CPIM Siliguri

Red selute to all the comrades lives in the India .It is the time to raise your voice against imperi

07/11/2023
19/08/2023

ভারতীয় নাট্য ও চলচিত্র জগতের দিকপাল কিংবদন্তি নাট্যকার ,অভিনেতা ,পরিচালক,আজীবন কমিউনিস্ট উৎপল দত্ত কে প্রয়াণ দিবসে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা |

"একদিকে নকশালবাড়ি, একদিকে ........। বুদ্ধিজীবীরা পথ বেছে নিক।" উত্তরবঙ্গের এক জনসভায় তার উত্তাল উদ্ধৃতি !

জন্ম বরিশালে । ১৯২৯ সালের ২৯ শে মার্চ |প্রাথমিক পড়াশুনো শিলংয়ে। বাবার বদলির চাকরি। খানিক পড়াশুনো বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলিজিয়েটে।মাধ্যমিক কলকাতার জেভিয়ার্স স্কুলে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকে প্রথম। কলেজ জীবনেই গড়েছেন নাটকের দল। 'শেক্সপীরীয়ানস্'। পরে নাম বিখ্যাত "লিটিল থিয়েটার" ! তারপর যা হয়েছিলো, তা বাঙালির নাট্য ইতিহাসে মহাকাব্য ! মিনার্ভার খিলানে খিলানে যা আজো থাকে স্তম্ভিত হয়ে। বার্ড অফ এভোন থেকে গোর্কি থেকে ইবসেন থেকে ব্রেশট্ ! 'ফেরারি ফৌজ' থেকে 'ব্যারিকেড'। 'অঙ্গার' থেকে 'কল্লোল'। 'বনিকের রাজদন্ড' থেকে 'টিনের তলোয়ার' ! মিথ হয়ে যাওয়া সব উপাখ্যান !টিনের তলোয়ার মঞ্চস্থ হওয়ার এর ৫০ বছর পূর্ণ হলো কদিন আগে |

গননাট্য থেকে পথনাট্য !
না, শুধু নাটক না! "নাটক করি নিজের দায়ে, সিনেমা করি পেটের দায়ে" ! মধু বসুর "মাইকেল" দিয়ে শুরু ! বাকিটা সব্বাই জানে। পদ্মা নদীর হোসেন মিয়া, জন অরন্যের বিশুদা, আগন্তুকের মনমোহন মিত্র, মগনলাল মেঘরাজ থেকে হীরক রাজা ! সত্যজিৎ থেকে ঋষিকেশ থেকে মৃনাল সেন থেকে তপন সিনহা থেকে গৌতম ঘোষ। তাঁকে ঘিরে চলচ্চিত্র বানিয়েছেন সব্বাইরা !

আজীবন ঘোষিত বামপন্থী। পথনাট্য থেকে প্রকাশ্য জনসভা। সমস্ত করেছেন। ১৯৬৫'র ২৩ সেপ্টেম্বরে দেশদ্রোহের অপরাধে তাকে গ্রেফতার। ৬৭ তেও রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে গ্রেফতার মুম্বাইয়ে। অবশ্য সে দেশই, সে রাষ্ট্রই পরে তাকে ভরিয়েছে জাতীয় থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে।

স্কুলের শিক্ষক বলেছেন তিনি 'অতিমানব' ! ৬ বছর বয়সেই শেক্সপিয়ারের নাটক মুখস্থ বলতে পারতেন ! বিশ্বখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব রিচার্ড শেখনার তাকে বলেছিলেন পৃথিবীর সেরা তিন নাট্যকারের একজন। রবি ঘোষ তাকে গুরু মানতেন। অনর্গল জানতেন রুশ, জার্মান, স্প্যানিশ ! শেক্সপিয়ারের সাঁইত্রিশটা নাটকের প্রত্যেক লাইন কন্ঠস্থ ছিলো আজীবন।
তিনি নাট্যকার। তিনি অভিনেতা। তিনি পরিচালক। তিনি কবি। তিনি রাজনৈতিক। তিনি নকশাল।তিনি কমিউনিস্ট তিনি বাঙালি। তিনি উৎপল 'রঞ্জন' দত্ত।
১৯৯৩ সালের ১৯ শে আগস্ট বাংলা হারায় তার এক ক্ষণজন্মা সন্তানকে |

19/08/2023

নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
গতকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জলপাইগুড়ি তে সিপিআই(এম) -এর জেলা পার্টি দপ্তর আক্রমণ করে। সেই ঘটনায় পুলিশ নির্লজ্জভাবে সিপিআই(এম ) রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জিয়া উল আলম, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্র নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়, পার্টি সদস্য তমাল চক্রবর্তী ও ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করে।
মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পার্টি নেতৃত্বদের অবিলম্বে মুক্তি চাই।

15/08/2023
13/08/2023

আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা, মহান বিপ্লবী, কিউবার রূপকার কমরেড ফিদেল কাস্ত্রো-র ৯৮ তম(১৩/০৮/১৯২৬) জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই।

