Md Shamim Pramanik
তুমি এমন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করো না, যার কারণে তোমাকেই একদিন সে ধ্বংস করে দেয়৷ [email protected]
'ভুল' ছোট হোক অথবা বড় হোক দুটোই জীবনে ভীষণ কষ্ট দেয়। বড় ভুলগুলো কিছুদিন কষ্ট দেয় আর ছোট ভুলগুলো সারাজীবন কষ্ট দেয়। এবং এই দুই ভুলের কষ্টগুলো সয়ে যারা কোনরকম ভাবে বেঁচে ফেরে- তাঁরা জীবনে সঠিক শিক্ষা অর্জন করে।
-শামীম নিমু✍️
১৯-০৬-২০২৪ইং
মিথ্যে সাংবাদিক
-শামীম নিমু✍️
দেশের প্রধান বিখ্যাত সংবাদপত্র এটি,
এখানেই অন্যায়ের যতসব কথা বলে থাকি,
তবে, যদি পাই একটুখানি ভিন্নরুচির থলী!
একদিন ভোর সকালে আসিয়া হাপিয়া,
নামটা যে ছিলো কি সেও ঠিক জানিনা!
কহিলো জনাব, এই বিপদে সাহায্য চাই,
যদিও এর কিছু বিকল্প খুঁজে না পাই,
তাহলে তো আজ আর আমার রক্ষা নাই!
কহিলাম ওহে, বলো তো তোমার আবদারখানা কি?
ছয় বছরের অবুঝ এক নারী শিশু জনাব,
প্রথমে তাহার লাজলজ্জা লুঠিয়ে নিয়েছিলাম,
শিশুটি তখন ক্রন্দনরত, দেখে ভীষণ অসহ্যবোধ করেছি,
এরপর ওর ঐ ছোট্ট শ্বাসটুকু ওকে আর নিতেও দেইনি,
নির্জনের সেই ঝোপের পাশেই মুখ চেপে মেরে ফেলেছি!
তবে কি আর সেখানে ওর ঐ মৃত দেহটা ওভাবই রেখে এসেছি?
না, ওখানকারই পঁচা এক ডোবায় ফেলে দিয়েছি!
জনাব, এই নিয়ে সমাজে আজ হাজারো জনতার কতসব কথাই না বলাবলি চলছে,
না জানি এরই মাঝে কেউ ওর দেহটাকে নিয়ে যান সত্যের মর্গে!
তাই এসেছি বাঁধা দিতে জনাব, অন্তত কিছু একটা লিখুন না এ ব্যাপারে কাগজে?
এহি হলো আবদার, আছি জনাব মহা বিপদে!
বুঝেছি, বুঝেছি, তবে কি আর এভাবে লিখতে পারি খালি হাতে?
কহিলাম, কিছু কি বলিলেন জনাব আমারে?
ওহে জানো কি, সুসংবাদ লিখতে হলে যে ভরা একটি থলে লাগে?
জনাব বড়ো নিরুপায় আমি যথাসাধ্য যদি নাহি দিতে পারি, ধরুন পঞ্চাশ বাণ্ডিল দিলাম, চলবে কি?
ঠিক আছে, অচিরেই কাজ হয়ে যাবে, এবার তবে তুমি ঘরে যাও চলে, কিছু একটা লিখিবো আমি ভেবে!
গতকাল অদ্য দুপুরে শিশুটি গিয়েছিল গোসলে,
দেখিলাম গিয়ে শিশুটি উঠেছিল ভেসে ভরা জলের উপরে,
ইহাই কিছু তথ্য লিখিয়া- ধরিলাম তুলে পত্রিকার শিরোনামে।
আহা! সারা দেশের ক্লান্ত সমাজ জনগণ ঘুমিয়ে পড়িলো-
এমন পত্রিকার মিথ্যে বানোয়াট সংবাদটি পড়ে পড়ে.!
রচনাকালঃ ১৮-০৬-২০১৮ইং৷
এতো বেশি ভালোবেসো না আমায়,
বড়ো ভয় হয়.!
মাঝেমধ্যে একটুখানি ঘৃণাও করতে শিখো.!
নয়তো এতো বেশি ভালোবাসলে,
হঠাৎ কোনো একদিন হয়তোবা- আমি তোমায়,
তুমি আমায়,
হারাতে পারি- কোনো এক অজানা দূর সীমানায়।
-শামীম নিমু✍️
১৬-০৬-২০২৪ইং।
এমন কোনো অভিনয় করো না যা নিজের মরণকে নিজেই ডেকে আনছো..!
