Indian history
politics
বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া 'কালে খাঁ জমজম' কামান এখনও অদ্ভুত শব্দে ডাকে তার প্রণয়িনী 'বিবি মরিয়ম' কামানকে।
১৭ শতকে সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করলে, এখানে প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পাশাপাশি বাড়তে থাকে জলদস্যুদের উপদ্রবও। তাই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে ঢাকায় কিছু কামান তৈরি করা হয়। এর মধ্যে দুটি কামান ছিল বিখ্যাত। যাদের একটি 'কালে খাঁ জমজম', অপরটি 'বিবি মরিয়ম'। ধারণা করা হয়, কালে খাঁ নামক কোনো বীর ও তার স্ত্রীর নামে এ নামকরণ করা হয়েছিল। তবে অনেকের দাবি, মীর জুমলাই কামান দুটির নাম রেখেছেন। বৃটিশ রাজকর্মচারী ও পর্যটকেরা কালে খাঁ'কে দেখেই বেশি অবাক হতেন এবং এর বৃত্তান্ত লিখেছেন। ভূগোলবিদ জেমস রেনেল তার স্মৃতিকথায় ঢাকার ঐ কামানের কথা বিস্তারিত লিখে গেছেন।
বুড়িগঙ্গার মোগরাই চরে রাখা হয় কালে খাঁ জমজমকে। নদীভাঙ্গনে বুড়িগঙ্গায় বিসর্জিত হয় এটি। রবার্ট লিন্ডস ১৭৮০ সালে নদীভাঙ্গনে কালে খাঁ জমজমের ক্ষতির জন্য কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন। স্থানীয়দের কাছে তা এতটাই পূজনীয় ও আধ্যাত্মিক ছিল যে তারা মনে করতো, স্বর্গ থেকে এটি এসেছিল, আবার স্বর্গেই ফিরে গেছে! মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, বুড়িগঙ্গায় কালে খাঁ ডুবে যাওয়ার পর লোকমুখে কুসংস্কার বেরিয়েছিল যে, বিবি মরিয়মের জন্য বুড়িগঙ্গা থেকে প্রায়ই গর্জন ভেসে আসতো। তারা বিশ্বাস করতো, এ গর্জনের অর্থ, 'কালে খাঁ' তার সঙ্গিনী 'মরিয়ম'কে ডাকছে। তারা হলফ করে বলতেন, ঐ গুরুগম্ভীর আওয়াজ তারা শুনেছে!
একটা সময় পর্যন্ত 'কালে খাঁ জমজম' ই বিখ্যাত ছিল সবার কাছে। রেনেল এবং লিন্ডসে দুজনেই শুধু কালে খাঁ-র কথা বলেছেন। 'মরিয়ম'-এর কোনো উল্লেখ নেই সেখানে। তাতে বোঝা যায়, কালে খাঁ-র তুলনায় মরিয়ম ছিল অনুল্লেখ্য। লিন্ডসের মতে, স্থানীয়রা মনে করতেন স্বর্গ থেকে এটি এসেছে। এ কারণে কামানটি ছিল পূজিত। হিন্দু রমণীরা কামানটির মুখে দুধ ঢালতেন, ফুল দিতেন সিঁদুরের ফোঁটা দিতেন এবং আবহমানকাল এর ভেতরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হতো। ১৭৮০ সালের আগ পর্যন্ত এই কামানটি 'পবিত্র স্থান' হিসেবেই স্থানীয়দের কাছে মর্যাদা পেত।
বিবি মরিয়ম' কামানটিও বৃহদাকার যা দুর্ধর্ষ দস্যুদের নিবৃত্ত করতে নির্মিত হয়েছিল। এটি মুঘল আমলের এক বিশেষ নিদর্শন। ১৭ শতকের মাঝামাঝি মীর জুমলা এটি ঢাকায় স্থাপন করেন। এটি 'মীর জুমলার কামান' নামেও পরিচিত। তিনি আসাম অভিযানে ৬৪,৮১৫ পাউন্ড ওজনের কামানটি ব্যবহার করে পরে এটি ঢাকার সোয়ারীঘাটে স্থাপন করেন। পরে এর অর্ধাংশ বালির নিচে তলিয়ে যায়। ১৮৪০ সালে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াল্টার্স ব্রিটিশ প্রকৌশলীদের সাহায্যে এটি চকবাজারে স্থাপন করেন।
১৯১৭ (মতান্তরে ১৯২৫) সালে ঢাকা জাদুঘরের পরিচালক নলিনীকান্ত ভট্টশালীর উৎসাহে একে সদরঘাটে স্থাপন করা হয়। ১৯৫৭ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) এর সভাপতি জিএ মাদানী এটি বর্তমান গুলিস্থানে স্থানান্তর করেন। ১৯৮৩ সালে এটি ওসমানী উদ্যানে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কামানটি ওসমানী উদ্যান থেকে সরিয়ে ঢাকা গেটের সামনে স্থাপন করা হয়। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে তা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। একসময় ঢাকার পর্যটকদের আকর্ষণ লালবাগ দূর্গ বা বড় কাটরা নয়, ছিল মোগল যুগের এই কামানটি।
