Humanobot

Humanobot

Smile For Yourself, listen To Your Heart

09/07/2023
09/07/2023

B•O•S•S

09/07/2023

🤍🌸

09/07/2023

👑 vs papa ki pari

09/07/2023

যখন অনেক বেশি গরম পড়ে তখন ডেলিভারি লোকেশনে গিয়ে দেখি ক্রিম গলে গিয়ে কেকের এই অবস্থা😏

09/07/2023

উপদেশমূলক একটি গল্পঃ
★৩য় ব্যাক্তি হতে সাবধান.......

প্রেক্ষাপট_১

উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,
- তুমি কোথায় চাকুরি করো?
- একটা কোম্পানিতে ।
- স্যালারি কতো?
- ১০০০০ টাকা।
- মোটে দশ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তুমি যেই ছেলে তোমার যা যোগ্যতা,তাতে হেসেখেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো।
যুবকের মেজাজ খাট্টা হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি ও বসের প্রতি
বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে বেতন বাড়ানোর কথা। জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো।
এখন যুবকটি বেকার।

প্রেক্ষাপট_২

- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি?
- জ্বি।
- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয় নি? উপহার, টাকা বা এ জাতীয় কিছু?
- না। কেন দিবে? এ তো আমাদেরই সন্তান! উপহার বা টাকা দিতে হবে কেন?
- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে কি তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি?
স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা।
সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো।

স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো। রেগে গেলো দু’জনে, কথা কাটাকাটি ঝগড়া আর ঝগড়া। পরে হাতাহাতি, শেষ পর্যন্ত তালাকে গিয়ে গড়ালো।

প্রেক্ষাপট_৩

- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে ঢাকায় থাকে,বড় চাকুরি করে শুনেছি। মস্ত বড় ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসে না!
- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনে ও খোঁজ-খবর নেয় নিয়মিত।
- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয় না?
- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই তো তার সবটা সময় চলে যায়!
- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে।
আর আপনারা অজপাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন?
বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো।
স্ত্রীও বাধা দিল,
- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত।
- নাহ,সেকি কি মিথ্যা বলতে পারে ?
আহা রে! কাকে বুকের রক্ত পানি করে বড় করলাম। এটা ভেবেই করে বসলেন ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক!

# এবার_আসি_মূলকথায়

-কিছু নিরীহ-অযাচিত প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে ক্ষণিকের মধ্যেই দুঃখী করে দিতে সক্ষম।

___

30/04/2023

প্রেমিক — স্বপ্নীল চক্রবর্তী
বই : অন্তত কিছুক্ষণ বিষণ্ণ থাকুক

20/04/2023

_ এই যে ম্যাডাম, কয়টায় আসার কথা ছিল?
_ আরে সরি সরি , এভাবে রাগ করিস না প্লিজ! এই শাড়ি পড়ে আসতে দেরি হয়ে গেল।
_ তা আর কি ভাবে রাগ করবো বল? তবে একটা কথা মানতে হবে তোর থেকে তো চোখ ওই ফেরানো যাচ্ছে না!
_ আচ্ছা নে অনেক হয়েছে,এবার চুপ কর।
_ কেন? লজ্জা পেলি নাকি? হাহা…
_ ইসস" কিন্তু হ্যাঁ, তোকে পাঞ্জাবি তে দারুণ লাগছে।
_ তা তো লাগবেই,আমি মানুষ টাই দারুণ।
_ থাক হয়েছে হুঁ…
এই তুই আবার সিগারেট খাচ্ছিস? তোকে না কতো বার বারণ করলাম,তা ও শুনবি না আমার কথা ঠিকই করে নিয়েছিস ?
_ এই তুই আর ওই ফরমাল গার্লফ্রেন্ড হোস না তো ।
_ সেটা আবার কি ?
_ এই যে টিপিক্যাল গার্লফ্রেন্ড এর মত সিগারেট খেতে দিচ্ছিস না।
_ তুই পরে খাবি আমার আসলে ধোঁয়াটা সহ্য হয় না। _ চুপ কর তো নে এখোনি ফেলে দিচ্ছি এইবার ঠিকাছে তো?
_হুম! আচ্ছা তোকে একটা কথা বলবো?
_হুম বল,
_ তোকে যত বার দেখি,ততো বার তোর প্রেমে পরে যাই।
_ এতো বার পরিস না,ব্যাথা পাবি।
_ ইসস,সবসময় ইয়ারকি করিস না তো,ভালো লাগে না।
_ অমনি মুখটা হাঁড়ি হয়ে গেলো , হাঁড়ি মুখো বউ আমার । আচ্ছা বাবা,রাগ করিস না,তোকে আমি কতোটা ভালোবাসি,তুমি নিজেও জানিস না।
_ কোন দিন ছেড়ে যাবি না তো?
_ এই এইসব সেন্টিমেন্টাল কথা গুলো রাখ তো ।
_ আমার তোর মুখ থেকে শুনতে ভালো লাগে বেশ।
_ সত্যি তুইও, না কখনো না দুজন মিলে বুড়ো হয়ে গেলেও একসাথে গঙ্গার ধারে ঘুরতে যাবো।
_ কথা দেয়।
_দিলাম,কখনও যাব না।। নে এবার খুশি?
_অনেক অনেক অনেক , রোজ একবার করে আমায় বলবি হ্যাঁ ।
_পাগলি একটা।
_এই শোন না ।
_হুম বলে ফেল ।
_ সমনের রবিবার শান্তিনিকেতন নিয়ে যাবি?
_ রবি দাদুর কাছে যাবি চল বহু দিন ঘুরতে যাওয়া হয় নাই ।
_ এই তো আমার পুচু সোনা!!
_ আচ্ছা,এই পুচু,টুচু বাদ দে,এবার উঠি চল,নাহলে তোর আবার ফিরতে দেরি হয়ে যাবে।।
_ প্রেমে পড়লে কি আর সময়ের খেয়াল থাকে প্রিয় ।
_ রবীন্দ্রনাথ ভর করলো নাকি রে ।
_ হি হি

" কলকাতার অলিগলি, শান্তিনিকেতনের আঁকা বাঁকা পথে ঘাটে হতে হাত রেখে হেঁটে চলেছে হাজার হাজার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,
ভালো থাকুক তারা,
নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে যাচ্ছে যারা।।"

কলমে_ দীপা ঘোষ
ছবি - The Rowak's - দ্য রোয়াক'স

17/04/2023

— আমি জানতাম তুমি আসবে।
— কেমন আছো অবনী?
— বেশ ভালোই। তুমি?
— এই তো! দিব্বি আছি।
— দূরে দাঁড়িয়ে কেন?
— একটা অলিখিত প্রাচীর, কী ভাবে ভাঙবো বলো?
— আমাদের সেই আবার দেখা হলো তাই না?
— হ্যাঁ। প্রায় পঁচিশ বছর পর।
— চুলে পাক ধরেছে তোমার।
— তোমারটা সাদা আছে বুঝি?
— দেশের বাড়ি যাও এখনো?
— নাহ্। ওই যে তোমার সাথে শেষ দেখা। তারপর আর যাওয়া হয়নি।
— আমিও তার বছর খানেক পর চলে এলাম কলকাতায়, তারপর তো এখানেই...
— তোমার বৌকে দেখলাম... বেশ সুন্দর লাগছে।
— কার বৌ দেখতে হবে তো! তোমার বরকে তো...
— তিন বছর হলো... রাহুল ইন্জিনিয়ার ছিল। হঠাৎ স্ট্রোক... তারপর।
— ও স্যরি!
— যাই হোক! এই তিতলি আর ঋদ্ধি বিয়ে করলো বলে আমাদের আবার দেখা হলো, বলো?
— হ্যাঁ। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে যদি আমরাও এদের মতো...

