Sudeshna's Passion
cooking/dancing
গরমকালে আলু পেঁপে দিয়ে পাতলা করে মাছের ঝোল খেতে কিন্তু দারুণ লাগে আর মাছটা যদি একদম টাটকা হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাই বাড়ি এসেই আগে গ্রামের বাড়ীতে গিয়েছিলাম মাছ ধরতে।বেশ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় কাতলা, মৌরলা , তেলাপিয়া, পাঙ্গাস ট্যাংরা আরো দু এক রকমের মাছ পাওয়া গেছে। তাই আজ পাতলা করে মাছের ঝোল আর মাছের তেল ঝাল। পুকুরের টাটকা মাছ স্বাদই আলাদা।
প্রায় আড়াই বছর পরে আবার খেলাম। আমরা যারা বাইরে থাকি সত্যিই এই খাবারগুলোকে বড্ডো মিস করি। আলুর চপ মুড়ি, ডিম পাউরুটি (মাথা উঁচু রুটি), ঘুগনি মুড়ি(অবশ্যই দোকানের), গরম গরম সিঙ্গাড়া আর জিলিপি সাথে ধোঁয়া ওঠা চা। বাঙালি হয়ে যদি এগুলো নাই খেলাম তাহলে আর কিসের বাঙালি হলাম বলুন তো।
এক বাটি দুধ শুক্ত আর মৌরোলা (গাং চুনো) ভাজা। আমার আর কিচ্ছু লাগে না। এই দিয়েই পুরো ভাত শেষ করে দিতে পারি।
Sunday special breakfast ❤️❤️❤️
আজ আর ভাত খেতে ইচ্ছে করছিলো না। তাই আজ লাঞ্চ এ এটাই।
সুস্থ থাকাটা যেনো আজকের দিনে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাউকে জিজ্ঞেস করবেন কেমন আছেন দেখবেন বলবে ভালো আছি কিন্তু সঙ্গে ছোটো খাটো কিছু একটা সমস্যার কথা জুড়ে দেবে। পুরোপুরি সুস্থ আছে এমন মানুষের সংখ্যা বোধহয় খুবই কম। এইসব কারণে মানুষ এখন বেশ সচেতন ও হয়ে গেছে। কেউ ওজন বেড়ে গেছে বলে ডায়েট করছে, কারোর ফ্যাটি লিভার আবার কারোর সুগার কিছু না কিছু প্রবলেমের জন্যে অনেকেই খাবার কন্ট্রোল করে খান। আবার কেউ সমস্যা ছাড়া কেবল সুস্থ থাকতে বুঝে শুনে খান।
আমিও চেষ্টা করি কম তেল মশলার রান্না করতে যাতে মেয়েটা ছোটো থেকেই এইরকম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এইরকমই একটা রেসিপি আজ শেয়ার করছি। চিকেনের মধ্যে আদা রসুন বাটা, ধনেপাতা বাটা,জল ঝরানো দই,নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা বাটা আর লেবুর রস ভালো করে মাখিয়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা রাখতে হবে। এবার ননস্টিক প্যানে হাফ চামচ ঘি দিয়ে চিকেন গুলো দিয়ে (একটার উপর আরেকটা দেওয়া যাবে না)মিডিয়াম আঁচে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।জল শুকিয়ে একদিকে কালার চলে এলে উল্টে দিতে হবে। নামানোর আগে চাট মশলা ছড়িয়ে নামাতে হবে।
যেহেতু ঘি এর পরিমাণ খুব কম তাই গরম গরমই খেয়ে নেবার চেষ্টা করবেন আর নুন,ঝাল, টক এগুলো যেনো একটু কড়া থাকে তাহলে খেতে খুব ভালো লাগবে।
সবাই ভালো থাবেন আর সুস্থ থাকবেন।
অনেক রকম ফ্রাই খেয়ে দেখেছি
শান্তি শুধু এই গরম গরম ফিশ ফ্রাই এ ❤️❤️
Weekend special homemade fish fry ❤️❤️
শরীর সুস্থ রাখার জন্যে মাঝে মধ্যে এগুলোও খেতে হয়।
ওভারনাইট ওটস 😌😌😌 খেতে কিন্তু খারাপ নয় 🙂🙂
আর কি চাই ❤️❤️❤️❤️
Pure love ❤️❤️❤️
Ki vabe onner pic churi kore watermark dibbo tule diye nijer name chalate pare Ami sudhu dekhi r vabi r obak hoi .....
