RNR news
Nearby media companies
Siliguri, WB, India, Siliguri
Rabin, Siliguri
Siliguri
Delhi
Haldibari 735122
Indea, KOLKATA
Kolkata, KOLKATA
Siliguri
siliguri, Siliguri
Siliguri 734001
Siliguri 734001
Siliguri 734001
Siliguri 740001
Kadamtala Durga Mandir, Siliguri
Siliguri 734001
rnr news
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর
127 তম জন্মোৎসব উপলক্ষে 25শে ডিসেম্বর
2022 থেকে 23শে জানুয়ারি পর্যন্ত কোচবিহার
মারুগঞ্জ বেদ অভেদ ধাম থেকে কলকাতা পর্যন্ত
#ঐতিহাসিক_পদযাত্রা 🚶🏻
পদযাত্রার রাত্রিবাসের স্থান ⤵️
২৫ শে ডিসেম্বর পুন্ডিবাড়ি
২৬ শে ডিসেম্বর ফালাকাটা
২৭ শে ডিসেম্বর ধুপগুড়ি
২৮ শে ডিসেম্বর ময়নাগুড়ি
২৯ শে ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি
৩০ শে ডিসেম্বর রাজগঞ্জ
৩১ শে ডিসেম্বর শিলিগুড়ি
১লা জানুয়ারি ঘোষপুকুর
২রা জানুয়ারি ইসলামপুর
৩রা জানুয়ারি পঞ্জিপাড়া
৪ঠা জানুয়ারি ডালখোলা
৫ই জানুয়ারি রায়গঞ্জ
৬ই জানুয়ারি বাঙ্গার
৭ই জানুয়ারি আলমপুর
৮ই জানুয়ারি মালদা টাউন
৯ই জানুয়ারি ফারাক্কা
১০ই জানুয়ারি উমরপুর
১১ই জানুয়ারি সাগরদিঘী
১২ই জানুয়ারি বহরমপুর
১৩ই জানুয়ারি রেজিনগর
১৪ই জানুয়ারি দেবগ্রাম
১৫ই জানুয়ারি গাছাবাজার
১৬ই জানুয়ারি কৃষ্ণনগর
১৭ই জানুয়ারি বীরনগড়
১৮ই জানুয়ারি চাকদহ
১৯শে জানুয়ারি হালিশহর
২০শে জানুয়ারি বারাকপুর
২১শে জানুয়ারি বেলঘড়িয়া
২২ শে জানুয়ারি এলগিন রোড
মহা মিছিল ২৩শে জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার
সকাল ১০টায় শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এলগিন
রোড 🌼
🌎 বহুল প্রচলিত 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম' তারকব্রহ্ম নামের পরিবর্তে শ্রীশ্রী ঠাকুর "রাম নারায়ণ রাম" মহাকাশের মহানাম দিলেন কেন? এই আণবিক যুগে শ্রীশ্রী ঠাকুর "রাম নারায়ণ রাম" মহানামকে সর্বশ্রেষ্ঠ অমোঘ অস্ত্র বললেন কেন?
#উত্তর : যুগের প্রয়োজন মেটাবার জন্য মহানরা আসেন। ভিন্ন ভিন্ন যুগের যুগোপযোগী তত্ত্বশিক্ষা যেমন তাঁরা দান করেন, তেমনি নামের হাতিয়ারও দেন যুগোপযোগী করে। বর্তমান যুগ কর্মের যুগ, ভোগবিলাসের যুগ। সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে। ঈশ্বর চিন্তা, ঈশ্বর সাধনার সময় বা মনসিকতা মানুষের নেই। খাওয়ার চিন্তা, পারার চিন্তা, আশ্রয়ের চিন্তা, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় সকলে ব্যস্ত। তাই মহাপ্রভুর দেওয়া সেই ষোল নাম বত্রিশ অক্ষরের তারকব্রহ্ম নাম অহর্নিশ সংকীর্তন করার অবকাশ আজ মানুষের নেই। শ্রীশ্রী ঠাকুর তারই জন্য সেই ষোল নাম বত্রিশ অক্ষরের সার অংশ নিয়ে আরও শক্তিশালী করে তিন নাম আট অক্ষরের "রাম নারায়ণ রাম" মহানাম দিলেন--যাতে অল্প চর্চাতেই বিরাট ফল পাওয়া যায়।
হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। জোর করে মানুষের অন্তরের সুন্দর রূপকে ফোটান যায় না। যেমন গায়ের জোরে একটা গোলাপের কুঁড়িকে ফোটান যায় না। সুন্দরের বিকাশ ঘটাতে গেলে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়--তখন প্রকৃতির নিয়মে আপনিই বিকশিত হয়। একেই বলে প্রকৃত বিপ্লব--সার্বিক বিপ্লব--চেতনার বিপ্লব--যা অস্ত্রের বিপ্লবের মাধ্যমে কখনই সম্ভব নয়। দ্বিতীয়তঃ নাদধ্বনি--প্রণব ধ্বনির মহাশক্তিশালী তেজপুঞ্জের মহাসাগর থেকে সৃষ্ট খন্ডতেজের সূর্য, খন্ডতেজের পৃথিবী, খন্ডতেজের মানুষ। খন্ডতেজের মানুষের মস্তিষ্ক থেকে খন্ডতেজের আণবিক বোমা সৃষ্ট যা অনন্ত অসীম শক্তিশালী মহানামের ওঙ্কারের মহাতেজপুঞ্জের কাছে নিষ্প্রভ। তৃতীয়তঃ আণবিক বোমা নিমেষে কয়েক লক্ষ প্রাণীর প্রাণ ধ্বংস করতে পারে--কিন্তু সৃজনে অক্ষম। আর "রাম নারায়ণ রাম" মহানাম বিনা রক্তপাতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি জীবজন্তু প্রাণীর আসুরিক বৃত্তি নাশ করে শুভশক্তির জাগরণ ঘটাতে সক্ষম।
Kadam Kadam Badhaye Ja Khushi Ke
Geet Gaaye Ja | कदम-कदम बढ़ाये जा, खुशी
के गीत गाये जा | Ram Narayan Ram 💙
অপূর্ব তত্ত্ব পরিবেশন করেছেন শ্রী দীপক চক্রবর্তী
#রাম_নারায়ণ_রাম 💙
শ্রীশ্রী ঠাকুর বালক ব্রহ্মচারী মহারাজের ১০৩
তম আবির্ভাব দিবস কর্মী দিবস রূপে উদযাপন করলেন শিলিগুড়ি সন্তান দলের বেদকর্মীরা 🎂
ঠাকুর শ্রীশ্রী বালক ব্রহ্মচারী মহারাজের ১০৩ তম
আবির্ভাব দিবস কর্মী দিবস রূপে উদযাপন হলো
স্থান : উত্তর 24 পরগনা, অশোকনগর কচুয়া মোড়
শ্রীশ্রী ঠাকুর বালক ব্রহ্মচারী মহারাজের ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি আনন্দের সাথে উদযাপন করলেন আলিপুরদুয়ার জংশন বেদ অভেদ ধামের কর্মীরা
সন্তান দলের পক্ষ থেকে শ্রীশ্রী ঠাকুরের ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি কর্মী দিবস রূপে পালিত হল 🌏
শ্রীশ্রী ঠাকুরের স্বকন্ঠে মহানাম চালিয়ে ভক্তরা
আনন্দের সাথে মহানামের নেশায় পাগল ❤️
বৈদিক সংগীত অনুষ্ঠান (স্থান মাদারিহাট)
সেতার বাদ্যযন্ত্রের সুরে মহানাম পরিবেশন
করেছেন শ্রী মহানন্দ চন্দ্র চক্রবর্তী ❤️
#রাম_নারায়ণ_রাম
🔱🙏🙏🌹রাম নারায়ণ রাম🌹🙏🙏🔱
