Social ,beauty Nature of পুরুলিয়া

#টুসু_পরব
✍️ অমরেশ মাহাতো
___________________________________________

পৌষ যখন স্লগ ওভারে ব্যাট করছে, ঠান্ডার শেষ ওস্তাদি মারে জুবুথুবু গোটা বাংলা- পশ্চিমের সীমান্ত বাংলা তখন পরবানন্দে উষ্ণ! পাহাড়ি ঝর্ণার মতো কলকল করছে ঝাড়খন্ডী জীবনখাতে প্রবহমান ভাব লহরী। বৃদ্ধ বাদ্যকরের বাঁশির সুর- পৌষ মাগনা- ঢেঁকিশালের ছন্দময়তা অনায়াসে মিশে যাচ্ছে কৃষকের ধানভরা খলাখামারে। এই মাটির মানুষের এখনই তো সারা বছরের খাটুনি শেষে ক্ষণিকের বিশ্রাম! এই দিন তাঁদের শ্রম সার্থকতা সোনা হয়ে ওঠার- তাই এই লগ্ন উদযাপনের, এই তিথি হরষে পালনের!

রাঢ়ভূমি মানব সভ্যতার আদিভূমি। কাঁসাই-শিলাই-সবন্নাখার কূলে যেমন সৃজিত, লালিত হয়েছে মানব, অহল্যার বুকে তেমনই জন্ম নিয়েছেন একাধিক দেবদেবী। এঁরা বয়সে বৈদিক পুরাণের থেকেও পুরানো, পূজা-পালনে শাস্ত্রীয় বিধিমুক্ত! এঁরা ছোটনাগপুরের একান্ত নিজস্ব দেবতা। পল্লীবাসী চাষীর অন্তরে তাঁদের বাস। এমনই এক দেবী হলেন টুসু। এই টুসু কোনো ফেস্টিভ্যালের সেলিব্রেশন নয়, তাই 'হ্যাপ্পিওয়ালা টুসু' মার্কা গ্রীটিংসের বালাই নেই। গণমাধ্যমে কাউন্ট-ডাউন বা বিজ্ঞাপনের রঙবাহারী জৌলুস নেই। নেই কোনো পঞ্জিকাতুতো নির্ঘন্টও। মানভূঞ, ধলভূঞ, সিংভূঞ অঞ্চলের মানুষদের মুখেমুখে, আন্তরিক আবেগে মাখামাখি হয়ে রয়েছে আঁউড়ি, চাঁউড়ি, বাঁউড়ি, মকর, আখাইন।

এই অঞ্চলে কৃষি যদিও একফসলী তবু শুধু ভিত্তি নয়, কৃষি বর্তমান ও ভবিষ্যতও বটে। বাৎসরিক পূজাপার্বণে নজর দিলে আনাড়ি চোখেও ধরা পড়ে কৃষিকেন্দ্রিকতা। স্পষ্ট বোঝা যায় ধর্মজীবনের উপর উর্বরতাবাদে পুষ্ট কর্মজীবনের রেখাপাত। চাষের শুরুতে রহইন মাটি- বীজ বপন, বর্ষার আগমনে মঙ্গল কামনায় গাঁ-গরামের আবাহন আবার চাষের সাময়িক বিরতিতে আশ্বিন ফুরাতে কার্তিক সামহাতে কৃষকের সাথী বাঁদনা-বর্দার পূজন! চাষীঘরে কাজের শেষ নেই, আবার কাজের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ধর্মভাবনা। তাই পরবেরও শেষ নেই! ধরম ও করম এর চক্রাকার আবর্তনে এভাবেই এগিয়ে চলে অনার্য সভ্যতার চাকা। টুসুও এর ব্যতিক্রম নয়, বরং টুসু হল কৃষিকেন্দ্রিকতার উন্নততম ফসল- অন্তরে ও বাইরে উভয়তই। অগ্রহায়ণে কেটে ফেলা সোনালী ফসলে যখন উপচে পড়ে খামার, তখনও চাষী তার ভরা ক্ষেতের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখে কয়েকগাছি ধান আকাটা রেখে। এই ধান্যলক্ষ্মী যেন কৃষক আর কৃষিজমির সেতুবন্ধ। তারপর আঘন সাঁকরাইতের শুভদিনে মৌনব্রতী ভক্তের মাথায় চেপে ঠাকরাইন আসেন খামারে। আলপনা দেওয়া স্থান

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য
Chemtaburu, Ajodhya Hills Purulia

ছবি: Janardan Mahato

পূর্ণিমার আশা,জীবনে একদিন অমাবস্যা কেটে গিয়ে চাঁদের আলো ফুটবেই।

দার্জিলিং,সিকিম তো এখন ইতিহাস📜
পুরুলিয়া জুড়ে শুধু বর্ষার মরশুম
🌧মেঘে ঢাকা পাহাড়🌧

পুরুলিয়ার পুঞ্চায় 5০০ বছরের পুরোনো বুদ্ধ মুর্তি।

ভালোবাসার পুরুলিয়া❤️❤️❤️

আমাদের পুরুলিয়া সুইজারল্যান্ড থেকে কম কিসে।😍
Palashgram Eco Resort থেকে মাঠাবরু পাহাড়ের ভিউ।⛰️

এই মাটি, এই উপশম ...
পাহাড়ের নাম মুররাবুরু ; মুররা মানে ন্যাড়া, বুরু মানে পাহাড় ...

ছবি ও কলমে - Durgadas Mahanty

ll এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত ll
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া,
চরণে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি....🍃🍂

ছবি প্রশান্ত কুমার সুর

শীতের জড়তা কেটে পাতাঝরা গাছের আবার সবুজ কচি পাতায় ভরে যাওয়া শাখাগুলো জানিয়ে দেয়, বসন্ত আসছে ; মনখারাপের সন্ধ্যাবেলায় রঙচটা রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পলাশের গাছটা একদিন ভরে থাকে ফুলে ! সূর্যাস্তের আলোয় , পলাশের রঙে বয়ে চলে জীবনের আর্টপেপারে মানবজমিনের আঁকিবুকিও , ক্যামেরায় আর কতটুকু ধরা যায় !

ক্যামেরা বন্দীঃ- Durgadas Mahanty

আজ থেকে আবার নতুন ভাবে পোস্ট করা শুরু করছি।
🙏