somen_raj_hazra2000

যেখানে জনগণের নিজের ইচ্ছেমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অধিকারটুকু নেই, সেইখানে কোনদিন উন্নতি সম্ভব বলে মনে হয়? গণতন্ত্র মাটিতে লুটিয়ে আছে, ভোটের দিন সকাল থেকে মনে হচ্ছে যুদ্ধটা ইউক্রেনে নয়, বাংলায় হচ্ছে,এত খুনোখুনি-মারপিট-ঝগড়া-বিবাদ মানুষ সেবা করার জন্যে? আহা! এই না হলে জনসেবার তাগিদ? সবথেকে অবাক লাগে যারা এই ভোটের কারনে প্রাণ দেন তাদের জন্যে, কোনদিন কোন নেতাকে,মন্ত্রীকে মরতে দেখবেন না, মরে কারা?সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষগুলো, নিম্নশ্রেণীর কর্মচারীরা বা দলের একদম শেষ প্রান্তের কোন কর্মী। বাংলার মতো নোংরা রাজনীতি শুধু ভারতবর্ষ কেন গোটা দুনিয়ায় কোথাও হয় না, সেই যে দলই শাসক দল হোক বিরোধী, বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বরাবর এমনটাই কুৎসিত, কোন দল ছেড়ে কাকে দেখবেন? শাসক হলেই করোজোর করে প্রণাম করা হাতে উঠে আসে তরবারি, এই রাজ্যের উন্নতি সম্ভব নয়, , এই রাজ্যের কোন ভবিষ্যৎ নেই, তাই যেখানে অন্যান্য রাজ্য এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের গতিপথ নিম্নগামী, রাজনীতি মানে এখানে লুটপাট, জনগণের সেবা নয়, দেশের সেবা নয়, , কোয়ালিফিকেশন ছাড়া স্বল্প সময়ে বিশাল টাকার অঙ্ক ইনকাম, সহজে পয়সা উপার্জনের একটা উপায় আর কি! আর যারা শিক্ষিত মানুষ, তাদের দেখুন হয় রাজ্যের বাইরে যেতে হচ্ছে অথবা পাওনা চাকরির জন্য অনশনে বসতে হচ্ছে। এখানে মানুষ নিজের আখের গোছাতে রাজনীতিতে আসে, ক্লাস ফোর ফেল হলেও চার তলা বাড়ি হাকাবার জন্যে আসে, সেই রাজ্যে সার্বিক উন্নতি কিভাবে সম্ভব? এইরকম চলতে থাকলে এই রাজ্যের পতন অবশ্যম্ভাবী .. কেউ বাঁচাতে পারবে না.. ওই মাসের শেষে ৫০০ টাকা ভিক্ষাবৃত্তি নিয়েই বাঁচতে হবে, আপনার ছেলেটা-মেয়েটা স্বাবলম্বী হয়ে মাসের শেষে ৫০,০০০ টাকা ঘরে আনবে, সেটা ভুলে যান.. "বিহার"কে অনেকে ভারতবর্ষের ফোড়া বলে, এরপরে আমাদের "বিষফোড়া" বলতে শুরু করবে, সেই দিন আসছে..

আমরা ইতিমধ্যে গলা অবধি ডুবে আছি, এবার শুধু স্রোতটা মাথার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পালা.. আর আমাদের পাশের রাজ্য ওড়িশা কে দেখুন কতটা উন্নতি করেছে গত দুই দশকে; ১৯৯৯ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে যেখানে প্রায়ই বছরে অন্তত প্রাকিতিক আপদা আসে এবং ১৯৯৯ সালে যেখানে শিল্প ছিলোনা বললেই চলে সেখানে এখন শিল্প ওড়িশার অর্থনীতিতে প্রথম গ্রোথ ফ্যাক্টর আর এগ্রিকালচার তৃতীয় স্তম্ভ যেখানে small and marginal farmers রা চাষবাস করতো না তারা এখন তাদের রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা কে উন্নত করে তুলেছে। আর একটা কথা যা না বললেই নয় যেখানে ভারতীয় হকি দলের স্পন্সরশিপ যখন Shahara India ছেড়ে দেয় তখন কোনো স্পন্সরশিপ ছিলো না তখন ওড়িশা রাজ্য স্পন্সরশিপ করে এবং হকি turnament আয়োজন করে এবং ভারতীয় হকি দল অলিম্পিক গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেয়।