Mohammad Samim Or Rashid

Mohammad Samim Or Rashid

Dit vind je misschien ook leuk

Arshi shimu
Arshi shimu

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

01/05/2024

মহান মে দিবস সফল হউক।

20/04/2024
Photos from Mohammad Samim Or Rashid's post 26/03/2024

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ, চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ভেসে আসা একটি কণ্ঠ
আমি মেজর জিয়া বলছি 💖 তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ এক হয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজ মাতৃভূমি কে রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অকুতোভয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।
বাংলাদেশের ৫৩ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
শুভেচ্ছান্তে-
মো:শামীম অর রশীদ
সদস্য
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
কদমতলী থানা শাখা, ঢাকা, বাংলাদেশ।

25/03/2024

যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল
-শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে আমাকে নিয়োগ করা হলো জয়দেবপুরে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নে আমি ছিলাম সেখানে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অফিসার কমান্ডিং লেঃ কর্নেল আবদুল কাইয়ুম ছিল একজন সাহসী পাকিস্তানি। একদিন ময়মনসিংহের এক ভোজসভায় ধমকের সুরে সে ঘোষণা করলো- বাংলাদেশের জনগণ যদি সদাচরণ না করে তাহলে সামরিক আইনের সত্যিকার ও নির্মম বিকাশ এখানে ঘটানো হবে। আর তাতে হবে প্রচুর রক্তপাত। এই ভোজসভায় কয়েকজন বেসামরিক ভদ্রলোকও উপস্থিত ছিলেন। তাদের মাঝে ছিলেন ময়মনসিংহের তদানীন্তন ডেপুটি কমিশনার জনাব মোকাম্মেল।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাইয়ুমের এই দম্ভোক্তি আমাদের বিস্মিত করলো। এর আগেও কাইয়ুম এক গুরুত্বপুর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। ইসলামাবাদে পাকিস্তানি নীতি নির্ধারকের সাথে সংযোগ ছিল তার। তার মুখে পুরানো প্রভুদের মনের কথাই ভাষা পেয়েছে কিন্তু, তাই আমি ভাবছিলাম। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে আমি অনেকগুলো প্রশ্ন করি এবং এর কোনো কথা থেকে আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে সে যা বলেছে, তা জেনেশুনেই বলেছে। উপযুক্ত সময়ে কার্যকরী করার জন্য সামরিক ব্যবস্থার এক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। আর কাইয়ুম সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি এতে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এই সময়ে আমি একদিন চতুর্দশ ডিভিশন সদর দফতরে যাই। জিএসও-১ (গোয়েন্দা) লেঃ কর্নেল তাজ আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কয়েকজন সম্পর্কে আমার কাছে অনেক কিছু জানতে চায়। আমি তার এসব তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করি। সে আমাকে জানায় যে, তারা বাঙালি নেতাদের জীবনী সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। আমি বারবার তাকে জিজ্ঞেস করি- এসব খুঁটিনাটির প্রয়োজন কি? এই প্রশ্নের জবাবে সে জানায়- ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিধারায় এগুলো কাজে লাগবে। গতিক যে বেশি সুবিধার নয়, তার সাথে আলোচনা করেই আমি তা বুঝতে পারি। সেই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে চার মাসের জন্য আমি পশ্চিম জার্মানী যাই। এ সময়ে বাংলাদেশের সর্বত্র এক রাজনৈতিক বিক্ষোভ-ঝড় বয়ে যায়। পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থানকালে আমি একদিন দেখি, সামরিক এ্যাটাচি কর্নেল জুলফিকার সে সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কারিগরি এ্যাটাচির সাথে কথা বলছিল। এই ব্যক্তিটি ছিল এক সরলমনা পাঠান অফিসার। তাদের সামনে ছিল করাচীর দৈনিক পত্রিকা ডন-এর একটা সংখ্যা। এতে প্রকাশিত হয়েছিল ইয়াহিয়ার ঘোষণা- ১৯৭০ সালেই নির্বাচন হবে। সরলমনা পাঠান অফিসারটি বলছিল, “নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে জয়ী হবে, আর সেখানেই পাকিস্তানের পরিসমাপ্তি।” এর জবাবে কর্নেল জুলফিকার বললো, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংখ্যাগিরষ্ঠতা লাভ করতে পারে কিন্তু কেন্দ্রে সে ক্ষমতা পাবে না। কেননা অন্যান্য দল মিলে কেন্দ্রে আওয়ামী লীগকে ছাড়িয়ে যাবে। আমি এটা জেনে বলছি। এ সম্পর্কে আমার কাছে বিশেষ খবর আছে।”
এরপর আমি বাংলাদেশে ফিরে এলাম। ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে আমাকে নিয়োগ করা হলো চট্টগ্রামে। এবার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর কয়েকদিন পর আমাকে ঢাকা যেতে হয়। নির্বাচনের সময়টা আমি ছিলাম ক্যান্টনমেন্টে। প্রথম থেকেই পাকিস্তানী অফিসাররা মনে করতো চূড়ান্ত বিজয় তাদের হবে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে তাদের মুখে আমি দেখলাম হতাশার সুস্পষ্ট ছাপ। ঢাকায় অবস্থানকারী পাকিস্তানী সিনিয়র অফিসারদের মুখে দেখলাম আমি আতংকের ছবি। তাদের এ আতংকের কারণও আমার অজানা ছিল না। শিগগিরই জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পাবে, এই আশায় আমরা বাঙালি অফিসাররা তখন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলাম।

