Malaya Khobor - মালায়া খবর

। আজ , আগষ্ট ২,২০২৪ ।
বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ হয়েছে ৭ জন।

পুলিশের সাথে, লাল হেলমেট ও সাদা পোশাকে এরা কারা।

মিরপুর ১০ , গোলচক্কর ফুট ওভার ব্রীজ, সময় দুপুর ১২ঃ৫০ মিনিট।

Bukit Bintang, KL

Berjaya Times Square, KL

USA Scholarship 2024

University of Houston

ELIGIBILITY :

The eligibility criteria for the University of Houston USA Scholarship 2024 are stated below:
1. The applicants must not have studied lastly in the USA.
2. Candidates of any nationality are allowed to enroll for this scholarship.
3. Should enroll for admission to Houston University.
4. Must have a brilliant academic record.
5. If the applicant’s previous degree was not in English, then an English proficiency letter is needed.

BENEFITS :

The benefits of the University of Houston USA Scholarship 2024 are:
1. Accommodations.
2. Chosen candidates will get a monthly allowance.
3. Economy class air tickets.
4. Medical facilities.

OTHERS :

Required Documents for the University of Houston Scholarship in the USA:
1. Copy of CNIC.
2. Passport
3. A scanned copy of all your education records.
4. Passport-size photographs.
5. English Proficiency Certificate.
6. Recommendation Certificate.
Study Plan for Master’s Program.

Contact US: Extensive support for deserving students.
WhatsApp : +1 ⁨(347) 832-8090⁩

Looking for PhD, Think Subway University Kuala Lumpur, Malaysia.

কোন এক সাঙ্কারার প্রতিক্ষায় :
খান হাবিব মোস্তফা
রাজনীতিবিদ ও সাবেক ছাত্রনেতা

পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ,নাম বুর্কিনা ফাসো। ১০৫,৯০০ বর্গমাইলের এই দেশটিই এক সময় শোষিত হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী ফ্রান্সের দ্বারা। তখন দেশটির নাম ছিল আপার ভোল্টা। ১৯৪৯ সালে এই ভূখন্ডেই জন্ম নিয়েছিল এক কালজয়ী বিপ্লবী,নাম থমাস সাঙ্কারা। ১৯৬০ সালে ফরাসী সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভের পর শাসক শ্রেণীর বিলাসিতা,শোষণ,দূর্ণীতি আর ভূস্বামীদের দৌরাত্য দারুনভাবে আঁচড় কেটেছিল সাঙ্কারার কিশোর মনে। তখনই তিনি সংকল্প করেছিলেন সবকিছু বদলে দেয়ার। তাইতো যোগ দিলেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৮৩ সাল,সাঙ্কারা তখন ক্যাপ্টেন। প্রচন্ড এক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে হয়ে গেলেন আপার ভোল্টার প্রেসিডেন্ট,বয়স মাত্র তেত্রিশ বছর। ক্ষমতায় এসেই জাতিকে চমকে দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের বেতন ৪৫০ ডলার নির্ধারন করলেন। কর্তন করলেন সকল মন্ত্রী,পার্লামেন্ট মেম্বার ও সরকারী কর্মকর্তাদের বেতন। ব্যয় সংকোচনের জন্য বিক্রি করে দিলেন সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকা মার্সিডিজ বেন্জের বিশাল বহর। আর সরকারী কাজে বরাদ্দ দিলেন তৎকালীন বাজারের অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের গাড়ী। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিদেশে চিকিৎসা নেয়া নিষিদ্ধ করলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অবিস্মরনীয় ভাবে পঁচিশ লক্ষ শিশুকে বাতজ্বর,কালাজ্বর এবং হামের টিকা দান সম্পন্ন করলেন। ১৯৮৪ সালে সাংবিধানিক ভাবে দেশের নাম বদলে দিলেন। নতুন নাম করন করা হলো,বুর্কিনা ফাসো,অর্থাৎ সৎ মানুষের দেশ।

ভূস্বামীদের নিয়ন্ত্রনে থাকা সকল জমি কেড়ে নিয়ে সাধারন কৃষকদের মাঝে বন্টন করে দিলেন। তার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে হেক্টর প্রতি গমের উৎপাদন ১৭০০ কেজি থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৩৮০০ কেজিতে। তিনি চার বছরে দশ মিলিয়ন বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সাহেল অঞ্চল-সহ দেশকে মরুকরনের কবল থেকে বাঁচাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ঠিক একইভাবে শিক্ষা বিস্তারে ৩৫০ টি গোত্রকে একযোগে কাজে লাগিয়ে মাত্র চার বছরে সাক্ষরতার হার ১৩% থেকে ৭৩% এ উন্নীত করেন। জাতিকে স্বনির্ভর করতে সকল বৈদেশিক ঋণ এবং বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবনা বাতিল করে দিয়ে জাতির উদ্দেশ্য এক ঐতিহাসিক উক্তি করলেন "যে তোমাদের খাওয়াবে,সেই তোমাদের নিয়ন্ত্রন করবে।" তাঁর এমন সব বুদ্ধিদীপ্ত,সাহসী ও সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্তের কারনে আর্থ-সামাজিক ভাবে এগিয়ে যেতে থাকে দেশ। আর,তিনি হয়ে ওঠেন জনতার অবিসংবাদিত নেতা।

এদিকে একটি দিনের জন্যও থেমে থাকেনি ফরাসী-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্ত। তারা প্রতিনিয়ত উস্কানী দিয়ে গেছে জাতিগত বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদে। সেগুলো তিনি সফল ভাবে দমন করতে সক্ষমও হয়েছিলেন। সব কিছু বুঝেই তিনি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গোটা আফ্রিকা জুড়ে বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দেন। আর,মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষনে তিনি বলেছিলেন, "বিপ্লবীরা প্রত্যেকেই আলাদা স্বত্বা। মানুষকে হত্যা করা যায়,কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না।"

