EPrescription Point - জরুরী স্বাস্থ্যসেবা
Free service health concerns
COVID-19
❤️❤️❤️শুভ সকাল❤️❤️❤️
Blood transfusion is one type of organ transplantation.... কারন এখানে একজনের শরীরের টিস্যু আরেকজনের শরীরের প্রবেশ করানো হচ্ছে ।। কোনো টিস্যু অন্যের শরীরে দেয়ার পর দুইটা পক্ষ সেখানে কাজ করে- প্রবেশকৃত টিস্যু যাকে graft বলে, আর যার শরীরে প্রবেশ করানো হয় তাকে Host বলে । অনেক সময় এই গ্রাফট - হোস্ট এর মারা মারিকে Graft Vs Host Reaction বলা হয় ।। এই মারা মারির মূল কারন হলো - Graft এর মধ্যে কিছু Immune Competent Cell থাকা ।। এই সেল গুলো Host শরীরকে ফরেন বডি মনে করে আক্রমন করে বসে। সেখানেই বিপত্তি ।। এই ঘটনা সবচেয়ে বেশি Bone marrow and Kidney Transplantation এর সময় । Transplantation Immunity এর এই ঘটনার পিছনে থাকে HLA System.... এই HLA Matching না হলেই Antigen antibody reaction হয় ; যা খুব সিরিয়াস পর্যায়ে যেতে পারে । যেমন- Husband থেকে Allo Antigen স্ত্রীর শরীরে প্রবেশ করে Baby এর মাধ্যমে । সুতরাং এই প্রিফরমড এন্টিবডি গুলোও রিএকশন করতে পারে । ফ্যামিলি মেম্বারদের মধ্যে এই ধরনের রিএকশন হতে পারে । সুতরাং Graft vs Host reaction প্রতিরোধের উপায় হলো - টিস্যু টাইপিং (HLA Typing) ও Auto Cross Matching করে নেয়া ( এটা MLR বা Mixed Lymphocyte reaction দিয়ে দেখা যায়) ... ।। এই রিএকশন Acute or Chronic হতে পারে । সিম্পটম হিসেবে Rash , Burning , Redness of Mucosa.... যার ফলে অনেকের ডায়রিয়া, ব্লিডীং, রেনাল ফেইলুর ইত্যাদি হতে পারে । এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এখানে জেনে রাখা ভালো - রিএকশন সবার হবে, এমন কোনো কথা নেই । তবে সতর্কতার জন্য নিজেদের মধ্যে Allo-Antigen মিক্স না করাই ভালো ।।
লো-ব্লাড প্রেসার
ব্লাড প্রেসার লো হলে যে খাবার খাবেন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমরা কম-বেশি সচেতন হলেও লো ব্লাড প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে ততটা নই। নিম্ন রক্তচাপের কারণে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব এবং অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ। নানা করণে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। যেমন ডিহাইয়েড্রেশন, রক্তস্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড, ইত্যাদি। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে নিজের প্রতি হতে হবে যত্নশীল। যা খেলে নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দূর হবে।
1.পানি
পানি কম পান করার কারণে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন। এটি রক্তের পরিমাণ হ্রাস করে যার ফলে রক্তচাপ কমে আসে। ব্যায়াম করার সময় নিজেকে হাইড্রেড রাখা আবশ্যক। প্রচুর পানি পান করবেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর শরবত, ডাবের পানি পান করবেন। এগুলো আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
2.কফি
ক্যাফেইন সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। যদি আপনার রক্তচাপ হঠাৎ কমে আসে এবং মাথা ঝিমঝিম করে তাহলে এককাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। ক্যাফেইন আমাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে উদ্দীপ্ত করে এবং হার্ট রেট বৃদ্ধি করে। যা রক্তচাপ পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
3.তুলসি পাতা
প্রতিদিন সকালে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তুলসি পাতায় উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই পাতার মধ্যে ইগেনোল নামে পরিচিত এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
4. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার
5.ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
6.ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার
7.খাবার স্যালাইন
8.সেদ্ধ ডিম
9.গ্লুকোজ এর শরবত
আজকে আমি একটা খুব পরিচিত একটা সমস্যা নিয়ে লিখতে বসলাম।আমরা অনেকেই এই সমস্যাটির সাথে পরিচিত,সমস্যাটি হলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। যা আজকাল আমাদের দেশের অনেক মেয়েদের ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে।আসুন, আমরা এই সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করি...
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কি?
👉সিস্ট বলতে বুঝায় পানি বা তরল জাতীয় কোন কিছু যখন একটা ছোট থলের মধ্যে থাকে। পলিসিস্টিক ওভারি বলতে বুঝায় ওভারি বা ডিম্বাশয়ে এরকম অনেক সিস্ট থাকে। সাধারণত ১২ টা বা তার বেশি সিস্ট থাকে।
কেন হয়?
👉যখন একজন মেয়ের শরীরে এন্ড্রোজেন নামক একটা হরমোন বেড়ে যায় তখন এ ধরণের সিস্ট তৈরী হয়।উল্লেখ্য , এই হরমোন পুরুষ দের বেশি থাকে।
কাদের হয়?
👉 মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকে মাসিক বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কোন বয়সেই হতে পারে।সাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সে বেশি হয়।প্রতি ১০ জন মেয়ের মধ্যে ১ জন মেয়ের হতে পারে। তবে যাদের ওজন বেশি তাদের বেশি হয়।
কি কি সমস্যা হলে বুঝতে হবে তার পলিসিস্টিক ওভারি হতে পারে?
