Sultan Raza official said All 202
পাশে থাকলে সবাই আপন হয়ে যায় না ভাই, নবাবের পাশে মীরজাফর ও ছিলো!�
এমন মানব জনম আর কি হবে?
****************************
'মানব' কে- এ জিজ্ঞাস্যের সদুত্তর খোঁজা দরকার।
না হলে শাঁইজির 'মানবধর্ম কী এবং কেন'-সে প্রশ্নেরও সমাধান মিলবে না। মানুষের আত্মপরিচয়জ্ঞানের সংকটই আধ্যাত্মিকতার সংকট। জগতে আর যতো সমস্যা, সবই মূলতঃ আধ্যাত্মিক সংকটজাত। জগতজোড়া আধ্যাত্মিক মানবিক বিপর্যয়ের এ সময়কালে সংবেদনশীল ব্যক্তিমাত্রই অনুধাবন করেন, মানব সমাজ আত্মপরিচয় ভুলে আত্মহননের আগুনে ঘি ঢালছে। প্রতিনিয়ত বৈষয়িক জ্ঞানবুদ্ধি ও ধনসম্পদ উপার্জনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দুনিয়াবাসী উন্মত্ত; অথচ আত্মিক বা আধ্যাত্মিক প্রশান্তিলাভের আগ্রহবোধ প্রায় দুর্লক্ষ্য।
পৃথিবীর কোথাও আর শিশুর শৈশব নেই, কিশোরের কৈশোর নেই, যুবকের যৌবন নেই, মানুষের জীবন নেই। প্রায় সবাই দুঃখের ঘানি টেনে চলেছি শাস্তিময় গন্তব্যে। বিশ্ববাসী অজ্ঞানতার অন্ধকার জেলখানার কয়েদি হয়ে রয়েছে।
এ দৈন্যদশা থেকে মানব জাতির মুক্তি কি
সুদূরপরাহত হয়েই থাকবে?। (সংখিপ্ত)
------সুত্র লালন দর্শন।
শাঁইজি তার কালামে বলছেন:----------
মানুষের করণ সে নয় সাধারণ,জানে রসিক যাঁরা।
টলে জীব বিবাগী অটল ঈশ্বর রাগী,
সেও রাগ লিখলেন বৈদিক রাগেরই ধারা,
যদি ফুলের সন্ধিঘরে বিন্দু পড়ে ঝরে,
আর কি রসিক ভাই হাতে পায় তারে।
যেজন নীরে ক্ষীর মিশায় সে পড়ে দুর্দশায়,
না মিশালে হেম অঙ্গ বিফল পারা ॥
হলে বাণে বাণ ক্ষেপণা বিষের উপার্জনা,
আধোপথে গতি উভয় শেষখানা।
পঞ্চবানের ছিলে প্রেমাস্ত্রে কাটিলে,
তবে হবে মানুষের করণ সারা।
সেই রসিক শিখরে যে মানুষ বাস করে,
হেতুশূন্য করণ সেই মানুষের দ্বারে।
নিহেতু বিশ্বাসে মিলে সে মানুষে
লালন ফকির হেতুকামে যায় মারা ॥
মানুষ সৃষ্টির রাজা। একাধারে সে সৃষ্টি ও স্রষ্টা। মানুষের পায়ের তলায় বস্তুবিশ্ব শাসিত হবার কথা। পরিহাসের বিষয়, বস্তুবাদই জেঁকে বসেছে আজ মানবসমাজের মাথার ওপর। মানবসত্তাকে টেনে নামানো হচ্ছে বস্তুবাদের পদসেবায়।
প্রশ্ন জাগে--------
কে বড়-মানববিশ্ব?না বস্তুবিশ্ব?
কোনটি অধিক শক্তিশালী-
আধ্যাত্মবিজ্ঞান?বা বস্তুবিজ্ঞান?।
___________________________
Anower Hossain (পাগলচাঁদ)
কত রাত্রি প্রেম আমাকে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছে, তোমার আবেশে আমার হৃদয় তন্দ্রায় ভরে গেছে, এবং আমি ভালবাসার দরজায় দাঁড়িয়ে নম্রতা, নম্রতা এবং আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, হে আমার রক্ষাকর্তা, আমার রক্ষাকর্তা?