___"তোমাদের যাত্রা পথে আমার অন্তরের আশীর্বাদ রইলো"___
👉👉👉 সত্যিকারের যিনি গুরু হবার যোগ্য, তিনি কখনই বলবেন না, "অষ্টমীতে ধ্যান কর, নবমীতে স্নান কর আর দশমীতে দান কর---তবেই ভালো ফল পাবে।"
এখানে যত সাধু-গুরু-মহানদের কথা শোনা যায়, তাঁদের বেশীর ভাগই এখানে কাজ করে সাধু বা মহান হয়েছেন। এঁদের অনেকেই বড় বড় সাধকের পর্যায়ে পড়েন। কিন্তু সিদ্ধপুরুষ তাঁরা নন। কারণ সিদ্ধপুরুষ হবেন জন্মগত---সিদ্ধপুরুষ'কে সত্যের সন্ধানে সাধনা করতে হয় না, সত্যকে নিয়েই তাঁর আবির্ভাব। চৈতন্যের ধারা সবার ভেতরেই রয়েছে। কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই যাঁর ভেতরে অষ্টসিদ্ধির চৈতন্য স্ফূরিত হয়ে ওঠে, তিনিই প্রকৃত মহান। 🔱
🎙🎙🎙 সত্যিকারের যিনি গুরু হবেন তাঁর উপদেশ কোন ধারাবাহিক নিয়ম মেনে চলতে পারে না। তিনি থাকবেন জন্মগত চিন্তাধারা নিয়ে। ধ্রুবতারা যেমন সমুদ্রের বুকে দিশেহারা নাবিককে দিক দেখিয়ে দেয়, গুরুও তেমনি বাস্তবরূপ Ocean-এতে দিশেহারা শিষ্যদের বিরাটের দিকে focus করিয়ে দেন। 🔱
🎙🎙🎙 মন্ত্র হচ্ছে সকল শব্দের সমন্বয়ের সুর ও সাড়া। মন্ত্ররূপে যা ব্যবহার করা হয়, সেটা সাধারণ শব্দ হতেই নেওয়া। যে ধ্বনি বা নাদ থেকে সব কিছুর সৃষ্টি, এখানকার সব শব্দই সেই ধ্বনির সাথে, মহাকাশের মহাসুরের সাথে মিশতে চায়। কিন্তু এখানকার শব্দ গন্ডীতে আবদ্ধ বলে এখানকার ব্যবহারেই তা সীমাবদ্ধ। তাই সেই আদি সুরের সাথে তারা মিশতে পারে না। কিন্তু যিনি জন্মসিদ্ধ মহান তিনি এখানকার প্রচলিত সাধারণ শব্দের মাধ্যমেই শিষ্যদের মধ্যে শক্তি সঞ্চারিত করেন। তাই তো কেবলমাত্র জন্মসিদ্ধ মহানের'ই আছে দীক্ষা দেবার অধিকার। 🔱
🎙🎙🎙 জন্মগত মহান সব সময় চেষ্টা করেন ভক্তশিষ্যদের এখানকার মায়ার বাঁধন কাটিয়ে উঁচুতে নিয়ে যেতে। আবার এখানকার আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব চেষ্টা করে তাদের মায়ার বাঁধনে বেঁধে রাখতে। তাই সব সময় সতর্ক না থাকলে গুরুর সাথে ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে। মহানের সাথে এত দিনের পরিচয়, এত আলাপ ও উপদেশ সব কিছুই সেদিন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়ে যেতে পারে। সব কিছুই ভুল মনে হতে পারে। তাইতো আগেই তোমাদের সব জানিয়ে সাবধান করে দিচ্ছি। যখন যা করা হবে, জানিয়ে দিয়ে তারপরই করা হবে। তারপরও যদি ভুল কর বা ভুল বোঝ, তবে প্রকৃতির কাছে তোমাদেরও ক্ষমা নেই,,, আমারও কিছু করার নেই। 🔱
🎙🎙🎙 জন্মগত মহান সবসময় একটা আবরণ নিয়ে চলেন। কখন যে তিনি কি সাজবেন, কি পোশাক নিয়ে অভিনয় করবেন, তা বলা কঠিন। একের পর এক এমন সব ঘটনা আর অবস্থার সৃষ্টি করে চলেন তিনি যে,, শুধু দ্বন্দ্বের পর দ্বন্দ্বই বেড়ে চলে। তোমাদের কথাবার্তা, চাল-চলন ধরে ধরে তিনি তখন ছাঁকনীতে ছাঁকতে শুরু করেন। তাঁর ওপর ভক্তদের নির্ভরতা আছে কিনা, তা তো তাঁকে দেখতেই হবে। 🔱
👉👉👉 যিনি জন্মসিদ্ধ হয়ে এসেছেন, তিনি যেহেতু জন্মমৃত্যুর ছকের বাইরে থেকে এসেছেন, সেহেতু একমাএ তাঁর পক্ষেই বলা সম্ভব এই বিশ্ব-প্রকৃতির সঠিক তত্ত্ব---এই অনন্ত মহাকাশের দর্শন একমাএ তাঁর পক্ষেই যথার্থরূপে তুলে ধরা সম্ভব।
🔱🌹🌹🌹 "রাতের বেলা প্রকৃতি আমাকে বসিয়ে রাখে আর বলে---তুমি যে এদের পিছনে এত পরিশ্রম করছো, এরাতো তোমাকে বুঝতে পারছে না। আমি বলি---আমার আপন মনে, অন্তরের প্রাণঢালা ভালোবাসা দিয়ে, নিঃস্বার্থভাবে আমার কাজ করে চলেছি। কারুর কাজে লাগছে কিনা এটা দেখতে গেলেও একটা স্বার্থের গন্ধ আসতে পারে, তাই সেদিকেও আমি তাকাচ্ছি না। আমি শুধু আমার আপন মনে জন্মের থেকে যে সুর নিয়ে এসেছি, সেই সুর বাজিয়ে চলেছি। ১৫ বছর বয়সে যেবার পাহাড়ে গিয়েছিলাম, সেই সময় পাহাড়ে এক অপূর্ব জায়গায় একটা পাখির গান শুনেছিলাম। কি অপূর্ব সেই সঙ্গীত! আমার সাথে সেইবার সরিষাচরের অমল ছিলো। ওকে বললাম ---এরকম পাখির গান কোথাও শুনেছিস। অমলও ভীষণ অবাক হয়ে শুনছে। কি অপূর্ব সেই সুর---ভাষায় বর্ণনা দেওয়া যায় না। চারিদিকে তাকিয়ে দেখলাম আমরাই শুধু সেখানে, অন্য আর কেউ নেই। সেই পাখি যখন গান গাইছিলো, কেউ তার গান শুনছে কিনা এই ভেবে কি সে তার সুর দিচ্ছিলো? সে তার আপন মনে গান গাইছিলো। কারুর কাজে লাগলো কিনা, কেউ তারিফ করলো কিনা---এতো কিছু ভেবে তো সে তার গান গাইছিলো না। মেঘ যে ডাকে / সমুদ্রের যে গর্জন / বাতাসের যে আওয়াজ --- এরা কি এই ভেবে করে যে কেউ যখন আমাদের তারিফ করছে না, আমরা আর কাজ করবো না। সেটা তো করে না। আমিও ঠিক সেই মন নিয়ে আমার কাজ করে চলেছি।" 🔱
👉👉👉 "আমি যে তোমাদের সন্তান করেছি, এটা তোমাদের উদ্ধারের জন্য। তোমাদের এখানকার মাত্রা আর আমার মাত্রার তফাৎটা তোমরা এই মুহূর্তে চিন্তাতেও আনতে পারছো না। যারা চলে গেছে, তারা কিছুটা এখন বুঝছে।"🙏
👉👉👉 "মানুষের ওপর যখন অত্যাচার হবে তখন যদি সে তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ না করে কৃষ্ণের আশায় বসে থাকে তাহলে তো মানুষ দুর্বল হয়ে পড়বে, সমাজের কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে। কৃষ্ণের আশায় বসে থেকেই থেকেই সমাজে আজ এই দুরাবস্তা!!!"