চিকেন এর মধ্যে আদা রসুন বাটা, টমেটো বাটা, দই, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা, বেশ খানিকটা ধনেপাতা কুচি দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। দুটো পিঁয়াজ কেটে বেরেস্তা করে নিন। এবার ওই তেলেই চিকেন দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে চাপা দিয়ে আঁচ কমিয়ে রেখে দিন। মাঝে মাঝে গিয়ে একটু নাড়িয়ে দেবেন। চিকেন সেদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে এলে বেরেস্তা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। সাথে গরম গরম রুটি অথবা পরোটা থাকলেই জমে যাবে।
Parfect Sunday ❤️❤️
আজ এমন একটা রেসিপি শেয়ার করছি যেটা আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে টিভি তে দেখেছিলাম। আমার রান্নার একটা ডায়েরি আছে যেটাতে আমি কোথাও ঘুরতে গেলে বা অন্য কোনও জায়গার মানুষ কিছু খাওয়ালে সেটা ভালো লাগলে তাদের কাছে রেসিপি জেনে লিখে রাখি। টিভি দেখে সচারাচর কিছু লিখি না। একদিন ডায়েরিটার পাতা উল্টাতে উল্টাতে এই রেসিপি টা চোখে পড়লো। কি জানি কি ভেবে তখন লিখেছিলাম।
সে যাই হোক, আমরা তো কতো রকমের কচুরি খাই। মটরশুঁটির কচুরি, হিং এর কচুরি, মাছের কচুরি, পিঁয়াজ কচুরি থাক বাবা আর বলে কাজ নেই বলতে বলতেই মুখে জল চলে আসছে। আজ বলবো কাঁচা ছোলার কচুরি। এটাকে কচুরি না বানিয়ে পরোটা বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। দুটোই বেশ ভালো লাগে। তবে এটা কিন্তু আমিষ।
পরিমাণমতো ছোলা ভিজিয়ে মিক্সিতে কাঁচালঙ্কা দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইতে ঘি দিয়ে তাতে রসুনবাটা দিয়ে একটু লাল করে ভেজে তাতে ছোলার পেষ্ট,নুন, সামান্য চিনি দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ না পুরটা কড়াইয়ের গা থেকে ছেড়ে না আসে। নামানোর আগে ধনেপাতা ছড়িয়ে নামতে হবে। এরপর লেচির মধ্যে পুর ভরে বেলে শুধু ভাজলেই রেডী। বানালে জানাবেন কেমন লাগলো।
ছোটবেলায় মা যখন মাটন বা বেশি মসলার কোনো তরকারি বানাতো সামনের পাতে তেতো রাখতো এবং সেটা খুবই কম তেলে ভাজা। ওই সেদ্ধ আর ভাজার মাঝামাঝি একটা ব্যাপার আরকি।তেতো না খেলে অন্য তরকারি পাওয়া যাবে না 😭😭। আমিও এখন মা তাই মেয়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম 😝😝। আগে উচ্ছে খাও তবেই দই কাতলা পাবে 😏😏।
স্কুলে পড়ার সময় পুজোর দিনে রাস্তা জুড়ে আলপনা দিতাম। এখন আর সেই সুযোগ ও নেই তাই কাগজই ভরসা।নিজের হাতে আঁকা আলপনার সাথে সরস্বতী পুজো স্পেশাল কিছু খাবার রইলো সবার জন্য।
শুভ বসন্ত পঞ্চমী। সবার ভালো কাটুক।