লোপামুদ্রা তাকায় অবনীর দিকে। তারপর অন্যমনস্ক হয়ে বলে,

— হয়তো কিছু সম্পর্ক দানা বাঁধেনা শেষ পর্যন্ত। বন্ধুত্বের বেড়া ডিঙোতে পারে না। আমাদের টাও ধরো...
— একটা কথা...
— বলো?
— ভালোবাসো আমায় এখনও লোপা?
— যা অবান্তর তা আর জিজ্ঞেস করো না। আর যা হওয়ার ছিল না তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই।
— তবুও...
— বৌ এর কাছে যাও অবনী। মোমবাতিটা নেভার সময় হয়ে এলো।

মোমবাতিটা নেভার পর আবার সেই অন্ধকার। অবনী আর লোপার মধ্যে হয়েও না হওয়া গল্পের মতো।

কলমে — #দীঘল

15/04/2023

কখনোই জানবে না.!

25/03/2023

-- সকাল সকাল কাজের মাঝে এসব কি শুরু করলে বলোতো? আরেহ ছাড়ো না রান্না পড়ে আছে তো খেয়ে অফিসে বেরোবে,স্টুডেন্ট গুলো চলে আসবে গানের রেওয়াজে বসা হয়নি।

- একটু স্থির হয়ে বসো দেখি,চুলটা আঁচড়ে দিচ্ছিলাম জট পড়লে নিজেই বলবে এখনো চুল বাঁধতে শিখিনি আমি।

- বলবোই তো একঘন্টা ধরে কি যে করে যাচ্ছো? সরো সরো পা ধরে এলো আমার।

- একদম না আমার বউটাকে আজ আমি সাজাবো একা হাতে। চুপটি করে যেমন বসে আছো ওরকম থাকো।

- তারপর দেখবো পেতনি সাজিয়ে দিয়েছো আমাকেই আবার নতুন করে শুরু থেকে সাজতে বসতে হবে।

- হয়েছে দেখে নাও আয়নায়। আমি পারি বুঝলে! আর রান্না যা হোক হয়ে যখন গেছে থাকুক,একটু না হয় বেলায় খাবো।

- হয়েছে কি বলোতো? আজ এরকম কেন করছো ? জ্বর নাকি এদিকে এসো কপালটা দেখি হাত দিয়ে।

- আমি একদম ঠিক আছি, তোমার যত্নে কে খারাপ থাকে গো? সবসময় এতো চোখে চোখে রাখো।

- এবার বেরোই দেরি হচ্ছে না বুঝি! ওঠো আগে,যাবো কোথায়?

- ভরসা করো তুমি , তাহলে চলো হাতটা ধরে।

- নিজের মানুষ যদি ভালো না হয় তাহলে এতদিনের পথচলা হতো না বরমশাই।

-- HUMABOT

📸 Partha Ghosh

25/03/2023

- কুলফি! মালাই! আরে কি ব্যাপার বাচ্চাপার্টি আর তাদের বাপ রত্নটা কোথায় গেল? শান্ত বাড়ি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে দেখছি।

- কুলফি আজ কিন্তু পায়েস পাবে না তুমি,ভাই কে নিয়ে যাও মালাই ।

- এই এই এদিকে আয় সরে আয় দেখি, আরেহ আওয়াজ করিস না চুপ চুপ। (ফিস ফিস করে)

- মিষ্টি টা কি কম হলো , একবার চেখে দেখবো? না থাক মহারানী উঠলে দেবো। অনেকদিন ধরে চেঁচামেচি করছে খাবে বলে ভালো একটা দিন প্রমোশন ও পেয়েছে ছুটিতে বাড়ি আছে।

- কি হচ্ছে মিস্টার শেফ? আমাকে আড়ালে রেখে করছো কি?

- আমার একটা মিষ্টি বাচ্চা বউ আছে , তারজন্য একটু পায়েস, কচুরি আলু কষা করেছি। এই হয়ে গেছে নামিয়ে নেবো পায়েসটা। তার ঘুম ভেঙ্গে গেছে সেটা আমি জানতাম বুঝলেন।

- সবজান্তা বর একেবারে হু কি গন্ধ আহাআআ...

- ভালোবাসি তো তাই শব্দ না করে এলেও মন বলে সে আছে আশেপাশে এইভাবে জেনে যাই।

- বাপ কে কম্পানি দিচ্ছে নাকি চ্যালা দুটো? নাকি লোভ সামলাতে না পেরে পালিয়ে এসেছে ,পাশেই তো শুয়ে ছিল উঠেই দেখি ফাঁকা সব কেউ নেই।

- টায়ার্ড হয়ে ছিলিস, আমি সেই ফাঁকে সেলিব্রেট করবো একটু এগুলো রেডি করছি ব্যস।

- ট্রিট হিসেব মতো আমার দেওয়ার কথা।

- রাতে ঘুমানোর সময় পাওনা মিটিয়ে দিলেই হবে আমার আবার অল্পতে খুশি হয়ে যায় মন।

- ধ্যার..

- আরেহ টেস্ট তো করে যা পাগলি পায়েসটা!

- আমি জানি ওটা দারুন খেতে হবে,দুটো বিচ্ছু কে নিয়ে যাচ্ছি এখন হাত মুখ ধুয়ে আসছি।

- জলদি ম্যাডাম।

- ওদের একটু দিলে হতো না! দেখছে তো!

- দেখুক,খেয়েছে ঘুমিয়ে পড়বে। বাবা মায়ের প্রেম দেখতে হবে না ওদের।

- বাজে বকা বন্ধ করবে?

- একদম না।

- পাগল..
- তোর জন্য তো!

--

ছবি সংগৃহীত

24/03/2023

- আরেহহ...
- হা হা।
- আমি যদি শুরু করি পারবি!
- ধরতেই দেবো না এইভাবে গালগুলো ঢেকে রাখবো।
- আমি কাতুকুতু দেবো।
- একদম না।
- হাতটা দেখি।
- কেন?
- আঁচলের তলা থেকে কালো টিকা উঁকি মারছে ওর বদন দেখবো।
- কিছু নেই তো।
- এটা কি ঋ!
- আদি...
- কি আদি?
- বকছিস কেন?
- আমি তোকে বকতে পারি বল?
- হিটলার।
- কিছু বললেই এটাই বলবি তুই।
- ওষুধ দিয়েছি আমি।
- উদ্ধার করেছো।
- তুই বল না তুমি কেন?
- মাথা খারাপ করবে না এইধরনের আন চটকা কাজ করবে না তুমি, দরকার হলে আমি কাকিমা কে ফোন করে দেবো।
- আমি রান্না শিখছিলাম তো।
- লাফালাফি করছিলে সেখানেও !
-আরে না বাবা।
- চুপ থাকবে একদম মুখে আঙ্গুল দিয়ে।
- লাগছে! ( হালকা একটু করে ফু দিয়ে অ্যান্টিসেপটিক লাগিয়ে দিতে দিতে)
- সবসময় কি ওষুধ নিয়ে ঘুরিস?
- তোমার মতো একটা পিস থাকলে কি করবো আর!
- ইউ ইনস্লাট মি।
- রাখ তোর ওসব।
- আচ্ছা রাখ দিয়া।
- রাতে একবার লাগিয়ে নিবি আর রোজ ছবি তুলে পাঠাবি।
- ওকে।
এরপর গত দুসপ্তাহ যতদিন না হাতের ছ্যাকা খাওয়া জায়গাটা সেরেছে আদি নিয়ম করে ছবি চাওয়া, ওষুধ লাগানোর রিমাইন্ডার দিয়েই গেছে।
আমাদের মানুষের এই বকার মধ্যে ও অতিরিক্ত কেয়ার থাকে হয়তো বিরক্ত লাগে তবুও মনে এইগুলো কে ভালোবাসি আমরাই।
:
ছবি সংগৃহীত