বিবি মরিয়মের দৈর্ঘ্য ১১ ফুট। মুখের ব্যাস ছয় ইঞ্চি। অপরদিকে 'কালে খাঁ'র দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুটের মতো। এটি অত্যান্ত ভারি ছিল। খুবই শক্ত ও পেটানো লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে এত বছরেও মরিচা ধরেনি। দুটির মধ্যে তুলনায় কালে খাঁ জমজমই প্রকান্ড ছিল বেশি। তাই সকলের নজর কাড়তো বেশি। কিন্তু বৈপরীত্য দেখা যায় পরে। কালে খাঁ বুড়িগঙ্গা নদীতে তলিয়ে গেলে বিবি মরিয়ম হয়ে ওঠে দর্শনীয় বস্তু। কালে খাঁ জমজম আর বিবি মরিয়ম যেন অবিচ্ছেদ্য দুটি নাম। 'কালে খাঁ' নেই। বিবি মরিয়ম থেকেও মানুষের মাঝে এতদিন ছিল না। পুরোনো মানুষদের কাছে 'মরিয়ম' আর 'কালে খাঁ জমজম' হলো দুই সঙ্গীর নাম, যাদের সাথে জড়িত ছিল তাদের জীবন, বিশ্বাস। ছিল ভয়, ভক্তি আর রোমাঞ্চকর ইতিহাস।
ছবি: ঢাকা গেটের পশ্চিম পাশে স্থাপিত বিবি মরিয়ম কামান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এটি ওসমানী উদ্যান থেকে এনে এখানে স্থাপন করা হয়। গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
#প্রত্নতত্ত #ইতিহাস #কামান #
১৫৯২ খ্রিস্টাব্দের ৫ জানুয়ারি, লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন মোগল সম্রাট শাহজাহান। শৈশবে সম্রাট জাহাঙ্গীরের এই পুত্রের ডাকনাম ছিল খুররম। সিংহাসনে আরোহণের পর তার নতুন নাম হয় ‘আবুল মুজাফফর শিহাবুদ্দিন মুহম্মদ শাহজাহান সাহিব কিরান-ই-সানি’। মোগল সাম্রাজ্যের শাসক হিসেবে তিনি ১৬২৮ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশ শাসন করেছেন। শাহজাহান নামটি এসেছে ফার্সি ভাষা থেকে যার অর্থ ‘পৃথিবীর রাজা’। তিনি ছিলেন বাবর, হুমায়ুন, আকবর এবং জাহাঙ্গীরের পরে পঞ্চম মোগল সম্রাট। তার সময়কাল মোগল স্থাপত্যের স্বর্ণযুগ ছিল। শাহজাহান অনেক শোভামণ্ডিত স্থাপনা তৈরি করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত আগ্রার তাজমহল যা তার স্ত্রী মমতাজ মহলের সমাধি হিসেবে পরিচিত। ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দে উড়িষ্যায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এই দুর্ভিক্ষের পরপরই উড়িষ্যায় ব্যাপক মড়ক দেখা দেয়। এই সময় শাহজাহান সাত লাখ টাকার রাজস্ব মওকুফ করে দেন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় লঙ্গরখানা খোলা হয়। মোগল সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীরের বদান্যতায় পর্তুগিজরা এখানে কুঠি সম্প্রসারিত করে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করতে থাকে। তাদের দমনে ভূমিকা রাখেন সম্রাট শাহজাহান। অন্যদিকে, শাহজাহান সাম্রাজ্যের পূর্ব দিকে আসাম ও আরাকানে রাজ্য বিস্তারের নীতি অনুসরণ করেন। উত্তরাধিকারী নিয়ে অনেক নাটকীয়তা ও লড়াইয়ের পর পুত্র আওরঙ্গজেবের সিংহাসনে আরোহণের ৮ বছর পর ১৬৬৬ সালের ২২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন সম্রাট শাহজাহান। আরো ইতিহাস জানার জন্য এই পেজ টা ফলো করুন।