-শামীম নিমু✍️
১৬-০৬-২০১৬ইং।
মাঝ রাতে আমি বালিশ খুঁজছি,
অথচ বালিশটা আমার মাথার নিচেই পড়ে আছে;
শুধু বালিশের কাভারটা ভিজে গেছে!
কতো বড়ো একটা বাড়ি! রয়েছে পাঁচ সাতটা ঘর;
প্রত্যেকটা ঘরেই রয়েছে নকশাকার আসবাবপত্র,
নেই শুধু ঘরের মানুষ!
এতো বড়ো বাড়িতে শুধুমাত্র আমি একাই থাকি।
রাতে কিম্বা দিনে- যখন কোনকিছুই ভালো লাগতো না,
অমনি সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদের উপর উঠে পায়চারি করে বেড়াতাম, এবং
ঐ সময় লক্ষ্য করেছিলাম-
ছাঁদের কোনখানে ফাটল অথবা কোনো একটি ছিদ্রও ছিল না।
নক্ষত্র ভরা রাত,
আজ রাতে ঝড়-বৃষ্টিও হয়নি,
ভাবছি, তবুও কিভাবে বালিশের কভারটা ভিজলো!
তবে কি কেউ এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেছে?
কিন্তু কিভাবে? অসম্ভব, এটা কখনো হতেই পারে না!
কতো নীরব রাত্রি,
বাড়ির ভিতরে বা বাহিরে কারো কোনো সাড়াশব্দও নেই,
অনুমতি ছাড়াই অমনি কেউ একজন এসে ঘরে প্রবেশ করতে পারে..
সেটিও কারো পক্ষে সম্ভব নয়, কারণ-
প্রত্যেকটা ঘরের দরজা জানালা গুলো সব বন্ধই থাকে;
অথচ- ভাবতেই অবাক লাগছে, ভেজা বালিশ,
মাথার চুলগুলিও সব ভিজে গেছে!
ভীষণ অস্থির লাগছিল,
বিছানা থেকে উঠে- ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম,
আয়নার ফলকে মাথার চুলগুলি মুছতে গিয়ে দেখতে পেলাম-
দু'চোখের সাদা অংশে ফুটেছে দুটি লাল গোলাপ।
অশ্রুপাত
-শামীম নিমু✍️
রচনাকালঃ ২৭-০৩-২০২৪ইং।
১২ই আগস্ট ২০২১ইং সাল, বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ৪২মিনিট, আব্বা তখন অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে ছিলেন আর আমি ছিলাম কাজের সাইটে, এরই মধ্যবর্তী আমার আর আব্বার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছিল প্রায় ১৫মিনিটের মতো৷ ফোনের শুরুতেই আব্বা আমায় কেঁদে কেঁদে বলতেন,
"আব্বু... আব্বু... কেমন আছো আব্বু তুমি..." (ফোন করলেই একথাটি তিনি প্রায়ই বলতেন.!)
তাঁর সেই কান্না জনিত কণ্ঠস্বরটা এখনও আমায় গভীর রাত পর্যন্ত জাগিয়ে রাখে, একটুও ঘুমতো দেয় না.!
সকাল, বিকেল, সন্ধ্যে ও রাত্রিবেলা অসহ্য এক করুণ দীর্ঘশ্বাস ভিতরেই থেকে যায়, ভিতর থেকে বের করার জন্য বারবার চেষ্টা করি কিন্তু পারিনা, প্রতিবারেই বিবেকহীন এক নিঃশ্বাসের কাছে হেরে যাই.!
সবকিছু ঠিকঠাক থেকেও কেনো যেন মনে হতো কি জানি একটা কিছু নাই নাই.!
সেদিনের ১৫মিনিটের ভিডিও কলে আব্বা আমায় তাঁর নানারকম কষ্টের গোপন অনুভূতিগুলো খুলে বলেছিলেন.!
যাহার উদাহরণ ছিলাম আমরা সকল অপদার্থ সন্তানেরা.!
আব্বার সাথে আমার সর্বশেষ কথা হয়েছিল ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১ইং সাল, রোজ বৃহস্পতিবার.! অর্থাৎ আব্বার মৃত্যুর দুইদিন পূর্বে.!
এছাড়া এরও বেশ কিছুদিন পূর্বে অন্য কারো একজনের ফোন থেকে ভিডিও কল করে আরো বেশ কিছু কথা হয়েছিল, যার অভাবটা এই অভাবী সন্তানটা ঐসময় তা পূর্ণ করতে পারেনি.!