জালালউদ্দিন রুমি... রহঃ 🌹🙏🏻
সঞ্চয়_প্রবৃত্তি: ইহা ধর্ম্মবিরোধী।ধনসঞ্চয় মানুষের চিন্তায়, মানুষের আপন পার্শ্বদেশ এবং মানুষের পিঠের উপর অর্থাৎ স্বাধীনতার উপর চাপিয়া বসে এবং তাহাকে স্রষ্টার দাসত্ব হইতে ছুটাইয়া বস্তুর দাসে পরিণত করে (দ্রষ্টব্যঃ ৯ঃ৩৪+৩৫)
ব্যক্তিগত সঞ্চয় যাহা আল্লাহর পথে ব্যয় হওয়ার জন্য নয়, কোরানে তাহা অবৈধ হারাম ঘোষণা করিয়াছেন। নফস নিজের ভোগের জন্য ধন সঞ্চয় করিয়া থাকে। সঞ্চয়ভাব মানুষের দুঃখ-কষ্টের একটি কারণ হইয়া থাকে। দুনিয়ার জ্বালাময় জীবনের মধ্যে সঞ্চয়কারীর সঞ্চয় প্রবৃত্তি তাহার তিন জায়গায় বিশেষ আঘাত বা ছাপ মারিয়া থাকে।।
১/কপালে অর্থাৎ তাহার চিন্তাভাবনার উপর কঠিন দাগ কাটিয়া থাকে।
২/পার্শ্বদেশে অর্থাৎ যেইদিকে সে পাশ ফিরে তাহার উপরে। অর্থাৎ আপন খেয়াল, স্বকীয়তা, আমিত্ব ইত্যাদির উপর এমন দাগ কাটে যে, আল্লাহর অভিপ্রেত সত্যাবোধের দিক হইতে মন আপন পার্শ্বদেশে সরিয়া পড়ে। এবং আপন রচিত শাস্তি দ্বারা নিজেই আক্রান্ত হয়।
৩/পিঠে বা মেরুদণ্ডে অর্থাৎ আমাদের শক্তি ও স্থিতিশীলতার উপর আঘাত হানে।
নিজের ভোগের জন্য ধন সঞ্চয়কারী এমন একটি পাশবিক আর্থিক শক্তি অর্জন করে যাহা দ্বারা মানুষের মেরুদণ্ড ভাঙিয়া ফেলে এবং তাহাদের পিঠের উপর বোঝার মত চাপিয়া বসে। এই সকল স্বেচ্ছাচারিতার শাস্তিস্বরূপ পরকালে তাহাকেও এইরূপ শাস্তি ভোগ করিতে হইবে।।
অতএব সঞ্চয় না করিয়া আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় করিলে উহা প্রকৃতপক্ষে সামাজিক ও ব্যক্তিগত শক্তি-সামর্থের ভিত্তি রচনা করিয়া ইহ-পরকাল সার্থক করিয়া তুলিতে পারে। ব্যক্তিগত এবং অসঙ্গত সঞ্চয় একেবারেই পরিত্যাজ্য, যেহেতু ইহা সামাজিক উৎপীড়ন সৃষ্টি করিয়া থাকে।
(দ্র. ৯ঃ৩৪+৩৫)
অহঙ্কারঃ
মস্তিষ্ক বা দেহই সকল অহংকারের উৎস। আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হইয়া মানুষ আপন দেহের মধ্যে অহংকার করিতে পারে অর্থাৎ আল্লাহর গৌরবে গৌরব করিতে পারে। অন্যথা বিষয়মোহে আপ্লুত হইয়া বিষয়ের যে মিথ্যা গৌরব মানুষ করিয়া থাকে তাহা ভ্রান্তপথের অসার গৌরব ব্যতীত অন্য কিছুই নয়।।
ইন্দ্রিয় পথে আগমনকারী ধর্মরাশি আল্লাহর পরিচয় বহন করে। সালাত ও যাকাতের সাহায্যে মস্তিষ্কের মধ্যে ধর্মরাশির প্রতি মোহশূন্য ভাব সৃষ্টির চেষ্টা গ্রহণ না করিলে স্বভাবতই বিষয়মোহের অহংকারে মন স্ফীত হইয়া উঠে। ধন-সম্পদ থাকুক বা না থাকুক ইহাই তাহার অহংকার। মোহশূন্য ভাবটাই নিরহংকার অবস্থা। নিদর্শনরাশির উপর নিরলস সালাত ও যাকাত না করিলে মনের মধ্যে অন্যায় অহংকারের উদয় অনিবার্য।।
মানুষের দোষগণের আধার হইল মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক দেহেরই অভ্যন্তরে অবস্থিত। অহংকারের সূচনা দেহের ভিতরে হইয়া থাকে।
বিষয় মোহে আপ্লুত বা রমিত হইয়া থাকিবার মধ্যেই সকল অহংকারবোধের জন্ম। মোহশূন্য মন নিরহংকার।।
তৌহিদজ্ঞানের অভাবে আমিত্বের উদয় হয়। আমিত্ব বা অহংকার মানুষের পরম শত্রু। ইহা মানুষের সকল সদগুণ বিনষ্ট করিয়া ফেলে।।
ইন্দ্রিয়পথে আগমনকারী বিষয়সমূহে আল্লাহর পরিচয় নিহিত আছে। এইগুলির উপর সালাত ও যাকাত করিয়া তাঁহার পরিচয় লাভ করিতে হয়। তাহা না-করিলে মস্তিষ্কে যে বিষয়মোহ সঞ্চিত হয় উহার মিথ্যা গৌরবে মানুষ অহংকারী হইয়া উঠে। বিষয়মোহে অহংকারী লোকের জন্য অসীম মনোলোকের দ্বার খুলে না। অর্থাৎ তাহাদের জন্য মহাপুরুষগণের মনের দ্বার খুলে না।।
তাহারা কোন মহাপুরুষের আশ্রয়প্রাপ্ত হইয়া জান্নাতবাসীও হইতে পারে না এবং অসীম অখণ্ড মনের অধিকারীও হইতে পারে না। সূঁচের ছিদ্র দিয়া উট প্রবেশ করা যেমন অসম্ভব, তেমনই তাহাদের পক্ষে জান্নাতে প্রবেশ করা অসম্ভব। মোহগ্রস্ত অপারাধীগণের শাস্তি এইরূপই হইয়া থাকে।।
