সহচরীর ঐক্যতান - Sohochorir Oikyotan
লিখতে চান বা গান বা আবৃত্তি বা আঁকতে চ?
ঐতিহাসিক ইতিহাস তুমি আবার লেখো,
কত মায়ের কোল হল খালি।
ঐতিহাসিক ইতিহাস তুমি আবার লেখো,
পেলো না সেই গ্রামের ছেলেটা পরিচয় , ঘর ছেড়েছিল যে দেশ মাকে স্বাধীন করবে বলে।
নারীও হয়েছিল অস্ত্রধারীনী ভারত মাতার পাহাড়ায়
বর্তমানকে জানাতে।
ঐতিহাসিক ইতিহাস তুমি আবার লেখো,
রুমেলা তুমি গল্প বলো লোপার , নাম লেখো গার্গীর।
ইতিহাস যদি বর্তমান বদলায় তবে আরও একবার অতীতকে লেখো
বাংলার সন্তানের রহস্যময় মৃত্যুর পর্দা উঠুক
লেখো তুমি কাহিনী তাঁর
ইতিহাস তুমি সত্য বলো,
ইতিহাস লেখো বঞ্চিতদের , দলিত , পতিত, প্রতারিতের
ইতিহাস যেন বর্তমান বদলায়
তাই...
ঐতিহাসিক তুমি ইতিহাসটা আবার লেখো।।
কলমে ও ছবিঋণ : #শ্রেয়সী 💞
পুরুষ ও প্রকৃতি
রং নাকি আমাদের লিঙ্গ ঠিক করে দেয় , কি ? বুঝলেন না তো , এই যেমন ধরুন আপনি যদি একটা মেয়ে হন তাহলে সবাই আপনাকে গোলাপী, লাল ইত্যাদি রং এর মধ্যে জড়িয়ে ফেলবে , আর ধরুন আপনি যদি ছেলে হন কেউ না কেউ নিশ্চয়ই বলবে নীল, কালো এই সব রং এর পোশাক পড়ুন আপনাকে ভালো লাগবে। সত্যি কি তাই? একটা রং কখনো আপনার, আমার ভেতরে থাকা মানুষ টাকে শনাক্ত করতে বা সুন্দর করে তুলতে পারে?
আমি মৌ , আমি একজন কলেজ পড়ুয়া , কম বয়সে এত রকমের মানুষ, তাদের রকমারি মানসিকতা এবং তাদের তৈরী করা কিছু অত্যন্ত জটিল মূহুর্তের সাক্ষী থেকেছি যে সময়ের আগেই বড়ো হয়ে গেছি।
আমি ভীষন সাধারণ একটা জীবন কাটাতে চেয়েও বার বার বিফল হয়েছি, কেন জানেন? কারণ চারপাশের যে মানুষ গুলো আছে এই যেমন ধরুন পরিবার , প্রতিবেশী, দোকানদার কাকু , ঐ যে জামা কাপড়ের দোকান গুলোয় টেবিলের ঐ পাশে যারা দাঁড়িয়ে থাকে আর আপনি দোকানে ঢুকলেই বলে "আপনি তো বেশ কম বয়সী মেয়ে একটু গোলাপী, লালের উপরে পোশাক দেখাই ভালো মানাবে আপনাকে, অথবা আপনি শার্ট দেখতে চাইলে আগেই বলে ওঠে " আরে! দাদা কালো রং টা কিন্তু আপনাকে বেশ লাগবে।"
কেন বলুন তো এই যে আমি মৌ, কলেজ পড়ুয়া, ভীষণ সাধারণ, খুব হিংসুটে, অপরিচিত দের সামনে লাজুক আর..... ভীষন রকমের খারাপ একটা চেহারা নিয়ে ছোট থেকে মায়ের কথায় ফর্সা হওয়ার সব চেষ্টা করেও বিফল হয়ে আসছি , সেই মেয়ে যদি আজ রাস্তায় যেতে যেতে ধূসর ও কালো রঙের একটি শাড়ি, কানে ছোট্ট ঝুমকো, কপালে কালো টিপ, চোখে কাজল, ঠোঁটে লাল
লিপস্টিক আর ছোট চুল টাকে পিঠের উপর খোলা দেখে যদি দাঁড়িয়ে পড়ি আর আমার হাতে থাকা মাটির ভাড়ের গরম চা টা চলকে উঠে হাতের উপর পড়ে যায় কেন তখনও এ সমাজ আমাকে লাল আর গোলাপী রঙে বেঁধে রাখবে শুধুই আমি মেয়ে বলে!
What is colour?
রং নাকি মানুষের পরিচয়!