👉সাধারণত যদি কোন মেয়ের মধ্যে এই তিনটি সমস্যা দেখা দিলে আমরা ধরে নিতে পারি তার পলিসিস্টিক ওভারি থাকতে পারে
১.অনিয়মিত মাসিক/মাসিক বন্ধ থাকা/মাসিক খুব কম পরিমাণে হওয়া
২.মুখে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক লোম,ব্রণ।
৩.শরীরের ওজন হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন জায়গায় যেমন ঘাড়, চামড়া অস্বাভাবিক কালো হয়ে যাওয়া।
কিভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়?
👉১.রোগীর মুখে তার সমস্যার কথা শোনা হয়।যদি তার মধ্যে উপরে উল্লেখিত সমস্যা গুলো পাওয়া যায়।
২.আমরা তলপেটের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে যদি ওভারি তে ১২ টা বা তার বেশি সিস্ট পাওয়া যায়।
৩.রক্তে এন্ড্রোজেন বেশি পেলে।
পলিসিস্টিক ওভারি থাকলে একজন মেয়ের কি কি সমস্যা হতে পারে?
👉১.ওজন বেড়ে যেতে পারে
২.বন্ধাত্ব
৩.ডায়াবেটিস মেলাইটাস (টাইপ -২)
৪.উচ্চ রক্তচাপ
৫.ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে
৬.স্লিপ এপনিয়া /ঘুমানোর সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে
৭.ডিপ্রেশন এন্ড এনজাইটি( হতাশা ও বিষণ্ণতা)
৮.জরায়ুর ক্যান্সার
পলিসিস্টিক ওভারি হলেই কি বন্ধাত্ব হতে পারে?
👉 না।সব সময় বন্ধাত্ব হয়না।
বন্ধাত্ব হলে কি চিকিৎসা করলে কি বাচ্চা হওয়া সম্ভব?
👉 সম্ভব।অনেক সময় নিয়মিত ও সঠিক চিকিৎসা নিলে এই বন্ধাত্ব থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব।
বন্ধাত্ব হলে চিকিৎসা কি?
👉১.ওজন কমানো।দেখা গেছে সাধারণত শরীরের ১০% ওজন কমালে তার মাসিক নিয়মিত হয় এবং তার বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
২.মেডিকেল ম্যানাজমেন্ট । অর্থাৎ আমরা কিছু ওষুধ দেই। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল,মেটফরমিন।
৩.সার্জিক্যাল ম্যানাজমেন্ট। অর্থাৎ আমরা কিছু সার্জারী করতে পারি। ল্যাপারোস্কোপিক সিস্ট পাংচার, সিস্টেকটমি, ওভারিয়ান ড্রিলিং।
সবশেষে আমরা ইন ভিট্রো ফারটিলাইজেশন করতে পারি।
শরীরে লোম বেড়ে গেলে চিকিৎসা কি?
👉১.কিছু ফেসিয়াল হেয়ার রিমোভাল ক্রিম আছে, যা অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
২.লেজার হেয়ার রিমোভাল।
৩.ইলেক্ট্রোলাইসিস ওফ হেয়ার।
কিভাবে আমরা পলিসিস্টিক ওভারি হতে নিজেকে কিছু টা হলেও দূরে রাখতে পারি?
👉 প্রত্যেক মেয়েদের উচিৎ নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
সবশেষে বলতে চাই, পলিসিস্টিক ওভারি হলে হতাশ না হয়ে ওজন কমান আর ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিন,সুস্থ থাকুন।যেহেতু অনেক দিন চিকিৎসা প্রয়োজন তাই ধৈর্যের বিকল্প কিছু নেই।
এলার্জির সমস্যা হলে অনেকেই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খায়। এই ওষুধ গুলো আমাদের শরীরে তৈরি হওয়া হিস্টামিনের কাজকে বাঁধা দেয়। আর আমাদের এলার্জির সমস্যা তৈরি হয় এই হিস্টামিনের কারণেই।
এন্টিহিস্টামিন ওষুধগুলো দুই ধরনের
▪First generation antihistamine-
promethazine, chlorpheniramine
▪Second generation-
cetirizine, levocetirizine, loratadine, ebastine, fexofenadine, rupatadine.
First generation গুলো আমাদের মস্তিষ্কের blood brain barrier (BBB) ক্রস করতে পারে, আর H1, α1 and muscarinic receptors ব্লক করে; তাই এগুলো glaucoma, Benign prostatic hyperplasia (BPH), Ischemic Heart Disease (IHD) রোগীদের দেয়া যাবে না। আর লং টার্ম ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যদিকে Second generation গুলো blood brain barrier (BBB) ক্রস করতে পারে না, আর selectively H1 ব্লক করে তাই এগুলোর সাইড ইফেক্ট খুব কম বা নাই। আর Second generation এর মধ্যে Cetirizine, levocetirizine, loratadine, desloratadine and fexofenadine দীর্ঘ দিন (৬ মাস থেকে ১৮ মাস) ব্যবহার করা যায়। এন্টিহিস্টামিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় allergic rhinitis এর জন্য।
এক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন (Antihistamine) এর ব্যাবহার কমানোর জন্য রোগীকে একটু কাউন্সেলিং করলে ভালো হয়
১। এই অসুখের permanent কোন চিকিৎসা নাই।
২। যে জিনিস গুলো খেলে বা যেগুলোর কাছে গেলে এই সমস্যা হয় সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন-বেগুন বা ইলিশ মাছ খেলে যদি সমস্যা হয় তবে এগুলো খাওয়া যাবে না। ধুলা-বালিতে গেলে বা ঠান্ডা লাগলে যদি সমস্যা হয় তবে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৩। আর যখন সমস্যা শুরু হয়ে যাবে, যেমন-নাক বন্ধ বা পানি পড়া তখন ঔষধ খাবেন।
এন্টিহিস্টামিন নিয়ে কারো কোনো পরামর্শ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন। 😊😊
🍀 Iron supplement
🍀 বাংলাদেশী মেয়েদের তিনটা Nutrient এর Supplement খুব commonly দেওয়া হয়💁। যেমনঃ-