👉👉👉 "আমি এই পৃথিবীতে আসাতে যে সমস্ত যোগীরা খুবই বড়লোক ছিলো, সেই সমস্ত যোগীরা মুহূর্তে খুব গরীব হয়ে গেছে।"
👉👉👉 "সাগরের দ্বারে দ্বারী হয়ে রয়েছ তোমরা। দ্বার তোমাদের কাছে, চাবীও তোমাদের হাতে, দ্বারটা শুধু একটু খুলে দেবার ব্যবস্থা কর। দেখবে---সামনেই বিরাট সাগর।"
👉👉👉 "নিদ্রা -সমাধিকে জাগাবার চেষ্টা কর। দেখবে---মহাকাশের সব সুর এসে ধরা দেবে তোমাদের কাছে, সেই ভাবেই তোমাদের মন্ত্র দেওয়া হয়েছে।"
👉👉👉 "বেদের কাজে যত আঘাতই আসুক, মাটির মত অচল অটল থেকে সব আঘাত বুক পেতে নেবে। তোমাদের যাত্রাপথে আমার অন্তরের আশীর্বাদ রইলো।"
াম_নারায়ণ_রাম #
#
#राम_नारायण_राम
RNR news
#শ্রীশ্রী_ঠাকুর_কে_জানা_বোঝা_যায়_কি_ভাবে?
✅ জন্মসিদ্ধ ঠাকুর শ্রীশ্রী বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ এক উক্তিতে বলছেন, "বিভূতি দিয়ে বিরাটের বিরাটত্ব প্রমান হয় না। ম্যাজিসিয়ানও তো বিভূতি দেখায়! বিরাটের বিরাটত্ব প্রমাণিত হয় তাঁর তত্ত্বে--প্রকৃত তত্ত্ব, সৃষ্টির অনাদি অনন্ত তত্ত্ব-রহস্য--কোন উবাচ নয়"। তাই তাঁকে জানতে বুঝতে গেলে তাঁর দেওয়া অফুরন্ত তত্ত্বের গভীরে ডুবতে হবে--যা তিনি দিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন বই, ভাষণ ও কড়া চাবুকের মাধ্যমে। শ্রীশ্রী ঠাকুরের আর একটা উক্তি--"একটা বটগাছের সাথে বটবীজের যে পার্থক্য--আমার সাথে তোমাদেরও তাই। বটবীজ হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে--বটগাছ কোথায়? বটগাছ কেমন?--আরে তুমিই তো বটগাছ! তোমার মধ্যে বটগাছের শিকড়, ডাল, পাতা সবই আছে। তুমি নিজেকে ফোটাও--পরিপূর্ণ কর দেখতে পাবে--বটগাছ কেমন"।
আমাদের পরমপিতা মন্ত্ররূপে বীজাকারে আমাদের সত্তায় সত্তায় মিশে রয়েছেন। উপযুক্ত নাম-জপ-ধ্যানের সার দিয়ে তাকে জাগাতে পারলেই বিরাটত্বের স্ফুরণ হবে--বিরাট উপলব্ধিতে ধরা দেবে।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রণ
সন্তান দলের যুবকর্মীরা অতি আনন্দের সাথে বেদ প্রচার করে চলেছে, এই দিন সুকনা পাহাড়ি এলাকায় মহাকাশের মহানাম রাম নারায়ণ রাম সংকীর্তন করে নগর পরিক্রমা করা হয়
এখানে অন্য কোন কথা নেই। এখানে আমি দেবতা বনবো, আমাকে ভগবান বলবে, আমি নেতা হবো, ফেস্টুন টাঙিয়ে নাম, যশ লাভ করব, দেশে-বিদেশে আত্ম প্রচার করবো--দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে এসব পুড়িয়ে দিতে হবে। এখানে দেবতা বনলে চলবে না, নেতা বললে চলবে না। সম্পূর্ণ দেশগত প্রাণ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে কোন বিশেষণ লাগালেই লেজ মোটা হয়ে যাবে। লেজ ভারী হয়ে গেলেই বিপদ। তখন শয়তানি বুদ্ধি খেলতে থাকবে। এখানে বাবাজি বনলে চলবে না। ব্রহ্মচারী, মহারাজ বা অবতার বনলেও চলবে না। এইসব অলংকার বর্জন করতে হবে। আগেই বলেছি, এগুলো সব দেশলাই কাঠি দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলতে হবে।। তারপর হবে কথা। সম্পূর্ণ দেশগত প্রাণ হয়ে, দেশাত্মবোধের উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য আত্মৎসর্গ করে এগিয়ে যেতে হবে।
সুত্রঃ (কড়া চাবুক)
আজ.. #রাম_নারায়ণ_রাম মহানামের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সকলকে জানাই বৈদিক অভিনন্দন
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
মহাপুরুষরা জন্মগ্রহণ করেন দুই তিন ভাগে। যারা এখানে এসে সাধনা, ধ্যানধারনা, জপ তপ ইত্যাদি করে সিদ্ধিলাভ করেন, তারা মুষ্টিমেয় ব্যক্তিকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন। তাদের পেছনে মেসেঞ্জার বেশি থাকে না। আর যারা জন্ম থেকে সিদ্ধি লাভ করে আসেন অর্থাৎ যারা জন্মসিদ্ধ তারা নিজেদের খুশীমত লক্ষ কোটি জনকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন।। তাই জন্মসিদ্ধ মহান এর পেছনে মেসেঞ্জার থাকে অনেক। জন্মসিদ্ধ মহানের সন্তানদের আলাদা করে সাধনা করার দরকার হয় না। এমনি সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করতে গেলে বহু জন্ম লেগে যেতে পারে। কিন্তু জন্ম সিদ্ধ মহান এর কৃপাতে বহু বছরের সাধনার ফল মুহূর্তে হয়ে যায়। আর ওই মেসেঞ্জার বা বিদেহীরা এই সাধনার ফলটা লাভ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। কেননা, বিদেহীদের আলাদা করে সাধনা করার উপায় নেই। যে যত বড়ই হোক, দেহ নিয়ে সবাইকে সাধনা করতে হবে। দেহ ছাড়া সাধন ভজন ,জপ তপের কোন মূল্য নেই।
পু্স্তক সূত্রঃ( অভিনব দর্শন)
❤️জন্মসিদ্ধ ঠাকুর শ্রী শ্রী বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ ❤️
এস্রাজ বাদ্যযন্ত্রের সুরে মহানাম রাম নারায়ণ রাম
🌻🌻 কাঁসর ঘন্টা বা ঢাক ঢোলের শব্দে যদি ভগবান আসতো, তবে Tram বা Bus-এর শব্দে কোলকাতার রাস্তাঘাট ভগবানে ভরে যেত।🌻🌻
````````````````````````````````````````````````````````````
