Uttar er khola hawa
Welcome to uttar er khola hawa & experience this breathtakingly beautiful & enchanting destination.
••••••টুকভার টি বাংলো------
দার্জিলিং টাউন থেকে মাত্র 8'কিলোমিটার দূরে বাংলোটি চা বাগানের মধ্যে অবস্থিত। এই চা বাগানটি সিকিমের রাজ্য সীমান্তে অবস্থিত। মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘার তুষার চূড়াগুলি উপেক্ষা করে - বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী, দার্জিলিং শহর থেকে সিকিম রাজ্যের সীমানা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রসারিত ৫ টি বিভাগ নিয়ে গঠিত এই বাগানটি দার্জিলিংয়ের অন্যতম বৃহত্তম চা বাগান। এটি দার্জিলিংয়ের কাছেই অবস্থিত, যে কেউ এখানে থেকে সহজেই দার্জিলিংয়ের ম্যাল এবং সাইটসিইং গুলি ঘুরে দেখতে পারেন। সিকিমের জোরেথ্যাং মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিজনবাড়ি এখান থেকে কাছাকাছি আকর্ষণ। এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বাদামতম-আরেকটি সুন্দর চা এস্টেট। যে কেউ এখান থেকে সহজেই বিজনবাড়ি ও জোড়থ্যাং (সিকিম) দেখতে পারেন। রঙ্গীত নদীতে মাছ ধরা বা এই নদীঘাটেও দিনের পিকনিকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আকাশ পরিস্কার থাকলে এই বাংলো থেকেই মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।
★বাংলো খরচ-খরচা----
@১,৮০০/- টাকা মাথাপিছু প্রতিদিন সমস্ত মিলসহ-(নূন্যতম চারজন)।
★গাড়ি খরচ: শিলিগুড়ি থেকে বাংলো পর্যন্ত একটি রিজার্ভ গাড়ির ভাড়া (আনুমানিক) @৪,৫০০/- টাকা মতো খরচ পরতে পারে।
★(এই রকম আরো অজানা জায়গার সন্ধান পেতে পেজ টিকে ফলো করে See First অপশন টি অন করে রাখুন)★
More details.. Whatsapp or call us 9564646666
জয়ন্তি যাওয়ার পথে এক বটগাছের নিচে ভোলানাথ বাবার মূর্তি রয়েছে, লোকের মুখে শুনেছি মাঝরাতে জঙ্গল থেকে হাতি এসে বাবা ভোলানাথ কে পূজা দেন!! কিন্তু আজ নিজের চোখে দেখে জীবনটা সার্থক হয়ে গেল!!
হর হর মহাদেব 🙏🙏🙏
ওঁম শ্রী গণেশায় নমঃ 🙏🙏🙏
Ahaldhara and latpanchar
"Uttorer Khaibar Pass" is here Guys ❤
It's the biggest Food Festival of Siliguri with more than 35 food stalls from whole over Bengal is participating in this festival. It's a food paradise for all food lovers. Check out the Stalls in my pictures and their specialities which I tried to cover today.
Date: 25th March to 27th March, 2022.
Time: 1pm to 9:30pm.
📍Dadabhai Sporting Club Ground, Deshbandhupara, Siliguri.
Uttar er khola hawa by Gopal das
Raju mukherjee
Priyanka chatterjee(ayushi)
Anjali sharma
Dhokla ❤️❤️
🚂🚁💨
Theis Meckbach chasing the steam train! 👊😎
Good morning darjeeling
শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা।
শেফালি পুলকে ঝ’রে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা।।
পথের সঙ্গে একা....
যদি বলি এ পথের শেষ কোথায়?
পাহাড় বলবে জানি না
হয়ত বা নদীও
নির্জনতার আকুলতায় ভেসে যেতে যেতে
পথের সঙ্গে একান্ত আলাপন এক পরিযায়ীর
কোথা থেকে যেন ভেসে আসে মাতাল করা সুগন্ধ
যার ঘ্রাণে পরিযায়ীর অবসম্ভাবী মৃত্যু-সুখের....
গাছের সারি কিছু বলতে চায়...
এ ভাবনার আড়ালে পরিযায়ীর কি কোনো ভাষা অব্যক্ত আছে?জানি না
পথের বাঁকে বাঁকে শুকনো পাতার দীর্ঘশ্বাসে
ঠাণ্ডা বাতাসে,বলতে তো কত কি ইচ্ছে করে
পরিযায়ী হেঁটে চলে এ পাহাড় থেকে ও পাহাড়ে
প্রজাপতি ,ইতস্তত নুড়ি পাথর ,সবুজ কচিপাতা
পথের সঙ্গে খেলা করে...
এ পথের শেষ নেই
এ পথের গ্লানি নেই
এ পথের সত্যি কোনো কলঙ্ক নেই.....
©মানব চ্যাটার্জি
photography by গোপাল দাস
admin- Ayushi Chatterjee
উত্তরের খোলা হাওয়া Uttar er Khola Hawa
like comment and share...