এই আমরা যারা বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াই বরের চাকরির জন্য তাদের একটা ভালো দিক হলো বিভিন্ন কালচারের মানুষের সাথে আমরা মিশতে পারি। তাদের পোশাক, খাওয়া দাওয়া, আচার অনুষ্ঠান সব কিছুর গল্প যখন শুনি ভীষন ভালোলাগে। আমি এখন যেখানে থাকি ঠিক পাশের ফ্ল্যাটে সাউথ ইন্ডিয়ার এক ভাবী থাকতেন। ব্যালকনিতে যখন বেরোতাম তখন কতো গল্প হতো। আমাকে অনেক কিছু খাওয়াতেন।যেহেতু রান্না করতে ভালোবাসি তাই যেটা ভালো লাগতো সেটা সাথে সাথে লিখে নিতাম। কতো কিছু শিখেছি ওনার কাছে। স্কুলে মেয়ের এক বান্ধবীর মায়ের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক। উড়িষ্যার মানুষ।তিনিও আমার মতো যাযাবরের জীবন কাটান। একদিন কথায় কথায় বলেছিলেন বেগুনের ভর্তা খাওয়াবেন । উনি যখন মহারাষ্ট্রে ছিলেন তখন শিখেছিলেন। রেসিপিটা যখন মুখে বলেছিলেন কেমন যেনো একটা লেগেছিল, মনে হয়েছিলো ভালো লাগবে না।আজ পাঠিয়েছিলেন। একটু মুখে দেওয়ার পর এতো ভালো লাগলো কি বলবো।
আমাদের চিরাচরিত ভর্তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে পুরো রেসিপিটা জেনে নিই। সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বেগুন পুড়িয়ে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নেবেন। মিক্সিতে রসুন, ধনেপাতা আর কাঁচালঙ্কা পেস্ট করে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে বাদাম ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তাতে গোটা সর্ষে আর কালোজিরা দিয়ে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে(লাল হবে না)। এরপর রসুনের পেস্টটা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে বেগুন, মটরশুঁটি(ভাপানো), পিঁয়াজকলি(ছোটো করে কাটা),নুন, লঙ্কা দিয়ে কম আঁচে রান্না করতে হবে। নামানোর আগে ভাজা বাদাম ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে।আমি বাড়িতে আরো বাদাম ভেজে মিশিয়ে ছিলাম। মুখে যখন পড়ছিলো দারুণ লাগছিলো। উনি অবশ্য বললেন পিঁয়াজকলি ছাড়া হবে না কিন্তু আমার মনে হলো না দিলেও খারাপ লাগবে না। তবে বাদাম আর মটরশুঁটি মাস্ট। আমি তো বানাবো, আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন।
কতো কি ডে চলছে, আমার তো কিছু মনেও থাকে না। ওই সবার পোস্ট দেখে জানতে পারি আর কি আজ অমুক ডে, কাল তমুক ডে। আমার জীবনে তো রেঁধে বেড়ে খাওয়ানো ডে ছাড়া আর কিছুই নাই তাই আজও ওটাই করলাম। রোববার কিনা তাই একটু স্পেশাল 🙂🙂
ফ্রায়েড রাইস
ফিশ ফ্রাই
মাটন কষা
রসগোল্লা
আগে রান্না করে ছবি তুলে বিভিন্ন গ্রুপে অথবা নিজের প্রোফাইলে পোস্ট করতাম। অনেককেই দেখতাম কি সুন্দর করে রান্না করে সাজিয়ে ছবি দিয়ে নিজে পেজে পোস্ট করেছে, বলতে পারেন সেই দেখেই আমার ও ইচ্ছে হয়েছিল। একদিন পেজটা খুলে ও ফেললাম।