Binte Jakir - বিনতে জাকিরヅ
তারা বললো এখানে তোমার মূল্য নেই যেখানে মূল্য আছে সেখানে যাও...
অতঃপর আমি আমার রবের নিকট চলে এলাম!
তাঁর সাথে কীসের হিসাব?
যিনি বে-হিসাবে দান করেন!💔
প্রকৃত প্রশান্তি কেবল রবের নিকট 🌼🌼
চোখ দ্বারা করা গোনাহ্ নমাজের মধ্যে পাওয়া প্রশান্তি কেড়ে নেয় 💔
এই মোবাইল হবে কারো জান্নাত তো কারোর জাহান্নামের কারণ!
আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ কি!
আমি জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষিপ্ত করা সেই ইব্রাহীম আ. এর জেগে থাকা দুঃসাহসী সন্তান।
আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী রহ.
গীবত বা চুগলখরী করা
পরের কথা বললে পাপ হবে তাও জানিস অমুক....মূলত গীবত আমরা এই ভাবেই শুরু করে থাকি,সাবধান...!!
কম বেশি আমরা সকলেই এটার সাথে পরিচিত সম্পৃক্ত।পরের দোষ ভুল ত্রুটি নিয়ে কথা বলতে কে'না ভালোবাসে ,কখনো নিজে কিছু না বললেও তৃপ্তি ভরে অন্যের গীবত শুনে থাকি আমরা, এ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে!নাহলে এর ভয়াবহ আযাব ভোগ করতে হবে।
আচ্ছা বলোতো,কোনো একজনের ভাই মারা গেছে এবার যদি তাকে বলা হয় তোমার মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাবে? তাহলে কি সেই মানুষ টা খেতে ইচ্ছুক হবে? না কখনোই না বরং যে এমন কথা বলবে তার ওপরে রেগে যাবে এমন কি মারতেও পারে !!
অথচ আল কোরআন এ মহান আল্লাহ বলেছেন - হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত ১২)
আচ্ছা ভেবে দেখো তো নিজের অজান্তেই আমরা কতো বড়ো জঘন্য কাজ করছি প্রতিনিয়ত,কোনো মানুষ বললে হয়তো বা বিশ্বাস করতাম না কিন্তু আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা বলছেন সরাসরি কোরআনে,আর এই নির্দেশ না মানলে আমাদের কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখা উচিত।
গীবতের আযাব খুব ভয়াবহ এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে
গীবত জাহান্নামে শাস্তি ভোগের কারণ:
রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেনঃ “মিরাজ কালে আমি এমন কিছু লোকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখগুলি পিতলের তৈরি, তারা তা দিয়ে তাদের মুখমণ্ডল ও বক্ষগুলিকে ছিঁড়ছিল। আমি জিজ্ঞাস করলাম, এরা কারা হে জিবরীল? তিনি বললেনঃ “এরা তারাই যারা মানুষের গোশত খেত এবং তাদের ইজ্জত-আবরু বিনষ্ট করত (আবূ দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস সহীহ্।)
চোগলখোরের শাস্তি দেখলেন, তাদের পার্শ্বদেশ হতে গোশত কেটে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে; আর বলা হচ্ছে, যেভাবে তোমার ভাইয়ের গোশত খেতে, সেভাবে এটা ভক্ষণ করো। অনুরূপ দেখলেন গিবতকারীদের শাস্তি। তাদের অগ্নিময় লোহার নখর দিয়ে তারা তাদের চেহারা ও বক্ষ বিদীর্ণ করছে। বললেন, হে জিবরাইল! (আ.) এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো সেসব লোক যারা পশ্চাতে মানুষের গোশত খেত (আড়ালে সমালোচনা করত)।
আমাদেরকে সাবধান হওয়া উচিত,,খুব কঠোর ভাবে সাবধান হতে হবে ইন শা আল্লাহ্।
রমাদানে রোজা রাখা
•
নিজে পালন না করে অপরকে উপদেশ দেওয়া, এ যেনো নিজেকে জাহান্নামের আগুনে পোড়ানোর জন্য নিজেই ইন্ধনের যোগান করা।। আস্তাগফিরুল্লাহ
~ ফেরা'র কথা
•
অশান্তির জিঞ্জির ছিড়ে শুরু হোক প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রশান্তির নতুন অধ্যায়!যে অধ্যায়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় থাকবে রবের সন্তুষ্টি!দূরে হোক রক্তরিত হতে থাকা প্রতিটি হৃদয়ের অশান্তি!