1. Iron🙋.
2. Calcium🙋.
3. Folic acid🙋.
🍀 আয়রন এবং ক্যালসিয়াম হচ্ছে Divalent ion. মানে এদের যোজনী দুই। এই আয়নগুলো আমাদের small intestine থেকে একটা common channel দিয়ে absorption হয়। সেই চ্যানেলটির নাম হচ্ছে DMT (Divalent metal transporter).
🍀 ধরুন, একজন মহিলার একইসাথে আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের supplement দরকার। সেক্ষেত্রে কিভাবে প্রেস্ক্রিপশনটা লেখা যেতে পারে!!
🍁 Oral iron tablet (1+0+1)
🍁 Oral calcium tablet ( 0+1+0)
🍀 কেন দুপুরবেলা ক্যালসিয়াম দিলাম, আর আয়রন দিলাম রাতেরবেলা ও সকালবেলা!!!
🍀 এর কারণ হচ্ছে, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন একসাথে খেলে দুইজনই absorption হবার জন্য মারামারি করবে এবং More electropositivity এর জন্য ক্যালসিয়াম শোষণ হয়ে যাবে, GIT তে বসে বসে ডিম পাড়বে আয়রন। সুতরাং, Iron deficiency সহজে Correct হবে না।
🍀 So, be careful during combined supplement.
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ এড়াতে করণীয়ঃ
১) সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
২) রোজা রাখা ছাড়া পেট বেশিক্ষণ খালি রাখবেন না,দুই-তিন ঘন্টা পরপর একটি বিস্কুট বা একমুঠ মুড়ি হলেও খান।
৩) প্রচুর পানি খান
৪) নিয়মিত ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন।
৫)খাওয়ার পর সাথে সাথে শুবেন না। খাওয়ার কমপক্ষে ২ ঘন্টা পরে শুবেন।
৬) সকালে ভারী খাবার খাবেন,এবং রাতের খাওয়া ৭-৮ টার মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করবেন। এরপরে ফল বা সালাদ খান।
৭)একবারে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করবেন,পেট কিছুটা খালি রেখে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৮) ধুমপান,পান-জর্দার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
৯) অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
১০) অতিরিক্ত চা-কফি খাবেন না। দিনে সর্বোচ্চ ২কাপ।
১১) লবণ,তেল জাতীয় খাবার কম খান।
উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো কেউ সঠিকভাবে পালন করতে পারলে তার গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাওয়ার দরকার প্রায় পড়বেই না। সাথে সাথে প্রেশার,ডায়াবেটিস, হৃদরোগের সম্ভাবনাও একেবারেই কমে যাবে। তাই সব জানার পর আপনিই সিদ্ধান্ত নিবেন পরবর্তী দিনগুলোতে আপনি কেমন থাকতে চান।
“হাসপাতাল যখন বাড়িতে,করোনা চিকিৎসায় ভয় কিসে”
“করোনা ভাইরাস”একবিংশ শতাব্দির এক নতুন চ্যালেঞ্জ। সারাবিশ্ব এখন ব্যাস্ত করোনা ভাইরাস মোকাবিলায়। বিশ্বের সকল প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র যারা সকল দিক থেকে রোল মডেল হিসাবে ভূমিকা রাখছে তারাও আজ হিমশিম খাচ্ছে এই ভাইরাস মোকাবিলায়।
স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা সামাল দিতে পারছেনা এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা দিতে। বিশ্বের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এই করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে কমিউনিটিতে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। ব্যাপকভাবে আক্রান্তের কারনে হাসপাতালগুলো রুগী জায়গা দিতে পারছেনা। ফলে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে রুগী মারা যাচ্ছে রাস্তায়, বাসায় বা অপ্রত্যাশিত কোন জায়গায়। দায়ী করছি হাসপাতালকে, স্বাস্থ্যকর্মীকে সরকারকে। আসলে কি তাই। আসলে এই ভাইরাসকে না জানা,চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ভূল ধারনা, সময়মত সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা, সর্বোপরি ভয় আমাদের এই পরিণতিতে নিয়ে এসেছে।
করোনা থেকে বাচতে হলে করোনাকে নিয়েই বাঁচতে হবে। ভয় পেয়ে এর থেকে বাঁচা যাবেনা । এই ধারনা থেকেই আমরা নিয়ে এসেছি হসপিটালইন হোমপ্রোজেক্ট।
করোনা ভাইরাস কি?
করোনা ভাইরাস, সেই সকল ভাইরাস পরিবারের সদস্য যারা আমাদের স্বাভাবিক ঠান্ডা কাশি থেকে শুরু করে SARS( Severe Acute Respiratory Syndrome) ও MERS(Middle East Respiratory Syndrome) করে থাকে। এই ভাইরাস পরিবারের সর্বশেষ আবিষ্কৃত সদস্য হচ্ছে কোভিড ১৯ যেটা মানব দেহে আগে কখনো আগে দেখা যায় নাই।
কারা এই ভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকিতে আছেন?