চট্টগ্রামে আমরা ব্যস্ত ছিলাম অষ্টম ব্যাটেলিয়নকে গড়ে তোলার কাজে। এটা ছিল রেজিমেন্টের তরুণতম ব্যাটেলিয়ন। এটার ঘাঁটি ছিল ষোলশহর বাজারে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে এই ব্যাটেলিয়নকে পাকিস্তানের খারিয়ানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর জন্য আমাদের সেখানে পাঠাতে হয়েছিল দুশ’ জওয়ানের এক দ্রুতগামী দল। অন্যরা ছিল একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের সৈনিক। আমাদের তখন যেসব অস্ত্র-শস্ত্র দেয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল ৩শ’ পুরানো ০০৩ রাইফেলস, চারটা এলএমজি ও দুটি তিন ইঞ্চি মর্টার। গোলাবারুদের পরিমাণও ছিল নগণ্য। আমাদের এন্টিট্যাঙ্ক বা ভারি মেশিনগান ছিল না। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশের যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে উঠেছিল তখন আমি একদিন খবর পেলাম তৃতীয় কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিহারীদের বাড়িতে বাস করতে শুরু করেছে। খবর নিয়ে আমি আরো জানলাম কমান্ডোরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র আর গোলাবারুদ নিয়ে বিহারী বাড়িগুলোতে জমা করেছে এবং রাতের আধাঁরে বিপুল সংখ্যায় তরুণ বিহারীদের সামরিক ট্রেনিং দিচ্ছে, এসব থেকে এরা যে ভয়ানক রকমের অশুভ একটা কিছু করবে তার সুস্পষ্ট আভাসই আমি পেলাম।

তারপর এলো ১ মার্চ। এই সময়ে আমার ব্যাটেলিয়নের এনসিওরা আমাকে জানালো, “প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিংশতম বালুচ রেজিমেন্টের জওয়ানরা বেসামরিক পোশাক পরে ট্রাকে করে কোথায় যেন যায়। তারা ফিরে আসে আবার শেষ রাতের দিকে।” আমি উৎসুক হলাম, লোক লাগালাম খবর নিতে। খবর নিয়ে জানলাম প্রতি রাতেই তারা যায় কতগুলো নির্দিষ্ট বাঙালি পাড়ায়, নির্বিচারে হত্যা করে সেখানে বাঙালিদের। এই সময় প্রতিদিন ছুরিকাহত বাঙালিদের হাসপাতালে ভর্তি হতেও শোনা যায়।

এই সময়ে আমাদের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া আমার গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখার জন্যে লোক লাগায়। মাঝে মাঝেই তার লোকেরা গিয়ে আমার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। আমরা তখন আশংকা করছিলাম, আমাদের হয়তো নিরস্ত্র করা হবে। আমি আমার মনোভাব দমন করে কাজ করে যাওয়ার সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বাঙালি হত্যা ও বাঙালি দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

আমাদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা হলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো কর্নেল (তখন মেজর) শওকতও আমার কাছে তা জানতে চান। ক্যাপ্টেন শমসের মবিন এবং খালেকুজ্জামান আমাকে জানান যে, স্বাধীনতার জন্য আমি যদি অস্ত্র তুলে নেই তাহলে তারাও দেশের মুক্তির জন্য প্রাণ দিতে কুণ্ঠবোধ করবে না। ক্যাপ্টেন অলি আহমদ আমাদের মাঝে খবর আদান-প্রদান করতেন। জেসিও এবং এনসিওরাও দলে দলে বিভক্ত হয়ে আমার কাছে বিভিন্ন স্থানে জমা হতে থাকলো। তারাও আমাকে জানায় যে, কিছু একটা না হলে বাঙালি জাতি চিরদিনের জন্যে দাসে পরিণত হবে। আমি নীরবে তাদের কথা শুনতাম। কিন্তু আমি ঠিক করেছিলাম উপযুক্ত সময় এলেই আমি মুখ খুলবো। সম্ভবত ৪ মার্চে ক্যাপ্টেন অলি আহমদকে ডেকে নেই। আমাদের ছিল সেটা প্রথম বৈঠক। আমি তাকে সোজাসুজি বললাম, সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করার সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। ক্যাপ্টেন আহমদও আমার সাথে একমত হন। আমরা পরিকল্পনা করি এবং প্রতিদিন আলোচনা বৈঠকে মিলিত হতে শুরু করি।
৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবের ঘোষণা আমাদের কাছে গ্রীন সিগন্যাল বলে মনে হলো। আমাদের পরিকল্পনাকে চূড়ান্ত রূপ দিলাম। কিন্তু তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে তা জানালাম না। বাঙালি ও পাকিস্তানি সৈনিকদের মাঝেও উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠছিল। ১৩ মার্চ হলো শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইয়াহিয়ার আলোচনা। আমরা সবাই ক্ষণিকের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। আশা করলাম, পাকিস্তানি নেতারা যুক্তি মানবে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানিদের সামরিক প্রস্তুতি হ্রাস না পেয়ে দিনদিনই বৃদ্ধি পেতে শুরু করলো। প্রতিদিনই পাকিস্তান থেকে সৈন্য আমদানি করা হলো। বিভিন্ন স্থানে জমা হতে থাকলো অস্ত্র-শস্ত্র আর গোলাবারুদ। সিনিয়র পাকিস্তানি সামরিক অফিসাররা সন্দেহজনকভাবে বিভিন্ন গ্যারিসনে আসা-যাওয়া শুরু করলো। চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা হলো।

১৭ মার্চ স্টেডিয়াম ই বি আর সি’র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ আর চৌধুরী, আমি চূড়ান্ত যুক্ত-পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম। লেঃ কর্নেল চৌধুরীকে অনুরোধ করলাম নেতৃত্ব দিতে।
দু’দিন পর ইপিআর-এর ক্যাপ্টেন (এখন মেজর) রফিক আমার বাসায় গেলেন এবং ইপিআর বাহিনীকে সঙ্গে নেবার প্রস্তাব দিলেন। আমরা ইপিআর বাহিনীকে আমাদের পরিকল্পনাভুক্ত করলাম।

এর মধ্যে পাকিস্তানী বাহিনীও সামরিক তৎপরতা শুরু করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করলো। ২১ মার্চ জেনারেল আবদুল হামিদ খান গেল চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্টে। চট্টগ্রামে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নই তার এই সফরের উদ্দেশ্য। সেদিন রেজিমেন্ট সেন্টারে ভোজসভায় জেনারেল হামিদ ২০তম বালুচ রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাতেমীকে বললো, “ফাতেমী, সংক্ষেপে, ক্ষিপ্রগতিতে আর যত কম সম্ভব লোকক্ষয় করে কাজ করতে হবে।” আমি এ কথাগুলো শুনেছিলাম।