🗻🏡 সামথার 👨👨👧👦🌄
শিলিগুড়ি থেকে ২.৫ ঘন্টায় কালিমপং জেলায় অবস্থিত পাহাড়ের কোলে এই ছোট্ট গ্রাম সামথার।
এমন কি আছে সামথার এ? 🤔
কাঞ্চনজঙ্গার এক অপরূপ আর মনোরম দৃশ্য দেখা যায় সামথার থেকে। 🗻 সামথার এ আশার রাস্তা টাও বেশ ভালো আর কিছু সুন্দর জায়গা দেখার সুযোগ পাবেন এই রাস্তা তে। এক কোথায় কাঞ্চনজঙ্গা, সানরাইস, সানসেট, ডুয়ার্স এর প্লেইন, ঝর্ণা, তিস্তা নদী দেখার এক আদর্শ জায়গা সামথার আর আশে পাশের গ্রাম গুলি।
কি ভাবে যাবো সামথার? 🚙
সামথার যাওয়ার মূলত দুটো রাস্তা আছে।
✅️ প্রথম টি হোলো কালিঝোরা ড্যাম এর উপর দিয়ে। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে পারমিশন লাগে, সেটা হোমস্টে বুকিং করা থাকলে কোনো অসুবিধা হবে না। এই রাস্তা দিয়ে গেলে প্রথমে পানবু গ্রাম, পানবু ভিউ পয়েন্ট, ইয়াং মাকুম তারপর সামথার গ্রাম আসবে। খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে আসতে পাবেন এই রাস্তা দিয়ে।
✅️ দ্বিতীয় টি হোলো ২৭ মাইল ড্যাম এর উপর দিয়ে। এই রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে অবশ্য পারমিশন লাগবে না। এই ২৭ মাইল ড্যাম এর ওখানে একটি পিকনিক স্পট আছে, আর আছে একটি হ্যাঙ্গিং ব্রিজ। এই জায়গা টি কে বাঁগে নামেও জানা যায়। বাঁগে, সুরুক পেরিয়ে সামথার পৌঁছে যাবেন।
গাড়ির ব্যবস্থা কেমন?🚙
যেহেতো জায়গা টা অফবিট সুতরাং গাড়ি রিসার্ভ কোরে যাওয়া তাই ভালো। শেয়ার এ গাড়ি সালুগড়ার থেকে পেয়ে যাবেন। অথবা কালিমপং যাওয়ার গাড়ি কোরে ২৭ মাইল ড্যাম এ নেমে গেলে ওখান থেকেও শেয়ার গাড়ি পেতে পারেন। 🛵বাইকার দের জন্য তো এক আদর্শ জায়গা।
কি দেখার আছে সামথার এ? 🙂
✅️পানবু ভিউ পয়েন্ট, রাই দারা, সিনজি তে বুদ্ধ টপ আর হনুমান টক, পাবং, চারকোল, যুগে ফলস পেমলিং এক দিন এর সাইটসিইং কোরতে পারেন।
✅️এক দিন নকদাড়া আর ডাবলিং দারা ঘুরে আসতে পারেন।
✅️ইচ্ছে করলে কালিমপং টাও ঘুরে নেওয়া যায়।
✅️লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ ও এখান থেকে ঘুরতে পারেন।
বিকল্প অনেক আছে শুধু ঠিক থাক প্রোগ্রাম টা সেট কোরতে হবে।
খরচা কেমন সামথার এ? 💵
১৭০০ জন প্রতি প্রতি দিন থাকা খাওয়া নিয়ে আম্মিহুড হোমস্টে সামথার 🏠
বাজেট কিছু কম থাকলে আরো কিছু বিকল্প ব্যবস্থা আছে সামথার, সিনজি, পাবং আর ইয়াং মাকুম এ।
গাড়ি ভাড়া ৩৫০০ শিলিগুড়ি থেকে সামথার।
পরের ছুটি তেই সামথার আপনার ঠিকানা হতেই পারে। পরিবার এর সঙ্গে কাটানোর এক আদর্শ জায়গা।
Present condition of Siliguri to Kalimpong and Gangtok Road; And Triveni Road at Teesta. Never seen the water level of teesta like this..