১। প্রথঃমত সবাই,কারন এই ভাইরাস আগে মানব দেহে সংক্রমন হয় নাই।
২। সংকটপূর্ণ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাক্তি যেমন এইডস,ক্যান্সারের রুগী,জন্ম থেকে হরমন স্বল্পতার রুগী, যাদের জীবন ধারনের জন্য স্টেরয়েড অপরিহার্য ।
৩। কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাক্তি যেমন বয়স্ক, গর্ভবতী মা , লিভার ও কিডনী সমস্যাগ্রস্থ রুগী।
৪। যারা বেশি বেশি ভাইরাসে সংস্পর্শে আসছে যেমন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী,পুলিশ, সংবাদ কর্মী ।
ভাইরাসটি কোথায় কতক্ষণ জীবিত থেকে ছড়াতে পারে ?
এসব পদার্থ থেকে সংক্রমণ রোধে করনীয় কি?
১। অফিস আদালতে বা চাকুরী ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পোশাক বাসায় প্রবেশের সাথে সাথে সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে দিন বা পোশাকগুলো একটি ব্যাগে দুই দিন পর্যন্ত রেখে দিন ।
২। বাহিরে ব্যবহৃত বেল্ট, ধাতব পয়সা, আংটি, ঘড়ি ও অন্যান্য ধাতব পদার্থ একটি ব্যাগে তিন দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত রেখে ব্যবহার করুন।
৩। প্যাকেট বা কার্টুন আদান -প্রদানে সতর্ক থাকুন। স্পর্শ লাগার পর দ্রুত হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
৪। টাকা লেনদেনে যারা জড়িত তাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে । বাহিরের টাকা চার দিন পর্যন্ত আলাদা জায়গায় রেখে পরে ব্যাবহার করুন।
৫। বাহিরে বার হলে মাস্ক ব্যাবহার করুন। মাথায় পাতলা ক্যাপ ব্যাবহার করুন। বাসায় প্রবেশের পূর্বে এগুলো ঢাকনা যুক্ত বিনে ফেলে দিন।
মাস্ক ব্যাবহারের সাধারণ নিয়ম?
১। কাপড়ের মাস্ক ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন।
২। এক দিনের জন্য একটি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্কের বাহিরের বা ভিতরের অংশ স্পর্শ করবেন না । দুই পাশের ব্যান্ড ধরে মাস্ক পড়ুন এবং খোলার ক্ষেত্রে ব্যান্ড ধরে খুলুন।
৩। যারা কে এন -৯৫ বা এন-৯৫ মাস্ক ব্যাবহার করতে চান এবং পুনরায় ব্যাবহার করতে চান,তারা ছয় টি মাস্ক ব্যাবহার করবেন। প্রথম থেকে ৬ষ্ঠ দিন পর্যন্ত পর পর ছয়টি মাস্ক ব্যাবহারের পর ছয়টি কাগজের ব্যাগে সংরক্ষণ করুন। সপ্তম দিনে প্রথম দিনের মাস্ক ব্যাবহার করতে পারবেন। এভাবে দুই মাস পর্যন্ত ব্যাবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই খোলা ও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে ২ এর নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কোভিড ১৯এর উপসর্গ বা লক্ষন গুলো কি কি ?
১। জ্বর
২। কাশি
৩। তীব্র মাথাব্যথা
৪। ঘ্রান শক্তি লোপ পাওয়া
৫। শ্বাস কষ্ট
৬। আস্বাভাবিক দুর্বল লাগা বা কাজে আগ্রহ হারানো ।
৭। ডায়রিয়া
৮। স্কিনের বিভিন্ন জায়গায় ঘা হওয়া
উপসর্গ দেখা দিলে কি করব?
উপরে উল্লেখিত উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে আইসোলেশনে যান। আইসোলেশনে যাবার ব্যাবস্থা না থাকলে বাসায় মাস্ক ব্যাবহার করুন। কিছু সময় পর পর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। বাচ্চা ও বয়স্কদের থেকে দূরে থাকুন। আপনার কাপড় আলাদা রাখুন। মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। যে সকল মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়ান তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে বাচ্চা ধরার আগে বা দুধ খাওয়ানোর পূর্বে হাত ধুয়ে নিন ও মুখে মাস্ক পরে নিন। বাচ্চাদের খাওয়ার পাত্রগুলো ধরার আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
আইসোলেশনের প্রয়োজনীয় জিনিস
১. ইলেক্ট্রিক কেটলি
২. কাপ, গ্লাস, প্লেইট
৩. টি ব্যাগ
৪. ছুরি
৫. যে কোন মিনারেল ওয়াটার,১/২লিটার ও ৫ লিটার সাইজ
৬. মধু
৭. কালিজিরা
৮. আদা
৯. চিনি
১০. লবন্গ
১১. লেবু
১২. লবণ
১৩ মাল্টা, কমলা, আপেল এবং অন্য সিজোনাল ফ্রুটস
১৪. প্লাস্টিক / পলি ব্যাগ
১৫. স্যান্ডেল
১৬. টিস্যু
১৭. হাদিস, কুরআন, সাহিত্য বই
১৮ মোবাইল, চার্জার , ল্যাপটপ, মাল্টিপ্লাগ
১৯. এক্সট্রা কাপড়, টাওয়েল,
২০. সাবান –লাক্স, চাকা, ডিটারজেন্ট
২১. সিভিট ফোরট ট্যাব্লেট, ভিটামিন ডি — যদি খেয়ে না থাকে।
২২. প্যারাসিটামল, এন্টিহিস্টামিন, ইনহেলার, পিপিআই, Zinc tablet (pep-2)
২৩. ভিনেগার– গারগল করার জন্য
২৪. এরোসল,
২৫. শুকনো খাবার– মুড়ি, চিড়া, কলা, খেজুর
২৬. আয়না, কাচি
২৭. mask, gloves, hand sanitizer