আব্বার সেই অভাবের বিষয়টি এক পর্যায়ে আমি শেয়ার করেছিলাম তাঁর আরেক সন্তানের কাছে, কিন্তু আমি দুশ্চিন্তা করবো বলে আব্বার অভাবের বিষয়টা সে আমায় সাতপাঁচ বুঝিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে থামিয়ে রেখেছিল.!
সেদিন যদি আব্বার সেই অভাবটা কোনভাবে হলেও আমি তা পূর্ণ করতে পারতাম তবে হয়তো আব্বা ঠিকই এই দুনিয়ায় আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারতেন.!
আর আব্বার এই অভাবের বিষয়টা প্রতিটি মুহুর্ত আমায় কোনভাবেই শান্তিতে থাকতে দেয়না.!
সবসময় শুধু একটাই অনুসূচনায় কাতরে আফসোস করতে থাকি- 'কেন আমি কোথাও থেকে ধার করে হলেও আব্বার অভাবটা অন্তত পূর্ণত্ব করতে পারলাম না.!'
আব্বার সঙ্গে ভাঙা ভাঙা গলায় কথা হয়েছিল মৃত্যুর দুইদিন পূর্বে, দু'চোখ দিয়ে শুধু অজস্র অশ্রু ফেলে বলেছিলেন-
"দোয়া করি আব্বু তুমি ভাল থেকো, আল্লাহ্ তোমাকে সুস্থ রাখুক.!"
সেদিনের পরেরদিন কেন জানি মনটা আমার আতকে উঠলো, বাড়িতে একবার ফোন দেই, তখনই ফোন করলামও, ভিডিও কল দিয়েই দেখতে পেলাম আব্বা তখন ছটফট করছিলেন.!
কখনো তিনি শোয়া থেকে উঠে বসছিলেন আবার কখনো তিনি এদিক সেদিক কাঁত হয়ে শুইছিলেন.! ঐ মুহুর্তে আব্বার পাশে ছিল শুধুমাত্র আমার স্ত্রী, এছাড়া আব্বার পাশে তখন অন্য কেউ আর ছিল না.! আব্বার অমন পরিস্থিতি দেখে তখন আমার স্ত্রী কি করবে না করবে কোনকিছুই সে ভেবে পাচ্ছিল না.!
আব্বাকে আমি তেমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমার স্ত্রীর উপর এক পর্যায়ে তখন রেগে গিয়ে তাকে বললাম 'আব্বাকে নিয়ে তুমি এখনই হাসপাতালে চলে যাও,' আমার কথা শুনে সে তখন তাই করেছিল.!
ঐসময় আমার স্ত্রী একটাই তখন প্রশ্ন ছিল যে- হাসপাতালে নিয়ে গেলে তো অনেক টাকার প্রয়োজন, আমি তখন তাকে বলে দিলাম- 'টাকার ব্যপারে তুমি দুশ্চিন্তা করো না... কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি টাকার ব্যবস্থা করে তোমায় বিকাশ করে পাঠিয়ে দিচ্ছি.!'
কথাটা বলে তখনই আমি রুম থেকে বেড়িয়ে বাজারের দিকে রওয়ানা দিলাম, এখানকার দীর্ঘদিনের আমার পরিচিত এক দোকানদার ভাইয়ের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার করে টাকাটা আমি অতি দ্রুত আমার স্ত্রীর বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে দিলাম.!
সেদিন বৃহস্পতিবার, আব্বা হাসপাতালে আর বাকি সকল সন্তানেরা যার যার মতো নিজেদের (-) আয়োজনে ব্যস্ত ছিল.!
একটা বিশ্রী রহস্য... কারো মাঝে এতটুকুও রক্তের মিল থাকতে দেয়নি, সকলের শরীরেই ছিল শুধু রক্তের গরম.!
আর এদিকে আমি পড়ে আছি নিজ দেশ ছেড়ে ৩ হাজার ৫০০শত ২৮ কিলোমিটার দূরত্বের এক পাথরের পাহাড় পর্বতের দেশে.!
দু একজনের কাছে ফোন করে আব্বার পরিস্থিতির বিয়ষটা জানালাম... কিন্তু তাঁরা নির্ধিদায় বলে দিলো... 'আব্বার নাকি এরকম সমস্যাগুলো প্রায় হয়ে থাকতো.!' (যা আমি কখনই জানতাম না..!)
