Kobir creation

#রাধা_রায়
#কবি_সুদীপ

#নতুন_কবিতা

গঙ্গায় ঝাঁপ দেব কলসী বেঁধে আমি গলায়।
ও রাধা রায়।
অমন করে কেন রাধা রানী দেখো আমায়।
স্বরম যে পায়।
কৃষ্ণের মত কেউ বাসবেনাভালো।
সোন গো রায়।
রাধার প্রেমে পাগল আছে যে অনেক।
শোন কানাই।
আমার নামে পাগল বৃন্দবাসী বলে।
নদের নিমাই।

#লজ্জাবতী
#কবি_সুদীপ

#লজ্জাবতী

#কবি_সুদীপ
লজ্জাবতী ও লাজুক লতা।
রোঙ্গিলা ও রুক্মিণী।
প্রভাত কলি গোলাপ রাঙ্গা।
সপ্ন দেশের সঙ্গিনী।
কত নাম তোমাকে দিলাম।
বিভ্রান্ত আমি কি নামে।
ডাকি যে তোমায় ।
বলো না বলো না বলো না।
ইচ্ছামতী ও ঐন্দ্রিলা।
কাঞ্চনা ও কঙ্কাবতী।
কৃষ্ণ চূড়া রক্ত জবা।
অচিনপুরের মহারানী।
কত নাম তোমাকে দিলাম।
বিভ্রান্ত আমি কি নামে।
ডাকি যে তোমায় ।
বলো না বলো না বলো না।

কবিতা কবির সৃষ্টি।
মেঘলা মেঘের বৃষ্টি।
পতিত অঝর নয়নে।
কি অপরূপ দৃষ্টি।

#কবি_সুদীপ
#মায়াবি_লগন

মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য।
চঁন্দ্রানি মায়াবী লগনে।
টিম টিম কত তারা জ্বলে।
অসীম আজাদ গগনে।
ছোঁয়ায় তোমার আগুন আছে।
শিহরিয়া যায় মন স্পরষে।
নয়নের বান তুমি চালিওনা বন্ধু।
ঘায়েল করে মোর প্রান কে।
বিনুনি খোঁপায় ফুলের মালা।
গোলাপ রাঙ্গা ঠোঁট যে।

চলরে চল সখী
যায় তেপান্তরে।
নেই কোনো বাধা।
থাকার একা ঘরে।
চলরে চল সক্ষী।
এই নিলিমায়।
যায় মেঘের দেশে।
দুজনে ভেসে ভেসে।
টিম টিম তারা জ্বলে।
একাকি আকাশ পারে।
জোৎস্না রাতের আলো।
প্রবাহ সাগর তীরে।

মন
আমি তোমারি মধ্যে
আমাকে খুঁজিয়া পাই।
তোমারি নয়ন দুটি
এ কথা বলিয়া যায়।
এমনে রূপখানি
পেলে কোথায় তুমি
সুন্দর মুখখানি
শরমে মরিয়া যায়।
আঁখি পাতে কাজল
দোলানো এ অচল
রুনুঝুনু বাজে
পাদুকা যুগল।
বিনুনি কেস মাঝে
বেল ফুলের সাজে
গন্ধ বাতাস ময়
ভাসিয়া ভাসিয়া কয়।
মনেরি দেয়ালে
সবারই আড়ালে
ভালবাসি যদি
কিসের ভয়।

#ঋতু

#কবি_সুদীপ

ভ্রমরের গুঞ্জন পাই।

মধু মাস এলো বুঝি তাই।

মিলনের ঋতুর সময় ।

তোমারি আলত ঝোঁয়ায়।

পরসে আগুন আছে।

মন মাঝে মাদল বাজায়।

শ্রীহরিযা য়ায মন।

কারাবাস বন্দী জীবন।

পেতে চাই মুক্তির স্বাদ।

নিকটে তোমাকে পেলাম।

বেঁধে রাখি ভালোবাসায়।

নিঝুম রাতের তাঁরা রা।

কতো কিছু কথা বলে যায়।

হৃদয় ভাঙার শত ব্যাথা ।

তুমি আগে বোঝ নি গো হায়।

না বলা লেখা কবিতা।

সুরে সুরে ছন্দ মিলায়।

কালো কেশ বিনুনি মাথায়।

নয়নের ভাব বোঝা দায়।

পরনে সাত মনিহার।

হাঁসি মুখে সামনে দাঁড়ায়।

হারানো গানের খাতায়।।

নতুন শব্দ খুঁজে পায়।

#ক্ষুধা

#কবি_সুদীপ

কঠিন সময় ভাই।
দুই দিন খাই নাই।
জটিল এক ব্যাধি ।
ঔষধ কৈ পায়।
কানা কড়ি নেই কাছে।
সংসার বাড়ি আছে।
খেতে চার ভাই বোন।
মা বাবা মিলে ছয়।
বাবা দেনার দায়ে।
দিন রাত ভুল বকে।
মা খুব ভোরে উঠে।
কাজ করে ধান খেতে।
খুব ছোট দুই বোন ।
ফুটে নিতো মুখে বোল।
খেতে চায় দুধ ভাত।
ঘরে নেই মুঠো চাল।
একটি কাজের খোঁজে।
ঘুরে ফিরি পথে ঘাটে।
সূর্য টা ধেয়ে আসে।
হাত দুটো বাড়িয়ে।
গিলে খাবে মনে হয়।
হার গুলো চিবিয়ে।
অবশেষে ক্লান্তিতে।
পা দুটো বলে হেঁসে।
আর নয় আজকে।
ফিরে চলি আসা পথে।