২৮. মগ, বালতি
২৯. Pulseoxymeter
৩০. খাবার স্যালাইন ১০ প্যাকেট।
আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় সাধারণ চিকিৎসা
জ্বরের জন্যঃ
Tab. Napa extend
1+1+1
কাশির জন্য
Tab. Fenadin 120 mg
0+0+1 15 days
Tab. Monas 10 mg (যারা শ্বাস কষ্টের জন্য পূর্বে থেকে খেয়ে আসছেন। )
0+0+1 15 days
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য
Tab. Vasco / ceevit
1+0+1 15 days
Tab. Xinc/ Pep
1+0+1 15 days
Cap. Vital D 20000 IU
0+0+1 5 days
সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যেস যা আইসোলেশনে করে উপকার পাওয়া যাবে
১। হালকা গরম পানিতে লবন দিয়ে গড়্গড়া করা। হালকা গরম ভিনেগার দিয়েও গড়্গড়া করা যায় দিনে ৩-৪ বার
২। আদা, রং চা চিনি ছাড়া প্রয়োজন মত।
৩। গরম পানির ভাব নেয়া দিনে ২-৩ বার।
৪। মধু, লেবুর হালকা গরম পানি পান করা।
৫। অতিরিক্ত গরম পানি অনেক সময় গলার ক্ষতি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হালকা কাশিতে রক্ত আসতে পারে।
৬। ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা, বড় করে শ্বাস নিয়ে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখা, এরপর ছাড়া। এভাবে ৫ বার শ্বাস নিয়ে ৬ষ্ঠ বারে শ্বাস নিয়ে দুটি কাশি দেয়া । এভাবে দিনে ৪-৫ বার করার অভ্যাস করা ।
৭। ঘরের সাধারন ব্যায়াম করা। অধিকক্ষণ শুয়ে না থাকা। নিজের ঘর নিজে পরিস্কার করা ।
৮। সাহস রাখা,আশাহত না হওয়া, বেশি বেশি এবাদত করা বা নামাজ পড়। কোরআন তেলাওয়াত করা।
কোভিড ১৯ টেস্ট পজিটিভ আসলে করনীয়
কোভিড নিয়ে বিশ্বের বড় বড় দেশে চিকিৎসার যে পদ্ধতি চলছে সব জায়গায়ই এখন আক্রান্তের পরপরই বাসায় চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। স্যোসাল মিডিয়ায় অনেক আলোচনা এসেছে বিভিন্ন দেশের আইসিইউ বিশেষজ্ঞদের। যারা এই বিষয়ে চোখ রাখছেন তারা আশা করি খেয়াল করেছেন। মহামারীর এই সময়ে যখন কেউ আক্রান্ত হয় তখন কে বড় কে ছোট খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন। ধনী- গরিবের পার্থক্য এখানে খুবই কম থাকে। আর হাসপাতালে যখন বেড খালি থাকবেনা তখন আপনি আমি কেউ ই আলাদা কোন হিসাব করতে পারব না। সুতরাং এই সময়ে প্যানিক হলে আপনারই বিপদ।
এবার মূল কথায় আসি। কোভিড আক্রান্ত হলে প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সাহস হারানো যাবে না। আপনি আমি জানি যে আক্রান্তের খুবই সামান্য ৫-৭% হাসপাতালে যাওয়া লাগে। আর তাদের মধ্যে ১-২% আইসিইউ এর দরকার হতে পারে। তাই আপনি আমি সাহস হারালে কেমনে চলবে। সাহস রাখুন।
স্বল্প ও মধ্যম উপসর্গের জন্য বাসায় চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
স্বল্প উপসর্গ সম্পন্ন অবস্থায় সাধারণত কোন চিকিৎসা দরকার হয়না যদি কোন অতিরিক্ত ঝুকির লক্ষন না থাকে।
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল Tab. Napa extend1+1+1
ঠান্ডা বা হালকা কাশির জন্য Tab. Fenofex 120mg/Tab. Fenadin 0+0+1
যাদের পূর্বে থেকেই এলার্জি সমস্যা আছে এবং Monteleukast 10 mg ব্যাবহার করে আসছেন তারা এটা দিনে ১ টি করে চালাতে পারেন।
Tab. Zimax 500mg /Tab. Tridosil 500 mg ১ টি করে সকালে ও রাত্রে ৭ দিন অথবা Cap Doxicap 100mg ১ টি করে সকালে ও রাত্রে ৭ দিন। একই সাথে দুটি এন্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার নেই।
Tab.Scabo 6mg / Tab Ivera 6mg এর দুটি ট্যাবলেট একসাথে একবারের জন্য।
যারা শ্বাস কষ্টের জন্য Inhaler ব্যাবহার করে আসছেন । তারা যথারীতি তা ব্যাবহার করে যাবেন আগের নিয়মে। তবে এখন Sapcer নামক একটি যন্ত্র আছে সেটি ব্যাবহার করে Inhaler নিতে হবে।
যাদের কাশি আছে এবং উপরের চিকিৎসায় যাচ্ছে না তারা Bexitrol F 50/100 অথবা Ticamet 100 Inhaler দিনে দুইবার করে ব্যাবহার করতে পারেন।
নেবুলাইজেশন কোন ক্রমেই ব্যাবহার করা যাবেনা । এতে ঘরের অন্য সদস্য আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুন বেড়ে যায়।
প্রচুর পরিমান পানি বা তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে।
শর্করা জাতীয় খাবার কম খেয়ে টক জাতিয় ফল বেশী খাওয়া যেতে পারে।
হালকা গরম পানিতে লবন দিয়ে গড়্গড়া করা। হালকা গরম ভিনেগার দিয়েও গড়্গড়া করা যায় দিনে ৩-৪ বার • আদা, রং চা চিনি ছাড়া প্রয়োজন মত।
গরম পানির ভাব নেয়া দিনে ২-৩ বার।
মধু, লেবুর হালকা গরম পানি পান করা।