এমন কথাটা শুনে আমি আর তখন তাদেরকে বলার কোন ভাষাই খুঁজে পেলাম না, লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরেক্ষণেই ফোন করলাম... বাকি সকল বোনদের কাছে... ওরা প্রত্যেকেই ছিল অভাবে ভুক্তভোগী বাবার আদরের মেয়ে সন্তান.! অসুস্থ বাবাকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে যাবার মতো অটো ভাড়ার টাকাটিও তাদের কাছে থাকে না.!
সবাইকে বলে দিলাম- 'কোনো সমস্যা নেই, ব্যবস্থা করছি.!'
বোনেরা আর যে যেভাবেই দিনকাল কাটাক না কেন অন্তত আব্বার মৃত্যুর পূর্বে কিছুটা সময় হলেও ওদের সকলের পাশে থাকার সৌভাগ্যটা জুটেছিল.! ফোনের ওপাশের লাইনে ছিলেন আমার মেজো বোন, কান্না জনিত কণ্ঠে চিৎকার করে হঠাৎ তিনি আমায় জানিয়ে দিলো-
"ভাইরে আব্বা আর বেঁচে নেই.!"
অথচ বাবার স্নেহে গড়া ছেলে সন্তানেরা তখনও তাঁরা যার যার অবস্থানে নানা কর্মে ব্যস্ত ছিল.!
এ থেকে প্রকৃতপক্ষে এটাই আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি...
"ছেলে সন্তানদের তুলনায় বাবাকে বেশি ভালোবাসে- বাবার মেয়ে সন্তানেরাই.!"
(বাস্তবিক কাহিনী)
বাবা কখনো এমনি এমনি মরে যায়নি,
বাবাকে মেরে ফেলেছে তাঁর সন্তানেরা.!
-শামীম নিমু✍️
রচনাকাল: ২৪-০৯-২০২২ইং৷
যাহার ঘর নেই চালও নেই, এবং
আপনজনও কেউ নেই,
অনাথ অথবা ভবোঘুরে-
সমাজে বাস্তবতা তাঁরাই শুধু মনখুলে প্রকাশ করতে পারে।
-শামীম নিমু✍️
০৭-০৬-২০২৪ইং।
বিশ্ব জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে হারে এ যুগের নারীরা তাঁরা তাদের সম্মান অপচয় করছে তাহার ঘৃণার ফসল স্বয়ং তাঁরা নয় বরং তাদের অভিভাবক'রা।
-শামীম নিমু✍️
০২-০৬-২০২৪ইং।
আজ অনুরূপ বছরের এইদিন তারিখে আমার আদরের মেয়ে "তূর্ণা" মা'মনি এই দুনিয়ায় এসেছিল এবং আজ তাঁর জীবন থেকে ২২টি বছর অতীত হলো..😥😢
আরও বহুবছর বেঁচে থেকো মামনি- অধম এ বাবার পক্ষ হইতে রইলো অবিরাম দোয়া ও আশীর্বাদ...💞🌹💚❤️ ....সেইসাথে আমার মামনির জন্য আপনাদের সকলের নিকট জানাই দোয়ার আর্জি- সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন..!!🙏🌹
৩১-০৬-২০২৩ইং৷
একদিন হঠাৎ বৃষ্টি ঝড়বে,
তুমি সেদিন ভিজবে আর আমি রবো অনন্ত ঘুমে।
-শামীম নিমু✍️
২৭-০৫-২০২৪ইং।
আমি কবি হয়েছি শুধু তোমার জন্য।
কারণ, তুমি আমায় খুব বেশি ভালোবাসো এবং খুব বেশি কষ্ট দাও বলে।
-শামীম নিমু✍️
২৩-০৫-২০২৪ইং।
কেউ মোরে ভাবিয়া ভীষণ হিংসে করে,
মিছে কোনো অভিমান পুষিয়া চুপিচুপি কাঁদে,
চিনিনা, জানিনা- বলিতেও পারিনা,
কেনো যে সে সারাক্ষণ বাস করে এ হৃদয়ে.!