২৪ মার্চ ব্রিগেডিয়ার মজুমদার ঢাকা চলে এলেন। সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী শক্তি প্রয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথ করে নিল। জাহাজ ‘সোয়াত’ থেকে অস্ত্র নামানোর জন্যেই বন্দরের দিকে ছিল তাদের এই অভিযান। পথে জনতার সাথে ঘটলো তাদের কয়েক দফা সংঘাত। এতে নিহত হলো বিপুল সংখ্যক বাঙালি। সশস্ত্র সংগ্রাম যে কোন মুহূর্তেই শুরু হতে পারে, এ আমরা ধরেই নিয়েছিলাম। মানসিক দিক দিয়ে আমরা ছিলাম প্রস্তুত। পরদিন আমরা পথের ব্যারিকেড অপসারণের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তারপর এলো সেই কালোরাত ২৫ ও ২৬ মার্চের মধ্যবর্তী কালো রাত। রাত ১ টায় আমার কমান্ডিং অফিসার আমাকে নির্দেশ দিলো নৌবাহিনীর ট্রাকে করে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে জেনারেল আনসারির কাছে রিপোর্ট করতে। আমার সাথে নৌবাহিনীর (পাকিস্তানী) প্রহরী থাকবে তাও জানানো হলো। আমি ইচ্ছা করলে আমার সাথে তিনজন অফিসারও থাকবে। অবশ্য কমান্ডিং অফিসাররের মতে, সে যাবে আমাকে গার্ড দিতে।
এ আদেশ পালন করা আমার পক্ষে ছিল অসম্ভব। আমি বন্দরে যাচ্ছি কি না তা দেখার জন্য লোক ছিল। আর বন্দরের (সশরীর) প্রতীক্ষায় ছিল জেনারেল আনসারি। হয়তো বা আমাকে চিরকালের মতোই স্বাগত জানাতে।

আমরা বন্দরের পথে বেরুলাম। আগ্রাবাদে আমাদের থামতে হলো। পথে ছিল ব্যারিকেড। সেই সময়ে সেখানে এলো মেজর খালেকুজ্জামান চৌধুরী, ক্যাপ্টেন অলি আহমদের কাছ থেকে এক বার্তা নিয়ে এসেছে। আমি রাস্তায় হাঁটছিলাম।। খালেক আমাকে একটু দূরে নিয়ে গেল। কানে কানে বললো ‘তারা ক্যান্টনমেন্ট ও শহরে সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে। বহু বাঙালিকে ওরা হত্যা করেছে।” এটা ছিল একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত সময়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বললাম, “আমরা বিদ্রোহ করলাম। তুমি ষোলশহর বাজারে যাও। পাকিস্তানী অফিসারদের গ্রেফতার করো। অলি আহমদকে বলো ব্যাটেলিয়ন তৈরি রাখতে, আমি আসছি।”

আমি নৌবাহিনীর ট্রাকের কাছে ফিরে এলাম। পাকিস্তানী অফিসার, নৌবাহিনীর চীফ অফিসার ও ড্রাইভারকে জানালাম যে আমাদের আর বন্দরে যাওয়ার দরকার নেই। আমি নৌবাহিনীর ট্রাকের কাছে ফিরে এলাম। এতে তাদের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া হলো না দেখে আমি পাঞ্জাবী ড্রাইভারকে ট্রাক ঘুরাতে বলালম। ভাগ্য ভালো বলব, সে আমার আদেশ মানলো। আমরা আবার ফিরে চললাম। ষোলশহর বাজারে পৌঁছেই আমি গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে একটা রাইফেল তুলে নিলাম। পাকিস্তানী অফিসারটির দিকে তাক করে তাকে বলালম, “হাত তোল। আমি তোমাকে গ্রেফতার করলাম।”

সে আমার কথা মানলো। নৌবাহিনীর লোকেরা এতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়লো, পর মুহূর্তেই আমি নৌবাহিনীর অফিসারদের দিকে রাইফেল তাক করলাম। তারা ছিল আটজন। সবাই আমার নির্দেশ মানলো এবং অস্ত্র ফেলে দিল।

আমি কমান্ডিং অফিসারের জীপ নিয়ে তার বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। আর বাসায় পৌঁছে হাত রাখলাম কলিং বেলে। কমান্ডিং অফিসার পাজামা পরেই বেরিয়ে এলো, খুলে দিল দরজা। ক্ষিপ্রগতিতে আমি ঘরে ঢুকে পড়লাম এবং গলা শুদ্ধ তার কলার টেনে ধরলাম।