DRIVE SAFE
AVOID TRAVEL IF NOT NECESSARY AT THIS MOMENT
Picture Source : Darjeeling Hills
Sikkim tourism
ছবিগুলো দেখুন, একদম নতুন জায়গা, কালিম্পং জেলার চন্দ্রলোক আর পুছেদাড়া, আজকের প্রাপ্তি। কোন সন্দেহ নেই, প্রকৃতির এই মোহময়ী রূপে আপনি মুগ্ধ হবেনই হবেন। অসম্ভব সুন্দর মিষ্টি গল্পগুলো পরে হবে।
আগে দার্জিলিং যাওয়ার মূল রাস্তা একটাই ছিল, হিলকার্ট রোড ধরে, অবশ্য পাঙ্খাবাড়ির রাস্তাও ছিল, তবে বেশিরভাগ গাড়ি পর্যটকদের নিয়ে হিলকার্ট রোড ধরেই যাওয়া আসা করত। বেশ কয়েকবছর আগে তিনধারিয়ার কাছে বিশাল ল্যান্ডসলাইংয়ের ফলে রহিনীর রাস্তাই মূল রাস্তা হয়ে ওঠে, সময়ও কম লাগে। হিলকার্ট রোডের মেরামতির কাজ এখনও চলছে, তবে এখন গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করা যাচ্ছে, তবে মানুষ এখন আর ঐ পথে যান না, যাঁদের নিতান্তই তিনধারিয়ায় যেতে হয় অথবা ঐ অঞ্চলের বাসিন্দা শুধু তারাই যান। বহুকাল বাদে ঐ পথে গেলাম, তিনধারিয়া রেল স্টেশনে থেকে দেড় কিলোমিটার মতো এগিয়ে ডান দিকে সামান্য একটু নিচে গোর্খা টেরিটোরিয়্যাল এডমিনিস্ট্রেশন (GTA) বেশ কিছুকাল আগে "স্মৃতিবন" নামে একটা সুন্দর পার্ক গড়ে তুলেছিল, কিছুটা বাতাসিয়া লুপের মতো, পার্কের চারিদিকে বসার সুন্দর ব্যবস্থা আছে, বাচ্চাদের খেলাধূলার ব্যবস্থাও রয়েছে, টয় ট্রেন এসে পার্কটাকে মাঝখানে রেখে গোল করে ঘুরে চলে যায়, ভীষণ ভালো লাগে। পার্কের এক কোনায় একটা রেস্তোঁরা আছে, তার ছাদে জমিয়ে আড্ডা দেবার সুন্দর ব্যবস্থা, ছাদ থেকে চারদিকের দৃশ্য অপুর্ব লাগে, পাহাড়ের কোলে বসে মেঘেরা জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে, আর আমরা ছাদে। আগে কোনদিন যাওয়া হয়নি, গতকাল ঘুরে এলাম, একরাশ ভালোলাগা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
চেনা পথ বড় অচেনা লাগে। বিকেলের শিলিগুড়ি।
কয়েকদিনের ঝড় বৃষ্টি কাটিয়ে উঠে আজ আবার নতুন সাজে সেজে উঠেছে ঝলমলে রৌদ্রোজ্জ্বল পাহাড়।
জীবন আমার কাছে ভীষণ ভীষণ মূল্যবান, আর পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ 'সময়'। এই পৃথিবীতে আমার স্থায়ীত্বের চাহিদার থেকে বড় চাহিদা আর কিছু নেই। তবুও জানিনা কতদিন বাঁচবো, কোন মানুষই জানে না। প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহুর্ত আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান। তাই কাজের অবসরে সময় পেলেই সেই সময়কে চেটেপুটে খেতে ইচ্ছে করে প্রতিনিয়ত। এক্ষেত্রে আমার বিন্দুমাত্র দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। সেই নিরিখেই আজ ছুটলাম বাইক নিয়ে।
আজ আকাশ ছিল ঝকঝকে পরিস্কার, মিষ্টি রোদে ঝলমল করছিল পাহাড়, পাহাড়জুড়ে লকডাউন ওঠার উৎসবে মেতে উঠতে শুরু করেছেন পাহাড়ের মানুষ, সেই উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে আমাদেরও মনে। অজানার উদ্দেশ্যে বাইক ছুটছিল ঝড়ের বেগে, দুপুর দুপুর পৌঁছালাম মিরিকের দশ-বারো কিলোমিটার আগেই অচেনা অজানা ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ 'টিংলিং'' আর সেখান থেকে প্রকৃতিদেবীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা কিছু মনি মুক্ত কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
ছবিগুলো নষ্ট করে লাভ নেই, ফেসবুকে থেকে যাক। কোন এক কালে স্মৃতিচারণ করা যাবে। (০৬/২০২০)
আজ পাহাড়ে মেঘেদের মিছিল ছিল। মিছিলের মাথা ও লেজ দ্যাখা যাচ্ছে না। বুড়ো-বুড়ি, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনী সকলে মিলে রাস্তাজুড়ে হাঁটছে মেঘেরা। বোঝা যাচ্ছে না ওদের দাবী। তবে দুষ্টু দামাল বেপরোয়া মেঘেদের চালচলনে কিছুটা অনুমান করা যাচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনের ফলে দূষণমুক্ত বাতাসে প্রাণভরে ওরা শ্বাস নিতে পারছিল। দূষণ কম হওয়ার ফলে পাহাড়ে ও ডুয়ার্সে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে এখন। মনের আনন্দে গাছেরা যখন তখন স্নান করছে আর ছেলেপুলের হাত ধরে মাথা উঁচু করে আকাশ দেখছে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা উড়ে এসে ওদের মাথায় বসে গল্প করছে, খেলা করছে। কিন্তু মানুষের দল আবার একটা দুটো করে গাড়ী নিয়ে কালো ধোঁয়া উড়িয়ে পাহাড়ে চলাচল শুরু করেছে। সম্ভবত তার বিরুদ্ধেই মেঘেদের ক্ষোভ, জেহাদ, সেই দাবীতেই ওদের মিছিল হয়তো !