-শামীম নিমু✍️
১৯-০৫-২০২৪ইং।
অধীর রাত্রি আমার
হয় না তো ভোর,
বলতে পারিনা তোমায়
হৃদয় করেছি পাথর।
জানালার পাশে বসে
গুনি, আকাশের তারা,
চাঁদ হাসে মেঘের ভাজে
আমি কাঁদি দিশেহারা।
মিটিমিটি আলোতে পাই
জোনাকির আদর,
তবু তুমিহীনা হৃদয় আমার
যন্ত্রণায় কাতর।
তুমিহীনা
-শামীম নিমু
রচনাকালঃ ১৮-০৫-২৪ইং।
বিষয়: গান
গানের প্রথম কলি: কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো
গানটির ছায়াছবির নাম: উসিলা
গানের কথা: নজরুল ইসলাম বাবু
গানের সুর: আলী হোসেন
গানের মূল শিল্পী: সুবীর নন্দী
কাভার কণ্ঠে: শামীম নিমু
শুনলাম, গতকাল নাকি বর পক্ষেরা তোমায় দেখতে এসেছিল.!
তোমার মুখে ছিলো কতো মিষ্টি হাসি,
ভুরু ও চোখের পলকে পরেছিলে কালো কাজল,
মাথার সিঁথিতে ও গলায় পরেছিলে হলদে ফুল;
পরনে কী যে পরেছিলে, তোমার অর্ধাংশ ছবিটা দেখে তা আর অনুমান করতে পারিনি!
জেনেছি, ছেলেটি নাকি ছিলো- লম্বায় পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি,
দেখতে ছিলো ঠিক যেন- হলিউড তারকা “রবার্ট প্যাটিনসনের” মতো,
ছিলো- প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের সেলারি প্রাপ্তি একজন সরকারি চাকরিজীবী;
প্রতীক্ষায় যা চেয়েছিলে তুমি- তোমার ভাগ্যের দুয়ারে সেটাই এসে আজ উপস্থিত;
জীবনে সুখী হতে এরবেশি আর কি চাই তোমার.!
তোমার মলিন মুখের মিষ্টি হাসির জাদুতে পছন্দের সেই ছেলেটিকে করেছো তুমি চির বন্দি,
আজ বাদে কিছুদিন পরে উতলা মনের বারান্দায় বাজবে বিয়ের সানাই,
সানাইয়ের সুরে অতীত, আগামী ও ভবিষ্যৎ-এর সম্পূর্ণ ক্ষুধাটা মিটাবে পুরো রাত্রিবেলায়,
এরপর উদাসী ক্লান্তি দেহে এক পর্যায়ে তুমি ঘুমিয়ে পরবে!
ভোরের পাখিরা সবাই আজ কতো নীরব!
মুয়াজ্জীনের আযানের পরিবর্তে হঠাৎ তুমি স্বর্গের বুকে মাথা রেখে মাইকের আওয়াজে শুনতে পারবে-
তোমার ভালোবাসা না পাবার ব্যর্থতায় অবহেলিত সেই ছেলেটি আজ পরপারের যাত্রী.!
ব্যর্থ পথিক
-শামীম নিমু✍️
রচনাকালঃ ১৪-০৫-২৪ইং।
হাসলেই অনেকে মনে করো- আছি বেশ সুখে,
ভিতরটা যে পুড়ছে কিসে, তার দুর্গন্ধ বলো- শুঁকো ক'জনে.?
-শামীম নিমু✍️
১৬-০৫-২৪ইং।
ভালোবাসলে-
হঠাৎ তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে ভিজতে হয়,
পাবো না জেনেও সাত সমুদ্র সাঁতরে পাড়ি দিতে হয়,
কখনো সখনো সুস্থ সবল দেহটাকে অগ্নিকুণ্ডে পোড়াতে হয়।
-শামীম নিমু✍️
১৬-০৫-২৪ইং।
আজ কতোদিন তোমায় বলা হয়নি-
"কেমন আছো?"
তুমি হয়তো ভাবছো-
আমার এমন নীরবতা তোমায় করেছে পর,
হয়তোবা সবার মতো আমিও তোমায় চিরতরে ভুলে গেছি,
তোমার অসহ্য কলঙ্কের কালো দাগে- আমি তাতে এঁকে দিয়েছি ধবধবে সাদা রঙ,
যেন তা ঘৃণার চোখে সবাই দেখতে পারে!
এমন উদ্ভট আরও কতসব ইত্যাদি ইত্যাদি ভুল ভাবনায়....
হয়তোবা, আমি আমার এমন নীরবতায় তোমার ভাঙা হৃদয়ের বাকি অংশটুকুও ভেঙে ফেলেছি.!
-শামীম নিমু✍️
১৬-০৫-২৪ইং।
আমার কবিতা,
কবিতা ভালোবাসে না!