দ্রুত গতিতে আবার দরজা খুলে কর্নেলকে আমি বাইরে আনলাম। বললাম, “বন্দরে পাঠিয়ে আমাকে মারতে চেয়েছিলে? আমি তোমাকে গ্রেফতার করলাম। এখন লক্ষ্মী সোনার মতো আমার সঙ্গে এস।” সে আমার কথা মানলো, আমি তাকে ব্যাটেলিয়নে নিয়ে এলাম। অফিসারদের মেসে যাওয়ার পথে আমি কর্নেল শওকতকে (তখন মেজর) ডাকলাম। জানালাম, সমস্ত পাকিস্তানি অফিসারকে কী করে রাখা হয়েছে। আমি অফিসে গেলাম। সবচেষ্টা ব্যর্থ হলো। তারপর রিং করলাম বেসামরিক বিভাগে টেলিফোন অপারেটরকে। তাকে অনুরোধ জানালাম- ‘ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, কমিশনার, ডিআইজি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের জানাতে যে, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অষ্টম ব্যাটেলিয়ন বিদ্রোহ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করবে তারা। এদের সাথে আমি টেলিফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কাউকে পাইনি। তারা অনুরোধ রক্ষা করতে রাজী হলো। সময় ছিল অতি মূল্যবান। আমি ব্যাটেলিয়নের অফিসার, জেসিও আর জোয়ানদের ডাকলাম এবং তাদের নির্দেশ দিলাম সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে। তারা সর্বসম্মতিক্রমে হৃষ্টচিত্তে এ আদেশ মেনে নিলো। আমি তাদের একটা সামরিক পরিকল্পনা দিলাম।

তখন রাত ২টা বেজে ১৫ মিনিট, ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সাল। রক্তের আঁখরে বাঙালির হৃদয়ে লেখা একটি ক্ষণ। বাংলাদেশের জনগণ চিরদিন স্মরণ রাখতে ভালোবাসবে। এই ক্ষণটিকে তারা কোনদিন ভুলবে না, কোন দিন না।

08/03/2024

আজ ০৮ মার্চ ২০২৪
“আন্তর্জাতিক নারী দিবসে (World Women's Day, 8 March 2024) আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীর সুখী সমৃদ্ধশালী ও সম্মানজনক জীবন কামনা করে তাদেরকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।"
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দিবসটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো বৈষম্য কমানো ও তাদের সম্মান জানানো। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থীম “অন্তর্ভুক্তি অনুপ্রাণিত করুন” এর সফলতা কামনা করছি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই শুভক্ষণে আমি নারী সমাজের প্রতি গুরুত্বারোপসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানাই।
" বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
'আন্তর্জাতিক নারী দিবস সফল হউক'

(মোঃ শামীম অর রশীদ )
সদস্য
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি(BNP)
কদমতলী থানা শাখা, ঢাকা- বাংলাদেশ।

07/03/2024

"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"
তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।
বিজয় আসবেই আসবে ইনশাআল্লাহ্।

আজ দেশনায়ক তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দী দিবস

আজ ৭ মার্চ, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের তৃণমূল রাজনীতির প্রবক্তা, উৎপাদন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতিক, দেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারী দেশনায়ক তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দী দিবস।

২০০৭ সালের বিভীষিকাময় সেই কালো রাতেই কোনো ওয়ারেন্ট, মামলা, জিডি এমনকি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই বিতর্কিত সেনা সমর্থিত সরকারের জরুরি বিধিমালায় গ্রেফতার করা হয় সমকালীন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই রাজনীতিককে।

বস্তুত ১/১১-এর জরুরি অবস্থাকালীন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের মূল টার্গেট হন জননেতা দেশনায়ক তারেক রহমান। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২ বছর ও বর্তমান সরকারের ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাস্কফোর্স, এনবিআর, দুদকসহ সকল সংস্থাই দেশে-বিদেশে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদা দাবি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাকে দন্ড দিতে জরুরি অবস্থাকালীন দ্রুত বিচার আইনে দফায় দফায় সংশোধনীও আনা হয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন আমলে সরকারের উচ্চ পর্যােয়ের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে দন্ড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে নিম্ন আদালতের এক বিচারককে তাঁকে সাজা না দেওয়ায় দেশান্তরিত হতে হয়েছে।
১/১১ সরকারের গ্রেফতারের পর পুলিশ রিমান্ড ও কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে নিষ্ঠুর নির্যাতনের কারণে আজও অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করছেন এই রাজনীতিক। কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে নির্মম নির্যাতনের পর একটানা ৫৫৪ দিন বা ১৮ মাস কারাবাসের পর ১২টি মামলায় জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি পিজি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহিংসায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনে জননেতা তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙে দেয়ার কারণে মুক্তির পর তিনি হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ তরুণ নেতার জীবন এখনও বিপন্ন। এখনও তাঁকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
১/১১ সরকারের ধারবাহিকতায় বর্তমান সরকারও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সারাদেশে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে।

