কল্পনা

কল্পনা

This Page is the reflection of ideas ,imaginations of both my mind and heart in the form of stories,

16/06/2021

Hollywood Meets His Cousin: The Newborn Bollywood

This article intends to encapsulate the origin of ‘Bollywood’ and its gradual development throughout the years in contrast to its predecessor, Hollywood. First, we need to define and discuss how these two terms have originated.
Definition and Origin:
The term, ‘Hollywood’ refers to the U.S film industry which was originally the name of a sub-division estate in the west of the city of Los Angeles that was owned by Harvey Henderson Wilcox. Foundation of the western film industry began here. But now, we need to draw our attention towards the doppelganger yet so distinctive, the glamorous Bollywood. The word, ‘Bollywood’ is often used in an inappropriate manner though it refers to the Hindi language film industry based in the city of Mumbai. The word ‘Bollywood’ is actually a blend of two words. They are Bombay (former name of Mumbai) and Hollywood. There are doubts regarding the coinage of the term although Film journalist Bevinda Collaco claims she coined the term for the title of her column called, “On the Bollywood Beat” in Screen Magazine. There are also some sources say that Amit Khanna, Lyricist and Filmmaker. Bollywood has faced several criticisms for its name that sounded like a mere copy.
How It Started:
Bollywood got its name during 1970’s though the Indian Cinema started its journey from Raja Harishchandra(1913), a full length silent film by Dadasaheb Phalke. After 1960’s, Hollywood was decreasing the number of Musicals produced each year. On the other hand, Bollywood found a hit formula with their Masala-Films. Masala is the blend of spices and thus a masala-film means the amalgamation of different genres. These movies were packed with action, drama, romance, musical numbers etc . Bollywood was giving hit after another hit following this formula.
Stereotypes and Conventions:
Bollywood’s box-office formula has given birth to many conventions such as sticking to it glamorous musical numbers, making films embedded with melodramas, desiring ‘Greek Gods’ as a lead for the movies, stereotyping female actors and many more. Bollywood started to typecast every actor according to their physical appearances which led to many controversies and criticisms from actors such as Nawazuddin Siddiqui. Dimple Kapadia in an interview, highly criticised Bollywood’s pathetic treatment towards female roles. Even the foreign countries know Bollywood only for its big musical numbers. For an istance, we can mention an episode from Gordon Ramsay’s Hell’s Kitchen season 13 where everyone was referring Bollywood with dance numbers.
Present Situation:
To Conclude, we can say that the stereotypes are fading gradually especially for the success of Independent films and OTT platforms. Yet having all the flaws, Bollywood is indeed a trademark for Indian Film Industry and it has managed to put the Indian cinema in the global level though not for its artistic brilliance but due to its entertaining aspects.

09/06/2021

HORUS, The God Of Sky By Me...painted using brush Spray Technique.

09/06/2021

সে কি কখনো মরেনা?

পার্ট ৫( অন্তিম ভাগ)

খুব ভয়ঙ্কর আর সাসপেন্স এ ভরা গল্পঃ শেষ অবধি পড়ুন🥶🥶🥶🥶🥶🥶🥶🥶

আগের পার্ট এ আপনারা দেখলেন একদিকে অন্ধকার নেমেছে তো আর একদিকে আলোর উদ্বাবন হচ্ছে।গল্পঃ টা এখন একটা নতুন মোড় নিতে চলেছে।

সায়ান সহ সবাই এত উজ্জ্বল আলো দেখে চমকে গেলো। কিছুক্ষণ পর তারা বাবা অভিনন্দ কে দেখতে পায়।

সৌগত: এর মানে বাবা অভিনন্দ বলে কেও সত্যিই আছেন।
প্রাবণি: এখন এই বিপদ থেকে শুধু উনি আমাদের বাঁচাতে পারেন ।
রূপা: হা হা সানু চলো ওখানে।
সায়ান: হুম চল সবাই।

সবাই বাবা অভিনন্দ এর কাছে যায়।বাবা ধ্যানে মগ্ন।

সায়ান: বাবা চোখ খুলুন আপনার । বাবা আমরা খুব অসহায় । এখন কেবল আপনিই আমাদের রক্ষা করতে পারেন।
বর্ষা: দয়া করুন বাবা দয়া করুন।

বাবা অভিনন্দ চোখ খুললেন ও একটু হেসে বলেন,

বাবা অভিনন্দ: কি পিশাচের সম্বন্ধে জানতে এসেছ? পিশাচ আছে কি নেই?

সায়ান:। বাবা আপনি তো অন্তর্যামী। আপনি সবই জানেন। বাবা পিশাচ বলে কি কিছু আছে না কি কোনো মানুষ?আমাদের অনেক আপনজন মারা গেছে। আমরা এখন কি করবো বাবা বলুন।

বাবা অভিনন্দ:। সত্যি কথা বলতে মানুষের ছেয়ে বর পিশাচ কেও যৌণ আর পিশাচ তো এখন আমাদের মধ্যেই উপস্থিত।

সৌগত: কি??
বাবা অভিনন্দ: ভ্য় পেও না পিশাচ আমার সামনে কিছু করতে পারবেনা।কি ঠিক বললাম ত অভিষেক?
অভিষেক: বাবা আপনি আমার নাম ও জানেন।

বাবা একটু হাসলেন....

সায়ান: বাবা তাহলে কি সত্যিই ওই হাভেলি তে পিশাচ আছে?
বাবা অভিনন্দ: হা।
সৌগত: তাহলে আমরা কি করছি আর এই গ্রাম এ থাকতে হবে না পালিয়ে চো।
বাবা অভিনন্দ: মৃত্যুর থেকে কি কেও আজ পর্যন্ত পালাতে পেরেছে?
সায়ান: তার মানে কি আমরা কেও বাঁচবো না?
বাবা অভিনন্দ: মরতে তো সবাই কে হবে এক না একদিন। জীবন মৃত্যু সব ওর হতে।।আমাদের শুধু কর্ম করে যেতে হবে ফলের চিন্তা করলে চলবে না।
সায়ান: হা বাবা আমরা এভাবে পালাবো না। আমাদের আপনজন র প্রাণ হারিয়েছে জার জন্য তাকে উচিৎ শিক্ষা নেয় দিয়ে পালাবো না। বাবা আপনি একটু সহায়তা করুন যে কিভাবে আমরা এই পিশাচের মোকাবিলা করি?

বাবা অভিনন্দ: পিশাচের মোকাবিলা করার আগে তোমাদের পিশাচের সম্বন্ধে কিছু জানতে হবে। প্রথমত পিশাচ কখনো মরেনা।
সায়ান: তাহলে আমরা তাকে হারাবো কি করে?

বাবা একটু হাসলেন,

বাবা অভিনন্দ: পারবে হারাতে। একটা কথা মাথায় রাখবে পিশাচ অনবরত শরীর পরিবর্তন করে । সে একজায়গায় থাকে না। আর তাই পিশাচ এক না অনেক। যখন কোনো নতুন পিশাচ মানব শরীরে জন্ম নেয় তারপর সে সেই জন্ম নেওয়া শরীর তার গুন বা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আরো একটা শরীর খোঁজে। এই পিশাচ টি জন্ম নেবার পর গঙ্গার জলে থেকেছে যেহেতু ওকে বসানো হোয়েছিল। তাই এ মানুষ কে মেরে জঙ্গল এ গঙ্গার কাছ কাছি ফেলছে।
সৌগত: আর সব সব দেহের পাশে যে লেখা থাকছে" পিশাচ তোমায় মুক্তি দিয়েছে" এর মানে টা কি?
বাবা অভিনন্দ: এর মানে হলো পিশাচ তাদের শরীরে প্রবেশ করেছিল কিন্তু তাদের শরীর যোগ্য ছিল না বেশি দিন পিশাচ কে রাখার। আসলে সেই মানুষের শরীরেই পিশাচ প্রবেশ করতে পারে যার মধ্যে 6 টা বিকারের অন্তত একটা উপস্থিত।
সায়ান: 6 টা বিকার?
বাবা অভিনন্দ: হা। মহ (তুলিকা), মায়া(??), কাম(পুর্ণেন্দু), ক্রোধ( কুণাল),হির্সা(??), মদসর (??)।
সায়ান: তার মানে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কিছু না কিছু বিকার ছিল?
বাবা অভিনন্দ: হা। তবে তোমরা নিজের ওপর বিকার কে হাবি হতে দিওনা।নাহলে পিশাচ তোমাদের শরীরে হাবি হবে। এই নাও এটা আমার মন্ত্রপূত কবজ এটা কোনো পিশাচের বক্ষে স্থাপন করলে পিশাচ সেখান থেকে পালিয়ে যাবে কিন্তু পিশাচ কে মাস করবে না তবে তার শক্তি একেবারে শিথিল করে দেবে। কিন্তু এই কবোজ তার প্রয়োগ কেবল একবার ই করা যায়। এখন তোমরা এসো । হাভেলি তে আজ রাতে তোমাদের কাজ টা করতে হবে।আর সায়ান তুমি savdhare কাজটা করো আর মনে রেখো পিশাচ শক্তি পায় মানুষের ভিতরের বিকার গুলি থেকে।
সায়ান: বাবা আমরা আসছি আপনি আমাদের আশির্বাদ দিন।
বাবা অভিনন্দ: ভগবান তোমাদের সহায় হোক...