চেসেজু | নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার থেকে দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার | গ্রামের চারিদিক সবুজে ঘেরা, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে উঁচু নীচু বেশ কয়েকটা টিলা | ভেজু সুয়োরো এই গ্রামেরই বাসিন্দা | বয়স প্রায় ৯৫ | অশীতিপর বৃদ্ধের শরীর প্রায় ভেঙেই পড়েছে | দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ , স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে চলতেও পারেন না | এরই মাঝে বৃদ্ধ মানুষটি হারিয়ে যান প্রায় ৭৭ বছর আগের কথায় | স্মৃতি বেইমানি করেনি তাঁর সঙ্গে | মনের মাঝে আজও ভেসে ওঠে তার "বন্ধু"র স্মৃতি | আজও যে তিনি খুঁজেই চলেছেন তার সেই বন্ধুকে | চেসেজু গ্রামকে বদলে যেতে দেখেছেন ভেজু সুয়োরো | দেখেছেন দেশের স্বাধীনতা | দেখেছেন বহু উত্থান পতন | কিন্তু তিনি আর খুঁজে পাননি তার সেই বন্ধুকে | মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে ভেজু সুয়োরো-র | চোখের কোণায় চিকচিক করছে জল | এরই মাঝে বৃদ্ধ মানুষটি হারিয়ে যান প্রায় ৭৭ বছর আগের কথায়......
১৯৪৪ সাল | চেসেজু গ্রামের উপর দিয়ে প্রায়ই পাক খাচ্ছে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান | মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে সেই দিকে তাকিয়ে আছেন ১৬ বছরের ভেজু সুয়োরো | হঠাৎ ভেজু সুয়োরো লক্ষ্য করলেন তারা যেখানে কাজ করছিলেন সেই জায়গার উপর থেকে এক ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পাক খেয়ে বেরিয়ে গেল | মুহূর্তের অপেক্ষা | আবার আরেকটি যুদ্ধবিমান হানা দিল ওই একই জায়গায় | এই যুদ্ধবিমানটি প্রায় নেমেই এসেছিল মাটির কাছাকাছি | যুদ্ধবিমানের ভয়ঙ্কর আওয়াজে ভেজু সুয়োরো রীতিমতো ভয় পেয়ে যান | কিন্তু এই অবস্থাতেও ভেজু সুয়োরো-র বন্ধু অবিচলিত, যেন কিছুই হয়নি | বন্ধুটি সুদর্শন, পরনে সামরিক পোশাক, চোখে চশমা আর মনে দুর্বার সাহস | তাঁর লক্ষ্য একটাই- দিল্লি চলো। ব্রিটিশদের শেকল থেকে ভারতকে মুক্ত করতেই হবে | তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু.....
তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা চলছে | সুভাষ তখন ব্রিটিশদের ত্রাস | দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বার্মা হয়ে নেতাজি ঢুকেছেন ভারতের সীমানায়। তারপর জেসামি,ফেক,রুনগুজু অতিক্রম করে তিনি পৌঁছান চেসেজু গ্রামে | শহরের থেকে বেশ খানিকটা দূরত্ব অবস্থান করায় এবং টিলা দিয়ে ঘেরা থাকায় এই গ্রামটিতেই আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাম্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন নেতাজি | ১৯৪৪ সালের ৪ এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত প্রায় দুই মাস তিনি এই গ্রামেই ছিলেন | ভেজু সুয়োরো-র আজও মনে পড়ে যায় নেতাজিকে প্রথম দেখার কথা | আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনা পরিবেষ্টিত নেতাজি ঘোড়ায় চড়ে গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন | নেতাজির সঙ্গে ছিল দুটো হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি পিস্তল এবং একটি তলোয়ার |
© অহর্নিশ