24/03/2023

-- আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো বলে তোকে ডেকেছি, আর তুই তখন থেকে বিড়ি ফুকেই চলেছিস। এতো যখন মরার শখ তাহলে একেবারে চলে যা না ইয়েতে আর ধুর ছাই মনেও পড়ে না ব্যাঙটা....

- সিগারেট ওটা, এখন দাম বেড়েছে কত মেপে বুঝে সুখটান দিতে হয় ভাই তুই কি বুঝবি রে! কত আনন্দ এই একটা জিনিস আমাকে দিয়ে গেল।

- তাহলে ওর সাথে ই প্রেমটা করে নে আর চুমু তো রোজ ফ্রিতে দিয়েই দেয় এবার বাকিটা বিয়ে করে সেরে ই নে না,আমি উঠি কেমন!

- একি তুই চটছিস কেন? আমি একটু সিগারেটের নিয়ে গুণগান করছিলাম,তুই আবার খামোখা ছ্যাত করে উঠছিস যে!

- আমার না একটুতেই মটকা গরম হয়ে যায় পুরো ফোস্কা পড়ে যাওয়ার মতোই তাই জন্য, আমি এলুম তুই বরং একটু প্রেমের গল্প করে নে সিগারেটের প্যাকেটের সাথেই।

- এতো আত্মত্যাগ মার্কা কথাটা সত্যি বললে আমি ধন্য হয়ে যেতাম সেটা আর হলো কোথায়! সেই তো ঘুরে ফিরে আমার মাথাটাই চিবিয়ে খাবি।

- কি কি বললি? এই হনুমান আরেকবার বলে দেখা কত সাহস তোর?

- যাসনি এখনো আবার বসছিস কেন?

- আমি একটা লিস্ট করেছি ওটাই না বলে চলে যাচ্ছিলাম তাই, যেটা বলতে এসেছি না বললে হয় !

-শুনি নতুন কি ভূত চাপলো?

- এই রেস্টুরেন্ট গুলো তে অফার দিচ্ছে , লিস্ট করেছি যে এই যে এগুলো সব রেস্টুরেন্টের নাম এখানে প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে যাবো ওকে?

- আমি একটা গামলা নিয়ে তাহলে আজ থেকে বসে পড়ছি, পার্টনার হিসেবে তুই মন্দ নয় চল চল শুরু করি।

- কেন?

- পকেট গড়ের মাঠ হবে আগে থেকে ব্যাকাপ রাখছি আমি।

- নাটক!

- উফফ...

-রাই

📸 Soumen Bubai Saha

24/03/2023

~ কুট্টুস ~

হাওড়া স্টেশনে প্রায় পাগলের মতো ছুটে চলেছে বছর চব্বিশের এক যুবক। পিঠে গিটার আর হাতে একটা ছোটো ব্যাগ। তার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে প্রচন্ড রকমের ঘাবড়ে আছে। গরমের জন্য গায়ের শার্টটাও পুরো ভিজে গেছে কিন্তু সেসবকে তোয়াক্কা না করে সে পুরো হাওড়া স্টেশন জুড়ে খুঁজে চলেছে তার আদরের কুট্টুস কে। "কুট্টুস" তার পোষ্য কুকুর। গত মাসে সে তাকে খুঁজে পেয়েছিল এক বৃষ্টিভেজা রাতে। আর সেদিন থেকেই সে কুট্টুসকে আপন করে নিয়েছিল। এক মুহূর্তের জন্যও সে কুট্টুসকে কাছ ছাড়া করে না। কিন্তু আজ হাওড়া স্টেশনে নেমে হঠাৎ করেই কুট্টুস তার কোল থেকে নেমে ছুটে পালায়। আর তারপর থেকেই এতো ভিড়ের মাঝে জয় তার পোষ্য কে খুঁজে চলেছে পাগলের মতন। ঘেমে নেয়ে বেচারার একাকার অবস্থা।
--- কুট্টুস! কুট্টুস কোথায় গেলি সোনা? প্লিস ফিরে আয়। এমন দুষ্টুমি করে না বাবু। আচ্ছা দেখ আমি তোকে তোর প্রিয় চিকেন রোল খাওয়াবো। প্লিস চলে আয় বাবু। এমন করিস না।
প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে বলতে লাগলো জয়। স্টেশনে আসা যাওয়া করা অনেকেই জয়ের দিকে তাকিয়ে দেখে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ এসে জিজ্ঞাসাও করলো কী হয়েছে। কিন্তু কেউই জয়কে বিশেষ সাহায্য করতে পারে না। ঠিক এমন সময় একজন জয়কে পেছন দিক থেকে ডাকে,
--- এক্সকিউজমি! এটা কী আপনার...
মেয়েটিকে পুরো কথাটা শেষ করতে না দিয়েই মেয়েটির কোলে থাকা কালো রঙের পোষ্যটিকে প্রায় কেড়ে নেয় জয়।
--- কুট্টুস তুই তুই কোথায় চলে গেছিলি বলতো? আমায় পাগল না করা অবধি তোর শান্তি নেই তাইনা? নেক্সট টাইম দেখি এরকম করতে খুব বকবো। একদম এরম করবি না।
জয়কে এমন বাচ্চাদের মতো করে বলতে দেখে মেয়েটি প্রায় হেসে বললো,
--- সত্যি আপনার কুট্টুস খুব দুষ্টু ছেলে। উফ্ ওকে আপনি সামলান কীভাবে বলুন তো? এই দশ মিনিট ওকে নিজের কাছে রেখে আমারই অবস্থা যায় যায়। খুব চঞ্চল আপনার ছেলেটা।
এতক্ষণ জয় মেয়েটাকে প্রায় খেয়ালই করেনি। মেয়েটির গলা শুনে এবার ভালো করে ওর দিকে তাকিয়ে জয় বলে,
--- আই অ্যাম রিয়েলি সরি। আমি আসলে আপনাকে খেয়াল করিনি একদম। আসলে কুট্টুসের চিন্তায় আমার মাথাটা পুরো খারাপ হয়ে গেছিলো। বাই দা ওয়ে, থ্যাংক ইউ সো মাচ। আপনার জন্য ওকে খুঁজে পেলাম।
--- আরে বুঝি বুঝি। আমারও বাড়িতে একটা আছে এর মতোই। তাই ওকে খুঁজে না পেয়ে আপনার যে কি অবস্থা হয়েছিল আমি ভালোভাবেই বুঝতে পারছি।
--- আপনাকে সত্যিই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
--- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে এতবার থ্যাঙ্কস বলতে হবে না। আসলে আপনার কুট্টুসকে দেখি এদিক ওদিক কিছু খুঁজে চলেছে। আর ওর গলার বেল্ট দেখেই বুঝতে পেরেছি নিশ্চয়ই ও হারিয়ে গেছে। তাই লাস্ট দশ মিনিট ওকে কোলে করে নিয়ে আমিও খুঁজছিলাম ওর মালিককে। অ্যান্ড ফাইনালি আপনাকে পেলাম। কিন্তু বড্ড দুষ্টু ও বাবারে। (বলেই হাসতে লাগলো মেয়েটি)
আর মেয়েটির কথায় জয়ও হোহো করে হেসে ওঠে।
--- বলতে পারেন ও আমার প্রাণ। আগে আমি তেমন কুকুর খুব একটা পছন্দই করতাম না। ভয় পেতাম একটু। কিন্তু ও আসার পর থেকে আমি ওকে ছেড়ে এক সেকেন্ডও থাকতে পারিনা জানেন।
--- হুম্ বুঝতেই পারছি আপনি ওকে কতোটা ভালোবাসেন আর আপনার কুট্টুসও আপনাকে কতোটা ভালোবাসে।
এদিকে কুট্টুসের এসবে কোনো খেয়ালই নেই। সে জয়ের কোলে বসে ওর কাঁধে থাকা গিটারের বেল্টটা কামড়াতেই ব্যাস্ত। আর মাঝে মাঝে জয়কে দেখতেই।
--- আচ্ছা আমি চলি তাহলে। খুব ভালো লাগলো আলাপ হয়ে আপনার সাথে আর হ্যাঁ কুট্টুস এর সাথেও। তো কুট্টুস সোনা টাটা! একদম দুষ্টুমি করবে না কেমন?
--- আচ্ছা আপনার নাম্বারটা পাওয়া যাবে? যদি কিছু মনে না করেন।
--- হ্যাঁ হ্যাঁ অফকোর্স। নিন সেভ করে নিন।
--- আর এক কাপ চা খাওয়ায় সময় হবে কী আপনার?
--- আচ্ছা চলুন।
--- চলুন যাওয়া যাক।