বেশ কিছুদিন চালানোর পরে সব সামলে পেরে উঠছিলাম না। অনেক মাস কিছু পোষ্ট করিনি। যেহেতু যাযাবরের জীবন তাই কোনও স্থায়ী বন্ধু নেই আর হলেও সেই বন্ধুত্ব গাঢ় হওয়ার আগেই অন্য জায়গা ডাকতে শুরু করে।। মাঝে মাঝে সময় কাটতে চায় না। তাই ভাবলাম আবার শুরু করি। নিয়মিত কিছু না কিছু পোষ্ট করার চেষ্টা করি। কতো মানুষের সাথে কথা হয়, অনেকে আবার বলেন আমার কথার সাথে ওনারাও নিজের মিল খুঁজে পান। ভীষন ভালোলাগে। যে সময়টা কিছুতেই কাটতে চাইতো না সেই সময়টা এখন কোথায় দিয়ে পার হয়ে যায় বুঝতে পারি না। প্রত্যেকের কমেন্ট পড়ি , কারোর কোনও জিজ্ঞাস্য থাকলে রিপ্লাই ও করি। এইভাবেই সবাই ভালোবাসতে থাকুন আর রান্না গুলো যেহেতু আমার নিজের মতো করে করা তাই সেখানে কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই জানাবেন। আর ভালো ভালো রেসিপি জানলে আমাকেও জানাবেন, আমি এখনও রান্না শিখতে ভালোবাসি।
শীতের এই বীজ ছাড়া তাজা বেগুন ভাজা দিয়ে রুটি, লুচি বা পরোটা যাই হোক না কেনো আমার কিন্তু দারুণ লাগে। ভাতের সাথে বেগুনের কোনো আইটেমই খুব একটা পছন্দ নয়। অন্য কোনো তরকারি হলেও আমি নিজের জন্যে বেগুন ভেজে নিই।কোনো এক ছুটির দিনে এগুলো বানিয়েছিলাম, সেটাই শেয়ার করলাম। রেসিপি আর কি বলবো, লুচি আলুর দম তো বাঙালির ইমোশন তাই সবাই জানে।
বেশ কিছুদিন আগে মেয়ের টিফিনবক্স শেয়ার করেছিলাম, তারমধ্যে আলুর টিক্কি ছিলো। অনেকেই বলেছিলেন রেসিপি শেয়ার করতে।তবে আজ রেসিপিটা একটু অন্যরকম।
আলু সেদ্ধ করে তার মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার (দুটো বড়ো আলু হলে এক টেবিল চামচ), নুন দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি। সকালে যেহেতু খুব তাড়াহুড়ো থাকে আর মেয়ের একার জন্য এইসব টিফিন বানাতে হয় তাই আমি পিঁয়াজ পাউডার আর রসুন পাউডার ইউজ করি। তাতে বেশি নরম ও হয় না আবার স্বাদ ও ভালো হয়। এই আলুতেও আমি অল্প ইউজ করেছি। তবে না দিলেও কোনো অসুবিধা নেই।
স্টাফিং টা আমি মটরশুঁটি দিয়ে বানিয়েছি। মিক্সিতে হালকা ঘুরিয়ে নিয়েছি। পেস্ট হবে না, যেনো মুখে পড়ে।কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে তার মধ্যে গোটা জিরে আর হিং দিয়ে আদাকুচি আর লঙ্কাকুচি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে মটরশুঁটি দিয়ে নুন,অল্প চিনি দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিয়েছি কম আঁচে। নামানোর আগে আমচুর পাউডার, ধনেপাতা মিশিয়ে নামিয়েছি। এবার কিছুটা আলু নিয়ে মাঝখানে ফাঁকা করে এক চামচ মতো স্টাফিংটা দিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে ঘী তে সেঁকে নিলেই তৈরী।
এটা একটু হেলদি ভাবে বানিয়েছি যেহেতু মেয়েকে প্রায়ই দিতে হয়। তবে যাঁরা এতো স্টাফিং এর ঝামেলা চাইছেন না তাদের জন্যে বলবো আলুর মধ্যে ধনেপাতা, চাট মসলা, লঙ্কা কুচি, আদা কুচি,নুন, গোলমরিচ, কর্নফ্লাওয়ার (ডুবো তেলে ভাজলে কর্নফ্লাওয়ার এর বদলে চালের গুঁড়ো ব্যাবহার করুন, তাতে তেল কম টানবে)এগুলো মিশিয়ে বানাতে পারেন।
মেয়োনিজ টা শেষ হয়ে গিয়েছিলো তাই সুইট চিলি সস দিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়োনিজ এর সাথে অল্প টমেটো সস বা সুইট চিলি সস মিশিয়ে নিলেও কিন্তু দারুণ একটা ডিপ তৈরী হয়।