৪৬নং ভূপেন বোস এ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার, কোলকাতা ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২
``````````````````````````````````````````
কি চাওয়া দরকার, কি পাওয়া দরকার, সেটাই আগে জানা দরকার। আমরা ভগবানকে চাই, ভগবানের দর্শন চাই। ইন্দ্রিয়গ্ৰাহ্য এই বাহ্য অনুভূতি দিয়েই সব চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্খার সমাধান মেলে। ভগবানকে কিভাবে পাওয়া যায় ? পাপ-পুণ্য থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যায় ? এরজন্য কি দরকার ? ফলাফল সব শুনা কথার উপরেই আছি। আমরা সত্যকে প্রত্যক্ষভাবে জানতে চাই না। সেই সত্যকে আগে জানা দরকার।
মূর্তিপূজায় সুরাহা হচ্ছে না। এতে মনগড়া শান্তি পাচ্ছি। কিন্তু মীমাংসা হয় নাই। দৃষ্টান্ত দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বাস করাবার জন্য। কিন্তু তাতে সমাধান হচ্ছে না। সব সময় জোর করে চেষ্টা দ্বারা যে সমাধান, সেটা সমাধান নয়। জিহ্বায় দিলে টক মিষ্টির যে স্বাদ, কাউকে বলে দিতে হয় না। বাংলার পূজা একপ্রকার ; বিহারের পূজা একপ্রকার। ইহাতে বিজ্ঞানসম্মত উত্তর দ্বারা সকলকে আনা যাচ্ছে না। যে মতে সকলে একমত হয়, তাহাকে
বলার দরকার হয় না। তৃষ্ণাকে বলার দরকার নাই।
সূর্যকে প্রচার করবে কে ? পরিদৃশ্যমান জগৎকে কে কিভাবে প্রচার করবে ? ধর্ম মাকড়সার জালের মতো সংস্কারের জালে এমনভাবে আটক হয়ে পড়েছে যে, সেখান থেকে আর বার হতে পারছে না। এখানে শিশুকে বিকৃত করে ভিক্ষার জন্য, পরে সে মায়ের কাছেও আসতে পারে না। যে খোঁড়া, সে সুস্থ হলেও খাটতে পারে না, তখনো সে খুঁড়িয়েই চলে। আমাদেরকেও সংস্কারে খোঁড়া করেছে। আমরা কিন্তু ইহাকেই মানিয়ে নিয়েছি। এই সংস্কারের বেড়াজাল হতে আগে রেহাই চাই।
`````````````````````````````````````````````````````````
নদীতে ঝর উঠলে লোকে'হা ভগবান রক্ষা কর', বলে। কিন্তু ভগবান তোমার জানাতে নাই, শোনাতেই শুধু আছে। জানাকে সঠিকভাবে জানলে, বুঝলে তবেই চাইতে পার। America না দেখলেও, সেই দেশ আছে, জানি। তাই দেখার স্পৃহা জেগে ওঠা স্বাভাবিক। 'ভগবান যে আছে', কই সেরকম করে স্থির বিশ্বাসে তো তুমি বলতে পার না ? নিজেকে বুঝাচ্ছ, 'এই চন্দ্র সূর্য, মানুষ➖ ভগবান না থাকলে কে করল ?' যে বললো সেই-ই পরে Pick-pocket করলো। এই তো অবস্থা। মরাকে ছুঁলে অশুদ্ধ হতে হয়। কিন্তু ঘার থেকে মরা নামিয়ে রেষ্টুরেন্টে খেয়ে নিল। সে বেলায় নির্বিকল্প, ক্ষুধার তাড়নায় সব ভুলে গেল।
মরতেই যে হবে, সে বেলা কারও দুশ্চিন্তা নাই। Arrest হবার পর warrent-এর (ওয়ারেন্টের) ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়। অমুক দিন অপারেশন (operation) হবে, সে চিন্তায় কাহিল হয়ে যায়। বলার সময় বলে, "প্রভু, তুমি সব দেখছো, তুমি সব করাচ্ছ।" করার সময় নিজের মনে ছল বল কৌশল কিছুই বাদ নাই। প্রয়োজনের সময় কৈ ভগবান এসে তো বাচায় না। তখন বলে, "পূর্ব জন্মের দুস্কৃতির ফল, কর্মফল।" তাহলে তাহাকে ডাকবো ? একটা পাথর পেলে ১০,০০০ বছরের পুরণো বলে তাকে সিঁদুরের ফোঁটা দেয়। ১ লক্ষ বছরের পুরণো শালগ্ৰাম শিলা পেলে কলকাতায় procession হয়ে যায়। কিন্তু কোন পাথর পৃথিবী হতে পুরণো নয়। কৈ তারা পৃথিবীকে তো পূজা করে থাকে।
কীর্তনে প্রথম সাড়িতে গান হচ্ছে, পতিতে তারিতে এল তারিণী।" আর শেষের শাড়িতে গেয়ে চলেছে ২৫শে তারিখে হবে বারুণী।" রামবাবু আরা গেছে। শুনলো মারা গেছে। রামবাবুর স্ত্রী শাখা সিঁদুর ফেলে বিধবা সাজলো। এক গ্ৰামে লোকেরা হাতি দেখে অবাক হল। তর্কালঙ্কার মশায় নাকে নস্যি টেনে হেসে বললেন, "গত রাত্রের অন্ধকার এটায় জমাট বেঁধে আছে।" কোথায় গেল জপ, তপ ; আবাহন বিসর্জনের অর্থ। হয়ে গেল সব পাঁচনের ফর্দ। Left Right করে সব চলছে কোথায় জানা নাই। এসব হল সংস্কারের বিষক্রিয়ার ফল। আমাদের ধর্মে 'গুরুগিরি' ব্যবসা হয়ে গেছে। তাই দুর্দিনের সৃষ্টি হয়েছে। সূর্য না উঠলে দেশ মরে যেত। কিন্তু সূর্যকে সকলে আড়াল দিয়ে চলে ছায়াতে গাছ হয় না।
``````````````````````````````````````````````````````````
স্বাধীন চিন্তায় থাক। যা জানা নাই, তাকে প্রত্যক্ষ বলে জানছি না, মানছি না। কিন্তু এটা বুঝি যে, না বুঝার ফল ভুগছি। সুতরাং সত্যকে জেনে নাও। 'ভগবান', 'ভগবিন' বলে সকলে কেঁদেছে। কিন্তু ভগবান আসলো না কেন ? সে কান্নায় আন্তরিকতার অভাব তো নাই। মায়ের যে ছেলেটি মারা গেল, মাতার জন্য কেঁদে পাগল হয়ে যায়। তবুও সে আসে না কেন ? সে ঐ রূপে আর নাই বলে।
