জিত ইলম অনুযায়ী নিজের ও পরিবারের জীবন যাপনঃ আমাকে এও সুনিশ্চিত হতে হবে যে, আমি আমার ইলম আমার ব্যক্তি-জীবনে কত খানি প্রয়োগ করতে পারছি ও নিজেকে ও নিজের পরবারকে সংশোধন করতে পারছি। আমার পরিবারকে আমি শুদ্ধভাবে কুরআন মাযীদ পাঠ করতে শিখিয়েছি কিনা। তাদেরকে প্রয়োজনীয় ইসলামী মাসায়েল শিক্ষা দান করেছি কিনা। আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েকে যদি শুদ্ধভাবে কুরআন মাযীদ পাঠ করতে না শিখিয়ে থাকি তাহলে তাদেরকে আগে শিক্ষাদান করতে হবে। পরে জালসা মাহফিলে ওয়াজের আমন্ত্রন গ্রহন করতে হবে।
৩। আমাকে আত্মবিশ্লেসন করতে হবে যে ওয়াজের ময়দানে আমি যতখানি সময় দিই, নিজের কর্মখেত্রে তার কতটুকু হক আদায় করি। আমি আমার কর্মখেত্রে দেরি করে যায় নাতো! আমি আমার কর্মখেত্র থেকে আগে চলে আসি না তো! আমি আমার নির্ধারিত কর্ম সাধ্যমত সুচারুভাবে পালন করি তো!
৪। বর্তমানে ওয়াজের মায়দান অপরিচ্ছন্ন, উত্তপ্ত ও কাদা ছোঁরাছুড়ির কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। আমাকে আত্মবিশ্লেসন করতে হবে যে এই পরস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে আমি দায়ী কিনা। বাতিলকে খন্ডন করা অবশ্যই জরুরী। কিন্তু সেটা হবে ইলমী ও গঠনমূলক। শৈলী হবে ইসলামী । গালাগাল আর বানোয়াট দলীল সমাধান হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সহিত তর্ক করবে উত্তম পন্থায়।’ (সুরা-১৬ নাহল, আয়াত: ১২৫
৫। আমাকে আত্মবিশ্লেসন করতে হবে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের যে আকাবীরগণের আদর্শের কথা তুলে ধরতে চাইছি সেই আকাবীরগণকে আমি কতখানি শ্রদ্ধা করি বা তাদেরকে কতখানি শ্রদ্ধা করি বা সেই আকাবীরগণের পথে নিজে আমি কতখানি চলার চেষ্টা করছি বা তাদের নিয়ত যেমন শুদ্ধ ছিল আমার নিয়ত কি সেরুপ । নাকি নিজের পকেট ভর্তি করার জন্য ঐ মহান মনিষীদেরকে আমরা ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছি। আমি এমন বহু ওয়াজকারীকে চিনি যারা “মাসলাকে আলা হাযরাত” স্লোগান দিয়ে মুখে ফেনা তুলে দেয় কিন্তু আলা হাযরাত রহমাতুল্লাহি আলাইহের একটি বইও পাঠ করে নি।
৬। আমাকে আত্মবিশ্লেসন করতে হবে যে, ওয়াজকারী, ইমাম বা আলেম হিসেবে আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারীর উপর কতখানি অবিচল ও নির্ভিক ভাবে কাজ করছি নাকি ইমামতি বাঁচানোর জন্য বা জালসায় নিমন্ত্রন পাওয়ার জন্য কমিটি-মোড়ল_সর্দার-সম্পাদক-সভাপতি-ক্যাশিয়ারকে ইসলাম বিরোধী কাজ কর্ম করতে দেখলেও চোখ বন্ধ করে আলুর মত গড়িয়ে যাচ্ছি। এই বৈশিস্ট ইহুদি নাসারাদের মধ্যে প্রবল ছিল।
৭। জনগণকে নির্লোভ ও নিরাহংকার হওয়ার পরামর্শ দিই কিন্তু আমাকে আত্মবিশ্লেসন করতে হবে যে, আমার মধ্যে এর কতটুকু চর্চা রয়েছে।
৮। আমি অন্যকে উপদেশ দিই কিন্তু আমাকে আত্মবিশ্লেসন করতে হবে যে অন্যের উপদেশ আমি কতখানি মনোযোগ দিয়ে শুনি বা সেই উপদেশ হজম করার শক্তি আমার মধ্যে কতটুকু রয়েছে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সরল পথে অবিচল রাখুন এবং নির্ভিক ভাবে ও হিকমতের সঙ্গে কাজ করার তাওফিক দান করুন !