এরপর সবাই হাভেলীড় উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো।

ওদিকে হাভেলিতে,
একজন কানু কাকাকে বলছে,
অনেকজন অতিথি আসছে আপ্যায়নের ব্যাবস্থা করো।

সবাই হাভেলি তে এলো। তারা কানুকাকা কে জানলো সব ।
সায়ান: আজকে আমরা রাতে তারা তারি খেতে নেবো আর বারিবারি আমরা সবাই পাহারা দেব।
অভিষেক: হুম ঠিক আছে।

রাত হলো,

প্রথমে অভিষেক আর বর্ষা পাহারা দিচ্ছে,
বর্ষা: তোমার কি মনে hoy অভিষেক? পিশাচ আসবে? আমার খুব voy করছে।কি গো তুমি এত চুপ কেনো আজকে?
অভিষেক : না কিছুনা।

এবার রূপা আর সায়ান পাহারা দিতে এলো।
রূপা: তোরা যা একটু ঘুমিয়ে নে আমরা পাহারা দিচ্ছি।
বর্ষা: না না থাক চো একসাথে পাহারা দি।তাই তো অভিষেক?.
অভিষেক: না আমার খুব ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাতে যাচ্ছি।
সায়ান: না না বর্ষা তোরা যা...

বর্ষা : তুই বলছিস যখন.....

বর্ষা আর অভিষেক চলে গেলো আর রূপা ও সায়ান পাহারা দেওয়া শুরু করলো।

ওদিকে সৌগত এর ঘুম ভাঙলো।
সৌগত: আরে প্রব কোথায়? আরে তুমি কোথায় গেছিলে? আচ্ছা ওসব ছার। সোনা বলছি যে একটু বাদে আমাদের পাহারা দেওয়ার পালা তাই বলেছিলাম একটু করে নিলে ভালো হতো না কারণ এমনিতেই বিয়ে গা কাপছে একটু গরম হলে ভালো হতো।
প্রাবনী একটু হাসলো.....

সৌগত চিৎ hoye শুয়ে পরলো।
সৌগত: o yeah। Yes baby। আরো জোড়ে হা আরো জোরে। আ! আ!

ওদিকে রূপা আর সায়ান পাহারা দিচ্ছিল তখন রূপা হটাৎ করে ছিলে উঠলো....

রূপা: একী?? এটাতো প্রাবোনি এর লাশ। সৌগত কোথায়?
সায়ান: দাড়াও ওকে একটা ফোন করে দেখি।

সৌগত এর ফোন বাজছে....
সৌগত: কে রে ফোন করছে এই সময়। (ফোন তুললো) সায়ান আমি 5 মিনিট বাদে ফোন করছি।
সায়ান: আরে আরে বলছি প্রাব্নী এর লাশ পাওয়া গেছে।
সৌগত: সৌগত এর হাত থেকে ফোন টা পড়ে গেলো।

একজন বিকট গলায় বলছে,
কি আরো জোরে করবনা?

একটা জোড়ে চিৎকারের শব্ধ হলো।

আ আ আ আ আ!

সায়ান: কি ব্যাপার আবার কার চিৎকারের শব্ধ ।
রূপা: না না চলো সৌগত এর কাছে আমার ব্যাপারটা ভালো লাগছে না।
দুজনে সৌগত এর ঘরে গেলো আর অবাক হয় গেলো সৌগত এর লাশ দেখে।
রূপা: আমি বলেছিলাম আমরা কেও বাঁচবো না । অভিষেক আর বর্ষা কোথায়?
সায়ান: হা তো এত চিৎকারের আওয়াজ পেয়েও তারা এলোনা।
রূপা: এর মানে তারাও কি.....
সায়ান: উফ দাড়াও তো...
কানু কাকা ওদের সামনে এলো....

সায়ান: কানু কাকা এসব কি হচ্ছে।
কানু কাকা: বাবু তোমরা voy পেয় না। আমার সাথে চলো...

সায়ান আর রূপা কানু কাকার সাথে গেলো। কানু কাকা তাদের একটা অন্ধকার ঘরে নিয়ে গেল।

সায়ান: কি ব্যাপার আমাদের এখানে কেনো নিয়ে এলে?
কানু কাকা: তোমাদের পিশাচের খাবার করতে।
সায়ান: কি তুমি এত বরো বেইমান জানতাম না?

অভিষেক ও ওখানে এলো...
সায়ান: তোকে দেখে একটু চিন্তা কমলো। কিন্তু বর্ষা কোথায় অভিষেক?
অভিষেক:( বিকট গলায়) অভিষেক না পিশাচ!
সায়ান: মানে?
অভিষেক: তোমার এই বন্ধুরা আমার মত অনাথ ছিল আর তোর প্রতি এর মনে হীর্সা ও ছিল তাই এর শরীরেই প্রবেশ করলাম।
কানু কাকা: মালিক আমি আপনার কথা মত সব করেছি প্রথমে মনার বউ এর শরীর তারপর বাকিদের আর এখন অভিষেক এর। এবার আমায় ছেড়ে দিন।

অভিষেক: হা তোমাকে ছেড়ে দেবো একেবারে মুক্ত করে দেব এই দুনিয়া থেকে।

এই বলে কানু কাকার বুক ছিড়ে হৃৎপৃণ্ড টা বের করে নিল। এই দৃশ্য টা দেখে রূপা অজ্ঞান হতে গেলো।

সায়ান: পিশাচ তোর খেলা শেষ। এই দেখ বাবার তাবিজ।

কিন্তু অভিষেক বর্ষা কে কোথাও থেকে নিয়ে এসে তার গলা চেপে ধরলো।

অভিষেক: কিছু করবার আগে এর প্রাণের কথাটা ভেবে নাও।
সায়ান: ওকে ছেড়ে দে বলছি।
বর্ষা: আমার প্রাণের চিন্তা করিস না। মেরে দে পিশাচ কে।

সায়ান: না আমি কি করে?

বর্ষা সেই নিজের ব্যাগ থেকে ব্লেড টা বের করে নিজের গলা কেটে দিল।

সায়ান: বর্ষা তোর কুরবানী আমি নষ্ট হতে দেবোনা। পিশাচ তুই শেষ এবার.....

এই বলে অভিষেক এর সাথে ভীষণ যুদ্ধ শুরু হলো। বাবার তাবিজ যেনো সায়ান কে দৈব শক্তি প্রদান করেছে। বাবার তাবিজ কে সে কোনো মতে অভিষেক এর বুকে ছুয়ে দিল অভিষেক আ করে অজ্ঞান হলে গেলো।

সায়ান: হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে ভাবছে। কিন্তু পিশাচ তো কখনো মরে না। আর অভিষেক সব সময় আমার কষ্ট দিয়েছে আমার রূপার ওপর নজর ছিল তার। না । না । আমি রিস্ক মিতে পারিনা ।

এই বলে সে এক্তাকেমন যেনো পাগল হয় এ গেলো পাথর তুলে সে অভিষেক কে মেরেই ফেললো।

তারপর, রূপা জ্ঞান ফিরে গেলো।
রূপা: কি ব্যাপার কি হলো? বর্ষা অভিষেক মানে পিশাচ কি হলো।

সায়ান: এখন তোমার শরীর টা খারাপ । তুমি এখন আগে এখন থেকে বাড়ি ফিরে চলো রেস্ট নাও তারপর সব ঘটনা বলছি..... তারা সহর ফিরে গেলো.....