ঘরে অধিকক্ষণ শুয়ে না থেকে হালকা ব্যায়াম করুন।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।
কোভিড ১৯ পজিটিভ রুগী বাসায় কিভাবে ফলোআপ করবে দরকারী জিনিস
১। প্রেসার মাপার যন্ত্র।
২। পালস অক্সিমিটার
৩। থার্মোমিটার
৪। ইনহেলার নেয়ার জন্য একটি ভালো মানের স্পেসার।
৫। স্মার্ট ফোন।
বাসায় পালস অক্সিমিটার না থাকলে কিভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস এর খারাপ হওয়া ফলো আপ করবেনঃ
রথ (ROTH) স্কোরের মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার শ্বাস প্রশ্বাস ভালো আছে না কি হাসপাতালে যেতে হবে।
একবার শ্বাস নিয়ে ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত গুনে যান । স্টপ ওয়াচের মাধ্যমে দেখে নিতে পারেন। আপনি যদি ৯ এর বেশি গুনতে না পারেন অথবা ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় গুনতে না পারেন তাহলে খারাপ । আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ
বাসায় একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কোভিড চিকিৎসার জন্য খুবই সহায়ক । আবার অক্সিজেন সিলিন্ডার সতর্কতার সাথে ব্যাবহার না করলে মারাত্নক খারাপ অবস্থা হতে পারে।
১। অবশ্যই সিলিন্ডার রান্না ঘর থেকে দূরে রাখতে হবে।
২। যে ঘরে সিলিন্ডার থাকবে সেখানে কোন অবস্থায় ধূমপান করা যাবেনা।
৩। কোন ধরনের মশার কয়েল জ্বালানো যাবেনা।
৪। যে কোন ধরনের দায্য পদার্থ থেকে দূরে রাখতে হবে।
হাসপাতালে কি হচ্ছে আর আপনি যেয়ে কি পাবেনঃ
হাসপাতালে প্রথমত অক্সিজেন দিয়েই রাখা হয়। কাছে কোন সাহায্যকারী পাবেন না, আপনি যেই হোন। সাধারণ সেবা এখানে ব্যাহত, কি কারনে এটা ব্যাহত সেটা আপনি আমি ভালোই জানি। আর মৃত্যু ভয় সব জায়গায়ই কাজ করে। পরীক্ষা নিরীক্ষা দেরিতে হচ্ছে স্টাফ স্বল্পতা, আরো অনেক যৌক্তিক কারনে। সেক্ষেত্রে আপনার মানসিক অবস্থা দূর্বল হয়ে যায়। আপনার নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে থাকেন। মানসিক অবস্থা অটুট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালে যা অতিরিক্ত করা হবে একটি ক্যানুলা । এই রোগের আপডেটেড চিকিতসায় ব্যবহৃত হওয়া কিছু ওষুধ antibiotics, low Molecular wt heparin, fluid. Ramdesivir, Tocilizumab, etc.যেটাও বাসায় করা সম্ভব দক্ষ চিকিৎসকের সাথে ফোনে পরামর্শ করে। বরং সাধারণ বিষয় বা অভ্যাস গুলো যা আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি এনে দিতে পারে সেটা হাসপাতালে পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
কখন হাসপাতালে যাবেন?
১. মারাত্মক দুর্বল হয়ে গেলে
২ .জ্বর বেড়ে যাচ্ছে বা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে।
৩. মারাত্নক ডায়রিয়া হলে ।
৪. শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা পালস অক্সিমিটারের রিডিং অক্সিজেনসহ ৯০ এর নিচে চলে গেলে।
৫. বুকে মারাত্নক চাপ বা ব্যথা অনুভব করলে।
৬. মুখ বা জিহবা নীল হয়ে গেলে। এই পর্যায়ে সাধারণত খুব কম রুগিই পাওয়া যায়।
আইসিইউ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনাঃ
আইসিইউ তে যে খুব বেশি কিছু করা যায় সেটা ভাবা ভূল। আইসিইউ স্বল্পতা, অপ্রতুল চিকিৎসক স্টাফ, যন্ত্রপাতির অভাব, জনবল সংকট, পরিক্ষা করানোর ঘাটতি, সব মিলিয়ে আইসিইউ তে আমাদের কিছু করার থাকে না। অনেকেই মনে করেন একটা আইসিইউ বেড কত সুবিধা এনে দিতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে এত এত সুবিধা থাকা সত্বেও খুব কম সংখ্যক রুগীকে ফেরাতে পারছে। আমাদের এই অবস্থায় বেশি আশা করা যায় না।
সাহস রাখুন, মনোবল অটুট রাখুন। আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক থাকুন, বাসায় থাকুন। ইনশা আল্লাহ আমাকে, আপনাকে আল্লাহই রক্ষা করবেন। মহান আল্লাহ সকলকে এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করুন।
শুধু ডিম খেলে ইনসুলিন আসে ২৫ ভাগ এবং ঘী দিয়ে ডিম ভেজে খেলে ইনসুলিন আসে ৬ ভাগ। ইনসুলিন কম হলে ভাল।এটা ফ্যাট বার্নিংয়ে সাহায্য করে
দোকানে যেয়ে ডেক্সামেথাসোন ঔষধটি কেনার আগে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিন।
did not help those COVID-19 patients who had mild symptoms. There is no evidence that this medicine prevents COVID-19. And steroids can increase the risk of infection. So do not take this medicine without consulting a doctor.