বৃত্তি সকলের চিরকাল একই ছিল। সকলেই ২/৩টা বা আরও বিবাহ করতো। ৬০,০০০ বৎসরেও দশরথ লব কুশকে দেখে নাই। কিন্তু এখন ৩০/৪০ বৎসর বয়সেই নাতি পুতি দেখছে। সুতরাং এখনকার ৩০/৪০ বৎসর আগেকার ৬০,০০০ বছর হতেও অনেক দ্রুত অনেক Matured. Velocity of time এখন অনেক বেশী। তাদের বৃত্তি আর তোমাদের বৃত্তি এক হলে, তারা যদি ভগবানকে দেখে থাকে, তাহলে তোমরাও দেখেছ। তারা আর তোমরা একই ; আলাদা কিছুই নয়। তারা যদি ভগবানকে দেখে থাকে, দেখতে হবে তারা কোন্ টাকে ভগবান বলেছে ? তারা এই আকাশ বাতাস সূর্যকেই ভগবান বলেছে। তারাও বলতো শিব, কালি আসল।
যে সকলকে প্রত্যক্ষ দেখা যায়, তাহাই দর্শন। বাবা আছেন', তাকে লোকের কথায় বিশ্বাস করতে হয় না। লক্ষ লক্ষ লোক যদি বলে, 'তিনি তোমার বাবা নন', তাহলেও তাদের কথায় বিশ্বাস করবে না। পূর্বের লোকেদের সাথে তোমাদের সকল বিষয়েই মিল আছে। ১০টা মিলে থাকলে ১১টা মিলবে না কেন ? যেমন তারা ভগবান হলেন বা ভগবান দেখলেন। সব মিললে ১১টাও মিলতে হবে, এটাই নিয়ম। বিশ্বাস কথাটা অন্ধ ভাব নয়। প্রত্যক্ষতার মধ্যে বিশ্বাসই হ'ল বিচার।
তোমরা এই পৃথিবীতে এসেছ (জন্মগ্রহণ করেছ) জান, এখানে আছ জান, যাবে (মৃত্যু হবে) যে, সেটাও জান। কার উপর নির্ভর করে এসব কথা বলছো ? তোমরা বায়ু (মরুৎ), তেজ (আলো), জল (অপ্), স্থল (ক্ষিতি) এবং মহাশূন্য (ব্যোম) এই পঞ্চভূত থেকে এসেছ। তোমার মাতা পৃথিবী। পৃথিবীর পিতা হ'ল সূর্য। সুতরাং তোমার পূর্বপুরুষ হল সূর্য। আবার মৃত্যুর পর মিশে যাও সেই পৃথিবীর জল, বায়ু, তেজে। পৃথিবী ছিল জলে। জল বায়ুতে, বায়ু তেজে। সুতরাং তেজই হ'ল আরাধনা। তেজ থেকে বার হলে ; আবার তেজেই ফিরে যাবে। এই দর্শন, স্পর্শন ঘ্রাণ, শ্রবন ইত্যাদি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনুভূতির সকলের মূলেই আছে তেজ। তেজই প্রাণ, তেজই মন, হ'ল অস্তিত্ব। সুতরাং তেজই হ'ল আমাদের আরাধনা, আমাদের আরাধ্য বস্তু। বুঝতে পেরেছে ?
সহজ চিন্তার দ্বারাই তেজকে আশ্রয় কর। চৈতন্য কি ? তাকে তো দেখা যায় না। কিন্তু বুঝা যায়। তেজও ঠিক তাই। দু'জনার রূপ গুণ এক। সুতরাং তাহারা একেতে সংশ্লিষ্ট আছে। একটা বোধে বোধগম্য সত্তায় ব্যক্তিগত অনুভূতি, চেতনার চৈতন্য তেজ আকারে আকার নিয়েছে। সৃষ্টি হ'ল এর নমুনা। দুধ-ঘাস-মাটি-জল অনেক প্রভেদ। কিন্তু ঘাস থেকেই দুধ হ'ল। এই জাগতিক বুদ্ধি হতে অণিমা, লঘিমা➖ সব বিভিন্ন শক্তি, তেজ থেকেই এল তেজও এল অনন্ত হতে।
``````````````````````````````````````````````````````````
তেজের পর তেজ recurring হয়ে speed maintain করে চলেছে➖ এটাই হ'ল life. বহু অণু-পরমাণুর মিলিত অবস্থা হ'ল আত্মা। ইহাদের দেহের মধ্যে সাড়া পাওয়া যায়। অন্তর আত্মাতে চৈতন্য➖ আমরা তেজ রূপে সূর্য হয়ে আছি। সেই তেজ ৯৭°/৯৮° তাপ হয় এই দেহেতেই আছে। তেজ যদি আমরা হই, তবে আমরা তেজকেই উপাসনা করবো। আমরা নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ অবস্থায় আছি। আমরা হলাম এক একটি তাঁরা ( নক্ষত্র) ; যার কিরণ বার হচ্ছে সদা সর্বদা➖ দর্শন,স্পর্শন, ঘ্রাণ, শ্রবন,স্বাদ ইত্যাদি নামে।
আমাদের শুদ্ধ ভাবই প্রকৃত ভাব। জীব হ'ল চির শুদ্ধ বীজ। ছেড়ে দাও সেই বীজকে মহাশূন্যে। সে আপনি ফুটবে। এখানে আমরা নিজেকে ভুলে গিয়ে জোর করে 'ভগবান', 'ভগবিন' বলছি। কিন্তু কে ভগবান ? কাকে ডাকবো ? এই দেহ নিয়ে সীমাবদ্ধ অবস্থায় নানারকম জ্বালা যন্ত্রণায় আক্রান্ত হয়ে আছি। আকাশের মত মনকে ব্যাপ্তমান করে ছেরে দাও। কাঁদনের কথা বলা সহজ। তাতে তাড়াতাড়ি রেহাই পেতে পারি। শুধু সেই কারণেই বিরহ মিলনের কথা, স্বর্গের কথা, পাঁচালী-ছন্দের কথা বলবো না। আমার কথায় মনে হবে নাস্তিকতা। কিন্তু ইহা পূর্ণ আস্তিকতা। কুমার মূর্তি গড়ে, পা দিয়ে মাটি ছানে। পরে নিজেই নিজের গড়া মূর্তির কাছে হাত জোড় করে। এই ভাবই হ'ল মূর্তি পূজার ভাব।
আলাদা করে কোন ভগবান কে ডাকতে হবে না। তোমরা নিজেরাই Diamond হয়ে যাবে। রাজার ছেলে রাজাই তোমরা এক একজন বিরাট। বিরাট হয়ে এসেছ, বিরাট হয়েই আছ➖ তাহাই শুধু জেনে নাও, বুঝে নাও। এখন না বুঝলেও বিরাটের বিরাটত্ব ঠিকই আছে। শুধু অজ্ঞান-আবরণে ঢাকা আছে। সময় মতো সেটাও কেটে যাবে। মেঘের মধ্য হতে জ্ঞান সূর্য আপনিই উদয় হবে। বিশ্ব জগতের সকল বস্তু নিয়েই আমরা এসেছি। তাহাই শুধু জানবো। তাহাই শুধু বুঝবো। সেই স্বরূপকে জানার অনুভূতিকেই আমরা জাগাবো। তখন দেখবো। আমাতেই ব্রহ্মাণ্ড প্রকাশিত হয়ে রয়েছে। আমরা যে ব্রহ্মের সন্তান, আমরাই যে পূর্ণব্রহ্ম।
এখনই মূর্তিকে ভয়েও অনেকে নমস্কার করে। আবার প্রণামের সময়ও অনেকে দেখে, কেউ দেখে ফেললো কি না। ভগবান কে গালি দিলেও ভগবান রাগে না। আদর করলেও কথাটি বলে না। যে ভগবানে আমাদের প্রত্যক্ষনুভূতি জাগে না, সে ভগবানে দরকার কি ? আমি তোমাকে খুন করলেও ভগবান এসে বাধা দেবে না। আবার তোমাকে মৃত্যুর হাত হতে বাঁচালেও আমাকে পুরস্কৃত করবে না। সুতরাং বাঁকা পথ, অজানা পথ ধরবে না। প্রকৃতির রূপকেই প্রত্যক্ষভাবে চিন্তা কর। সুন্দর ও সুস্থ হও। দেহবীণাযন্ত্রকে ঠিক করো। এখানকার সাধু-সন্ন্যাসী দেশকে নির্জীব করেছে। আমিও মৃদঙ্গের (খোল করতাল নিয়ে কীর্তনের) বংশ। কাঁসর ঘন্টা বা ঢাক ঢোলের শব্দে যদি ভগবান আসতো, তবে Tram বা Bus এর শব্দে কোলকাতার রাস্তাঘাট ভগবানে ভরে যেত।