05/08/2023

জন্মদিনে শ্রদ্ধা কমরেড হরেকৃষ্ণ কোঙার
===============
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অনন্য সেনানী ,যুগান্তর দলের সদস্য ,আন্দামান সেলুলার জেলে নির্বাসিত ,প্রবাদ প্রতিম কমিউনিস্ট নেতা কমরেড হরেকৃষ্ণ কোঙার ১৯১৫ সালে ৫'ই আগষ্ট , বর্ধমানের কামারগুরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯৩০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে , ক্লাস ৯ 'য়ে( মেমারি বিদ‍্যাসাগর স্মৃতি মন্দির ) পড়ার সময় গান্ধীজির ডাকে তিনি আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন এবং ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন ।
১৯৩২ সালে বঙ্গবাসী কলেজে পড়াকালীন , সশস্ত্র বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকার কারণে তিনি আবার গ্রেপ্তার হন এবং তাকে আন্দামান সেলুলার জেলে ৬ বছরের জন‍্য দ্বীপান্তরে পাঠানো হয় ।
এই সময়ে তার বিভিন্ন কমিউনিষ্ট আদর্শে অনুপ্রাণিত বিপ্লবীদের সাথে যোগাযোগ হয় । তাদের মধ‍্যে অন‍্যতম ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত , আব্দুল করিম , বঙ্কিম মুখার্জি , সতীশ পাকরাশি , মুজফ্ফর আহমেদ এবং ১৯৩৮ সালে তিনি ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেন ।

১৯৩৯ -১৯৪৬ সাল অবধি তিনি বর্ধমানের কৃষক এবং আসানসোলের কোলিয়ারি শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজে মন দেন ।
১৯৩৯ সালে বর্ধমানে ক‍্যানাল ট‍্যাক্সের প্রতিবাদ সংগঠিত করার দরুন, তিনি গ্রেপ্তার হন । ১৯৪০ সালে ওনাকে বর্ধমান জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ।
অজয় নদীর বাঁধ সংগ্রামে তিনি অগ্রনী ভূমিকা নেন , এবং ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে বর্ধমান শহরে গৃহবন্দি করে রাখে । নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাকে রুখে রাখা যায়নি। তিনি আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে বৈপ্লবিক কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন ।

স্বাধীনতার পর খাদ‍্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাগের সময় তিনি ৩২ জন কমরেডের অন‍্যতম ছিলেন যারা পার্টি ভাগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ।

হরেকৃষ্ণ কোঙার জমি সিলিং আইনের মাধ‍্যমে উৎবৃত্ত বেনামী জমি বড় জমি মালিকদের থেকে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন । এইভাবে অর্পিত কৃষি জমির পরিমাণ ছিল প্রায় দশ মিলিয়ন একর (৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার) । পরবর্তীকালে ১৯৭৭ সালে বাম সরকার গঠন হলে, বিনয় চৌধুরী এর নেতৃত্বে এই ২.৪ মিলিয়ন জমি ভূমিহীন ও দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল।

১৯৭৪ সালে ২৩ 'শে জুলাই এই মহান কমিউনিস্ট বিপ্লবী , ক‍্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন ।

তথ‍্যসূত্র : ব‌ই "হরেকৃষ্ণ কোঙার প্রবন্ধ সংগ্রহ "

Photos from CPIM West Bengal's post 05/08/2023
05/08/2023

প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানাই

Photos from CPIM Siliguri's post 05/08/2023

■ স্মরণে কাকাবাবু ■

মুজফ্‌ফর আহমদ ১৮৮৯ সালের ৫ই আগস্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের মুসাপুর গ্রামে এক দরিদ্র কিন্তু অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবার নাম মনসুর আলি এবং মা'র নাম চুনাবিবি। চুনাবিবি তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। মনসুর আলি সন্দ্বীপের এক স্বল্প আয়ের মোক্তার ছিলেন। তার দাদা আর নানার নাম ছিল যথাক্রমে মুহম্মদ কায়েম ও রেশাদ আলী ঠাকুর। পারিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় কৈশোরে মজফ্ফর আহমদকে চাষাবাদের কাজেও সাহায্য করতে হয়েছিল।
বহির্মুখি মুজফ্‌রর আহমদকে গৃহমুখী করার উদ্দেশ্যে পারিবারিক চাপে ১৯০৭ সালে তার বিয়ে হয় । তার স্ত্রীর নাম হাফেজা খাতুন। নিয়মিত সাংসারিক জীবন তিনি পালন করেননি। হুগলি মহসিন কলেজ ও পরে বঙ্গবাসী কলেজে আই এ পড়তে পড়তে চাকরিতে প্রবেশ করেন কমরেড মুজফফর আহমদ। রাইটার্স বিল্ডিং-এর ছাপাখানা ও পরে হোম ডিপার্টমেন্টের অধীন বাংলা তর্জমা অফিসে কাজ করতে থাকেন।
১৯১৮ সাল পর্যন্ত কোন না কোন লোকের বাড়িতে গৃহশিক্ষকের কাজও তিনি করেছেন।
কলকাতার মুনশী আলিমুদ্দিনের চাঁদনীর বাড়িতে তিনি তিন বছর ছিলেন। বিখ্যাত মুনশী আলিমুদ্দিনের নামেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নামকরণ হয়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কস বাদী)র রাজ্য দপ্তর বর্তমানে এই রাস্তার উপরেই অবস্থিত।
এই সময়েই তিনি বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির সহকারি সম্পাদক হয়ে সব সময় এর কর্মী ছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক মিছিল ও সভা-সমিতিতে যোগ দিতেন। “১৯১৮ সালের শেষাশেষিতে সব সময়ের কর্মীর জীবন আরম্ভ হয়েছিল । ১৯৬৭ সালে এই কয় ছত্র লেখার সময়ও চলেছে” – মুজফ্ফ‌র আহ্‌মদের নিজেরই লেখা। তার পরেও মৃত্যুর দিন পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৭৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি পার্টির সব সময়ের কর্মী ছিলেন।
১৯৩৫ সালে নজরবন্দি থাকার সময় ১৪ বছর পর পরিবারের সাথে দেখা হয়। এ সময় তিনি তার একমাত্র কন্যা আফিকা খাতুনের সাথে কবি আবদুল কাদিরের সঙ্গে সন্দ্বীপে বিয়ে দেন।
সাহিত্য, না রাজনীতি এই নিয়ে তিনি ১৯১৯ সালে বেশ কিছুদিন চিন্তা করার পর ১৯২০ সালের শুরুতে স্থির করে ফেললেন যে, রাজনীতিই হবে তার জীবনের পেশা। ১৯২০ সালের ১২ই জুলাই এ কে ফজলুল হক প্রতিষ্ঠিত সান্ধ্য দৈনিক “নবযুগ” এর সম্পাদক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এই পত্রিকায় মুজফফর আহমদ শ্রমিকদের জীবন জীবিকার সমস্যা নিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন। ১৯২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি “নবযুগ” ছেড়ে দেন।
১৯২২ সালে তিনি নজরুল সম্পাদিত 'ধূমকেতু' পত্রিকায় দ্বৈপায়ন ছদ্মনামে ভারতের রাজনৈতিক সমস্যা এবং কৃষক ও শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক রচনা লেখেন। ১৯২৩ এ প্রথম গ্রেপ্তার হন। ১৯২৪ সালে কানপুর বলশেভিক (কমিউনিস্ট) ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। গুরুতর অসুস্খ হওয়ায় ১৯২৫ এ ছাড়া পান। এই সময় আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে সংযােগ স্থাপন করেন।
১৯২৬ এ তাঁর সম্পাদনায় দলের প্রথম বাংলা পত্রিকা 'গণবাণী' প্রকাশ লাভ করে।এই সময় তিনি, আবদুল হালিম এবং আবদুর রেজ্জাক খান বাংলার সাম্যবাদী আন্দলনের নেতা হয়ে উঠেছিলান।
১৯২৯-৩৩ এই পত্রিকাতেই আন্তর্জাতিক সংগীতের ও কমিউনিস্ট ইস্তাহারের বঙ্গানুবাদ প্রথম ছাপা হর। শ্রমিক-কৃষকের সমস্যা, মার্কসীয় দর্শন প্রভৃতি নিয়েও এতে নিয়মিত আলােচনা চলত। ১৯২৯-৩৩ ঐতিহাসিক মিরাট যড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি হিসাবে তিনি তিন বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন।
১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সারা ভারত কৃষক সভার প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ২৫ মার্চ ১৯৪৮ কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি হলে নিবর্তনমূলক আটক আইনে তিনি ১৯৫১ পর্যন্ত আটক থাকেন।
১৯৬২ চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষের সময় তাঁকে ভারত-রক্ষা অইনে দু-বছর আটক রাখা হয়। ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাগ হলে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র সাথে যুক্ত হন।

