Islamic friendship
spiritual discussing
প্রতিপালক ও আমরা
শাহারিয়ার আহমেদ
14.11.2022
সবাই একদিন বলেছিলাম
হ্যাঁ তুমিই আমাদের রব
আমাদের প্রতিপালক
নির্দ্বিধায় আমরা
করেছিলাম স্বীকার।
অথচ এখন
চোখের সামনে দেখছি
তোমার বিরুদ্ধাচারণ।
তোমার আদেশ
করছে অমান্য
তবুও আমরা নির্বিকার
চলছে অসৎ কাজ
করছিনা নিষেধ, আর
করছিনা আদেশ
সৎ কাজের।
চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে
তোমার নাফরমানী করে।।
নির্লজ্জ নির্দ্বিধায়।
অথচ আমরা সবাই
একদিন বলেছিলাম
হ্যাঁ তুমিই আমাদের রব
আমাদের প্রতিপালক।।
তোমার মনোনীত
হুকুম ও নিয়মাবলীর
অন্তিম সংস্করণ কে
অস্বীকারকারী
এবং এখনও তাদের
বিকৃত নিয়মাবলীর
অনুকরণকারি
এদের সবাইকে
সুজ্ঞান দিয়ে
আপনার নিকটবর্তী
করে নিন
এই আমার পার্থনা
এবং আরো পর্থনা
সবাই যেনো একদিন
তোমার অনুগত হয়ে যাক
বলেছিলাম হ্যাঁ তুমিই
আমাদের রব আমাদের প্রতিপালক।
তুমি পরম প্রজ্ঞাময়
পরম জ্ঞানী
তুমি পরম করুনাময়।
আস সালামু আলাইকুম,
শেয়ার করলাম লিংকটা
সময় পেলে পড়বেন।
https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=665252132365768&id=100066429618852&post_id=100066429618852_665252132365768&mibextid=CDWPTG
খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন। টিকেট চেক করতে গিয়ে পার্বতীপুর স্টেশন পার হয়েছি। এক পর্যায়ে সামনে দেখি,একটা ছোট ছেলে জানালার পাশে বেশ কতকগুলো বই নিয়ে চুপ করে বসে আছে। আমার দেড় বছরের ছেলেটার ইদানীং ছবিআলা বইয়ের প্রতি বেশ আগ্রহ থাকায়, আমি থেমে যাই এবং তার থেকে বই নেয়ার ইচ্ছাপোষণ করি। তার পাশে বসি এবং কৌতুহলবশত তার জীবনের ইতিহাস শুনে ইমোশনাল হয়ে পড়ি। ছেলেটার নাম জিজ্ঞেস করাতেই বলে তার নাম হচ্ছেঃ জুবায়ের হোসেন তাহসান। তার বয়স কত বলতেই বলে,বয়স জানি না,স্যার।সে কোথায় থাকে,বলতেই বলে চলতি ট্রেনের ভেতরে অথবা স্টেশনে। বাবা মা কোথায় জিজ্ঞেস করতেই বলে,আমার মা-বাবা নাই,কোন দিন দেখিও নি!! একজন দাদু কুড়িয়ে পেয়েছেন। সেই দাদুর সাথে দিনাজপুরে থাকত এবং রাত বারোটার পর দিনাজপুর শহরের একটি হোটেলে ফ্রিতে দেয়া খাবার নিয়মিত খেত। বর্তমানে সে পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষের কাছে খাবারের জন্য সাহায্য চাইলে অনেকেই গালমন্দ করতো। এজন্য কিছু টাকা যোগাড় করে সে বই বিক্রি করছে। বই বেঁচে লাভ কত হয় জানতে চাইলে সে বলে ২০০-৩০০ টাকা। তবে দিনকে দিন বই বিক্রির হার নাকি কমতেই আছে। ট্রেনের যাত্রী/অভিভাবকেরা বাচ্চাদের জন্য আর বই নিতে চায় না। বলে,এগুলো সবই নাকি মোবাইলেই পাওয়া যায়। এজন্য সে মনস্থির করেছে,আর বই বিক্রি না করে,ফুলবাড়ি স্টেশনে সামনে শীতের সিজনে ডিম বিক্রি করবে। এজন্য তার ডেকচি সহ কিছু জিনিস কেনা হয়েছে আর গ্যাসের চুলা,সিলিন্ডার কেনা বাদ আছে যেটা বাবদ লাগবে প্রায় ১৫০০- ২০০০ টাকা। বর্তমানে বই বিক্রি করে সে সেটা যোগাড়ের চেষ্টাই করছে।