https://www.facebook.com/287685331083833/

Baron Dixie

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ১৫ই আগস্টে জনগণের উদ্দেশ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা সংবলিত পোস্ট ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং সুস্পষ্ট যুক্তির ভিত্তিতে আসুন আমরা জেনে নেই, কেন আওয়ামী লীগের পক্ষে এ ধরনের কোন প্রকার রাজনৈতিক জমায়েত করা সম্ভব না।

১। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক কাঠামো, নেতাকর্মীরা এমনকি অনুসারীরা কেউই সংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থাতে নেই। বেশিরভাগ নেতাকর্মীরাই পলাতক, কিছুসংখ্যক ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বাকিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রাজনৈতিক দল দ্বারা কোন প্রকার প্রতিবিপ্লব করে দেশকে স্বাধীন করে ফেলা সম্ভব নয়। সর্বোপরি এর কোন যৌক্তিকতাও নাই।

২। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য বিক্ষুব্ধ ও সংক্ষুব্ধ। সর্বোপরি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং চলমান আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী জনগণের ঐক্যমত মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগ নিজেই ভয়ে মাঠে নামবেনা।

৩। যেই বাংলাদেশ আর্মি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেইফ এক্সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, সেই বাংলাদেশ আর্মি যখন গোপালগঞ্জের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানে যায় তখন আওয়ামী সমর্থিত একটি গোষ্ঠী আর্মির সদস্যদের উপর নির্মম ও সহিংস হামলা চালায় যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আর্মির মনের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এমত অবস্থায় আওয়ামী লীগ যদি মাঠে নামে আর কোন প্রকার সংকটে পড়ে তাহলে আর্মির সহায়তা তারা পাবে না।

৪। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম বেশ সরব ভূমিকা পালন করলেও তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত যাচাই পরীক্ষায় তারা ধরা পরে যায়। বিবিসি সহ বেশ কিছু প্রথিতযশা সংবাদ মাধ্যম ফ্যাক্ট চেক করে দেখছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলো সাজানো। এতে করে সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে।

৫। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিপীড়নের ফলে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত জুনিয়র আর্মি অফিসারদের মাঝে একধরনের চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের এমন ধরনের নিপীড়নকে শুরু থেকেই ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেননি৷ ফলে মাঠ পর্যায়ে অবস্থানরত জুনিয়র আর্মি অফিসারদের শক্ত অবস্থানকে ভেদ করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা কোন প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবেনা। আর তা যদি তারা করেও জুনিয়র অফিসার তাদের কঠোরভাবে দমন করবে, সেটা নিশ্চিত।

আর আসলেই কি এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ দ্বারা এ ধরনের কোন কিছু করা সম্ভব?

সুতরাং কোন ধরনের অবাস্তব, মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দেশের চলমান সংস্কার পরবর্তী কার্যক্রমের ধারাকে ব্যাহত করে এমন কোন বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার শিকার নিজে না হওয়া এবং এ ব্যাপারে অন্যকেও সতর্ক করা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের মূল দায়িত্ব।

মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেশ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার নিমিত্তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।