ফেসবুক প্রেসক্রিপশন
আপনি কি চিকিৎসক? আপনি কি ফার্মাসিস্ট? রোগ ও ওষুধ বিশেষজ্ঞ? আপনি যদি এই সম্প্রদায়ের কেউ না হয়ে থাকেন, তাহলে অনুগ্রহ করে রোগ ও ওষুধ সম্পর্কে কাউকে কোনো পরামর্শ দেবেন না। আমি করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি, এক শ্রেনির অনভিজ্ঞ মানুষ ফেসবুকে নানা পদের ওষুধসম্বলিত প্রেসক্রিপশন আপলোড করে চলেছেন এবং করোনা রোগীদের এসব ওষুধ সেবন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো সময় এসব প্রেসক্রিপশন আপলোড করার সময় কোনো না কোনো চিকিৎসকের রেফারেন্সও যোগ করে দিচ্ছেন। একজন চিকিৎসক কোনো রোগীকে ফ্রিডম অব জাজমেন্ট প্রয়োগ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। তবে তাঁর প্রেসক্রাইব করা ভুল ওষুধের কারণে কোনো রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা মারা গেলে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান প্রচলিত আছে। বিরল হলেও আমাদের দেশেও হয়ত এই বিধান প্রচলিত আছে। ফেসবুক প্রেসক্রিপশনে এমনসব ওষুধ থাকে যা গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বিষক্রিয়ার কারণে স্বাস্থ্যহানি, অঙ্গহানি ও এমন কি মৃত্যুও হতে পারে। ওষুধকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) ড্রাগ ও প্রেসক্রিপশন ড্রাগ। ওটিসি ড্রাগ কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগে না। কিন্তু প্রেসক্রিপশন ড্রাগ কিনতে হলে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন লাগবে। আমাদের দেশ এক বিচিত্র দেশ। এদেশে এই কড়াকড়ির কোনো বালাই নেই। এখানে সব ওষুধই ওটিসি ড্রাগ, যদিও কর্তৃপক্ষ হালকাপাতলা কিছু বিধিনিষেধ জারি করে রেখেছে যা আদৌ মানা হয় না। সে যাক, বলছিলাম ফেসবুক প্রেসক্রিপশন নিয়ে। এ ধরনের প্রেসক্রিপশনে অসংখ্য ওটিসি ও প্রেসক্রিপশন ড্রাগ লিপিবদ্ধ থাকে। প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, অ্যান্টিহিস্টামিন, মন্টেলুকাস, বেক্সিট্রল(সালমেট্রল ও ফ্লুটিকাসনের কম্বিনেশন), অ্যাসমাসল, ইভারমেক্টিন, ডক্সিসাইক্লিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ক্লোরোকুইন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনসহ আরো অসংখ্য জানা অজানা ওষুধের নাম থাকে। আপনারা কি জানেন, সাধারণ প্যারাসিটামল খাওয়ার জন্যও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। ওষুধ চকলেট বা ক্যান্ডি নয় যা কিনলেন আর তৃপ্তিসহকারে খেলেন। প্রত্যেকটি ওষুধই বিষ। শুধু মাত্রাই(ডোজ) নির্ধারণ করে কোনটি ওষুধ, কোনটি বিষ। প্রত্যেকটি ওষুধের কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বিষক্রিয়া আছে। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পারসন টু পারসন ভেরি করে। কোনো ওষুধ কারো জন্য নিরাপদ মনে হলেও অন্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। আপনি ফেসবুকে করোনা রোগীর জন্য ঢালাওভাবে ওপরে বর্ণিত ওষুধগুলো গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে মনে করছেন আপনি মহত এক কাজ করছেন। আপনার নির্বুদ্ধিতা, অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অসংখ্য নিরীহ লোকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমন কি মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে, যার পরিসংখ্যান এদেশে কেউ রাখে না। এমনও তো হতে পারে, একজন করোনা রোগী তার প্রতিরোধ ক্ষমতাবলে ভালো হয়ে যেত, আপনার বা চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত আনটেস্টেট ওষুধগুলো খেয়ে রোগী মারা গেল। চিকিৎসকরা যে রোগীদের ঢালাওভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল ড্রাগ দিয়ে চলেছেন, রোগীর ওপর তার ক্ষতিকর প্রভাব কি তাঁরা মনিটর করছেন? নিরাপদ ওষুধ বললেই তো ওষুধ নিরাপদ হয়ে যায় না। আমি কয়েকজন সাধারণ ফ্লু'তে আক্রান্ত রোগীর ওপর এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত আছি। চিকিৎসকরা কোনো টেস্ট ছাড়াই সাধারণ ফ্লু'তে আক্রান্ত রোগীদের ঢালাওভাবে ক্লোরোকুইন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ইভারমেক্টিন, ডক্সিসাইক্লিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো ওষুধ গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ বলে এসব করার সাহস আপনারা পাচ্ছেন। উন্নত দেশ হলে আপনাদের খবর ছিলো।
#জানতে_হবে সবাইকে.....