মিছিলের একপাশ দিয়ে গাড়িটা আস্তে আস্তে কোন রকমে এগোচ্ছে। টিংলিংয়ের কাছে এসে মিছিলকে পিছনে ফেলে গাড়িটা এগিয়ে পথের ধারে একটা ছোট্ট রেষ্ট্রুরেন্টে দাঁড়াল। মিরিক যাওয়া যাবে না। গতকাল মিরিক হাসপাতালের বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও নার্সের কোভিড পজিটিভ ডিটেক্ট হয়েছে, পুলিশ যেতে দিচ্ছে না। রাস্তাঘাট আটকে দিয়েছে, মিরিক বাজার বন্ধ। অগত্যা গাড়ী ঘুরিয়ে ১০ নম্বর মঞ্জু ফটকে এসে গাড়ী দাঁড়াল।
মঞ্জুগাঁওয়ে সুভাষ ঘিসিংয়ের বাড়ি। সুভাষ ঘিসিংয়ের বাড়ি দেখার বহুদিনের ইচ্ছে, হয়ে আর ওঠে না। ওরা ঠিক করল, আজ দেখে তবেই ফিরবে। মঞ্জু ফটক থেকে পাহাড়ের গহ্বরে গাড়ী নামতে শুরু করল, নামছে তো নামছেই। মিনিট কুড়ি-পঁচিশ যাওয়ার পর মঞ্জুপার্ক। নাম মঞ্জুপার্ক, কিন্তু পাহাড়ের মানুষ উচ্চারণ করেন মাঞ্জুপার্ক। ক্রিকেট মাঠে খেলা শুরুর আগে সমস্ত প্লেয়াররা একে অপরের কাঁধে হাতদিয়ে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে কিসব শপথ-টপথ নেয়। সেইরকম ভাবে চারিদিকে পাহাড়গুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে। মাঝখানের ফাঁকা জায়গাটা মঞ্জুপার্ক। এক কথায় অসাধারণ। পার্কের কাজ শুরু হয়েছিল সুভাষ ঘিসিংয়ের আমলে, বিমল গুরুঙের আমলেও কাজ হয়েছে এখন অনীত থাপাদের আমলেও কাজ চলছে। ঘন অরণ্য বললে ভুল হবে না, গাছগুলো চকচকে উজ্জ্বল সবুজে সবুজ।পাহাড়ের গা বেয়ে জল এসে মাঝখানে একটা পুকুরের মতো জলাধার তৈরী করেছে, তার উপর সুন্দর একটা ব্রীজ। সমতল ভূমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাচ্চাদের দোলনা ও নানারকমের খেলার ব্যাবস্থা, বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
মঞ্জুপার্কের কাছেই আশিষের সাথে আলাপ হল। আশিষ তামাং। শিক্ষিত ছেলে, কনস্ট্রাকশনের কাজ করে। আশিষই ওদের এই অঞ্চলের সমস্ত খবরাখবর দিল। গনতিদাঁড়া, লেপচা ভিলা, অমল বোটে, গৌরীগাঁও আর দাঁড়াগাঁও এই পাঁচটি ছোট ছোট গ্রামকে একত্রে মঞ্জুগাঁও বলা হয়। সুভাষ ঘিসিংয়ের বাড়ি লেপচা ভিলায়। কথাবার্তা সেরে ওদের গাড়ী চলল লেপচা ভিলার দিকে। রাস্তা ভীষণ ভীষণ খাড়া। সুভাষ ঘিসিংয়ের বাড়ি দেখে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজনের সাথে গল্প করে, সেখানকার প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্য্য চেটেপুটে খেয়ে ওদের গাড়ী আবার ছুটলো শিলিগুড়ির দিকে.......
যে পাতা জিভ ও চোখের তৃষ্ণা মেটায়, তবুও কত বঞ্চনা, কত লাঞ্ছনা, কত প্রতারণা, সুখ, দু:খ, স্বপ্ন, আশা, নিরাশার ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এর সাথে ক'জন তার খোঁজ রাখে !!
জঙ্গীপুর কলেজ, লড়াই সংগ্রামের পাঠশালা। যেখানে জড়িয়ে রয়েছে কত আনন্দ, কত সুখ, কত মজা, কত ভালোলাগা-ভালোবাসা, তার সাক্ষী অনন্তকাল ধরে বয়ে চলা ভাগীরথী নদী। যে নদীর বহমান স্রোত আজও মনে করিয়ে দেয় জীবনের সেই রঙ্গীন দিনগুলোর কথা.....
ভাগীরথী। গোধূলির নরম আলো যেথা খেলা করে শান্ত নদীর সাথে।
দার্জিলিং গিয়েছেন অথচ মার্গারেটস্ ডেকে চা খাননি এমন মানুষ অনেক আছেন। আমি নিজেই বার পঞ্চাশেকের কম দার্জিলিং যায়নি, তবুও এই প্রথম ২০২০ সালের ১লা জুলাই মার্গারেটস্ ডেকে চা খেলাম তিতলির সৌজন্যে। পরের সপ্তাহেই আবার ছুটেছিলাম ধ্রুবজ্যোতি মজুমদার স্যার, সোয়েব স্যার আর বৌদি মিলে। তবে তিতলি নয়, ডক্টর তিতলি। ষ্টেট জি এস টি ডিপার্টমেন্টের শিলিগুড়ি রেঞ্জের সিনিয়র জয়েন্ট কমিশনার বরুণ চক্রবর্তী স্যারের মেয়ে। বেচারা সদ্য প্র্যাকটিস শুরু করেছে আর তারই মধ্যে সারা বিশ্বজুড়ে করোনা এসে হাজির। ব্যাস, নিজের চেম্বার আর সমস্ত নার্সিং হোমের প্র্যাকটিস ছেড়ে কোলকাতা থেকে মা'কে নিয়ে সোজা শিলিগুড়ি এসে হাজির, পরদিনই ছুটলাম দার্জিলিং। লকডাউনের মধ্যেই ও ফোন করে জেনে নিয়েছিল মার্গারেটস্ ডেক ১লা জুলাই খুলছে। সেদিনই ছুটলাম দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত ঐ চা'য়ের দোকানে।