#গরিবের_রক্ত

#কবি_সুদীপ

গরিবের রক্ত চেনা জানা বড় শক্ত।
গরিবের রক্ত নিয়ে এই দুনিয়ায়।
চলছে মটর আর ট্র্যাম ও ট্র্যাক।
চলছে আরও কতকিছু তারা নাহি জানে।
জবাব চাইতে গেলে কিল চর লাথি ঝাটা মেলে।
কলির সোশনে গরিবের রক্ত হয়েছে জল।
বাবুরা শাসন চালিয়ে পাইয়ে বড় ফল।
ওদের কে বাচতে দাও ওরাওতো মানুষ।
মেহনতের টাকার খাই নেই না কোনো ঘুষ।
ছদ্মবেশে থাকে ওরা গায়ে নামাবলি।
কখনো বা ঝারুদার কখন বা কুলি।
ওদের কথা ভাবত যারা তারা আজ ইতিহাস।
রবি, নজরুল, বিদ্যাসাগর আর সঙ্গে সুভাষ।
আরো আছে অনেকেরই নাম তাদের সব্বাই কে। জানাই আমার তরফ থেকে বিন্বর এই প্রনাম।

রাতের পাখি।
রাত বিরাতে ঘুরতে বেরস।
নেই বুঝি তোর কাম।
দিনের বেলা ঘুমের দেশে।
দিন ফুরোলেয় কাম।

চন্ডিকা রূপে মা পার্বতী।
অভয়া শক্তি কালিকা।
শক্তি রূপে মুন্ডমালিনী।
ছিন্ন মস্তক পরিহিতা।
নব সাজে দেবি গৌরি।
কষ্ট হরনে অম্বিকা ।
দুষ্ট দমনে দুর্গতনাশিনী।
পাপ বিনাশের রচয়িতা।
আদি শক্তি পরম ভক্তি।
চিরকালই পাশে সর্বদা।

মাতাল আমি বাংলা ভাষায়।
বাংলা মায়ের কোলের দাসী।
গর্ভে তোমার জন্ম নিয়ে।
গর্ব আমার দেশের মাটি ।

রক্ত কথিত কাব্য ধারায়।
রক্ত করে নৃত্য।
আগুন রাঙ্গা মাটির দেশে।
মানুষ এখন ভৃত্য।

#কবি_সুদীপ
#বসন্ত_উৎসব


রঙের ঋতূ বসন্ত ।
শীতের শেষে জীবন্ত ।
উৎসবের সমারোহে।
গান গেয়ে নাচ আমার সন।
উষ্ণ হাওয়া দোলায় মন।
নানান রঙের সমাগম।
লাল, নীল আর সবুজ, রঙে।
মাতাল করে এই ভূবন ।
রঙের মেলায় অবুঝ মন।
মানে না কোনো বারন।
শত ভিরে তোমায় খুঁজে।
খেলার মাঝে সারাক্ষণ।

জনম দুক্ষি আমি।
তোমার চরণে জানি।
ঠাঁয় মোর হলে।
পাবো ব্রজ ধাম।
আমার জীবন তরী।
পেলো আশার বাতি।
মরুভূমি এ জীবন।
সাগরে অথৈ পানী।

#গ্ৰাম
#কবি_সুদীপ

পারিশ যদি য়ায চলে যায়
নিজের ঘরে।।
অমন করে থাকিস কেনো ।
বন্ধ ঘরে।
শীতল কুটি পাথুরা এক গ্ৰামে।
মাটির বাড়ি কুটির চালা আছে।।
সামনে আছে পুকুর খানি।
নদীর পানি ঘোলাটে।।
গাছের ডালে বাবুই পাখি।
বাসা বাঁধে ঝোলাটে।।
মাঝি ভাই নঙ্গর করে।
উঠে আসে দালানে।।
খেতে দিলাম চিরা মুরি
সঙ্গে দিলাম বাতাসে।।
সূর্যি বাবু উকি মারে
মহ্নান্ন আহারে।।
দিনের শেষে সূর্যি পাটে।
প্রদীপ জ্বলে শঙ্খ বাজে।
তুলসী তলে সান্ধ্য হলে।
প্রনাম লহ সকলে।।

#জীবন_মরণ
#কবি_সুদীপ

চরম বাধা জীবনে,
তবুও বাঁচার আশা ।
পারিনি গো ভুলতে।
প্রদীপে তেল দাও,
নিভে যাবে পোলতে।
আশার আসা নিয়ে,
দুপুরের দুয়ারে।
বসে থাকি একাকী,
মধ্যাহ্ন আহারে।
অবশেষে ফিরে এলো,
কি রাগ রুপসীর।
একে একে সবে খেল,
জুটল না আমারি।
দুম করে উঠে দেখি,
চলে গেলো ঘরেতে।
আমার মাথায় হাত,
চক্ষু চড়কগাছ।
এই ছিল মোর কপালে।

প্রেম খেলা
কবি -সুদীপ

নীরব রাতে মনের কনে।
গভীর শোকের ছায়া।
অথৈই জলে ভাসিয়া দিনু।
অমার প্রেমের ভেলা।
দিনের শেষে রাতের দেশে।
হাজার তারার মেলা।
কোনের বেশে বধূ সেজে।
বিদায় নেওয়ার পালা।
মনে পড়ে নদীর পারে।
শঙ্খ চিল খেলা করে।
মনে পড়ে শ্রাবণ মাসে।
প্রবল বেগে বর্ষা ঝরে।
বনানী তে পক্ষীরা সব
বাঁচার কারণ উরান ভরে।
মনে পড়ে শরৎ কালে।
নানান ফুলের মেলা।
মনে পড়ে বসন্ত কালে।
কোকিল ডাকে কুহু স্বরে।
মনে পড়ে শীতের সময়।
উষ্ণ প্রেমের ছোঁয়া।