কোচবিহার চর্চা/ Cooch Behar Charchaa
কোচবিহারের ইতিহাস, ভূগোল ও লোকাচার চর্চার প্রয়াস।
বাংলার প্রথম সুলতানের কেন মর্মান্তিক পরিণতি হল কামরূপে এসে..
একটা সময় কোচবিহার রাস মেলার পুরুষের প্রবেশ নিষেধ ছিলো! কেনো ছিলো এই প্রথা?
কোচ জনগোষ্ঠীর ইতিহাস।
প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত।
আজ থেকে প্রায় ৫৫০ বছর আগে কামতাপুর আক্রমণ করেছিল গৌড়ের হোসেন শাহী বংশের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ। কিন্তু তার কামতা জয় সহজে ওঠেনি। নীলাম্বরের নির্মিত কামতাপুরের দুর্গ হোসেন শাহের আক্রমণ প্রতিহত করেছিল। দীর্ঘ ১২ বছর হোসেন শাহ'র সৈন্যরা আটকে ছিল দুর্গের ওপারে। যার ফলে সেই সময় এই অঞ্চলে বিকাশ লাভ করে এক ভিন্ন সংস্কৃতি। যার রেশ এখনও বর্তমান।
কী কী চুক্তির উপর ভিত্তি করে ভারতের সাথে যুক্ত হয়েছিলো কোচবিহার?
জানতে দেখুন ভিডিওটি।
কোচবিহারের ইতিহাসে ক্রিকেটের ঐতিহ্য মনে রাখার মত। কোচবিহারে ক্রিকেটের চল শুরু করেন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ। পরবর্তীকালে ক্রিকেটে সুনাম অর্জন করেন মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ, প্রিন্স ভিক্টরনারায়ণ। রাজকুমার গৌতম নারায়ণ।
সাহেবি কায়দায় পড়াশোনা করে বড়ো হয়ে ওঠা কোচবিহারের রাজারা ক্রিকেটকে আপন করে নিয়েছিলেন সাহেবদের মতই।
অনেকেই হয়ত জানেন না, আমাদের এক কোচ রাজা ছিলেন সেই সময় বাংলা দলের অধিনায়ক।
এই ভিডিওটিতে কোচবিহারের সেই ক্রিকেটের ইতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের দিন আরো একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন এই ভিডিওটিতে।
পরাধীন ভারতে কোচবিহার কিভাবে হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আস্তানা তা নিয়েই এই ভিডিও।
এখন যেখানে বুদ্ধবাবুর চিকিৎসা চলছে সেই হাসপাতালের ভবনটি এক সময় ছিল কোচ রাজার বাড়ি।
ভিডিওটি আবার একবার শেয়ার করলাম।
আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে এই আমাদের জেলা কোচবিহার হয়ে ভুটান পেরিয়ে তিব্বতে গিয়েছিলেন জর্জ বোগেল নামের এক বৃটিশ সাহেব। মাত্র ২৮ বছর বয়সি এই যুবককে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দূত করে পাঞ্চেন লামার কাছে পাঠান তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস।
বোগেলসাহেব তার ডাইরিতে টুকে রেখেছিলেন কোচবিহারের বর্ণনা।
অবাক করার মতো হলেও, সেই সময় তার চোখে কোচবিহার ছিল নিচু জলাযুক্ত এক রাজ্য। রাস্তাঘাট বাড়িঘর বলে কিছুই ছিল না। বিষাক্ত পোকা আর ব্যাঙের বাস ছিল সেইসব জলাযুক্ত ভূমিতে। চারিদিকে এতই দুর্গন্ধ ছিলো যে তিনি নাকি নিঃশ্বাসও নিতে পারছিলেন না।
তার সেই ডাইরিতে লেখা কোচবিহারের বর্ণনা ও কোচবিহারের তৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ে আজকের এই ভিডিও।
উত্তরবঙ্গের যে নদী বয়ে আনে সোনা।
সেই সোনা নদীর গল্প আজ চর্চায়৷.....