দোয়াপ্রার্থীঃ মুহাম্মাদ আবুল কালাম আযাদ [ বাবলা – ২১ .০৩ . ২০২৪- সকাল ৭ টা ৪৮ ]
﷽۞إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِي يَاأيُّهَاالَّذِينَ آمَنُواصَلُّواعَلَيْهِ وَسَلِّمُواتَسْليما۞
ﷺمحمدﷺ۞اللهم صٌل وسٌلِم وبارك على نبيًنا وحبًيبنا مُحٌمد وعلى آله وصٌحبه أجمًعين ،ﷺ
رزقنا اللــــــــــه واياكم
شفاعته ومرافقته في الجنة..{ﷺ}
বুক রিভিউ: বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনাকারী মহান তুর্কি বীর বখতিয়ার
তাঁর হাত ধরেই শুরুটা হয়েছিল। সেন শাসনের দুর্বিষহ অত্যাচারে পিষ্ট এদেশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন মুক্তিদাতা। মাত্র সতেরো ঘোড়সওয়ার নিয়ে বাংলা জয় করে নেওয়ার অম্লান এই কীর্তি ইতিহাসের পাতায় ভাস্বর হয়ে আছে। অথচ ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দেওয়া মহান এই সেনানায়কের জীবন সম্পর্কে সেভাবে করে কেউ জানেই না! আর যা-ও বা জানে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে আরোপিত অপবাদ।
সম্ভবত এই প্রথমবার ইতিহাসের এই দায় মেটাতে যাচ্ছেন মুহাম্মাদ সাদ সাকী তার প্রকাশিতব্য বই “বঙ্গবিজেতা বখতিয়ার”-এ। যে বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন মহান এই বীরের পূর্ণাঙ্গ জীবনী। একের পর এক দরবারে চাকরি পাওয়া থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়া, সাধারণ সেনা থেকে পর্যায়ক্রমে সেনাপতি ও পরবর্তীতে বিশাল অঞ্চলের শাসক হওয়া এবং এভাবে ক্রমাগত লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়া—এক মহাবীরের জীবন। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো তাঁর বিরুদ্ধে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের অপবাদের খণ্ডন ও ইতিহাসের বাস্তবতা তুলে ধরা। বঙ্গাভিযানের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর অন্যান্যও অভিযানও। তাঁর অভিমানী সমাপ্তি ও গুণবৈশিষ্ট্যের বর্ণনার মাধ্যমে সার্থক সমাপ্তি ঘটেছে বইটির।
বইনাম : বঙ্গবিজেতা বখতিয়ার
লেখক : মুহাম্মাদ সাদ সাকী
[ collected]
ياااااارب ااااامين آلََلََــــــــــــــــــــهّّمًًَّ_صَّّلََِّ_وٌٌسَِِـــلََِّمًًْ_وٌٌَبًًَآرِکْ🩷 عٌٌلََﮯ نَِِبًًِيََِّنَِِـــآ🩷ﷺمًًُحًًمًًَّـــــــــــــــــــــــــدٍٍﷺ🩷وٌٌعٌٌلََﮯ آلََهّّ وٌٌصّّحًًبًًهّّ أجّّمًًعٌٌيََنِِ.🩷
رزقنا اللــــــــــه وإياكم
ﷺشفاعته ومرافقته في الجنة.ﷺ
ﷺ🩷םבםב🩷ﷺ
اللهم إني أعوذ بك من فتنة النار ، وعذاب النار، وفتنة القبر ، وعذاب القبر
মুস্তাফা ﷺ কথা প্রথম খন্ড [ পর্ব ৩ ]
বর্তমান বস্তুবাদী সভ্যতার থিম হলো দুনিয়াপূজা আর মুখোশ। প্রত্যেকেই দুনিয়াপূজারী আর প্রত্যকেরই দ্বৈত সত্বা। কখনো মনে হয় আধুনিক সভ্যতা বুঝি এক ডজন মুখোশ পরিধান করে আছে ।