©️ চন্দ্রাণী দাস

24/03/2023

- কই গো শুনছো ? কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না ?
- এই শোনো তারস্বরে চিৎকার করবে না একদম। আমি তোমার মতো পায়ের ওপর পা তুলে বসে নেই। যত রাজ্যের কাজ পরে আছে। আর উনি হেরে গলায় চিৎকার করছেন।
- কি বলছো আমি শুধু পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকি ? আর কিচ্ছু করি না ?
- হ্যাঁ করো তো, পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর চায়ের অর্ডার।
- এই শোনো, আমার জন্য চা বানিয়ে বানিয়ে না তোমার চায়ের হাত এতো ভালো হয়েছে। নাহলে যখন এবাড়িতে প্রথম এলে তখন তো কিছুই করতে পারতে না।
- তুমি তো এখনও কিছুই করতে পারো না। কোনোদিন তো একগ্লাস জল গড়িয়ে খেলে না।
- এরকম বলো না গিন্নী, আজও কিন্তু বাজারটা আমিই করি। তুমি বলো তো আমার মতো ভালো বাজার করতে আর কেউ পারে ? তোমার ছেলে পারে ?
- বাজে না বকে কেনো ডাকছিলে সেটা বলো।
- আরেক কাপ চা আর সাথে কয়েকটা গরম গরম পিয়াঁজি। এই বৃষ্টির দিনে শুধু চা খেতে খেতে পেপার পড়ে মজা নেই বুঝলে।
- উঃ! নবাব পূত্তুর। পারবো না। এই বৃষ্টিতে ছাদ থেকে শুকনো জামা কাপড় তুলে আনতে আর মিলতে যেতে যেতে আমার হাঁটু ব্যথা বেড়ে গেলো আর উনি কিনা চা পিয়াঁজি খাবেন। ওসব এখন একদম হবে না।
- আমি কি একা খাবো নাকি তুমিও তো খাবে। বৌমা খাবে বাবু খাবে।
- কেউ খাবে না। এই তো ভাত খেলে গলা থেকে ভাত নামতে না নামতেই আরো খাওয়ার চিন্তা। বৌমা সবে শুয়েছে তাকে আমি ডাকবো না। তুমিও পেপার রেখে ঘুমাও।
- আচ্ছা, বেগুনি ?
- না।
- তুমি না সত্যি বুড়ি হয়ে গিয়েছো।
- আর তুমি এখনো আঠারো বছরের যুবকটি আছো, হয়েছে শান্তি ? এবার আমি যাই ?
- আরে ধুর! শোনো না, তোমার সেই কলেজ দিনের কথা মনে আছে ? বৃষ্টির দিনে আমরা কলেজের বাইরের সেই চায়ের দোকানে চা আর গরম গরম বেগুনী খেতাম। সবাই মিলে কত আড্ডা হতো।
- হ্যাঁ, কেনো মনে থাকবে না। দিন গুলো কি তাড়াতাড়ি কেটে গেলো তাই না গো। আর কোনোদিন ওইভাবে বৃষ্টির দিনে মাটির ভাড়ে চা খাওয়া হবে না।
- কেনো হবে না ? তুমি চাইলে আজকেই হবে।
- আজকে ?
- হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও তারপর আমরা বেরোবো চা খেতে ।
- এখন ?
- হ্যাঁ।
- আরে..
- তুমি কি সত্যি বুড়ি হয়ে গেলে গো ?
- না গো। দাড়াও শাড়ী টা পাল্টে আসছি।
- বলছি তুমি যাকে রেডি হবে ততক্ষণে কি আরেকবার চা পাওয়া যাবে না ?
- উফফ!

রিমা 🌸

ছবি: Avijit Mondal

03/03/2023

নিঃস্ব !!

ভালো মানুষের খোঁজে বেরিয়েছিলাম, ঘরে ফিরে দেখি নিজের যা একটু ভালোমানুষি ছিল
ভিড়ের মাঝে সেটা চুরি হয়ে গেছে! 💛🙃

01/03/2023

- কি তাহলে আমার কথা মনে আছে নাকি ?
- মনে থাকবে না কেনো রোজ তো দেখা করতাম কত গল্প করতাম ।
- কোথায় খালি ঢপ না !
- স্বপ্নে আসতাম দুজনে কত গল্প করতাম , কত নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যেতাম ।
- হয়েছে আর নেকামো করতে হবে না একটু ভালোবাসো না আমায়।
- হুম বাসি তো কিন্তু দেশ কে একটু বেশি ভালোবাসি।
- সত্যি আমার গর্ব হয় আমার স্বামী দেশের জন্য লড়াই করে ।
- সত্যি বলোতো তোমার ভালো লাগে এই একা একা থাকতে আমায় ছাড়া ?
- কোথায় তোমার চিঠির অপেক্ষা তো আমার সঙ্গী হয়ে থাকে ।
- আর বেশি দিন নেই একটা লম্বা ছুটি পাবো তখন এসে না হয় একটা নতুন সদস্য ঘরে আনার প্ল্যানটা করবো ।
- ধুর কি সব বলোনা লজ্জা লাগে না !
- ওরে বাবা ওনার আবার লজ্জা হয়েছে ।
- চলো একসাথে খাবো আজ তারপর বর্ডার এর গল্প করবো।
- বললে না তো আমায় কেমন লাগছে ?
- ভালো কিন্তু কিছু একটা মিসিং যেনো ...
- কি মিসিং আবার ?, তুমি আসবে বলে আজ সেজে বসে আছি কখন থেকে আর এসেই খুঁত ধরা শুরু করে দিলে।
- এই দেখো কপালে এই টিপ টা এবার তুমি সম্পূর্ণা ।
- পাগল একটা যাও হাত পা ধুয়ে এসো ভাত বাড়ছি এক সাথে খাবো ।