চেসেজু গ্রামে নেতাজি সফি ডিজুখু (বর্তমানে নেতাজি ক্যাম্প) নামের ক্যাম্পে থাকতে লাগলেন | আর আজাদ হিন্দ বাহিনীর বাকি সৈন্যরা থাকতে লাগলেন ইন্সপেকশন বাংলোয় | চেসেজু গ্রামের লোকেরা তখন নেতাজিকে জাপানের সেনানায়ক ভাবতেন | অনেকেই তাঁকে জাপানের রাজা বলে সম্বোধন করতেন | নেতাজি বুঝেছিলেন গ্রামবাসীদের মন থেকে এই ভাবনা দূর করা ভীষণ জরুরি | কারণ গ্রামবাসীদের সাহায্য ছাড়া তাদের লড়াই করা সম্ভব নয় | কিছুদিনের মধ্যেই তিনি গ্রামের মানুষদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুললেন | ভেজু সুয়োরো-র আজও মনে পড়ে যায় গ্রামবাসীদের নেতাজি বলেছিলেন যুদ্ধে জয়লাভ করার পর তিনি গ্রামে পাকা রাস্তা,স্কুল, হাসপাতাল গড়ে দেবেন | কৃষিকাজের উন্নতির জন্যে তিনি ধান কল গড়ে দেবেন, ব্যবস্থা করে দেবেন উন্নতমানের যন্ত্রপাতির | কিন্তু এর বিনিময়ে এখন আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকদের দুবেলা খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে গ্রামবাসীদের |
চেসেজু গ্রামের লোকেরা নেতাজির পাশে এসে দাঁড়ালেন | এমন প্রেক্ষাপটেই ক্যাম্পে গিয়ে ভেজু সুয়োরো আলাপ করলেন সুদর্শন নেতাজির সঙ্গে। ভেজু সুয়োরো নেতাজিকে সাহা(সাহেব) বলে সম্বোধন করতেন | কিন্তু সমস্যা দেখা দিল অন্য জায়গায় | সুভাষচন্দ্র বসু তো নাগাল্যান্ডের ওই গ্রামবাসীদের ভাষা জানতেন না । আর ভেজু সুয়োরোও অন্য কোনো ভাষা জানতেন না | কাজেই উপায় ? তারা সংকেতের মাধ্যমে কথা বলতে লাগলেন | ভেজু সুয়োরোর আজও মনে পড়ে যায় নেতাজি মুরগির গলার আওয়াজ নকল করে তাকে "মুরগির ঝোল" বানানোর জন্যে অনুরোধ করেছিলেন | ওই গ্রামে নেতাজি যতদিন ছিলেন, ভেজু সুয়োরো প্রতিদিন নেতাজির জন্যে ভাত আর মুরগির ঝোল বানিয়ে নিয়ে যেতেন | ফলের মধ্যে নিয়ে যেতেন আমলকি | ভেজু সুয়োরোর আজও মনে পড়ে যায় যতবার তিনি নেতাজিকে খাবার দিয়েছেন, নেতাজি সেই খাবার থেকে সবার প্রথমে তাকে খেতে বলতেন আর তারপরে নিজে সেই খাবার মুখে তুলতেন |
© অহর্নিশ
এইভাবেই নেতাজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে ওঠে ভেজু সুয়োরোর | দুজনে একসাথে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন | গ্রামের পুরুষেরা কৃষিকাজ করছে, মহিলারা তাদের সন্তানদের জন্যে নিজে হাতে পোশাক বুনছেন - এই দৃশ্য বারবার মুগ্ধ করত নেতাজিকে | দুজনে প্রায়ই সুঁথোকা পিক ( বর্তমান নাম নেতাজি পিক)-এ উঠতেন | সুঁথোকা পিক থেকে আশেপাশের তিরিশটি গ্রামকে দেখা যায় | নেতাজি নিজের দূরবীন দিয়ে আশেপাশের গ্রামগুলিকে দেখতেন | সন্ধ্যা হয়ে এলে ভেজু সুয়োরো ফিরে যেতেন নিজের গ্রামে আর নেতাজি ফিরে যেতেন নিজের ক্যাম্পে |
কিন্তু নেতাজি ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈন্যরা চেসেজু গ্রামে অবস্থান করছেন এই খবর পৌঁছে যায় ব্রিটিশদের কাছে | এই কারণেই চেসেজু গ্রামে হানা দেয় ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান | আতঙ্কিত হয়ে ভেজু সুয়োরো গ্রাম ছাড়েন | সেদিনই ব্রিটিশ সেনাবাহিনী গ্রাম ঘেরাও করে | শুরু হয় আজাদ হিন্দ বাহিনী এবং ব্রিটিশদের যুদ্ধ | যুদ্ধ চলে বহু ঘন্টা | এই ঘটনার কিছুদিন পরে ভেজু সুয়োরো এবং তার বেশ কিছু বন্ধু আবার গ্রামে প্রবেশ করে | আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাদের ক্যাম্পে পৌঁছে তিনি দেখেন দুইজন বাঙালি সেনার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে | ভেজু সুয়োরো এরপর পৌঁছান নেতাজির ক্যাম্পে, সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন ক্যাম্পটির আর বিন্দুমাত্র কিছু অবশিষ্ট নেই | পুরো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্প | বিস্ফোরণে জ্বলে গিয়েছে আশেপাশের সমস্ত গাছপালা | কিন্তু অবাক করার মত ঘটনা হল, কোথাও কোনও মৃতদেহ নেই | খটকা লাগে ভেজু সুয়োরো-র | কোথায় গেলেন নেতাজি | কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলেন না তাঁকে.....