৪০ বছর ধরে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ন্যাশনাল বুক এজেন্সির একজন প্রধান সংগঠক ছিলেন। গণশক্তি প্রিন্টার্স প্রেস তিনিই গড়ে তােলেন। 'কাকাবাবু' নামে তিনি কর্মী ও নেতাদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।

তাঁর রচিত গ্রন্থ : 'নজরুল স্মৃতিকথা', 'ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস' প্রভৃতি।

১৯৭৩ সালে কলকাতায় কাকাবাবুর হৃদস্পন্দন থেমে যায়, ৮৪ বছর বয়সে।
মৃত্যুর দিন পর্যন্ত মুজফ্ফ‌র আহ্‌মদ পার্টিকে বারেবারে শ্রমিকশ্রেণী বিরোধী মতবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন, মার্কসবাদের বিশুদ্ধতা রক্ষার সংগ্রামে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সংগ্রাম পরিচালনা করতে গিয়ে বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ শরীরেও তিনি কারালাঞ্ছনা ও আত্মগোপনের ক্লেশ স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হননি।
কমিউনিস্ট পার্টিকে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী কায়দায় গড়ে তুলতে হলে, তাকে ব্যাপক জনমনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে, জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সাথে যুক্ত হয়ে গণসংগঠন মজবুত করতে হবে। তাই মুজফফর আহমেদ কর্মীদের বলতেন হয় ট্রেড ইউনিয়ন করো আর না হয় কৃষক সমিতি করো। যুবদের তিনি বলতেন, শ্রমিক-কৃষকদের সঙ্গে মিশে যাও। “গণবানী”তে লিখেছিলেন: স্বাধীনতা যদি যুবকগণের আকাঙ্ক্ষিত হয় তাহলে তাদের ধন্যাভিজাত্য, জ্ঞানাভিজাত্য, ভূম্যাভিজাত্য ও বর্ণাভিজাত্য প্রভৃতি পরিহার করে কৃষক ও শ্রমিকদের ভিতরে তাঁদেরই লোক হয়ে কাজে লেগে যেতে হবে।

প্রতিটি কর্মীকে তিনি এই শিক্ষাই দিতেন – জনগনের মধ্যে থেকে কাজ না করলে কমিউনিস্ট পার্টিকে বিপ্লবের উপযোগী করে তোলা যাবে না।
পার্টি, আন্দোলন, মতাদর্শ ও বিপ্লবের স্বার্থে তিনি ছিলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের খুবই কঠোর। বাইরের কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব তাকে পার্টির আদর্শ থেকে কোনদিন বিচ্যুত করতে পারেনি। এমনকি পার্টির অভ্যন্তরে যখন আদর্শগত সংগ্রাম হয়েছে তখনও তিনি বলতেন, “বন্ধুর থেকে পার্টি ও তার আদর্শ বড়”। “মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শ রক্ষার ক্ষেত্রে কারোর বন্ধুত্ব যেন অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়”। শোষক শ্রেণী ও শাসকগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ছিল অসীম ঘৃণা। মার্কসবাদ বিরোধী তত্ত্বের ও ক্রিয়া-কলাপ এর বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম ছিল গৌরবোজ্জ্বল।

তার জন্মদিনে আমাদের শপথ
"যত দুঃখ হোক,
যত কষ্ট হোক ,
যতই কাঁটা বিছানই হোকনা
আমাদের পথ ,
আমরা বিপ্লবের পথ ধরেই চলবো.."