কেই বা জানত এটা আমাদের একসাথে বসে শেষ খাওয়া হবে । হটাৎ আবার ফোন বর্ডারে যুদ্ধ লেগেছে কি ভাবেই বা তোমায় আটকাতাম । শুধু এই টুকু বলতে পারতাম খেয়ে যাও । তারপর আবার তোমার ফোনের আসায় বসে থাকা আবার সেই অপেক্ষা কে সঙ্গী করে দিন কাটানো । তবে ফোন আসে, শুনি দেশে আরো ছয় জন শহীদের নাম যোগ হয়েছে তাতে তোমার নাম টাও আছে । কথা বলার আর সাহস পাই নি । রাজার মত এলে আবার তবে শুধু যে দেহটাই এলো , গাড়ি চড়ে পতাকা জড়িয়ে ।

আমার সাথে কিন্তু তোমার রোজ দেখা হয় ওই স্বপ্নে,কত গল্প হয় কত নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াই।আজ আর ভুল করি না , মনে করে কপালে টিপ পড়ি। আজও তুমি আছো আমার স্বপ্নে আমার ভালোবাসায় ।

ছবি সংগৃহিত

01/03/2023

ঘুম ধরছে না৷ আননোন নম্বর দিয়ে বাড়িওয়ালার নম্বরে চল্লিশটা মিসডকল দিলাম ৷ ব্যাক করে বলে, কে রে ব'দমাশ?

কল কেটে দিলাম৷ রাত দেড়টার সময় কল ব্যাক করে কেউ এভাবে কথা বলে ! সামান্য ভদ্রতা জ্ঞান নাই ৷

মেসেজ দিলাম, আপনার বাড়ির গেটে লোকজন ফিসফিস করছে ৷

একটু পর বাড়িওয়ালার দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম৷ দৌড়ে উনি গেটে গেলেন ৷ খটরমটর করে গেট খুললেন৷

আজব মানুষ৷ এত রাতে কেউ গেট খুলে এমন শব্দ করে?

এমনি আমার ঘুম ধরছে না৷ তার ওপর শব্দ৷ কেমন যে বির'ক্ত লাগে এসব অভ'দ্রতা দেখলে?

এখন বাজে রাত দেড়টা ৷ গার্লফ্রেন্ডকে মেসেজ দিলাম আননোন নম্বর থেকে - তুমি সোহানের যে গোপনে প্রেম করছো তা আমরা জেনে ফেলেছি৷ তোমার আব্বাকে বলে দিব সকালেই ৷ আর তাছাড়া সোহানও ভাল না৷ আরো ছয়টা মেয়ের সাথে প্রেম করে৷ চাইলে ছবি পাঠাবো প্রমাণ স্বরুপ৷

কি যন্ত্রণা! গার্লফ্রেন্ড আমাকে টেক্সট দিল ৷ সোহান তোমার নামে এসব কি শুনছি ৷ তুমি নাকি ছয়টা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছো ৷ তুমি এতবড় বদ'মাস? চরিত্রহী'ন?

আমি আমার নম্বর থেকে টেক্সট দিলাম, জানু কি বলছো এসব ৷ আমিতো ছয়টা প্রেম করি না ৷ তবে আমি রিনুকে ছাড়া বাঁচবো না ৷ রিনু তোমার ক্লাসমেইট৷ সরি তোমাকে সত্যটা বলতেই হলো ৷ ক্ষমা করে দিও ৷

এই মেসেজ পাওয়ার পর থেকে গার্লফ্রেন্ড সমানে কল দিয়ে যাচ্ছে আমাকে ৷ এতরাতে কথা বলা পছন্দ করি না আমি ৷ কল ধরবো না৷ এমনিতেই আমার ঘুম ধরছে না ৷

এবার রিনুকে মেসেজ দিলাম ৷ রিনুতো আবার প্রেম করে সাজুর সঙ্গে ৷ আননোন নম্বর থেকে মেসেজে লেখলাম, রিনু তোমার বয়ফ্রেন্ড সাজু কাল সকাল দশটায় বিয়ে করবে তার এক্স প্রেমিকাকে৷ সে তোমাকে ঠকিয়েছে৷ যত দ্রুত পারো সকাল সকাল শাহবাগ কাজি অফিসে যাও ৷ তাদের বিয়ে ঠেকাও ৷ আমাকে তুমি চিনবে না ৷ আমি তোমার শুভাকাঙ্খি৷

এখন তোরা সারারাত টেনশন কর বাপু ৷ আমাকে ঘুমাতে হবে৷ এমনিতে আমার ঘুম ধরছে না ৷

#অনুগল্প

নিত্যনতুন গল্প পেতে পেইজে ফলো করুন 🍁

পেজঃ 👉 Humanobot

28/02/2023

কি দাদু!!!!
কি দেখছেন?
হিংসে হচ্ছে? রাগ হচ্ছে ?
সমাজ নােংরা হচ্ছে?
-- মনে হচ্ছে তাে, এখন দুটোকে টেনে এনে ঠাঁটিয়ে চড় মারতে পারলে খুব ভালাে হতাে?

আপনাদের এমন দেখলে খুব সমস্যা হয় না?

হ্যাঁ; দুটো ছেলে-মেয়ে একে অপরকে ভালােবাসছে। হ্যাঁ, ভা-লাে-বা-স-ছে। । 💝💝

🖤 হতে পারে, ছেলেটা হিন্দু মেয়েটা মুসলমান। ওরা ভালােবাসে, যেটা নাকি আপনাদের কাছে অধার্মিক। সেটাই করছে ওরা, যেটা আপনারা কখনােই পারেননি।

🖤 হতে পারে, মেয়েটা ছেলেটার থেকে ২ বছরের
বড়াে। ওরা ভালােবাসছে, যেটা আপনারা হয়তাে
কখনাে ভাবেন ওনি।

🖤 হতে পারে, মেয়েটা বিবাহিত। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ আজ ৫ বছর। আজ সে আবার নতুন করে মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছে, তারা ভালােবাসছে।

🖤 হতে পারে, ছেলেটার ব্লাড ক্যান্সার, হয়তাে
বেশিদিন সময় আর তার হাতে নেই, তাই প্রিয় বান্ধবীর সাথে হয়তো একটু সময় কাটাচ্ছে, হয়তাে তারা ভালােবাসছে।

-- আপনার চোখের সামনেই দুটো ছেলে মেয়ে এভাবে একে অপরকে ভালােবাসছে দেখে আপনার প্রতিবাদ করতে মন চায়। বড় প্রতিবাদী মন আপনার।
আপনি.. বেঁচে থাকতে করুন না প্রতিবাদ;

📌 কর্মসংস্থানের অভাবে গরীবের ছেলেটা কলেজের ডিগ্রি নিয়ে ঘুরছে আর অর্থশালী বাবার ছেলেটা HS পাস না করেই চাকরি পায়।।
প্রতিবাদ করুন।।

📌 মুখের উপর সত্য কথা বলেছিলাে, তাই নেতারপােষা গুন্ডাদের হাতে মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা ছেলেটার হয়ে প্রতিবাদ করুন।।