আজ আর বেশী কিছু লিখবো না, শরীরটা ভালো নেই। থালিতে কি কি আছে শুধু সেটাই বলি🙂🙂
চিংড়ি দিয়ে পালং শাক
ফুলকপির তরকারি
চিংড়ি এঁচোড়ের তরকারি
রবিবারটা অন্যান্য দিনের থেকে আলাদা, সেটা মনে হয় সবার কাছেই। এই যেমন ধরুন কেউ ভেবে রাখেন আজ কোথাও ঘুরতে যাবেন, আবার কেউ ঘরের যাবতীয় পড়ে থাকা আজ সারবেন আবার কারোর কাছে রবিবার মানে ভালোমন্দ গুছিয়ে রান্না করে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া। আমার কাছে আবার রবিবার মানে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, একসাথে গল্প করতে করতে চা খাওয়া। অন্যদিন নিয়ম করে ব্রেকফাস্ট করা হলেও আজ কিছু একটা খেয়ে নিলে চলে এইরকম ব্যাপার আরকি। লাঞ্চ এ কোনো স্পেশাল রান্না বা বেশী কিছু রান্না নয় এটা বলাই থাকে।আমার নিয়ম নয় বাড়ির অন্য আরেক সদস্যের নিয়ম।আজ যেমন আমরা বেগুন পোড়া, তোপসে ফ্রাই, মুসুর ডাল আর চাটনি এই দিয়ে লাঞ্চ টা সারলাম আবার এমনও অনেক রবিবার আমরা ডিম আলু সেদ্ধ দিয়েও ভাত খেয়েছি। আবার তিনজনে মিলে একসঙ্গে সময় কাটানো। এই করতে করতেই রবিবারটা কখন যে শেষ হয়ে যায় বুঝতেই পারি না।মিথ্যে বলবো না আমার কিন্তু বেশ লাগে 🙂🙂।
বিয়ের আগে মা বানিয়ে দিতো আর আমি বসে বসে খেতাম 😝😝। কোনোদিন নিজের হাতে পিঠে বানাইনি। হটাৎ ইচ্ছে জাগলো যেটা পারি না সেটাই করব মানে পিঠে বানাবো। বিশ্বাস করুন প্রথম দিন জাস্ট ছড়িয়ে ছিলাম। তাও এই পাটিসাপটা। অন্য পিঠের কথা তো ছেড়েই দিলাম।মন খারাপ হয়েছিল কিন্তু হাল ছাড়িনি। চেষ্টা করতে করতে এতো দিনে এসে পেরেছি। এখন মোটামুটি প্রায় সব পিঠেই পারি। সবাইকে খাওয়াতে পারলে একটা আলাদা আনন্দ হয়।
আমি যেভাবে আজ বানিয়েছি সেটা হলো চালের গুঁড়ো ওই দেড়শো থেকে একশো ষাট গ্রামের মতো, ময়দা ঠিক তার অর্ধেক, সুজি তিন টেবিল চামচ, নলেন গুড় অল্প বাকিটা জল। খুব ভালো করে মিশিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিয়েছিলাম। প্রথম একটা করলে বোঝা যাবে ব্যাটারটা আরেকটু পাতলা হবে কিনা।পুর টা আমি নারকেল আর ক্ষীর দিয়ে বানাই। আগে নারকেল আর গুড় দিয়ে পাক টা বানিয়ে নিই। ঠান্ডা করে মিক্সিতে পেস্ট করে নিই। এবার ক্ষীর বানিয়ে তারমধ্যে নারকেল এর মিশ্রণ টা দিয়ে অল্প ঘী দিয়ে একটু ঘন করে নামিয়ে নেই। কেমন লাগলো জানাবেন।ভালো থাকবেন।
আজ খুব তাড়াহুড়োর মধ্যে রান্না করেছি। চিকেন নিয়ে তারমধ্যে পিঁয়াজ বাটা, আদা রসুন বাটা, কাজু চারমগজ বাটা, বিরিয়ানি মশলা,লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি মির্চ , দু ফোঁটা মিঠা আতর,দই, ফ্রিজে দেখলাম অল্প ক্রিম আছে সেটাও দিলাম আর নুন সব মিশিয়ে কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তারমধ্যে চিকেন টা দিয়ে আঁচ কমিয়ে রান্না করেছি । চটজলদি রান্না করতে হলে আমি কষানোর ঝামেলায় যাই না।ইচ্ছে ছিলো ভাজা পিঁয়াজ আর ভাজা কাজু দিয়ে সাজাবো কিন্তু তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকার জন্য ধনেপাতা ছড়িয়েই ফটোটা তুললাম।ভালো করে ছবি তুলতে না পারলে কোথাও পোস্ট করতে ইচ্ছে করে না। একটু টেষ্ট করে দেখলাম বেশ ভালোই হয়েছে তাই শেয়ার করলাম। কেউ বানালে জানাবেন কেমন লাগলো। ভালো থাকবেন।