কোভিড পজেটিভ রোগীর দ্রুত খারাপ হয়ে যাবার অন্যতম কারণ নিজের উপর কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলা ! সাইকোলজিক্যাল ব্রেকডাউনে প্যানিক এটাক হয় ।
একজন কোভিড পজেটিভ রোগীকে যদি আপনি প্রশ্ন করেন , কেমন আছেন ? তিনি কান্নাসুরে বলবেন - ‘ দুনিয়া এতো নিষ্ঠুর কেনো ? আমি কি করিনি সবার জন্য ? সবাই আমাকে এভাবে এভোয়েড করছে ? আমি বোধ হয় বাঁচবোনা ! ‘
খেয়াল করুন - কমপ্লিট সাইকোলজীক্যাল ব্রেকডাউন , নি:সঙ্গতা , মানুষের উপেক্ষা বা এভোয়েড এসব ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন পার করেন একজন কোভিড রোগী ।
এই সময়ে সেল্ফ কনফিডেন্সের ব্রেকডাউন হবেই , আমার ও হবে ।
নি:সঙ্গ মস্তিষ্ক যখন ধরে নেবে - আপনি কোভিড আক্রান্ত , কেও আপনার পাশে নেই , আপনি একা - তখন সাইকোলজীক্যালি কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনি পিছিয়ে পড়বেন । নো ডাউট ।
কোভিড রোগীকে চাঙ্গা রাখতে হবে , সময় দিতে হবে । তাকে মানসিক সাপোর্ট দিতে হবে । স্বার্থপরের মতো নি:সঙ্গতায় একজন কোভিড রোগীকে ঠেলে দেয়া - অপরাধ !
নি:সঙ্গতায় গ্রাস হতে দেবেন না আপনার প্রিয় মানুষটিকে । সেল্ফ প্রোটেকশান নিয়ে তাকে সময় দিন , মেসেন্জার ভাইবার ওয়াটঅ্যাপে সব বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডা দিন ।
চিৎকার করে হাসতে হাসতে বলুন - ‘ কিছু হয়নি তোর ! আমরা আছি তোর সাথে ! ‘
নি:সঙ্গ মানব মস্তিষ্কের উপর নানা চিন্তা ভর করে । মস্তিষ্ক শরীরের মারাত্মক সংবদেনশীল অংগ । অক্সিজেনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি মস্তিষ্কের ।
কোভিড রোগী যতো দুশ্চিন্তা গ্রস্হ হবেন - তার মস্তিষ্ক ততো বেশি অক্সিজেন চাইবে । ফুসফুস কুলিয়ে উঠতে পারবেনা - মস্তিষ্কের চাহিদার সাথে ।
প্যানিক অ্যাটাক আসবে , শ্বাসকষ্ট হবে । মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ডিমান্ড বাড়তে থাকলে রোগী ঘন ঘন শ্বাস টানতে থাকবেন । একসময় কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিস্তেজ হবেন ।
ফুসফুস নিজেও ক্ষতিগ্রস্হ থাকে এই সময়ে , ফুসফুসের উপর চাপ কমানোর অন্যতম উপায় রোগীর মস্তিষ্ক কে শীতল রাখা।
এটা পারবে রোগীর কাছের মানুষগুলো ! হাসি আনন্দে ভরিয়ে রাখতে পারে কোভিড আক্রান্ত মানুষটিকে ।
এসময়ের যে কোনো হাঁচি , কাশি গলাব্যাধা , জ্বর , শরীর ব্যাথা , ঘ্রাণ শক্তি , শ্রবণ বা জিহ্বার স্বাদ লোপ পেলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হউন । এখন ইন্টারনেটের যুগ , চিকিৎসকের সাথে প্রয়োজনে কনফারেন্স করুন ।
চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহন করবেন রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী । অনলাইন বা পোর্টাল দেখে নয় ।
সবচেয়ে বড় কথা - রোগীকে নি:সঙ্গ হতে দেবেন না ।
ভুলে যাবেন না - কোভিড আক্রান্ত মানুষটি আপনার আপনজন । আপনাকে নিয়ে ভাবে এমন মানুষ পৃথিবীতে হাতে গোনা , আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে নি:সঙ্গতায় ডুবে যেতে দেবেন না ।
নিষ্পাপ শিশুর মতই পবিত্র, শুদ্ধ,
বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনামুক্ত,
সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক আমাদের পৃথিবী ❤❤❤
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Dammam
32265
مجمع رويال الطبي الدمام حي الروضة Al Rawdah، Dammam
Dammam
عيادات رويال لليزر والجلديه والاسنان 💉🦷👩⚕️🧑⚕️ مجمع رويال الطبي الدمام حي الروضة Al Rawdah، Dammam للتواصل 📞 0552939195-0533589200_0138426699
7672 Abu Qais Aljuhani, Al-Hamra'a
Dammam, 32421
تم تأسيس مجمع الكحال الطبي في عام 1994 م
Omar Bin AbdulAziz Street
Dammam, 00966
VINNO was founded in 2010 with extensive ultrasound development experience. VINNO focuses on the development and manufacture of high-end color Doppler ultrasounddiagnostic system...
Dammam
We are well established medical supplies company covering most of the Saudi Arabia Market Our activi
Saudi Arabia _Dammam City
Dammam, 33256
A special page to help you access Dataflow and register for your exam.
Al Nakhil
Dammam
Massage services in Dammam Saudi Arabia currently hits my WhatsApp 0560385866