বৌদ্ধ ধর্মের একটি মত বজ্রযান ও তিব্বতের প্রাচীন বন ধর্মের সঙ্গে কিভাবে এক হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের এই লোকদেবতা সেই নিয়ে আজকের ভিডিও।
কোচবিহার চর্চা/ Cooch Behar Chaarchaa
বিভিন্ন কারণে গত এক মাসে কোচবিহার চর্চায় কোন বিষয় নিয়ে 'চর্চা' হয়নি।
তবে সেই নীরবতা ভাঙছে আগামীকাল৷ আসছে উত্তরবঙ্গের লৌকিক দেবতা মাসান'কে নিয়ে একটি ভিডিও।
বৌদ্ধ ধর্মের একটি মত বজ্রযান ও প্রাচীন তিব্বতের বন ধর্মের সঙ্গে কিভাবে এক হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের এই লোকদেবতা সেই নিয়ে চর্চা হবে কোচবিহার চর্চা/ Cooch Behar Chaarchaa।
★ সদ্য শেষ হলো হলদিবাড়ির হুজুর সাহেবের মেলা।
★আজকের কোচবিহার চর্চায় আলোচনা করা হলো এই হুজুর সাহেব'কে নিয়ে....
★আজ কোচবিহার চর্চার বিষয় 'কোচবিহারের ভারত ভুক্তি ও তার পিছনের বর্ণময় ইতিহাস'
★কোচবিহার জেলায় এত মদনমোহন মন্দির কেন?
★জেলা জুড়ে এত মদনমোহন মন্দির তৈরি হওয়ার কারণ কি?
★আজ কোচবিহার চর্চার বিষয় মদনমোহন মন্দির.......
★ কোচবিহার রাজার স্থায়ী নিবাস কিভাবে হয়ে উঠল উডল্যান্ডস হসপিটাল?
★ "কোচবিহার হাউস" তৎকালীন সময়ে কিভাবে হয়ে উঠলো কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাসাদ?
★কোচবিহারের রাজকন্যার সাথে কোথায় মিলে যায় বাহুবলির দেবসেনা?
★কোচবিহারে কেন তৈরি হল 'শিকার বিভাগ'?
★কোচবিহার রাজের শিকারের ইতিহাস..
★ বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্রকারী লর্ড কার্জন কোচবিহারে এসেছিলেন কেনো?
আরো অনেককিছু নিচের ভিডিওতে.........
★কোচবিহার নাকি কুচবিহার?
★আমাদের জেলার ঠিক নামটি কী?
★ কোচবিহারে কেন গড়ে উঠলে এশিয়ার সবথেকে বড় ব্রাহ্ম মন্দির বা উপাসনালয়?
★কেন কোচবিহারের মহারাজার বিয়ের ঘটকালি করেছিল ব্রিটিশরা?
★কোচবিহারে ব্রাহ্ম ধর্মের প্রসার হল কিভাবে?
★কোচ মহারাজার বিয়ের সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজ ভেঙে যাওয়ার সম্পর্ক কোথায়?
★কোচবিহারের ব্রাহ্ম মন্দিরের বর্তমান অবস্থা কি?
এই সবকিছু নিচের ভিডিওতে.....
★ কেন তৎকালীন কোচবিহার রাজ্য হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আস্তানা?
★ ভিক্টোরিয়া কলেজ যা এখনকার এ বি এন শীল কলেজ তা কিভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছিল?
★ মাথাভাঙ্গা হাই স্কুলের দ্বিতীয় প্রধান শিক্ষকের বড় ছেলেকে কেন ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেপ্তার করে?
এই সবকিছুর আলোচনা আছে নিচের ভিডিওটিতে........
★তামাক চাষের প্রশিক্ষণ নিতে কোচবিহারের কোন রাজপুত্র গিয়েছিলেন নিউইয়র্ক ও কিউবাতে?
★কোচবিহার তামাক চাষে এতো উন্নত কেন?
সবকিছু নিচের ভিডিওতে.....
------------------------------------------------------------------------------
উপনিবেশিক সময়কাল থেকেই বাংলার উত্তর অংশের চাষিরা তামাক চাষের উন্নতি লাভ করে। মেডক্যাফে সাহেবের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় কোচবিহার থেকে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে ৩০০০ মন তামাক রপ্তানি করা হয়েছিল যার বাজার মূল্য ছিল ১৮ লক্ষ টাক।
প্রাক স্বাধীনতা পর্বে দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের তুফানগঞ্জ বাদে প্রায় সব অঞ্চলে ব্যাপক তামাক চাষ হতো।
১২০ বছর আগে কোচবিহারের দেওয়ান হরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী একটি বই থেকে জানা যায় বিশ শতকে কোচবিহারের মোট আবাদী জমির সাত শতাংশে তামাক চাষ হতো এবং কোচবিহারের লালবাজার অঞ্চলে সবথেকে বেশি তামাক উৎপন্ন হতো।
নিচের ভিডিওটিতে তামাকের ইতিহাস, বর্তমান ও লাল বাজার....