শীতকাল সত্যিই খুব রঙিন। চারিদিকে কতো রঙের ফুল। আবার বাজারে সবার পাটা যেনো এইসময় রঙিন ফল আর সবজিতে সেজে থাকে। দেখতে বড়ো ভালোলাগে। আমি এখন যেখানে থাকি সেই বাড়ির সামনে প্রতি সোমবার বেশ বড়োসড়ো হাট বসে। ব্যালকনিতে বসে চা খেতে খেতে লোকের বাজার করা, দরদাম করা, কিছু কিছু মানুষের মজার আচার আচরণ এইসব দেখতে দেখতে কখন টাইম কেটে যায় বুঝতেই পারি না। বাড়ির কর্ণার এ এক বিক্রেতা বসেন শুধু ফুলকপি আর বাঁধাকপি নিয়ে। বিকেল গড়ালেই কি ভিড় সেই দোকানে।ছোটো থেকেই দেখে আসছি শীত এলো কি এলো না বাবা ফুলকপি, বাঁধাকপি আর মটরশুঁটি এনে হাজির করতো। আবার গ্রামের বাড়ি থেকেও আসতো রংবেরংয়ের সবজি। মাকে দেখতাম আশেপাশের বাড়িতে, মাসিদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো, এখনও অবশ্য সেই প্রথা বজায় রেখেছে। তবে আগে শীতের সবজি এলেই মটরশুঁটির কচুরি,বেশ তেল দিয়ে ফুলকপির রসা আরো কতো কিছু বানিয়ে খাওয়াতো। এখন শারীরিক কারণে করা হয়ে ওঠে না।
মটরশুঁটি আর কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে পেস্ট করে কড়াইতে সাদা তেলে হিং আর আদাবাটা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করেই পেস্টটা দিয়ে দিয়েছি। এরপর স্বাদ অনুযায়ী নুন আর মিষ্টি দিয়ে নাড়তে হবে। তলায় লেগে যায় তাই ক্রমাগত নাড়তে হবে। এরপর কড়া থেকে যখন পেস্টটা ছেড়ে আসবে তখন আগে থেকে ভেজে গুঁড়ো করে রাখা মৌরি ছড়িয়ে নামাতে হবে। মা এইভাবেই পুর বানাতো সেই স্বাদ থেকে আমি এখনও বেরোতে পারিনি। কচুরির সাথে নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল বা আলুর দম যাই বানান না কেনো খুব ভাললাগে। যাঁরা এইভাবে বানিয়েছেন ঠিক আছে কিন্তু কেউ যদি এইভাবে না বানিয়ে থাকেন অনুরোধ রইলো একবার বানিয়ে দেখুন, আশা করছি ভালোলাগবে।
রান্না খুব পছন্দের একটা বিষয়। তাই অনেক ছোটো থেকেই টুকটাক অনেক কিছুই বানানোর চেষ্টা করতাম। ক্লাস এইটে যখন পড়ি তখন মায়ের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন হয়।সেই সময় ওই কদিনের সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের ডিনার সবকিছু আমি রান্না করে দিতাম।তাই বিয়ের আগে মোটামুটি সব রান্নাই জানতাম যদিও করতে হতো না। কিন্তু যেটা পারতাম না সেটা হলো রুটি বেলা আর মাছ কাটা। বিয়ের পরে যখন বরের কর্মসূত্রে দিল্লিতে গিয়ে থাকতে শুরু করলাম তখন শুরু হলো আমার সাথে মাছের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা 😀😀😀। Sunday করে মাছ আসতো, বেশ তিন চার রকমের কিন্তু সমস্যা হলো মাছ কেটে দিতো না। দিলেও যতক্ষণ কাস্টমার থাকবে ততক্ষণ তো নয়ই ফাঁকা হলে তবে। বাধ্য হয়ে বলতাম গোটা আনতে।