আমার কবিতার একটাই প্রার্থনা-
আমি যেন আর তাকে নিয়ে কবিতা না লেখি!
অথচ আমার কবিতা একথাটি কখনোই জানে না,
আমি আমার কবিতার জন্য-
মৃত্যুকেও চির সঙ্গী করে নিতে পারি!
-শামীম নিমু✍️
২৮-০২-২০২৪ইং।
বিবেকের সীমানায় ইলেকট্রিক কাঁটাতারের বেড়া।
নেমপ্লেটের গায়ে আঁকা নিষিদ্ধ সতর্কীকরণ, স্পর্শ করলেই নির্ঘাত মৃত্যু!
এরপরও কাঁটাতারের চারপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে শৃগাল আকৃতির কিছু রক্ষীবাহিনী!
নিস্তব্ধ চাঁদনী রাত-
তীক্ষ্ণ দক্ষিণা হাওয়া, বেগুনি মেঘের ভাজে উল্কাপাত, মাঝেমধ্যে অসহনীয় চিৎকার;
চারপাশে বিপুল দ্বীপপুঞ্জ, সাগরের কিনারায় মুক্তোর মতো জ্বলছে বালির রাজ্য।
দু ডানায় বালি সরিয়ে নির্ঘুম নীড়হারা ক্লান্ত পাখিরা সব হাঁটু গেড়ে বসে বসে কাঁদছে!
আরেক পাশে সীমাহীন বৃক্ষ, মাটিতে পাতা ঝরার পর পরেই করছে- বিকট গর্জন;
অপূর্ব রাতের হাওয়ায় নরম ঘাসের ডগায় দুলছে যেন শিশির কণা,
কিন্তু না! জ্বলছে- সতীত্ব হারানো অসংখ্য আঠালো ধাতু!
কর্তৃত্বের অপব্যবহার
-শামীম নিমু✍️
রচনাকালঃ ২৬-০২-২০২৪ইং।
ছবিঃ সংগৃহীত অনলাইন
ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসবো
-শামীম নিমু✍️
আমাকে ভালোবাসো বলে তারমানে এই নয় যে-
বিনিময়ে আমি তোমাকে আমার হৃদয়টা দিয়ে দিবো!
ধরো,
আমার হৃদয়টাই যদি তোমাকে দিয়ে দিই!
তবে কি আর আমি সেই হৃদয়ের বিনিময়ে পাবো আরেকটি হৃদয়.?
আমাকে ভালোবাসো বলে তারমানে এই নয় যে-
বিনিময়ে আমি তোমাকে আমার জীবনটাকে উৎস্বর্গ করবো!
ধরো,
আমার জীবনটাই যদি তোমাকে উৎস্বর্গ করি!
তবে কি আর আমি সেই জীবনের বিনিময়ে পাবো আরেকটি জীবন.?
আর যদি মনে করো-
আমি তোমার হৃদয় কিম্বা নিঃশ্বাস অথবা জীবনের মূল সূত্র!
আসলে আমার মতে, এগুলো সবেই হলো স্বার্থপর এক হৃদয়ের কিছু অভিনয় মাত্র।
যেসব কথাগুলো বলে বলে স্বার্থহীন এক হৃদয়কেই শুধু করতে পারে কাবু;
আর যে অভিনয় গুলো শুধুমাত্র মানায় নাটকে বা সিনেমার পর্দাতে!
যা বাস্তবে, আমাকে ভালোবাসার বিনিময়ে-
তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারা সম্ভব নয়.!
রচনাকালঃ ২৬-০২-২০২৪ইং।
চন্দ্রবিন্দু' লিখতে 'চ' উপর
[ ঁ=চঁন্দ্রবিন্দু ] না বসিয়ে দিলে ঁ-এর মান থাকে না।
-শামীম নিমু✍️
২৩-০২-২০২৪ইং।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Muscat
113
L
Muscat
I love creative writing and reached upto a matured level. Many of my articles have been published at various platforms around the world. Recently my two books were published, "...
Muscat
Creativity as a whole. Includes paintings, doodle art, digital art/ photography, crafts.
Sohar
Muscat
নারীর বিচ্ছেদে ভেঙে পড়া পুরুষ উঠে দাড়াঁয়;কিন্তু আর্থিক সংকটে পড়ে সেই পুরুষ টাই বাঁচার সম্ভাবনা হয় না
Muscat
ওমানের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো! সব সময় আমার পাশে থাকার চেষ্টা করবেন, ধন্যবাদ!