The Villagers :-
গ্রাম বাংলার মাটিতে
Bhog er l jonno dariye sobai...
Bon kali puja Gazole
Joy ma bonkali
বিদায় বেলায়
ওরা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় টা উপভোগ করছে ,
Banarash.
Gonga snan 🙏🙏
ভোরের আলো
শীতকালের সকাল
সত্যই আছে, অনন্তকাল আছে, অনন্তকাল থাকিবে – মিথ্যা আমার সৃষ্টি – আমি চোখ বুজিয়া সত্যের আলোক আমার নিকটে রুদ্ধ করিতে পারি, কিন্তু সত্যকে মিথ্যা করিতে পারি না। "
----রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
home delivery
🙏🙏😇❤👪😇❤👪
এক গর্ভবতী স্ত্রী তার স্বামীকে জিগ্যেস করলো, “তোমার কি মনে হয়, ছেলে হবে না মেয়ে হবে ?”
স্বামী – যদি ছেলে হয় তাহলে ওকে আমি অঙ্ক পড়াবো, ওকে নিয়ে রোজ খেলতে যাবো, মাছ কিভাবে ধরতে হয় সেটা শেখাবো…
স্ত্রী- আর যদি মেয়ে হয় ?
স্বামী - আর যদি মেয়ে হয় তাহলে তাকে কোন কিছু শেখানোর দরকার নেই।
স্ত্রী- কেন ?
স্বামী - কারন, আমার মেয়ে আমাকে দ্বিতীয়বার নতুন করে সবকিছু শেখাবে… কি পরতে হবে…কিভাবে খেতে হবে… কোথায় কি বলতে হবে না বলতে হবে… একদিক থেকে দেখলে সে আমার দ্বিতীয় মায়ের মতই…আমি তার জন্য কিছু করতে পারি আর নাই পারি সে আমাকে চিরদিন নিজের হিরো মনে করবে… … যখন আমি কোন কিছু করতে তাকে নিষেধ করবো সে আমাকে বুঝতে চেষ্টা করবে। আর সবসময় তার স্বামীর সঙ্গে আমার তুলনা করবে। সে যে বয়সেই পৌঁছাক, সারাজীবন এটাই চাইবে যে আমি তাকে একটা Baby Doll এর মতই ভালবাসি। মেয়ে বলেই সে আমার জন্য পুরো সংসারের সাথে লড়াই করবে, যখন কেউ আমাকে দুঃখ দেবে সে তাকে কোনদিন ক্ষমা করবে না।
স্ত্রী- তার মানে হচ্ছে, তোমার মেয়ে তোমার জন্য যা কিছু করবে তা তোমার ছেলে করতে পারবে না ?
স্বামী- সেটা না… এমন হতে পারে আমার ছেলেও এসব করতে পারে… কিন্তু সে শিখবে। আর মেয়ে এই সব গুন নিয়েই পৃথিবীতে জন্ম নেবে।
স্ত্রী- কিন্তু সে তো চিরকাল আমাদের সাথে থাকবে না।
স্বামী- কিন্তু আমরা তার মনের ভেতরেই থাকবো। এতে কোন কিছু যায় আসে না সে কোথায় গেল না গেল…কারন মেয়েরা সবসময় বিনাশর্তে ভালবাসা আর দেখাশোনার জন্যই জন্ম নেয়। একটা কথা মনে রাখবে মেয়ে ভাগ্য সবার হয় না… যে ঘর সৃষ্টিকর্তার পছন্দ সে ঘরেই মেয়ের জন্ম হয়।।
#সংগৃহীত #
স্বামীজীর বাঘা"
বাঘা ছিল স্বামীজীর পোষা কুকুর। একবার সে বেলুড়মঠে স্বামীজীর পোষা একটি হরিণকে কামড়ে আহত করে। সেই অপরাধে বাঘা তার মনিবের নির্দেশে মঠের সাধুগণের দ্বারা গঙ্গার পরপারে বরাহনগরে নির্বাসিত হয়। কিন্তু সেই দিনই রাত্রিতে সে গঙ্গা পার হয়ে মঠে ফিরে আসে এবং অতি প্রত্যূষে স্বামীজী শয্যা ত্যাগ করে বাইরে আসামাত্রই তাঁর পায়ে মাথা ঘষে কাঁদতে থাকে। স্বামীজী তার অপরাধ ক্ষমা করে বললেন --- "যা বেটা, তোর সাত খুন মাপ।"
বাঘার ক্রিয়াকলাপে মঠের অনেকেই অনুমান করতেন যে, পূর্ব জন্মে সে হয়তো ঠাকুরের কোনও ভক্ত ছিল এবং বিশেষ কোনও অপরাধে এই জন্মে সে কুকুর হয়ে জন্মেছে। বেলুড়মঠের ওপর মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স ধরা নিয়ে যে মামলার সৃষ্টি হয়, সেই উপলক্ষে একদিন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট স্বয়ং ইনস্পেকশনে আসলে বাঘা তাঁকে মঠের মূল দরজা থেকে পথ দেখিয়ে স্বামীজীর কাছে নিয়ে আসে। ম্যাজিস্ট্রেট রিপোর্ট দেন "The dog has showed me the way. So it must be a monastery." বলাবাহুল্য এর ফলে ট্যাক্স চিরতরে মকুব হয়ে যায়।
স্বামীজীর দেহত্যাগের পর বাঘা প্রায় পাগল হয়ে যায় এবং ক্রমে অসুখে ভুগে মারা গেলে তাকে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়। পরের দিন স্বামী সারদানন্দজী কলকাতা থেকে নৌকোয় মঠে আসবার সময় দেখেন যে বাঘার মৃতদেহ ভাটায় ভেসে এসে মঠের ঘাটে আটকে আছে। তখন তাঁরই নির্দেশে ওকে মঠের প্রাঙ্গণে তুলে এনে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্তমান চন্দন গাছের নিচে সমাহিত করা হয়।
এই প্রসঙ্গে স্বামী সারদানন্দজী মঠের সাধুদের বলেছিলেন, "স্বামীজী বলে গেছেন, বাঘা চিরকালই মঠে থাকবে। ওকে তোমরা কেন গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছ?"
('শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলা-অভিধান' বই থেকে সংগৃহীত)