কলমে : #শ্রেয়সী 💞
Krishnakumar Kunnath ওরফে KK
যে কেবল জনপ্রিয় গান গায়নি , গান যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে পর্যন্ত। আমাদের মনের ভালোবাসা, দুঃখ গুলোকে তাঁর গানের মধ্যে সহজেই আমরা খুঁজে পাই।
তার এই আকস্মিক মৃত্যু সবার মতোই আমাদেরও বাকরুদ্ধ করেছে।
KK তুমি ছিলে, তুমি আছো , তুমি থাকবে। ভালোবাসার কোনো ভাষা হয় না, তাই কেউ বিভেদ করে আমাদের মন থেকে তোমাকে সরাতে পারবে না।
1968- Forever❤️🙂
লহ প্রণাম...🌸
রবি ঠাকুরের জন্মদিনে আমাদের দ্বিতীয় নিবেদন।
কলমে : #অলিম্পা 💞
" মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানুষের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই!"
প্রাণের রবির ১৬১তম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য🌻❤️
চিরকুট : #অদিতি💞
যদিও মায়েদের জন্য আলাদা করে কোনো দিন হয়না তাও একটা দিন একটু আলাদা থাক আরও একটু ভালো অনুভব করানো যায় মায়েদের।
শুভ মাতৃ দিবস ❤️
কলমে : #অলিম্পা 💞
💓 আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা রইলো 💓
কলমে : #শ্রেয়সী 💞
সম্পাদনায় : #প্রগতি 💞
অনলাইন হোক বা অফলাইন সব পরীক্ষাতেই মা পাশে থাকে , অভয় দিয়ে বলে : তোর পরীক্ষা ভালোই হবে , যা পড়েছিস তার মধ্যে থেকেই আসবে প্রশ্ন , বেশি চিন্তা করিস না , ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিবি । আমি স্কুলের বাইরেই অপেক্ষা করবো এখানেই আছি আমি।
প্রত্যেক মা এইদিনে এই কথাগুলো দিয়েই ছেলেমেয়েদের আশ্বাস দিয়ে থাকেন। এই আশ্বাস দেওয়া যেন প্রতি বছর যেন ধারাবাহিক ভাবে চলতেই থাকে।
পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে উঠছে, আবার নতুন করে শুরু হবে , সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জানাই শুভ কামনা , তোমাদের পরীক্ষা খুব ভালো হোক।
ক্যাপশনে : #শ্রেয়সী 💓
ডিজিটাল চিত্রাঙ্কন : প্রত্যুষ 💓
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের ছোট্ট নিবেদন।🙏🏻
ভাষা শুধু নয় তোমার আমার, ভাষা সকলের 🙏🏻
কলমে : #অলিম্পা 💞
সম্পাদনায় : #অদিতি 💞
" কী গো আর কত ঘুমোবে? ৬:০০ টা তো বাজে হাঁটতে যাবে না ? কিগো,কি হলো?
এ তো কোলবালিশ চাদর চাপা দেওয়া, হে ভগবান উনি কোথায় গেলেন , কখনই বা গেলেন ! খোকা..... কীরে খোকা কোথায় তুই ? বৌমা ও বৌমা কোথায় গেলে তোমরা দেখ তোমাদের বাবার কান্ড ! "
[এই ভাবে এক নিঃশ্বাসে বাড়ির সব লোককে হাঁক ডাক করে বাড়ি মাথায় তুললেন সুভদ্রা মুখার্জী।]
' আরে , মা ... ও মা তুমি এত চিন্তা কেন করছো , হয়তো বাবা একটু সকাল সকাল হাঁটতে চলে গেছেন তাতে এমন হয়েছে কি ' - বললেন সুভদ্রা দেবীর ছেলে সুমন।
' হ্যাঁ মা তুমি তোমার ছেলের কথা শোনো শান্ত হও , বাবা ঠিক চলে আসবেন ' - সুভদ্রা দেবীকে বোঝাতে থাকেন তাঁর পুত্রবধূ শ্রীমা।
'কিন্ত হাঁটতে গেলে এই ভাবে কোলবালিশের ওপর চাদর চাপা দিয়ে যাবেন কেন ? আমি রান্নাঘরে ছিলাম বউমার সাথে , ডাকতে এসে দেখি উনি বিছানায় নেই চিন্তা কি আর আমি এমনি এমনি করছি ?'
' কী গো কোথায় গেলে গো ? ' বলে ঘরে ঢুকলেন মুখার্জি বাবু।
'বাবা , তুমি কোথায় গেছিলে ? সকাল সকাল মা চিন্তা করতে করতে পাগল হয়ে যাচ্ছে বলে যেতে পারতে তো '!
পরক্ষনেই বাবার কাছে একটু সরে এসে ফিসফিস করে সুমন বলল -' বাবা , হাওয়া গরম আছে এবার তুমি সামলাও '।
মুখার্জীবাবু তাঁর স্ত্রীর এই মুখবিকৃতি দেখে বুঝতে পারেন সকাল সকাল সত্যি বাড়ির হাওয়া গরম আছে ।
এই বাড়ির কর্তা শ্রী সোমরঞ্জন মুখার্জীর বয়স বছর ৬৫ , তিনি ছিলেন একজন বেসরকারি প্রিন্টিং অফিসের ম্যানেজার । এখন অবসরের পর তার প্রতিদিনের অভ্যাস ভোর ৬:০০ টায় হাঁটতে যাওয়া বাড়ির কাছের পার্কে । যেখানে তাকে সঙ্গ দেন তারই মতো অবসরপ্রাপ্ত তার কিছু বন্ধু।
আজকের দিনটা একটু অন্যরকম, একটু বেশি সুন্দর।কিন্তু মুখার্জী গিন্নি জে আজ রেগে আগুন , কি হবে এবার?