ছেলেটি সামনে ফুলবাড়ি স্টেশনে নেমে যাবে এবং নামার আগে ৪-৫ মিনিটের আলাপচারিতায় উক্ত কথাগুলোই আমি শুনেছিলাম। তারপর আমি আমার ছেলের জন্য একটি বই পছন্দ করে নিলে সে দাম নিতে অসম্মতি জানাচ্ছিল,যদিও জোর করে দাম দিয়েছিলাম। সে সময়ের পর থেকে আমার বেশ কতকগুলো কথা মনে হচ্ছে। যেমনঃ যে বয়সে তাহসানের বই হাতে স্কুল যাওয়ার কথা সে সময়ে সে বই বিক্রি করছে, যে সময়ে তার খাবারের সরবরাহ থাকার কথা সে সময়ে সে খাবারের জন্য ক্ষুধার সাথে লড়ছে, যে সময়টাতে তার বাবা-মার কোলে মাথা রাখার কথা,সে সময়টাতে সে যাযাবর হয়ে ঘুরছে। আচ্ছা,পৃথিবীটা তাহসানদের জন্য এতটা নিষ্ঠুর কেন? দুনিয়াতে আসায় তাহসানের কোন হাত নেই,কিন্তু তার জন্য জগতটা এতটা প্রতিকূল কেন? এই তাহসানেরা কি এভাবেই বেঁচে থাকার যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে? আচ্ছা? রাষ্ট্র কবে থেকে কালো মানিক তাহসানদের জন্য মানবিক হবে?
© আব্দুল আলিম মিঠু
https://www.facebook.com/profile.php?id=100057236748810&mibextid=ZbWKwL
Tala & Lara
قناة اليوتيوب
https://youtube.com/channel/UCAsEVNzDUBpKMAGQzLaSuDQ
দখলীকৃত জেরুজালেম থেকে।
পবিত্র প্রতিজ্ঞা
শাহরিয়ার আহমেদ
21.03.2023
পবিত্র মাস আসছে
বন্ধ হবে যুদ্ধ
বন্ধ হবে সরাইখানা
বন্ধ হবে প্রকাশ্যে
খাবারের দোকান
হাতকড়া পরানো হবে
আজাজিলের
জেলে পোরা হবে তাকে
মোতায়েন হবে
সশস্ত্র প্রহরী।।
বন্ধ সব সড়যন্ত্র
বন্ধ সব কুমন্ত্রনা
এ সমস্ত নিরাপত্তা
আশরাফুল মখলুকাতের জন্য
আরো একটা বছর
সুযোগ আসছে
উপলব্ধি করার
মানুষ নয়
শয়তান মানুষের
প্রকাশ্য শত্রু।।
এ মাসে নেকী করলেই
গুণিতক সত্তর।।
কি সুসংবাদ তাইনা ??
মনেরেখো পাপ করলেও কিন্তু
গুণিতক সত্তর।।
এখনও সময় আছে
ঘন্টা বাহাত্তর।।
আসুন না প্রতিজ্ঞা করি
আজ থেকে আর
জীবনে গুনাহ তো
দূরের কথা
গুনার কথা
চিন্তাই করবোনা।।
সুযোগ কিন্তু
বারবার আসেনা
আসুন না নিজেদের
পরিবর্তন করি
পবিত্র প্রতিজ্ঞা
বাস্তবায়ন করি।
সাত আসমানের কোথায় কি আছে ? আল্লামা লুৎফর রহমান | Allama Lutfur Rahman Waz ISLAMIC VOICE (Follow Islam as your Lifestyle)✔ Speaker : D. Allama Lutfur Rahman© Production & Label : Islamic voice আলোচক : আল্লামা লুৎফর রহমান পরিবেশনায...
অনুভূতি
শাহরিয়ার আহমেদ
8.2.2023
আপনার হাতটি দেখুন
নখ ও আঙ্গুল গুলো দেখুন।।
নখ কেটেছেন তো ?