সাবেক ইসলামী ওয়ার্ল্ড অর্ডার এর পুর্বে গ্রীক ও রোমান সভ্যতারও একই থিম ছিল। সেই ওয়ান এইম। বস্তুগত অগ্রগতি। সেই ওয়ান বিজনেস। ইঁদুর দৌড়। সেই ওয়ান ডিজায়ার। পাওয়ার। মানুষ নাকি খুব উন্নত হয়েছে। নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার এর পতাকা বাহকরা একবারও বলেনা যে মানুষ কতটা ভালো মানুষ হয়েছে? উন্নতি তো হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। যদি মানুষ এত উন্নত হতো তাহলে বিশ্বজুড়ে সততা, ন্যায় ও মানবীয় মূল্যবোধের মন্বন্তর কেন? কেন এত বুদ্ধিবৃত্তিক অস্থিরতা ?। মহান আধুনিক ইংরেজ কবি টি এস এলিয়ট খুব ভালো উত্তর দিয়েছেন যে, আমরা কফির চামচ দিয়ে নিজেদের জীবন পরিমাপ করছি ।
বস্তুবাদী আধুনিক সমাজ একটি নির্দয়, নির্মন ও হৃদয়হীন সভ্যতা। এটি এমন একটা সভ্যতা যা মানুষের সকল অনুভূতি ও সুকুমার বৃত্তিগুলিকে পণ্যে পরিণত করে । এ সভ্যতায় প্রেম ভালবাসা, মায়া মমতা, প্রীতি, বন্ধুত্ব কোন কিছুর মূল্য নেই। যা কিছু সুন্দর, যা কিছু সুকুমার সব কিছুকে পঙ্গু আর শুষ্ক করে তাকে পণ্যে পরিণত করে এই সভ্যতা।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের লিংক কমেন্টে
اللهم اجعلنا أَسعد خلقك ، و أقرب عبادك إليك ، و املأ قلوبنا لك حمداً ، و اكتب لنا في قلوب العباد وداً ، و أَمدّنا من فضلك في الرِّزق مداً ، و لا تسلِّط علينا من أهل السوء أحداً ، اللّهم اغفر لنا ما مضى ،
و أَصلح لنا ما بقى ،و اكتب لنا رضاك ، و عفوك و الجنّة وصل الله على سيدنا محمد وعلى اله اجمعين
মুস্তাফা ﷺ কথা প্রথম খন্ড [ পর্ব ২ ]
আমাদের নিকট আল কুরআনের দাবি হলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চেনা। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানা। এটি ইমানী মুল্যবোধেরও দাবি। আল্লাহ রব্বুল আলামীন মুসলিমদেরকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেনঃ
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
অনুবাদঃ আপনি বলুন, ‘যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের স্বগোষ্ঠী তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ওই ব্যবসা-বাণিজ্য, যার ক্ষতি হবার তোমরা আশংকা করো এবং তোমাদের পছন্দের বাসস্থান এ সব বস্তু আল্লাহ্ ও তার রসূল এবং তার পথে যুদ্ধ করা অপেক্ষা তোমাদের নিকট প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা করো আল্লাহ্ তার নির্দেশ আনা পর্যন্ত। এবং আল্লাহ্ ফাসিক্বদেরকে সৎপথ প্রদান করেন না। [ কানযুল ইমান, সূরা নং ৯, শুরা তাওবা, আয়াত নং ২৪]।
কিন্তু বস্তুবাদী সভ্যতার দূষিত জীবানু আমাদের চিন্তা-চেতনাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমরা উইলিয়ম শেক্সপীয়ার, টমাস কারলাইল, মাইকেল এইচ হার্ট বা স্বামী বিবেকানন্দদেরকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিই কিন্তু টমাস কারলাইল যাকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম “হিরো” বলে বন্দনা করেছেন, মাইকেল এইচ হার্ট যাকে বিশ্বের সর্বকালের সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বলে বিশেষিত করেছেন এবং স্বামী বিবেকানন্দ যাকে পূজা করেন বলে স্তুতি গেয়েছেন সেই আল্লাহর রসূলকে আমরা জানার বা চেনার চেষ্টা করি নি। ব্রিটিশত্বের প্রতীক উইলিয়ম শেক্সপীয়ার কলম-ক্রুসেডের নিবেদিত সৈনিক হওয়া সত্বেও আজীবন প্রজ্ঞা ও মননের শিকড় খুঁজেছেন নবীকূলসম্রাটের