নেতাজির ক্যাম্পের পিছনে দুটি পুকুর ছিল | আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকরা এবং গ্রামবাসীরা একটি পুকুর ব্যবহার করতেন | আরেকটি পুকুর ব্যবহার করতেন নেতাজি | ভেজু সুয়োরো এবং তার বন্ধুরা কিছুদিন পর সেই পুকুরের পাশে আসেন | সেখানে গিয়ে পুকুর থেকে জল তুলে খেতে গিয়ে দেখেন, সেই জল পানের অযোগ্য | কেমন একটা পচা পচা গন্ধ | কিন্তু এর কারণ তখন তারা বুঝতে পারেননি | কয়েকদিন পর আবার তারা ওখানে যান, একটু খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখেন পুকুরের পাড়ে পাথর চাপা দিয়ে রাখা রয়েছে সারি সারি আজাদ হিন্দ বাহিনীর সৈনিকদের মৃতদেহ | অনেক সৈনিকদের মৃতদেহের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে বম্ব | এই দেখে ভয় পেয়ে যান ভেজু সুয়োরো এবং তার বন্ধুরা | দীর্ঘ এক বছর তারা ওই পুকুরের ধারেপাশে যাননি | ধীরে ধীরে পচে যেতে থাকে মৃতদেহগুলি | প্রায় এক বছর পর যখন ভেজু সুয়োরো সেখানে যান, শুধু কঙ্কাল ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট ছিল না | এরপর থেকেই গ্রামবাসীরা ওই পুকুরটিকে সংরক্ষণ করেন | আজও ওই গ্রামে আসেন নেতাজি অনুরাগীরা |
আজ সেই ঘটনার প্রায় ৭৭ বছর অতিক্রান্ত | ভেজু সুয়োরো আজও ভুলতে পারেননি তার সেই বন্ধুকে | স্বপ্ন দেখেন একদিন আবার তাদের দেখা হবে.....
© অহর্নিশ
তথ্য - Article written by: Asonuo, NE, RNU AIR Kohima / AirPics: Asonuo
============
তিনি কি আদৌ অধ্যাপক ওটেনকে প্রহার করেছিলেন? প্রদর্শিত গাড়িটি কি গৃহত্যাগের সঙ্গে যুক্ত ? নেতাজি ফাইলে স্পষ্ট এমিলি, অ্যানিটা নেতাজির কেউ নয় তবু কেন অপ্রচার ? বিমান দুর্ঘটনাই হয়নি তবু চিতাভস্মের গল্প কেন? রাশিয়ায় নেতাজি হত্যার কোনাে প্রমাণ নেই তবু হইচই কেন? ফরমােজা থেকে ফৈজাবাদ—এত প্রমাণ তবু বারংবার মৃত্যু পরােয়ানা কেন? আজাদি অর্থসম্পদ লুঠ হল কেন? কেন প্রকাশ্যে এলেন না অখন্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী? নেতাজি নিয়ে এমন নানা বিভ্রান্তির উত্তর—নেতাজি গবেষক ডক্টর জয়ন্ত চৌধুরীর বই ‘ক্ষমা করাে সুভাষ ' স্বাধীনতার সূর্যসারথি বাংলার বড় আপনজন সুভাষ’কে সর্বভারতীয় স্তরে উপযুক্ত প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি আজও। নেপথ্যে রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, প্রাদেশিকতা, আর্থিক লেনদেনের কলঙ্কময় গােপন রসায়ন।
তার সৌরদীপ্ত দেশপ্রেম, পবিত্র চরিত্র ও জীবনগাথাকে আড়াল করতে নানা অপচেষ্টা এবং নানাস্তরে গভীর চক্রান্ত চলেছে দিনের পর দিন। এ ব্যাপারে সম্প্রতি পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নতুন প্রজন্ম যুক্তি, তর্কও তথ্যের আলােয় নেতাজি সম্পর্কে সত্য জানতে এগিয়ে আসছে। তাদের সেই স্বপ্নপূরণের তাগিদে লেখকের এই নিবেদিত অর্ঘ্য নেতাজির প্রতি 'ক্ষমা করাে সুভাষ।। সত্যের সূর্যস্নাত যে পথে সুভাষচন্দ্রকে খুঁজে পাবে আজ ও