'কি গো তুমি কি আজকের দিনেও আমার উপর রেগে থাকবে ? ' জিজ্ঞেস করলেন মুখার্জীবাবু।
'আমি রেগে থাকি আর নাই থাকি তাতে তো কারো কিছু যায় আসে না সবাই এখন নিজের ইচ্ছে মতো চলাফেরা করে ' - রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলেন সুভদ্রা দেবী।
- 'আচ্ছা ঠিক আছে রেগেই থাকো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই তবে? '
-- 'একি অলুক্ষণে কথা বলছো ,বলোতো? ছিঃ ছিঃ ছিঃ এই কথা শোনার আগে আমি মরে গেলাম না কেন? আমি যেন তোমার আগে শাঁখা সিঁদুর নিয়ে চলে যেতে পারি সগ্গে। তুমি কি বোঝোনা যে আমার কতটা চিন্তা হয় । এতটা বয়স হয়েছে তোমার , হার্টের রুগী তুমি ডাক্তার তোমাকে কত সাবধানে থাকতে বলেছে আর তুমি.....'
- 'আমি যদি ভোর ৫:৩০ এ না বেরোতাম তাহলে তোমার জন্য আজকের দিনে এই টা আনতাম কেমন করে!?'
মুখার্জি বাবু তাঁর গিন্নি সুভদ্রার হাতে একটা শালপাতার মোড়ক তুলে দেন। সুভদ্রা দেবী একবার ভীষণ বিস্ময় চোখে তার স্বামীর দিকে চেয়ে থাকেন পরক্ষনেই খুলে ফেলেন নিজের হাতের মোড়কটি , একটি জুঁই ফুলের মালা রয়েছে তার মধ্যে। মুখার্জী গিন্নির মুখে একটা হাল্কা হাসি খেলে যায়।
-- 'তুমি আমার জন্য জুঁই ফুলের মালা আনতে এই ঠান্ডায় বেড়িয়ে গেছিলে , তুমি কি গো ? বয়সটা তো বাড়ছে না কিগো তোমার , বুড়ো বয়সে এমন ভীমরতি কি শোভা দেয় তোমাকে? '
- 'আজকের দিনটা ভুলি কেমন করে আজ যদি আমাদের এই ছোট্ট শহরে বরফও পড়তো আমি বেড়োতাম ঠিকই '।
-- 'কেন আজ কি এমন আছে শুনি? '
- '২২ বছর বয়স থেকে প্রেম করেছি যার সাথে ৩৫ বছরের বিবাহিত জীবন কাটালাম যার সাথে তার জন্য ভ্যালেনটাইন্স ডে তে তার প্রিয় জুঁই ফুলের মালা আনতে ভুলে যাই কেমনে করে! '
-- 'তোমার মনে ছিল ? আমিই ভুলে গেলাম ধুর।'
- 'আরে বাবা আজকের দিনেই তো তোমাকে আমার মনের কথা কলেজ'র গেটের সামনে বলেছিলাম, তুমি এই দিন টা মনে রাখবে বলেই আমাদের বিয়ের তারিখ যেন ১৪ ফেব্রুয়ারি হয় সেটা আমাকে দিয়ে দুই পরিবার কে বলিয়ে নিয়েছিলে।'
-- 'হ্যাঁ তা ঠিক বলেছো , তুমি সেদিন কলেজ'র সামনে এমন চিৎকার করে বলেছিলে যে সব লোকজন জড়ো হয়ে গেছিল , আমার যে কি লজ্জা লেগেছিল ....'
- 'এমন লজ্জা পেয়েছিলে যে কিছু উত্তর না দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেছিলে, কি বলেছিলাম মনে আছে তোমার?'
-- 'হ্যাঁ .... সে আবার মনে থাকবে না? শেষে তো আমার বন্ধুর হাতে চিঠি পাঠিয়েছিলাম আমার মনের কথা জানিয়ে তোমার মতো চিৎকার করে আমি ওমন করে তো আর বলতে পারি না তাই , কিন্তু তুমি আমার বাবার সাথে কথা বলতে গিয়ে যা ভয় পেয়েছিলে ! '
- 'এখনো রেগে আছো আমার ওপর , সুভা? '
-- ' থাক থাক আর ঢং করে সুভা বলে ডাকতে হবে না । চা খাবে তো ?'
- 'এটা ঢং নাকি এ তো ভালোবাসা....'
[বলেই মুখার্জীবাবু হোহো করে হাসতে থাকেন। ]
- ' চা টা বরং এসে খাবো , পার্কে দত্ত দা , বিশ্বাস দা অপেক্ষা করছে নিশ্চয়ই আমার জন্য।'
-- 'এখন আবার পার্কে যাবে?'