`````````````````````````````````````````````````````````
তোমরা যে ভালবাস, কি ভালোবাস, কাকে ভালবাস বলো তো ? চামড়া ফেলে দিলে একজন আর একজনকে আর ভালবাসে না। তখন সাহিত্য কবিতা সব চলে যায়। এক চামড়ার উপরেই আছে এই সাহিত্য, এই কবিতা। তোমার জীবন চরিতকে এইরূপ চামড়া ছাড়া করে বুঝে নাও। এখানের চলতি ধারার আইন অনুযায়ী গেলে ভগবান দর্শন আর হবে না। কারণ বহু কিছু ছাড়তে হবে। ছাড়াছাড়িতে যারা বলেন, ' পেয়েছেন', সেটা বা সেই পথ তোমাদের জন্য নয়। এই মীমাংসা নিয়েই সব গোলমাল হয়েছে। সব ধারা মীমাংসাতে গিয়ে আটকে আছে।
কেহই কিছুই ছাড়তে পারে না। দেহের কোন বৃত্তি ছাড়া যায় না। কাম, ক্রোধ, লোভ, হিংসা-দ্বেষ➖ এগুলি দেব-দর্শনের অন্তরায় হতে পারে না। কারণ এগুলি কেহই ছাড়তে পারে না। যতক্ষণ দেহ আছে, এসবই থাকবে। যদি সেগুলো খারাপ হয়, তাহলে স্রষ্টাই সেজন্য দায়ী। কারণ তিনি এসব বৃত্তির সংযোগে আমাদের পাঠিয়েছেন। এই নিয়েই সৃষ্টি। আজ ধর্মের মধ্যে ছল চাতুরী এসে পড়েছে। সমস্ত বৃত্তি সব সময়ই সকলের থাকবে। কোন কিছুই কেহই ছাড়তে পারে না ; যত বড় বড় মহানই হোক না কেন।
সঠিক পথের সন্ধান মিলছে না। সব যেন দিশেহারা হয়ে গেছে। সহজ Line কে সহজ অবস্থাকে জটিল হতে জটিলতর করেছে। এখন আর রাস্তা খুঁজে পায় না বলে, ভাবাতীত, জ্ঞানাতীত, অবাঙ্মানসগোচরঃ ইত্যাদি বলছে। কিন্তু তারা পারেনি বলে আমরাও পারবো না, তা হবে কেন ?
আমাদের সব কিছু হয়েই আছে। যা আছে সেই সবকেই আবার জানাবো। দুঃখ বা ইন্দ্রিয়ের দৈহিক ব্যাপার আধ্যাত্মিকতা নয়। আমি বাচ্চা বয়স হতে অনেক দেখেছি। তুমি তোমাতে তোমার অনতর্জগতে স্থিত হও। সব জানলে, সব বুঝলে, কিন্তু সংস্কার এমনই যে, তবুও ধাক্কা দেবেই।
এই জগতের সুখ দুঃখ আঘাত➖ সব দৈহিক ব্যাপার। কে সুখ বা দুঃখ পায়, খুঁজলে পাওয়া যায় না। আমার চতুর্দিকে বহু মূর্তি ছিল। বাচ্চা বয়স হতে বহু ভগবান দেখেছি। কত মূর্তি এসে দৌড়াদৌড়ি করেছে। কিন্তু আমার কাছে কোনোটারই দাম নাই। বিরাট স্রোতে সব আপনি চলে যায়। কিছুতেই কিছু হবে না। শুধু স্বাদকে বুঝা চাই। তত্ত্ব এমনই জিনিস যে, সব মূর্তি ভেসে গেল।
মূর্তি হচ্ছ তুমি। তুমি তোমাতে প্রতিষ্ঠিত হও। এই বিশ্বরূপ তোমাতেই প্রতিষ্ঠিত আছে। এগ জীবজগৎই বিরাট। যতদিন পর্যন্ত এই দেহের তত্ত্বকে এই দেহমূর্তির তত্ত্বকে বুঝা না যায় সেই গভীরতায় পৌঁছান না যায়, ততদিন কিছুই হবে না।
`````````````````````````````````````````````````````````
জীবনভর যে যা করছো, সকলে রিসার্চ করে যাও, Analysis করে যাও, যাকে খাচ্ছ, আবার সেও তোমাকে খাচ্ছে পূর্ণ তৃপ্তির সহিত। তুমি যে জিনিস খাচ্ছ, সেটাই germ হয়ে কৃমি হয়ে তোমাকে খাচ্ছে। কেউ মরে না শুধু রূপের পরিবর্তন হয়। যা খাচ্ছ, সকলেই নড়ে চড়ে, সকলেরই প্রান আছে। এই খাদ্য খাদক, খাওয়া খাওয়িতে, আদান-প্রদানেই সব চলেছে। তুমি খেয়ে তৃপ্ত, খাদ্যও তোমাকে খাইয়ে তৃপ্ত➖ এইভাবে বৃত্তির নিবৃত্তি এই ভাব চলছে প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে।
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে জন্ম ; এই রূপের নিয়ম। আমরা এত রূপে রূপান্তরিত হতে হতে রূপ নিয়ে যাচ্ছি। আমরা একবার গহ্বরে একবার সৃষ্টিতে। প্রতি মুহূর্তে জন্মাই আবার প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুতে বা রূপে রূপান্তরিত হচ্ছি। শুক্র কীট হতে, কি কি হতে কি হতে আবার মিলিয়ে গেলাম। একবার রক্ত, একবার বীর্য, একবার মাংস➖ প্রতি মুহূর্তে মাতৃগহ্বরে ; আবার প্রতি ক্ষনে বহির্গত হচ্ছি অজানা হতে জানতে। আবার অজানা গহ্বরে ; আবার জানতে বহির্গত হচ্ছি।
জীবনের প্রথম হতে শেষ ১ মিনিটের কোটি ভাগের এক ভাগে, আগে যাহা ছিলাম এখনও সেইভাবেই আছি। জীবনভর শুধু রূপে রূপে রূপান্তরিত হতে হতে যাচ্ছি ভাল করে বুঝে নাও।
সেই কীটানুকীট অবস্থায় আজও রহিয়াছি একবার মাংস একবার বীর্য হয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকে নিজের জীবনকেই পাঠ করো। তাহলেই প্রকৃতির গ্ৰন্থকে পাঠ করা হবে। মুহুর্তে মুহূর্তে গহ্বরে আবার বহির্জগতে। প্রতি মুহূর্তে অজানাতে (গহ্বরে) এবং জানাতে আছি। প্রতি মুহূর্তে জন্মে আবার মরছি এবং যাচ্ছি অনুভূতিতে দর্শনে➖ জানার পর আবার অজানাতে।
`````````````````````````````````````````````````````````
আদি বীর্যকীট➖ সেই অবস্থার রূপের মাঝে রূপান্তরিত হতে হতে সেই অবস্থাতেই আছে অনন্ত অগণিত কোটি কোটি বছর ধরে একই ভাবে চলছে। যেমন ৮০ বছর x ৩৬৫ দিন➖ এক ব্যক্তিই এত দিনের মধ্যে রয়েছে। সেই শিশুই চিরদিন রয়ে গেল। মিনিটে বা সেকেন্ডে বা পলে (মুহূর্তে) নিয়ে যাও➖ একই ব্যক্তি আর একই ব্যক্তিত্ব রয়ে গেল। সূর্যে তাপে জলে বাতাসে মাটিতে শুধু রূপান্তরিত হতে হতে যাচ্ছে।