ত্বক টা ঠিক আছে তো ?
ময়েশ্চারাইজিং হয়েছে তো ?
সমস্ত মানুষই পেয়েছেন
এমন হাত
আল্লাহর কাছ থেকে।।
শুধু হাত নয় সবকিছু,
তিনি কখনও কার্পণ্য
করেননি।।
ভাগ করেননি কে
বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী।।
কারণ তিনি আমাদের প্রতিপালক।।
বলুন সুবহানাল্লাহ
কতো অবিশ্বাসী
গেছে চলে
আজীবন
আল্লাহর বিরুদ্ধে
সড়যন্ত্র করে।
অথচ সর্বদা দুই কাঁধে
কেরামুন কাতেবিন
আমৃত্যু গুনাহ ও নেকীর
সবথেকে বড় ডাটাবেস
আপডেট করেছে।।
নখগুলো সঠিক সময়ে কেটেছে,
ত্বকের যত্নও নিয়েছে।।
অথচ
ভাগ করেননি কে
বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী।।
কারণ তিনি আমাদের প্রতিপালক।।
বলুন সুবহানাল্লাহ।
এরকম কতো শরীর
নিয়ম অনিয়মে
বিলীন হয়েছে মৃত্যুর পর।।
মনে রেখো
সবাইকে তোলা হবে একদিন
রোজ হাসরে।।
শরীরের মৃত্যু হবে
মৃত্যু হবেনা রূহুর।।
আমাদের রুহগুলো
আলমে আরোয়া
থেকে এনে এই
পৃথিবীর কোনো এক দেশে
রক্তমাংসের পিণ্ডের সঙ্গে
যুক্ত করা হয়েছিল
তারপর সম্পূর্ণ
মানব আকৃতি পেয়েছি।
সেই মহান
কর্মকাণ্ডের জন্য
বলুন আলহামদুলিল্লাহ।
এখনই
যে নিঃশ্বাসটা নিলেন
মনেরাখবেন
সেটারও মালিক কিন্তু আল্লাহ
একটু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখুন
যা কিছু দেখছেন
সবই আল্লাহর।।
নিজে
আল্লাহর আদেশকে
মান্য করে চলুন
আর
আল্লাহ ভোলা বান্দাকে
আল্লাহর রাস্তায় জুড়ে দিন।
ব্যাস এইটুকু।
বলুন আল্লাহু আকবার ।।
ভূমিকম্প সম্পর্কে কোরআন-হাদিসের সতর্কবার্তা
মাওলানা ইসমাইল নাজিম
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৭
ভূমিকম্প মহান আল্লাহর অসীম শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ। অবাধ্যতার কারণে অতীতে অনেক জাতিকে ভূমিকম্প দিয়ে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন তিনি। যেদিন মহাবিশ্বের আয়ু ফুরিয়ে যাবে, সেদিন ভয়ংকর ভূমিকম্পের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা পুরো সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস করে দেবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ভূমিকম্পগুলো এরই ছোট নমুনামাত্র।
ভূমিকম্প আল্লাহর নিদর্শন
মহান আল্লাহ তাঁর বিভিন্ন নিদর্শনের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করেন। তাদের অবাধ্যতার পরিণাম স্মরণ করিয়ে দিয়ে সৎ পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ভয় দেখানোর জন্যই নিদর্শনগুলো পাঠাই।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৯)।
ভূমিকম্প মহান আল্লাহর অসীম শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ। অবাধ্যতার কারণে অতীতে অনেক জাতিকে ভূমিকম্প দিয়ে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন তিনি। যেদিন মহাবিশ্বের আয়ু ফুরিয়ে যাবে, সেদিন ভয়ংকর ভূমিকম্পের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা পুরো সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস করে দেবেন। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ভূমিকম্পগুলো এরই ছোট নমুনামাত্র।
ভূমিকম্প আল্লাহর নিদর্শন
মহান আল্লাহ তাঁর বিভিন্ন নিদর্শনের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করেন। তাদের অবাধ্যতার পরিণাম স্মরণ করিয়ে দিয়ে সৎ পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ভয় দেখানোর জন্যই নিদর্শনগুলো পাঠাই।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৯)।