📌 ৭ বছরের বাচ্চা মেয়েটার শরীরটাকে সারারাত ধরে ৩ টে পশু মিলে অত্যাচার করলাে। আপনার নিজের পাড়াতেই তাে, তিনটে পশুকেও আপনি খুব ভালােভাবে চেনেন।
তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।।
করবেন না, কারণ আপনার ও তাে ওই একই বয়সের একটা নাতনি আছে, কিছু বলতে গেলে যদি.... ছিঃ। |

📎 প্রতিবাদ করতে হলে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন নয়তাে ফিরে যান। মানুষ হয়ে জন্মেছে যারা মানুষের মত বাঁচতে দিন তাদেরও। আপনাদের তৈরি নিয়মের রশিতে সকলকে গরুর খুঁটিতে বাঁধতে যাবেন।।

বিঃদ্রঃ- যারা এমন মানষিকতার অধিকারী।
ঠিক তাদের জন্যই উৎসর্গিত।


❤️ Humanobot

27/02/2023

Sir, আমার বেতন বাড়ান 😒
Boss : সম্ভব না 😢
- তাহলে আগামীকাল থেকে আমাকে বিকাল ৫ টার পর ছুটি দিতে হবে!😒
Boss : কেন?🤔
- আমি সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাতে, অটো রিকশা চালাবো।🙂
কারণ, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই বেতন দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর।😰
Boss : Okey, তবে অটো চালাতে চালাতে মধ্যরাতে যদি তুমি ক্ষুধার্ত হয়ে যাও,😞
কমলাপুর রেলস্টেশনের
দক্ষিন পাশে আইসো!😊
- কেন?🤔
Boss : মধ্যরাতে আমি ঐখানে পরটা-ভাজি বিক্রি করি.!🙂

(Collected)

26/02/2023

•• ভালোবাসা ••

অবনী ঘরে ফিরে দেখে কোচকানো বিছানার ওপর এলোমেলো জামাকাপড়, ফুলদানিটা জলশুন্য, জানালার পর্দাগুলো টানা নেই বলে পশ্চিমের রোদে বিছানা উত্তপ্ত। রান্নাঘরে এটো বাসন। তরকারির ঢাকনা খোলা। ওটা আর খাওয়া যাবেনা। বিড়ালে যদি মুখ দিয়ে যায় ?

পাঁচবাড়ি কাজ সেরে ফেরা অবনী বসে পরে। মনের মধ্যে আলোড়ন ওঠে, এভাবে কি আর হয়? এভাবে প্রশান্তর রাত করে বাড়ি ফেরা, ভোরে বেরিয়ে দুপুরে ফিরেই আবার বেরিয়ে যাওয়া! ঘরে টাকা আসছে বেশ। ওর নিজের টাকাগুলো খরচা হয়না তেমন। প্রশান্তর ওভারটাইম এ বেশ গুছচ্ছে সংসার! কিন্তু এ কিরকম সংসার! দুজনের দেখা নেই। দু দন্ড আলাপ হয়না, শুধুই দৌড়ে বেরোনো।

ঘরে টিভি এলেও সারা সন্ধ্যে বেশ একা লাগে অবনীর। তারপর রুটি করে শুয়ে যাওয়া। অবনী ভাবতে বসে আগে ও যখন এই রান্নার কাজ শুরু করেনি তখন নিজে বেশ জমিয়ে রাঁধত। প্রশান্ত তখনও ওভারটাইম শুরু করেনি। দুপুরে একসাথে খাবার খেয়ে এটো বাসন একসাথে মেজে ভাতঘুম দিতো বেশ! হ্যা ঘরটা তখনও কাঁচা ছিল। টিভি ছিলোনা ঠিকই কিন্তু প্রেম ছিল ঠিক!

ওদিকে প্রশান্তর জল তেষ্টা পেলে ও দেখে টোটোতে জলের বোতল নেই, ওর দীর্ঘশ্বাস পরে। মনে পরে আগে বেরোনোর আগে অবনী নুন চিনি মিশিয়ে দিতো জলে। তারপর রুমাল দিতো, কিছু মুড়ি। এখন আর এসবের বালাই নেই ঠিকই কিন্তু পকেটে টাকা আছে, নতুন মোবাইল কিন্তু ফোন আসেনা! ও ও যে ব্যস্ত।

দুজনেই বোঝে, ওরা আসলে সংসার গুছোতে গিয়ে সংসারের আসল ভিত যে ভালোবাসা - মেলামেশা সেটাই গেছে এড়িয়ে!

অবনী পাঁচবাড়ির মধ্যে তিনবাড়ি গিয়ে বলে তার দ্বারা আর কাজ করা হবেনা। শেষে ফেরার পথে মাংস কেনে। গরম কষা মাংস যে প্রশান্তর বড্ড পছন্দ!
প্রশান্ত বাড়ি ফিরছিল। রাস্তায় ধারে যে গোলাপ বেচে তার খুব জ্বর। গোলাপ বিক্রি না হওয়ায়, পয়সা না থাকায় ওষুধ কেনা হয়নি।

- "ও দাদা আজ কি একটাও গোলাপ বেচা হয়নি ?"

- আজকাল আর প্রেম কৈ? সবারই তো তাড়া।
সংসারের যাতায় পড়লে কি আর প্রেম থাকে?

প্রশান্তর কথাটা মনে লাগে ভীষণ। সে দুটো গোলাপ নেয়। দুজনেই আজ সময়ের আগে বাড়ি ফেরে। দুজনেই বেশ অবাক হয়। তারপর দেখে দুজনেরই প্রেম মরেনি এতটুকুও, কেবল হারিয়েছিল সময়ের অভাবে, সংসারের চাপে !

গোলাপের সুঘ্রান আর পছন্দের কষা মাংসের আঘ্রানে ঘরজুড়ে আজ আবার সেই চেনা বসন্তের সুর ভাসে!

ওরা কিন্তু বাঁচিয়ে নিলো ঠিকই, ওদের নিজেদের প্রেমকে। আপনারাও চাইলেই ঠিকই পারবেন। তাই শুধু গল্প পড়লে হবে না, মন দিয়ে পড়তে হবে।