★কোচবিহারের একটি গ্রামের নামে 'পাঠান' যুক্ত হল কেন?
★কোচবিহারে কি পাঠানরা এসেছিলো?
★যদি এসে থাকে তাহলে কেন এসেছিল?
যুদ্ধ করতে নাকি অন্য কিছুর খোঁজে!
কোচবিহারের শিতলকুচি ব্লকে আছে পাঠানটুলি নামের একটি গ্রাম। বাংলাদেশ বর্ডার সংলগ্ন এই গ্রামের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সজীব কিন্তু অস্বীকৃত এক ইতিহাস। সেই ইতিহাসের গল্প নিচের ভিডিওটিতে…...
★চৈতন্য কি কোচবিহারে এসেছিলেন?
এর কোনো সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। চৈতন্যের কোচবিহারে আসা নিয়ে যা কিছু শোনা যায় সবটাই ভাসা ভাসা। যেমন, জনশ্রুতি আছে যে- কোচ রাজা নরনারায়নের সময় কালে তিনি কোচবিহারে প্রবেশ করেন ও রাজার সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু রাজা নরনারায়ণের শাসনভার গ্রহণ করেন ১৫৫৪ খ্রিস্টাব্দে। চৈতন্যে দেহ ত্যাগ করেন ১৫৩৪ খ্রিস্টব্দে। সেই হিসেবে চৈতন্যে কোচবিহারে এলেও এসেছিলেন নরনারায়ণের শাসনভার গ্রহণ করার আগে।
এবার চোখ ফেরানো যাক কোচবিহারের এক ‘দুয়ারের’ দিকে। প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের পশ্চিমভাগে ‘খেন’ বংশের শেষ রাজা নীলাম্বর, কান্তেশ্বর বা কামতেশ্বর রাজ্যের সুরক্ষার জন্য তৈরি করেছিলেন বিশাল দুর্গ যার স্থানীয় নাম ‘কামতেশ্বর রাজার গড়’। এই দুর্গের কেন্দ্রস্থলে ছিল রাজপ্রাসাদ। সেটাই এখন ‘রাজপাট’।
দুর্গের ভেতরে প্রবেশ করার পথ ছিলো ছয়টি। এই প্রবেশ পথগুলিকে বলা হত দুয়ার। ‘শিল দুয়ার, বাঘ দুয়ার, জয় দুয়ার, সন্ন্যাসী দুয়ার, হোকা দুয়ার, নিমাই দুয়ার নামের এই প্রবেশ পথগুলির দু’একটা এখনো আছে। দুয়ারের নামগুলির সঙ্গে মিশে আছে একেকটি ইতিহাস। মনে করা হয়, নীলাম্বর অন্য রাজ্য জয় করে যেই দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করতেন সেই দুয়ারটির নাম ‘জয় দুয়ার।’ আর নিমাই দুয়ার দিয়ে নিমাই এই অঞ্চলে এসেছিলেন বলে এর নাম ‘নিমাই দুয়ার।’ হয়ত নিমাই দুয়ারের আগে অন্য নাম ছিলো। পরে নিমাই এই পথ দিয়ে কোচবিহারে প্রবেশ করলে নিমাইয়ের নাম অনুসারে এই দুয়ারের নাম হয় 'নিমাই দুয়ার'।
নিচের ভিডিওটি নিমাই দুয়ার সম্পর্কিত......
কোচবিহার চর্চা--৭..…........................