ভূমিকম্প তেমনই এক নিদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘বলো, আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম।’ (সুরা আনআম: ৬৫) আয়াতটি নাজিল হলে মহানবী (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (বুখারি) শায়খ ইস্পাহানি (রহ.) আয়াতের তাফসিরে বলেছেন, এখানে ভূমিকম্প ও ভূমিধসের কথা
বলা হয়েছে।
মানুষের গুনাহ, অনাচার, পাপাচার, প্রকৃতির প্রতি অবিচার ইত্যাদির কারণে আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন দুর্যোগের মুখোমুখি করেন। এ কারণেই এসবকে মানুষের হাতের কামাই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক (গুনাহ) ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা: ৩০)
অবাধ্যদের জন্য সতর্কতা
অতীতে আল্লাহ তাআলা অবাধ্যতার সাজা হিসেবে ভূমিকম্প দিয়ে কয়েকটি জাতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছেন। সালিহ (আ.)-এর জাতি সামুদ, শোয়াইব (আ.)-এর জাতি মায়ইয়ানবাসী ও লুত (আ.)-এর জাতি কওমে লুতকে ভূমিকম্পের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের কাউকে আমি মাটির নিচে গেড়ে দিয়েছি।’ (সুরা আনকাবুত: ৪০)
তবে মহানবী (সা.)-এর বিশেষ দোয়ার কারণে তাঁর উম্মতকে পুরোপুরি ধ্বংস না করার অঙ্গীকার করেছেন আল্লাহ তাআলা। অবশ্য মাঝেমধ্যে তাদের সতর্ক করার জন্য ভূমিকম্পের মতো ধ্বংসাত্মক দুর্যোগ পাঠিয়ে থাকেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘জনপদের মানুষগুলো কি নির্ভয় হয়ে ধরে নিয়েছে যে আমার আজাব তাদের ওপর মধ্য দিনে এসে পড়বে না? তখন তারা খেল-তামাশায় মত্ত থাকবে। কিংবা তারা কি আল্লাহর কলাকৌশল থেকে নির্ভয় হয়ে গেছে? অথচ আল্লাহর কলাকৌশল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত জাতি ছাড়া অন্য কেউই নিশ্চিত হতে পারে না।’ (সুরা আরাফ: ৯৮-৯৯)
মহানবী (সা.)-এর সতর্কবার্তা
মহানবী (সা.) ভূমিকম্পের ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করেছেন। আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এ উম্মত ভূমিকম্প, বিকৃতি এবং পাথরবর্ষণের মুখোমুখি হবে।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যখন জাতির নিকৃষ্ট ব্যক্তি তাদের নেতা হবে, ক্ষতির ভয়ে মানুষকে সম্মান করা হবে, সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো লাল রঙের ঝড়ের, ভূকম্পনের, ভূমিধসের, রূপ বিকৃতির, পাথরবৃষ্টির এবং সুতো ছেঁড়া দানার মতো একের পর এক নিদর্শনের জন্য।’ (তিরমিজি)
কিয়ামতের আগে ভূমিকম্প বেড়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মহানবী (সা.)। ইবনু হাওয়ালা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমার মাথার তালুতে হাত রেখে বলেন, ‘হে ইবনু হাওয়ালা, যখন তুমি দেখবে যে বাইতুল মুকাদ্দাসের ভূমিতে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন মনে করবে বেশি বেশি ভূমিকম্প, বিপদ-আপদ, মহাদুর্ঘটনা ও পেরেশানি খুব কাছে। আমার এই হাত তোমার মাথার যত কাছে আসে, তখন কিয়ামত মানুষের তত কাছে চলে আসবে।’ (আবু দাউদ)
কিয়ামতের ছোট নমুনা
ভূমিকম্প কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো। কিয়ামতের ভূমিকম্প এক ভয়ংকর ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা দেখবে, সেদিন স্তন্যদায়ী মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের কথা ভুলে যাবে আর সব গর্ভবতীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। দৃশ্যত মানুষকে মাতালের মতো দেখাবে, আসলে তারা নেশাগ্রস্ত হবে না। মূলত আল্লাহর শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।’ (সুরা হজ, আয়াত: ১-২)