পৃথিবীর সেরা চা যদি খেতে চান তাহলে এই মার্গারেটস্ ডেকে আপনাকে একবার আসতেই হবে। এক কাপ চা'য়ের দাম শুনলে আপনি হয়তো একটু চমকে উঠতে পারেন। তবে খাবেন তো মশাই দুই একবার। আমি হলফ করে বলতে পারি, দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার পর আপনার আর কোন কষ্ট হবে না। বরঞ্চ মনে হবে, না এলে মিস করতেন। দুধ এবং চিনি ছাড়া যে চা আপনি খাবেন, আশাকরি আপনার চির জীবন মনে থাকবে।
চা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হয় এখানে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে চা খাওয়ার সময় নিয়ে যেমন চর্চা হয়, তেমনি সারা বছরের প্রতিটি সপ্তাহের চা পাতা নিয়ে গবেষণা হয়। কোন সপ্তাহের পাতা কেমন টেষ্ট সেটা যেমন জানা যায়, তেমনি কত রঙের চা হয় সেটাও জানতে পারবেন। দোকানটা রাস্তার ধারে হলেও একেবারে ঝুলন্ত, অসাধারণ। আপনি হয়তো আমেজ করে পৃথিবীর সেরা চা'টা খাচ্ছেন আর হুড়মুড় করে অবাধ্য বাউন্ডুলে মেঘেরা দলবেঁধে এসে ঢুকে পড়বে দোকানে। যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একবার যাবেন, চা'য়ের প্রতি প্রেম আপনার বাড়বেই বাড়বে।
কথা হচ্ছিল চেতনের সাথে, চেতন শেরপা। একদমই অল্প বয়স, মিষ্টি দেখতে ছেলেটা, ব্যাবহারটাও একই রকম মিষ্টি। চটকপুরে গোটা দুয়েক হোমস্টে আছে ওদের। মা আর বোনকে নিয়ে ওর সংসার। বলল -- "স্যার, আভিতক গাঁওমে মিটিং ন্যাহি হুয়া, দো-চারদিন কে আন্দর ডিসিশন হো যায়েগা, ফারস্ট উইক অফ সেপ্টেম্বর হাম কল কারেঙ্গে আপকো"। আসলে ১৫ই জুন থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত্য ফরেষ্টের সমস্ত জায়গা বন্ধ থাকে। সে জলদাপাড়া গরুমারা বক্সা জয়ন্তীই হোক আর চিমনি চটকপুর বাগোড়া লামাহাটাই হোক। ওয়াইল্ড জীব জন্তুর বিডিং টাইম এটা। একমাত্র মূর্তি আর টিলাবাড়ি ফরেষ্ট কর্পোরেশনের কটেজগুলো খোলা। অন্যান্য বছর ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে সব খুলে যায় কিন্তু এবার যেহেতু করোনার প্রকোপ রয়েছে তাই অনেক ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ওদের। দার্জিলিং কার্শিয়াং মিরিক কালিম্পংয়ের করোনা পেশেন্টদের চিকিৎসা পেতে কোন অসুবিধে নেই, হাসপাতাল নার্সিংহোম আছে, প্রয়োজন হলে শিলিগুড়িতে রেফার করবে, কিন্তু একবার যদি পাহাড়ের এই প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে করোনা ঢুকে পড়ে তাহলে বিনা চিকিৎসায় অনেকে বেঘোরে প্রাণ হারাবে, সেই কারণেই খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইছে গ্রামের সমাজ।
দুই এক বছরে চটকপুর জায়গাটা ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তাই মাঝে মাঝেই ঢুঁ মারতে ইচ্ছে করে। রাত্রি বাস করা যাবেনা জেনেও এবছরের ১লা জুলাই শেষ চটকপুরে যখন গিয়েছি তখই চেতনের সাথে গল্প হচ্ছিল। মাত্র উনিশটা বাড়ি নিয়ে এক পাহাড়ের চূড়ায় এতোটুকু একটা গ্রামে, যেখানে কোন দোকানপাট নেই, স্কুল কলেজ হাসপাতাল তো অনেক দূরের কথা, কিভাবে তাদের জীবন চলে সেটাই ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। কিন্তু হাসতে হাসতে চেতন যা বলল, তাতে ওদের কাছে কোন সমস্যাই নয়। দিব্যি আছে নিখাদ প্রকৃতি, প্রতিবেশীর মতো বা গ্রামের মুখিয়ার মতো গম্ভীর কাঞ্চনজঙ্ঘা আর বন্য জীবজন্তুদের নিয়ে। কথায় কথায় চেতন বলছিল - এখানে অনেক লেপার্ড আছে স্যার, ভাল্লুক আর বুনো শুয়োরও আছে। রাতের দিকে হোমস্টে'র দরজায় নাকি মাঝে মাঝেই লেপার্ডকে শুয়ে থাকতে দেখা যায় খরগোশ আর কুকুরের লোভে। আমাদের বেড়াল তাড়ানোর মতো ঘরের মধ্যে থেকে হাততালি দিয়ে হ্যায় হুই করে ওরা নাকি লেপার্ড তাড়ায়, ভেবে দেখেছেন একবার ? দারুণ রোমাঞ্চকর না ? সেই আকর্ষণেই সেপ্টেম্বরে আবার আসার ব্যাপারে তখনই মনস্থির করে ফেলি। এখন ওদের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের ওপর চেয়ে থাকা ছাড়া আর অন্য কোন গতি নেই !!