|| 'ধরলা' ছয়টি নদীর নাম ||
---------------------------------------
কোচবিহারে কমপক্ষে ছয়টি নদীর নাম ধরলা। কেউ কেউ ধল্লা’ও বলে। এই ছয়টির মধ্যে কয়েকটি এখন ছোট ছোট নালার মত। শুধু নদী নয় এই জেলায় অনেক গ্রামের নামেও ধরলা কথাটি যুক্ত আছে। নদীর পাশে থাকা গ্রামে নদীর নামের ছোঁয়া থাকা স্বাভাবিক কিন্তু অনেক গ্রাম আছে যেগুলি নদীর অনেক দূরে তাও সেই গ্রামের সঙ্গে ধরলা নাম যুক্ত আছে। কোচবিহারে ধরলা নামের গুরুত্ব নিয়েই গবেষণা হওয়া উচিত।
১) জলঢাকা নদীর ডানতীরের একটি উপনদী হল ধরলা। এটিই সবচেয়ে বড়। শিতলকুচি থেকে মাথাভাঙ্গা যাওয়ার সময় এই ধরলা’কে পেরোতে হয়।
২) উপরের ধরলারই একটি বিচ্ছিন্ন খাত যা বুড়া ধরলা নামে পরিচিত।
৩) দিনহাটা ১ ব্লকের ভিতর দিয়ে আরেকটি নদী দিনহাটা শহরের বাঁ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জলঢাকা বা সিঙ্গিমারীতে মিশেছে। এরও নাম বুড়া ধরলা তবে কেউ কেউ একে বুড়া তোর্ষাও বলে।
৪) চতুর্থ ধরলাটি মূল জলঢাকা নদীরই অংশ যা দিনহাটার দক্ষিণদিকে জেলার সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে যমুনায় মিশেছে।
৫) পঞ্চম ধরলাটির দেখা পাওয়া যায় দিনহাটার ২ নং ব্লকে। নালার মত অবস্থা এটির।
৬) গাবরু ধরলা নামে আরেকটি নদী আছে দিনহাটা ব্লকের দ্বারিকামারী, ছোট বোয়ালমারী অঞ্চলে।
__________________________________________
কোচবিহার চর্চা--৬......................................
|| খাঁ সাহেবের ভিটে ||
‘কোচবিহারের ইতিহাস’ যার হাতে তৈরি......
--------------------------------------------------------
খান চৌধুরী আমানতউল্লা আহমদ ছিলেন কোচবিহার রাজ্যের শেষ রাজস্বমন্ত্রী। এক্ষেত্রে স্বাধীন কোচবিহার রাজ্য বলা যাবে না কারণ, ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের ৫ই এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে একটি সন্ধি হয় কোচবিহার রাজার। সেই সন্ধি অনুযায়ী কোচবিহার রাজ্য তার সার্বভৌমত্ব হারিয়ে কোম্পানির একটি করদ মিত্র রাজ্যে পরিণত হয়। আমানতউল্লা আহমদ মন্ত্রী হিসেবে নন তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন ‘কোচবিহারের ইতিহাস’ যা এই জেলার ইতিহাস চর্চার একটি অসমান্য দলিল তার লেখক হিসেবে।
মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণের সময় থেকে আমানতউল্লা সাহেব কোচবিহারের ইতিহাস লেখার কাজটি শুরু করেন। যদিও বিশ শতকের প্রথম দিকে কোচ রাজাদের আনুকূল্যে বেশ কয়েকটি ‘কোচবিহারের ইতিহাস’ নমক গ্রন্থ রচিত হয়। কিন্তু সেগুলির ঐতিহাসিক ভিত্তি ছিল নিতান্তই দুর্বল। ১৯০৩-এ প্রকাশিত হয় হরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর ‘কোচবিহার স্টেট অ্যান্ড ইটস ল্যান্ড রেভিনিউ সেটেলমেন্ট।’ বিভিন্ন নথি পত্রের ভিত্তিতে গ্রন্থিত এটিই ছিল কোচবিহার রাজ্যের প্রথম প্রমাণিত ইতিহাস। পরে মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণের উৎসাহে আমানতউল্লা বাংলায় বিস্তারিত ইতিহাস লেখার কাজ শুরু করেন। প্রচুর অধ্যবসায় বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করে এই কঠিন কাজটির অনেকটাই শেষ করেন তিনি। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে শেষ রাজা জগদ্দীপেন্দ্রনারায়ণের সময় আমানতউল্লা সাহেবের ‘কোচবিহারের ইতিহাস’ নামক বইটির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। ১৫১৫-১৭৮৩ পর্যন্ত সময়ের বিবরণ পাওয়া যায় তার সেই বইটিতে। শুধু রাজপরিবারের ইতিহাস নয় বইটি সমকালীন ও ফেলে আসা সময়ের একটি জীবন্ত দলিল।
কোচবিহার রাজ্যের বিভিন্ন জনপদ তার সঙ্গে জুড়ে থাকা আঞ্চলিক ইতিহাস। স্থাননামে মিশে থাকা আঞ্চলিক লোককথা ও ইতিহাসের উপস্থিতি বইটিকে করে তুলেছে অমূল্য। আজও যারা কোচবিহারের ইতিহাস বা প্রাচীন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন তাদের প্রথম পাঠ্য হয়ে ওঠে এই বইটি।