এক সপ্তাহ পর, সায়ান এর বাড়িতে, সায়ান অফিস যাবার জন্য রেডী হচ্ছে, মাথা আজরাচ্ছে, এমন সময় রূপা একটা খবরের কাগজ নিয়ে এলো।
রূপা: দেখো সানু খবর কি বলছে: বাহাদুর শহরের ছেলে সায়ান তামগরের মৃত্যুর রহস্য মেটাল। তুমি তো famous hoye gele....

Sayan আয়নার দিকে তাকাতে তাকাতে,
সেটা তো আমি প্রথম থেকেই ছিলাম..

রূপা: আচ্ছা এবার তো তোমার মা এর সাথে দেখা করা করাও। আচ্ছা কোথায় থাকেন তোমার মা,

সায়ান: গঙ্গার পারে মানে শ্রীরামপুরে।
রূপা: ও আচ্ছা আমি রান্নায় যাচ্ছি। চিকেন বানাবো।

সায়ান(আয়নার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে)। সায়ান the great,

একটু লাল লাল ঝোল বানীয় রক্তের মত।

সায়ান এর মুখ টা আয়নায় কেমন যেনো পাল্টে যাচ্ছে।

সায়ান:(বিকট গলায়):। এটা ঠিক যে ""সে কখনো মরেনা""

সমাপ্ত........

আশা করি সব পার্ট গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে.......

09/06/2021

সে কি কখনো মরে না?

পার্ট ৪

খুব ভয়ানক ও সাসপেন্স এ ভরা গল্পঃ শেষ অবধি পড়ুন🥶🥶🥶🥶🥶

আগের পার্ট এ আপনারা দেখলেন যে একটা হটাৎ চিৎকারের আওয়াজ শুনে সকলে দৌড়ে সেখানে যায় এবং গিয়ে পূর্ণেন্দু কে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে আর ঠিক পাশে দেখা যায় উমা বৌদি কে যা সবাই কে খুব অবাক করে দেয়। তখন সবাই উমা বৌদি কে প্রশ্ন করা শুরু করে।

সায়ান:কি ব্যাপার আপনি এখানে?
আকাশ: তুমি তো গুলু মহারাজ এর কাছে গেছিলে...... আর তোমায় বলেছিলাম না জঙ্গল এ আসার আগে আমায় একটা ফোন করতে......আর তুমি এখানে?

উমা : না আসলে আমি গুলু মহারাজ এর কাছ থেকে তাবিজ টা এনে তোমাকে ফোন করবো ভাবছিলাম কিন্তু ফোন তার চার্জ শেষ হয়ে যায় তাই এই পথ দিয়ে জঙ্গল এ ঢুকলাম কিন্তু দেখি পূর্ণেন্দু কেমন নেশাগ্রস্ত ভাবে হেলতে দুলতে আমার দিকে এগিয়ে আচ্ছিলো তাই আমি চেচিয়ে উঠলাম আর পূর্ণেন্দু ও দেখি আপনা আপনি অজ্ঞান হওয়ে গেলো।

তুলিকা: দোয়া করে আপনারা এসব কথা না বলে একটু জল দিন না।
আকাশ: হা হা এই নিন।

এবার সকলে জল তল দিয়ে পূর্ণেন্দু কে ঠিক করলো। সবাই এবার পূর্ণেন্দু কে জিজ্ঞেস করলো রিনির ব্যাপারে। কিন্তু সে কিছুই জানেনা আসলে পূর্ণেন্দু সেদিন রাতে একটু বেশি নেশা করে কাত hoye গেছিলো কিন্তু সে জানে না কিভাবে সে এই জঙ্গলে এসে পৌঁছায়।

কুণাল: কেও জানে না কেও না। রিনি তুমি কোথায়?
সায়ান: চিন্তা করিস না ওকে ঠিক খুঁজে পাওয়া যাবে।

এমন সময় দেখা যায় দুর থেকে ধীরে ধীরে রিনি এগিয়ে আসছে। রিনি কে দেখে অসুস্থ মনে hoy সবার। সবাই তারা তারি গিয়ে ওকে বসায় আর ওর সুস্রুসা করে। তারপর তারা জিজ্ঞেস করতে চায় যে রিনি কোথায় ছিল এতক্ষণ কিন্তু রিনি একদম চুপ যেনো কিছু হয়েছে তার।

কুণাল: না না আর ওকে জালাস না ও ফিরে এসেছে এর থেকে আনন্দের কিছু নয়।
আকাশ: কিন্তু পিশাচ এর ব্যাপারটা?

কুণাল( উমা বৌদির দিকে তাকিয়ে): আমার তো মনে হয় এটা কোনো মানুষের ই কাজ ভুত তুট কিছু না।

সায়ান: ছার ওসব এখন সবাই ফিরে এসেছে তাহলে একটা ছোটো করে সেলিব্রেশন হলে ভালো হয়। আর রাত ও হয়ে এসেছে মনে হয় এখানেই রাত করতে হবে এখন হাভলী ফেরা বিপদজনক।

আকাশ: হা। এখানে শুধু পিশাচের ভয় নেই আবার এখানে একটা ডাকাতের দল সক্রিয় যারা কাওকে জেন্ত ছাড়েনা ধরলে তাই এখানেই রাত কাটাতে হবে। চলো ব্যাবস্থা করা যাক।

এবার সবাই ক্যাম্প করলো আর বন ফায়ার জ্বালিয়ে তার পাশে সবাই বসলো আনন্দ করতে।
সৌগত: আজকে ডবল খুশির দিন। কারণ রিনি আর পূর্ণেন্দু ফিরে এসেছে আর বর্ষা আর অভিষেক এর মধ্যেও সব ঠিক হয় গেছে। চলো ইঞ্জয়।

সবাই গানের লড়াই খেলা শুরু করলো।
সৌগত (মদের নেশায়): এ এবার গ দিয়ে কে গাইবে কে গাইবে? হা রিনি । কীরে গা।

রিনি( গাইছে): গুমনাম হাই কো ই বদনাম হাই কো ই কিস্কো খবর কোন হায় ও?

সৌগত: আরে কিসব গণ গাইছিস রে?
রূপা: হা রে কি গাইছিস? কি হলো চুপ করে গেলি যে?

রিনি: মাথা টা না কেমন ব্যাথা করছে।
কুণাল: না না থাক তুমি ঘুমাও ।

সায়ান: হা হা আমরাও সবাই ঘুমাতে যাই চো।

সবাই ঘুমাতে গেলো।
এখন মাঝ রাত এমন সময় রিনি উঠে একা একা গভীর জঙ্গলের দিকে এগোতে লাগলো। পূর্ণেন্দু ও ক্যাম্পের বাইরে ছিল কারণ ও প্রস্রাব করছিল।

পূর্ণেন্দু: আরে এই জনেমান টা কোথায় যাচ্ছে এত রাতে ? দেখি তো গিয়ে.....