সুকনা রেলষ্টেশনের একটু আগে ডানদিকে গুলমা টি এষ্টেটের গেটের গা ঘেঁসেই শুরু হয়েছে গুলমা টি গার্ডেন। কিছুটা যাওয়ার পরই চা শ্রমিকদের বস্তি। বাগানের মধ্যেদিয়েই আঁকাবাঁকা অনেকগুলো রাস্তা এগিয়েছে। যতদূর চোখ যায় জনমানব শূন্য বিস্তীর্ণ সবুজ চা বাগান। বাগানের মধ্যেদিয়েই ছোট ছোট ঝোড়াগুলো অবিরাম বয়ে চলেছে। অনন্তকাল ধরে এই বহমান জলের ধারা কোথা থেকে আসছে ভগবান জানে ! ছেঁড়া ছেঁড়া হালকা মেঘগুলো কার্শিয়াং, দার্জিলিং পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে বিস্তীর্ণ চা বাগানের উপর দিয়ে ভাসতে ভাসতে শিলিগুড়ি শহরের দিকে চলে যাচ্ছে, যেন বেড়াতে বেড়িয়েছে ওরা। বুনো লম্বাটে শেডট্রিগুলো উল্লাসে আকাশ ছুঁতে চাইছে। এবছর প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে, সেই কারণেই তাদের উল্লাস একটু বেশি। বস্তি থেকে দু -কিলোমিটার এগোনোর পর প্রকৃত অর্থেই জনমানব শূন্য। একটা সময় মনে হচ্ছিল রাস্তা হারিয়ে ফেললাম বুঝি! হারিয়ে যেতে ইচ্ছেও করছিল। শেষ বিকেলটা একটু একটু করে অন্ধকারে ভ'রে আসছিল। বহুদিন বাদে ছুটির দিনে অজানার উদ্দেশ্যে আজ বেড়িয়ে পড়েছিলাম। সকাল থেকেই আজ আকাশ মেঘলা। এই পড়ন্ত বিকেলে চা বাগানের ভিতরের রাস্তাগুলোতে আলো আঁধারির খেলা চলছে। কাঁচা, স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার রাস্তা ধরে চলেছি। বহুদূরে গুলমা টি এষ্টেটের ফ্যাক্টরি চোখে পড়তেই সেই রাস্তা ধরলাম। চারিদিক নেটদিয়ে ঘেরা চা-পাতা বহনকারী গাড়িগুলোর ভিতরে দাঁড়িয়ে মহিলা শ্রমিকেরা দুরের বাগান থেকে ফ্যাক্টরিতে ফিরছে। ফ্যাক্টরির ডানদিকের সরু রাস্তাটা চেনা, কিছুটা সোজা এগিয়ে ডান হাতে বাঁক নিয়েই এঁকেবেঁকে দাগাপুর টি এষ্টেটের দিকে চলে গিয়েছে। ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে এখন। এই অন্ধকারেও শ্রমিকরা চা পাতার বোঝা কাঁধে নিয়ে দূরের বাগান থেকে ফিরে রাস্তার ধারেই ওজন করে বুঝিয়ে দিচ্ছে মালিক পক্ষকে।
সকাল সাতটা থেকে পাতা তোলার কাজ শুরু হয়, চলে তিনটে সাড়ে তিনটে পর্য্যন্ত। এই সন্ধ্যাবেলায় কাজ করতে দেখে একটু অবাকই হলাম। কথা হচ্ছিল তিজি মিন্জের সাথে, বলল - সকাল থেকে তিনটে সাড়ে তিনটে পর্য্যন্ত পাতা তুললে এক কেজিতে তিন টাকা পাওয়া যায়। বাইশ কেজির পর ছ'টাকা করে। দিনে কুড়ি থেকে পঁচিশ কেজি পাতা তোলা সম্ভব হয়। আর বিকেল চারটের পর থেকে কাজ করলে কেজি প্রতি ছ'টাকা পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার ফলে সংসারের চাকা মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেই চাকাকে সচল করতে সারাদিন কাজ করার পর বাড়তি দুটো পয়সার জন্য বিকেলেও কাজ করি। এদিকে দীর্ঘদিন বাগানে কাজ না হওয়ার ফলে এবারের কচি পাতাগুলো বুড়ো হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যের পর বাগানে লেপার্ডের উৎপাত থাকলেও তিজি মিন্জরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে কচি পাতাকে বুড়ো হতে না দেওয়ার লক্ষ্যে, হয়তো বা মালিকেরই প্রলুব্ধে....!!