সকলেই গিয়ে সূর্যে মেশে। তাই এই শরীরে তাপ বা সূর্য আছে সকল ভাবই সেই তাপ হতে সৃষ্টি। তাই সকলেই গিয়ে সূর্যে মিশেছে। তাই সূর্যই আমাদের ধ্যান, সূর্যই আমাদের জ্ঞান।
অনন্ত অগণিত অণু-পরমাণুর মাঝে সেই সূর্য-শক্তিই
বিদ্যমান। বস্তুর বস্তুত্ব হইল জ্ঞান বা তেজ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নক্ষত্রবৎ এই জীবাত্মাগণ যদি শুধু এই তেজকেই সঞ্চয় করিয়া চলে, তবেই সে ক্রমে ক্রমে সূর্য অবস্থা প্রাপ্ত হইয়া নূতন নূতন ভাবে ব্রহ্মকে আপন আপন জ্ঞানে উদ্ভাসিত করিতে পারিবে। বিরাটের সেই অনুভূতিতে ভরপুর হইয়া থাকার অবস্থাই ব্রহ্ম অবস্থা। সৃষ্টির মূলে প্রকৃতির এই সাম্য অবস্থা, এই সাম্য নীতিই হইল ব্রহ্মনীতি। এই সর্ব-সাম্য অবস্থায় যে অবস্থান করিতে পারে, তাহার আর ধর্ম-কর্মের কোন প্রয়োজন হয় না নিজের সিদ্ধি, নিজের মুক্তি, নিজের নির্বাণ, সে নিজেই দান করিতে পারে।
আজ এই থাক।
🙏🌹🔱 রাম নারায়ণ রাম 🙏🌹🔱
🔱🌺 গুরু কৃপাহি কেবলম্ 🔱🌺
পুস্তক সূত্র : ধর্মের আঁতুর ঘর সংসার
Post Day : 20/06/2022
🌻🌻ধর্ম ধর্ম করলেই ধর্ম হয় না। ধর্মের মূল তত্ত্ব আগে জানা দরকার।🌻🌻
````````````````````````````````````````````````````````````
১৪ই মে, ১৯৭৩, দমদম HMV স্টুডিও
``````````````````````````````````````````````
ধর্ম বেদ সম্পর্কে জানতে চেয়েছো। বেদই ধর্ম। সেই
ধর্মকে আজ কোথায় এনে নামিয়েছে। এক শ্রেণীর ব্যক্তিরা বেদের অর্থ বিকৃত করে সমাজকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ধর্ম ধর্ম করলেই ধর্ম হয় না। ধর্মের মূল তত্ত্ব আগে জানা দরকার। আমি সেই বিজ্ঞানসম্মত মূল তত্ত্বকেই জানিয়ে দিতে চাই। ধর্ম কারুর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ধর্ম চন্দ্র সূর্যের মত স্বচ্ছ, সম্পূর্ণ বাস্তবতার উপর প্রতিষ্ঠিত। অবাস্তবতার ভেল্কি এখানে বেশীদিন চলবে না।
এতদিন এখানে ধর্মের কথা শুনেছো একরকম। এখন সত্যিকারের কথা শোনো। ধর্মের প্রথম কথাই হলো সমাজের অভাব দূর করা। কেউ অনাহারে বা নিরাশ্রয়ে থাকতে পারবে না। ধর্মের মূল কথাই হলো সমাজকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া। এমনকি দেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। এখানে ধর্মের নামে বেশীরভাগই চলছে ব্যবসা আর শোষণ। তারই জন্য হয়েছে দল আর সম্প্রদায়। এরা সমাজের বুকে পরগাছাস্বরূপ। এরা সমাজে আনছে হতাশা। বেদ আনছে আশার বাণী। ধর্ম ও রাজনীতির সুযোগ নিয়ে একদল স্বার্থান্বেষী শোষকগোষ্ঠী সমাজকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বেদ এদেরই রাক্ষস বা অসুর বলতো বেদ তাই বারবার সাবধান করে দিয়েছে, দেশ যেন এদের কবলে না পড়ে।
এইসব শত্রুদের দমন করার চরম নির্দেশ বেদ দিয়ে গেছেন। রামের হাতের ধনুক বাণের কথা ভুলে যেও না। দেবীপূজার শেষে ছিল শত্রুবলির প্রথা। বাড়িশুদ্ধ সবাই মায়ের হাতের খড়্গটি ধরে মন্ত্রপাঠ করে শত্রুবলি দিতো। নাম ও প্রেমের মাধ্যমে সমাধান না হলে দেবদেবতার হাতের অস্ত্রগুলোর সদ্ ব্যবহার করতে ভুলে যেও না। সমাধানের জন্য বেদ আরও বলেছেন। নাম ও প্রেমের মাধ্যমে যাতে সবাইকে জয় করা যায়, তার জন্য আকাশের তত্ত্বকে মন্থন করে এক বিরাট অর্থবোধক তেজঃপূর্ণ স্বরগ্ৰাম আনা হয়েছে। তা হলো "রাম নারায়ণ রাম।" এই মুক্ত নাম যারা মুক্তকন্ঠে ভজন করবে, তাদের মাধ্যমে আবার দেশের কল্যাণ।
বুঝে না বুঝে অ, আ, ক, খ শিখে যেমন বড় বড় কবি সাহিত্যিক হয়েছে। সা রে গা মা-র চর্চা করেই যেমন বড় বড় সুরজ্ঞ হয়েছে, তেমনি এই নাম যারা স্বরণ করবে, তারা আকাশের মতন স্বচ্ছতায় ভরপুর হয়ে যাবে। উপলব্ধি তখনই করতে পারবে বিশ্বপ্রকৃতির সৃষ্টির কারণ ও উদ্দেশ্যকে এবং মহা চৈতন্যময় বিশ্ব প্রকৃতিকে; তারজন্যই যে সৃষ্টি। আমি চাই আবার সেই বেদের যুগ ফিরে আসুক।
````````````````````````````````````````````````````````````
(এই ভাষণটি ইং ১৪ই মে, ১৯৭৩, বাং ৩১শে বৈশাখ, ১৩৮০ সনে রেকর্ড করা হয় HMV স্টুডিওতে। রেকর্ডের একদিকে আছে 'রাম নারায়ণ রাম' মহানাম। মহানাম আর একদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের বেদতত্ব ও ধর্ম সম্পর্কে এক সংক্ষিপ্ত মহামূল্যবান ভাষণ, যা সকলকে নাড়া দিয়ে যায়। এই ভাষণটি HMV স্টুডিও কতৃপক্ষের বিশেষ অনুরোধে বেঁধে দেওয়া হয় ২ মিনিট সময়ের মধ্যে এবং ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে ভাষণটি শেষ করতে বলা হয়। এই নিয়ে HMV কতৃপক্ষের অনেকের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয় যে, কি করে ২ মিনিট সময়ের মধ্যে ধর্মের প্রকৃত ব্যাখ্যার বর্ণনা দিয়ে ভাষণটি শেষ করা সম্ভব ? কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শ্রী শ্রী ঠাকুর উপস্থিত সকল জ্ঞানিগুণীদের অবাক করে দিয়ে ২ মিনিট সময়ের মধ্যে মহা মূল্যবান ভাষণটি শেষ করেছিলেন। আর বিশেষ করে এই কথাটি উল্লেখ না করলেই নয় যে, এই ভাষণটি কোন লিখিত ভাষণ নয় যে, সময় ধরে রিহার্সাল করে রেকর্ডিং করা হয়েছে। শ্রীশ্রীঠাকুরকে শুধু বলা হয় যে, "আপনি ২ মিনিটের মধ্যে আপনার মতো করে ধর্মের ব্যাখ্যা করবেন।")