- 'হ্যা গিন্নি ওরাও তো আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকে , এই তো আছে এখন অবসরের জীবনটায় , ওরাই আমার বন্ধু , দাও দেখি চাদরটা, ঘুরে এসে গরম গরম চা খাবো তোমার হাতের।'
-'সাবধানে যাও সাবধানে এসো।'
আরে মুখার্জি দা যে, তা আপনারএত দেরি হল আজ? '
- একটি কাঠের বেঞ্চিতে বসে চা খেতে খেতে কথাটি বললেন ৬৭ বছর বয়সের অবসর প্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারক শ্রী তপন দত্ত।
' আজকের দিনটা আমার জন্য একটু বিশেষ,কিছু বিশেষ কাজ ছিল বুঝলেন তাই একটু দেরি হয়ে গেল দত্ত দা , না হলে আমিও কিন্তু আপনার মত পাঞ্ছুয়াল' বেঞ্চের কাছে এসে বললেন মুখার্জীবাবু ।
'হ্যাঁ আজ আপনার দেরি হয়েছে বইকি তা কি বিশেষ কাজ ছিল শুনি ' দত্ত বাবুর তালে তাল মিলিয়ে হেসেই কথাটা বললেন বিশ্বাস বাবু মানে মাননীয় শিক্ষক শ্রী সতীশ বিশ্বাস।তিনি ছিলেন এই শহরের ছেলেদের সরকারি স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক, এখন তিনি সকলের প্রিয় অবসর প্রাপ্ত প্রাক্তন মাস্টার মশাই।
' আজকের দিনেই ৩৫ বছর আগে মুখার্জী গিন্নি আমার বাড়ির লক্ষ্মী হয়ে এসেছিলেন তাই প্রতি বছরই এই দিনটা খুব বিশেষ ' হেসে বললেন মুখার্জীবাবু।
' আচ্ছা ! আচ্ছা , শুভ বিবাহবার্ষিকী মুখার্জী দা খুব ভালো থাকুন আপনারা।'
শুভেচ্ছা জানালেন দত্ত বাবু ও বিশ্বাস বাবু।
'আজ নাকি সব ভালোবাসার দিন কি যেন আছে ? আমার নাতির থেকে শুনলাম কাল রাতে । ওরা এখন বড়ো হয়েছে ওদের থেকেই শুনি আমরা বুড়োরা। '
বললেন মাস্টারমশাই অর্থাৎ বিশ্বাস বাবু।
' হ্যা আমাদের সময় তো এই সব তেমন ছিল না , আমাদের পরিবার গুলো এই প্রেম ভালোবাসা শুনলেই হয়েছিল আরকি তাও যদি একটি দুটি হতো তবে তবে সেই ভালোবাসার দিন ছিল সরস্বতী পুজো ' আড়চোখে মুখার্জি বাবুর দিকে এক রহস্য মাখা হাসি দিলেন দত্ত বাবু ।
' দেখুন দত্ত দা প্রেম করে বিয়ে করেছি ৩৫ বছর আগে, কিন্তু আজকালকার প্রেমে ওই ভাবটা যেন নেই।
পুরোনো দিনের চিঠি আর পুরোনো দিনের প্রেম কেমন করে যে বিলুপ্ত হয়ে গেল তা বলতে পারি না। বুঝলেন তো দাদা এখনকার সবই যেন কেমন নকল মোড়কে মোড়া। খালি কিসব উপহার এবং মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া নেওয়া আর ঠুনকো সম্পর্ক চারিদিকে। আমরা এখন বুড়ো , পুরোনো হয়েছি নতুন প্রজন্মের নতুন প্রেম এসেছে তাই হয়তো আমরা বুঝি না। '
' হরতাল তার যা বলেছেন, তাহলে চলুন ওঠা যাক আজ ' বলেন দত্ত বাবু।
' হ্যাঁ চলুন , তা আপনারা চা খাবেন নাকি আরেক কাপ ' জিজ্ঞেস করেন বিশ্বাস বাবু।
' না ! চা টা আজ বাড়িতেই খাবো' বলেন মুখার্জি বাবু।
অল্প হেসে সায় দেন দত্ত বাবু।
কলমে : #শ্রেয়সী💞
Happy Valentine's Day ❤️
बीती न बिताई रैना बिरहा की जाई रैना
भीगी हुई अंखियों ने लाख बुझाई रैना...
অপূরণীয় ক্ষতি। আমাদের সকলের মনে আপনার গান ছিল আছে থাকবে চিরকাল। ভালো থাকবেন তারাদের দেশে।
Rest In Music!