মার্কিন,ফরাসী ও আইভোরিকোষ্টের সহায়তায় ১৯৮৭ সালে সাঙ্কারার প্রিয় ও বিশ্বস্ত বন্ধু ক্যাপ্টেন কম্পেওর তাঁকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। চৌদ্দটি বুলেট তাঁর শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সেই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেল তারুন্যের এক স্বপ্নদ্রষ্টা।

ফিডেল ক্যাষ্ট্রোর সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী এই তরুন বিপ্লবী তাঁর জীবন ও কর্ম দিয়ে প্রমান করে গেছেন, কারও চরিত্রে চারটি বৈশিষ্ট থাকলে সব কিছু বদলে দেয়া সম্ভর। আর তা হলো :

১। সংকল্প

২। সাহস

৩। নৈতিকতা

৪। দেশপ্রেম

যদিও ৯০ দশকের শেষের দিকেই সমাজতন্ত্র তার জন্মভূমিতেই একপ্রকার আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। আর, অন্যান্য দেশে তার আবেদন হারিয়ে অকার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসাবে হিম ঘরে চলে যায়। তথাপিও ব্যক্তি থমাস সাঙ্কারা বিশ্বব্যাপী তরুনদের মাঝে রেখে যান সমাজ বিপ্লবের উন্মাদনা। পিনাকী ভট্টাচার্যের ভাষায়,"মানুষ বিজয়ীকে মনে রাখে না,মনে রাখে বীরদের।"

এক সাগর রক্তের দামে কেনা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও আজ সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসনের কবলে। শাসক শ্রেণীর বিলাসিতা,দূর্ণীতি,অবিরত নির্লজ্জ মিথ্যাচার আর আইনের অপপ্রয়োগে বিক্ষুব্ধ ও দিশেহারা জাতি। প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর রক্ষনাত্বক কৌশল আর পৌঢ় নেতৃত্বের গতিহীনতার কারনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে অনাস্থা প্রকাশ করতে শুরু করেছে সাধারন মানুষ। যার ফলশ্রুতিতে দায়িত্ব এসে বর্তেছে তরুনদের ওপর। আজ সাহস ও উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে ঐ সকল তরুণদের,যাদের বয়স ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে। জাতির বর্তমান প্রজন্ম ও বৃহত্তর অংশ প্রতিক্ষার প্রহর গুণতে শুরু করেছে কোন এক থমাস সাঙ্কারার উত্থান ও নেতৃত্বের। যিনি মানব রচিত কোন তন্ত্র নয়,হবেন হেরার আলোয় আলোকিত,উন্নত নৈতিকতায় সমৃদ্ধ,দূর্বার গতিসম্পন্ন সাচ্চা এক দেশপ্রেমিক।

, #রাজনীতি

মেট্রো-৬। আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে, বিজয় সরণি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন খুলে দেওয়া হচ্ছে।

Congratulations to all of those Students who have passed HSC 2023 in Bangladesh.

বিএনপি’র ক্ষমতায ফেরা নিয়ে অবহেলিত এক কর্মী’র চিঠিঃ

এরা ক্ষমতায় গেলে নিহত, আহত, ত্যাগী ও সৎ নেতা কর্মীদের কোন খবর রাখে না। এরা আওয়ামী লীগের মত না।

আওয়ামী লীগের একটা টোকাই নেতার ও বাড়ী গাড়ী হয়া গেছে। আর এরা ক্ষমতায় গেলে এদের কর্মীদের জেলে ভরে। নিহতদের পরিবার কোন সহযোগিতা তো দূরের কথা কোন বিচারও পায় না।

২০০০ সালের অক্টোবরে ক্ষমতা ছাড়ার আগে দৈনিক ১৫/২০ টা নেতা কর্মী হত্যা করে আওয়ামী লীগ, সেই ত্যাগে এরা ২০০১ এ ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যায়, ক্ষমতায় যাওয়ার পরে কি করে ছিল, আপনারা জানেন।

আওয়ামীলীগ দেশের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু কর্মীদের জন্য হ্যাভেন।

এখন পর্যন্ত এরা মির্জাফর দিয়া দল চালাইতেছে, এরা আবার চিন্তা করে ক্ষমতায় যাবে। মির্জ’ফর গং বিএনপিকে যাদুঘরে নিয়ে ছাড়বে। এদের প্রথম ভূল মির্জা’ফর মঈন ইউ কে সোনা বাহিনীর প্রধান করা। বিডিআর হত্যা কান্ডে উপযুক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারা, ২০১৪ ও ২০১৮ তে নির্বাচনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে না পারা। তিন মির্জাফর মিলে ২০১৩ আন্দোলন নষ্ট করে দেয়, তার দলিয় বিচার না করা।

৯৫% মুসলিম এ দেশে, সর্বচ্চ শক্তিশালী ও সুসংগঠিত দল জামায়েতে ইসলামী কে অবমূল্যায়ন করা। অতীতের প্রমানীত অসৎ চোর বাটপার গুলাকেই নেতা এমপি মন্ত্রী করার আত্যাঘাতি চেষ্টা করা।

আর যাই হোক এবার যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয়, মানুষ মার্কা নয়, সৎ লোক দেখে ভোট দিবে। - ইন-শা-আলল্লাহ ।

- মূহাম্মদ আল মাসুদ
নিউ ইর্য়ক, আমেরিকা প্রবাসী