কলমে - #অম্বিকা

22/02/2023

উম হুম...গলাটা ভালোভাবে ঝেড়ে নিয়ে আর কিছুটা দ্বিধা নিয়েই জ্যোতি একটি মেয়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো....,
- হাই! আমি জ্যোতি। তোমার ব্যাচমেট।
মেয়েটি নোটস পড়া থামিয়ে চোখ তুলে ভালোভাবে ছেলেটিকে একবার পর্যবেক্ষণ করে নিয়ে বললো,
- হ্যালো! হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ?
- না মানে আসলে... মানে বলছিলাম যে..
- উফ্ এত মানে মানে না করে বলে ফেলো কি চাই। আর আমি বাঘ বা ভাল্লুক কোনোটাই নই যে তোমায় হাম করে খেয়ে ফেলবো। আজব।
- আসলে আমি একটু তোমাদের ব্যাচে লেটেই অ্যাডমিশন নিয়েছি। তাই ফার্স্ট এর চ্যাপ্টার গুলোর কোনো নোটস আমার কাছে নেই। তাই তুমি যদি একটু হেল্প করতে মানে।
- ওঃ এই ব্যাপার। তা সামান্য এটা বলতে এত ভয় ?
- না মানে সবাই বলছিল তুমি এখানকার টপার। তাই তুমি আমায় নোটস দেবে কি না.... না মানে অনেক টপারদেরই দেখেছি তারা নোটস দিতে চায়না তাই ভাবলাম...
জ্যোতিকে পুরো কথা টা শেষ করতে না দিয়েই মেয়েটি বললো..
- তাই তুমি ভাবলে আমিও দেবো না তাইতো?
- না মানে!
- ধুর মশাই! এই কথায় কথায় এরকম মানে মানে করাটা বন্ধ করবেন কি? নয়তো আমি নোটস দেবো না।
- সরি সরি আর করবো না হেহে..!
- ওহ তুমি হাসতেও পারো! আমি তো ভাবলাম তুমি খালি মানে আর মানে করতেই পারো আর এরকম ভয় ভয় এক্সপ্রেশনটা ভালোভাবে দিতে পারো...।
- না ওই আর কি। একটু নার্ভাস হয়ে গেছিলাম। তো তোমার নামটা জানতে পারি ম্যাডাম?
- বাব্বা সোজা ম্যাডাম একবারে! যাক ভালো, কেউ তো একটু সম্মান দিলো। আমি চিত্রা।
- ও নাইস নেম।
- থাক থাক হয়েছে। আচ্ছা তোমার কি মোবাইল আছে? থাকলে নম্বরটা দাও।
- অ্যা মানে কেন?
- আজব ছেলে তো তুমি! আরে, আমি পরের দু সপ্তাহ পড়তে আসবো না। তাই তুমি যদি আমার বাড়ি এসে নোটসগুলো নিয়ে যেতে ভালো হতো, সেজন্যই নম্বর চাইলাম।
- ওহ্ না না মানে এমন সুন্দরী মেয়ে এরকম হুট করে নম্বর চায়নি কোনোদিন তাই অবাক হয়েছিলাম একটু।
- আবার মানে????
- আচ্ছা আর বলবো না। এই নাও আমার নম্বর। তো ম্যাডাম মাঝে সাঝে কি পড়াশোনার বাইরেও আমি একটু কল করে কথা বলতে পারি? ইফ ইউ ডোন্ট হ্যাভ এনি প্রবলেম।
- আমায় কি এতটাই সিরিয়াস মনে হয় যে আমি পড়াশোনা ছাড়া কিছুই করি না বা করতে জানি না?
- না না সেটা কই বললাম? এমনিই ওই আর কি...!
- আচ্ছা, আমি তোমায় মিসড কল দিয়ে দেবো। সেভ করে নিও।
********
- কিগো গিন্নী কিছু মনে পড়ছে? সেই আমাদের প্রথম দেখা টিউশন ক্লাসে?
- মনে আবার থাকবে না? তোমার সেই ভয়ার্ত মুখটা আজও আমার স্পষ্ট মনে আছে, বাবারে কে বলবে সেই ভীতু ছেলেটাই শেষে কিনা আমার ঘাড়ে চাপলো। তাও নয় নয় করে পঁচিশটা বছর।
- সত্যি আমিও ভাবিনি সেই সিরিয়াস মেয়েটাই কিনা আমার বউ হবে। দেখতে দেখতে পঁচিশটা বছর পার করে ফেললাম বলো?
- হুম্ আজও সেই প্রথম দিনটা আমার মনে আছে। তোমার আর আমার প্রত্যেকটা কথা।
- ওহ্ তারমানে প্রথম দিনই আমায় ভালোভাবে নোটিস করেছিলে? মানে ফার্স্ট দিনেই তুমি লাইন মারছিলে নাকি গো?
- মোটেই না।
- উম সেই, বুঝি বুঝি!
- কী বুঝলে শুনি?
- না মানে কিছু না...
- তোমার সারাজীবনে এই মানে মানে করাটা আর গেলো না বলো?
- কি করবো বলো ! তুমি সামনে থাকলেই যে সবকিছু গুলিয়ে যায়। এই পঁচিশ বছর কেটে গেলেও সেই প্রথম দিনের মতোই আমার হার্ট বিট আজও বেড়ে যায়।
- সত্যি পারোও তুমি। পাগল একটা।
- আর তুমি পাগলি একটা।
- হুম তোমারই তো।

©️চন্দ্রাণী দাস
ছবি সংগৃহিত

18/02/2023

যারা বুঝে গেছে ভালোবাসা কি, তারা আর কখনো কাউকে ভালোবাসে`নি..!🖤

17/02/2023

ইশাকে জোর করে একটা ঘরে কতগুলো লোক এনে বন্ধি করে রাখে...... ইশা চিৎকার করে বলে যাচ্ছে কারা আপনারা আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন প্লিজ আমাকে যেতে দিন আমি বাড়ি যাবো প্লিজ..... ইশা চিৎকার করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে..... মেঝেতে বসে পরে হাটু ঘেড়ে কান্না করতে করতে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে ইশার চোখ মুখ ফুলে গেছে.....

প্রায় আধঘন্টা পরে দরজা খোলার শব্দ শুনতে পেয়ে ইশাচোখ তুলে মানুষটিকে দেখে যেন ইশার চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে.... ইশা দৌড়ে গিয়ে ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে ফুফিয়ে কান্না করতে থাকে......

ইশা : জিসান ভাইয়া তুমি এসেছো দেখনো ভাইয়া ওরা আমাকে এখানে রেখে চলে গেছে প্লিজ তুমি আমাকে বাড়িতে নিয়ে চলো আমার এখানে খুব ভয় করছে....

জিসান ইশাকে নিজের কাছ থেকে..... সরিয়ে আলতো করে ইশার চোখের পানি মুজে দেয়.....

জিসান : তর কোনো চিন্তা নেই আমি থাকতে তর কেউ‌ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না এমন কি একটা ফুলের টুকাও দিতে পারবে না..... আগে তুই এখানে একটু বস

ইশা : না ভাইয়া আমি এখানে আর থাকবো ওরা আবার চলে আসবে....

জিসান : আসবে না তুই এখানে বস....

ইশা চুপচাপ সোফাতে বসে পড়ে জিসান ইশার সামনে এক গ্লাস পানি ধরে.....

জিসান : নে পানিটা খেয়ে নে তাহলে ভালো লাগবে তর.....

ইশা এক দমে পুরা গ্লাসেে পানিটা শেষ করে ফেলে......

ইশা : ভাইয়া এখন তো চলো এখান থেকে......

জিসান : ইশু তর সাথে আমার কিছু কথা আছে.....

ইশা : ভাইয়া আমি তোমার সব কথা শুনবো আগে এখান থেকে...... চলো না হলে ওই গুন্ডা গুলো এখানে চলে আসবে....

ইশা চলে যাওয়ার জন্য দরজা কাছে যেতেই জিসান বলে.... যেই কথাটা শুনে ইশার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়...ইশা ভাবতেই পারে নি এমন কিছু করবে
জিসান....

জিসান : এখানে তকে কোনো গুন্ডারা তুলে আনে নি ইশু আমি তকে এখানে তুলে এনেছি....

ইশা জিসানের কথা শুনে ধমকে যায় জিসানের দিকে ফিরে তাকায়...আবাক দৃষ্টিতে

জিসান : আবাক হচ্ছি তাই তো কিন্তু এ ছাড়া আমার যে আর কোনো পথ খুলা ছিল না রে....

ইশা : আমাকে এখানে কেন তুলে এনেছো ভাইয়া..... স্থির কন্ঠে

ইশা জিসানের কথা শুনে খুব একটা বড় শক খায়....