কবিতা : অমলকান্তি
কবি : নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
পাঠে ও সম্পাদনায় : অদিতি
আবহ সঙ্গীত : https://youtu.be/h0hC5Is5sp0
ফিরে আসবার পর প্রথম পোস্ট আমাদের। পাশে থাকবেন কিরকম লাগলো শুনে জানাবেন...❤️
আবারও একই ভাবে পাশে থাকবেন আমাদের এইটুকুই অনুরোধ সবার কাছে🙏🙂
💓Happy Men's Day💓
নারী বা পুরুষের জন্য আলাদা কোনো দিনের দরকার হয়না কারণ তার আচরণেই তার নারীত্বের আর পৌরুষত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তবুও আজ সেইসব পুরুষদের জন্য এই দিনটি উদযাপন করা যাদের প্রকৃত অর্থেই পুরুষ বলা চলে । তাদের প্রতি রইলো আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা।🙏🏻
কলমে : #শ্রেয়সী 💞
সম্পাদনায় : #অলিম্পা 💞
🙏🏻Happy Diwali🙏🏻
Picture courtesy : 💞
Edited by : 💞
✨️শুভ দীপাবলি✨️
দেখুন, আমি শাস্ত্রজ্ঞ নই। তবুও আমি কিছু কথা বলতে চাই ।
কিছুদিন ধরে ফেসবুকে ' বলি ' নিয়ে অনেক পোস্ট দেখেছি। অনেকেই ' পাঠাবলি ' কে সমর্থন করছে, অনেকেই জীব হত্যা করতে বারণ করছেন, কিন্তু আমার এই বিষয়ে কিছু কথা বলার আছে । এক অজানা কোথাও থেকে জেনে ছিলাম; ' বলি ' - র আসল মাহাত্ম্য, ছোটো থেকেই আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে জানার অনেক ইচ্ছা হতো,সেই সূত্রেই আমি এই তত্ত্বটা জেনেছিলাম,কিন্তু কোন বই কিংবা কোন মাধ্যম তা কিছুই আমার মনে নেই, তবে আমি যেটা জানি,সেটাকে পূর্ন সমর্থন করি ।
শাস্ত্রে শাক্ত পূজায় বলির উল্লেখ আছে,সে কথা আমরা সকলেই জানি । এমনকি একথাও সত্যি যে, শাস্ত্রে ছাগ বলির কথাই উল্লেখ আছে । কিন্তু কি এই কারণ ? কি এই ছাগ এর অর্থ ?
' ছাগ ' কথার অর্থ হলো ' ষড়রিপু। আমাদের মনের ' লোভ, ক্রোধ, কাম, হিংসা, মোহ এবং অহংকার ' এই ছয় রিপুর বলির কথা বলা হয়েছে । কিন্তু প্রথম থেকেই মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে, ভুল রীতি তৈরি করা হয়েছে । প্রথমে নরবলি হতো, এ আমরা সকলেই জানি । এর কারণ, মানুষ তখন মনে করেছে,একজন মানুষ কে বলি দিলেই ষড়রিপু কে বলি দেওয়া যায় ।ধীরে ধীরে যুগ বদলালো,তাই নরবলি বন্ধ হলো । তারপর শুরু হলো ছাগল এর বলি অথবা প্রাণীর বলি, কিন্তু এও ভ্রান্ত ধারণা থেকেই , এখন বিভিন্ন জায়গায় চালকুমড়া বা ফলের বলি দেওয়া হয় ।
তবে সত্যিই বলতে, মানুষ কখনো সঠিক কথা টা কে বুঝতে চাইলো না । ষড়রিপু কে যদি বিসর্জন দেওয়া যায়,তবেই এই জীবনের মুক্তি লাভ হয়, তাই ভগবানের কাছে এই ষড়রিপু কে বলি অর্থাৎ বিসর্জন এর কথা বলা হয়েছে ।
আশাকরি,আমার কথা গুলো সবাই বুঝবে । এই সমাজ যেদিন শাস্ত্রে উল্লেখিত কথা গুলোর সঠিক অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝবে , সেদিন সত্যিই মানকল্যাণ হবে,সবাই মুক্তিলাভ করবে।
কলমে : #অভিজিৎ_বিশ্বাস 💞
🙏🏻কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো উপলক্ষে আমাদের নিবেদন🙏🏻
-------রূপে লক্ষ্মী আসল নয়-------
দেখেছো যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই। রাগে গজগজ করতে করতে রিমির মা রিমির ঘরে ঢুকলো।
রিমির মা : বলি তোর ব্যাপার টা কি আর কতক্ষণ ঘুমাবি তুই?
রিমি : অাহ মা বিরক্ত করোনো তো আরেকটু ঘুমাতে দাও।
রিমির মা : হ্যাঁ সেই তো। তুই ঘুমা সারাক্ষণ, আর আমি খেটে খেটে মরি সারাদিন।
রিমি : আরেকটু পর উঠে যাবো।এতো চিন্তা করোনা সব কাজ হয়ে যাবে।
রিমির মা : এই ওঠ বলছি এখুনি।কাল লক্ষ্মীপুজো। বাজারে যেতে হবে তোকে আমার সাথে।আর এক মিনিটও না এখুনি উঠবি। অলক্ষ্মী তৈরী হচ্ছে দিনদিন।উঠলেই তো ফোন নিয়ে বসে পড়বি। তোর বয়সি পাড়ার অন্যান্য মেয়েগুলোকে দেখেছিস একবার।
রিমি : কেন কি হয়েছে?
রিমির মা : আবার বলছিস কি হয়েছে?