এবার পূর্ণেন্দু রিনির পিছু নিল । এমন সময় কুণালের ঘুম ভাঙলো পাশে রিনি কে না দেখে সে বাইরে বেরোলো আর বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে যে পূর্ণেন্দু কোথাও যাচ্ছে।

কুণাল: আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল এই হারামী তাই সব করছে দারা তো।

এই বলে কুণাল ও পূর্ণেন্দু র পিছু নিল। কিছু টা দুর গিয়ে তাকে ধরে নিল।

কুণাল: আমার প্রথম থেকেই তোর ওপর সন্দেহ ছিল বল আমার রিনি কে কোথায় নুকিয়েছিস?( কুণাল পূর্ণেন্দু এর কলার ধরে নিল খুব রেগে আছে)
পূর্ণেন্দু: বস আমি কিছু করিনি আমি তো নিজেই তোমার বউ কে একা একা জঙ্গল এর দিকে যেতে দেখলাম তাই ভাবলাম যাই দেখি কোথায় যাচ্ছে।সত্যি কথা বলতে তোমার বউ এর প্রতি আমার একটু ক্রুশ ছিল কিন্তু আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই সত্যি বলছি।

কুণাল: তোকে আমি শেষ করে দেব।
পূর্ণেন্দু: তুমি গায়ে হাত তুললে আমিও হাতে চুরি পরে রাখিনি।
কুণাল: তবে রে......

এরপর দুজনের মধ্যে মারাত্মক মারপিট শুরু হয়। একজন আর একজন কে যেনো খুন করে ফেলবে।কুণাল পূর্ণেন্দু এর গলা পিছন দিয়ে চেপে ধরলো তো পূর্ণেন্দু কুণাল কে পাল্টা জবাব দিল ওকে পটকে ফেললো। কুণালের রাগ আরো চরম অবস্থায়। কুণাল তার বন্দুক টা বের করলো।
পূর্ণেন্দু: এ কি গান বের করছো কেনো? কথা দিয়ে পেলে?
কুণাল: কেও জানেনা আমার কাছে গুন আছে আসলে নিয়ে এসেছিলাম জঙ্গলে কিছু ছোটো খাটো শিকার করবো বলে সেটা তো হলো না কিন্তু এখন তোর ই শিকার করবো।

পূর্ণেন্দু: বস গুলি চালিও না ক্ষমা করো আমায়।

কুণাল: তোকে আমি ছাড়বো না।

এমন সময় একটা মেয়ে হেঁটে হেঁটে আসছে তাদের দিকে। দুজন ই তাকে এখানে দেখে অবাক হয় গেলো।
কুণাল: তুমি??????

আর ওদিকে সায়ান আর রূপা ক্যাম্পের বাইরে চাঁদের আলোয় একসাথে বসে আছে।

রূপা: আচ্ছা সানু তুমি আমায় কত ভালোবাসো?
সায়ান: গুগোল এর মত।
রূপা: কি??
সায়ান: আরে এখন গুলে ছাড়া যেমন কারোর চলে না তেমনি তোমায় ছাড়া আমার একদম চলে না।
রূপা: নটি বয়। আচ্ছা শোন না এবার এখন থেকে শহরে ফিরলে তোমার মায়ের সাথে আমায় দেখা করবে কিন্তু কবে থেকে বলছি কিন্তু শুনছো না।
সায়ান: সেতো দেখা করবো কিন্তু আগে একটা।

রূপা হেসে দিল। এরপর দুজনে কিস করতেই যাবে কি তখন চালানোর আওয়াজ সোনা গেলো।সবাই বেরিয়ে এলো তাদের ক্যাম্প থেকে।

আকাশ স্যার: কি ব্যাপার কার চিৎকারের আওয়াজ পাবা গেলো?সবাই এখানে আছে তো ঠিক মত।
সৌগত: না স্যার কুণাল আর রিনি কাউকেই দেখছিনা।
আকাশ: হা তো উমাও তো নেই এখানে।
তুলিকা: স্যার পূর্ণেন্দু ও নেই।

সায়ান: স্যার আওয়াজ ত ওখান দিয়ে এলো মনে হয়।
আকাশ: চলো তারা তারই ওদিকে।

সবাই ওখানে গেলো ওখানে গিয়ে সবাই অবাক হলে গেলো । তারা দেখলো কুণাল পূর্ণেন্দু আর রিনি তিন জন ই মারা গেছে আর তাদের শব দেহের পাশে লেখা পিশাচ "তোমায় মুক্তি দিয়েছে"। আর তার থেকেও বড়ো ব্যাপার যে উমা বৌদি পাশে দাঁড়িয়ে আর তার হাতে একটা বন্দুক।।

তুলিকা(উমা কে উদ্দেশ্য করে): আমার স্বামীর প্রাণ নিলি? কি মহিলা তুই রে? কি রে ডাইনি মেয়েছেলে ।

উমা: আমি কিছুই করিনি। আমি যখন এখানে এসেছিলাম তখন তারা আগে থেকেই মৃত ছিল আর এই বন্দুক টা নিচে পড়ে ছিল বলে আমি তুললাম। আমি কিছু করিনি।
প্রাবনি: আমার প্রথম থেকেই এই মহিলার ওপর সন্দেহ ছিল। কেমন বেকা মুখ মহিলা এই পিশাচ আমি বলে দিচ্ছি।
আকাশ স্যার: সব আমার দোষ আমার তোমাদের সব আগে থেকে জানানো উচিত ছিল। কি উমা নিজের আসল রূপ টা দেখিয়ে দিলে তো?
উমা : তুমি কিসব বলছো?
বর্ষা: আপনি আমাদের কি বলেন নি স্যার?
অভিষেক: হা বলুন স্যার এটাই সময়।
আকাশ স্যার: উমা আসলে ঋতুপর্ণা দেবীর বংশধর।
সায়ান: ঋতুপর্ণা দেবী মানে যে কালু জাদু করে বিপুল কুমার এর সন্তান কে......

আকাশ স্যার: হা কিন্তু আমি ভেবেছিলাম ও hoyto ভালো মানুষ হবে কিন্তু না । তুই আমার বিশ্বাসের এমন মর্যাদা দিলি।
উমা: না বিশ্বাস করো তোমরা সবাই আমি কচু করিনি।
সৌগত : কি করে আপনাকে বিশ্বাস করবো বলুন?
আকাশ স্যার: না তোমাকে আর বিশ্বাস করা যাবেনা। এ সনো সবাই উমা কে এখানে বেঁধে রেখে আমরা এগোব। আর এই জঙ্গল এ থাকা সুরক্ষিত নয়। চলো আমার সাথে আমি তোমাদের এখন থেকে বের করবো।
সায়ান: হা চলুন স্যার।
আকাশ স্যার: দাড়াও এই বন্দুক টা সাথে রাখি পরে কাজে লাগতে পারে।

এরপর বাকিরা যারা বেঁচে আছে মানে আকাশ স্যার, সায়ান ,রূপা ,সৌগত, বর্ষা প্রাব্নী, অভিষেক আর তুলিকা এগিয়ে চললো জঙ্গল থেকে বাইরে বেরোনোর সময়। কিছুটা দুর গিয়ে তারা একটা বিকট শব্ধ শুনতে পায়। নিমেষের মধ্যে দুজন ডাকাত এসে তাদের ঘিরে ফেলে।

সায়ান: মনে হয় এরা সেই ডাকাত দল জার কথা আপনি আগে বলেছিলেন স্যার। স্যার আপনার কাছে তো বন্দুক আছে স্যার বাঁচান আমাদের।
আকাশ স্যার: হা হা আমার কাছে তো বন্দুক আছে .... কিন্তু তোমাদের বাঁচানোর জন্য নয় মারার জন্য।
সায়ান: মানে?
আকাশ স্যার( জোড়ে জোড়ে হাসতে লাগলো): হা হা হা হা হা। আমি আসলে এই ডাকাত দলের নেতা । আমি ইচ্ছাকরে তোমাদের এই জঙ্গল এ এনেছিলাম যাতে এই meye গুলোকে আমি বেচতে পারি?
সায়ান: কি?
উস্তাদ আকাশ: এই সবাই কে ঘর ধরে আড্ডায় নিয়ে চো।
ডাকাত১: হা উস্তাদ।

সবাই কে এবার আড্ডায় নিয়ে যাওয়া হলো আর সব ছেলেদের বেঁধে দেওয়া হলো।

সায়ান: তোর মত হারামী লোক দেখিনি। তুই শিক্ষক না ভক্ষক। তার মানে পিশাচ বলে কিছুই নেই সব মানুষ দের তুই মেরেছিস।

উস্তাদ আকাশ: না আমরা করিনি। তাই জন্য তো আমার ও মাথা কাজ করছে না যে কে এইসব খুন করছে তাই তারা তারি কল সকালের মধ্যে এই মেয়ে গুলো কে নিয়ে দেশ ছাড়বো