গ্রেফতারের পর থেকে তারেক রহমানের প্রতি সরকারের আচরণ ও মামলাগুলো পর্যালোচনা করলেই দেখা যায় কত নিষ্ঠুরভাবেই বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একজন নেতাকে মিথ্যা কালিমা লেপন করে রাজনীতি থেকে বিদায় করতে চেয়েছিল। গ্রেফতারের পরদিন ৮ মার্চ কাফরুল থানার ওসি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এক জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি নিজে ও দলীয় নেতাকর্মী, বন্ধুবান্ধব, ব্যবসায়িক পার্টনারদের দিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদেশি টেন্ডার ক্রয়, বিমান মন্ত্রণালয়ের কমিশন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন।
তাঁর নিজ ও আত্মীয় স্বজনের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিপুল অঙ্কের অর্থ জমার প্রাথমিক প্রমাণাদি আছে। জরুরি অবস্থাকালীন সরকারের সকল সংস্থার সহায়তায় তদন্ত শেষে দুদক ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন দেয়। এতে ব্যাংকস্থিতি হিসেবে ঢাকা ব্যাংকের একাউন্টে ২৮১৬২ টাকা ও এবি ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৬ হাজার ২৯০ টাকার সন্ধান পায়। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ১৯৮২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকার থেকে পাওয়া ঢাকা ও বগুড়ায় কিছু জমি পায়। এর বাইরে আজ পর্যন্ত কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। অবশ্য ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল কাফরুল থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা জিডির বিষয়ে ওসির ক্ষমা প্রার্থনা ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের প্রেক্ষিতে তারেক রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে জিডিটি নথিভুক্ত করা হয়। অব্যাহতি দেয়া হয় দৈনিক দিনকাল সংক্রান্ত মামলা থেকেও। গ্রেফতারের ১৬ ঘণ্টা পর গুলশান থানায় এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন চৌধুরী মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর তারেক রহমানকে পুলিশের হেফাজতে না দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে অজ্ঞাত লোকদের হেফাজতে নিয়ে চোখ বেঁধে বর্বরোচিত কায়দায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে পরে তিনি আদালতকে অবহিত করেন। জরুরি অবস্থাকালীনই মামলার বাদী আমিন উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলন এবং স্ট্যাম্পে হলফ নামায় দাবি করেন এক বিভীষিকাময় মুহূর্তে যৌথ বাহিনী তাকে আটকিয়ে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। তারেক রহমান তার নিকট কোন সময়ে চাঁদা দাবি করেননি বা তিনি কোথাও এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ করেননি। এভাবে সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৭টি চাঁদা দাবি ও দুদক বাদী হয়ে চারটি মামলা করে। চাঁদা দাবির কোন মামলাতেই সামান্যতম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিটি মামলাতেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বাদীদের কোন অভিযোগ নেই।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১/১১ সরকারের চেয়ে আরো প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দেশে-বিদেশে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে তল্লাশি করে। দুদক, এনবিআর ছাড়াও সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনে নতুন করে শতাধিক মামলা দায়ের করে। কিন্তু একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি। তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিটি মিথ্যা মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই দায়ের করায় কথিত অভিযোগের একটিও প্রমাণ করতে পারেনি। কথিত অভিযোগের কোনটির সাথেই তারেক রহমান সংম্পৃক্ত ছিলেন না। সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি দুদকের কিছু কর্মকর্তার পদোন্নতির জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক সাজানো অভিযাগপত্র দিচ্ছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করায় অনেকের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