সন্ধ্যের পর থেকেই টিপিস টিপিস করে বৃষ্টি পড়ছিল। মাঝে মাঝেই ক্যামেরার ফ্ল্যাসের মতো বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, মুহূর্তের জন্য রাস্তাঘাট বাড়িঘর সব সাদা নেগেটিভ হয়ে আবার অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে, তারপরই শুরু হল বড় বড় ফোঁটার বৃষ্টির শব্দ। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়িতে বর্ষাকাল অনেকটা সময়জুড়ে থাকলেও অন্য ঋতুতে যে বৃষ্টি হবে না সেকথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে না। কাল সকালে বৃষ্টি হলেই হয়েছে ! সব পণ্ড হবে যাবে ভেবে খারাপ লাগছিল। তবে একটাই ভরসা, এই অঞ্চলের বৃষ্টির স্থায়িত্ব নেই। এই বৃষ্টি, আবার পরক্ষণেই পরিস্কার আকাশ, ঝলমলে রোদ।
সকাল থেকেই আজ আকাশটা কালচে গোমড়ামুখো হয়ে রয়েছে। অন্ধকার অন্ধকার, একটুও হাওয়া নেই। একটু দূরের জিনিস পরিস্কার দেখার মতো আলো এখন পৃথিবীতে নেই। সকাল থেকেই অপেক্ষা করছি কখন আকাশ পরিস্কার হবে ! কিন্তু না, হচ্ছে না আবার বৃষ্টিও আসছে না। বিরক্ত হয়ে দুপুর দুপুর কপাল ঠুকে বেড়িয়ে পড়লাম।
শিলিগুড়ির সেবক রোডে দোমাইলের ফরেষ্ট চেকপোষ্টের পর থেকেই রাস্তার দুপাশে শাল সেগুনের হালকা জঙ্গল। ডানহাতে বৈকুণ্ঠপুরের গভীর অরণ্য, তারপরই রাস্তার দুপাশেই অনেকটা জায়গাজুড়ে সেনা ছাউনি। এবারে রাস্তার দুপাশে গভীর জঙ্গল। একটু এগিয়ে বাঁহাতে বেঙ্গল সাফারি। মসৃণ রাস্তা ধরে বাইক ছুটছে হুসহুস করে। সেবক, কালীঝোড়া, লোহাপুল, রাম্ভীবাজার পেরিয়ে তিস্তাবাজারে এসে যখন পৌঁছালাম তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এসেছে। উপরের রাস্তাটা সোজা চলে যাচ্ছে গ্যাংটক, ডানদিকে তিস্তার ব্রীজ পার হয়ে পনের কিলোমিটার উপরে উঠলেই কালিম্পং শহর, আমরা ঐ রাস্তায় যাবো না। নিচের রাস্তা ধরে তিস্তাবাজার চললাম। এখানে সাধারণত আসা হয় না। গ্যাংটক কালিম্পংয়ে সব সময়ই টুরিষ্ট যাচ্ছে অথচ তিস্তাবাজারে তেমন কেউ আসে না। আগে মাত্র একবার এসেছিলাম, ভীষণ ভালো লেগেছিল গ্রামটাকে। 'অনুসন্ধান' সিনেমার প্রায় পুরো শুটিংটা এখানে হয়েছিল বলে এখানকার একটা আলাদা আকর্ষণ আছে আমার কাছে, তাছাড়া গ্রামটা ভীষণ নিরিবিলি, শান্ত। তিস্তাবাজারের ডানদিকের রেষ্ট্রুরেন্টগুলোয় বসলে সময় কোথা দিয়ে কেটে যায় বোঝা যায় না। রেষ্ট্রুরেন্টগুলোর দেওয়াল ঘেঁসে উত্তাল তিস্তা বয়ে চলেছে, জানালা দিয়ে ভয়ঙ্কর তিস্তাকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখতে হয়। তিস্তা এখানে পূর্ণ যৌবনবতী।
তিস্তাবাজারের শেষপ্রান্তে রাস্তাটা সরু হয়ে বাঁদিকে বেঁকে একটু এগিয়েই শেষ হচ্ছে। পাহাড়টা এখানেই শেষ, তারপর একটা বড় ঝোড়া, ঝোড়ার উপর একটা কাঠের ছোট্ট ব্রীজ, এপারটা কালিম্পং, ওপারটা দার্জিলিং জেলা। এখান থেকে পেশক, তিনচুলে, লামাহাটা, তাগদা, দার্জিলিং খুবই কাছে। ব্রীজ পেরিয়ে এপারে এসে বাঁহাতে খাড়া রাস্তাটা উপরে চলে গেল দার্জিলিংয়ের দিকে। মেঘেদের হুটোপুটি, পাইনের অরণ্য আর ছোট ছোট বাঁক, অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারী এই অঞ্চল। এই রাস্তায় আগে কখনও আসা হয়নি, প্রথম এলাম, তবে উপরে ওঠা হল না, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে, এবারে এখান থেকেই ফিরতে হল মন খারাপকে সঙ্গী করে......আবার কোন একদিনের অপেক্ষায়।
বৃষ্টিভেজা পাহাড় আর পাগলাঝোড়া।
রাতের শেষ প্রহরের অন্তিমলগ্নে -- তখনও 'দিনের' ঘুম পুরোপুরি ভাঙ্গেনি। হালকা লালচে একটা আভা কুয়াশামাখা ঘোলাটে নীল আকাশের বুকে একটু একটু করে গাঢ় হচ্ছে। জমাট অন্ধকারের দল হামাগুড়ি দিয়ে পাহাড়শ্রেনীর মাথা থেকে নিচের দিকে আস্তে আস্তে নামছে। পূব আকাশের দিনের প্রথম আলোর কনারা রাতের শেষ প্রহরের কালো ক্যানভাসে নকশা আঁকতে শুরু করেছে। উত্তর আকাশে আঁধার চিরে ভোরের প্রথম পবিত্র স্নিগ্ধ আলো সারা গায়ে মাখার নেশায় কাঞ্চনজঙ্ঘা উদ্গ্রীব হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আর তার আশেপাশে মেঘেদের দল ঘুরঘুর করছে।