সেই মাছ কাটতে আমার দিন কাবার হয়ে যেতো। একটা করে মাছ কাটতাম আর ছুটে ছুটে গিয়ে কলের তলায় ধরতাম যাতে তেতো না হয়ে যায়😂😂😂। আমার এই কাণ্ড দেখে আমার বর আর ছোটো মাছ আনার কথা জিজ্ঞেস ও করতো না😌😌😌। এখন শিলিগুড়িতে থাকার জন্য সেরকম কোনো অসুবিধা হয়না, কেটেই দেয়। তাই অনেক বছর পরে আমার রান্নাঘরে মৌরলা ঢুকেছে। আজ বানিয়েছিলাম চিংড়ি দিয়ে লাল শাক আর আলু দিয়ে মৌরলা মাছের ঝাল। আমসত্ত্ব,কাজু, কিসমিস দিয়ে টমেটোর চাটনি যখনই বানাই অনেক টা বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিই। বেশ কিছুদিন চলে যায়। সবগুলোই আমাদের চিরাচরিত রান্না তাই আর রেসিপি লিখলাম না। তাও কারোর লাগলে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন।
এই রান্নায় এই মশলা দিতেই হবে, অমুক রান্নায় ওটা না দিলে হবেই না এইরকম কথা অনেকেই বলেন কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার দ্বারা এটা হয় না। হ্যাঁ কোনো সাবেকি বা রোজের রান্নার কথা বলছি না এই ধরুন কোনো রেষ্টুরেন্ট স্টাইলে রান্না সেইগুলোর ক্ষেত্রে। আজ যে রান্নাটা করলাম সেটা যদি কিছু মাস পরে কেউ জিজ্ঞেস করে কি কি মশলা দিয়েছি আমি কিন্তু বলতে পারবো না। আবার বানালে তার স্বাদ ও অন্য রকমের হবে। বেশ কিছু মাস আগে এইরকমই একটা হোয়াইট গ্রেভি র পনির বানিয়ে মেয়েকে খাইয়েছিলাম। কয়েকদিন ধরে বলেই চলেছে বানিয়ে দাও কিন্তু আমি তো বেমালুম ভুলেই গেছি কি দিয়ে বানিয়েছি। কাল যখন বললাম ভুলে গেছি বললো তুমিও যখন ভুলে যাও কাল থেকে আমি পড়া ভুলে গেলে বকবে না😌😌😌 আর কিছু বলতে পারিনি 😀😀 আজ যখন বানাতে শুরু করলাম তখনও জানি না কি বানানো শুধু মাথায় ছিল সাদা করতে হবে। এরপর যা যা মনে এসেছে করে গেছি।
সাদা গ্রেভি বানাতে হলে আমি সবসময় পিঁয়াজ সেদ্ধ করে পেস্ট করে নিই। পেস্ট করার সময় অল্প জয়িত্রি, কাঁচালঙ্কা আর দুটো এলাচ দিয়ে পেস্ট করেছি। এরপর কড়াইতে তেল আর ঘী দিয়ে তার মধ্যে মিনিট পাঁচেক নাড়াচাড়া করে আদা রসুন বাটা,দই,কাজু বাটা,অল্প ফ্রেশ ক্রিম আর সামান্য জিরে গুঁড়ো দিয়ে আঁচ কমিয়ে রান্না করতে হবে যতক্ষণ না তেল বেরিয়ে আসছে। এরপর দুধ আর জল দিয়ে ফুটে উঠলে পনির দিতে হবে। নামানোর আগে কসৌরি মেথি দিতে হবে। ও আচ্ছা নুন আর মিষ্টি টা কিন্তু স্বাদ মতো দিও।সাদার উপর যেকোনো রঙ খুব ভালো খোলে তাই তেলের মধ্যে ক্যাপসিকাম ভেজে তার উপর অল্প কাশ্মীরি লঙ্কা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে উপর থেকে ছড়িয়ে দিয়েছি। এখন আমার কন্যা এসে কি বলে সেটাই দেখার। কেমন লাগলো জানিও।