কত করে বললাম অষ্টমীর দিন শাড়ি পড়তে শুনলি আমার কথা? শাড়ি পড়া তো দুরস্থান বললাম অঞ্জলিটা দিতে সেটা পর্যন্ত দিলিনা।
রিমি : মা তুমি তো জানোই আমি খিদে সহ্য করতে পারিনা।
রিমির মা : হ্যাঁ তা পারবি কেন। বাড়ির একটা কাজে যদি তুই লাগিস।
রিমি : আচ্ছা ঠিকাছে উঠছি আমি। আর বকোনা আমায়।
রিমির মা : উঠে উদ্ধার কর আমায়।
এসব বলে আবার রেগে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো রিমির মা।
কিছুক্ষণ পর রিমি রেডি হয়ে ঘরের বাইরে আসলো।
রিমির মা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন।
রিমির মা : হ্যাঁ রে সারাদিন জিন্স টপের বাইরে আর তোর জামাকাপড় নেই। সালোয়ার গুলো পড়তে পারিসনা? পাড়ার অন্য মেয়েগুলোকে দেখ..
রিমির মায়ের কথা শেষ না হতেই রিমি বলে উঠলো।
রিমি : আমি এভাবেই যাবো। যেতে হয় চলো নয়তো আমি ঘরে গেলাম।
রিমির মা : হ্যাঁ তুমি তো মহারানী আবার। কিছু বললেই তো আজকাল মুখে মুখে তর্ক শুরু তোর।
এসব বলে দুজনেই বাড়ি থেকে বের হল বাজারের উদ্দেশ্যে।রিমির মা আগে আগে রিমি পেছন পেছন।একটু দূর যেতেই রিমির হঠাৎ চোখে পড়লো এক বৃদ্ধা রাস্তায় হাঁটছে অসংলগ্ন ভাবে।রিমি সেটা দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো।
হঠাৎ পেছন ফিরতে দেখে রিমি মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। ধমক দিয়ে বলে উঠলো।
রিমির মা : কিরে, একেই বাড়ি থেকে দেরি করে বেড়িয়েছিস আবার দাঁড়িয়ে পড়লি কিজন্য?
রিমি : মা দ্যাখো, ওই বৃদ্ধাকে কিরকম ভাবে যেন হাঁটছেন।
রিমির মা : তো তোর তাতে কি? চল এখন থেকে তাড়াতাড়ি, দেরি হয়ে যাচ্ছে ওদিকে।
রিমি যেন মায়ের কথা শুনতেই পেলোনা। বলে উঠলো তুমি এখানে একটু দাঁড়াও আমি আসছি বলেই ছুট লাগালো সেই দিকে যেদিকে বৃদ্ধা হাঁটছেন।
হঠাৎ রিমি দেখতে পেল বৃদ্ধার সামনে দিয়ে একটা গাড়ি আসছে। অথচ তিনি তাও সরছেন না রাস্তার মাঝখান দিয়েই হাটছেন।
রিমি তাড়াতাড়ি গিয়ে বৃদ্ধার হাত টেনে সরিয়ে আনলো রাস্তার মাঝখান থেকে। তারপর একটু ক্ষিপ্ত হয়েই বলল।
রিমি : রাস্তার মাঝখান দিয়ে কেউ এভাবে হাঁটে? আপনার যদি রাস্তায় আজ কিছু হয়ে যেত। আপনার বাড়ির লোকের কি অবস্থা হতো একবার ভেবেছেন সেটা?
ইতিমধ্যে আশপাশের অনেক লোকজন আর রিমির মা'ও সেখানে চলে এসেছেন। রিমির মা এসেই আগে রিমিকে বললেন।
রিমির মা : রিমি তুই ঠিক আছিস তো?
রিমি : হুম আমি ঠিক আছি।
বৃদ্ধা মহিলা রিমির প্রশ্নের প্রত্তুত্তরে বললেন।
বৃদ্ধা : বাড়ির লোক?যার বাড়ি নেই তার আবার বাড়ির লোক কি গো?
রিমি অবাক হয়ে বললো।
রিমি : তারমানে?
বৃদ্ধা : মা, আমি ভালো দেখতে পাইনা চোখে, বয়স হয়েছে তো। তো ডাক্তারবাবু বলেছেন চোখের চিকিৎসা করাতে।তো আমার ছেলে আর পুত্রবধূ আমায় আশ্বাস দিয়েছিলো ওরা আমার চিকিৎসা করবে। আর পুজোয় অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেবো বলে ওরা আমায় নিয়ে বেড়িয়েছিল। তারপর ওরা আমায় সেখানেই ফেলে রেখে চলে যায়।
আশপাশের লোকজন বলে উঠলো আপনি সেদিন থেকে এভাবে ঘুরছেন রাস্তায়?
বৃদ্ধা :হ্যাঁ।
রিমি বলে উঠলো।
রিমি : যে বাবা মা আমাদের ছোটবেলা থেকে হাত শক্ত করে ধরে রাখে তাদেরকেই এভাবে কেউ কিভাবে কষ্ট দিতে পারে?