সৌগত: আর আমরা?
উস্তাদ আকাশ: তোমাদের পুজো দেব বাল।
সৌগত: কি!
উস্তাদ আকাশ: গান্দু ! তোদের এখানেই পুঁতে দেব। যাই হোক মেতে র একটু নেচে দেখাও প্র্যাক্টিস করো দুবাই তে শেখ দের সামনে এসব ই করতে হবে।
রূপা: না আমরা করবো না।একদম ই না।
উস্তাদ। আকাশ: বা। আর এই মেয়ে টা ( তুলিকা) কিছু বলছে না কেনো। এই বল নাচ নাচ। দুর এত চুপ চাপ মেতে কে দিয়ে আমার কাজ হবে না।

এই কথা টা বলে তুলিকা কে গুলি মেরে মেরে ফেললো।

রূপা: এমা এটা কি করলে।
সায়ান: হারামী ছাড়া পাই তোকে শেষ করে দেব।
উস্তাদ আকাশ: আমার মাথা টা গরম করিস না কেও। নাচ নাহলে গুলি মেরে দেব। এ গান চলা তো।
ডাকাত ২: উস্তাদ। দিলবার না হায় গার্মি?
উস্তাদ আকাশ: হায় গর্মি একদম না উমা রোজ ওই গান ত ঘরে বাজাতো শুনে শুনে কান পেকে গেছে। আরে ওই গান টা চলা না। আরে " গেন্দা ফুল"।

গান শুরু হলো সব মেয়ারা বাধ্য হয় নাচতে।
উস্তাদ আকাশ: এই তো এইতো। এমা আমার পা অবশ কেনো হচ্ছে এমা আমি নরতে পারছিনা। কি হচ্ছে সবার।

সব ডাকাত দের পা অবস হয় গেলো আকাশ এর হাত থেকে বন্দুক তাও পরে গেলো। সব ছেলেদের হাতের দরি খুলে গেলো। আসলে উমা ফিরে এলো আর কালো জাদু করেই এসব করলো।

উমা : আমি মানছি আমি ঋতুপর্ণা দেবীর মত কালো যদি করি কিন্তু তফাৎ একটাই তিনি খারাপ কাজের জন্য করতেন আর আমি ভালোর জন্য করি।
সায়ান: আমরা আপনাকে অনেক ভুল বুঝেছিলাম।
বর্ষা: হা।
উমা: ও নিয়ে কচু ভেবো না। তোমরা পালাও আমি এদের দেখে নিচ্ছি।

এই সময় আকাশ এর পা অবস ছিল কিন্তু হাত না তাই পকেট থেকে চাকু বের করে ছুড়ে উমা কে মেরে দিল ।

উমা: অা। তোমার যাও তারা তারা তারই আমার জাদুর অসর কমে যাচ্ছে পালাও। আর একটা কথা প্রাব্নী একটা কথা আমায় বাইরে থেকে অনেকে বেকা মুখ বলতো আমার ছোটো বেলার বন্ধুরা আমায় আবার পেঁচা মুখী বলতো কিন্তু তারা বুঝতে না যে একটা পেচার মত আমার মনটাও পবিত্র।
প্রাবনি: আমায় ক্ষমা করে দিয়।
উমা : যাও পালাও তোমরা।

সবাই পালিয়ে গেলো ওখান দিয়ে এর মধ্যে আকাশ আর বাকি ডাকাত দের পা ঠিক হলে গেলো। আকাশ উঠে উনাকে গুলি মেরে মেরে ফেললো।
উস্তাদ আকাশ : মাদারচোত।না আর এখানে থাকা যাবে না এক্ষুনি পালাতে হবে।

এরই মধ্যে একটা voyanok প্রাণী ওখানে প্রকট হলো ।

আকাশ: বেহেঞ্চট এটা কি।

আ আ আ আ আ আ আ আ( চিৎকার)

এখন শুধু সায়ান রূপা ব্যাথা অভিষেক সৌগত আর প্রাব্নী বেচে আছে কিন্তু ওরা বুঝতে পারছে না কি করবে।

আর ওদিকে হাভেলি তে অন্য কিছুই চলছে।

কানু কাকা: আপনি যা বলে ছেন আমি তাই করেছি। সবাই কে সেই মত জঙ্গল e পাঠিয়ে ছি। এমনকি মনার বউকে........ আমায় ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন ............ না না আমি যাচ্ছি যাচ্ছি কি অন্ধকার নেমে আসছে আমি পালাই বাবা রে।

আর ওদিকে জঙ্গল এ....

অভিষেক: এখন আমরা কি করবো।
সায়ান: হা ওদিকে গেলে ডাকাত আর হাভেলি টা পিশাচ কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি ওই বাবা অভিনন্দ আমদের দেখা দিত কিন্তু সালা আকাশ ওর কথা বলেছিল তার মনে মিথ্যে সব।

প্রাবনি: দেখ সবাই ওই বর গাছটার তলায় কেমন এলো বাড়ছে কি বেড়েই চলেছে কে যেনো বসে আসে ।
সায়ান: হা কাকে যেনো দেখা যাচ্ছে।

একদিকে অন্ধকার নামছে আর আর এক দিকে আলোর উদ্ভাবন হচ্ছে। আলো আর অন্ধকারের এই লড়াই তে কে জিতবে? দেখতে হলে চোখ রাখুন শেষ পার্ট এ।

To be continued in Part 5( Last Part)

01/06/2021

Sorry for the typoes in the posts so far but the next ones will be perfect.🙏🙏

01/06/2021

সে কি কখনো মরেনা?

পার্ট ৩

খুব ভয়ংকর ও সাসপেন্স এ ভরা গল্পঃ শেষ অবধি পড়ুন 🥶🥶🥶🥶

আগের পার্ট এ আপনারা দেখলেন যে রিনির ওঠাট উধাও হয়ে যাওয়ায় সবাই খুব চিন্তায় পরে গেলো আর পূর্ণেন্দু এর অনুপস্থিতিতে সবাই পূর্ণেন্দু এর ওপর এই সন্ধেহ করতে লাগলো। যাই হোক পরের দিন সকালে সবাই মিলে আকাশ স্যার এর বাড়ি গেলো ব্যাপারটা জানাতে।

পরের দিন সকালে আকাশ স্যার এর বাড়িতে......….....

আকাশ স্যার এর বাড়িতে সবাই বসে । উমা বৌদি সবাই কে চা দিল।

সায়ান: স্যার তাহলে শুনলেন ত এসব হয়েছে। তাহলে এখন কি করা উচিৎ?

আকাশ স্যার: এখন করার মধ্যে একটায় কাজ আমাদের জঙ্গল এ গিয়েই তদন্ত করতে হবে কারণ যারাই উধাও হয়েছে তাদের লাশ জঙ্গলে গঙ্গার কাছ কাছি পাবা গেছে।

কুণাল: না আমার রিনি মরতে পারে না। আমার রিনির যদি কিছু হয় তাহলে আমি সৌগত কে শেষ করে দেব।
আকাশ স্যার: এখনই সব কিছু খারাপ ভেবে নিও না আগে জঙ্গলে যাওয়া যাক। আজ দিন ও রাত পুরোটাই জঙ্গলে কাটাতে হবে। কি পারবে তো তোমরা?
সায়ান: আমরা নিশ্চই পারবো।

আকাশ স্যার: তাহলে তুমিও রেডী হতে নাও।।

উমা: না আসলে আমি তোমাদের সাথে যেতে পারবনা।
আকাশ: তুমি কি ভ্য় পাচ্ছো?

উমা: আমি ভ্য় পাইনা কিন্তু আমি গলু মহারাজ এর কাছে যাচ্ছি একটা সিদ্ধ তাবিজ অন্তে ওটা নিয়ে আমি একেবারে জঙ্গল এ যাবো তারপর তোমাদের সাথে দেখে করবো।

সায়ান: কিছু মনে করবেন না ম্যাডাম। কিন্তু আপনি ঝার ফুক এ বিশ্বাস করেন?