আবার দুটো দিন ওখানেই কাটানোর ইচ্ছে নিয়ে বিবেককে ফোন করেছিলাম, বিবেক তামাং। 'ঘুম' রেলস্টেশনের পাশেই বিবেকদের বাড়ি বা হোমস্টেটা। চমৎকার সব ব্যবস্থা। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক কারণেই সেটা তৈরি করেছে তেমনটা নয়। বিবেক শিলিগুড়িতে পোষ্টেড। বিবেকের স্ত্রী এস বি আই, কার্শিয়াং ব্রাঞ্চে পোষ্টেড। বিবেকের বাবা অবসর গ্রহণ করার পর বাড়িটা একদম ফাঁকা। বাবা-মায়ের সময় কাটানোই মুশকিল। বাড়িতে দুটো লোক এলে হেসে খেলে গল্প করে দিব্যি কাটিয়ে দেওয়া যাবে। বিবেকের বাবা এবং মা মানুষ হিসেবেও অসাধারণ, তেমনি ওনাদের আন্তরিকতা। মনেই হয়না বাড়ির বাইরে আছি। এই বাড়তি পাওনার আকাঙ্ক্ষাতেই বিবেককে ফোন করেছিলাম, কিন্তু পাহাড়ের হোটেলগুলো খুললেও হোমস্টেগুলো খোলার ব্যাপারে সমাজের আপত্তি এখনও বিদ্যমান। শুধু ঘুম বা দার্জিলিংয়ের হোমস্টেগুলোই নয়, চটকপুরের চেতন শেরপারও একই কথা "সমাজ এখনও পারমিশন দেয়নি"। অথচ মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্র নায়কদের কব্জা করে দিব্যি ব্যাবসা বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে। প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘন্টা বাজিয়ে মানুষকে সচেতন না করলেও পাহাড়ের 'সমাজের' কাছে মানুষের সুস্থতার যে এখনও একটা মানবিক মূল্য আছে সেটা বুঝতে অসুবিধে হয় না।
চটকপুর থেকে আজ চেতন শেরপা এসেছিল, বাজার হাট করতে। বাচ্চা ছেলে, বড়জোর বাইশ-তেইশ হবে। ভীষণ মিষ্টি ছেলে, মুখে হাসি লেগেই রয়েছে। মা আর ছোট বোনটাকে নিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে ও। দুটো হোমস্টে আছে ওদের, তিনজনেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে, সারা বছরের বেঁচে থাকার রসদ ওই হোমস্টে দুটো। এবছর প্যান্ডামিকের কারণে খুব সমস্যার মধ্যে আছে ওরা। সরকারীস্তরে এবং স্থানীয় সমাজের ঘোষনায় লকডাউন ওঠাতে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে ওরা। শিলিগুড়ি থেকেই ওরা বাজার করে। শুকনায় ওর এক আন্টির বাড়ি আছে, সেখানেই এসে ওঠে। একসাথে তিন চার মাসের বাজার করলে অনেকটা সস্তা হয়। কোভিড প্যান্ডামিকের কারণে লকডাউনের পর আজ থেকে চটকপুরের হোমস্টেগুলো খুলে যাচ্ছে। বুকিংও ফুল আছে, ট্যুরিষ্ট আসার অপেক্ষায় এখন সাজো সাজো রব। চটকপুরে গিয়ে গিয়ে ওর সাথে একটা মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আজ শিলিগুড়ি এসে ফোন করেছিল, ওকে অফিসে ডেকে নিলাম। অনেক গল্পগুজব হল, সহকর্মীদের সাথে আলাপ করিয়ে দিলাম। চটকপুরের খবর, আবহাওয়ার পরিস্থিতির কথা জানতে চাইতেই হোয়াট্সএপে সাম্প্রতিক কয়েকটা ছবি দিল, সেগুলোই ভ্রমন পিপাসুদের জন্য পোষ্ট করলাম আর ওদের জন্য রইল শুভকামনা। ভালো থাকুক পাহাড়ের এই সহজ সরল মানুষগুলো, ভালো থাকুক পাহাড়..........
Aahaldara is one of the major tourist destinations of Darjeeling at present days and playing a vital role in establishing tourism in Sittong Valley. The main attraction in Aahaldara Sunrise Viewpoint is its natural landscape, a 360-degree view, view of mountains, tea garden and rock climbing. It is located between Shelpu Khasmahal and Mahananda Wildlife Sanctuary where the land it shares is approximately 70% in Shelpu Khasmahal and 30% on Mahananda Wildlife Sanctuary.
This particular viewpoint offers a sweeping view of Sunrise, the view of the colossal Kanchenjunga with many other snow clad eastern Himalayan peaks look like a great rounded mass over the snowy Nathula Range, Sikkim, Kalimpong, Tarai and Dooars. The first rays of the sun shoot ahead and shed light on the twin peaks of Kanchenjunga, painting it reddish-pink and then bathing it in a beautiful orange colour with the blaze of rapidly changing colour of the River Teesta. On a clear day, Siliguri is visible to the east and in the distance, alongwith Teesta River, Mahananda River, Balason River, Reeli Khola and Ryang Khola. This hillock is covered with newly grown Tea Garden and the land formation perhaps give the offer a view one of the wonder of the World "Hanging Garden" Babylon.
Now, it presents itself as one of the most attractive tourist destination of North Bengal and tourist can witness nature in full bloom from this point.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Website
Address
734007