বৃদ্ধা : বড়ো আদর করে পুত্রবধূ এনেছিলাম ঘরে মা লক্ষ্মী রূপে তাকে যত্ন করতাম। সেই লক্ষ্মী আজ আমায় ঘর ছাড়া করলো।
রিমি এসব শুনে বললো।
রিমি : আমি করাবো আপনার চিকিৎসা।
মা কে উদ্দেশ্য করে বললো রিমি
রিমি : মা আমার পড়াশোনর জন্য তো তোমরা টাকা জমিয়ে রেখেছো। আমি সেই টাকা দিয়ে ওনার চিকিৎসা করাতে চাই।
রিমির মা শুনে আনন্দে আপ্লুত হলেন।আর বললেন।
রিমির মা : অবশ্যই মা তাই করাস তুই।
এসব শুনে আশপাশের মানুষজন রিমির প্রশংসা করতে লাগলেন। তার মাঝেই বৃদ্ধার চোখে জল। বৃদ্ধা বললেন।
বৃদ্ধা : আজ আমি সাক্ষাৎ লক্ষ্মীর সামনে দাঁড়িয়ে । অথচ লক্ষ্মীর মুখটাই ভালো করে দেখতে পাচ্ছিনা আমি।
বৃদ্ধা রিমির মা কে বললেন।
বৃদ্ধা : তোমার মেয়ে সাক্ষাৎ লক্ষ্মী । মেয়েকে মাথায় করে রেখো।
গল্পটা তাদের উদ্যেশ্য করে লেখা যারা মনে করেন শুধু রূপ থাকলে আর গৃহকর্মে নিপুনা তারাই লক্ষ্মী হওয়ার যোগ্য। লক্ষ্মী হতে গেলে একটা সুন্দর মনের দরকার। তাহলেই যেকোনো মেয়েই লক্ষ্মী হয়ে উঠতে পারে।।
✒️অলিম্পা
ক্যাপশনে : #অলিম্পা 💞
ছবি সৌজন্যে : #অভিজিৎ 💞
মা আসবে বছর পরে।বিসর্জন মানে দুঃখ নয়। বিসর্জন মানে আরো একটি বছরের অপেক্ষা। সকলকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা 🙏🏻
শুভ জন্মদিন শ্রেয়সী। আমাদের পেজ এর অন্যতম প্রধান সদস্যা 💓💓💓💓💓। খুব ভালো থাকিস। এভাবেই পেজের সাথে থাকিস 💓💓
সকলকে জানাই আমাদের তরফ থেকে মহানবমীর অনেক শুভেচ্ছা...❤️
আজ রাত থেকে বিষাদের সুর বাজবে সকলের মনে শুধু শেষবেলায় আনন্দ টুকু উপভোগ করে নেওয়া আর দিন গোনার শুরু পরের বছর মা কবে আসবেন আবার...
আবারও শুভ মহানবমী❤️
কলমে : #অলিম্পা 💞
ছবি সৌজন্যে : #প্রগতি 💞
💓সকলকে মহাষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো 💓
কলমে✒️: #অলিম্পা 💞
সম্পাদনায় : #অদিতি 💞
দেবীপক্ষের শুভেচ্ছা থাকলো সকলের জন্য...
(যদিও আমাদের অনেকটা দেরি হয়েছে তার জন্য আমরা সত্যিই ক্ষমাপ্রার্থী)
কলমে : #অলিম্পা 💞
সম্পাদনায় : #অদিতি 💞
বাংলা চলচ্চিত্র খ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ৬০ তম জন্মদিনে তার জন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা। ❤️
চিরকুট সজ্জায় : #অদিতি 💞
সাহিত্যের কথাশিল্পী রূপে যাকে জানি তিনি হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে আমাদের আজকের নিবেদন 🙏🏻
প্রকৃতি শরৎ এসেছে, হাওয়ায় দুলছে কাশফুল। আকাশে ভেজা তুলোর মতো মেঘমালা প্রতি নিয়ত ছুটে চলেছে দিগন্তের দিকে। আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর বাংলার বুকে আর এক শরৎ নেমে এসেছিলেন। তিনি ' অপরাজেয় ' বাংলা সাহিত্যের কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।আজ ঘোর লাগা মহামারীর বুকে ' শরৎ ' এসেছে নতুন কিছু উপলব্ধি নিয়ে।
তিনি ১৮৭৬ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।বাংলা সাহিত্যে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাশিল্পী, মানব দরদী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিচিত্র অভিজ্ঞতাপূর্ণ জীবনের সঠিক তথ্যের বড়ই অভাব। তাঁর যে কয়েকটি জীবনী গ্রন্থ ও অন্যান্য সূত্র থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে সামঞ্জস্যের প্রচুর অভাব পরিলক্ষিত হয় বলে, সংশ্লিষ্ট গবেষকরা মনে করেন।