পদমূলে। সাসেক্স ইউনিভার্সিটির ইংরেজী আর্লি মডার্ন স্টাডিজ এর অধ্যাপক Matthew Dimmock তুরস্কের TRT World কে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন যে, “ Without Islam there would be no Shakespeare” [ তথ্যসূত্রঃ The centrality of the Muslim world to Shakespeare’s work, Nadia Khan, TRT World ]। উল্লেখ্য, উইলিয়ম শেক্সপীয়ার এর সময়ে ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথ তুরস্কের সুলতান তৃতীয় মুরাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও বানিজ্য মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন এবং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির দ্বারা ইংরেজ সভ্যতা ও সংস্কৃতি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। অধ্যাপক Matthew Dimmock বলেন, “ “Without Tudor and Jacobean England’s rich and complex engagement with Islamic cultures, the plays written by William Shakespeare would be very different, if they existed at all” [ তথ্যসূত্রঃ The centrality of the Muslim world to Shakespeare’s work, Nadia Khan, TRT World ] ।
প্রথম পর্ব: https://www.facebook.com/share/p/CXh2sYqrDyswmbYg/?mibextid=RtaFA8
মুস্তাফা ﷺ কথা প্রথম খন্ড [ ১ম পর্ব ]
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় মুসলিম উম্মাহ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ইসলাম নিখুঁত স্থাপত্যকলার ন্যায় এখনও সমান দীপ্তিমান ও চালিকাশক্তি । কিন্তু মুসলিমরা পরিচয় সংকটে ভূগছে । মুসলিম সংস্কৃতি ভুগছে কঠিন অস্তিত্ব সংকটে। একদিকে আমাদের জাতিসত্বার স্থবরিতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বন্ধ্যাত্ব, অন্যদিকে বৈশ্বিক কর্মকর্তাদের ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইযেশনের অবিরাম প্রজ্ঞাপন। রাজনৈতিক ক্রুসেড এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাংস্কৃতিক ক্রুসেড, কলম-ক্রুসেড ও অর্থনৈতিক ক্রুসেড ।
বৈশ্বিক শক্তির লক্ষ তিনটি । প্রথমত, সাহিত্য-সাংবাদিকতা, কলোনিয়াল শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রচারমাধ্যমের মাধ্যমে মুসলিম নবপ্রজন্মকে প্রথমে ধর্মসংযোগহীন ও ঐতিহ্যহীন বানানো। দ্বিতীয়ত, ক্রমে ক্রমে তাদেরকে ধর্মহীন ও ঈমানহীন বা মুরতাদ বানানো। অবশেষে, ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে নির্মুল করা।
কি লজ্জার বিষয় যে আজ মুসলমানদেরকে অমুসলিমরা ইসলাম শেখায়! মানবতা আর শান্তির দারস দেয়! দোষ আমাদের। আমরা শিকড় থেকে বিচ্যুত হয়েছি। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, أَمْ لَمْ يَعْرِفُوا رَسُولَهُمْ فَهُمْ لَهُ مُنْكِرُونَঅর্থাৎ নাকি তারা নিজেদের রাসূলকে চিনতে পারেনি, তাই তারা তাকে অস্বীকার করছে? [ কানযুল ইমান, সূরা মুমিনুন, আয়াত নং ৬৯]। আমাদের নিকট আল কুরআনের দাবি হলো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চেনা। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানা।
[ চলবে ......]