মূলত ১৯৯১ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রায় নেপথ্যে থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তারেক রহমান। তারই দূরদর্শিতা, অক্লান্ত পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও ক্যারিশমার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। দীর্ঘদিন দলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেপথ্যচারীর ভূমিকা পালন করলেও ২০০২ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পান। দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। তারেক রহমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে তৃণমূল সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এসব সম্মেলনে কর্মীরা দলীয় রাজনীতি ও সংগঠন সম্পর্কে মন খুলে কথা বলেছেন। এর মধ্য দিয়ে একটি সুসংঘবদ্ধ বিএনপি গড়ে ওঠে। তৃণমূল পর্যায়ের এই সভা ও জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মনোবল অসামান্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে তারেক রহমান শুধুমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে যেভাবে তৃণমূলে দলের শেকড় প্রোথিত করেন তাতে অশুভ রাজনৈতিক শক্তির পায়ের তলা থেকে মাটি সরতে থাকে। ফলে তাতে ষড়যন্ত্রকারীদের গায়ে জ্বালা উঠে। বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দলা পাকানো হয় এবং এই চেষ্টা আজও অব্যাহত আছে।

বর্তমান ভোটারবিহীন নিশিরাতের সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালে মিথ্যা, সাজানো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় সাজা দিয়ে কারাগরে প্রেরণের পর থেকে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তাঁর পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মাতা বেগম খালেদা জিয়ার মতোই দলকে শক্তিশালী করতে দিনরাত কাজ করে চলছেন। বর্তমান তাঁর নেতৃত্বে সারাদেশে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবি দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। বাংলাদেশের মানুষ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি বিশ্বাস করে- তারেক রহমান এর নেতৃত্বেই হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে।

Photos from Bangladesh Nationalist Party-BNP's post 13/02/2024
28/01/2024

দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, দেশব্যাপী বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ ১ দফা দাবী আদায়ে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র কালো পতাকা মিছিল অব্যাহত রাখার ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

মো:শামীম অর রশীদ
সদস্য
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)
কদমতলী থানা শাখা, ঢাকা।

#বিএনপি #কালো_পতাকা_মিছিল #ডামিনির্বাচন #১দফাদাবী #টেইকব্যাকবাংলাদেশ

24/01/2024

তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে আমাদের হৃদয়ে।

২৪শে জানুয়ারি, ২০২৪
মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র কনিষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মরহমঃ আরাফাত রহমান কোকো'র ৯ম মৃত্যু বার্ষিকীতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

20/01/2024

"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" শহীদ জিয়া অমর হউক। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা অমর হউক।

16/01/2024

“ওদের হাতে গোলামীর জিঞ্জির,
আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা”
-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের শেষ নির্বাচনী সভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই উক্তিটি করেন।
খালেদা জিয়া ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই। স্বৈরাচার, অবৈধ,জনবিরোধী,গণতন্ত্রহরণকারী ডামি সরকারের পতন ও পদত্যাগ না ঘটানো পর্যন্ত রাজপথে বাংলাদেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন চলছে চলবেই।
সৌজন্যে-
মো: শামীম অর রশীদ
সদস্য
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)
কদমতলী থানা শাখা,ঢাকা,বাংলাদেশ।

14/01/2024
14/01/2024

প্রিয় বাংলাদেশ, নিরাশ হওয়ার কিছুই নেই, গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের চলমান সংগ্রাম চলছে, চলবে।

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে বিএনপি'র একজন নেতা বা কর্মী ঘরে ফিরবে না!

14/01/2024

বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিবৃতি।

-যৌথ বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হলো-

-এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল),

-ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস),

-ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ),

-এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন),

-ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া),

-অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)।

14/01/2024

এই বর্বরতার শেষ কোথায়?

ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবাকে শেষ বিদায় জানালো মির্জাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল হোসেন মৃধা।

শনিবার বিকালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সংক্ষিপ্ত সময় নিয়ে উপজেলার সুবিদখালী রই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বাবার জানাজার নামজে অংশ নেন তিনি। তার বাবা মো. মোতালেব মৃধা শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নাজমুল মৃধা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তার বাবা উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মোতালেব মৃধাকে দাফন দেয়া হয়।

31/12/2023

With the best compliments of
"Happy New Year 2024"
to all.
MSO Rashid,Kodomtoli Thana Branch BNP, Dhaka.