কিয়ামতের ভয়াবহতা নিয়ে অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(সেদিন) প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী এবং পর্বতমালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পর্যবসিত হবে।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৪-৬)
https://indianexpress.com/article/political-pulse/naushad-siddiqui-isf-tmc-bhangar-8415886/
আস সালামু আলাইকুম,
সম্মানীয় উম্মতে মুহাম্মদী ভাই ও বোন, বাবা ও মা আপনারা আগত পবিত্র রমজান মাসের পরিপূর্ণ কাজগুলো করার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন আর আমার জন্যও দোয়া করুন। এই প্রসঙ্গে মরহুম হাজী মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব সাহেবের একটি কথা বারবার মনে আসছে, তিনি বলতেন বিভিন্ন জিনিসের একেকটা সিজন থাকে যেমন কাপড়ের সিজন হলো ঈদের আগে। সিমুইয়ের সিজন হলো ঈদের আগে। সেরকম নেকীর সিজন হলো রমজান মাস।
#মুসলিমরা জানে যে #আল্লাহ সব কিছুকে ভাগ্যের মধ্যেই সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের যা ঘটে তা একমাত্র তিনি ইচ্ছা করার কারণেই করেন।
আল্লাহই মানুষের জীবন সৃষ্টি করেন, সর্বোত্তম বিবরণে।
কোরান তার সূরা আল-আনআমের অধ্যায়ে বর্ণনা করেছে যে পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে, বড় বা ছোট, সবকিছু ঘটে কারণ আল্লাহ তা চান:
“অদৃশ্যের চাবি তার অধিকারে। তিনি ছাড়া তাদের কেউ জানে না। তিনি স্থল-সমুদ্র সবকিছু জানেন। তাঁর অজান্তে কোন পাতা ঝরে না। পৃথিবীর অন্ধকারে এমন কোন বীজ নেই এবং আর্দ্র বা শুকনো কিছুই নেই যা স্পষ্ট কিতাবে নেই।
#কুরআন, ৬:৫৯
হেদায়েতের মালিক আল্লাহ্।
সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখার অনুরোধ রইলো।
https://fb.watch/idQAuIJqzu/?mibextid=NnVzG8
বদ নজর খুব খারাপ জিনিস।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত আর উটকে রান্নার পাতিল পর্যন্ত পৌছে দেয়।
~হাদিস
#আর্জেন্টিনার আব্দুর রহমান
২০১৬ সালে
বিশ্ব ইজতিমা থেকে কিছুদিনের জন্য তাবলীগে গেলাম। জামাতে ৪ জন আমেরিকান , ১জন আফ্রিকান ,২ জন মালয়েশিয়ান ও আমরা ৩ জন বাংলাদেশী। জামাতের আমির একজন ২০ বছরের তরুণ, আর্জেন্টাইন নও মুসলীম। নাম আব্দুর রহমান। কিছুদিন আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন, সারা শরিরে টেটু আঁকা। ইন্ডিয়ার নিজামুদ্দিন থেকে ২ চিল্লা দিয়ে ১ চিল্লার সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
দেয়ালে দেয়ালে আর্জেন্টিনার পতাকা, এত দূর দেশ হয়েও মেসি ম্যারাডোনার এত ভক্ত দেখে তিনি তো রীতিমত অবাক ,
সুন্নতের এত পাবন্তি , আমল আখলাক , খেদমত দেখে বুঝার উপায় নেই তিনি নও মুসলিম , অল্প দিনেই ১ পারা কুরআন হেফ্জ করেছেন , উনার দাওয়াতে উনার দাদা, মা ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিলির এক বন্ধু মুসলমান হয়েছেন , যেমন ফিকির তেমন বয়ান, একদিন মাগরিব বাদ বয়ানে তিনি বললেন-তোমরা ফুটবল কে ভালবাস , আর্জেন্টিনাকে ভালোবাস কিন্তু আর্জেন্টিনার অধিবাসীদের ভালবাস না , আমাদের কাছে আছে ফুটবল তোমাদের কাছে আছে ইসলাম , আমাদের সেরা পাঁচ জন খেলোয়াড় তোমরা নিয়ে বিনিময়ে ৫ জন কুরআন হাফেজ আমাদেরকে দিয়ে দাও , আমাদের সেরা ১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে বিনিময়ে ১০ জন দ্বীনের দায়ী- তাবলীগের সাথী আমাদের দান কর ,
৭০ বছর আগেও যেখানে ২২% মুসলিম ছিল এখন আছে মাত্র ২ %, আমাদের পূর্ব পুরুষরা যারা ইসলাম ছাড়া মারা গেছেন তাদের কি হবে ??!