বাংলা ছোটো গল্প ও উপন্যাসের এক অবিস্মরণীয় স্রষ্টার নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। জনপ্রিয় কথাশিল্পীর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তাঁর নামটি শুনলেই আমি কেন আমাদের সবার মনেই তাঁর লেখা ' ' দেবদাস ' কিংবা ' শ্রীকান্তে'র কথা মনে পরে যায়। তবে তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য লেখা গুলি মধ্যে 'পথের দাবী'র সব্যসাচী কেই বেশি মনে পড়ে। তিনি তার দৈনন্দিন জীবনের ঘটতে থাকা অতি সামান্য ঘটনাকে অবিশ্বাস্য দক্ষতার সহিত তুলে এনেছিলেন তাঁর সাহিত্যে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার বেদনা গুলো জাদুময় হাতের ছোঁয়া দিয়ে যেন অসম্ভব আবেগ মথিত হয়ে স্পর্শ করেছে কত শত পাঠকের হৃদয়। যেই কারণে তিনি আজও আমাদের মনের মণিকোঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন ও এইভাবে থাকবেন।
' যাহাতে আমার স্থান প্রেমের আসনে,
ক্ষতি তাঁর ক্ষতি নয় মৃত্যুর শাসনে।
দেশের মাটির থেকে নিল যারে হরি।
দেশের হৃদয় তারে রাখছে বরি।'
কলমে : #অনামিকা_সরকার 💞
ছবি সৌজন্যে : #গুগল 💞
শুভ জন্মদিন দাদা...প্রথম থেকেই যেভাবে আমাদের পাশে ছিলে সেভাবেই থেকে যেও,জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থেকো সুস্থ থেকো আমাদের আরও সুন্দর আঁকা উপহার দিও...শুভ জন্মদিন ❤️
প্রখ্যাত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমাদের ছোট্ট প্রচেষ্টা🙏🏻
চিরকুট সজ্জায় : #অলিম্পা 💞
সম্পাদনায় : #অদিতি 💞
🙏🏻শুভ জন্মদিন কাকাবাবুর স্রষ্টা ' সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় '🙏🏻
কলমে এবং সম্পাদনায় : #অলিম্পা 💞
আজ আবার মোরা ভবঘুরে
মুলুক ছেড়ে যাবো দূরে,
আবার মোরা ভবঘুরে
মুলুক ছেড়ে যাবো দূরে,
ভরবো ভুবন গানের সুরে
ভরবো ভুবন গানের সুরে
পুরানো দিনের কথা আসে
মনে পুরানো দিনের কথা আসে,
মনে আসে, ফিরে আসে।
(আহা কী আনন্দ - হীরক রাজার দেশে)
সত্যিই বারবার ফিরে আসে পুরনো দিন গুলো চোখে ভেসে গুপী গাইছেন আর বাঘা বাজাচ্ছেন। দৃশ্যগুলো জীবন্ত হয়ে থেকে গেছে চোখে, আজ গুপী নেই বাঘাও নেই শুধু রয়ে গেছে তাদের শিল্প কিন্তু অনেকসময়ই আমরা সেই মর্যাদা দিতে পারিনি... যাই হোক আজ গুপী অর্থাৎ শ্রী তপেন চট্টোপাধ্যায় এর ৮৩তম জন্মদিনে জানাই আমাদের অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম...
অঙ্কনে : #প্রত্যুষ 💞
শুভ জন্মদিন ঋতু-রাজ❤️
অর্থনীতির ছাত্র থেকে তাঁর
বিজ্ঞাপন সংস্থার ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টের কর্মজীবন,
অদম্য ইচ্ছে, অসীম সাহসিকতা
একেকটা বাধা পেরিয়ে নিজ লক্ষ্যপূরণ।
সহজ ছিলোনা এ পথ চলা
কারণ তিনি ছিলেন সমকামী,
তবুও পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জোরে
সফলতার গ্রাফ ছিল ক্রমেই উর্দ্ধগামী।
ভাবতে ভীষণ অবাক লাগে
ঝুলিতে তাঁর বারোটি জাতীয় পুরস্কার,
কর্মের মাধ্যমে বুঝিয়ে ছিলেন
তিনি গোটা দেশবাসীর অহংকার।
' হীরের আংটি 'চলচ্চিত্র থেকে
তাঁর পরিচালনার সূত্রপাত,
' দহন ' দিয়ে দেখিয়েছিলেন
ধর্ষিতা মেয়ের জীবন সংঘাত।
' উনিশে এপ্রিল 'এ মা ও মেয়ের
পারস্পরিক সম্পর্কের কাহিনীর বর্ণনা ,
' বাড়িওয়ালি 'র নিঃসঙ্গ জীবনের
অবদমিত কামনার এক কল্পনা।
'তিতলি', 'উৎসব', 'চোখের বালি'
কিংবা হোক 'রেইনকোট',
ঊনপঞ্চাশের ঋতুর দেখা দিল
জীবনে এক মহা সংকট।
চলে গেলেন দূর দেশে
থেকে গেল তাঁর কীর্তি,
মিলিয়ে দিলেন জাতি ধর্ম
আর বজায় রইলো সম্প্রীতি।।
কলমে : #অলিম্পা 💞
চিরকুট : #অদিতি 💞
🤗সকলকে জানাই জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা 🤗
ছবি সৌজন্যে : #অদিতি 💞