জিসান : আমি তকে বিয়ে করতে চাই ইশু....

ইশা : কি বলছো কি এসব ভাইয়া তুমি কি ভুলে গেছো আমি তোমার কে হই আমি তোমার বোন হই‌ আর তুমি কিনা আমাকে বিয়ে করতে চাইছো....

জিসান : হে তুই আমার বোন হোস কিন্তু খালাতো বোন.... আমি তকে ভালোবাসি ইশু সেই‌ ছোট বেলা থেকে আমি যে তকে হারাতে পারবো না ইশু ( ইশার দুগালে হাত রেখে জিসান বলে)

ইশা : ছিহ ভাইয়া তুমি ভাবলে কি করে আমি তোমাকে বিয়ে করবো আর আমি তোমাকে ছোট বেলা থেকে নিজের ভাই হিসাবে দেখে এসেছি... জিসানের কাছ থেকে সরে দাড়ায় ইশা

জিসান : কিন্তু আমি তো কোনো দিন বোনে চোখে দেখি নি.... প্লিজ ইশু রাজি হয়ে যা না বিয়েতে তকে ছাড়া যে আমি বাচতে পারবো না ....

ইশা : তুমি মরো বাচো তাতে আমার কোনো যায় আসে না আমি এখানে এক মুহুর্তও থাকবো না.....

ইশা চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়.....

জিসান : ইশা আর এক পাও এগুবি না

ইশা ভয় পেয়ে যায় জিসানের কথা শোনে কারন জিসান সবসময় ইশাকে ইশু বলে ডাকে আর যখন প্রচন্ড রাগ হয় ইশার উপর তখন ইশাকে ইশা বলে....

জিসান : তুই যদি আর এক পা এগোস তো তুই বুঝতে পারছিস আমি কি করবো.......

ইশা : কি করবে তুমি...

জিসান : সেটা তুই ভালো করে জানিস ইশা আমি কি করতে পারি নিজের জিনিস পাওয়ার জন্য....

ইশা : ভাইয়া তুমি কেন আমার সাথে এমন করছো তুমি জানো‌তো আমি রাহুলকে ভালবাসি তারপরও.... ..
. ইশা আর কিছু বলতে পারলো না

জিসান : চুপ এক দম চুপ ওই কু....র বাচ্চা রাহুলের নাম তুই মুখে আনবি না বলে দিলাম.... যদি ওর নাম তর মুখে শুনি তো তকে ঘুন করে ফেলবো আমি বলে দিলাম.....

ইশার আত্না কেপে ওঠে জিসানের দিকে তাকিয়ে.... চোখ গুলো লাল হয়ে রক্তবরণ ধারন করেছে তার পরও ইশাকে নিজেকে সামলিয়ে কাপা কাপা কন্ঠে বলে....

ইশা : ভাইয়া প্লিজ তুমি আমার সাথে এমন করো না....

জিসান : ঠিক আছে করবো না তাহলে আমাকে বিয়ে করে নে এতে তরও ভালো আমারও ভালো....

ইশা : না আমি এই বিয়ে করবো না...

জিসান : ঠিক আছে তর‌ মনে হয় আমার সাথে বিয়ে করার আগেই বাসর করতে ইচ্ছা করছে তাই তো ঠিক আছে এই‌ ইচ্ছাটা আমি তর পুরন করবো আজ পর্যন্ত কোনো ইচ্ছা তর অপূ্র্ন রাখে নি আমি তো এটা কি করে অপূর্ন রাখি বল....

জিসান ইশার দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যাচ্ছে..... ইশা জিসানের এগুনো দেখে পিছাতে‌ পিছাতে দেয়ালের সাথে আটকে যায়....

ইশা : ভাইয়া প্লিজ আমার সাথে এমন কিছু করো না.....

জিসান : ওকে জান কিছু করবো না তাহলে বিয়েতে রাজি হয়ে যা....

ইশা : না আমি বিয়ে করবো না তোমাকে......

জিসান : ঠিক আছে তাহলে আমিও আমার কাজ শুরু করি.....

জিসান ইশার গলা থেকে ওরনাটা সারাতে যাবে তখনেই ইশা চিৎকার করে বলে.....

ইশা : ঠিক আছে আমি বিয়েতে রাজি....

জিসান : গুড.....

ইশাকে পার্লারের মেয়েরা সাজাতে আসে.... জিসান আগে থেকেই সব ঠিক করে রাখে....

"""""মেডাম প্রিজ কান্না করবেন না সব মেকাপ‌নষ্ট হয়ে যাচ্ছে......

ইশাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়...... লাল বেনারসি.... খোপায় বেলি ফুলের মালা.... হাতে চুড়ি চোখে কাজাল কিছুটা লেপ্টে গেছে কান্না করার জন্য.....

জিসান ইশার চোখের পানি মুজে দেয়..... আর ইশার মাথায় কাপড় দিয়ে বলে...

জিসান : এখন ঠিক আছে... আর তর চোখে যেন আমি বিয়ের সময় পানি না দেখি....

জিসান কাজী ডেকে আনে.....

জিসান আর ইশার বিয়ে হয়ে যায়..... ইশা অনেক কষ্টে বিয়ের সময় কান্না আটকিয়ে রাখে....... ইশা তো কান্না করতে করতে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে.....

জিসান ইশাকে একটা জোরে ধমক দেয়....

জিসান : ইশা চুপ এক দম আর এক বার যদি তর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই তো তর খবর আছে বলে দিলাম....
ইশা: ( হুম সব কিছু কি নিজের ইচ্ছা মতো হবে নাকি একটু কি নিজের মতো করে কান্নাও কি করতে পারবো না)

ইশা অনেক কষ্ট করে নিজের কান্না টা আটকে রাখে কিন্তু কান্না আটকে রাখার কারণে হেচকি উঠে যায়...ইশার

ইশা হেচকির শব্দ শুনে জিসান ইশাকে পানি খেতে বলে.......

এবার পরিচয়টা দেই নাবিলা ইসলাম ইশা আর্নাস ১ম বর্ষে পড়ে .... বাবা মার এক মাএ সন্তান... কিন্তু ইশার বাবা মা নেই যখন ইশা ক্লাস সেভেনে পড়তো তখন ইশার বাবা মা মারা যায় কার এক্সিডেন্টে তখন থেকেই ইশা জিসানদের বাড়িতে থাকে..... জিসানের মাকে মা মুনি বলে ডাকে আর জিসানের বাবাকে বাবাই বলে ডাকে...... জিসান চৌধুরী বাবা মার এক মাএ সন্তান তবে ছোট একটা বোন আছে.... ইন্টারে পড়ে..... খুব জেদি এক রোগা আর ভিষন রাগী জিসান ..... যেটা তার চাই সেটা যেকোনো মূল্যে আদায় করে নেয়...... জিসান একজন নাম করা বিজনেসম্যান আবারও...... একজন মাফিয়া...

জিসান : আর এক বার যদি কান্না করার আওয়াজ শুনতে পাই তো তোর খবর আছে বলে দিলাম.... আর এত কাদার কি আছে তকে তো আর কেউ মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে না.... শুধু বিয়েই তো হয়েছে তোর এতে এত মারা কান্না করার কি আছে আমি মরলেও হয়তো তুই এভাবে কাধবি না......

তুই_শুধু_আমার💕
Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
Part_1

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Medinipur?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

Medinipur