এমন তাৎপর্যপূর্ণ আবেগময় বয়ান শোনে মসজিদ ভর্তি প্রায় সবাই কেঁদেছেন।
হঠাৎ আব্দুর রহমান ভাই এর কথা মনে পড়ল তাই এই লিখা-
দোয়া করি আব্দুর রহমান ভাই এর জন্য
আল্লাহ শতভাগ মুসলিম হিসেবে কবুল করুন সবাইকে।
কালেক্টেড।।।।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=142835358489105&id=100082879240672&sfnsn=wiwspmo
যেই ছবিটা দেখতেসেন সেইটা গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ের ১৯১১ সালের ম্যাপ।
লাল দাগ দেয়া যে লাইনগুলা আছে, সেগুলা ওপেন ডাবল লাইন, অর্থাৎ মেইন রেললাইন। ট্রান্সপোর্টেশন নিয়া আপনার যদি খুব বেসিক আইডিয়াও থাকে, তাইলেও আপনি বুঝবেন যে এই রেলওয়ে ম্যাপ কোনো সেন্স মেইক করেনা। এই লাইনগুলা ভারতের এক অংশের সাথে অন্য অংশকে এফেক্টিভলি কানেক্ট করেনা। যেমন ধরেন উত্তর পশ্চিম ভারতের সাথে ভারতের অন্য কোনো অংশেরই কোনো সংযোগ নাই।
একটু লক্ষ্য করলে আপনি আরেকটা জিনিসও খেয়াল করবেন, এই লাল লাইনগুলা বেসিকালি ভারতের প্রত্যেকটা মেজর পোর্টঃ কোলকাতা, বোম্বে এবং মাদ্রাসের সাথে কানেক্টেড। কেন?
ভারতে উপনিবেশবাদের পক্ষে কেউ কথা বললে সবার আগেই রেলওয়েকে টাইনা আনতে পছন্দ করেন। ব্রিটিশরা নাকি আমাদের রেললাইন দিয়ে গেছেন, নাইলে এই উপমহাদেশে রেললাইনই নাকি হইত না। কিন্তু ব্রিটিশরা এত ইনকম্পেটেন্টলি কেন রেললাইন বানাইলো?
কারণ এই রেললাইন ভারতবর্ষের কোনো মানুষের সুবিধার জন্য বানানো হয় নাই, এই রেলওয়ে বানানো হইসে এই সাবকন্টিনেন্ট থেকে সম্পদ চুরি করার জন্য।
যেই মাইনর লাইনগুলা কালো লাইন দিয়ে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে, সেইগুলাও কিন্তু ভারতের ইন্টারকানেক্টিভিটি বাড়াচ্ছে না, বরং বিভিন্ন জায়গাকে মেইন লাইনের সাথে যুক্ত করছে মাত্র। এই পুরা জিনিসটা বানানো হয়েছিলো যাতে ভারতবর্ষের প্রতিটা কোণা থেকে সম্পদ আহরণ করে পোর্টের মাধ্যমে জাহাজে তুলে ব্রিটেনে পাঠানো যায়।
কোহিনূর হীরা বা অন্য কোনো রত্নের চুরির চাইতেও ব্রিটিশদের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে একটা আস্ত উপমহাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে শুধুমাত্র শোষণের জন্য অ্যাপ্রোপ্রিয়েট করা। ভারতবর্ষকে বিশ্ব অর্থনীতির পাওয়ারহাউজ থেকে একটা দারিদ্র্য জর্জরিত ভূমিতে পরিণত করা কোনো কম কথা না। আমাদের এখনকার ঋণের লিগেসি, পরনির্ভরতার লিগেসি, অর্থনৈতিক দুর্বলতার লিগেসি, সবই সেই ব্রিটিশদের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।