উমা: গোলু মহারাজ অনেক সিদ্ধ পুরুষ ওনার শক্তিতে এই পিশাচ কাবু হবে।

আকাশ: আমিও সিদ্ধ পুরুষে বিশ্বাসী কিন্তু ওই গুলু মহারাজ এক মস্ত বড় ধঙ্গি ।
উমা: তোমাকে কতবার বলেছি ওনার সম্বন্ধে এরম কটু বাক্য প্রয়োগ করবেন না কিন্তু .......তাও তুমি......

আকাশ: থাক আমি আর তোমায় বাধা দেবোনা। আমরা জঙ্গলে যাচ্ছি তুমিও সাবধানে যাও আর কাজ হলে গেলে জঙ্গলে চলে এসো আর আমায় আগে একটা ফোন করো।
উমা: হুম আমি আসছি তাহলে........

উমা বৌদি বেরিয়ে গেলেন গুলু মহারাজের কাছ থেকে পিশাচ কে হারাবার উপায় আনতে।

আকাশ স্যার: চলো তাহলে আমরাও বেরিয়ে পড়ি। চলো...…..

এরপর আকাশ স্যার এর সাথে সবাই জঙ্গল এর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো......... সবাই খুব চিন্তিত সবাই পূর্ণেন্দু কে দোষারোপ করছে কিন্তু তুলিকা সবাই কে বোঝাতে চেষ্টা করছে যে পূর্ণেন্দু এর এতে কোনো হাত নেই।

তুলিকা: দেখো তোমরা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে পূর্ণেন্দু কেও কোনো কেও গায়েব করেছে। দেখো ওতো রিনি কে চেনেও না ।
সৌগত: হা কিন্তু এটাতো মিথ্যে না যে পূর্ণেন্দু রিনির ওপর খারাপ নজর দিত।
তুলিকা( সৌগত কে) : দেখো ছেলেদের চোখ সুন্দর মেয়েদের দিকে চলেই যায় ।আমি তো তোমাকে রিনির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছি তার মানে তো তুমিই হয়টো......
কুণাল: কি তুই করেছিস এসব হা.....

সায়ান: কুণাল তুই এসব বন্ধ কর ....চিন্তা করিস না রিনি কে ঠিক পাবা যাবে.....
স্যার আপনি কি বলেছিলেন যে পিশাচ এর সম্বন্ধে।

আকাশ স্যার : হা .... পিশাচ অনেক হয় মানে ওরা আমাদের মত জন্ম নেয় কোনো মানুষের শরীরে কিন্তু সময় এর সাথে সাথে তারা দেহ পরিবর্তন করে। বাবা অভিনন্দ ভালো ভাবে জানেন ব্যাপারটা। মানে পিশাচ বলে কোনো নিয় ম মেনে শরীর বাছে আর আমি এটাও শুনেছি যে পিশাচ একবার রক্ত পেয়ে গেলে আর থামে না।

অভিষেক: আচ্ছা তাহলে সে কি কখনো মরে না?
আকাশ: না।
প্ৰাবাণী: আচ্ছা তাহলে আমরা একেবারে বাবা অভিনন্দর কাছে যাচ্ছিনা কেনো।
রূপা: হা কোথায় থাকেন তিনি?
আকাশ: ওনার ঠিকানা কেও জানেনা।কিন্তু একথা প্রচলিত যে যখন ই কোনো মানুষ এর সত্যিই তার প্রয়োজন হয় তখন নিজে থেকেই উনি সামনে চলে আসেন।

বর্ষা: বাবা কথাটা শুনে গায়ে কাটা দিয়ে দিল।

আকাশ: আচ্ছা একটা কাজ করা যাক আমরা আলাদা আলাদা হতে খুঁজি তাহলে তারা তারি হবে। আচ্ছা সায়ান তুলিকা আর কুণাল একদিকে যাও আমি আর সৌগত আর বর্ষা একদিকে যাই আর অভিষেক আর রূপা আরো একদিকে যাও।
বর্ষা: আমি অভিষেক এর সাথে গেলে কোনো অসুবিধা আছে?
অভিষেক: না থাক।
বর্ষা: আমি তোমাকে ভুল বুঝে ছিলাম আসলে আমিই মনে হয় তোমার জীবনে কাটা.....

এই বলে কাদতে কাদতে বর্ষা চলে গেলো।

আকাশ স্যার: ওর আবার কি হলো?

অভিষেক: আপনি চিন্তা করবেন না স্যার। রূপা তুই আকাশ স্যার এর সাথে ওদিকে চলে যা। আমি যাচ্ছি বর্ষার সাথে।কেও চিন্তা করিস না ।
রূপা: হুম

এই বলে সবাই আলাদা হতে গেলো রিনি কে খুঁজতে আর ওদিকে অভিষেক গেলো বর্ষার পিছন পিছন। কিছুটা দুর গিয়ে অভিষেক দেখে বর্ষা নিজের ব্যাগ থেকে ব্লেড বের করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছে। অভিষেক তারা তারি গিয়ে ব্লেড টা কেরে নিল আর একটা জোড়ে চর মারলো বর্ষার গালে।
অভিষেক: পাগল হয় গেছিস নাকি তুই কি করছিস এসব তুই?

বর্ষা: হা হা পাগল হয়ে গেছি। তোমার ভালোবাসায় আর তুমি শুধু ওই রূপার পিছনে ছি। আমার ভালোবাসা টা কি এত তুণখো? এই ব্লেড টা অনেক দিন ধরেই ব্যাগ এ রাখতাম আত্মহত্যা করবো বলে কিন্তু ভাবতাম তুমি হয়তো পাল্টে যাবে কিন্তু না... ছার আমায় আমার মরে যাওয়াই ভালো।
অভিষেক: বলে নিয়েছিস? এখন একদম চুপ করে মার কথাটা শোন। রূপার সাথে আমার যা ছিল সেটা অতীত। হা একটা সময় আমি তাকে ভালবাসতাম কিন্তু সে কখনো আমার ভালোবাসা কে মর্যাদা দেইয়নি। আর ভালো লাগা আর ভালোবাসার মধ্যে অনেক সম্পর্ক আছে।আমাদের সব বন্ধুরা শুধু শারীরিক ভালোবাসায় বিশ্বাসী কিন্তু

বর্ষা: তুমিও তো তাই।
অভিষেক: চুপ আগে আমায় শেষ করতে দাও। আমি শুধু একজন কেই ভালোবাসি সেটা তুই বর্ষা তুই
বর্ষা: কি?
অভিষেক: হা
বর্ষা : তাহলে তুমি আমার থেকে দূরে দূরে থাকতে কেনো?
অভিষেক: আমি জানতাম তুই আমায় মনে প্রাণে ভালবাসিস। কিন্তু আমি চাই তাম না যে আমার জন্য তুই কষ্ট পা।
বর্ষা: মানে?
অভিষেক: মানে আমার ক্যান্সার আছে আমি কুণাল বা সায়ান এর মত বেশি দিন বাঁচবো না আর আমার অত টাকাও নেই তাই আমি হয়ত তুখে সুখেও রাখতে পারবো না আর আমি চাইতাম না যে আমার জন্য তুই কষ্টে থাক। আমায় ভুলে যা তুই বর্ষা ভুলে যা।

এই বলে অভিষেক ওখান থেকে চলে যেতে চাইছিল। কটু বর্ষা তোর হাত ধরে আটকে দেয়।

বর্ষা: হা সত্যিই তুমি সায়ান বা কুণালের মত না ওরা টু শুধু শারীরিক প্রেমে বিশ্বাসী কিন্তু তুমি না.।।। প্রেমের আরো এক নাম যে ত্যাগ টা তোমার থেকে শিখলাম। ক্যান্সার তো একটা ছোটো রোগ মাত্র আর এজীবনে ভগবান ও আমাদের আলাদা করতে পারবেনা।
এই বলে তারা গলা জোরালো।
অভিষেক: I love you Barsha।
বর্ষা: I love you Too।

এমন সময় একটা চালানোর আওয়াজ সোনা গেলে বর্ষা আর অভিষেক দৌড়ে বাকিদের দিকে গেলো।

অভিষেক: কি ব্যাপার কিসের আওয়াজ?