এই ঠান্ডায় সকালে উঠে দু একটা কাজ করতে না করতেই দেখবেন টাইমটা হুশ করে কতটা এগিয়ে গেলো। তখন যদি আপনিও তার সাথে না দৌড়ন তাহলে সব কিছুই ঘেঁটে পুরো ঘ। এই যেমন ধরুন বরের অফিস লেট হবে।বাচ্চাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে হাতে জলের গ্লাস ধরানো, টিফিন বানানো, স্কুলের জন্য রেডি করানো তারপর নিচে থেকে পুলকারের পো পো করে হর্ন। আবার দৌড়াও। মানে আপনি এক্সারসাইজ না করতে চাইলেও সময় আপনাকে করিয়েই ছাড়বে। এবার হয়তো আপনি মনে মনে ভাববেন যাক সব কাজ টাইম মতো হয়েছে এবার নিশ্চিন্ত কিন্তু না যেই দরজাটা খুলবেন ঘরের অন্য কাজগুলো দেখবেন দাঁত কপাটি বের করে হাসছে 😭😭😭। আবার শুরু। এই করতে করতেই দশটা থেকে এগারোটা বাজবেই। হ্যাঁ এটাই আমার সারা সপ্তাহের রুটিন। এই এতক্ষণে পেটের কথা শোনার টাইম হলো আর সাথে নিজের সাথে নিজের সময় কাটানোর।
এই সময় আমি দরকার ছাড়া কাউকে ফোন করি না। সকালে যেহেতু ব্রেকফাস্ট এর টাইম চলে যায় তাই এই খাবারটা আমি ভারি কিছু খেয়ে নিই আর দুপুরে কিছু খাইনা।
লুচি বরাবরই আমার ভীষন প্রিয় কিন্তু বেশি খাওয়া হয়না, তাই যখন করি মন ভরে খেয়ে নিই। সকালে তাড়াহুড়োতে ভালো করে মশলা কষিয়ে কোনো তরকারি করার টাইম থাকে না। তাই অল্প তেলে কালোজিরা আর কাঁচালঙ্কা ফোরণ দিয়ে তাতে আলু, আদা, নুন দিয়ে একটু ভাজা ভাজা করে জল দিয়ে ফুটিয়ে মটরশুঁটি দিয়ে এই তরকারি টা বানিয়ে নেই। আর মিষ্টি আমার চাই। তারপর এক কাপ গরম গরম লিকার চা।
আমি জানি অনেকেরই হয়তো সকালটা এইভাবেই কাটে। কি ঠিক বললাম তো?? সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর নিজেকে ভালোবাসুন,ভালো রাখুন।
রান্নাঘরের এই কর্ণার টা আমার খুব পছন্দের। যেহেতু স্থায়ী কোনো বাড়ি নেই মানে বরের কাজের জন্য আজ এখানে তো কাল সেখানে তাই ঘরের কোনোকিছুই মনের মতো হয়ে ওঠে না। রান্না করতে ভালোবাসি বলে কোনো বাড়ির প্রথমে রান্নাঘরটা কেমন সেটাই দেখি। কখনো লাইট কম, কখনো বা জায়গা কম তাই নিজের মতো করে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিছু কিছু জিনিষ তো মানিয়ে নিতেই হবে। যাই হোক আজ ছুটির দিনে কি কি রান্না করলাম সেটাই বলি
ভাত, টমেটো দিয়ে মুসুর ডাল, বেগুন ভাজা, তোপসে ফ্রাই,মাটন কষা, টমেটোর চাটনি।
রান্না যেমন ই হোক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে খাওয়াতে আমার খুব ভালোলাগে।
Homemade misti sukh ❤️❤️❤️
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Website
Address
Siliguri
734008
Siliguri
Siliguri, 734006
About the:-, nora fatehi official page get follow and like the page get more videos daily
Purvomajhabare
Siliguri, 734006
◢▇▇▇▇▇▇⚀▇▇▇▇▇▇◣ ★ ★★ ★★★ ●═⚀●☆●☆●⚀═● ⚀❍❍❖❍❍⚀ ●Devil● ⚀❍❍❖❍❍⚀ ●═⚀●☆●☆●⚀═● ★★★ ★★ ★ ◢▇▇▇▇▇▇⚀▇▇▇▇▇▇◣
North Ektiasal , Siliguri
Siliguri, 734001
Hi friends�! Welcome to my page�� ROAY BOYS�.. Please keep support my page I need all your support
Siliguri
Entertainment, this is my Youtube channel https://www.youtube.com/@apgdreams