DIGOLIAnews

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে নগর বিএনপির সদস্যসচিবের দাবি।

শুক্রবার বিকালে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।

খুলনা নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করে বলেন, “সরকারের পদত্যাগ, গায়েবি মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে নগরের প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি।

“সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে।”

তুহিন বলেন, “দিঘলিয়া সেনাটি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান, খালিশপুর বিএনপির নেতা রিপন, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ এবং অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

তবে পুলিশ বলছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে।

খুলনা নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলের ভেতরে বিএনপির কর্মিসভা ছিল। রাস্তায় কোনো কর্মসূচির অনুমতি বিএনপির ছিল না।

সেখানে বিকালে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এলে দলের নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন।

এ সময় পুলিশ একটু পিছিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়েন। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে।

বিএনপির হামলায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন।

পরে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

খুলনার দিঘলিয়ায় মাইনুল (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের আদর্শপাড়া এলাকায় তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত মাইনুল দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি এলাকার রেজার মোড়ের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের ছেলে।

ADVERTISEMENT

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাইনুল উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের আদর্শপাড়া এলাকায় এসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে। দুর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাইনুলের পেট ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দিঘলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত মাইনুলের নামেও থানায় মারপিটের ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৪/৫ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।