সায়ান: হা আমরাও তো শুনলাম। হা আওয়াজ টা ওদিকের থেকে এলো। চো চো......

এবার সবাই তারা তারই ওদিকে গেলো ওদিকে গিয়ে দেখে পূর্ণেন্দু অজ্ঞান হয় পরে আছে কিন্তু এটার থেকেও আরো বর অবাক করার বিষয় হলো সেখানে উমা বৌদি দাড়িয়ে ছিল..........

কি ব্যাপার? কি হয়েছে পূর্ণেন্দুর ? রিনি ও বা কোথায়? আর উমা বৌদিও বা ওখানে কি করছে?

সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে চোখ রাখুন পরের পার্ট এ

To be continued in Part 4

01/06/2021

সে কি কখনো মরেনা?

পার্ট ২

খুব ভয়ানক গল্পঃ শেষ অবধি পড়ুন 🥶🥶🥶🥶🥶

আগের পার্ট এ আপনারা দেখলেন যে কানু কাকা পিশাচের ইতিহাস নিয়ে একটা সত্য ঘটনা সায়ান আর তার বন্ধুদের শোনাতে শুরু করলো...... এরপর........

সবাই মন দিয়ে কানু কাকার গল্পটা শুনতে শুরু করলো.....

কানু কাকা:। আজ থেকে ২৫ বছর আগে কার কথা। আমাদের গ্রাম খুব ই সুখে শান্তি তে ছিল কারণ আমাদের জমিদার বাবু মানে এই হাভেলিড় মালিক শ্রী বিপুল কুমার গ্রামের প্রজা দের খুব সুখে শান্তিতে তে রাখতেন। একদিন তিনি জঙ্গল এ শিকার করতে যান সেখানে গিয়ে এক বন চারিনি মেঁয়ের সাথে তার ভালোবাসা হলে যায় । তিনি তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর ও জমিদার বিপুল এর কোনো সন্তান হচ্ছিলো না। তাই তিনি আর তার বউ ঋতুপর্ণা দেবীর কাছে গেলেন জিনিবকালো জাদু করতেন( কিন্তু বিপুল কুমার সেটা জানতেন না)। ঋতুপর্ণা দেবী বললেন আজ থেকে 9 মাস পর্যন্ত আপনার বউ এখানে থাকবে আমার কাছে আর ন মাস পর আপনার পুত্র সন্তান জন্মাবে কিন্তু ন মাসের 1 দিন আগেও এখানে আসবেন না। বিপুল কুমার কথা মত চলে গেলেন। কিন্তু ঋতুপর্ণা দেবী পিশাচের পুজো করতেন আর বিপুল কুমারের বউ এর রক্ত অর্পণ করতেন পিশাচ কে ফলে ধীরে ধীরে ওনার গর্ভের সন্তান ও পিশাচ এর রূপে পরিণত হয়। ঠিক 9 মাস পূর্ণ হবার একদিন আগে বিপুল কুমার সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন ফলে তিনি লোক নিয়ে ঋতুপর্ণা দেবীর বাসায় হানা দেন। ওখানে গিয়ে তিনি ঋতুপর্ণা দেবী কে হত্যা করেন ফলে সেখান থেকে তিনি তার গর্ভ বতি বউ কে নিয়ে আসেন । কিন্তু পরের দিন সকালে সন্তান কে জন্ম দিয়েই তিনি মারা যান। তখন জমিদার বিপুল কুমার বাবা অভিনন্দর কাছে যান। বাবা অভিনন্দ জানান যে এই সন্তান পিশাচের আর এক রূপ। তখন বিপুল কুমার সেই সন্তান কে মেরে ফেলার কথা বললে বাবাজি বলেন যে পিশাচ কে কখনো মারা যায়না এই সন্তান টিকে মারলেও এটা অন্য কারোর দেহের ওপর কব্জা করবে তাই বিধি করে এই সন্তান কে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিতে হবে। বাবা অভিনন্দর কথা মত বিপুল কুমার সেই সন্তান টিকে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেন। এরপর সবাই ভাবে যে সব ঝামেলা মিতে গেছে। কিন্তু এই কিছু দিন আগে মানে আগের মাসের ১০ তারিখ বিপুল সাহেব শিকারে গেছিলেন কিন্তু রাত হলেও আর হাবেলী তে ফেরেন নি। তখন সকাল বেলা আমরা সবাই মিলে যাই বিপুল বাবুর খোঁজে কিন্তু বিপুল বাবু কে তো পাওয়া গেল না কিন্তু তার রক্ত মাখা শব দেহ পাবা গেলো জঙ্গল এ আর শব দেহের পাশে বিপুল বাবুর রক্ত দিয়ে লেখা ছিল, -" পিশাচ বাবা কে মুক্তি দিয়েছে".

।।এই কথাটা শোনার পর সবাই ভয় পেয়ে গেলো।।

কুণাল: কি ভ্যাক চেক বলছো কানু কাকা? বেকার মেতে গুলো কে ভোট পাবাচ্ছ।

কানু: আমি একদম মিথ্যে কথা বলছি না। জমিদার বাবুর মৃত্যু টা ছিল গ্রামের প্রথম মৃত্যু তারপর থেকে গ্রামে অনেক মানুষ ই মারা গেছে এমন ভাবে। এমনকি আপনাদের স্যার আকাশ বাবুর ভাই সৌভিক ও তার বউ রিয়া দেবীও এই পিশাচ এর শিকার হয়েছে। একদিন তারা দুজন শহরে দুধ বেঁচে জঙ্গল এর রাস্তায় গ্রামে ফিরছিল কিন্তু ফেরার পথে তারা মারা যায়।

সায়ান: তাহলে পুলিশ কেনো কিছু করছে না এই ব্যাপারে?

কানু কাকা: পুলিশ নিজেই ভোয়ে কাপছে আরে ওরাও তো এই গ্রামের সব দেখছে না।

রূপা: কিন্তু চিন্তা করবেন না । আমরা এসে গেছি আমরা আর স্যার মিলে সব ঝামেলা মিটিয়ে দেব।
সৌগত: হা হা নিশ্চয় কোনো মানুষ ই এসব করছে।

তুলিকা: হা একদম চিন্তা করবেন না আমরাও সাহায্য করব। তাই তো পূর্ণ? পূর্ণ? কি গো কি ভাবছো ওদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে।
পূর্ণেন্দু: ( পুর্ণেন্দু আসলে রিনি এর দিকে তাকিয়ে ছিল):। না না কিছু না।

তুলিকা: ও আচ্ছা।

অভিষেক: আচ্ছা এই হেভলীর দোতলা টা এতো ফাঁকা ফাঁকা কেনো?
সায়ান: হা আমিও তাই ভাবছিলাম।
কানু কাকা: আসলে ওই দোতলার ঘরেই বিপুল সাহেবের পুত্র টা জন্ম নিয়েছিল তাই ওখানেই বলা হয় পিশাচের বাস। কিন্তু চিন্তা করবেন না বাবা অভিনন্দ ওই ঘর টিকে সিদ্ধির দ্বারা মন্ত্র বন্ধ করে দিয়েছেন।

অভিষেক আগেই উঠে চলে গেলো কারণ তার ঘুম পাচ্ছিলো বলে।
সৌগত: কিরে তোর রোমিও তো তোকে না নিয়েই চলে গেলো।
বর্ষা: একদম ইয়ার্কি মারবিনা । মেরে দেব বলছি।

সৌগত: না না থাক
সায়ান: উফ ওকে জলাস না তো।

কানু কাকা: বাবু রা অনেক রাত হযেছে এবার আপনারা শুয়ে পড়ুন কারণ রাতের অন্ধকার বাড়ার সাথে সাথে নিশির পিশাচ আরো শক্তিশালী হতে ওঠে।

সায়ান: হা চল সবাই শুবি চল।পুর্ণেন্দু আপনারাও যান অনেক দুর থেকে এসেছে। আর রূপা ডার্লিং তুমিও চলো ।
রূপা: কি যে বলনা।
সৌগত(গান গাইছে): হাম তুম এক কামড়ে মে বন্ধ হো আর চাবি হারিয়ে যায়😆।

রূপা: দেখছো তো?দুর আমি গেলাম।

বাকিরাও ঘরে যাচ্ছিল কিন্তু যাবার আগে কানু কাকা ওদের সাবধান করলো.......