------------মজফ্ফর আহমেদ

Photos from CPIM Siliguri's post 02/08/2023

"বিজ্ঞানসাধক"

আজ যে মানুষটির জন্মদিন তিনি শুধু একজন অসাধারণ বিজ্ঞানীই নন,একজন অসাধারণ মানুষ ও ব্যক্তিত্ব বটে,তার তৈরী "বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল" থেকে ফিনাইল থেকে করোনা রোগে ব্যবহ্রত "হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন " প্রস্তুত হয়েছে ,তিনিই বাঙালীকে "স্বাবলম্বী " হতে শিখিয়েছিলেন

হ্যাঁ আজ "বিজ্ঞানাচার্য " স্যর আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মদিন,১৮৬১ সালের ২রা আগষ্ট অবিভক্ত বাংলার যশোর জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলি গ্রামে প্রফুল্লচন্দ্র রায় জন্মগ্রহণ করেন,তার বাবার নাম ছিলো হরিশচন্দ্র রায় এবং মা ছিলেন ভুবনমোহিনী,এক বিত্তবান ও জমিদার বংশের সন্তান প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও সব বিষয়ে অত্যন্ত তুখোড় |

প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় তার বাবার তৈরী এম ই স্কুলে,এরপরে তিনি ১৮৭২ সালে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন,কিন্তু রক্ত আমাশায় আক্রান্ত হবার দরুণ তিনি তার গ্রামে ফিরে আসেন ,তার বাবার লাইব্রেরীতে থাকা বই তার অবসর জীবনের সঙ্গী ছিলো |

যাইহোক দুবছর পরে অর্থাৎ ১৮৭৪ সালে তিনি কলকাতার অ্যালবার্ট স্কুলে ভর্তি হন এবং এখান থেকেই ১৮৭৮ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন, এরপরে তিনি মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন (বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজ) এ ভর্তি হন এবং এখান থেকেই এফ এ বা কলেজ ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রেসীডেন্সী কলেজে বি এ ক্লাসে ভর্তি হন এবং ১৮৮১ সালে এখান থেকে বি এ পাশ করে তিনি গিলক্রিস্ট বৃত্তি নিয়ে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং বি এসসি পাশ করেন সেখান থেকেই |

এই এডিনবরা কলেজ থেকেই তিনি একইসঙ্গে পি এইচ ডি ও ডি এসসি সি ডিগ্রীর জন্য পড়াশোনা শুরু করেন,দুবছরের কঠোর সাধনার পরে তিনি পি এইচ ডি ও ডি এসসি ডিগ্রী লাভ করেন,তার গবেষণার বিষয় ছিলো "কপার ম্যাগনেশিয়াম শ্রেণীর সম্মিলিত সংযুক্তি পর্যবেক্ষণ" তার এই গবেষণাপত্রটি "শ্রেষ্ঠ" হিসাবে মনোনীত হয় এবং তাকে "হোপ " পুরস্কারে ভূষিত করা হয় |

১৯৮৮ সালে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং প্রেসীডেন্সী কলেজে সহ অধ্যাপকের পদ অলংকৃত করেন,দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি এই কলেজে অধ্যাপনার কাজ করেছিলেন এবং এখান থেকেই তিনি বেঙ্গল কেমিক্যালের প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছিলেন,১৯০১ সালে মানিকতলায় ৪৫ একর জমিতে "বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল " প্রতিষ্ঠিত হয় |

তার অধ্যাপনার জন্য তাকে "আচার্য " উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু,মেঘনাদ সাহা,জ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ প্রমুখেরা ছিলেন তার কৃতী ছাত্র এবং তিনি নিজে ছিলেন "আচার্য" জগদীশচন্দ্র বসুর সহকর্মী |

১৮৯৫ সালে তিনি "মারকিউরাস নাইট্রাইট" নামক জৈব যৌগের আবিস্কার করে সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেন,এরপরে "সমবায় " এর পুরোধা প্রফুল্লচন্দ্র রায় নিজ জন্মভূমিতে ১৯০৯ সালে একটি "কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের" প্রতিষ্ঠা করেন এবং আর কে বি কে হরিশ্চন্দ্র (নিজের পিতার নামে) একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯১৮ সালে "পি সি নামে" বাগেরহাট জেলায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন

১৯১৯ সালে তিনি "নাইট " উপাধি লাভ করেন এবং ১৯৩৬ সালে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "সাম্মানিক ডক্টরেট" উপাধি লাভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,বেনারস ও মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তিনি " ডক্টরেট" উপাধি লাভ করেছিলেন |

সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই মানুষটি ছিলেন আদ্যন্ত স্বদেশপ্রেমিক,তিনি গোপনে বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন,চপ,চা এসব দেখলে তিনি অত্যন্ত রেগে যেতেন তার বদলে মুড়ি এবং নারকোল খেতে খুব ভালোবাসতেন ,প্রসঙ্গত একবার সুভাষচন্দ্র বসু তার সঙ্গে দেখা করতে এলে তাকেও মুড়ি ও নারকোল খাইয়েছিলেন |

আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও উদারমনা ব্যক্তিত্ব,তিনি প্রেসীডেন্সী কলেজের অন্য শিক্ষকদের বিরোধীতাকে অগ্রাহ্য করে ডঃ কুদরত এ খুদাকে তার বিষয়ে প্রথম বিভাগ দেন,তার কাছে যোগ্যতা ও মেধাই ছিলো আসল

গ্রন্থাবলি

হিন্দু প্রাণীবিদ্যা

মোট গবেষণাপত্রের সংখ্যা ১৪৫ টি |

সরল প্রাণীবিজ্ঞান,বাঙালী মস্তিস্ক ও তার অপব্যবহার |

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় শুধু একজন বিজ্ঞানী বা রসায়নের দিকপাল ব্যক্তিত্ব হিসাবেই নন,তিনি পরিচিত হয়ে আছেন "দেশীয় শিল্পায়নের প্রবক্তা " হিসাবেও ,কবি ও সাহিত্যিক হিসাবেও তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন |

১৯৪৪ সালের ১৬ ই জুন জুন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্যে চলে গেছেন,বাঙালীর ব্যবসার প্রতি অনীহা ও চাকুরীর প্রতি অত্যধিক মোহকে তিনি তীব্র কষাঘাত করেছেন |

আজ "বিজ্ঞানসাধক" আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৪ তম জন্মদিনে তাকে জানাই প্রণাম ও শ্রদ্ধান্জলি 🙏🙏🙏🙏🙏

Photos from CPIM Siliguri's post 01/08/2023

প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা - স্বাধীনতা সংগ্রামী কমরেড হরকিষেন সিং সুরজিৎ কে ,২০০৮ সালে আজকের দিনে তিনি প্রয়াত হন

কমরেড হরকিষেন সিং সুরজিৎ: এক মহান কমিউনিস্ট বিপ্লবী
--------------------------------------------------------------------

কমরেড সুরজিতের জন্ম ১৯১৬,সালের-২৩শে মার্চ জলন্ধর জেলার রোপওয়ে গ্রামে । এক সাধারন কৃষক পরিবারে। ঝড়ো সময় উত্তাল স্বাধীনতা আন্দোলন পিতা- হরিনাম সিং বাসি আন্দোলনে সামিল এবং গ্রেপ্তার । শিশু হরেকিষনের মনে গভীর রেখাপাত।বয়স মাত্র ৭বছর ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভের জন্ম তাকে স্বাধীনতা আন্দোলনে টেনে নামায়।১৯৩১ সালে " নওজোয়ান ভারত সভার সদস্য " ১৯৩২ সালে দুই বছরের কারাবাস। "১৫-১৬ বছরে জেল জীবন শুরু। মোট ব্রিটিশ শাসনের চার বছর ও স্বাধীন ভারতবর্ষে চার বছর - মোট আট বছর জেল জীবন ।
সেই সময়ে জলন্ধর রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বৃহৎ কেন্দ্র । ভগৎ সিং- সুখদেব - রাজগুরুর ফাঁসি জনমানসে আলোড়ন তোলে । ১৯৩৬ সালে সারা ভারত কৃষক সভা গড়ে ওঠে। ওই বছর লক্ষ্নৌ অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে রজনীপাম দত্ত ও ব্রাজিল দলিলকে গ্রহন করা হয় । ওই সময়ে জলন্ধর কংগ্রেস দলের কমিটির সম্পাদক হয়েছিলেন সুরজিৎ। সেই সময়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি ছিলেন জওহরলাল নেহরু।১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শুরু হয়। সুরজিতের ঠিকানা হয় দেউলিয়া বন্দি শিবিড়। ১৯৪৭ সালে বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এলো । নানা- ঘটনার ঘনঘটা সুরজিৎ দক্ষতার ছাপ রাখেন প্রথমে কংগ্রেস দল পরে কমিউনিস্ট পার্টি পরে কমিউনিস্ট পার্টি ভাগ হলে সপ্তম কংগ্রেস ১৯৬৪ সালে প্রথম থেকেই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী)এর পলিটব্যুরোর সদস্য হন । সিপিআই( এম) গড়ে ওঠার পর তিন দশক পার্টির আন্তর্জাতিক দপ্তরের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন । ১৯৯২ সালের ৩রা থেকে ৯ই জানুয়ারী মাদ্রাজে সিপিআই ( এম) চতুর্দশ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন । ২০০০ সালে পার্টি কর্মসূচীকে সময়োপযোগী করা হয়। পরবর্তি পার্টি কংগ্রেসে হায়দ্রাবাদ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনিই ২০০২সালে। মোট ১৩ বছর সাধারন সম্পাদক ছিলেন । সামান্য প্রথাগত শিক্ষা নিয়ে একজন মানুষ শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি মমত্ববোধ প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ও স্বশিক্ষিত হয়ে অগাধ পান্ডিত্যর অধিকারী ছিলেন । মার্কসবাদী এই মহান নেতার থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহন করতে পারি। ২০০৮ সালে ১লা আগস্ট প্রয়ান ঘটে। তাঁকে সশ্রদ্ধ স্মরণ করছি ও তাঁর অসমাপ্ত কাজ কে সমাপ্ত করার জন্য শপথ গ্রহন করছি আমরা সবাই| |

কমরেড সুরজিৎ অমর রহে
কমরেড সুরজিৎ লাল সেলাম

29/07/2023

কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য স্থিতিশীল,
জানালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

29/07/2023

"দয়ার সাগর"

আজ যে মহামানবের প্রয়াণদিবস তিনি না থাকলে হয়তো পাঠ্যপুস্তকের প্রচলন,বাংলা গদ্যের আরোও বিস্তৃতি কিংবা বাংলাদেশে "নারীশিক্ষার বিস্তার" এই তিনটের একটাও সম্ভব ছিলো না