29/12/2023

"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"
শহীদ জিয়া অমর হউক।
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী স্বৈরাচার, খুনি, অবৈধ, ভোটচোর,জালেম হাসিনা সরকারের দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ও গুন্ডা পুলিশ বাহিনীর অসহনীয় ও চরম নির্যাতন এবং নিপীড়নের পরেও জিয়ার আদর্শের সৈনিকেরা জনগণের ভোটের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন চলছে চলবেই।
জিয়ার আদর্শের সৈনিকরা চলমান যুদ্ধের বিজয় অর্জন করবেই ইনশাআল্লাহ্। আসুন আমরা সবাই মিলে ডামি নির্বাচন বর্জন করি, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব ইনশাআল্লাহ্।
মোঃ শামীম অর রশীদ
সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
কদমতলী থানা শাখা, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Photos from Bangladesh Nationalist Party-BNP's post 27/12/2023

খুনি হাসিনা এবং তার দলীয় সন্ত্রাসী ক্যাডারদেরকে থুথু ও ধিক্কার জানাই। ছি!ছি!ছি! বাংলাদেশের মাটিতে একদিন ঠিক জনগণ এই অন্যায় খুনের বিচার করবেই করবে।

23/12/2023

"Bangladesh Zindabad"

Dictatorship,vote stealer, murderer,terrorist Awami Hasina is going to conduct a farce election. The people of Bangladesh don’t want to accept it. That's why they are still continuing the movement with BNP.
Inshallah we shall over come.

Kind regards-
Mohammad Samim Or Rashid
Member
Bangladesh Nationalist Party (BNP)
Kodomtoli Thana Branch, Dhaka.

20/12/2023

"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ "
বিএনপি রাজনীতি করে দেশের জনগণের জন্য।
গনতন্ত্র ও জনগণের আস্হায় বিশ্বাসী।
বিএনপিতে আপোষের কোনো জায়গা নেই।
মো:শামীম অর রশীদ
সদস্য,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)
কদমতলী থানা শাখা,ঢাকা।

16/12/2023

With the best compliments of "Great Victory Day" in Bangladesh.

15/12/2023

একতরফা তফসিল, একতরফা প্রহসনের নির্বাচন
মানিনা মানবো না।
একদফা এক দাবি
হাসিনা তুই কবে যাবি।

Wilt u dat uw publiek figuur hét hoogst genoteerde Publiek Figuur in Amsterdam wordt?
Klik hier om uitgelicht te worden.

Video's (alles zien)

Type

Telefoon

Website

Adres

Amsterdam

Andere Politicus in Amsterdam (alles zien)
گروپی بارزانی خۆبەخش - ھۆڵەندا گروپی بارزانی خۆبەخش - ھۆڵەندا
Amsterdam

گروپی بارزانی خۆبەخش ھۆڵەندا - ئامانجمان خزمەتکردنی ڕێبازی پیرۆزی بارزانیە لە ھۆڵەندا و کوردستان

KOANG KOANG
Amsterdam, WORK

Lyrics maker

Daniël Bosch Daniël Bosch
Amsterdam, 1051EG

Mariëlle Paul Mariëlle Paul
Amsterdam

Minister voor Primair en Voortgezet Onderwijs

Rádio a Pilha Rádio a Pilha
Amsterdam

Rosa amsterdam Rosa amsterdam
Erenstraat 29
Amsterdam

De nieuwste mode bij rosa-amsterdam, profiteer nu!

Francisco Gómez Olivares Francisco Gómez Olivares
-s´Gravesandestraat
Amsterdam

All time newss All time newss
Oostelijke Handelskade 1065, BW Amsterdam, Нідерланди
Amsterdam, 1019

Новостной портал свежей информации на сегодня

Aqua GQ Aqua GQ
Амстердам 12
Amsterdam, 1232412

Kafka the Kat Kafka the Kat
Purrsidential Palace
Amsterdam, 1012KB

ᴥYellow-eyed BLH brownies World’s First Purrsident KAFKA ♂ &little ANAKIN ♂⁣⁣⁣⁣ &hu

Femke Halsema Femke Halsema
Haarlem
Amsterdam

Mayor of Amsterdam

Mahir Alkaya Mahir Alkaya
Amsterdam, 1008DG

This is official page of politician Mahir Alkaya.