কানু কাকা: বাবুরা যাবার আগে একটা কথা মাথায় রাখবেন যে ভুল করেও দোতলার ঘরের দিকে যাবেন না ওখানে যাওয়া মানে নিজের মৃত্যু কে আমন্ত্রণ জানানো....

কুণাল: হা হা কেও যাবেনা..... এ সবাই ঘুমাবি চ কল সকাল সকাল আকাশ স্যার এর সাথে তদন্ত করতে জঙ্গল এ যেতে হবে চো.....…..

এবার সবাই ঘোমাতে চলে গেলো ।

রাত ঘন হলে এসেছে.... ঘড়ির টিক টিক শব্ধ শোনা যাচ্ছে এমনকি দূরের শিয়াল গুলোর আওয়াজ ও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সব কিছুই যেনো একটা খারাপ সংকেত দিচ্ছে।

সৌগত আর প্রাবানীর ঘরে.....

প্রাবানী: আচ্ছা তোমার কী শান্তি হোয়না? এখানেও তোমার করার ইচ্ছা জাগে।

সৌগত: আরে কি বলবো কানু কাকার গল্পঃ টা শুনে গা হাতপা ঠাণ্ডা হলে গেছে তাই গরম করতে হবে তো বলো। দাও না একটা শুধু একটা।

প্রাবানি: দুর যাওত।

ওদিকে কুণাল আর রিনির ঘরে,

কুণাল ঘোমাচ্ছে আর ঘুম চোখে রিনির সাথে কথা বলছে ফলে কি বলছে তেমন হুস নেই কুণালের....

রিনি: আচ্ছা শোন..
কুণাল:(ঘুমের চোখে): হুম

রিনি: আচ্ছা ওই দোতলার ঘর তে কি আছে বলতো । আমার মনে hoy কোনো খাজনা আছে। বাহুবলী সিনেমায় দেখেছি রাজাদের কাছে অনেক খাজনা থাকতো। হোয়ত টা নিকানোর জন্য এসব মিথ্যে পিশাচের গল্পঃ রটিয়েছে। চলো না দেখে আসি।
দুর তুমি পরে পরে ঘোমাও আমি যাই......
কুণাল(ঘুম চোখে): হুম

রিনি চলে গেলো দোতলায় ওই ঘর তার কাছে আর ওখানে গিয়ে ঘরের দরজার তালা টা নিজের চুলের পিন দিয়ে খোলার চেষ্টা করতে শুরু করলো।

ওদিকে সায়ন এর ঘরে সায়ান আর রূপা গলা জড়িয়ে শুয়ে আছে। রূপা সায়ান কে জিজ্ঞেস করছে......

রূপা: সানু তোমার কি মনে হয় সত্যিই কি নিশি পিশাচ আছে? নাকি সব কোনো মানুষ ই করছে।

সায়ান: কি জানি? আগে কলকে একটু তদন্ত করি জঙ্গলে গিয়ে ।

এমন সময় রিনির চেঁচানোর আওয়াজ পাবা গেলো সায়ান আর রূপার ঘর টা সব থেকে কাছে ছিল বলে ওরা আগে বেরোলো। ওই দোতলার ঘরটার কাছে গিয়ে তারা দেখল ঘরটা খোলা আর সায়ান আর রূপা অবাক হলে গেলো কারণ ওরা ওখানে গিয়ে দেখে বর্ষা আর অভিষেক আগে থেকেই ওখানে উপস্থিত।

সায়ান: কি ব্যাপার তোরা এখানে? আমাদের আগে?

অভিষেক: না আমার একটু এই ঘরটা সম্বন্ধে কৌতুহল হচ্ছিলো তাই এসে ছিলাম এখানে। কিন্তু এসে দেখি দরজায় তালা দেব তাই ঘরে ফিরে যাচ্ছিলাম কিন্তু ফেরার সময় একটা আওয়াজ পেয়ে ছুটে এসে দেখি এসব।

রূপা: আর বর্ষা তুই?

বর্ষা : আমি তো অভিষেক এর পিছু করে এখানে এসেছিলাম।
সায়ান: কিন্তু চালানোর আওয়াজ টা তো মনে হয় রিনির ছিল। টা কুণাল কোথায়?

একে একে কানু কাকা, মৌমিতা কাকী, কুণাল, প্রাবাণী, তুলিকা চলে এলো।

কানু কাকা: কি হয়েছে?... এ ভগবান কি সর্বনাশ হলো দরজা খোলা মানে পিশাচ সব সময়ের জন্য মুক্ত এবার তো দিনেও পিশাচ এর উৎপাত হবে।
সায়ান: আরে আগে দেখুন রিনি কোথায়? কুণাল কোথায় রিনি?

কুণাল:। আরে আমি ঘুম চলে কি বললাম? ও মনে হয় এই ঘরটার তদন্ত করতে এসেছিল। রিনি। রিনি। না আমার মনে হয় কেও আমার রিনি কে কিডন্যাপ করেছে।
রূপা: কিসব ভুল ভাল বকছিস তুই?
কুণাল: এই প্ৰাবানী সৌগত কোথায় রে ? ওই আমার রিনি কে গায়েব করেছে।
প্ৰাবানি: কি ভুল ভাল বলছিস ও তো আমার সাথে ছিল।
কুণাল:। সাথে ছিল তাহলে কোথায় সে?
সায়ান: মাথা ঠাণ্ডা কর ওই দেখ সৌগত আসছে।

কুণাল: তোকে আমি মেরেয় ফেলবো আমার ঋণীনকে তুই কোথায় রেখেছিস বল?
সায়ান: ছার ওকে আর ছার।
সৌগত: আমি কোথাও রাখিনি? আমার সাথে ওর সম্পর্ক ইতিহাস। আর আমাকে কে ধরার আগে ওই পূর্ণেন্দু তাকে ধর ওকে আমি রিনির ওয়াশ রুম এর বাইরে তাক যাক করতে দেখেছিলাম মনে hoy ওই রিনি কে গায়েব করেছে।
তুলিকা: কি সব দোষ আরোপ করছো আমার পূর্ণ র ওপর।
আচ্ছা পূর্ণেন্দু আছে কোথায়?

তুলিকা: ঘোমানোর আগে তো আমার সাথে ছিল। কিন্তু....

সৌগত: দেখলি তো?
বর্ষা: আমি একটা কথা বলবো?
সায়ান: কি বল?
বর্ষা: আসলে আমি যখন অভিষেক এর পিছু নিয়ে আসছিলাম তখন আমি কারোর ছায়া দেখেছিলাম ওই ঘরটার পাশে আমি ডাকলে সে পালিয়ে যায়। কি জানি মনে হচ্ছে পূর্ণেন্দু ই ছিল।

সায়ান: দারা দারা এখন ই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছােস না আগে কল সকাল টা হোক আমরা তো কল এমনিতেই তদন্তে যেতাম। কাল সকালে আকাশ স্যার এলে তারপর ঠিক রিনি আর পূর্ণেন্দু কে খিজা যাবে। আজ কের রাত টা কোনো মিতে কাটিয়ে দে ....
কুণাল: আমার রিনিনকে যদি খুঁজে পাবা না যায় তাহলে সৌগত তোর শেষ দিন।
সৌগত: হা দেখে নেবো যা।
সায়ান: উফ ঝগড়া বন্ধ কর।
রূপা : তোমার কি মনে হয় পিশাচ নাকি পূর্ণেন্দু কে ?
সায়ান: কল সকালের আগে কিছুই বোঝা যাবে না।

কে আসলে রিনি কে গায়েব করলো? পিশাচ? তাহলে পূর্ণেন্দু কোথায়? কে এসব এর পিছনে? মানুষ না কোনো অশরীরী? জানতে হলে চোখ রাখুন পরের পার্ট এ

To be continued in Part 3

Telephone

Website