হ্যাঁ আজ "পন্ডিত " ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশায়ের প্রয়াণদিবস, ১৮২০ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায় ও ভগবতী দেবীর ঘর আলো করে জন্ম নিলেন বীরসিংহের "সিংহশিশু"

গ্রামের পাঠশালায় পড়া সমাপ্ত করে বাবার সঙ্গে কলকাতায় আসার পথে "মাইলস্টোন" দেখে ইংরাজী অক্ষর শেখা,কিংবা চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও গ্যাসের আলোর নীচে বসে পড়াশোনা করা এসবই তার পক্ষে সম্ভব,যে সংস্কৃত কলেজে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন সেই কলেজেরই কতৃপক্ষ তার মেধা ও অসাধারণ বিদ্যাবত্তা দেখে তাকে "বিদ্যাসাগর" উপাধিতে ভূষিত করেন

তার মাথাটি দেহের চেয়ে বড়ো ছিলো বলে তাকে "যশুরে কই" বলে ক্ষ্যাপানো হতো,কিন্তু কে জানতো এই "যশুরে কই" এসেছেন এই ভারতবর্ষে নিবিড় তমসা দূর করতে শিক্ষা ও প্রগতির আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে,সংস্কৃত কলেজে শিক্ষা জীবন শেষ হতে না হতেই তিনি ফোর্ট উইলিয়ামে পেলেন চাকরি,যেসমস্ত তরুণ ইংরেজরা সূদূর ইংল্যান্ড থেকে এদেশে আসতো তাদের এ দেশের রীতিনীতির সঙ্গে অভ্যস্ত করে তোলার জন্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়

চারিত্রিক দৃঢ়তা-চারিত্রিক দৃঢ়তা আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই দুটি নাম যেন সমার্থক হয়ে আছে আজোও ,জনৈক সাহেবের তার সামনে জুতো পরা পা টেবিলে তুলে রাখার জবাবে বিদ্যাসাগর মশায়ের চটিসমেত পা তার সামনে তুলে রাখার ঘটনা তার অসাধারণ "তেজ ও আত্মসম্মান" বোধের উজ্জ্বলতম উদাহরণ

আবার সংস্কৃত কলেজে শিক্ষকতার সময় সেই কলেজের সেক্রেটারি ছিলেন রসময় দত্ত,তার অকারণ খিটিমিটি ও বিদ্বেষমূলক মনোভাবের কারণে বিদ্যাসাগর মশাই কোনো আপোষ না করে চাকরি ছেড়ে দেন,তার এই চাকরি পরিত্যাগের ঘটনাকে অনেকে সমালোচনা করলেও বিদ্যাসাগর মশায়ের জীবনীকার বিহারীলাল সরকার জানিয়েছেন "দিগ্বিজয়ী বীরের ন্যায় অচল অটলভাবে সুদৃঢ়কন্ঠে জানিয়েছিলেন আলু পটল বেচিয়া খাইবো,মুদির দোকান করিবো,তবু যে পদে সম্মান নাই,সে পদ লইবো না"

নারীশিক্ষা বিস্তার ও বিধবাবিবাহ প্রবর্তন- নারীশিক্ষা বিস্তারে বিদ্যাসাগর মশায়ের ভূমিকা ছিলো অসামান্য ,তিনি ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনের সঙ্গে "কলকাতা বালিকা বিদ্যালয় " প্রতিষ্ঠা করেন,আবার বিধবাবিবাহ প্রবর্তনে তিনি যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তাও আজোও স্মরণীয় হয়ে আছে

কবি ঈশ্বর গুপ্ত ও সমাজের একাংশের কুরুচিপূর্ণ ব্যঙ্গবিদ্রূপ ও মন্তব্য সত্বেও "হিমালয় সদৃশ অচল অটল " এই মানুষটি তৎকালীন গভর্ণর জেনারেল লর্ড ডালহৌসীকে বাধ্য করেছিলেন ১৮৫৬ সালে বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তন করতে

বই মুদ্রণ ও বিপণনে বিদ্যাসাগর- সংস্কৃত কলেজের চাকরী পরিত্যাগের পরে বিদ্যাসাগর মশায় তখন তার কলেজ জীবনের বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সঙ্গে মিলিতভাবে বই মুদ্রণ ও বিপণনের কাজে অগ্রসর হন,আর তাই প্রতিষ্ঠা করেন "সংস্কৃত প্রেস ও প্রেস ডিপজিটরি" , যে কাজের জন্য তারা ছশো টাকা ধার নিয়েছিলেন তাদের অপর বন্ধু নীলমাধব মুখোপাধ্যায়ের কাছে, প্রথম যে বইটি ছাপা হয় সেটি হলো রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের লেখা " অন্নদামঙ্গল " গ্রন্থটি,যার মূল পান্ডুলিপি বিদ্যাসাগর মশায় স্বয়ং কৃষ্ননগর রাজবাড়ী থেকে সংগ্রহ করেছিলেন,নির্ভুল করে এই বইটি ছাপা হয়েছিলো,মার্শাল সাহেব ছশো টাকায় একশো কপি এই বইটি কিনেছিলেন

সংস্কৃত প্রেস থেকে বিদ্যাসাগর মশায়ের যে আরেকটি বই প্রকাশিত হয় সেটি হলো "বেতালপন্চবিংশতি" তবে এটি মৌলিক গ্রন্থ ছিলো না,এটি ছিলো হিন্দি অনুবাদ