কোচবিহারের শিতলকুচি ব্লকের বড় মরিচা গ্রামে এই রকম একজন গুণী মানুষের পৈতৃক ভিটের সামনে দাঁড়িয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িটি ঢেকে গিয়েছে আগাছায়। রক্ষণাবেক্ষণের কোন চিহ্ন নেই। এলাকার পুরনো কিছু মানুষজন ছাড়া খান চৌধুরী আমানতউল্লা আহমদের নাম বিশেষ কেউ জানে না।
প্রাচীন লাল বাজার পরগণার একটি অংশ হল এই বড় মরিচা। এর ইতিহাস বহু পুরনো। আজ থেকে প্রায় ১১০০ বছর আগেও এই অঞ্চলের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অঞ্চলের পাশেই অবস্থিত আদাবাড়ি অঞ্চল থেকে মাঝে মাঝে চাষের জমিতে পাওয়া যায় পাল ও খেন রাজার আমলের অনেক জিনিসপত্র। তবে এই প্রাচীন অঞ্চলে সেরকম কোন পুরনো বাড়িঘরের নিদর্শন পাওয়া যায় না। সেই দিক থেকে আমানতউল্লা আহমদের এই বাড়িটির গুরুত্ব অনেক। এর রক্ষণাবেক্ষণের যথার্থ প্রয়োজন। বড় বড় ইঁট ও চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত ১৮টি কক্ষ বিশিষ্ট বাড়িটি এখন এলাকার গবাদিপশু রাখার জায়গা। বাড়িটির সামনে একটি কুয়ো আছে যা এখন জঞ্জালে ভরতি।
তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেও যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল আমানতউল্লা আহমদ। কোচবিহার হিতসাধনী সভা ও অঞ্জুমান ইসলামিয়া নামে দুটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতা পরবর্তী এই দুই পর্বের মাঝখানে একটি অন্তর্বর্তী পর্ব আছে যাকে কোচবিহারের ট্রানজিশন বা উত্তরণের স্তরের পূর্ববর্তী ধাপ বলে চিহ্নিত করা যায়। এই সময় কোচবিহার রাজ্যে কিছুটা অস্থির অবস্থা তৈরি হয়। ওই সময় পদস্থ চাকরিতে বহিরাগত বা অভিবাসী বাঙ্গালী ও অবাঙ্গালীদের অধিপত্যের ফলে স্থানীয় আধিবাসীদের মনে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এই ব্যাপারে হিতসাধনী সভা খুব সরব ছিল। এই সভার প্রতিষ্ঠা হয় ১৮ই মে, ১৯৪৭। এর সভাপতি ছিলেন খান চৌধুরী আমানতউল্লা। কোচবিহার থেকে বহিরাগতদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না দেখে সভার কিছু সদস্য আন্দোলনের গতিমুখ ঘুরিয়ে দেয়। সভার মুসলিম সদস্যরা কোচবিহারকে পাকিস্থানের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন।
কিছু কিছু গবেষকদের মতে সেই আন্দোলনের মুখ ছিলেন খান চৌধুরী আমানতউল্লা আহমদ। হয়ত এ কারণেই ‘কোচবিহারের ইতিহাস’ লেখার পরেও তিনি থেকে গিয়েছেন খলনায়ক। তাই তার পৈতৃক ভিটের উপর কোন নজরই দেয়নি কেউ।
ইতিহাস বড় নির্মম। বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে সৃষ্টি হওয়া ঘটানাপ্রবাহকে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিচার করা কতটা যুক্তি সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে, খান চৌধুরী আমানতউল্লা আহমদের অবদান কোচবিহারের ইতিহাসে লেখা থাকবে একজন সুদক্ষ ইতিহাস প্রণেতা হিসেবে যেখানে রাজনৈতিক চাওয়া-পাওয়ার কোন স্থান নেই।
---------------------------------------------------------------------------
© Saurav Ghoshal
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Address
Sitalkuchi
736158
Sitalkuchi
��ALL MY BEST FRIEND ��my page ��please ��page like ��video ta Valo lagle ��please:- like comment share ��my YouTube channel :-SLK sun https://youtube.com/channel/UC...
CHHOTO PINJARIR JHAR
Sitalkuchi, 736172
This page is all about make money on youtube bangla tutorial, more specifically how to make money on youtube. All the make money online tutorials are in Bengali. If you're...