অহঙ্কারের মূল উৎস হইল সঞ্চয় করা। ধন, জন, জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়রাশি সঞ্চয় করা হইতে মনকে মুক্ত রাখিতে পারিলে অহংকারের উৎপত্তি হয় না।।
বিষয়মোহের সঞ্চয় হইতে সকল অহংকার উৎপন্ন হয়। আল্লাহর দাসত্ব করিলে বিষয়মোহ নিরসন হয়। ফলতঃ আল্লাহর নিকটবর্তী হয়। আল্লাহর নিকটবর্তীগণ বিষয়মোহের অহংকার হইতে মুক্ত থাকেন। মোহগ্রস্ত ব্যক্তি তাহার অভ্যন্তরীণ আপন রবকে সমুদ্রে ডুবাইয়া রাখে। পক্ষান্তরে যাহারা রবের দাসত্ব করে তাহারা সংস্কাররাশির উপর ভাসাইয়া তুলে। আপন সংস্কার বা শিরিক দ্বারা তাঁহাকে নিজের মধ্যে আর ডুবাইয়া রাখেনা। ইহারাই রবের জন্য আত্মসমর্পণকারী।।
ধনবল এবং জনবলের উপর অহংকার করিবার কিছুই নাই। কারণ এইগুলির উপর স্থায়ীভাবে কোনরূপ নির্ভর করা চলে না এইগুলি ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্য প্রদত্ত নিতান্ত সাময়িক এবং পরীক্ষামূলক দান।
অহংকারের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্। তাঁহা হইতে তাঁহার গুণের অধিকারপ্রাপ্ত হইয়া মানুষ অহংকার প্রকাশ করিতে পারেন। তখন সেই অহংকার, আল্লাহরই অহংকার।।
---কোরান দর্শন
মওলা সদর উদ্দিন আহ্মদ চিশতী (আঃ)🌹🙏🏻
মাগফেরাত:-অর্থ ক্ষমা।
ইহা দ্বারা মানুষের সকল মন্দ ঢাকিয়া ফেলা হয়। রহমানের পরীক্ষামূলক পার্থিব সকল
দানের বন্ধন হইতে মনকে মুক্ত করিয়া মানব
জীবন হইতে তাগুত ছুটাইয়া ফালাহ্ অর্থাৎ
সফলতা দান করা হয়।
ক্ষমা প্রাপ্তি ইহকালেই হইয়া থাকে।
যোগ্যতার কিছু অভাব থাকিলে তাহা
পরকালে সম্পূর্ণ বা সম্পন্ন করা হইয়া থাকে।
কোরান দর্শন তৃতীয় খন্ড
মাওলা সদর উদ্দিন আহমদ্ চিসতি আঃ🌹🙏🏻
সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে, পাপের হয়েছে শেষ
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ
জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস
বেশ্যা তো ছিল খাস মাল, তোদের রাতের রানী
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!
সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে
আসবে তোদের বেলা।
রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে
দিনের আলোতে চিননা তাহারে?
তাকাও নাকো লাজে!
চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!
নারী আমাদের মায়ের জাতি বেশা বানালো কে?
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?
গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।
স্বামী যখন মরলো ভাবির দুধের শিশু কোলে
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে,
দিনের মত দিন চলে যায় হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।
মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।
শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?
বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী
তোমরা তো বেটা দি*ন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।
আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান -
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!
বেশানারী ব্যবসা নারী পুরুষরা পুরুষ রা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!
আর কতকাল থাকবি অমন মুখোশ ধারীর দল
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।
সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।
এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা
আসবে তিনি,এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।।
বিদ্রোহী কবি""... নজরুল ইসলাম ছিলেন নিপিড়ীত, অসহায়, মানুষের কন্ঠশর,মুখোশধারী দের মুখোশ খুলে দিতে অত্যন্ত সাহসী কবি।
মানবতার কবি নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকবেন আজীবন মানুষের হৃদয়ে।
Asslamualikewm Shovo Ratri
Asslamualikewm amar new page dowa caii sobar vhalobasa caii