আবার মার্শাল সাহেবের আগ্রহে ও পরামর্শে মার্শম্যানের লেখা " দ্য হিস্ট্রি অব বেঙ্গল" গ্রন্থের অনুবাদ করেন "বাঙলার ইতিহাস" এই নামে,এই গ্রন্থটিও ছাপা হয়েছিলো ,যে বইটির একশো কপি কিনে নিয়েছিলেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যক্ষ মার্শাল সাহেব,আবার মদনমোহন তর্কালঙ্কারের লেখা "শিশুশিক্ষা " গ্রন্থটি ও সংস্কৃত প্রেস থেকে ছাপা হয়েছিলো,মদনমোহন তর্কালঙ্কার শিশুশিক্ষার প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগটি লেখেন,আর চতুর্থ ভাগটি লেখেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর মশায় নিজে

১৮৫৪ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্ণর পদে নিযুক্ত হন হ্যালিডে সাহেব,তিনি বিদ্যাসাগর মশায়ের কর্মকুশলতাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হন,বিদ্যাসাগর মশাই স্কুল পরিদর্শক হিসাবে বিভিন্ন স্কুলে যেতেন, বিভিন্ন শিক্ষকদের সঙ্গে মেলামেশার দরুন তিনি "শিশুশিক্ষার" সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হন ,যে কারণে প্রকাশিত হয় তার "বর্ণপরিচয় " গ্রন্থটি,যা আজোও স্কুলপাঠ্য হিসাবে ব্যবহ্রত হয়

(তথ্যসূত্র - বই ব্যবসায় বিদ্যাসাগর/সুখী গৃহকোণ)

এই মহান মানুষটির শেষ জীবন ছিলো খুবই দুঃখের ,একমাত্র পুত্র নারায়ণচন্দ্রের উচ্ছৃঙ্খলতার কারণে তাকে "ত্যাজ্যপুত্র " করেন,পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে নিজের গ্রাম বীরসিংহ চিরদিনের মতো ত্যাগ করেন এবং কিছুদিনের জন্য সাঁওতাল অধ্যুষিত কার্মাটারে চলে যান

পরে তিনি কলকাতার বাদুড়বাগান অন্চলে বাড়ী ভাড়া নিয়ে বাস করতে থাকেন এবং ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই এই মহামানবের এইখানেই মহাপ্রয়াণ ঘটে

মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন (বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজ) এ তার মূর্তি ভেঙ্গে রাজনৈতিক দলের গুন্ডারা তার আদর্শের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি,বরং কোমল ও প্রয়োজনে কঠোর " এই ভাবধারাকেই আরো সন্জীবিত করেছে

মাইকেল মধুসূদন দত্ত যার সম্পর্কে বলেছেন "বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে" তার সম্পর্কে আমি কি বা বলতে পারি,তবে এটুকুই বলবো তিনি না থাকলে বর্ণপরিচয়,কথামালা,বোধোদয়,আখ্যানমন্জরীর মতো গ্রন্থের সঙ্গে আমরা পরিচিত হতে পারতাম না

তিনি না থাকলে বাল্যবিবাহ,বহুবিবাহের মতো কুপ্রথার নিষিদ্ধকরণ এবং বিধবাবিবাহের মতো মহান কাজের প্রচলন আদৌ সম্ভব ছিলো না

আজ "পন্ডিত " ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশায়ের ১৩২ তম প্রয়াণদিবসে তাকে জানাই প্রণাম ও শ্রদ্ধান্জলি 🙏🙏🙏🙏🙏🙏😢😢😢😢😢😢😢

27/07/2023

কল্পনা দত্ত
জন্ম:- ২৭ জুলাই ১৯১৩ - মৃত্যু:- ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫

কল্পনা দত্ত সকলেই এনার কথা জানেন, ইনি হচ্ছেন সেই দলের নারী অগ্নিকন্যা। যেই দলের বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করেছিল। কল্পনা দত্ত ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও অন্যতম বিপ্লবী নেত্রী। কল্পনা দত্তের জন্ম হয় ২৭ জুলাই ১৯১৩ সালে বর্তমানে বাংলাদেশের তৎকালীন চট্টগাম জেলার শ্রীপুরে। তার পিতার নাম ছিল বিনোদবিহারী দত্তগুপ্ত ছিলেন সরকারী কর্মী। তার মাতার নাম ছিল শোভনাবালা দেবী। তার বিপ্লবী মনভাবের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে 'অগ্নিকন্যা' বলেছেন। কল্পনা দত্তের পিতামহ এর নাম ছিল রায়বাহাদুর দুর্গাদাস।

কল্পনা দত্ত ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর কলকাতা আসেন। বেথুন কলেজ-এ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। বেথুন কলেজে পড়তে পড়তে তিনি নানা ধরনের বিপ্লবী কর্মকান্ডে জরিয়ে পরেন। মহান শহীদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও বিপ্লবী কানাই লাল দত্তের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কল্পনা দত্ত বেথুন কলেজ-এ গড়ে ওঠা ছাত্রী সংঘ-এ যোগদান করেন। শেষে কল্পনা দত্ত ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে ফিরে যান। ঠিক সেই সময় পুর্নেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে সাক্ষাৎ হয় মহান বিপ্লবী নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের সঙ্গে।

কল্পনা দত্ত, মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির চট্টগ্রাম শাখা-য় যোগদান করেন। তখন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের কিছু বিশেষ নেতৃবৃন্দ বিচারাধীন বন্দি ছিলেন, তারা হলেন গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিং, লোকনাথ বল প্রমুখ বিপ্লবীরা। সে সময় মহিলাদের বিপ্লবী দলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল। কিন্তু মাস্টারদা সূর্য সেন এই সমস্ত নিয়ম নীতি শিথিল করে কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার-কে তার দলে গ্রহণ করেন। কল্পনা দত্ত আবারো কলকাতায় চলে আসেন। তিনি কলকাতা থেকে ফেরার সময় তিনি গোপনে কিছু বিষ্ফোরক নিয়ে আসেন।