কলোনিয়ালিজম প্রত্যেকটা উপনিবেশের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে। এবং আপনি যখন একটা সিস্টেম বানান শুধুমাত্র সম্পদ আহরণ করার জন্য, সেই সিস্টেমটাকে পুরাপুরি না পরিবর্তন করলে তাকে মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা যায় না।
ব্রিটেনের প্রত্যেকটা উপনিবেশে স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় আসছে, তারা মূলত এই শোষণের সিস্টেমকেই ব্যবহার করে গেছেন। এই কারণে এই সব দেশের ডেমোক্রেসি নড়বড়ে, প্রচুর মানুষ না খেয়ে থাকা সত্ত্বেও একটা ক্রমবর্ধমান অতিধনী মাইনরিটি এক্সিস্ট করে।
উইলিয়াম ফকনার একটা কথা কইসিলেন, "অতীত কখনো মইরা যায় না, অতীত আসলে অতীত-ই না"। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ এই সাবকন্টিনেন্টে অন্তত কখনোই অতীত হইতে পারেনা। আমাদের শোষণের স্ট্রাকচার একই আছে, হাত বদল হইসে মাত্র।
সংগ্রহ - তুহিন ঘোষ
উমরাহ 2022, লাইভ মক্কা থেকে। আব্বা মা পাঠিয়েছেন ছবিগুলো।
আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
ছোট্ট তাকরিমের জন্য একটা লাইক।
Interview
Dr Sadatullah Khan
https://youtu.be/rIqQ3pxhFyo
Backbiting is worse work than Jena.
https://youtu.be/5MkUKNMxcSs
কন্যা সন্তান আল্লাহর একটি বৃহৎ নেয়ামত।
#মুঘলশাহী
সিংহাসনে আরোহণের পরেই এই ফরমান জারি করেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। ফরমানটি বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির জাদুঘরে আছে -
---
"এ বিষয়ে আবুল হাসানের জানা উচিত...
আমাদের ধর্মীয় আইনে পুরানো মন্দির ভেঙ্গে নতুন মন্দির তৈরি নিষিদ্ধ। আমাদের অত্যন্ত আদর্শ এবং পবিত্র দরবারে খবর পৌঁছেছে, বেনারস এবং আশেপাশের এলাকায় কিছু মানুষ বিদ্বেষ ও শত্রুতার জন্যে ব্রাহ্মণদের হয়রানি করছে।তারা মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক পদ থেকে ব্রাহ্মণদের অপসারণ করতে চান। এই ধরণের কাজ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করবে। আমার রাজকীয় আদেশ হল, এই ফরমান পৌঁছানোর সাথে সাথে আপনাকে সতর্ক করা হচ্ছে ব্রাহ্মণ ও অন্যান্য হিন্দু যেন ভবিষ্যতে কোনো প্রকার অন্যায়ের সম্মুখীন না হন[সেটা নজরদারি করবেন]। সকলে যেন শান্তিতে নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত থাকেন এবং আল্লাহ প্রদত্ত আমাদের রাজ্যে (যা চিরকাল থাকবে) ইবাদত করতে থাকবেন। এই নির্দেশ শীঘ্র কার্যকরী করবেন।"
তারিখ জমাদি আল-সানী 1068 (1658)
সূত্র হম দিল্লিওয়ালে
Turkish group in Umrah.