,,
'মহীশূরের বাঘ' খ্যাত টিপু সুলতানের ব্যবহৃত তলোয়ার, স্বর্ণের আংটি ও একটি বাক্স। সেই বাক্সে আছে ছোট বোতল, ফানেল ও চামচ। এগুলো বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রয়েছে। ভারতবর্ষের ইতিহাস জানতে এই পেজটা ফলো করুন।
ভারতের মধ্য প্রদেশের ধর জেলায় ঘটে গেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। সেখানের মান্ডালয় পরিবারের সদস্যরা প্রজন্মান্তরে গোলাকৃতির কিছু পাথরকে পূজা করে আসছিল পারিবারিক দেবতা হিসেবে। তাদের বিশ্বাস ছিল- দেবতা তাদের কৃষিজমি ও পশুপালকে দেখভাল করবেন, এবং যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন। একই কাজ করত আশেপাশের আরও কিছু পরিবার। পরবর্তীতে এই খবর যখন গবেষকদের কাছে গেল, তারা সেই গোলাকৃতির পাথরগুলো নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করলেন। শেষপর্যন্ত জানা গেল, সেখানকার লোকজন যে পাথরগুলো এতদিন পূজা করে এসেছে, তা আসলে ফসিলে পরিণত হওয়া টাইটানোসর প্রজাতির ডাইনোসরের ডিম। নর্মদা উপত্যকার ৯২টি স্থানে টাইটানোসরের সর্বমোট ২৫৬টি ফসিল হয়ে যাওয়া ডিম পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ অনুমান হলো প্রায় ৭ কোটি বছর আগে এই এলাকায় বাস করত টাইটানোসর প্রজাতির ডাইনোসররা। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, এবং ইন্ডিয়া টাইমস। এই রকম খবর পেতে এই পেজ টা ফলো করুন।
হাতে আঁকা ছবিতে টিপু সুলতানের বাবা হায়দার আলী।
১৮৬৭ সালে তৈরি পিতলের থালায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশের মানচিত্র। ভারতবর্ষের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস জানতে এই পেজ টা ফলো করুন।
ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষে ইউরোপীয়দের খেদমতে নিয়োজিত এই উপমহাদেশীয় কয়েকজন দাস-দাসী (১৮৮০)।
ওয়াটারলু যুদ্ধের আগের রাতে এই আলখাল্লা পরেছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। তার পরাজয়ের পর এটি লুট হয়ে যায়। বর্তমানে এটি উইন্ডসর দুর্গে রয়্যাল ট্রাস্ট কালেকশনে রয়েছে।
মোগল ভারতীয় ছোরা এবং তার খাপ। এটি ১৬১৫-২০ সালের মাঝে তৈরি। তখন চলছিল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনকাল। দৃষ্টিনন্দন এই ছোরা সাজাতে হীরা, চুনি ও পান্না ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতবর্ষের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস জানতে এই পেজ টা ফলো করুন।
হ্যাজাক লাইট; শৈশবে গ্রামের বাড়িতে গেলে প্রতিদিন সন্ধ্যায়ই জ্বালাতে দেখতাম। হ্যাজাক বাতি জ্বালানোর সময় মুগ্ধ হয়ে বসে বসে দেখতাম। কিন্তু কালের আবর্তে বিদ্যুতের প্রসারে আজ সেই বাতিই বিলুপ্তপ্রায়। আপনি কি দেখেছেন, জ্বালিয়েছেন স্মৃতিমাখা এই হ্যাজাক লাইট?
গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের স্বর্ণমুদ্রা। বাম হাতে ধনুক ধরে ঘোড়ার উপর বসা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে তাকে। তার রাজত্বকাল ছিল ৩৭৫-৪১৫ খ্রিস্টাব্দ। ভারতবর্ষের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস জানতে এই পেজ টা ফলো করুন।
প্রায় ২,০০০ বছরের পুরনো মাটির তৈরি রোমান টাইলে এক কুকুরের পায়ের ছাপ। এটি পাওয়া গিয়েছে রিচবরো রোমান ফোর্ট এন্ড অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে।
Courtesy: Alison Fisk
বখতিয়ার খিলজির সমাধি... (গঙ্গারামপুর )
যিনি বাংলার লক্ষণ সেনকে পরাস্ত করে প্রথম বাংলা দখল করেন।
বাংলা ও বিহার অঞ্চলে প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তুর্কি সেনাপতি ও বীর যোদ্ধা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি। তিনি ছিলেন তুর্কি জাতিভুক্ত খিলজি বংশের সন্তান। বখতিয়ার খিলজির পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের গরমশির অঞ্চলে বাস করতেন। অল্প বয়সে তিনি ভাগ্যান্বেষণে বের হন এবং বহু দরবার ঘুরে অযোধ্যার শাসক হুসামুদ্দিনের সেনাবাহিনীতে থিতু হন।
হুসামুদ্দিন তাঁকে ‘ভগবত’ ও ‘ভিউলা’ নামক দুটি পরগনার জায়গির দান করেন। এর পরই তাঁর জীবনধারা বদলে যায় এবং নিজেকে একজন শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান।
একজন যোগ্য শাসক ও সেনাপতি হিসেবে বখতিয়ার খিলজির সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দিল্লির শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের সুদৃষ্টি লাভ করেন এবং তাঁর আনুগত্য স্বীকারের বিনিময়ে বিহার অভিযানের অনুমতি পান। বিহার বিজয়ের পর বখতিয়ার খিলজির ক্ষমতা ও সামর্থ্য আরো সংহত হয়।
তিনি বিশাল এক বাহিনী গঠন করেন এবং ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণ সেনের শাসনাধীন বাংলার নদীয়া জয় করেন। আকস্মিক আক্রমণে রাজা লক্ষ্মণ সেন প্রধান রাজধানী বিক্রমপুর পালিয়ে যান। এভাবেই বাংলার মাটিতে মুসলিম শাসনের সূচনা হয়।
এরপর তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্মণাবতী, গৌড়সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ বিজয় করেন।
লক্ষ্মণাবতীর নাম পরিবর্তন করে লখনৌতি করে তাকে রাজধানী ঘোষণা করেন। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি তিব্বত অভিযানে বের হন। কিন্তু উপজাতিদের বিশ্বাসঘাতকতা ও কূটকৌশলের কাছে পরাস্ত হন। এতে তাঁর সেনাদলের বৃহদাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। তিব্বত বিপর্যয়ের পর ব্যর্থতার গ্লানি ও শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দেবকোটে (বর্তমান দিনাজপুর) ফিরে আসেন।
এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে কেউ কেউ বলেন মীর মর্দানের হাতে নিহত হন।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ইতিহাসের পাতায় যতটা উচ্চারিত, যতটা চর্চিত, যতটা স্মরিত; ঠিক ততটাই অবহেলিত ও অজ্ঞাত বখতিয়ারের সমাধিস্থল। বখতিয়ার খিলজির কবর যে এখনো চিহ্নিত আছে তা-ও হয়তো বহু মানুষের জানা নেই। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খিলজি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘুমিয়ে আছেন। জেলার গঙ্গারামপুর থানায় পীরপালে এখনো টিকে আছে তাঁর সমাধিসৌধ।
অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংসের মুখে বখতিয়ার খিলজির সমাধিসৌধও। সমাধিস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে বারো দুয়ারি ও দীঘির ঘাট এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ধসে গেছে সমাধিসৌধের দেয়ালের একাংশ। ধারণা করা হয়, বারো দুয়ারি নামে চিহ্নিত স্থাপনাটি মূলত একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের মুসল্লি ও কবর জিয়ারতকারীদের অজুর জন্য পাথর বাঁধানো ঘাট তৈরি করা হয়েছিল। সমাধি ও বারো দুয়ারি পাথরের দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। তবে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার স্যার ফ্রান্সিস বুকানন হামিল্টন, যিনি ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরবঙ্গ ও বিহারের জরিপকাজে নিযুক্ত হন। তিনি বখতিয়ার খিলজির সমাধির বিবরণ দেওয়ার সময় বারো দুয়ারির ভেতরে একটি কবর আছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্যার হামিল্টনের ধারণা বারো দুয়ারির কবরটিই বখতিয়ার খিলজির এবং এখনো টিকে থাকা কবরটি বখতিয়ারের সহচর পীর বাহাউদ্দিনের। অবশ্য সমাধিসৌধের সামনে টানানো বতর্মান নামফলকে স্যার হামিল্টনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং টিকে থাকা সৌধটিকেই বখতিয়ারের বলে দাবি করা হয়েছে।
বর্তমানে কালের নিয়মে বখতিয়ার খিলজির সমাধি অবহেলার পাত্র হলেও স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘দেবতুল্য’। কথিত আছে বখতিয়ার খিলজি মাটিতে শুয়ে আছেন বলে পীরপালের মানুষরা খাট বা চৌকিতে ঘুমায় না। তারা অনেকাংশে শত শত বছর ধরে মাটিতেই ঘুমিয়ে আসছে।
১৮৫৯ সালে তোলা ছবিতে তাজমহল | ফটোগ্রাফার: ফেলিস বিয়াতো/হাল্টন আর্কাইভ
বাসায় মেহমান এলে খাবারদাবার পরিবেশনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ট্রে, কাপ, চামচ ও অন্যান্য জিনিস। পোড়ামাটির তৈরি এই জিনিসগুলো প্রায় ২,৫০০ বছরের পুরনো। এট্রুস্কান সভ্যতার এই নমুনাগুলোর সন্ধান মিলেছে বর্তমান ইতালির চিউসি শহর থেকে। আরো ইতিহাস জানার জন্য এই পেজ টা ফলো করুন।
স্বর্ণের থালা | আকেমেনিদ সাম্রাজ্য | আনুমানিক ২,৬০০ বছরের পুরনো | বর্তমান অবস্থান: ব্রিটিশ মিউজিয়াম l আরো ইতিহাস জানার জন্য এই পেজ টা ফলো করুন
সাতচল্লিশ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সময় এক ভূখণ্ড থেকে আরেক ভূখণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আরো ইতিহাস জানার জন্য এই পেজ টা ফলো করুন।
প্রায় ১১,০০০ বছর আগে পাথরের বুকে খোদাই করে আঁকা হয়েছিল ঘুমন্ত অ্যান্টিলোপের এই ছবি। আলজেরিয়ার তাসসিলি নাজ্জার জাতীয় পার্কে গেলে এর দেখা মিলবে। অজানা ইতিহাস জানার জন্য এই পেজ টি ফলো করুন l
কাঠের কামান
প্রয়োজনীয়তার দিকে নজর রেখে সাধারণ কামানের পরিবর্তে দুবার শিখেরা এই ধরণের কামান ব্যবহার করেছে। , ১৭১০এর ডিসেম্বরে লোহাগড়ের দুর্গের বাইরে শিখেদের একটি কামান উড়ে যায় সে কামানটি ‘তেঁতুলের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি ছিল’(Kamwar Khan, entry of 19th Shawwal 1122 h.)। আরেক লেখক, গুলাম মুহিউদ্দিন খান ফোলিও ৩৭b, জানাচ্ছেন তারা যখন ১৭১৫য় গুরুদাসপুর অবরোধ করছিলেন, শিখদের খুবই হালকা কামান ছিল, সেগুলি তারা সিরহিন্দের ফৌজদার ওয়াজির খান, বাজাইদ খান এবং শামস খানের থেকে উদ্ধার করে, সেগুলিতে খুব ভারি বল ব্যবহার করতে পারে নি। এগুলি প্রতিস্থাপিত হয় কাঠের গুঁড়ি কুরে ফাঁকা করে এবং মোটা লোহার শৃংখল দিয়ে বেঁধে রাখা হালকা কামানের আকার দিয়ে। এর মাধ্যমে তারা পাথর এবং লোহা ছুঁড়ত l
আরভিন, আর্মি অব ইন্ডিয়ান মুঘলস
তথ্য ঋণ বিশ্বেন্দু নন্দ দাদা। ইতিহাস জানার জন্য এই পেজ টা ফলো করুন
নবাব সিরাজউদ্দৌলা কবর, খোশবাগ, মুর্শিদাবাদ। পলাশীর যুদ্ধের ইতিহাস জানতে এই পেজ টা ফলো করুন ।
মায়ানমারে নির্বাসিত শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর (সামনে বসা)। পেছনে টুপি মাথায় দাঁড়িয়ে তার দুই ছেলে মির্জা জওয়ান বখত, ও মির্জা শাহ আব্বাস; সাথে আরও আছে এক ইংরেজ কর্মকর্তা। ভারতবর্ষের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস জানতে এই পেজ টা ফলো করুন ।
# #পশ্চিবঙ্গ ইতিহাস সংসদ # #