🙏🌹🔱 রাম নারায়ণ রাম 🙏🌹🔱
🔱🌺 গুরু কৃপাহি কেবলম্ 🔱🌺
পুস্তক সূত্র : ধর্মের আঁতুর ঘর সংসার
Post Day : 10/06/2022
মহাকাশ ফাঁকা হলো সেই ফাঁকা জায়গাতে একটা অপূর্ব সুন্দর রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে সবাই এগিয়ে চলে যাওয়ার জন্য, নিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্বস্রষ্টা এই পথ তৈরি করে রেখেছেন। যে বিরাট উদ্দেশ্যে এই বিশ্ব সৃষ্টি সেটা যাতে চরিতার্থ হয় তার জন্যই যেন স্রষ্টা এই পথ ঘাট তৈরি করে রেখেছেন। স্রষ্টার সেই ইচ্ছাকে পূরণ করায় তোমাদের করণীয় কাজ। তোমাদের মাঝে যে বুঝ সহজাত তাকে বুঝে বুঝে বিবেকের নির্দেশ মত চললে আর কোনো অসুবিধা হবে না।
🙏🌺জন্মসিদ্ধ ঠাকুর শ্রী শ্রী বালক ব্রহ্মচারী🙏🌺
িরাট_মহান_যখন_এই_ধরায়_এসেছেন
#নিশ্চয়ই_তাঁর_কোনো_বিশেষ_উদ্দেশ্য_আছে।
🌀 শিশু বয়স থেকেই শ্রীশ্রী ঠাকুর মানুষের পূজা পেতে শুরু করেছেন। কারণ জন্ম থেকেই তিনি অষ্টসিদ্ধি সাথে করে নিয়ে এসেছেন। এখানে এসে তাঁকে কোনো সাধনা করতে হয়নি। তাই তো মানুষ তাঁকে জন্মসিদ্ধ বলে।
বেশীর ভাগ সাধু-গুরু-মহানদের কার্যকলাপের তিনি কঠোর সমালোচনা করেন। সুতরাং অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে শ্রীশ্রী ঠাকুরের উদ্দেশ্য কি? শিশু বয়স থেকে সমাজের বৈষম্য, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিরাট ব্যবধানের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করে এসেছেন। তাঁর মতে, আজকের তথাকথিত ধর্মই সমাজের বর্তমান দুরবস্থার জন্য দায়ী। হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মকে বিকৃত করা হয়েছে, ধর্মের প্রকৃত সত্যের অনুসন্ধান না করে কল্পিত দেব-দেবীর পূজা-অর্চনা, যাগ-যজ্ঞ নিয়ে সমাজ মেতে উঠেছে। শ্রীশ্রী ঠাকুর মানুষকে জেগে উঠে, শোষক ও দুর্নীতিপরায়ণ স্বার্থাম্বেষীদের হাত থেকে সমাজ ও মানুষকে উদ্ধার করতে বলেছেন। কায়েমী স্বার্থ এই বক্তব্য মোটেই পছন্দ করে না, কারণ ওদের স্বার্থের পরিপন্থী। সুতরাং ধর্মীয় সম্প্রদায়, অসৎ ব্যবসায়ী এবং অন্যান্যদের সাহায্যে শিশু বয়সেই ঘরে বিরাট বিষধর সাপ ছেড়ে দিয়ে, নৌকা ফুটো করে পদ্মার জলে ভাসিয়ে দিয়ে শ্রীশ্রী ঠাকুরের প্রাণনাশের চেষ্টা করে। পরে তরুণ বয়সে তাঁর চরিত্র হননের চেষ্টা করে, বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করতে চায়। কিন্তু মিথ্যা দিয়ে সত্য চিরদিন ঢেকে রাখা যায় না। সুতরাং বিরোধী পক্ষের চেষ্টা বিফলে যায়। কিন্তু শ্রীশ্রী ঠাকুরের প্রচার হয়। দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে মানুষ তাঁর ভাষণ শুনতে যায়, তাঁকে দেখতেও যায়। তাদের ভুল শীঘ্রই ভেঙে যায়, তাঁর তেজোদীপ্ত কান্তি এবং তত্ত্বময় ভাষণ শুনে অভিভূত হয়ে তাঁর শ্রীচরণে আশ্রয় নেয়। একদিকে তাঁকে দেখে মনে হয় এক সহজ সরল মানবিকতার প্রতীক--যাঁর মধ্যে আছে সকলের জন্যে অসীম প্রেম-ভালবাসা, আর একদিকে শোনে ধর্ম ও সমাজের সব সমস্যা সম্বন্ধে তাঁর বলিষ্ঠ যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য। কারও কাছ থেকে তিনি কিছু চান না। কিন্তু মানুষকে দেবার মতো তাঁর অনেক কিছু আছে। ছোট হোক, বড় হোক, ধনী হোক তাঁর অকাট্য যুক্তি, আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে তাঁর অপূর্ব বিশ্লেষণ সবার মনে গভীর রেখাপাত করে। সর্বপরি মানুষের জন্য তাঁর করুনার যে কত ঘটনা তা বর্ণনা করে শেষ করা যায় না। সবসময় অন্যের দুঃখে তাঁর মন কাঁদত।
আমরা এখানে ঘরের কথা ভুলে গিয়ে ভিখিরির মতো সিঁড়িতেই বাস করছি। সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ছি। এখানকার সাময়িক
সুখকে চিরদিনের মনে করে নিয়েছি বলেই আমাদের সত্যিকারের আবাসের কথা আর মনে আসছে না। সেখানে যাবার ব্যাকুলতাও তাই জাগছে না। ফলে যে নাম ও জপের সুরকে সাথে রাখার কথা সেটাও আর হচ্ছে না। তাইতো সিঁড়ি মাঝে আটকে থেকেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলে চলে যেতে হচ্ছে। ঘরে যাওয়া আর হচ্ছে না।
❤️জন্মসিদ্ধ ঠাকুর শ্রী শ্রী বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ❤️
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Silguri
Silguri
• India's #1 Nepali Daily • Covering politics, society, culture, economy, and sports. • Empowering the Nepali community