প্রসান্তময় বাতাসে হৃদয় তখনই প্রকৃত প্রশান্তি পাবে,যখন সে এই হৃদয়টিকে প্রকৃতপক্ষেই রবের কাছে শপে দিবে ইনশা আল্লাহ্
ফেরা'র কথা
পারছেন না নফস ও শয়তানের সাথে লড়তে,হেরে যাচ্ছেন..??
আচ্ছা,বাদ দিন না লড়াই__তুই হানাফী,তুই আহলুল হাদীস, তুই সুন্নি,তুই অমুক তুই তমুখ.....মুসলিম হয়ে কি বাঁচা যায় না..?
যেটার মধ্যে সঠিক টা পাবেন সেটা বেছে নেন না!আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তো আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান দিয়েছেন,আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে সাহায্য চান,বলুন আপনার রব কে তিনি যেনো আপনাকে সঠিক রাস্তা টা বাতলে দেন..!
চলুন না মুসলিম হয়ে বাঁচি...! এক সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে,আল্লাহর আদেশ আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত নিয়ে!
বাদ দিন না লড়াই,নিজেরাই যদি একে ওপরের প্রতি এমন ক্ষোভ নিয়ে চলি,তাহলে তো বিজাতীরা সাফল্য পাবেই আমাদের ওপর!
শিরক,বিদআত মুক্ত জীবন গড়তে হবে,যেমন জীবন ছিল নবী(আ),রাসূল(সা),সাহাবা(রা)গণের!
জান্নাত তো সবাই চান,তাহলে জান্নাত কোন রাস্তায় আছে সেটাকে নিজেকে খুঁজতে হবে..কতশত রাস্তার মধ্যে একটা রাস্তা যেটা জান্নাতে নিয়ে যাবে, আপনি জেনেও নিলেন যে সেটা ইসলাম কিন্তু এখন যে মানুষ গুলো এই ইসলামকেও ভাগ করে ফেলেছে!,এখন আপনাকে চোখ,কান খোলা রেখে সঠিক রাস্তার দিকে এগোতে হবে..,ভুল রাস্তায় চললে যে এর পরিণাম ভয়াবহ,খুব ভয়াবহ!নিশ্চয়,আপনি সঠিক রাস্তায় চলতে চাইলে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাকে সাহায্য করবেন,কারণ তিনিই তো সাহায্যকারী দয়ালু রব!
ফেরা'র কথা
আমি বলছিনা আপনাকে যে আপনি মানুষদেরকে ভালোবাসবেন না..?
আমি বলছি আপনি মানুষদের কে ভালোবাসুন শুধুমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলার জন্য..!
তারা আপনাকে খুশি করলেও আপনি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলার শুকরিয়া করবেন আর তারা কষ্ট দিলেও..!!কারণ তাদের দেওয়া কষ্ট তে আপনার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না বরং আপনার গোনাহ্ মাফ হচ্ছে আর আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে,আর আপনি তাদের দেওয়া কষ্টের জন্যই বারবার রবকে স্মরণ করছেন..!
আচ্ছা,এরকম মানুষের দেওয়া কষ্ট মোমিনের জন্য নিয়ামত নয় কি..!?
ফেরা'র কথা
Click here to claim your Sponsored Listing.