https://fb.watch/f_9Mq6lduo/
যুদ্ধের ময়দানে অমুসলিম প্রতিপক্ষের সাথে মুসলিমদের ব্যবহার
'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম'
যুদ্ধের এক ময়দান । কাফিরদের সাথে মুসলিমদের ভীষন যুদ্ধ চলছে।
হযরত আলী (রাঃ) জনৈক বিপুল বলশালী শত্রুর সাথে যুদ্ধে মত্ত রয়েছে। বহুক্ষন যুদ্ধ চলার পর তাকে কাবু করেন ভূপাতিত করলেন এবং তাকে আঘাত হানার জন্য তার জুলফিকার উত্তোলন করলেন । কিন্তু আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত শত্রুটি হযরত আলী (রাঃ) এর চেহারা মুবারকে থুথু নিক্ষেপ করলো। ক্রোধে হযরত আলী (রাঃ) এর চেহরা রক্তবর্ণ হয়ে উঠলো। মনে হলো এই বুঝি তাঁর তরবারি শত্গুন বেশী শক্তি নিয়ে শত্রুকে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে।কিন্তু তা হলো না। যে তরবারি আঘাত হানারজন্য উর্ধে উত্তোলিত হয়েছিল এবং যা বিদ্যুত গতিতে শত্রুর দেহ লক্ষ্যে ছুটে যাচ্ছিল, তা থেমে গেল। শুধু থেমে গেল নয়, ধীরে ধীরে নীচে নেমে এল। পানি যেমন আগুনকে শীতল করে দেয় , তেমনিভাবে আলী (রাঃ) এর ক্রোধে লাল হয়ে যাওয়া মুখমন্ডলও শান্ত হয়ে পড়লো।
হযরত আলী (রাঃ) এর এই আচরনে শত্রুটি বিষ্ময় বিমূঢ়। যে তরবারি এসে তার দেহকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলার কথা, তা আবার কোষবদ্ধ হলো কোন কারনে? বিষ্ময়ের ঘোরে শত্রুর মুখ থেকে কিছুক্ষন কথা সরল না।এমন ঘটনা সে দেখেনি,শোনেও নি কোন দিন।ধীরে ধীরে শত্রুটি মুখ খুলল। বলল," আমার মতো মহাশত্রুকে তরবারির নীচে পেয়েও তরবারি কোষবদ্ধ কেন করলেন?"
হযরত আলী (রাঃ) বললেন," আমরা নিজের জন্য কিংবা নিজের কোন খেয়াল খুশী চরিতার্থের জন্য যুদ্ধ করিনা। আমরা আল্লাহর পথে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য যুদ্ধ করি। কিন্তু আপনি যখন আমার মুখে থুথু নিক্ষেপ
করলেন তখন প্রতিশোধ গ্রহনের ক্রোধ আমার কাছে বড় হয়ে উঠলো। এ অবস্থায় আপনাকে হত্যা করলে সেটা আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য হতোনা। বরং তা আমার প্রতিশোধ গ্রহন হতো। আমি আমার জন্য হত্যা করতে চাইনি বলেই উত্তালিত তরবারি ফিরিয়ে নিয়েছি। ব্যক্তি স্বার্থ এসে আমাকে জিহাদের পূণ্য থেকে বঞ্চিত করুক , তা আমি চাইনি।"
শত্রুটি ভূমি শয্যা থেকে উঠে দাড়িয়ে সাথে সাথে তওবাহ করে ইসলাম কবুল করল। এমন অদম্য অতুল্য বীরের ক্ষুদ্ধ হৃদয়েও এত বেশী ক্ষমা এবং স্বস্তিগুণ বিদ্যমান থাকে, এত বড় যোদ্ধা চরম মুহুর্তেও এমন ভীষন শত্রুকে এতটুকু কর্তব্য বোধে ছেড়ে দিতে পারেন, এত বড় জিতেন্দ্রীয়, এত বড় ক্ষমাশীলের ইতিহাস আজ পর্যন্ত রচিত হয়নি- একথা শত্রু অকুন্ঠ চিত্তে স্বীকার করে নিল।
একটা সময় হারাম কাজকে হালাল মনে হবে এবং এর দ্বারা উপার্জিত অর্থকেও হালাল মনে হবে। যখন আপনি হারামভাবে উপার্জিত অর্থ দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য যেটাকে হারাম খাদ্য বলা যেতে পারে। সেই খাবার দ্বারা প্রস্তুত আপনার শরীরে বয়ে যাওয়া রক্ত মাংস সবকিছুই আপনাকে খারাপ কাজ, খারাপ চিন্তাকে অগ্রাধিকার দেবে। সুতরাং আমরা সর্বদা এ বিষয়ে সচেতন থাকবো।
মুহররম প্রসঙ্গে কিছু কথা
সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।
২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।
৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।
৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।
৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর।
৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।
৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।
১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।
১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।
২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।
২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।
২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন…।
-🤲🏻 (আমিন)