কল্পনা দত্ত বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, এক সময় বিপ্লবী নেতৃবৃন্দের বিচার ও সাজা রুখতে তিনি কোর্ট এবং জেলে ডিনামাইট দ্বারা বিষ্ফোরনের পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ পালাতে সক্ষম হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কল্পনার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। এর ফলে তার বিপ্লবী কর্মকান্ডের উপর কিছু প্রতিবন্ধকতা আসে। কিন্তু যাই হোক এই সময় তিনি প্রায়ই মাস্টারদার সাথে তার গ্রামে ঘুরে গ্রামের মানুষের সুখ দুঃখের খবরও নিতেন। এরই সাথে সাথে তিনি ও তার সহযোদ্ধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রত্যহ গুলি চালনার প্রশিক্ষন নিতেন। ১৯৩১ সালে মাস্টারদা সূর্য সেন, কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে চট্টগ্রামের ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের দায়িত্ব দেন।

কল্পনা দত্ত নির্দিষ্ট দিনের এক সপ্তাহ আগে পুরূষের ছদ্মবেশে একটি সমীক্ষা করতে গিয়ে তিনি ধরা পরেন ও গ্রেফতার হন। জেলে বসেই তাকে শুনতে হয় অপারেশন পাহারতলী এবং বীরাঙ্গনা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মহত্যার খবর। পরে কল্পনা দত্ত জামিনে মুক্তি পেলেও মাষ্টারদার নির্দেশে তাকে কিছুদিনের জন্য আত্মগোপন করে থাকতে হয়। ১৯৩৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের গোপন ডেরার খবর জানতে পারলে, পুলিস সেনাবাহিনী তাদের গোপন ডেরা ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে কল্পনা দত্ত পালাতে সক্ষম হলেও মাস্টারদা বন্দী হন।

কল্পনা দত্ত ও তার কিছু সহযোদ্ধা কয়েকদিনের মধ্যে পুলিশের হাতে ধরা পরেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন মামলায় মাস্টার দা ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়, কল্পনা দত্তকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। ১৯৩৯ সালে কল্পনা মুক্তি পান, মুক্তির পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে সাম্মানিকসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তারপর তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যান। ১৯৪৩ সালে C.P.I নেতা পূরণচাঁদ যোশীর সাথে তার বিবাহ হয়। এর পর তিনি চট্টগ্রামে ফিরে যান এবং দলের মহিলা ও কৃষক সংগঠনকে চাঙ্গা করেন।

কল্পনা দত্ত ১৯৪৬ সালে C.P.I প্রার্থী হয়ে তিনি চট্টগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেন নি। স্বাধীনতার পর তিনি ভারতে চলে আসেন। ১৯৫০ সালে ইণ্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে চাকরি নেন। পরে দিল্লীতে থাকতেন। সেখানে নারী আন্দোলনে মুখ্যভূমিকা নেন। ভারত ও তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার মৈত্রী সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল। ‘অল ইণ্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ‘চট্টগ্রাম অভ্যুত্থান’ তাঁর প্রণীত গ্রন্থ। অগ্নিযুগের মহান অগ্নিকন্যা ১৯৯৫ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লী তে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

Photos from CPIM Siliguri's post 25/07/2023

মণিপুর ও মালদাতে নারীদের উপর প্রকাশ্যে বর্বরোচিত নির্যাতন ও গণধর্ষণের প্রতিবাদে আজকে ওন্দা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল।

25/07/2023

শ্রদ্ধা জানাই

Photos from CPIM Siliguri's post 23/07/2023

মণিপুরে ঘটে যাওয়া নক্কারজনক গণধর্ষণ এর প্রতিবাদে , মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আজ শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে দার্জিলিং জেলা DYFIও SFI এর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল এবং দেশের মহিলাদের সন্মান রক্ষায় ব্যর্থ মিথ্যাচারী প্রধানমন্ত্রীর প্রতীকী কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়

23/07/2023

প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানাই

16/07/2023
Photos from Dr. Sujan Chakraborty's post 16/07/2023
Want your organization to be the top-listed Government Service in Siliguri?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

Website

Address

Siliguri

Other Political Parties in Siliguri (show all)
Dabgram Fulbari Block Trinamool Chhatra Parishad Dabgram Fulbari Block Trinamool Chhatra Parishad
Siliguri
Siliguri

ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

Md Ahtasam Dilkash AIMIM Md Ahtasam Dilkash AIMIM
Siliguri

political

Aam Aadmi Party North Bengal Aam Aadmi Party North Bengal
Siliguri

Aam Aadmi Ki Lahar��

Nabnit Jha BJP Nabnit Jha BJP
Khoribari
Siliguri, 734427

Jabir Alam khan Jabir Alam khan
Siliguri

M/s Dhruba Roy Rajput M/s Dhruba Roy Rajput
Haiderpara
Siliguri

We Will fight against Corrupt and make new India

Debabrata Ghosh BJYM Debabrata Ghosh BJYM
Siliguri

BJYM 7NO MANDAL SECRETARY

SFI-Rajganj Local Committee SFI-Rajganj Local Committee
Comrade Sudipta Gupta Bhawan, Jatin Rishi Sarani
Siliguri, 735134

19 Dabgram Fulbari Assembly BJP Official 19 Dabgram Fulbari Assembly BJP Official
Siliguri

BJP Dabgram Fulbari Assembly