নবীকুলসম্রাট এর সীরাত "মুস্তাফা ﷺ কথা " গ্রন্থখানি ৫টি খন্ডে প্রকাশিত হবে ইব শা আল্লাহ। প্রতিটি খন্ড ৭০০ থেকে ৮০০ পৃষ্ঠা
১। প্রথম খন্ডে মূল জীবনী [ ৫৭০ - ৬৬৩ ] থাকবে। এই খন্ডে কোন critical analysis বা evaluation থাকবে না। কেবল প্রথমে সীরাতুন্নাবীর তাতপর্য ও আমাদের উপর নবী মুস্তাফার অধিকার সম্পর্কে মুকাদ্দামা থাকবে। তারপরে মূল জীবনী। এটি ইন শা আল্লাহ এ বছরের শেষ দিক প্রকাশ হতে পারে।
২। দ্বিতীয় খন্ডঃ বিশ্ব সাহিত্য ও সভ্যতার উপর নবী মুস্তাফার প্রভাব
৩। তৃতীয় খন্ডঃ নবী মুস্তাফা সম্পর্কে অমুসলিমদের প্রশ্নসমূহের জবাব
৪। চতূর্থ খন্ডঃ নবী মুস্তাফা সম্পর্কে বিশুদ্ধ আকীদা
৫। পঞ্চম খন্ডঃ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার, সীরাতে মুস্তাফা ও মুসলিম বিশ্ব
দোয়াপ্রার্থীঃ মুহাম্মাদ এ কে আযাদ
Click here to claim your Sponsored Listing.
Islamic Research Mision আমাদের সকল ভিডিও আপলোড হবে ইসলামিক রিসার্চ মিশন চ্যানেলে। সকল মুসলিম ভাই বোনকে চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইব ক
https://www.youtube.com/channel/UCppKoUpXHSrHDDc8nBhifuQ
আপনাদের সাবস্ক্রিপশন আমাদেরকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে
If I Remain Silent, You May Lodge Complaint In The Hereafter That I Have Not Briefed You The Truth. So, I Must write. I Must speak. Almighty Allah Commands : " And when you speak, Speak Just, Even Though It Be A Matter Of Your Relative, And Fulfill The Covenant Of Allah." [ Al Quran - Surah Al Anaam - Verse No 152 ]
Videos (show all)
Contact the place of worship
Telephone
Website
Address
Babla, Malda
English Bazar
732207
Singatala
English Bazar
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।। জয় শ্রীকৃষ্ণ ❤️🙏
English Bazar, 732102
দুরারোগ্য কলেরা ব্যাধির প্রকোপে বাংলার ১৩৭৭ সালে স্বপ্নে আবির্ভূত দেবীর পুজার আয়োজন করা হয়।
English Bazar, 732138
মালদহের অন্যতম মন্দির। শিবরাত্রির সম
Malda Town
English Bazar, 732101
মালদায় অবস্থিত স্বপ্নদৃষ্ট মা মুক্তেশ্বরী মন্দির আপনাদের সকলের জন্য উন্মুক্ত।